বেহাল দশা পেলের ১৬ কোটির বাড়ির
অনেক শখ করে ব্রাজিলের সাও পাওলোর সমুদ্র সৈকতের পাড়ে তৈরি করেছিলেন বিলাসবহুল বাড়ি। সেখানে কাটিয়েছেনে জীবনের শেষ ৪০টি বছর। নেই ফুটবলের কিংবদন্তি পেলে। নেই তার সেই বাড়ির যত্ন। অবহেলা আর অযত্নে পড়ে রয়েছে ১১ লাখ পাউন্ডের সেই বাড়ি। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার দাম প্রায় সাড়ে ১৬ কোটি টাকা। ২০২২ সালে ২৯ ডিসেম্বর হ্যাটট্রিক বিশ্বকাপ জয়ী এ তারকা পাড়ি জমান না ফেরার দেশে। তারপর থেকে বেহাল দশায় পড়ে রয়েছে তার শখের বাড়িটি। দেখভাল করার কেউ নেই।   বিনা বাধায় সেই বাড়িতে লুটপাট চালায় স্থানীয় দুষ্কৃতীরা। এরপরও পেলের পরিবারের সদস্য কিংবা প্রশাসনের টনক নড়ছে না। বিখ্যাত পার্নামবুকো সৈকতে অবস্থিত পেলের বাড়ি এখন সমাধি ক্ষেত্র। যদিও এই বাড়িতে অসংখ্য স্মৃতি রয়েছে ফুটবল সম্রাটের। ১৯৮১ সালে নিউইয়র্ক থেকে পেলে চলে আসেন ব্রাজিলে। পরিবার-পরিজন আর নিজের নিকট আত্মীয়দের কাছাকাছি থাকতে তৈরি করিয়েছিলেন শখের এই বাড়িটি। সুইমিং পুল, বাগান, সিনেমা দেখা এবং পদক রাখার জন্য আলাদা ঘর রয়েছে বাড়িতে। এ ছাড়া রয়েছে আরও ১২টি থাকার ঘর। বাড়ির সীমানার মধ্যেই রয়েছে ছোট ফুটবল মাঠ, টেনিস কোর্ট ও ফুটভলি কোর্ট। মায়ের প্রার্থনার জন্য ছোট একটি গির্জাও তৈরি করিয়েছিলেন পেলে। খেলাধুলা কিংবা বিনোদন—কোনো কিছুর জন্যই বাড়ির বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ত না ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তির। কিন্তু এখন সব কিছুই নষ্ট হচ্ছে অযত্ন আর অবহেলায়। বাড়ির বিভিন্ন জিনিসপত্র নষ্ট করছেন স্থানীয় দুষ্কৃতীরা। দেওয়ালের বিভিন্ন অংশ এমনকি বাড়ির সিঁড়িও  ভেঙে ফেলা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আসবাব পত্র। চুরি যাচ্ছে মহাতারকার বহু ফুটবল স্মারক। মৃত্যুর আগে দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন পেলে। সে সময় বাড়ির বিভিন্ন কর দেওয়া হয়নি। গত কয়েক বছরে বহুগুণ বেড়ে গেছে অপরিশোধিত সেই বকেয়া করের পরিমাণ। ফলে বাড়িতি নিজেদের অনুকূলে নিতে পারছেন না তার সন্তানরা। বাড়ি দখলের জন্য যে পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন রয়েছে, তা তার সন্তানদের কাছে নেই। আর রয়েছে আইনি জটিলতাও। ফলে ধীরে ধীরে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে বিশ্ব ফুটবলের কিংবদন্তি পেলের সেই শখের বাড়ি।
২৮ জুন, ২০২৪

স্মরণে কিংবদন্তি মাইকেল জ্যাকসন
পপসংগীতের কিংবদন্তি মাইকেল জ্যাকসন। তিনি সংগীত, নৃত্য ও ফ্যাশন জগৎসহ ব্যক্তিজীবনের নানা ঘটনা নিয়ে পৃথিবীর বুকে চার দশকেরও বেশি সময় রাজত্ব করেছেন। তিনি বিশ্বময় পপসংগীতকে ছড়িয়ে দিয়েছেন উন্মাদনায়। মৃত্যুর আগে সংগীতপ্রেমীদের উপহার দিয়েছেন অসংখ্য কালজয়ী সব গান। ২০০৯ সালের ২৫ জুন ৫০ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন তিনি। তার মৃত্যুতে স্তব্ধ হয়ে যায় গোটা বিশ্ব। মৃত্যুর ১৫ বছরেও তার জনপ্রিয়তা একটুও কমেনি। তাই কিংবদন্তির মৃত্যুদিবসের এই দিনে ভক্তরা শ্রদ্ধার সঙ্গে তাকে এখনো স্মরণ করে থাকেন। মাইকেল ১৯৫৮ সালের ২৯ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন। তাকে পপসংগীতের রাজা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। জো জ্যাকসন ও ক্যাথেরিন জ্যাকসন দম্পতির সপ্তম সন্তান মাইকেল জ্যাকসন। তার পরিবার ছিল আফ্রো-আমেরিকান। মাইকেল জ্যাকসন মাত্র পাঁচ বছর বয়সে তার ভাইদের সঙ্গে ‘জ্যাকসন-৫’ মিউজিক্যাল গ্রুপে যোগ দেন। সেখান থেকে প্রথম মিউজিক অ্যালবাম ‘ডায়ানা রোজ’ ১৯৬৯ সালে প্রকাশ হয়। এ অ্যালবামের প্রথম একক গান ‘আই ওয়ান্ট ইউ ব্যাক’ ১৯৭০ সালের জানুয়ারিতে বিলবোর্ডের হট তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করে নেয়। মাত্র ১৩ বছর বয়সে এককভাবে মাইকেল জ্যাকসনের ক্যারিয়ারের যাত্রা শুরু। ১৯৭২ সালে তার প্রথম একক অ্যালবাম ‘বেন’ প্রকাশিত হয়। এরপর ১৯৭৯ সালে পরবর্তী অ্যালবাম আসে। এ অ্যালবামের নাম ছিল ‘অব দ্য ওয়াল’। এর ‘ডোন্ট স্টপ টিল ইউ গেট এনাফ’ ও ‘রকিং উইথ ইউ’ গান দুটির মাধ্যমে তুমুল জনপ্রিয়তা পান তিনি। মাইকেলের বেশি বিক্রি হওয়া অ্যালবামের মধ্যে রয়েছে ‘অব দ্য ওয়াল’, ‘থ্রিলার’, ‘ব্যাড’, ‘ডেঞ্জারাস’ এবং ‘হিস্ট্রি’। এর মধ্যে ‘থ্রিলার’ সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া অ্যালবাম। ‘বিট ইট’ গানটি প্রচার করে শিরোনামে আসে এমটিভির নাম। জীবদ্দশায় মাইকেল জ্যাকসন কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী এলভিস প্রিসলির মেয়ে লিসা মেরি প্রিসলিকে বিয়ে করেছিলেন। রক অ্যান্ড রোল কিংবদন্তি এলভিস প্রিসলির মেয়ে লিসা মেরি প্রিসলি নিজেও ছিলেন সংগীতশিল্পী ও গীতিকার। মাইকেল তার ক্যারিয়ারে অসংখ্য পুরস্কার জিতেছেন। এর মধ্যে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসহ সর্বোচ্চ ১৪ বার গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন। যেখানে তার ধারে কাছে কেউ নেই।
২৫ জুন, ২০২৪

কোপার শিরোপা জেতেননি যে দুই কিংবদন্তি
২০১৬ সালের পর দ্বিতীয়বারের মতো কোপা আমেরিকা আয়োজন করতে যাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে মহদেশীয় এই টুর্নামেন্টে শতবর্ষী আসর বসেছিল মার্কিন মুল্লুকে। কোপা আমেরিকা মহাদেশীয় ফুটবল টুর্নামেন্টগুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রচীণ প্রতিযোগিতা।  লাতিন অনেক কিংবদন্তি খেলেছেন এই প্রতিযোগিতা। এদের মধ্যে এমন দুজন আছেন যারা বিশ্বকাপ জিতলেও, ক্যারিয়ারের জিততে পারেননি মহাদেশীয় এই টুর্নামেন্টের ট্রফি।    আগামী ২০ জুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হবে কোপার ৪৮তম আসর। আমেরিকার ১২ শহরের ১৪টি স্টেডিয়ামে হবে লাতিন ফুটবলের মহাযুদ্ধ। তবে এবার লাতিনদের সঙ্গে এই যুদ্ধে যোগ দেবে নর্থ ও সেন্ট্রাল আমেরিকানরাও।  লাতিন ফুটবলের পরাশক্তি ব্রাজিল, উরুগুয়ে এবং লিওনেল মেসির নেতৃত্বে আর্জেন্টিনাসহ ১৬ দল লড়াইয়ে নামবে মহাদেশীয় এই টুর্নামেন্টের খেতাব অর্জনের জন্য। লাতিন দশ দেশের সঙ্গে এবারের আসরে অংশ নেবে, স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকোসহ উত্তর ও মধ্য আমেরিকার ৬টি দেশ।  ১০৮ বছর শুরু হওয়া এই টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছেন অনেক কিংবদিন্ত। এমন দুজন আছেন যারা, বিশ্বকাপসহ জিতেছেন প্রায় সব ধরনের টুর্নামেন্টের শিরোপা। আর এ দুজন ছাড়া লাতিন আমেরিকার প্রায় সব সুপারস্টারই জিতেছেন  কোপা আমেরিকার ট্রফি।  তাদের নাম শুনলে অবাক হবে যে কেউ! একজন রেকর্ড তিনটি বিশ্বকাপ জেতা ব্রাজিলের কিংবদন্তি  পেলে। অন্যজন প্রায় একক প্রচেষ্টায় ১৯৮৬ সালে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতানো ডিয়েগো ম্যারাডোনা। এই দুই কিংবদন্তির ক্যারিয়ারের সবচেয়ে আক্ষেপের দিক হচ্ছে, নিজ মহাদেশের ট্রফি জেতা হয়নি তাদের।  কোপায় খুব বেশি খেলেননি ব্রাজিলিয়ান মহাতারকা পেলে। ১৯৫৮ সালে একবারই অংশ নিয়েছিলেন তিনি। ১৯ বছর বয়সে খেলা সেই আসরে ৮টি গোল করে জিতেছিলেন সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার। টুর্নামেন্টের সেরা ফুটবলারের খেতাবও জিতেছিলেন পেলে। তবে সাত দলের এই টুর্নামেন্টটি হয় রাউন্ড রবিন লিগ প্রদ্ধতিতে। এতে ব্রাজিলকে পেছনে ফেলে শিরোপা জেতে আর্জেন্টিনা। আর রানার্স আপ হয়ে শেষ হয় পেলের কোপা আমেরিকার ক্যারিয়ার।  তবে কোপা জিততে না পারার আক্ষেপে বেশি পুড়েছেন ম্যারাডোনা। ১৯৭৯, ১৯৮৭ ও ১৯৮৯, কোপার এই তিন আসরে খেলেছিলেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি। তবে ১৯৮৭ সালে ঘরের মাঠে হওয়া আসরে দুর্দান্ত ছিল তার পারফরম্যান্স।  চার ম্যাচে তিনটি গোল করেছিলেন তিনি। সেই আসরের চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ের কাছে ১-০ গোলে হেরে সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয় ম্যারাডোনার আর্জেন্টিনাকে। আর এতেই কোপা আমেরিকার শিরোপা খরা নিয়ে শেষ হয় তার ফুটবল ক্যারিয়ার। 
১০ জুন, ২০২৪

কিংবদন্তি শিল্পী পঙ্কজ উদাস আর নেই
কিংবদন্তি গজল শিল্পী পঙ্কজ উদাস আর নেই। আজ সকালে ভারতের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতাল শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। গায়কের কন্যা নায়াব উদাস ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে বাবার মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছেন।  ১৯৮০ সালে ‘আহত’ শিরোনামের গজল অ্যালবাম প্রকাশের মাধ্যমে তিনি সংগীত দুনিয়ায় যাত্রা শুরু করেন। ‘চান্দি জ্যায়সা রং’, ‘না কাজরে কি ধার’, ‘দিওয়ারো সে মিল কর রোনা’, ‘আহিস্তা’, ‘থোড়ি থোড়ি প্যার করো’, নিকলো না বেনাকাব’ প্রভৃতি পঙ্কজ উদাসের গাওয়া অসাধারণ সব গজল আজও শ্রোতাদের হৃদয়ে গেঁথে আছে। ‘নাশা’, ‘পয়মানা’, ‘হাসরাত’, ‘হামসফর’-এর মতো বেশ কয়েকটি বিখ্যাত অ্যালবামও রয়েছে তার ঝুলিতে। তার কণ্ঠে বাংলা গান ‘গোলাপ ঠোঁটে রঙিন হাসি’, ‘চোখে চোখ রেখে’, ‘তোমার চোখেতে ধরা’ ইত্যাদি গান জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বঙ্গবন্ধুর দুঃসময়ের বন্ধু, কিংবদন্তি রাজনীতিক শওকত আলী
ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলাদেশ জন্মের ইতিহাসের সঙ্গে লেপ্টে থাকা এক উজ্জ্বল নাম শওকত আলী। পূর্ব পাকিস্তানের প্রায় সমস্ত আন্দোলনের অন্যতম সূতিকাগার ছিল এই ভাষাসৈনিক ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকের ১৫০ মোগলটুলির বাড়িটি। জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান তখনও বঙ্গবন্ধু হয়ে ওঠেননি, সেই দুঃসময়ে তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন শওকত আলী। তবে দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হলো, দেশ ও জাতির জন্য শওকত আলীর অপরিসীম আত্মত্যাগের কথা তরুণ প্রজন্ম খুব একটা জানে না। ১৯১৮ সালের ২০ এপ্রিল পুরান ঢাকার গেণ্ডারিয়ায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন আমার বাবা শওকত আলী। ঢাকা গভ. মুসলিম হাইস্কুলে পড়াকালীন রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে পড়েন। এক সময় গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহিদ সোহরাওয়ার্দীর সান্নিধ্য লাভ করেন। আরও পরে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে।   তরুণ বয়সে শওকত আলী চলে আসেন পুরান ঢাকার ১৫০ চক মোগলটুলীতে এবং সেখানে বসবাস শুরু করেন। বাড়িটি ছিল ভাষা আন্দোলন, স্বাধিকার ও স্বাধীনতা আন্দোলনের কর্মী বাহিনীর মিলনক্ষেত্র। রাজনীতি চর্চার সূতিকাগার, প্রগতিশীল মুসলিম লীগ ও মুসলিম ছাত্রলীগ কর্মীদের পার্টি হাউস, পাকিস্তান আন্দোলনের ঘাঁটি। পরে আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এই ভবনের ভূমিকা ইতিহাসের অংশ হয়ে আছে। দেশভাগের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কলকাতা থেকে তৎকালীন পূর্ব বাংলায় এসে প্রথমেই উঠেছিলেন বন্ধু শওকত আলীর ১৫০ চক মোগলটুলীর বাড়িতে এবং বছর কয়েক সেই বাড়িতেই তিনি অবস্থান করেন।  প্রথম যেদিন বঙ্গবন্ধু এই বাড়িতে আসেন, সেদিনের ঘটনা বঙ্গবন্ধুর বয়ানেই শোনা যাক— ‘১৫০ নম্বর মোগলটুলীতে প্রথমে উঠব ঠিক করলাম। শওকত মিয়া মোগলটুলী অফিসের দেখাশোনা করে। মুসলিম লীগের পুরানা কর্মী। আমার বন্ধুও। শামসুল হক সাহেব ওখানেই থাকেন। শামসুল হক সাহেব ও শওকত সাহেব আমাকে পেয়ে খুবই খুশি। শওকত আমাকে নিয়ে কী যে করবে ভেবে পায় না। তার একটা আলাদা রুম ছিল। আমাকে তার রুমেই জায়গা দিল। আমি তাকে শওকত ভাই বলতাম। সে আমাকে মুজিব ভাই বলত।’ (অসামাপ্ত আত্মজীবনী, পৃষ্ঠা-৮৩)। তৎকালে লীগ অফিস নামে অধিক পরিচিত ছিল বাড়িটি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাজউদ্দীন আহমদ, শামসুল হক, অলি আহাদ, কমরুদ্দিন আহমেদ, মো. তোয়াহা, খালেক নেওয়াজ খাঁন, এম এ ওয়াদুদ প্রমুখ নেতারা শওকত আলীর এই বাড়িতে বসবাস করতেন। ভাষা আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক কার্যক্রম এখান থেকেই পরিচালিত হতো। শওকত আলী ছিলেন আওয়ামী মুসলিম লীগ ও পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। বঙ্গবন্ধুর ঝড়-ঝঞ্ঝাময় জীবনে ঢাল হয়ে ছিলেন আমৃত্যু। ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগ নামক সংগঠনগুলো যাদের শ্রমে-ঘামে-অর্থে আজকের মহীরূহুতে পরিণত হয়েছে সেই অল্প কয়েকজনের একজন শওকত আলী।  শুরুতে আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেছেন শওকত। আওয়ামী লীগ গঠনে তার ত্যাগ ছিল অসামান্য। বঙ্গবন্ধু নিজেও একাধিকবার সেই ‘ঋণের’ কথা বলেছেন।  ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকার টিকাটুলিস্থ রোজ গার্ডেন প্যালেসে নতুন দল গঠনে কর্মী সম্মেলনের আহবান করা হয়। এই সম্মেলনকে সামনে রেখে ১৫০ চক মোগলটুলিতে প্রস্তুতিমূলক কর্মতৎপরতা শুরু হয়। ২৩ জুনের সম্মেলনের আয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন শওকত আলী।  বঙ্গবন্ধুর ভাষ্য, ‘কর্মী সম্মেলনের জন্য খুব তোড়জোড় চলছিল। আমরা জেলে বসে সেই খবর পাই। ১৫০ মোগলটুলীতে অফিস হয়েছে। শওকত মিয়া সকলের খাওয়া ও থাকার বন্দোবস্ত করত। সে ছাড়া ঢাকা শহরে কেইবা করবে? (অসমাপ্ত আত্মজীবনী, পৃষ্ঠা-১২০)। ২৩ জুনের সম্মেলনের আগে মওলানা ভাসানীকে গ্রেপ্তার করা হবে, এরকম একটা খবর লোকমুখে ছড়িয়ে পড়ে। নতুন দল গঠন হচ্ছে আর এ সময় যদি ভাসানীকে গ্রেপ্তার করা হয় তাহলে বিরাট ক্ষতি হয়ে যাবে। তখন রাতের অন্ধকারে কম্বল পেঁচিয়ে ঘোড়ার গাড়িতে করে সম্মেলন শুরুর দুদিন আগে ভাসানীকে রোজ গার্ডেনে নিয়ে যাওয়ার মূল নায়ক ছিলেন এই শওকত আলী। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত নানা বৈরিতার ভেতর দিয়ে মুক্তিযুদ্ধকে সংগঠিত করতে সীমাহীন ত্যাগ স্বীকার করেছেন শওকত আলী। রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে প্রথম হরতাল হয়েছিল ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ। এই হরতাল সফল করতে শওকত আলীর অবদান অনস্বীকার্য। পিকেটিংয়ের একপর্যায়ে পুলিশের আইজিকে সচিবালয়ে ঢুকতে বাধা দেওয়ায় পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন মারাত্মকভাবে। আটক হয়ে জেলেও ছিলেন। ১৯৫২ সালের সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সদস্য ছিলেন। একই সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে রাজপথে যে ব্যাপক আন্দোলন হয়েছিল, শওকত আলী সে আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।  ভাষা আন্দোলন করার সময় সবচেয়ে বেশি পুলিশী নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়েছিলেন শওকত আলী। ১৯৪৮ সালে রাজপথে আন্দোলনরত অবস্থায় পুলিশের বেধড়ক লাঠিচার্জে তিনি গুরুতর আহত হয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। বন্ধু শওকতকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে তৎক্ষনাৎ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাকে রিকশায় করে  হাসপাতালে নিয়ে যান। রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে মিছিল, জনসভা, ছাত্রসভা, পিকেটিংসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে শওকত আলী সক্রিয়ভাবে যোগ দিয়েছেন এবং বিভিন্ন জনসভায় বক্তব্য রেখেছেন। ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্বদানের অপরাধে শওকত আলী ২ মার্চ ১৯৫২ তারিখে গ্রেপ্তার হন এবং বহুদিন জেলে আটক ছিলেন। লোভ লালসার ঊর্ধ্বে থেকে পরোপকারী এই মানুষটি আজীবন সাধারণ মানুষের পাশে থেকে রাজনীতি করে গেছেন। বড় পদ বা ক্ষমতার জন্য তিনি রাজনীতি করেননি। শওকত আলী জাতির একজন গর্বিত সন্তান। ৪০-এর দশকের ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ মোকাবিলায় শওকত আলী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। চরম দুঃসময়ে তিনি সার্বক্ষণিক দুর্ভিক্ষ পীড়িত মানুষের পাশে ছিলেন এবং সাহায্য সহযোগিতা করেছেন। সেই সময় সবার মুখে মুখে তিনি ‘দুর্ভিক্ষ শওকত’ নামেই বেশি পরিচিতি পান। বয়োজ্যেষ্ঠ পুরান ঢাকাবাসী এখনো তাকে ‘দুর্ভিক্ষ শওকত’ নামেই চেনে।  বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু শোকে তার ঠিক দুদিনের মাথায় মৃত্যুবরণ করেন শওকত আলী। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু স্বপরিবারে নিহত হওয়ার দুঃসংবাদে শওকত আলী ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন। ভাষা আন্দোলনে শওকত আলীর কৃতিত্বপূর্ণ ও গৌরবময় অবদানের জন্য ২০১১ সালে তাকে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করা হয়। ঢাকা সিটি করপোরেশন ২০১০ সালে জাতির এই গর্বিত সন্তানের নামে ধানমন্ডিস্থ ৪/এ সড়কটির নামকরণ করে। লেখক : শওকত আলীর সন্তান
২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

না ফেরার দেশে প্রোটিয়া কিংবদন্তি
দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের সাবেক খেলোয়াড় ও পরবর্তীতে কোচ ও আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করা কিংবদন্তি অলরাউন্ডার মাইক প্রোক্টর আর নেই। ৭৭ বছর বয়সে স্ত্রী ও দুই কন্যা সন্তান রেখে না ফেরার দেশে চলে গেছেন তিনি। ১৯৪৬ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ডারবানে জন্মগ্রহণ করা এই প্রোটিয়া তারকা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন অনেক দিন। অস্ত্রোপচারের জটিলতা দেখা দেওয়ার পর থেকেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে তার। এ অবস্থায়ই শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) মৃত্যুবরণ করেন তিনি। প্রোটিয়াদের হয়ে মাত্র ৭টি টেস্ট খেলেছিলেন তিনি। তার খেলা ৭ টেস্টে ৬টি জয়ের বিপরীতে একটি টেস্টে ড্র করতে পারে প্রোটিয়ারা। এরপর বর্ণবাদ ইস্যুতে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট নির্বাসিত হলে তার ক্যারিয়ার দীর্ঘ হয়নি। নব্বইয়ের দশকে আবার যখন দক্ষিণ আফ্রিকা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে, তখন কোচের ভূমিকায় প্রোক্টর। প্রোক্টরের অধীনেই দক্ষিণ আফ্রিকা ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপে খেলে। সেবার সেমিফাইনাল পর্যন্ত উঠে তারা। ২০০২ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত আইসিসির অন্যতম ম্যাচ রেফারি ছিলেন প্রোটিয়া তারকা। শুধু ক্রিকেটার, কোচ এবং ম্যাচ রেফারি হিসেবেই নয়, দক্ষিণ আফ্রিকার নির্বাচক কমিটির আহ্বায়ক হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার খুব বেশি দীর্ঘ না হলেও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে প্রোক্টরের উজ্জ্বল নাম। ৪০১ ম্যাচে ২১ হাজার ৯৩৬ রান করেন তিনি। ৪৮টি সেঞ্চুরি ও ১০৯টি হাফসেঞ্চুরি রয়েছে তার নামের পাশে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে প্রোক্টর উইকেট নিয়েছেন ১ হাজার ৪১৭টি।
১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটারদের ‘অস্ট্রেলিয়ান’ পরিচয় দিল আইসিসি
রিচার্ড হ্যাডলি ও মার্টিন ক্রো নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেট ইতিহাসের বিখ্যাত নাম। একটা সময়ে ক্রিকেটের প্রচীন সংস্করণে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারীর তালিকায় সবার শীর্ষে ছিলেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার হ্যাডলি। আর ক্রো ছিলেন কিউইদের অন্যতম সেরা ব্যাটার। এ ছাড়া মেয়েদের ক্রিকেট ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ট অধিনায়ক ও সেরা অলরাউন্ডার ছিলেন ডেবি হকলি। নিউজিল্যান্ডের এই ৩ কিংবদন্তি ক্রিকেটারকে অস্ট্রেলিয়ান বলে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে আইসিসি।  আইসিসির হল অব ফেমে জায়গা জায়গা করে নিয়েছেন রিচার্ড হ্যাডলি, মার্টিন ক্রো ও ডেবি হকলি। কিন্তু আইসিসির হল অব ফেমের ওয়েবসাইটটি তিনজনের প্রোফাইলে দেশের নাম অস্ট্রেলিয়া এবং নামের পাশে রেখেছে অস্ট্রেলিয়ার পতাকা। আইসিসির এমন কাণ্ডে বেজায় চটেছেন নিউজিল্যান্ডের নাগরিকরা।  আইসিসির এই ভুলকে ট্রান্স-তাসমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইতিহাসে নতুন অবিচার হিসেবেই উল্লেখ করেছে নিউজিল্যান্ডের সংবাদমাধ্যমগুলো। এমনকি ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থাটির ভুলকে ১৯৮১ সালের ট্রেভর চ্যাপেলের সেই কুখ্যাত ‘আন্ডারআর্ম বোলিং’ বিতর্কের সঙ্গে তুলনা করেছে দেশটির সংবাদমাধ্যম স্টাফ। স্যার রিচার্ড হ্যাডলির প্রোফাইলে ‘নাইটহুড’ উল্লেখ করতেও ভুল করেছে আইসিসি। হল অফ ফেমের ওয়েবসাইটে লেখা হয়েছে, ‘ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা পেসার ১৭ বছর ধরে নিউজিল্যান্ডের জার্সিতে খেলেছেন। প্রথম বোলার যে ৪০০ উইকেটের এলিট ক্লাবে প্রবেশ করেন এবং ৪৩১ উইকেটের মাধ্যমে ক্যারিয়ার শেষ করেন।’ নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেট বোর্ডের নারী প্রধান ডেবি হকলিকে, ‘নিউজিল্যান্ড মেয়েদের ক্রিকেটে জায়ান্ট’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। তিনি টেস্টে ১,৩০১ এবং ওয়ানডেতে ৪,০৪৬ রান করেছেন। শেষে তাকেও অস্ট্রেলিয়ান পরিচয় দেয়া হয়।
০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

মারা গেলেন কিংবদন্তি অভিনেত্রী হেলেনা
ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন কিংবদন্তি নাট্যশিল্পী হেলেনা রোজা। গত ৩ ফেব্রুয়ারি মেক্সিকো সিটিতে নিজ বাড়িতে মৃত্যু হয়েছে তার। তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। সংবাদমাধ্যম দ্য মিররের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হেলেনা রোজার ব্যক্তিজীবনে তিন সন্তানের জননী ছিলেন। তিনি স্বামীকে রেখে গেছেন। সাংবাদিক মারিয়া লুইসা ভালদেসে ডোরিয়া এ অভিনেত্রীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পোস্ট দিয়েছেন।  কিংবদন্তি এ অভিনেত্রীর মৃত্যুতে হৃদয় ভেঙেছে শুভাকাঙ্ক্ষীদের। তারা প্রিয় অভিনেত্রীকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন মাধ্যমে শোক জানিয়ে বিভিন্ন পোস্ট করছেন তারা। হেলেনা রোজা ছিলেন মেক্সিকান টেলিভিশন তারকাদের মধ্যে সফল একজন অভিনেত্রী। ষাটের দশকে মডেল হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। দুর্দান্ত কাজের জন্য এরিয়েল অ্যাওয়ার্ডসহ কয়েকটি পুরস্কারে স্বীকৃত হয়েছেন তিনি। ১৯৭০ সালে দ্য সুইসাইড ক্লাবের মাধ্যমে সিনেমায় অভিষেক হয় হেলেনা রোজার। এতে তার চরিত্রটি সমালোচকদের প্রশংসায় ভাসতে থাকে।
০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ডি ব্রুইনাকে কিংবদন্তি বললেন গার্দিওলা
দীর্ঘ পাঁচ মাস পর ইনজুরি কাটিয়ে প্রিমিয়ার লিগে ফিরেছেন ম্যানচেস্টার সিটির মিডফিল্ডার কেভিন ডি ব্রুইনা। নিউক্যাসলের মাঠে প্রথমার্ধে ২-১ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে ম্যানসিটি। ম্যাচের ৬৯ মিনিটে বদলি হিসেবে মাঠে নেমেই দুর্দান্ত গোল ও অ্যাসিস্টে নিউক্যাসলকে ৩-২ ব্যবধানে হারিয়ে জয় তুলে নেয় পেপ গার্দিওলার দল। জয়ের পর এই স্প্যানিশ মাস্টারমাইন্ড প্রিয় শিষ্যকে ম্যানসিটির ‘কিংবদন্তি’ আখ্যায়িত করলেন।  এফএ কাপ দিয়ে ফুটবল মাঠে ফিরেছিলেন ব্রুইনা। হাডার্সফিল্ডের বিপক্ষে খেলার পর এদিনই প্রিমিয়ার লিগে প্রত্যাবর্তন ঘটে বেলজিয়ান মিডফিল্ডারের। দল ২-১ গোলে পিছিয়ে পড়া অবস্থায় মাঠে নামেন ম্যানসিটি তারকা। ৭৪ মিনিটে নিজে করলেন এক গোল পাশাপাশি অস্কার ববকে দিযে করালেন জয়সূচক গোল। প্রিয় শিষ্যর এমন প্রত্যাবর্তনে বেজায় খুশি গুরু গার্দিওলা।   নিউক্যাসেল ইউনাইটেডকে হারিয়ে অ্যাস্টন ভিলাকে টপকে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে ম্যানসিটি। ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার পর মাঠে নেমে ডি ব্রুইনাকে বুকে জড়িয়ে ধরেন গার্দিওলা। এ ছাড়া প্রিয় শিষ্যকে পিঠ চাপড়ে ও চুলে হাত বুলিয়েও যেন সন্তুষ্ট হতে পারছিলেন না সিটি কোচ। যেন ‘আকাশের চাঁদ’ হাতে পেয়েছিলেন এই স্প্যানিশ মাস্টারমাইন্ড।  ডি ব্রুইনার ফেরা নিয়ে ম্যানসিটি কোচ গার্দিওলা বলেন, ‘সে (ডি ব্রুইনা) একজন কিংবদন্তি। পাঁচ মাস পর ফেরায় আমি ভেবেছি, সে পুরো ৯০ মিনিট খেলার জন্য প্রস্তুত নয়। তাই তাকে বদলি নামানোর কৌশল গ্রহণ করতে হলো।’ এ ছাড়া বেলজিয়ান মিডফিল্ডারকে পেয়ে নতুন করে শিরোপার স্বপ্ন দেখার কথা জানিয়েছেন গার্দিওলা। নিউক্যাসলকে হারিয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট তালিকার দুই নম্বরে উঠে এসেছে ম্যানসিটি। ২০ ম্যাচে ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা অ্যাস্টন ভিলাকে টপকে গেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। সমান সংখ্যক ম্যাচে ৪৫ পয়েন্ট পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে জার্গেন ক্লপের লিভারপুল।  
১৪ জানুয়ারি, ২০২৪

এবার মারা গেলেন জার্মান কিংবদন্তি
সম্প্রতি মারা যান ব্রাজিলের 'বুড়ো নেকড়ে' নামে খ্যাত কিংবদন্তি ফুটবলার মারিও জাগালো। খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ জয় করা প্রথম ব্যাক্তির পর এবার মারা গেলেন একই কীর্তি করা ইতিহাসের আরেক সেরা ফুটবলার জার্মানির ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার। খেলোয়াড় এবং কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ জেতা তিনজন ফুটবলারের একজন এই বায়ার্ন মিউনিখ কিংবদন্তী আজ পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছেন। সোমবার (৮ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ারের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে তার পরিবার। মৃত্যুকালে জার্মান কিংবদন্তি ফুটবলারের বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।   বিশ্বের প্রথম ফুটবলার ও কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ জয়ের কৃতিত্ব গড়েছিলেন ব্রাজিলের জাগালো। এর পরের স্থানে রয়েছেন জার্মানির আইকনিক এই ফুটবলার। ১৯৭৪ সালে পশ্চিম জার্মানির অধিনায়ক হয়ে বিশ্বকাপ যেতেন বেকেনবাওয়ার। আর ১৯৯০ সালে কোচ হিসেবে জার্মানিকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন তিনি। পুরো ক্যারিয়ার জুড়ে দূর্দান্ত সফল ছিলেন বেকেনবাওয়ার। জাতীয় দলের পাশাপাশি ক্লাব ফুটবকেও অনন্য ছিলেন কাইজার নামে পরিচিত জার্মান কিংবদন্তি। ১৯৭০ এর দশকে জার্মান পরাশক্তিদের হইয়ে হ্যাটট্রিক ইউরোপিয়ান কাপ যেতেন বেকেনবাওয়ার। এতসব অর্জন বাভারিয়ান ও জার্মান তারকাকে সর্বকালের সেরা ডিফেন্ডারদের একজন হিসেবেও স্বীকৃতি দিয়েছে।  ফুটবল বিশ্বে মাত্র ৯ জন ফুটবলারের বিশ্বকাপ, ইউরো এবং ব্যালন ডি'অর জয়ের রেকর্ড রয়েছে। জার্মান কিংবদনন্তি বেকেনবাওয়ার তাদেরই একজন। তবে ২০০৬ বিশ্বকাপের আয়োজক হতে নির্ধারিত ফিফা সদস্যদের ভোট কিনতে তহবিল গঠন করেছিল জার্মান বিডিং কমিটি। আর সেই বিডিং কমিটির প্রধান ছিলেন বেকেনবাওয়ার। উল্লেখ যে ২০১৬ এবং ২০১৭ সালে দুইবার হৃৎপিন্ডে অস্ত্রপচার করা হয়েছিল মিউনিখ তারকা বেকেনবাওয়ারের  
০৮ জানুয়ারি, ২০২৪
X