এমপিকে হত্যা করে তারই জামা পরে বেরিয়েছিল কসাই জিহাদ
কলকাতার নিউটাউনে একটি ফ্ল্যাটে খুন হন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার। হত্যার পর তার দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলা হয়। এরপর লাশের টুকরোগুলো ব্যাগেজে করে নিয়ে নিউটাউনের ভাঙড় এলাকার নানা জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়।  নৃশংস এই হত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে পুলিশ। পুলিশের বরাতে আজ মঙ্গলবার (২৮ মে) হিন্দুস্তান টাইমনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমপি আনারের দেহ টুকরো টুকরো করার পর তারই টি-শার্ট পরে বেরিয়ে যায় কসাই জিহাদ।  সিআইডি ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খুন করার পরে রাজারহাটের ফ্ল্যাটে ওই সাংসদের দেহ থেকে চামড়া ছাড়িয়ে ফেলা হয়েছিল। এমপির কাছে থাকা ৪.৩ লাখ টাকা তারা নিয়ে নেয়। এমনকি তার (এমপির) টি-শার্ট পরেই সেই কসাই বেরিয়ে যায়।  মহম্মদ সিয়াম হোসেন নামে এক অভিযুক্ত সেই টাকা নিয়ে গেছে বলে মনে করা হচ্ছে। সে নেপালে গা ঢাকা দিয়ে থাকতে পারে। আর মূল অভিযুক্ত আখতারুজ্জামান শাহিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছে বলে জানানো হয়েছে প্রতিবেদনে।  হিন্দুস্তান টাইমনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুম্বাই থেকে কসাই জিহাদ হাওলাদারকে নিয়ে আসা হয়েছিল। তার বয়স ২৪ বছর। জিহাদ পুলিশকে জানিয়েছে, ১৩ মে সারারাত ধরে এমপির দেহ কাটতে হয়েছিল। কাজ করার সময় তাদের মদ খেতে হয়েছিল। পরের দিন জিহাদ এমপির জামা পরেই বেরিয়ে যায়। কারণ তার জামায় রক্তের দাগ লেগে ছিল।  প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, বিকেল ৩টা নাগাদ ওই সাংসদ ফ্ল্যাটে ঢোকে। তখন তার সঙ্গে ছিল ফয়জল ও শিমূল ভুঁইয়া। মডেল শিলাস্তি রহমান সে সময় ছিল ওপরতলায়।   এমপি হত্যার ঘটনায় শিলাস্তির ভূমিকা নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। সূত্র বলছে, খুনের সময় কলকাতায় ছিলেন শিলাস্তি। তবে তিনি সম্ভবত খুনের সময় ওই ঘরে ছিলেন না। শিলাস্তি নিজেও দাবি করেছেন, তিনি এই খুনের ব্যাপারে কিছুই জানতেন না। খবরে বলা হয়েছে, এই খুনের মূল হোতা আখতারুজ্জামান শাহিন। তার সঙ্গে ওই সাংসদ আনোয়ারুল আজীম আনারের ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল। 
২৮ মে, ২০২৪

আনারকে টুকরো টুকরো করা কসাই জিহাদ আদালতে
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজিম আনারের হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া কসাই জিহাদকে আদালতে তোলা হয়েছে।  শুক্রবার (২৪ মে) কলকাতার বারাসাত আদালতে তাকে তোলা হয়। গোয়েন্দাসূত্রে বলা হয়, এমপি আনার হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক আখতারুজ্জামানের কলকাতায় যাওয়ার দুই মাস আগেই জিহাদকে ডেকে আনা হয়। জিহাদ জানিয়েছে, আখতারুজ্জামানের নির্দেশে তিনিসহ চারজন এমপি আনারকে ফ্ল্যাটে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। হত্যার পর এমপি আনারের শরীর থেকে মাংস এবং হাড় আলাদা করে জিহাদ। পরে মূলত পরিচয় নষ্ট করার জন্য এমপির মাংস কিমা করে তা প্লাস্টিকের ব্যাগে রাখা হয়। আর হাড়গুলোকে ছোট ছোট টুকরো করে নেওয়া হয়। পরে ওই ব্যাগগুলো ফ্ল্যাট থেকে বের করে নানা ধরনের যানবাহন ব্যবহার করে কলকাতার বিভিন্ন অঞ্চলে ফেলে দেওয়া হয়।  পুলিশ জানিয়েছে, জিহাদ হাওলাদার (২৪) একজন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। তার বাড়ি খুলনা জেলার দিঘলিয়া থানায়। তার বাবার নাম জয়নাল হাওলাদার। তবে জিহাদ বসবাস করত ভারতের মুম্বাই শহরে। সেখানে সে একটি মাংসের দোকানে কসাইয়ের কাজ করত।
২৪ মে, ২০২৪

আনারের হাড়-মাংস আলাদা করা কসাই গ্রেপ্তার
এমপির আনার হত্যাকাণ্ডের রহস্য বেরিয়ে আসছে এখনো। আনারের মরদেহ এখনো উদ্ধার হয়নি। কিন্তু এর মধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে কয়েকজনকে। সবশেষ একজন কসাইকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডি। সিআইডি বলছে, এমপি আনারকে হত্যার পর তার দেহ টুকরা টুকরা করে কেটেছে গ্রেপ্তার কসাই জিহাদ হাওলাদার। সে নিজেই বিষয়টি স্বীকার করেছে। হত্যাকাণ্ডের তথ্যের খোঁজে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জিহাদকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার কথা ভাবছে তদন্তকারীরা। এ জন্য জিহাদকে আজ শুক্রবার আদালতে তোলা হবে।  ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজিম আনারকে খুনের জন্য কসাই পেশায় থাকা জিহাদকে ভাড়া করেছিল খুনিরা। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশ জানিয়েছে, জিহাদ হাওলাদার বাংলাদেশের নাগরিক। সে অবৈধভাবে মুম্বাইয়ে বসবাস করত। পেশায় কসাই। ঘটনার দুই মাস আগে কলকাতায় নিয়ে আসে হত্যার পরিকল্পনাকারী শাহীন। তারপরই এমপি আনারকে খুনের পরিকল্পনা করা হয়। চারজন মিলে আনারকে খুন করা হয়। সেখানেই তার দেহাংশ থেকে হাড় এবং মাংস আলাদা করা হয়। টুকরা টুকরা করে কেটে প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরা হয় দেহাংশ। প্লাস্টিক ব্যাগ নিয়ে ফ্ল্যাট থেকে বেড় হয় খুনিরা। বিভিন্ন গাড়িতে চড়ে কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়ায় তারা। কলকাতার একাধিক এলাকায় ফেলা হয় দেহাংশ।  গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ভারতে যান তিনি। ১৩ মে তিনি হোয়াটসঅ্যাপে জানান, দিল্লি যাচ্ছেন। এরপর তার সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যায়নি। এরপর কলকাতার পুলিশ জানায়, আজিম খুন হয়েছেন।  আনোয়ারুল আজিম ঝিনাইদহ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য। তিনি ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে টানা তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
২৪ মে, ২০২৪
X