সমঝোতায় কারামুক্ত অ্যাসাঞ্জ
অবশেষে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতা করেই কারামুক্ত হতে হলো উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে। আদালতে অ্যাসাঞ্জ নিজ অপরাধ স্বীকার করে নেবেন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে—তার এমন একটি চুক্তি হওয়ার পর গত সোমবার তাকে ছেড়ে দিয়েছে যুক্তরাজ্য। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর এভাবেই মুক্তি পেলেন মার্কিন গোপন দলিল ফাঁস করে সারা বিশ্বে হৈচৈ ফেলে দেওয়া ওয়েবসাইট উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। অ্যাসাঞ্জকে দোষীসাব্যস্ত করার বিষয়টি আজ বুধবার প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের উত্তর মারিয়ানা দ্বীপপুঞ্জের একটি আদালতে চূড়ান্ত হওয়ার কথা রয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার কাছাকাছি অবস্থিত বলেই বিচারিক কার্যক্রম চালানোর জন্য প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ওই দ্বীপটিকে বেছে নেওয়া হয়েছে। অ্যাসাঞ্জ এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের তত্ত্বাবধানে থাকা উত্তর মারিয়ানা দ্বীপপুঞ্জে পৌঁছেছেন। তার ৬২ মাসের কারাদণ্ড হতে পারে। তবে যুক্তরাজ্যে যে পাঁচ বছর তিনি কারাভোগ করেন, সেটিও এই সাজার অন্তর্ভুক্ত হবে। অর্থাৎ নতুন করে তাকে কারাভোগ করতে হবে না। এর অর্থ হলো অ্যাসাঞ্জ নিজ দেশ অস্ট্রেলিয়ায় ফিরতে পারবেন। খবর বিবিসি ও সিএনএনের। যুক্তরাজ্যের পুলিশ ৫২ বছর বয়সী অ্যাসাঞ্জকে ২০১৯ সালে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি মার্কিন প্রতিরক্ষাবিষয়ক গোপন তথ্য সংগ্রহ এবং প্রকাশের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত। কয়েক বছর ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যুক্তি দিয়ে আসছে যে, অ্যাসাঞ্জের প্রতিষ্ঠান উইকিলিকস ইরাক ও আফগানিস্তান যুদ্ধের বিষয়ে এমন কিছু তথ্য প্রকাশ করেছে, যা অনেক মানুষের জীবনকে বিপন্ন করে তুলেছে। প্রসঙ্গত ২০১০ সালে ইরাক ও আফগানিস্তানে যুদ্ধের বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোপন নথি ফাঁস করে বিশ্বজুড়ে ব্যাপক হৈচৈ ফেলে দেয় জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ প্রতিষ্ঠিত ওয়েবসাইট উইকিলিকস। এরপর অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করে যুক্তরাষ্ট্র। শুরু হয় গ্রেপ্তার তৎপরতা। গ্রেপ্তার এড়াতে এক পর্যায়ে অ্যাসাঞ্জ লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে আশ্রয়ে নেন এবং সেখানেই প্রায় সাত বছর কাটান। ২০১৯ সালে গ্রেপ্তার হওয়ার পর গত পাঁচ বছর যুক্তরাজ্যের কারাগারে ছিলেন অ্যাসাঞ্জ। সেখান থেকেই তিনি যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণের বিষয়ে আইনি লড়াই চালিয়ে আসছিলেন। সম্প্রতি অ্যাসাঞ্জ মার্কিন সরকারের সঙ্গে একটি সমঝোতা চুক্তি করেন। চুক্তি অনুযায়ী, তিনি এখন তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ স্বীকার করে নেবেন; কিন্তু তাকে নতুন করে আর কারাগারে যেতে হবে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিবিসির পার্টনার সিবিএসের খবরে বলা হয়েছে, নিজের অপরাধ স্বীকার করার জন্য অ্যাসাঞ্জকে কারাগারে পাঠানো হবে না। উল্টো, এতদিন তিনি যে কারাভোগ করেছেন, সেটির জন্য ক্ষতিপূরণ পাবেন। অ্যাসাঞ্জ এরই মধ্যেই যুক্তরাজ্যের কারাগার থেকে বের হয়েছেন বলে জানিয়েছে তার প্রতিষ্ঠান উইকিলিকস। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘এক্স’-এ নিজেদের অ্যাকাউন্টে প্রতিষ্ঠানটি লিখেছে যে, যুক্তরাজ্যের কারাগারের একটি ছোট্ট কক্ষে ১৯০১ দিন বন্দি থাকার পর সোমবার জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ ছাড়া পান। জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের স্ত্রী স্টেলা মরিস অ্যাসাঞ্জ এক্স পোস্টে অ্যাসাঞ্জের সমর্থকদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, সমর্থকরা বছরের পর বছর ধরে পাশে থেকেছেন বলেই অ্যাসাঞ্জের মুক্তির দাবি পূরণ হয়েছে। উইকিলিকস এক ভিডিও পোস্টে বলেছে, (সোমবার) বিকেলে তাকে স্ট্যানস্টেড বিমানবন্দরে ছেড়ে দেওয়া হয়, যেখান থেকে তিনি একটি বিমানে যুক্তরাজ্য ত্যাগ করেন। সেই ভিডিওতে জিনস ও নীল রঙের শার্ট পরা অ্যাসাঞ্জকে স্ট্যানস্টেড বিমানবন্দরে দেখা গেছে। এএফপির খবর বলছে, স্ট্যানস্টেড বিমানবন্দর থেকে অ্যাসাঞ্জকে বহনকারী বিমানটি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের তত্ত্বাবধানে থাকা উত্তর মারিয়ানা দ্বীপপুঞ্জের উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েছে। এরই মধ্যে সেই দ্বীপপুঞ্জে পৌঁছেছেন তিনি। এখানকার স্থানীয় আদালতে আজ নিজ অপরাধ স্বীকার করবেন অ্যাসাঞ্জ। রায়ে তার ৬২ মাসের কারাদণ্ড হতে পারে। তবে যুক্তরাজ্যে যে পাঁচ বছর তিনি কারাভোগ করেন, সেটি এই সাজার অন্তর্ভুক্ত হবে। অর্থাৎ তাকে নতুন করে আর কারাভোগ করতে হবে না। এর পরই তিনি নিজ দেশ অস্ট্রেলিয়ায় ফিরতে পারবেন। এদিকে, বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে অস্ট্রেলিয়া সরকারের এক মুখপাত্র বলেন, মামলাটি অনেক দীর্ঘ সময় ধরে চলছে। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকে মার্কিন সরকারের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছিল যে, তারা যেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে বিচার কার্যক্রম প্রত্যাহার করেন। এর পর গত এপ্রিলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানান, তিনি অস্ট্রেলিয়া সরকারের ওই অনুরোধ বিবেচনা করে দেখছেন।
২৬ জুন, ২০২৪

অবশেষে কারামুক্ত জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ, ফিরলেন নিজ দেশে
অবশেষে যুক্তরাজ্যের কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। সোমবার (২৪ জুন) তিনি কারামুক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিজ দেশ অস্ট্রেলিয়ার বিমানে উঠেন। এর মাধ্যমে দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে তিনি নিজ দেশে ফিরতে পারলেন। তবে এখানেই যুক্তরাষ্ট্র তার পিছু ছাড়ছে না। মঙ্গলবার (২৫ জুন) আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, এক্স-এ বার্তা দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে উইকিলিকস। তাতে বলা হয়, যুক্তরাজ্যের অত্যন্ত সুরক্ষিত বেলমার্শ কারাগার থেকে অ্যাসাঞ্জ মুক্ত হয়ে লন্ডনের স্ট্যানস্টেড বিমানবন্দরে ছুটে যান। সেখানে তার জন্য ফ্লাইট নির্ধারিত ছিল। বিবিসি একটি ভিডিওর বরাত দিয়েছে। তাতে দেখা যায়, জিনস ও নীল শার্ট পরা অ্যাসাঞ্জ বিমানবন্দরের পথে রয়েছেন। তবে স্বাধীনভাবে ভিডিওটি যাচাই করা সম্ভব হয়নি বলেও জানায় বিবিসি। অস্ট্রেলিয়ায় জন্মগ্রহণ করা ৫২ বছর বয়সী অ্যাসাঞ্জ যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় প্রতিরক্ষা-সংক্রান্ত তথ্য ফাঁস করে বীরের খেতাব পান। এতে চরম ক্ষিপ্ত যুক্তরাষ্ট্র তাকে শাস্তি দিতে মরিয়া হয়ে উঠে। তার বিরুদ্ধে ১৮টি মামলা করা হয়। এগুলোর তদন্ত করছে মার্কিন বিচার বিভাগ। অপরদিকে অ্যাসাঞ্জ ও তার শুভাকাঙ্ক্ষীরা আইনি লড়াই অব্যাহত রাখেন। তাকে নিজ দেশে ফেরাতে আন্তর্জাতিক কূটনীতিও চলেও। তবু বেলমার্শ কারাগারে ১ হাজার ৯০১ দিন আটক ছিলেন তিনি। এক পর্যায়ে তার দেশে ফেরা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।  এরই মধ্যে খবর আসে, মার্কিন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অ্যাসাঞ্জ সমঝোতা চুক্তিতে পৌঁছেছেন। ফৌজদারি অপরাধের দোষ স্বীকার করায় অ্যাসাঞ্জকে কারামুক্ত করা হয়েছে। তাকে নিজে দেশে যাওয়ারও অনুমতি দেওয়া হয়। সমঝোতা চুক্তির শর্ত মতে অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রের কারাগারে থাকতে হবে না। এমনকি যুক্তরাজ্যের কারাগারে থাকার সময়কালকে তার সাজা ভোগের সময় হিসেবেও বিবেচনা করা হবে। ২০১০ ও ২০১১ সালে ইরাক ও আফগানিস্তান যুদ্ধ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের লাখ লাখ গোপন সামরিক-কূটনৈতিক নথি ফাঁস করে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা অ্যাসাঞ্জ। ওই সময় পশ্চিমাবিরোধীরা তাকে বীরের খেতাব দেয়। তার পক্ষে দেশে দেশে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। কিন্তু তাতেও টলেনি যুক্তরাষ্ট্র। তারা স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, অ্যাসাঞ্জকে ক্ষমা করা হবে না। যেকোনো মূল্যে তাকে শাস্তি পেতে হবে। মুক্তির শর্ত অনুযায়ী অ্যাসাঞ্জকে বুধবার সকালে ইউএস নিয়ন্ত্রণাধীন প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল সাইপানের একটি আদালতে হাজির হতে হবে। সেখানে তাকে ইতিমধ্যে ঘোষিত ৬২ মাসের সাজা দেওয়া হবে। অ্যাসাঞ্জ ২০০৬ সালে উইকিলিকস প্রতিষ্ঠা করেন। অল্প সময়ে এটি খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠে। বিশ্বব্যাপী প্রভাবশালী লোকদের গোপন নথি ও ভিডিও বেনামে প্রকাশ করতো প্রতিষ্ঠানটি। তাই একটি অনলাইন হুইসেলব্লোয়ার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে খ্যাতি পায় উইকিলিকস। 
২৫ জুন, ২০২৪

কারামুক্ত হলেন সেই পাপিয়া
কুমিল্লায় কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে কারামুক্ত হলেন নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সেই নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া। সোমবার (২৪ জুন) সন্ধ্যায় কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে বের হন তিনি। শামীমা নূর পাপিয়ার জামিনে বের হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনি জানান, বিকেলে তার জামিনের কাগজপত্র এলে তা যাচাই–বাছাই করার করা হয়। পরে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে পাপিয়া জামিনে কারামুক্ত হন। তিনি আরও জানান, পাপিয়ার বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা রয়েছে। এর আগে অস্ত্র আইনের একটি মামলায় নিম্নআদালত তাকে ২০ বছরের সাজা দেন। পরে তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেন। বাকি পাঁচটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। গুলশান থানায় দায়েরকৃত মানি লন্ডারিংয়ের মামলায় আজ তিনি জামিন পান। এর আগে কাশিমপুর কারাগারে ছিলেন পাপিয়া। সেখানে এক নারী বন্দির ওপর নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের পরপরই ২০২৩ সালে ৩ জুলাই তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের রেকর্ড বইয়ে পাপিয়ার বিভিন্ন অপকর্মের তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়, পাপিয়া হাজতি রুনা লায়লা ছাড়াও কয়েকজন বন্দিকে গালাগাল ও ভয়ভীতি দেখাতে আঘাত করেছেন। এ ছাড়া তিনি কারাগারের রজনীগন্ধা ভবনে অন্য বন্দি দিতে চাইলে আপত্তি জানিয়েছিলেন। তিনি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই ইচ্ছেমতো অন্য বন্দিদের সেল পরিবর্তন করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তার কক্ষ তল্লাশি করে স্মার্টফোন ও চার্জার পাওয়া যায়। ঢাকার পাঁচ তারকা হোটেলে বিলাসবহুল কক্ষ ভাড়া নিয়ে অনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাতেন পাপিয়া। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের বিষয়ে আঁচ পেয়ে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সময় ২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বিমানবন্দর থেকে পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।  পরে ২৩ ফেব্রুয়ারি পাপিয়ার ইন্দিরা রোডের বাসায় অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগজিন, ২০ রাউন্ড গুলি, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, পাঁচটি পাসপোর্ট, তিনটি চেক, বেশ কিছু বিদেশি মুদ্রা ও বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি এটিএম কার্ড উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় পাপিয়া ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে শেরেবাংলা নগর থানার মাদক ও অস্ত্র মামলা, গুলশান থানায় মানি লন্ডারিংয়ের মামলা, বিমানবন্দর থানার বিশেষ ক্ষমতা আইনে (জাল টাকার) মামলা এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। ২০২১ সালের ২৭ ডিসেম্বর মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় পাপিয়াসহ পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন সিআইডি পুলিশের আরেক পরিদর্শক ইব্রাহীম হোসেন। এসব ঘটনায় পাপিয়াকে নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। ওই বছরই অস্ত্র মামলায় পাপিয়া ও তার স্বামীর ২০ বছরের কারাদণ্ড হয়। এখনো তাদের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলার বিচার চলছে।
২৪ জুন, ২০২৪

জামিনে কারামুক্ত যুবদলের সাবেক সভাপতি নিরব
বিভিন্ন মামলায় ১৫ মাসের বেশি সময় কারাগারে থাকার পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নিরব। শুক্রবার (২১ জুন) বিকেল ৩টার দিকে কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান। মুক্তি পাওয়ার পর কারাফটকে নিরবকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী। জানা যায়, গত বছরের ৪ মার্চ সাইফুল আলম নিরবকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তার বিরুদ্ধে ৪৫৪টি মামলা আছে। এর মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দায়েরকৃত ৭ মামলায় তার ১৭ বছরের সাজা হয়। এসব মামলায় জামিন পাওয়ার পর গত ২০ মার্চ জেলগেট থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ২০২২ সালের পল্টন থানার একটি মামলায় নিরবকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এই মামলায়ও জামিন পেলে গত ২১ এপ্রিল ফের জেলগেটে থেকে আটক হন নিরব। তাকে ২০২১ সালের একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এই মামলায় গত ৫ জুন জামিন পান তিনি। কিন্তু গত সোমবার ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হলে তৃতীয় দফায় তাকে আটক করে ২০২২ সালের মতিঝিল থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এ মামলায় জামিন পেয়ে শুক্রবার মুক্তি পান তিনি।
২১ জুন, ২০২৪

কারামুক্ত হলেন যুবদল সভাপতি টুকু
যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু জামিনে কারামুক্ত হয়েছেন। বুধবার (৫ জুন) সন্ধ্যায় ঢাকার কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি জামিনে মুক্ত হন। কারাগার থেকে সরাসরি বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে আসেন সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। সেখানে বিএনপি এবং অঙ্গ সহযোগী নেতাকর্মীরা টুকুকে ফুল দিয়ে বরণ করেন। এসময় নেতাকর্মীরা টুকুকে অভিনন্দন জানিয়ে সরকার বিরোধী স্লোগান দেন। এর আগে, এপ্রিল মাসের ২৯ তারিখে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে টুকুকে কারাগারে পাঠানো হয়। তিন মামলায় টুকুর বিরুদ্ধে সাড়ে সাত বছর সাজা দেয় আদালত। এছাড়াও দুই শতাধিক মামলা রয়েছে যুবদলের এই সভাপতির বিরুদ্ধে।
০৫ জুন, ২০২৪

ঢাকা জেলা বিএনপি সভাপতি আশফাক কারামুক্ত
কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান। কারাফটকে তাকে ফুলের মালা দিয়ে স্বাগত জানান বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, ঢাকা জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি শাহ মাইনুল হোসেন বিল্টু, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম, যুবদল নেতা ইয়াসিন ফেরদৌস মুরাদ, ওমর ফারুক কাওসারসহ নেতাকর্মীরা। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আবু আশফাক বলেন, ছোট কারাগার থেকে বড় কারাগারে আসলাম। পুরো দেশটা আজ বন্দিশালা। জাতিকে বন্দিদশা থেকে মুক্ত করতে হলে প্রয়োজন ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন। আর গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে সব ভয়কে জয় করে বিজয় ছিনিয়ে আনতে হবে। ২০ মে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আবু আশফাকের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান বিচারক। ২৭ মে তিনি সব মামলায় জামিন পান।
৩১ মে, ২০২৪

ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি আশফাক কারামুক্ত
জামিনে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বিকেল ৪টার দিকে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান। এ সময় কারাফটকে বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সরকারি শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, ঢাকা জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি শাহ মাইনুল হোসেন বিল্টু, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম, যুবদল নেতা ইয়াসিন ফেরদৌস মুরাদ, ওমর ফারুক কায়সারসহ ঢাকা জেলা বিএনপির বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীরা তাকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেন। এ সময় তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় খন্দকার আবু আশফাক বলেন, ছোট কারাগার থেকে বড় কারাগারে আসলাম। পুরো দেশটাই আজ বন্দিশালায় পরিণত হয়েছে। জাতিকে বন্দিদশা থেকে মুক্ত করতে হলে প্রয়োজন ঐক্যবদ্ধ কঠিন আন্দোলন। আর গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে সকল ভয়কে জয় করে বিজয় ছিনিয়ে আনতে হবে। প্রসঙ্গত, গত ২০ মে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন খন্দকার আবু আশফাক। এদিন তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। গত ২৭ মে তিনি সব মামলায় জামিন লাভ করেন বলে আইনজীবী জানিয়েছেন।
৩০ মে, ২০২৪

বিএনপি নেতা সোহেল কারামুক্ত
প্রায় দেড় মাস পর বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাবেক সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল জামিনে কারামুক্ত হয়েছেন। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় তিনি কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তিলাভ করেন। এ সময় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছিরসহ নেতাকর্মীরা ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেন। পরে তিনি নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যান। প্রসঙ্গত, গত ৩১ মার্চ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (সিএমএম) বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তার আইনজীবী জানান, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে পৃথক দুটি মামলায় এ বিএনপি নেতার সাজা হয়। গত বছর ২০ নভেম্বর নিউমার্কেট থানায় করা মামলায় সোহেলসহ ১৪ জনের ৬ মাসের কারাদণ্ড হয়। একই দিন পল্টন থানার আরেক মামলায় সোহেলকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।
১৪ মে, ২০২৪

বিএনপি নেতা সোহেল কারামুক্ত
প্রায় দেড় মাস পর বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাবেক সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল জামিনে কারামুক্ত হয়েছেন। সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে তিনি কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তিলাভ করেন। এ সময় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছিরসহ বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী তাকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেন। পরে তিনি নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসেন। প্রসঙ্গত, গত ৩১ মার্চ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (সিএমএম) বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তার আইনজীবী জানিয়েছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে পৃথক দুটি মামলায় হাবিব উন নবী খান সোহেলের সাজা হয়। আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। ৩১ মার্চ তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত তার জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠায়। গত বছরের ২০ নভেম্বর নিউমার্কেট থানায় করা মামলায় হাবিব উন নবী খান সোহেলসহ ১৪ জনের ৬ মাসের কারাদণ্ড এবং পল্টন থানার আরেকটি মামলায় সোহেলকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।
১৩ মে, ২০২৪

বিএনপি নেতা খোকন জামিনে কারামুক্ত
সাড়ে ছয় মাস কারাবাসের পর উচ্চ আদালতের জামিনে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও নরসিংদী জেলার সভাপতি খায়রুল কবির খোকন। গতকাল বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ তথ্য জানিয়েছেন। কারামুক্তির পর কারাফটকে খোকনকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেন নরসিংদী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর এলাহী, সদস্য রফিকুল আমিন ভূঁইয়া রুহেলসহ বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী। নরসিংদী থানার একটি মামলায় গত বছরের ২৫ অক্টোবর খোকনকে ঢাকায় তার ভাইয়ের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
০৯ মে, ২০২৪
X