পাবনায় ফের কবরস্থান থেকে কঙ্কাল চুরি
দুইদিনের ব্যবধানে পাবনায় ফের কবরস্থান থেকে কঙ্কাল চুরির ঘটনা ঘটেছে। এবার পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার রাজাপুর কেন্দ্রীয় কবরস্থান থেকে ৫টি কঙ্কাল চুরি হয়েছে। রোববার (৯ জুন) দিবাগত রাতের কোনো এক সময় এসব কঙ্কাল চুরি হয়েছে বলে ধারণা করছে স্থানীয়রা। সোমবার (১০ জুন) দুপুরে চুরির ঘটনা জানতে পারেন এলাকাবাসী। এর আগে গত শুক্রবার (৭ জুন) রাতে সুজানগর উপজেলার দুলাই ইউনিয়নের চিনাখড়া কেন্দ্রীয় কবরস্থান থেকে ৫টি কঙ্কাল চুরি হয়। এছাড়া চলতি বছরের ১৯ মার্চ ভোররাতে পাবনার বেড়া উপজেলার আমিনপুর থানার খাস আমিনপুর কেন্দ্রীয় কবরস্থান থেকে প্রথম কঙ্কাল চুরির ঘটনা ঘটে। সেই কবরস্থান থেকে ১৫টি কঙ্কাল উধাও হয়েছিল। সে ঘটনার এখন পর্যন্ত রহস্য উদঘাটন বা জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। সেটার কোনো তথ্য উদঘাটন না হতেই এবার দুইদিনের ব্যবধানে পরপর দুই কবরস্থান ১০টি কঙ্কাল চুরি হলো। এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক ও উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।   প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বাসিন্দা ময়েজ উদ্দিন, আরিফ হোসেন জানান, সাঁথিয়া উপজেলার ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নের রাজাপুর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে পাশ দিয়ে তিলের জমিতে যাচ্ছিলেন এক কৃষক। এ সময় তিনি কবরস্থানে তাকালে কবরের উপরে বাঁশের চাটাই সরানো ও মাটি খোঁড়া দেখতে পান। পরে তিনি কবরস্থানের ভেতরে গিয়ে দেখতে পান ৫টি কবর খোঁড়া, ভেতরে মরদেহের কোনো কিছু নেই। কবরগুলো অনেক দিনের পুরোনো। এ বিষয়ে ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়ন পরিষেদের চেয়ারম্যান মনসুর আলম পিনচু বলেন, এর আগে দুই জায়গার কবর থেকে চুরি হয়েছে। এবার আমার এলাকায় একই ঘটনা ঘটলো। এক থেকে দেড় বছর আগে মারা যাওয়া মানুষের কঙ্কাল চুরি হচ্ছে। কারা কি কারণে একের পর এক কঙ্কাল চুরি করছে বুঝতে পারছি না। মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। আমি পুলিশ ও ইউএনওকে জানিয়েছি। প্রশাসনের কঠোরভাবে এ বিষয়টি তদন্ত করা উচিত। সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ কবরস্থান পরিদর্শন করেছে। কিছু কবর আংশিক খুঁড়ছে, কোনো সম্পূর্ণ খুঁড়ছে। এটা অমানবিক কাজ। কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেবো। তারপরও এই চক্রকে ধরতে চেষ্টা করছে পুলিশ। সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমি খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শণে যাচ্ছি। কবরস্থান থেকে কেন এভাবে মরদেহের কঙ্কাল চুরি হচ্ছে, সে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হবে।
১১ জুন, ২০২৪

পাবনায় কবরস্থান থেকে আরও ৫ কঙ্কাল চুরি
আবারও পাবনার সুজানগর উপজেলার দুলাই ইউনিয়নের চিনাখড়া কেন্দ্রীয় কবরস্থান থেকে এক রাতেই পাঁচটি কঙ্কাল চুরির ঘটনা ঘটেছে। সংঘবদ্ধ চোরের দল ওই কবরস্থানের পুরোনো বিভিন্ন কবর খুঁড়ে কঙ্কালগুলো চুরি করে নিয়ে যায়। এর আগে পাবনা আমিনপুর থানার আমিনপুর গোরস্তান থেকে ১৫টি কঙ্কাল চুরির ঘটনা ঘটে। গত শুক্রবার মধ্যরাতের কোনো এক সময়ে কঙ্কালগুলো চুরি হয়। এলাকার শত শত মানুষ কবরস্থানে শনিবার উপস্থিত হয়ে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান। স্থানীয় বাসিন্দা ও চিনাখড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শরিফুল ইসলাম বলেন, শনিবার সকালে কয়েকজন শ্রমিক ওই কবরস্থান পরিষ্কার করতে যান। এ সময় তারা কয়েকটি কবর খোঁড়া দেখতে পেয়ে স্থানীয়দের খবর দেন। লোকজন এসে পাঁচটি কবর খুঁড়ে রাখা অবস্থায় দেখতে পান। সেগুলোতে কোনো মরদেহ ও কঙ্কালের চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যায়নি। দুলাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও চিনাখড়া কেন্দ্রীয় গোরস্তান কমিটির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম শাহজাহান বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সকালে তিনি কবরস্থান থেকে কঙ্কাল চুরির খবর পান। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে পাঁচটি কবর খুঁড়ে রাখা অবস্থায় দেখতে পান। পরে তাৎক্ষণিকভাবে থানায় জানালে সেখানে পুলিশ পৌঁছায়। যেসব কবর থেকে কঙ্কাল চুরি হয়েছে, সেগুলোর সবই কয়েক বছরের পুরোনো। সুজানগর থানার ওসি জালাল উদ্দিন বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
০৯ জুন, ২০২৪

পাবনায় আবারও কবরস্থান থেকে এক রাতে ৫ কঙ্কাল চুরি
আবারও পাবনার সুজানগর উপজেলার দুলাই ইউনিয়নের চিনাখড়া কেন্দ্রীয় কবরস্থান থেকে এক রাতেই ৫টি কঙ্কাল চুরির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (০৭ জুন) রাতের কোনো এক সময়ে কঙ্কালগুলো চুরি হয়। সংঘবদ্ধ চোরের দল ওই কবরস্থানের বিভিন্ন পুরোনো কবর খুঁড়ে কঙ্কালগুলো চুরি করে নিয়ে যায়।  এর আগে পাবনা আমিনপুর থানার আমিনপুর কবরস্থান থেকে ১৫টি কক্কাল চুরির ঘটনা ঘটে। এলাকার শত শত মানুষ কবরস্থানে শনিবার উপস্থিত হয়ে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান। স্থানীয় এলাকার বাসিন্দা ও চিনাখড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শরিফুল ইসলাম বলেন, সকালে কয়েকজন শ্রমিক ওই কবর স্থানে লতাপাতা পরিষ্কার করতে যান। এ সময় তারা কয়েকটি কবর খোঁড়া দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজনদের খবর দেন। লোকজন এসে ৫টি কবর খুঁড়ে রাখা অবস্থায় দেখতে পান। সেগুলোতে কোনো মরদেহ ও কঙ্কালের চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যায়নি। দুলাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও চিনাখড়া কেন্দ্রীয় কবরস্থান কমিটির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম শাহজাহান বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সকালে তিনি কবরস্থান থেকে কঙ্কাল চুরির খবর পান। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে ৫টি কবর খুঁড়ে রাখা অবস্থায় দেখতে পান। পরে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে বিষয়টি জানালে সেখানে পুলিশ পৌঁছায়। যেসব কবর থেকে কঙ্কাল চুরি হয়েছে, সেগুলোর সবই কয়েক বছরের পুরোনো। সুজানগর থানার ওসি জালাল উদ্দিন বলেন, বিষয়টি তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
০৮ জুন, ২০২৪

যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য পাভেলের দাফন সম্পন্ন
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবু আহমেদ নাসিম পাভেলের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।  বুধবার ( ১৫ মে) দুপুর ২টায় রাজধানীর বনানী কবরস্থানে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।  গতকাল মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। দীর্ঘদিন হার্ট, কিডনি ও লিভারজনিত রোগে ভুগছিলেন তিনি।  এর আগে, সকাল ১০টায় সাভারে প্রথম, দুপুর ১২টায়, ২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দ্বিতীয় এবং জোহরের পর বনানী কবরস্থান মসজিদে তার তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।  এ সময় উপস্থিত ছিলেন-বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামের অন্যতম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশীদ, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলে ফাহিম, মো. রফিকুল ইসলাম, ড. সাজ্জাদ হায়দার লিটন, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, সুভাষ চন্দ্র হাওলাদার, তাজউদ্দিন আহমেদ, মো. জসিম মাতুব্বর, মো. আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল, মুহাম্মদ বদিউল আলম, মো. রফিকুল আলম জোয়ার্দার সৈকত, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. হেলাল উদ্দিন, মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, মো. সোহেল পারভেজ, আবু মনির মো. শহিদুল হক চৌধুরী রাসেল, অ্যাড. ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, আন্তর্জাতিক সম্পাদক কাজী সারোয়ার হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. সাদ্দাম হোসেন পাভেল এমপি, জনশক্তি ও কর্মসংস্থান সম্পাদক শাহীন মালুম, পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক মো. হারিছ মিয়া শেখ সাগর, কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. মো. হেমায়েত উদ্দিন মোল্লা, ধর্ম সম্পাদক মাওলানা খলিলুর রহমান সরদার, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক সফেদ আশফাক আকন্দ তুহিন, উপ-পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক মো. শামছুল ইসলাম পাটোয়ারী, উপ-কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক মোল্লা রওশন জামির রানা, উপ-মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. মো. গোলাম কিবরিয়া শামীম, উপ-ধর্ম সম্পাদক হরে কৃষ্ণ বৈদ্যসহ কেন্দ্রীয় যুবলীগ, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তর-দক্ষিণ, ঢাকা জেলা যুবলীগ ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।
১৫ মে, ২০২৪

চিরনিদ্রায় শায়িত হায়দার আকবর খান রনো 
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) উপদেষ্টা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার আকবর খান রনোর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (১৩ মে) বেলা ৩টার দিকে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে, বেলা দেড়টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে হায়দার আকবর খান রনোর জানাজা হয়। সকালে দলীয় কার্যালয় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির মুক্তি ভবনের সামনে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর মরদেহ নেওয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সেখানে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘গার্ড অব অনার’ দেওয়া হয়। গার্ড অব অনারের পর সর্বস্তরের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তার মরদেহ রাখা হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। বেলা সোয়া একটা পর্যন্ত নানা স্তরের মানুষ তাকে শ্রদ্ধা জানান। এর আগে, গত ১০ মে দিনগত রাত ২টার দিকে রাজধানীর বেসরকারি একটি হাসপাতালে মৃত্যু হয় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) এই উপদেষ্টার। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৯৪২ সালের ৩১ আগস্ট কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন রনো। ১৯৬১ সালে তিনি তদানীন্তন গোপন কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যপদ লাভ করেন। ১৯৬৯ সালে তিনি এই দেশের কমিউনিস্ট আন্দোলনের একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা হিসেবে পরিগণিত হন। ১৯৬৯ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক। ২০১০ সালে রাজনৈতিক মতবিরোধের কারণে তিনি ওয়ার্কার্স পার্টি পরিত্যাগ করে কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগদান করেন। তখন থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তিনি সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন। পরে তাকে পার্টির উপদেষ্টা করা হয়। ১৯৬২ সালের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলনে রনো ছিলেন অন্যতম নেতা। তিনিই প্রথম সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য বক্তব্য রেখেছিলেন (১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬২)। ১৯৬৩ থেকে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত তিনি অবিভক্ত পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭০ সালে তিনি তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের সর্ববৃহৎ শ্রমিক সংগঠন পূর্ব বাংলা শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে তিনি ছিলেন অন্যতম সংগঠক। কমরেড রনো ছিলেন একাত্তরের রণাঙ্গনের সৈনিক। ১৯৯০ সালের এরশাদবিরোধী গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম রূপকার ছিলেন তিনি।
১৩ মে, ২০২৪

কবরস্থান থেকে উদ্ধার নবজাতককে দত্তক নিলেন চিকিৎসক দম্পতি
ময়মনসিংহের নান্দাইলে সড়কের পাশে থাকা একটি কবরস্থানে কুড়িয়ে পাওয়া এক নবজাতককে দত্তক নিয়েছেন এক চিকিৎসক দম্পতি। সমাজসেবা কার্যালয়ে আবেদনের প্রেক্ষিতে রোববার (৩ মার্চ) বিকেলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত ওই চিকিসক দম্পতির হাতে শিশুটিকে তুলে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চত করেছেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. ইনসান আলী। তিনি জানান, দত্তক নেওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত করতে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় শনিবার রাতে শিশু কল্যাণ বোর্ডের সভা হয়। সেখানে একাধিক আবেদন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসক দম্পতির আবেদনটি চূড়ান্ত করা হয়। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে আর্থিক স্বচ্ছলতা ও সামাজিক অবস্থান যাচাইবাছাই করে তাদের কাছে নবজাতকটি দত্তক দেওয়া হয়েছে। এ কর্মকর্তা আরও জানান, বর্তমান সমাজ ব্যবস্থা ও শিশুটির ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে একটি নিঃসন্তান এবং সচ্ছল দম্পতিকে বেছে নেওয়া হয়েছে। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না। এর আগে, নান্দাইলের মুশুলি ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ইজিবাইক চালিয়ে যাওয়ার সময় একটি কবস্থানে কান্নার আওয়াজ পান সুরুজ মিয়া। পরে কৌতূহলি ওই ব্যক্তি ইজিবাইক থামিয়ে সেখানে গিয়ে কবরের ওপর একটি নবজাতক দেখতে পান। এরপর ওই নবজাতককে উদ্ধার করে থানায় নেওয়ার পর তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। নবজাতকের স্বাস্থ্যের অবস্থা সম্পর্কে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাহমুদুর রশিদ বলেন, শিশুটির বয়স ২-৫ দিন হতে পারে। সে সম্পূর্ণ সুস্থ ও সবল রয়েছে।
০৩ মার্চ, ২০২৪

পীরের আদেশে নিজের কবরস্থান বানিয়ে বাস করছেন তিনি
নিজের কবরস্থান বানিয়ে বসবাস শুরু করেছেন ৯০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ। বলছেন, পীরের আদেশে তিনি এ কাজ করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার জিনারী ইউনিয়নের চরকাটিহারী গ্রামে। বৃদ্ধের নাম মোহাম্মদ আলী। জানা যায়, কৃষক মোহাম্মদ আলী (৯০) মৃত্যুর আগে নিজেই নিজের কবরস্থানে ঘর বানিয়ে বসবাস করছেন। তার ইচ্ছা মৃত্যুর পর এখানেই যেন তাকে দাফন করা হয়। মোহাম্মদ আলী এলাকায় দয়াল ফকির নামেও পরিচিত।  ১১ ফুট লম্বা ও ৮ ফুট প্রস্থ ছাদের এই ঘরটি তৈরি করতে দুই বছর সময় লেগেছে। খরচ হয়েছে প্রায় চার লাখ টাকা। ঘরের ভেতরে বাইরে লাগানো হয়েছে রঙিন বাতি। মোহাম্মদ আলীর পরিবারের সদস্যরা বলছেন, ঘরটি নির্মাণের পর খালি পড়েছিল। পীরের মুরিদ হওয়ায় দুই বছর যাবত এই স্থানটিতে ওরসের আয়োজন করা হয়। গত চার দিন ধরে এখানে খাট ফেলে বসবাস করছেন তিনি। মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী রাশিদা বেগম বলেন, চার দিন ধরে এই ঘরেই বসবাস করছেন তার স্বামী মোহাম্মদ আলী। খাবারের সময় শুধু বাসায় গিয়ে খাওয়া দাওয়া করেন। বাকি সময় এই ঘরেই থাকেন তিনি। তিনি তার দ্বিতীয় স্ত্রী। তাদের পরিবারে মোট ১১ জন সন্তান রয়েছে। পরিবারের সকল সদস্য বিষয়টি মেনে নিতে না পারলেও তার স্বামী একক ইচ্ছায় এখানে বসবাস করছেন। দুই বছর ধরে এখানে ওরসের আয়োজন করা হয়। তার ইচ্ছা মৃত্যুর পর যেন তাকে এই ঘরের ভেতর দাফন করা হয়। মোহাম্মদ আলী বলেন, আসমাঈল শেখের ছেলে মোহাম্মদ আলী প্রায় ৭০ বছর আগে গাজীপুর জেলার কালীয়াকৈর উপজেলার চানপুরের পীর আব্দুস সামাদ চানপুরির কাছে ধর্মীয় শিক্ষা নিয়েছিলেন। এরপর থেকে পীর চানপুরির নির্দেশনায় জীবন পরিচালনা করছেন। মৃত্যুর পর যেন তাকে এখানে সমাহিত করা হয়। ২০১৯ সালে এই ঘরের কাজ শুরু হয় দুই বছর সময় লাগে ঘরটি নির্মাণে। এই ঘরটি তার মাজার। পীরের আদেশেই তিনি কবরস্থানের জায়গা নির্ধারণ ও ঘর বানিয়ে বসবাস করছেন। কিশোরগঞ্জের জামিয়া নূরানী মাদ্রাসার পরিচালক মুফতি মোহাম্মদ আবুল বাশার বলেন, ইসলাম ধর্মের মতে কবরস্থান নির্ধারণ করে সেখানে বসবাসের কোনো নিয়ম নেই। যদি কোনো ব্যক্তি এমনটা করে থাকে তাহলে অবশ্যই সে ব্যক্তির উদ্দেশ্য ভন্ডামি ছাড়া আর কিছু নয়। মানুষ কোন জায়গায় মৃত্যুবরণ করবেন সেটা একমাত্র আল্লাহ জানেন। সুতরাং পূর্ব থেকে কোনো ব্যক্তি কবরের জায়গা নির্ধারণ করে সেখানে বসবাস করা শরিয়তের দৃষ্টিতে জায়েজ নেই।
০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বনানী কবরস্থানে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
রাজধানীর বনানী কবরস্থানে নিহত স্বজনদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সকাল সোয়া ৭টার দিকে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টে নিহত পরিবার স্বজনদের কবর জিয়ারত ও মোনাজাত করেন তিনি। জানা গেছে, এরপর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবন পরিদর্শন করবেন তিনি। এদিকে গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হওয়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে টানা চারবারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার। এখন পর্যন্ত বেসরকারিভাবে পাওয়া ফলাফলে ২৯৮ আসনের মধ্যে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ পেয়েছে ২২৩ আসন। অন্যদিকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় উপলক্ষে বুধবার (১০ জানুয়ারি) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ। এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল সোমবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
০৯ জানুয়ারি, ২০২৪

বালু উত্তোলনে হুমকিতে বসতি মন্দির কবরস্থান
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার টাকাহারা এলাকায় করতোয়া নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে প্রভাবশালী মহল। এতে ভাঙনের আশঙ্কায় স্থানীয়রা। জানা যায়, টাকাহারা এলাকাটি দেবীডুবা ইউনিয়নের সুলতানপুর মৌজার অন্তর্ভূক্ত। সম্প্রতি সুলতানপুর মৌজার ২৪৫৪ ও ২৪৫৬ দাগে ৭ দশমিক ৬৮ একর এলাকা দেবীডুবা ঘাটের (বালুমহাল) অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তবে এ ঘাটটি এবার ইজারা দেওয়া হয়নি। ইজারা কিংবা খাস আদায়ের অনুমতি দেওয়া না হলেও সম্প্রতি এই এলাকা থেকে টাকাহারা এলাকার আহসান হাবিব মিলন, মোস্তাকিম ইসলাম ও শালডাঙ্গার ইউপি সদস্য নিরঞ্জন রায় ও তাদের লোকজন বালু উত্তোলন করে বিক্রি শুরু করেন। এতে ওই এলাকার কেন্দ্রীয় কবরস্থান, বিষ্ণুমন্দির, শ্মশানঘাট, বৈদ্যুতিক পিলার, বাদিয়া টিকরি (দ্বীপসদৃশ) ভাঙনের হুমকিতে পড়েছে। এ অবস্থায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে গত ২৪ ডিসেম্বর স্থানীয়রা দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শরীফুল আলম বরাবর লিখিত অভিযোগ জমা দেন। ভুক্তভোগীরা জানান, সুলতানপুর মৌজার করতোয়া নদীর তীরে বাদিয়া টিকরি। টিকরির চারদিকে করতোয়ার শাখা নদী বয়ে যাওয়ায় এ অংশটি অনেকটা দ্বীপসদৃশ। সেখানে দীর্ঘদিন থেকে বসবাস করে আসছে ১২টি পরিবার। টিকরির উত্তর অংশ থেকে বালু উত্তোলনের ফলে এটি অদূর ভবিষ্যতে ভাঙনের মুখে পড়ে বাস্তুহারা হওয়ার আশঙ্কা করছে পরিবারগুলো। এদিকে প্রশাসন দেবীডুবা ঘাট থেকে খাস আদায়ের সিদ্ধান্ত না নিলেও প্রায় দুই সপ্তাহ থেকে তেলিপাড়া ঘাট ইজারাদারের রসিদ দিয়ে বালু বিক্রি করা হচ্ছে। এর জন্য প্রতি ট্রাক্টর বালু ২০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। এতে জনবসতির ক্ষতির পাশাপাশি সরকার মোটা অঙ্কের রাজস্ব হারাচ্ছে। বাদিয়া টিকরির বাসিন্দা বেলাল হোসেন বলেন, গুটিকয়েক ব্যক্তির স্বার্থে প্রশাসন এখানে বালু তোলার অনুমতি দিয়েছে। এভাবে বালু তোলার ফলে ঘরবাড়ি-গাছপালা ভাঙনের হুমকিতে পড়ছে। বালু তোলা বন্ধ করে গ্রামটিকে রক্ষার অনুরোধ করছি। স্থানীয় মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ বলেন, ওখানে বালু তোলার ফলে নদীর তীরে থাকা কবরস্থান ভাঙনের মুখে পড়বে। আমরা বালু উত্তোলন বন্ধ করার জন্য মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে উপজেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত আবেদন দিয়েছিলাম। বালু উত্তোলনে অভিযুক্ত মিলন বলেন, ইজারাদার নূরে আজাদ ও তার পার্টনার জুয়েল চৌধুরীর হয়ে আমরা বালু উত্তোলন করছি। এ বিষয়ে ইজারাদার জুয়েল চৌধুরীকে কল দিলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। দেবীগঞ্জ ইউএনও শরীফুল আলম লিখিত অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খোঁজ-খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৩

গাজা যেন শিশুদের কবরস্থান
ইসরায়েলের বিমান হামলা বাড়তে থাকায় গাজা উপত্যকা শিশুদের জন্য কবরস্থান হয়ে উঠছে বলে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। প্রতিদিনই গাজায় শত শত ছেলেমেয়ে মারা যাওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মানবিক আইন যে লঙ্ঘন হচ্ছে, এতেই তা স্পষ্ট। প্রতিটি ঘণ্টা অতিবাহিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ‘মানবিক যুদ্ধবিরতি’ অনেক বেশি জরুরি হয়ে উঠছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। এর আগে জাতিসংঘ সংস্থাগুলোও এক যৌথ বিবৃতিতে গাজায় বেসামরিক নাগরিক হত্যাকে ‘ভয়াবহ’ আখ্যা দিয়েছে। এদিকে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরের বিষয়টি আবারও নাকচ করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, যুদ্ধবিরতি নয়, বরং গাজা উপত্যকায় কিছু সময়ের জন্য হামলায় ‘কৌশলগত বিরতি’ হতে পারে। খবর বিবিসির। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, ইসরায়েল-হামাসের এই লড়াইয়ে সাধারণ মানুষের সুরক্ষার বিষয়টি ‘সর্বাগ্রে প্রাধান্য পেতে হবে।’ রোববার রাতভর ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর ভারি বোমা হামলায় গাজায় প্রায় ২০০ মানুষ নিহত হওয়ার খবর বিবিসির সাংবাদিকদের জানিয়েছেন সেখানকার আল শিফা হাসপাতালের পরিচালক। ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বলছে, তাদের সেনারা গাজায় ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের একটি ফাঁড়ির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। জাতিসংঘের মানবিক ত্রাণ সংস্থাগুলোর একটি গোষ্ঠী বলেছে, গাজায় সাধারণ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করাটা অপরাধ। গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত ১০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, যার মধ্যে চার হাজারেরও বেশি শিশু। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ঢুকে হামাসের অতর্কিত হামলার পর থেকেই গাজায় ইসরায়েলের প্রতিশোধ হামলা চলছে। এ যুদ্ধে গাজায় হামাসকে নির্মূলের অঙ্গীকার করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। ইসরায়েলের লাগাতার হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সোমবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেস গাজা-ইসরায়েল যুদ্ধের ফল হিসেবে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ারও আশঙ্কা প্রকাশ করেন। সংঘাত ব্যাপক এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকির বিষয়টি আলোচনায় নিয়ে আসতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা এরই মধ্যে সংঘাতের তীব্রতা বেড়ে যেতে দেখতে পাচ্ছি লেবানন ও সিরিয়া থেকে, ইরাক এবং ইয়েমেনে। ইহুদিবিদ্বেষী এবং মুসলিমবিদ্বেষী কথাবার্তা বলা বন্ধ করার ডাক দিয়ে তিনি বলেন, বিশ্বের বহু জায়গাতেই ইহুদি ও মুসলিমরা তাদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিয়ে ভয়ে ভয়ে আছে। সবশেষে গাজায় অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে গুতেরেস নতুন করে ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের দ্বিরাষ্ট্রীক সমাধান প্রয়োজন বলে মত দেন। কিছু সময়ের জন্য হামলা বন্ধ রাখার পক্ষে নেতানিয়াহু: ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরের বিষয়টি আবারও নাকচ করলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, যুদ্ধবিরতি নয়, বরং গাজা উপত্যকায় কিছু সময়ের জন্য হামলায় ‘কৌশলগত বিরতি’ হতে পারে।­ যুক্তরাষ্ট্রের এবিসি চ্যানেলকে সোমবার দেওয়া সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু বলেন, হামলায় কৌশলগত বিরতি কার্যকর করা হতে পারে দুটি কারণে। প্রথমত, গাজা উপত্যকায় সহায়তা প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়া এবং দ্বিতীয়ত, হামাসের হাতে আটক ব্যক্তিদের গাজা থেকে বের করে আনার বিষয়টি নিশ্চিত করা। নেতানিয়াহু আরও বলেন, যুদ্ধ থেমে যাওয়ার পরও দীর্ঘ মেয়াদে গাজা উপত্যকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ইসরায়েলের প্রয়োজন হতে পারে। গাজায় সাধারণ যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা ইসরায়েলের যুদ্ধ-প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে—এমনটাই মনে করছেন নেতানিয়াহু। তার মতে, এর চেয়ে কার্যকর কৌশল কিছু সময়ের জন্য হামলা বন্ধ রাখা। এটা হতে পারে ঘণ্টাখানেকের বিরতি। এ সময়ের মধ্যে গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশ করতে পারবে। গাজা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন আটক ব্যক্তিরা। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এতে দেশটিতে ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষের প্রাণ যায়। ওই দিন থেকে নির্বিচার পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। এক মাসে গাজায় নারী-শিশুসহ ১০ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ গেছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন প্রায় ১৫ লাখ মানুষ। ইসরায়েলি হামলা থেকে বিদ্যালয়, হাসপাতাল, শরণার্থী শিবির—কিছুই বাদ যাচ্ছে না। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার পক্ষ থেকে নেতানিয়াহুর প্রতি যুদ্ধবিরতি কার্যকরের দাবি তোলা হয়েছে। যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়েছে হামাসও। কিন্তু নেতানিয়াহু বরাবরই এ দাবি মানতে অস্বীকৃতি জানিয়ে এসেছেন। এখনো নিজের সেই অবস্থানে অটুট তিনি।
০৮ নভেম্বর, ২০২৩
X