প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি যুব মহিলা লীগের
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ২ লাখ ২২ হাজার গাছের চারা রোপণ করবে যুব মহিলা লীগের নেতাকর্মীরা। এ ছাড়া বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোতে আড়ম্বরভাবে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন না করে অসহায়দের পাশে দাঁড়াবে। আজ শনিবার যুব মহিলা লীগের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ২০০২ সালের এই দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের একঝাঁক সাবেক নারী নেত্রীকে নিয়ে যুব মহিলা লীগ গঠন করেন। যার মূল লক্ষ্য ছিল নারীদের একত্রিত করে রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির পথে এগিয়ে যাওয়া। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি কালবেলাকে বলেন, শেখ হাসিনার নির্দেশ অনুযায়ী প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ২ লাখ ২২ হাজার বৃক্ষরোপণ করব। যেসব এলাকায় বন্যা হচ্ছে সেখানে অনাড়ম্বরভাবে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছি। এ ছাড়াও অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিন সকাল ৭টায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন, ১০টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন, সাড়ে ১০টায় ধানমন্ডি বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে কেক কাটা এবং সকাল ১১টায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর থেকে যুব মহিলা লীগের শোভাযাত্রা বের করা হবে।
১৪ ঘণ্টা আগে

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কর্মসূচি চালিয়ে যাবে বিএনপি
দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে নতুনভাবে শুরু হওয়া কর্মসূচি অব্যাহত রাখবে বিএনপি। ধারাবাহিক কর্মসূচির মাধ্যমে আন্দোলনকে নতুন রূপ দিতে চান দলটির নীতিনির্ধারকরা। প্রথম ধাপে ঘোষিত তিন দিনের কর্মসূচি গত বুধবার শেষ হয়েছে। কর্মসূচিতে দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ ও কৌতূহল ছিল লক্ষণীয়। এটাকে সামনে টেনে নিতে চান নেতারা। পরবর্তী কর্মসূচি হিসেবে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করা হতে পারে। সেইসঙ্গে কূটনৈতিক তৎপরতাও জোরদার করতে চাইছে বিএনপির হাইকমান্ড। এর আগেও এ ধরনের অনেক কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি। আগামী সোমবার বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠক হবে। সেখানে আলোচনার মাধ্যমে নতুন কর্মসূচির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গেছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল বৃহস্পতিবার কালবেলাকে বলেন, গণতন্ত্রের মাতা খালেদা জিয়ার মুক্তির লক্ষ্যে যে কর্মসূচি শুরু হয়েছে, তা চলবে। জনগণের আকাঙ্ক্ষা এবং পরিস্থিতি বিবেচনায় দলের স্থায়ী কমিটির আগামী মিটিংয়ে নতুন কর্মসূচি ঠিক করা হবে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে গুরুতর অসুস্থ। সর্বশেষ ১০ দিন ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে গত মঙ্গলবার বিকেলে তিনি বাসায় ফেরেন। এ দফায় খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানো হয়। এ অবস্থায় তার মুক্তির দাবিতে বিএনপি নতুন কর্মসূচি দেয়। গত ২৯ জুন রাজধানী ঢাকায়, ১ জুলাই মহানগর এবং গত বুধবার জেলা পর্যায়ে পৃথকভাবে সমাবেশ করে দলটি। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ২০০৭ সালে সেনাসমর্থিত সরকার আওয়ামী লীগ সভানেত্রীকে বিদেশে পাঠিয়েছিল। খালেদা জিয়াকেও দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু সেদিন খালেদা জিয়া দৃঢ়কণ্ঠে বলেছিলেন, বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ আমার সন্তান। আমি এই মাটি ছেড়ে কোথাও যাব না। এমনকি সেসময় শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরে আসার সুযোগ দেওয়ার কথাও বলেন তিনি। অথচ খালেদা জিয়ার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ তো দূরের কথা, শেখ হাসিনা তাকে জেলে রেখেছেন। আসলে নির্মম, নিষ্ঠুর ও রসিকতা হচ্ছে আওয়ামী লীগের রাজনীতির মূল পুঁজি। এদিকে খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে আন্দোলনের পাশাপাশি কূটনৈতিক এবং আইনি লড়াইকেও গুরুত্ব দিচ্ছে বিএনপির হাইকমান্ড। এক্ষেত্রে তারা সম্প্রতি উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের মুক্তির বিষয়টিও বিবেচনায় নিচ্ছেন। নেতারা মনে করেন, অ্যাসাঞ্জকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়াকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থোনি আলবানিজ। অস্ট্রেলিয়ার আইনপ্রণেতাদের একটি দল গত সেপ্টেম্বরে ওয়াশিংটন সফরে যায়। পরের মাসেই রাষ্ট্রীয় সফরে যুক্তরাষ্ট্রে যান আলবানিজ। তিনি হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে বাইডেনের কাছে অ্যাসাঞ্জের মুক্তির প্রসঙ্গ তোলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী। বিএনপির সাবেক সহআন্তর্জাতিক সম্পাদক বর্তমানে ঢাকা বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ কালবেলাকে বলেন, খালেদা জিয়া মানেই বাংলাদেশ ও গণতন্ত্র। তাকে ছাড়া বাংলাদেশ কল্পনা করা কঠিন। খালেদা জিয়া কোনো অপরাধী নন। একজন বয়স্ক নেত্রীকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে। সুতরাং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে জোরালোভাবে তাকে নিয়ে কাজ করার সুযোগ আছে। বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান ভূঁইয়া মিল্টন বলেন, খালেদা জিয়া আমাদের আবেগের জায়গা। সরকার এ পর্যন্ত তাকে নিয়ে যা করেছে, তা মাত্রারিক্ত। বিএনপি নেতাকর্মীরা যথেষ্ট ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন। তার মুক্তির জন্য ধারাবাহিক কর্মসূচির বিকল্প নেই। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়া কারাবন্দি হন। করোনা মহামারি শুরুর পর পরিবারের আবেদন এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তাকে নির্বাহী আদেশে শর্ত সাপেক্ষে ছয় মাসের সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। এরপর থেকে তার পরিবারের আবেদনে দণ্ডাদেশ স্থগিতের মেয়াদ ছয় মাস করে বাড়ানো হচ্ছে।
০৫ জুলাই, ২০২৪

পবিপ্রবিতে চতুর্থ দিনের মতো সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবিতে চতুর্থ দিনের মতো সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বেলা ১১টায় টানা ৪র্থ দিনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশনসংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি কৃষি অনুষদের সামনে অবস্থা কর্মসূচি পালন করছে।  অপরদিকে একই সময়ে কর্মচারী পরিষদ প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থা কর্মসূচি পালন করছে। অবস্থান কর্মসূচি পালন না করলেও কর্মবিরতি পালন করছেন পবিপ্রবি কর্মকর্তা পরিষদ।  এ সময় শিক্ষকরা তাদের বিভিন্ন দাবির কথা তুলে ধরেন। শিক্ষক, কর্মকর্তা কর্মচারীদের এ সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে চরম ভোগান্তিতে পড়ছে শিক্ষার্থীরা। স্থবির হয়ে পড়েছে পবিপ্রবির শিক্ষা কার্যক্রম। শিক্ষার্থীরা দ্রুত এ সমস্যার সমাধানের দাবি জানান। শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মুন্না বলেন, ‘শিক্ষকদের এ সর্বাত্মক কর্মবিরতি হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকতা পেশাকে রক্ষা করার, ভবিষ্যতে যেন ভালো শিক্ষার্থীরা শিক্ষক পেশায় আসতে পারে, বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশকে রক্ষা করার আন্দোলন। সবার জানা উচিত, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অবহেলা করে কোনো জাতি কোনোদিন টেকসই উন্নয়ন সাধন করতে পারে না।’
০৪ জুলাই, ২০২৪

কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে শাহবাগ ছাড়লেন বিক্ষোভকারীরা
সরকারি চাকরিতে বেতন কাঠামোর ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেডে (আগের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির) মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ কোটাপদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত বহালে উচ্চ আদালতের রায়ের প্রতিবাদে এবং ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা রাস্তা ছেড়েছেন। স্বাভাবিক হয়েছে যান চলাচলও। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বেলা ১১টা থেকে পুনরায় রাজপথে অবস্থান কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দিয়ে বুধবারের (৩ জুলাই) কর্মসূচি সমাপ্ত করেন আন্দোলনকারীরা। এর আগে সরেজমিনে দেখা যায়, বুধবার দুপুর ২টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি হল থেকেই শত শত শিক্ষার্থী কোটার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের দিকে এসে জড়ো হতে থাকে। এরপর বেলা ৩টার দিকে মিছিল নিয়ে কলাভবন, ভিসি চত্বর, টিএসসি, দোয়েল চত্বর, হাইকোর্ট ও মৎস্যভবন এলাকা হয়ে শাহবাগ মোড়ে এসে অবস্থান শুরু করলে পুরো এলাকা যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে ব্যাপক দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ। এসময় তাদের ‘কোটা প্রথা বাতিল চাই বাতিল চাই’; ‘আঠারোর পরিপত্র পুনর্বহাল করতে হবে’; ‘রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়’; ‘৫২-এর হাতিয়ার গর্জে উঠো আরেকবার’; ‘ছাত্র সমাজের একশন ডাইরেক্ট একশন’; ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’; ‘মেধা যার, চাকরি তার’; ‘সারা বাংলায় খবর দে কোটাপ্রথা কবর দে’; ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’; ‘জেগেছে রে জেগেছে ছাত্রসমাজ জেগেছে’; ‘সংবিধানের মূলকথা সুযোগের সমতা’; ‘লেগেছে রে লেগেছে রক্তে আগুন লেগেছে’; ‘৭১-এর হাতিয়ার গর্জে উঠো আরেকবার’; ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’; ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’ ইত্যাদি সংবলিত স্লোগান দিতে দেখা যায়। এর আগে মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিকেলে একই দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনের ব্যানারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে পদযাত্রা নিয়ে নীলক্ষেত, নিউমার্কেট ও এলিফ্যান্ট রোড হয়ে শাহবাগে এসে তারা অবস্থান নেন। তখন আন্দোলনরকারীরা আজ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেন। আন্দোলনকারীরা জানান, ২০১৮ সালে সারা বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে অন্যায্য ও অযৌক্তিক ৫৬ শতাংশ কোটার বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আন্দোলন গড়ে তুলেছিল। গণআন্দোলনের প্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের ৪ঠা অক্টোবর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সরকারি চাকরি (নবম-ত্রয়োদশ গ্রেড) থেকে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের ঘোষণা দিয়ে পরিপত্র জারি করে। কোটাবৈষম্য নিরসন ছিল শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীদের প্রাণের দাবি। গত ছয় বছর ধরে সেই অনুযায়ী সরকারি চাকরিতে নিয়োগ হচ্ছে এবং একটি মেধাভিত্তিক দক্ষ প্রশাসন তৈরিতে শিক্ষার্থীরা নিজেদের প্রস্তুত করছে। তারা বলেন, অত্যন্ত দুঃখের বিষয় গত ৫ জুন মহামান্য হাইকোর্ট সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহাল করতে রায় দিয়েছে এবং ২০১৮ সালে জারিকৃত সরকারের পরিপত্রকে অবৈধ ঘোষণা করেছে। আমরা মনে করি, হাইকোর্টের রায়ে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি। পুনরায় কোটা ফিরে আসা মানে দেশের লাখ লাখ তরুণ-তরুণীদের দাবি ও আন্দোলনের সঙ্গে প্রহসন। মুক্তিযুদ্ধের যে মূলমন্ত্র- সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার তা নিশ্চিত করতে এবং একটি দক্ষ প্রশাসন গড়তে মেধাভিত্তিক নিয়োগের বিকল্প নেই। তারা আরও বলেন, এ কোটাবৈষম্য নিরসন এবং দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে চার দফা দাবি জানাচ্ছি। সেগুলো হলো- ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে; ১৮ এর পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (সব গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। সেক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে; সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্যপদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে; দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। উল্লেখ্য, অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার আগে শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ আবাসিক হলগুলোতেও একত্রিত হয়ে কোটাবিরোধী স্লোগান দিতে দেখা যায়।
০৩ জুলাই, ২০২৪

কোটার বিরুদ্ধে গণপদযাত্রা, নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
সরকারি চাকরিতে বেতন কাঠামোর ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেডে (আগের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির) মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত বহালে উচ্চ আদালতের রায়ের প্রতিবাদে এবং ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে লাগাতার কর্মসূচির অংশ হিসেবে গণপদযাত্রা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রত্যাশীরা।  মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিকেল ৪টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে পদযাত্রা নিয়ে নীলক্ষেত, নিউমার্কেট ও এলিফ্যান্ট রোড হয়ে শাহবাগে এসে তারা অবস্থান নেন। এ অবস্থানের কারণে শাহবাগ মোড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে ফার্মগেট-শাহবাগ, শাহবাগ-পল্টন-মগবাজার রোড, শাহবাগ -সায়েন্সল্যাব রোড এবং শাহবাগ এলাকায় তীব্র যানজট দেখা দেয়। অবশেষে বিকেল ৪টার দিকে সড়ক ছেড়ে দেন তারা। এ সময় একই দাবিতে আগামীকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেন আন্দোলনরকারীরা। তারা জানান, আগামীকাল দুপুর আড়াইটায় দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এ অবস্থান কর্মসূচি শুরু হবে। এ সময় তাদেরকে ‘কোটা প্রথা, বাতিল চাই বাতিল চাই’; ‘কোটা প্রথার বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট একশন’; ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’;, ‘সংবিধানের মূলকথা, সুযোগের সমতা’; ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’; ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’; ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’; ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’; ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’; ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’ ইত্যাদি সংবলিত স্লোগান দিতে থাকেন।  আন্দোলনকারীদের দাবি- ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে, ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (সব গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে (সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে), সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্যপদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে এবং দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে ইত্যাদি। কর্মসূচিতে অবস্থান নিয়ে ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন বলেন, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ এই কোটা পদ্ধতি সাধারণ মেধাবী শিক্ষার্থীদের প্রতি একটি অবিচার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বাতিল হওয়ার পর গত ৫ জুন সেই কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। এর মাধ্যমে মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। আমরা চাই, অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত বাতিল করা হোক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন বলেন, কোটার মাধ্যমে বৈষম্য এবারই প্রথম নয়। ১৯৮৭ সালে বলা হয়েছিলো কোটা ধীরে ধীরে উঠে যাবে। কিন্তু ১৯৯৭ সালেও আমরা দেখেছি কোটায় মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের জায়গায় নাতি-নাতনিকেও যুক্ত করা হয়েছে। কোটার মাধ্যমে বিভিন্ন সময় জঘন্য বৈষম্য আমরা দেখেছি। এ ধরনের ভয়ানক বৈষম্যের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের পরিপত্রটি পুনর্বহাল করতে হবে। এটিই আমাদের এক দফা দাবি। হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মুরাদ মন্ডল বলেন, দুঃখের বিষয় আজ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের বিরুদ্ধে আমাদের দাঁড়াতে হচ্ছে। যারা বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করে এদেশ স্বাধীন করেছে, সেই স্বাধীন দেশে তাদের সন্তানদের কাছে আরমা বৈষম্যের শিকার। এই বৈষম্য আমরা কোনোভাবেই মেনে নেবো না। ২০১৮ সালের পরিপত্রটি পুনর্বহাল করেই এই আন্দোলন থামবে। উল্লেখ্য, ঈদের আগে সর্বশেষ গত ৯ জুন হাইকোর্টের নতুন রায়ের প্রতিবাদে ও ২০১৮ সালের পরিপত্র বহালের দাবিতে ঢাবি ক্যাম্পাসে তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়া তারা এই রায়কে চেম্বার আদালতে স্থগিতের আবেদন এবং রাষ্ট্রপক্ষকে আপিল করতে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়ে হাইকোর্টের অ্যাটর্নি জেনারেল বরাবর একটি স্মারকলিপিও প্রদান করেন। এরপর গত ১ জুলাই আবার রাজপথে নামেন শিক্ষার্থীরা।
০২ জুলাই, ২০২৪

উত্তাল ক্যাম্পাস, আরও তিন দিনের কর্মসূচি
প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ ৫৬ শতাংশ কোটা পুনর্বহালের আদেশ বাতিল এবং ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে আরও তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে আজ (মঙ্গলবার) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে গণপদযাত্রা এবং ৩ ও ৪ জুলাই ঢাবি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি), সাত কলেজ এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ঢাকার অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যে একত্র হয়ে আন্দোলন করবেন। গতকাল সোমবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এ ঘোষণা দেন। এর আগে ঢাবির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সমবেত হয়ে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কলা ভবন, মল চত্বর, ভিসি চত্বর, টিএসসি হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। সমাবেশে তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটায় ঢাবির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে গণপদযাত্রা শুরু হবে। দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীদের একই সময়ে একই কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানানো হয়। এ ছাড়া ৩ ও ৪ তারিখ শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যে একত্র হবেন। সমাবেশে বক্তব্য প্রদানকালে অমর একুশে হলের শিক্ষার্থী সারজিস আলম বলেন, বর্তমানে শুধু প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে কোটার পাশাপাশি তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির চাকরিতেও গলাকাটা পোষ্য কোটা দেওয়া হয়েছে। এই পোষ্য কোটার ফলে কর্মচারী শ্রেণিকে সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী যখন সংসদে দাঁড়িয়ে কোটা বাতিল করেছিলেন, সেখানে হাইকোর্ট থেকে কীভাবে সেই পরিপত্র আবার বাতিল করা হয়, তা আমরা বুঝতে পারছি না। আজ সারা দেশের ছাত্রসমাজ একযোগে আন্দোলন শুরু করেছে। এই কোটা পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত বাতিল করে ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল রাখার আগ পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। হিমু নামে জবির এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের বিরোধী নই। আমাদের আন্দোলন শুধুমাত্র বৈষম্যমূলক কোটার বিরুদ্ধে,Ñমুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে নয়। বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল না করা হলে ছাত্রসমাজ আরও কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবে। এদিকে সরকারি চাকরিতে কোটাপদ্ধতি বাতিল, মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখাসহ চার দফা দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সমাবেশ ও মিছিল করেছেন। গতকাল সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশে এ সমাবেশ হয়। সমাবেশ শেষে একটি মিছিল বের করেন তারা। মিছিলটি কয়েকটি সড়ক ঘুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকসংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে গিয়ে শেষ হয়। এরপর সকাল ১১টা ৫৭ মিনিট থেকে দুপুর ১২টা ৭ মিনিট পর্যন্ত ১০ মিনিট প্রতীকী অবরোধ করেন তারা। এ সময় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ডেইরি ফার্ম থেকে সিঅ্যান্ডবি পর্যন্ত যানজটের সৃষ্টি হয়। শহীদ মিনারের পাদদেশে ছাত্রসমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আরিফ সোহেলের সঞ্চালনায় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা বক্তব্য দেন। সমাবেশে ৪ জুলাই কোটা পদ্ধতি বাতিল ঘোষণা না করা হলে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী তৌহিদ সিয়াম। তিনি বলেন, বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করা হবে। কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদ ও ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালসহ চার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন জবির শিক্ষার্থীরা। গতকাল ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়’-এর ব্যানারে এ সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদ চত্বর থেকে মিছিল শুরু হয়ে বিজ্ঞান অনুষদ ঘুরে মূল ফটকে গিয়ে তা সমাবেশে পরিণত হয়। সমাবেশটি এরপর রায়সাহেব বাজার ও ভিক্টোরিয়া পার্ক ঘুরে ফের বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে গিয়ে শেষ হয়। একই দাবিতে মানববন্ধন করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধন কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা কোটা পুনর্বহাল বাতিল, সব কোটার পরিমাণ ১০ শতাংশের নিচে কমিয়ে আনা এবং একজন কোটা সুবিধা ভোগকারী জীবনে যে কোনো পর্যায়ে একবার মাত্র কোটা সুবিধা নেওয়ার দাবিসহ বিভিন্ন দাবি উল্লেখ করেন। বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও। কোটা বাতিলের পরিপত্র পুনর্বহালের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো—পরবর্তী সময়ে সরকার কোটা ব্যবস্থা নিয়ে কোনো পদক্ষেপ নিতে চাইলে ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দেওয়া, সংবিধান অনুযায়ী অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা, চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহারের সুযোগ বন্ধ করা, কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোয় মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া এবং দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া।
০২ জুলাই, ২০২৪

স্তন ক্যানসার সচেতনতা ফোরামের ১৫০ দিনের কর্মসূচি
স্তন ক্যানসার সচেতনতা দিবস ও মাস উপলক্ষে ১৫০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ স্তন ক্যানসার সচেতনতা ফোরাম।  সোমবার (১ জুলাই) ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের গেরিলা কমান্ডার মেজর হায়দার বীর উত্তম মিলনায়তনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে স্তন ক্যানসার সচেতনতা দিবসের ১০০ দিন গণনা শুরু ও ১৫০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা দেন ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সমন্বয়কারী এবং গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক ক্যানসার হাসপাতালের প্রকল্প সমন্বয়কারী অধ্যাপক ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ফোরামের উদ্যোগে ২০১৩ সাল থেকে বাংলাদেশে ১০ অক্টোবর ‘স্তন ক্যানসার সচেতনতা দিবস’ হিসেবে উদযাপিত হয়ে আসছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে স্তন ক্যানসার প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রাথমিক অবস্থায় নির্ণয় ও সময়মতো চিকিৎসা গ্রহণে উদ্বুদ্ধকরণ এই কার্যক্রমের অন্যতম উদ্দেশ্য। ঢাকা ও সারা দেশের জেলা-উপজেলায় গোলাপি সড়ক শোভাযাত্রা ও সহজ বাংলা ভাষায় প্রয়োজনীয় তথ্যসমৃদ্ধ লিফলেট বিতরণ ইতোমধ্যে সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে।  আরও জানানো হয়, এ বছর ফোরামের ৪৬টি সংগঠন যৌথভাবে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এর বাইরে বিভিন্ন সংগঠন এককভাবে কর্মসূচি পালন করবে।  অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জন হপকিন’স বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও প্রখ্যাত প্রজনন ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. হালিদা হানুম আখতার, সিওসি ট্রাস্টের প্রধান উপদেষ্টা ও সাবেক সচিব আবুল কালাম আজাদ, নারী অধিকার নেত্রী ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি শিরীন পারভীন হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ প্রমুখ।
০১ জুলাই, ২০২৪

কোটার বিরুদ্ধে ঢাবিতে ফের লাগাতার কর্মসূচি
উচ্চ আদালত কর্তৃক প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ ৫৬ শতাংশ কোটা পুনর্বহালের আদেশের বিরুদ্ধে এবং ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে লাগাতার কর্মসূচি শুরু করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে কোটার বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও বিশাল ছাত্র সমাবেশ করেন তারা।    সোমবার (১ জুলাই) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সমবেত হয়ে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কলাভবন, মলচত্বর, ভিসি চত্বর, টিএসসি হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে একটি ছাত্র সমাবেশে মিলিত হন শিক্ষার্থীরা।  এ সময় তাদের কোটা প্রথা, বাতিল চাই বাতিল চাই; কোটা প্রথার বিরুদ্ধে, ডিরেক্ট অ্যাকশন; কোটা না মেধা, মেধা মেধা; সংবিধানের মূলকথা, সুযোগের সমতা; সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে; আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার; জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে; লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে; আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম; মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাই নাই  ইত্যাদি সম্বলিত স্লোগান দিতে দেখা যায়। কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা বেশকিছু দাবি জানান, সেগুলো হলো- ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখা, ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (সব গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দেওয়া (সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে), সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্যপদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া এবং দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া ইত্যাদি। সমাবেশে বক্তব্য প্রদানকালে অমর একুশে হলের শিক্ষার্থী সারজিস আলম বলেন, বর্তমানে শুধু প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে কোটার পাশাপাশি তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির চাকরিতেও গলাকাটা পোষ্য কোটা দেওয়া হয়েছে৷ এই পৌষ্য কোটার ফলে কর্মচারী শ্রেণিকে সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। একটি পরিবারের একজন যেখানে চাকরিতে রয়েছে সেখানে অন্যদেরও সেই সুবিধা দেওয়া হয়েছে। অথচ আমার আপনার বাবা-মা যারা শ্রমজীবী, কৃষক, কর্মজীবী খেটে খাওয়া মানুষ তাদের এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এই বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, স্বাধীন এই বাংলায় কোটা বৈষম্যের কোনো স্থান নাই। তিনি আরও বলেন, ২০১৮ সালে এক রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বৈষম্যমূলক, নিপীড়নমূলক, নির্যাতনমূলক কোটা ব্যবস্থার কবর দিয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রী যখন সংসদে দাঁড়িয়ে, আপামর ছাত্র জনতার কথা বিবেচনা করে তিনি কোটা বাতিল করেছিলেন সেখানে হাইকোর্ট থেকে কিভাবে সেই পরিপত্র আবার বাতিল করা হয় সেটা আমরা জানি না। আজকে সারাদেশের ছাত্রসমাজ একযোগে আন্দোলন শুরু করেছে। এই কোটা পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত বাতিল করে ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল রাখার আগ পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাবে।  হিমু নামে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে যে, আমরা না কি মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের বিরোধী। কিন্তু আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমরা শুধু বৈষম্যমূলক কোটার বিরুদ্ধে, মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে নয়। আজকে তারা বলছে তারা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী। মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবার মাসে ২০ হাজার টাকা ভাতা পায়। বছরে দুই ঈদ ও বিজয় দিবসে ভাতা পায়। অথচ দেশের অসংখ্য পরিবারের মাসিক আয় ২০ হাজার টাকার অনেক কম। যেখানে তারা বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে, তাদের সন্তান-নাতি-নাতনিরা শুধু পাস করতে পারলেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে অথচ অনেক শিক্ষার্থী মেধাবী হয়েও ভর্তির সুযোগ না পেয়ে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয়। তাহলে কীভাবে তারা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী হলো? এই বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল না করা হলে ছাত্রসমাজ আরও কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবে।
০১ জুলাই, ২০২৪

শিক্ষকদের কর্মসূচি পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত : শিক্ষামন্ত্রী
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চলমান কর্মসূচি পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। রোববার (৩০ জুন) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের যারা শিক্ষক তারা সরকারি শিক্ষক হিসেবে গণ্য হন না। তাদের নিজস্ব কাঠামো আছে। পেনশন স্কিম প্রত্যয় প্রত্যাহারের দাবিতে ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে, চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কর্মসূচি দিয়েছে, তা পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সরকারের সিদ্ধান্তের বিষয়ে মন্তব্য করা সমীচীন নয়। আর পেনশন স্কিম শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের না, এটি অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিষয়। ২০২৫ সাল থেকে সরকারি সব কর্মকর্তা সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হবেন। শিক্ষকদের বিষয়টি নিয়ে আবারও আমরা আলোচনা করব। নওফেল আরও বলেন, আমরা ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশকিছু শিক্ষক নেতার সঙ্গে কথা বলেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা নিয়ে আমি এখন কিছুই বলতে চাচ্ছি না। পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা ব্যবস্থা নেব। এ সময় সিলেট শিক্ষাবোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষা ৯ জুলাই থেকে শুরু হবে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগামী বছরের পরীক্ষা আরও সামনের দিকে যাবে। এ বছর সময়ের আগে বন্যা হয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে আমরা পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করব। আগামী বছর এপ্রিলে পরীক্ষা নেওয়া হবে।  এইচএসসি পরীক্ষার প্রথমদিন প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আজ ৯ লাখ ২৩ হাজার পরীক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। অনুপস্থিত ছিলেন ৯ হাজার ৯৭০ জন। আর বহিষ্কার হয়েছেন ২০ জন। এ ছাড়া বিদেশে ৮টি কেন্দ্রে ২৮১ জনের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, সর্বজনীন পেনশনে অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদে সোমবার (১ জুলাই) থেকে দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মবিরতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন (বাবিশিসফে)। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করবেন শিক্ষকরা।
৩০ জুন, ২০২৪

মানিকগঞ্জে এক সারিতেই হাজার গাছ রোপণ
মানিকগঞ্জের বেউথা নদী পাড় ও রাস্তার ধারে একসঙ্গে এক হাজার বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। রোববার (৩০ জুন) সকালে মানিকগঞ্জের বেউথা নদীর পাড়ে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ। এ সময় তিনি বলেন, বৃক্ষ পরিবেশের অকৃত্রিম বন্ধু। বৈশ্বিক জলবায়ুর প্রভাবে যে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেখান থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হচ্ছে গাছ লাগানো। তাই বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং ঝড়-বৃষ্টি ও ঘূর্ণিঝড়ের হাত থেকে নিজেদের বাঁচার জন্য ব্যাপকভাবে বৃক্ষরোপণ করতে হবে।  এ সময় মানিকগঞ্জের বেউথা নদীর পাড় ও রাস্তার ধারে এক হাজার বৃক্ষরোপণ করা হয়। বৃক্ষরোপণ শেষে সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে (বিজয় মেলার মাঠ) এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।  কৃষক লীগের দপ্তর সম্পাদক রেজাউল করিম রেজার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়। ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট গোলাম মহিউদ্দিন।  উদ্বোধকের বক্তব্যে কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ বলেন, এক গাছ যেমন মানুষকে তার ফল দেয়, ফুল দিয়ে শোভিত করে এবং বৃদ্ধ বয়সে তার কাঠ মানুষের জন্য মূল্যবান। গাছ মানুষকে পুষ্টি দেয়, মানুষকে খাদ্য দেয়। গাছ মানুষকে জীবন বাঁচানোর জন্য অক্সিজেন দেয়। বৈশ্বিক জলবায়ুর প্রভাবে যে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেখান থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হচ্ছে গাছ রোপণ। তাই বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং ঝড়বৃষ্টি, ঘূর্ণিঝড়ের হাত থেকে নিজের বাঁচার জন্য ব্যাপকভাবে শেখ হাসিনার ঘোষিত কর্মসূচি বৃক্ষরোপণ করার মধ্য দিয়ে পালন করতে হবে। তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের জুলাই মাস থেকে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন করেছিলেন। তার ধারাবাহিকতায় তার যোগ্য উত্তরাধিকার প্রধানমন্ত্রী কৃষকরত্ন শেখ হাসিনা ১৯৮৪ সাল থেকে বাংলাদেশ কৃষক লীগকে সঙ্গে নিয়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি শুরু করেছিলেন। গত ১৫ জুন ১ আষাঢ় কৃষক লীগের আয়োজনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী কৃষক লীগসহ আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মী ও দেশবাসীকে বৃক্ষরোপণের নির্দেশ দিয়েছেন। তার নির্দেশনার ধারাবাহিকতা কৃষক লীগ ৫২ লাখ গাছ লাগানোর অংশ হিসেবে আজ মানিকগঞ্জ জেলার সদর উপজেলা এক হাজার বৃক্ষরোপণ করেছে।  নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আপনারা প্রত্যেকে তিন মাসে ৫২টি গাছ রোপণ করে কৃষক লীগের ৫২ লাখ গাছ রোপণের পরিকল্পনার অঙ্গীকার পূরণ করব।’ আলোচনাসভায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মহিউদ্দিন বলেন, বিএনপি জামায়াত জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতি করে। আমরা গাছ লাগাই, তারা কেটে রাস্তা অবরোধ করে। তাদের গাছের রাজনীতি পরিহার করুক, সেটা আমরা চাই। জেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক মো. সমাপ্ত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটু।   সংগঠনের সদস্য সচিব প্রভাষক বুলবুল আহমেদ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সহসভাপতি আকবর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক ড. হাবিবুর রহমান মোল্লা, মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল, সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু সুবেদ কুমার সাহা প্রমুখ।
৩০ জুন, ২০২৪
X