পাওনা টাকা চাওয়ায় কুপিয়ে শরিফুল ইসলাম (৩০) নামে এক যুবকের হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (১৭ মার্চ) রাতে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সরাইচন্ডী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় শরিফুলকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে এ ঘটনায় সোমবার (১৮ মার্চ) আহতের স্ত্রী তানিয়া খাতুন বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন।  মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ভোর পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।   আসামিরা হলেন, সরাইচন্ডী গ্রামের মহবুল শেখের ছেলে আলহাজ (২৬) ও একই গ্রামের মৃত আফজাল খন্দকারের ছেলে রুবেল (৪৮)। আহত শরিফুলের ছোট ভাই মেরাজুল জানান, ভাই শরিফুল একই গ্রামের সুজন ও আলহাজের কাছ থেকে ধারের দুই লাখ টাকা পেতেন। পাওনা টাকা দিতে তাগিদ দিচ্ছিলেন তিনি। এরই জেরে রোববার রাতে সরাইচন্ডী বাজার থেকে বাড়ি আসার পথে শুকনা নদীর মধ্যে শরিফুলের ওপর হামলা করে আসামিরা। তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে শরিফুলের ডান হাতের কবজি কেটে বিচ্ছিন্ন করে মাটিতে ফেলে দেয়। এরপর এলোপাতাড়ি কুপিয়ে বাম হাতের একটি আঙুল বিচ্ছিন্ন করে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। এ সময় তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।   সদর থানার এসআই দানিবুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, পাওনা টাকার জন্যই শরিফুলের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। আমরা ইতিমধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছি। সদর থানার ওসি মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, ঘটনার পরদিনই থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। এ মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

কুমিল্লায় ভবনের পাশ দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে আবদুল্লাহ নামে সাত বছর বয়সী এক শিশুর কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। কবজি হারানো শিশু আবদুল্লাহ (৭) আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন। শিশুটির হাত পুড়ে শরীর থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ায় আর জোড়া লাগানো সম্ভব না বলে জানিয়েছেন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের প্রধান মীর্জা মো. তাইয়েবুল ইসলাম। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর তেলিকোনা চৌমুহনী এলাকার মানিক মিয়া টাওয়ারের চতুর্থ তলায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শিশুটির মা মমতাজ বেগমও আহত হয়েছেন। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের প্রধান মীর্জা মো. তাইয়েবুল ইসলাম বলেন, শিশুটিকে যখন আমাদের এখানে আনা হয়, তখন তার অবস্থা খুব একটা ভালো ছিল না। এক হাত পুড়ে আলাদা হয়ে গেছে। দুই পা বার্ন হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে এই চিকিৎসক জানান, বিদ্যুৎস্পর্শে শিশুটির হাত পুড়ে শরীর থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ায় আর জোড়া লাগানো সম্ভব না। এটা গুরুতর দুর্ঘটনা। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২) কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী পারভেজ আহমেদ কালবেলাকে বলেন, বিষয়টি মর্মান্তিক। এখানে বিদ্যুৎ বিভাগের কোনো অবহেলা নেই। বিদ্যুতের লাইনটি অনেক আগের। মূলত ভবনটি বিদ্যুতের তার ঘেঁষে নির্মাণ করা হয়েছে। আমরা ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনটি বন্ধ করে দিয়েছিলাম। পরে দুর্ঘটনার শিকার শিশুটির হাত বিদ্যুতের তার থেকে উদ্ধার করা হয়। উল্লেখ্য, নগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরাইশ এলাকার বাসিন্দা ও চকবাজারের ব্যবসায়ী মো. শামীম পরিবার নিয়ে তেলিকোনা চৌমুহনী এলাকার মানিক মিয়া টাওয়ারের ৬ তলায় ভাড়া থাকতেন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তারা ৬ তলা থেকে চার তলায় শিফট হচ্ছিলেন। এজন্য তাদের সন্তান আবদুল্লাহকে চারতলায় রেখে ৬ তলা থেকে মালপত্র নামানোর কাজে ব্যস্ত ছিলেন। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে চারতলার জানালার গ্রিল দিয়ে ভবনের পাশ দিয়ে যাওয়া বৈদ্যুতিক তারে হাত রাখে আবদুল্লা। সঙ্গে সঙ্গেই বিদ্যুতায়িত হয়ে পড়ে সে। বিষয়টি লক্ষ্য করে আবদুল্লাহর মা মমতাজ বেগম তার সন্তানকে জোরে টান দিলে শিশুটির হাত থেকে কবজি আলাদা হয়ে যায়। এ সময় আবদুল্লাহর হাতের কবজি বিদ্যুতের খোলা তারে ঝুলে থাকে।

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম নয়নকে (৩৮) কুপিয়ে দুই হাতের কবজি কেটে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গত বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। গচিহাটা বাজার থেকে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে কাচারিপাড়া মোড় সংলগ্ন মুচি বাড়ির কাছে তার গতিরোধ করে অজ্ঞাত কয়েকজন। পরে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে দুই হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। এ ছাড়া মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। নয়নের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক (পঙ্গু) হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। ভুক্তভোগী নয়ন সহশ্রাম ধূলদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সতরদ্রোন গ্রামের শাহজাহান মিয়ার বড় ছেলে। শাহজাহান মিয়া বলেন, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে আমি ও আমার ছেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী মেজর (অব.) আখতারুজ্জামানের পক্ষে কাজ করেছি। সেই বিরোধের জেরেই এ হামলা। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে জয়ী আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহরাব উদ্দিনের পক্ষে কাজ করেছেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলতাফ উদ্দিন। নির্বাচনের পর এলাকায় প্রভাব বিস্তার করতে আলতাফের সমর্থকরা ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি শফিকুল ইসলামকে মারধর করে। রাতে আমার ছেলে ওপর হামলা চালানো হয়। এ ঘটনার বিচার চাই। এ বিষয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল কাহার আকন্দের ছোট ভাই ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম আকন্দ বলেন, প্রায় দেড় বছর আগে ফুটবল খেলা কেন্দ্র করে দুই গ্রামে পাল্টাপাল্টি খুনের ঘটনা ঘটে। একটি মামলায় শাহজাহান ও নয়ন আসামি। পরবর্তী সময়ে অভিযোগপত্র থেকে তাদের নাম বাদ দেওয়া হয়। হামলার সঙ্গে ওই ঘটনারও যোগসূত্র থাকতে পারে। এ বিষয়ে হোসেনপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন চন্দ্র সরকার বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে আটক করা হয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক।

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম নয়নকে (৩৮) কুপিয়ে দুই হাতের কবজি কেটে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার গচিহাটা বাজার থেকে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফেরার পথে কাচারিপাড়া মোড় সংলগ্ন মুচি বাড়ির নিকট পৌঁছালে দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে দুর্বৃত্তরা তার গতিরোধ করে তার দুই হাতের কবজি কেটে বিচ্ছিন্ন করে। এ সময় তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে পালিয়ে যায় তারা।  তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে আশংকাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক (পঙ্গু) হাসপাতালে নেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। মো. রফিকুল ইসলাম নয়ন সহশ্রাম ধূলদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সতরদ্রোন গ্রামের শাহজাহান মিয়ার বড় ছেলে। রফিকুল ইসলাম নয়নের বাবা শাহজাহান মিয়া বলেন, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের জেরে এই হামলা ঘটে থাকতে পারে। এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম আকন্দ বলেন, প্রায় দেড় বছর আগে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সতরদ্রোণ ও রায়খলা গ্রামে পাল্টাপাল্টি দুটি খুনের ঘটনা ঘটে। এর একটি মামলায় শাহজাহান ও নয়ন আসামি। পরবর্তী সময়ে অভিযোগপত্র থেকে তাদের নাম বাদ পড়েছে। নয়নের ওপর হামলার সঙ্গে ওই ঘটনারও যোগসূত্র থাকতে পারে। এ বিষয়ে হোসেনপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন চন্দ্র সরকার বলেন, হামলার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে আটক করা হয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম নয়নকে (৩৮) কুপিয়ে দুই হাতের কবজি কেটে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার গচিহাটা বাজার থেকে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফেরার পথে কাচারিপাড়া মোড় সংলগ্ন মুচি বাড়ির নিকট পৌঁছালে দেশীয় ধারাল অস্ত্র নিয়ে দুর্বৃত্তরা তার গতিরোধ করে ধারাল অস্ত্র দিয়ে তার দুই হাতের কবজি কেটে বিচ্ছিন্ন করে। এসময় তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে পালিয়ে যায় তারা।  তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে আশংকাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক (পঙ্গু) হাসপাতালে নেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। মো. রফিকুল ইসলাম নয়ন সহশ্রাম ধূলদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সতরদ্রোন গ্রামের শাহজাহান মিয়ার বড় ছেলে। রফিকুল ইসলাম নয়নের বাবা শাহজাহান মিয়া বলেন, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের জেরে এই হামলা ঘটে থাকতে পারে। এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম আকন্দ বলেন, প্রায় দেড় বছর আগে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সতরদ্রোণ ও রায়খলা গ্রামে পাল্টাপাল্টি দুটি খুনের ঘটনা ঘটে। এর একটি মামলায় শাহজাহান ও নয়ন আসামি। পরবর্তী সময়ে অভিযোগপত্র থেকে তাদের নাম বাদ পড়েছে। নয়নের ওপর হামলার সঙ্গে ওই ঘটনারও যোগসূত্র থাকতে পারে। এ বিষয়ে হোসেনপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন চন্দ্র সরকার বলেন, হামলার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে আটক করা হয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে দুর্বৃত্তরা এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে কুপিয়ে দুই হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করেছে। তার নাম রফিকুল ইসলাম নয়ন (৩৮)। 

গাজীপুরের টঙ্গীতে ট্রেনের সঙ্গে ট্রাকের ধাক্কায় এক যাত্রীর কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। রোববার (৫ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে টঙ্গীর মধুমিতা লেভেল ক্রসিং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত ট্রেনযাত্রীর নাম মাজেদ খান (৩৫)। তিনি সিলেটের বাসিন্দা।  ঘটনার পর ট্রেন থামিয়ে আহত মাজেদকে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহত মাজেদের বাম হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। স্থানীয়রা জানান, রোববার রাতে সিলেট থেকে ছেড়ে আসা উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছায়। পরে ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের উদ্দেশে রওনা হলে কয়েক মিনিটের দূরত্বে মধুমিতা লেভেল ক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে পাথরবোঝাই একটি ট্রাককে ধাক্কা দেয়। ধাক্কা লেগে ট্রাকটি ট্রেনটির দ্বিতীয় বগিতে আঘাত করে। এ সময় ট্রেনের জানালা দিয়ে বাইরে হাত রাখা যাত্রীর কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার রাকিবুর রহমান বলেন, ‘ঘটনার কয়েক মিনিট আগে ট্রেনটি টঙ্গী রেলওয়ে পেরিয়ে যায়। পরে ওই এলাকায় একটি ট্রাক রেললাইনের ওপর উঠে পড়লে ট্রাকটিকে ধাক্কা দেয়।’ টঙ্গী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক ছোটন শর্মা বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। ট্রাকটির চালক ও সহযোগী ট্রাক ফেলে পালিয়ে গেছেন।’

প্রকাশ্যে কুপিয়ে যুবকের কবজি বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ঘটে যাওয়া এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

নাটোর পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মিঠুন আলীর হাতের কবজি কেটে ফেলার ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজানসহ ৩০ জনের নামে মামলা হয়েছে। অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে আরও ১০ জনকে। গত সোমবার রাত ১২টার দিকে সদর থানায় মামলাটি করেন মিঠুনের ছোট ভাই স্বপ্ন বাদশা। এ ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নাটোর সদর থানার ওসি নাছিম আহমেদ জানান, গত রোববার রাতে শহরের বলারিপাড়ায় মিঠুন আলীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে সন্ত্রাসীরা। এ সময় তারা মিঠুনের ডান হাতের কবজি কেটে ফেলে। তাকে রক্ষা করতে গিয়ে আহত হন মিঠুনের তিন সমর্থক। আহত এই যুবলীগ নেতা বর্তমানে ঢাকার লালমাটিয়ায় সিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মামলায় শরিফুল ইসলাম ছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোর্তজা আলীসহ বেশ কয়েকজন নেতার নাম রয়েছে। পুলিশ শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত ৫ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।

নাটোর পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মিঠুন আলীকে কুপিয়ে হাতের কবজি কেটে ফেলার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।