বস্তায় কপি ও কচু চাষে স্বাবলম্বী আব্দুল মালেক
রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের নিজপাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল মালেক পরিত্যক্ত জমিতে বস্তায় হাজারি বাঁধা কপি ও মুখি কচু চাষ শুরু করে এলাকায় সাড়া ফেলেছেন। এ চাষ পদ্ধতি দেখতে বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকজন তার বাড়িতে ভিড় করেন। কৃষক আব্দুল মালেক কালবেলাকে বলেন, প্রাথমিকভাবে ৬টি হাজারি কপি ও ৭০ বস্তায় মুখী কচু চাষ শুরু করেছি। এ কাজে সহযোগিতা করেছেন স্ত্রী ও মেয়ে। আমার নিজের ৬ শতক জমিতে ১০০ বস্তায় বাদামসহ মুখি কচুসহ নানা জাতের সবজি চাষ করেছি। এতে আমার প্রায় ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তিনি বলেন, আশা করছি সব মিলে ৬০/৭০ হাজার টাকার বেশি সবজি বিক্রি করতে পারব। এ ছাড়া প্রতিটি হাজারি বাঁধা কপি গাছে ২৫/৩০টি করে ছোট ছোট বাঁধা কপি ধরেছে। প্রথম অবস্থায় অল্প পরিসরে চাষ করেছি। এ বছর লাভ ভালো হলে আগামীতে আরও বড় পরিসরে চাষ করব।  এ কৃষক আরও বলেন, আমার স্বপ্ন সরকারিভাবে সহযোগিতা পেলে একটি কৃষি পার্ক ও মানসম্মত জাতের সবজির বীজ উৎপাদন কেন্দ্র করার। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহানাজ পারভীন ও উপসহকারী কৃষি অফিসার বাদল চন্দ্র বর্মন এসব সবজি চাষে উদ্বুদ্ধ করতে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহানাজ পারভীন কালবেলাকে বলেন, আধুনিক চাষ পদ্ধতিতে হাজারি বাঁধা কপি, মুখি কচু ও বাদাম চাষে পানি ও কীটনাশক কম। এভাবে হাজারি বাঁধাকপি, মুখি কচু ও বাদাম চাষ করতে চাইলে আগ্রহীদের প্রশিক্ষণ, পরামর্শসহ আমাদের কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা দেওয়া হবে।  তিনি বলেন, এসব সবজি চাষে রোগবালাই কম হয়। যাদের জমি নেই, শুধু বাসস্থান আছে তারা এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে লাভবান হতে পারবে।
০২ জুলাই, ২০২৪
X