কঙ্কাল তুলে কবরস্থানে সবজি চাষ
হবিগঞ্জের মাধবপুরে কবরস্থান দখল ও কঙ্কাল তুলে সবজি চাষ করার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মৃতদের স্বজন ও এলাকাবাসীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের কমলপুর গ্রামের বজলু মিয়া বৈধ দলিল না থাকা সত্ত্বেও কবরস্থান দখল করে সবজি চাষ করেছেন। এ ঘটনায় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন স্থানীয়রা। জানা গেছে, কয়েক যুগ আগে আব্দুল মাওলা নামে একজন স্থানীয় কমলপুর মৌজায় ৯ শতক  জায়গা কবরস্থান হিসেবে দান করলে তা রেকর্ড হয়। এসএ রেকর্ডে এটি কবরস্থান হিসেবে রেকর্ড রয়েছে। এলাকাবাসীর দাবি, এ কবরস্থানে কমলপুর গ্রামের রফিক মিয়ার ভাগনে সজীব মিয়া ও তার চাচা শাহজাহান মিয়া, আব্দুল হাসিমের দুই ছেলে আনিস ও হামিদ, মতলব মিয়ার মেয়ে মর্জিনা বেগম, মুমিন মিয়ার শাশুড়ির কবর রয়েছে। এ ছাড়া কয়েকজন শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের কবরসহ অসংখ্য মানুষের কবর রয়েছে কবরস্থানটিতে। কবরস্থানে সবজি লাগানো অত্যন্ত রুচিবিবর্জিত কাজ। জেনে কেউ ওই সবজি খাবে না। কবরস্থানের বর্তমান দখলদার বজলু মিয়া বলেন, এটি একাধিক বিক্রির মাধ্যমে আমার কাছে এসেছে। এটি কবরস্থান নয় বরং আমার মালিকানাধীন কৃষিজমি। স্থানীয় বাসিন্দা রফিক মিয়া বলেন, এখানে আমার ভাগনে ও চাচার কবর রয়েছে। এরা তাদের কঙ্কাল তুলে ফেলে দিয়ে চাষাবাদ করছে। এরা জঘন্য কাজ করছে। এটি দখলমুক্ত না হলে আমরা তীব্র আন্দোলনের ডাক দেব। আমরা এর বিচার চাই। স্থানটিতে শতাধিক কবরও রয়েছে। চৌমুহনী ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান সোহাগ বলেন, আমরা আইনশৃঙ্খলা সভায় কবরস্থান উদ্ধারে জোরালো প্রস্তাব রাখব।
০২ জুলাই, ২০২৪

পাবনায় ফের কবরস্থান থেকে কঙ্কাল চুরি
দুইদিনের ব্যবধানে পাবনায় ফের কবরস্থান থেকে কঙ্কাল চুরির ঘটনা ঘটেছে। এবার পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার রাজাপুর কেন্দ্রীয় কবরস্থান থেকে ৫টি কঙ্কাল চুরি হয়েছে। রোববার (৯ জুন) দিবাগত রাতের কোনো এক সময় এসব কঙ্কাল চুরি হয়েছে বলে ধারণা করছে স্থানীয়রা। সোমবার (১০ জুন) দুপুরে চুরির ঘটনা জানতে পারেন এলাকাবাসী। এর আগে গত শুক্রবার (৭ জুন) রাতে সুজানগর উপজেলার দুলাই ইউনিয়নের চিনাখড়া কেন্দ্রীয় কবরস্থান থেকে ৫টি কঙ্কাল চুরি হয়। এছাড়া চলতি বছরের ১৯ মার্চ ভোররাতে পাবনার বেড়া উপজেলার আমিনপুর থানার খাস আমিনপুর কেন্দ্রীয় কবরস্থান থেকে প্রথম কঙ্কাল চুরির ঘটনা ঘটে। সেই কবরস্থান থেকে ১৫টি কঙ্কাল উধাও হয়েছিল। সে ঘটনার এখন পর্যন্ত রহস্য উদঘাটন বা জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। সেটার কোনো তথ্য উদঘাটন না হতেই এবার দুইদিনের ব্যবধানে পরপর দুই কবরস্থান ১০টি কঙ্কাল চুরি হলো। এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক ও উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।   প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বাসিন্দা ময়েজ উদ্দিন, আরিফ হোসেন জানান, সাঁথিয়া উপজেলার ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নের রাজাপুর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে পাশ দিয়ে তিলের জমিতে যাচ্ছিলেন এক কৃষক। এ সময় তিনি কবরস্থানে তাকালে কবরের উপরে বাঁশের চাটাই সরানো ও মাটি খোঁড়া দেখতে পান। পরে তিনি কবরস্থানের ভেতরে গিয়ে দেখতে পান ৫টি কবর খোঁড়া, ভেতরে মরদেহের কোনো কিছু নেই। কবরগুলো অনেক দিনের পুরোনো। এ বিষয়ে ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়ন পরিষেদের চেয়ারম্যান মনসুর আলম পিনচু বলেন, এর আগে দুই জায়গার কবর থেকে চুরি হয়েছে। এবার আমার এলাকায় একই ঘটনা ঘটলো। এক থেকে দেড় বছর আগে মারা যাওয়া মানুষের কঙ্কাল চুরি হচ্ছে। কারা কি কারণে একের পর এক কঙ্কাল চুরি করছে বুঝতে পারছি না। মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। আমি পুলিশ ও ইউএনওকে জানিয়েছি। প্রশাসনের কঠোরভাবে এ বিষয়টি তদন্ত করা উচিত। সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ কবরস্থান পরিদর্শন করেছে। কিছু কবর আংশিক খুঁড়ছে, কোনো সম্পূর্ণ খুঁড়ছে। এটা অমানবিক কাজ। কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেবো। তারপরও এই চক্রকে ধরতে চেষ্টা করছে পুলিশ। সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমি খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শণে যাচ্ছি। কবরস্থান থেকে কেন এভাবে মরদেহের কঙ্কাল চুরি হচ্ছে, সে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হবে।
১১ জুন, ২০২৪

পাবনায় কবরস্থান থেকে আরও ৫ কঙ্কাল চুরি
আবারও পাবনার সুজানগর উপজেলার দুলাই ইউনিয়নের চিনাখড়া কেন্দ্রীয় কবরস্থান থেকে এক রাতেই পাঁচটি কঙ্কাল চুরির ঘটনা ঘটেছে। সংঘবদ্ধ চোরের দল ওই কবরস্থানের পুরোনো বিভিন্ন কবর খুঁড়ে কঙ্কালগুলো চুরি করে নিয়ে যায়। এর আগে পাবনা আমিনপুর থানার আমিনপুর গোরস্তান থেকে ১৫টি কঙ্কাল চুরির ঘটনা ঘটে। গত শুক্রবার মধ্যরাতের কোনো এক সময়ে কঙ্কালগুলো চুরি হয়। এলাকার শত শত মানুষ কবরস্থানে শনিবার উপস্থিত হয়ে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান। স্থানীয় বাসিন্দা ও চিনাখড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শরিফুল ইসলাম বলেন, শনিবার সকালে কয়েকজন শ্রমিক ওই কবরস্থান পরিষ্কার করতে যান। এ সময় তারা কয়েকটি কবর খোঁড়া দেখতে পেয়ে স্থানীয়দের খবর দেন। লোকজন এসে পাঁচটি কবর খুঁড়ে রাখা অবস্থায় দেখতে পান। সেগুলোতে কোনো মরদেহ ও কঙ্কালের চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যায়নি। দুলাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও চিনাখড়া কেন্দ্রীয় গোরস্তান কমিটির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম শাহজাহান বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সকালে তিনি কবরস্থান থেকে কঙ্কাল চুরির খবর পান। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে পাঁচটি কবর খুঁড়ে রাখা অবস্থায় দেখতে পান। পরে তাৎক্ষণিকভাবে থানায় জানালে সেখানে পুলিশ পৌঁছায়। যেসব কবর থেকে কঙ্কাল চুরি হয়েছে, সেগুলোর সবই কয়েক বছরের পুরোনো। সুজানগর থানার ওসি জালাল উদ্দিন বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
০৯ জুন, ২০২৪

পাবনায় আবারও কবরস্থান থেকে এক রাতে ৫ কঙ্কাল চুরি
আবারও পাবনার সুজানগর উপজেলার দুলাই ইউনিয়নের চিনাখড়া কেন্দ্রীয় কবরস্থান থেকে এক রাতেই ৫টি কঙ্কাল চুরির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (০৭ জুন) রাতের কোনো এক সময়ে কঙ্কালগুলো চুরি হয়। সংঘবদ্ধ চোরের দল ওই কবরস্থানের বিভিন্ন পুরোনো কবর খুঁড়ে কঙ্কালগুলো চুরি করে নিয়ে যায়।  এর আগে পাবনা আমিনপুর থানার আমিনপুর কবরস্থান থেকে ১৫টি কক্কাল চুরির ঘটনা ঘটে। এলাকার শত শত মানুষ কবরস্থানে শনিবার উপস্থিত হয়ে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান। স্থানীয় এলাকার বাসিন্দা ও চিনাখড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শরিফুল ইসলাম বলেন, সকালে কয়েকজন শ্রমিক ওই কবর স্থানে লতাপাতা পরিষ্কার করতে যান। এ সময় তারা কয়েকটি কবর খোঁড়া দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজনদের খবর দেন। লোকজন এসে ৫টি কবর খুঁড়ে রাখা অবস্থায় দেখতে পান। সেগুলোতে কোনো মরদেহ ও কঙ্কালের চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যায়নি। দুলাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও চিনাখড়া কেন্দ্রীয় কবরস্থান কমিটির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম শাহজাহান বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সকালে তিনি কবরস্থান থেকে কঙ্কাল চুরির খবর পান। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে ৫টি কবর খুঁড়ে রাখা অবস্থায় দেখতে পান। পরে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে বিষয়টি জানালে সেখানে পুলিশ পৌঁছায়। যেসব কবর থেকে কঙ্কাল চুরি হয়েছে, সেগুলোর সবই কয়েক বছরের পুরোনো। সুজানগর থানার ওসি জালাল উদ্দিন বলেন, বিষয়টি তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
০৮ জুন, ২০২৪

নালা থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির কঙ্কাল উদ্ধার
রাজশাহীতে একটি নালা থেকে অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তির কঙ্কাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (২২ মে) সন্ধ্যার পর নগরীর নগরপাড়া এলাকা থেকে কঙ্কালটি উদ্ধার করা হয়।  নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার ওসি এমরান হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ওসি বলেন, ২০ থেকে ২৫ দিন আগে এই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। মরদেহে পচন ধরে কঙ্কাল হয়ে গেছে। সেটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। বুধবার কয়েকটি শিশু নালাটির পাশে খেলাধুলা করছিল। এ সময় তারা মরদেহটি দেখতে পায়। বিষয়টি জানাজানি হলে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে। তিনি জানান, মরদেহের কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। শুধু এটি একটি পুরুষের মরদেহ তা বোঝা গেছে। আশপাশের কোনো মানুষ নিখোঁজ আছেন কি না, সে ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এটি হত্যাকাণ্ড না কি স্বাভাবিক মৃত্যু ছিল, তা প্রাথমিকভাবে বোঝা সম্ভব হয়নি বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
২৩ মে, ২০২৪

ধানক্ষেতে পড়ে ছিল মানুষের কঙ্কাল
টাঙ্গাইলের পৌরসভার সন্তোষ এলাকায় মানুষের কঙ্কাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (৬ মে) বিকালে শহরের সন্তোষের একটি ধানক্ষেত থেকে কঙ্কালটি উদ্ধার করা হয়।  সদর থানার ওসি মো. লোকমান হোসেন কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয়রা জানান, শহরের সন্তোষ এলাকার একটি ধানক্ষেতে কাজ করার সময় স্থানীয়রা মানুষের কঙ্কালটি দেখতে পান। এরপর পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কঙ্কালটি উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।  ওসি লোকমান হোসেন বলেন, শহরের সন্তোষ এলাকার একটি ধানক্ষেতে স্থানীয়রা মানুষের কঙ্কাল দেখে খবর দেন। দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে কঙ্কাল উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। আগামীকাল ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে কঙ্কালটির ডিএনএ টেস্ট করার জন্য পাঠানো হবে।  তিনি বলেন, এখনো কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি বা নিখোঁজ কোনো ব্যক্তিরও তথ্য পাইনি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, অনেকদিন আগেই লাশ এখানে ফেলে রাখা হয়েছে।
০৭ মে, ২০২৪

টাঙ্গাইলে মানুষের কঙ্কাল উদ্ধার
টাঙ্গাইলের পৌর এলাকার সন্তোষ থেকে মানুষের কঙ্কাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার বিকেলে শহরের সন্তোষ এলাকা থেকে কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. লোকমান হোসেন। তিনি বলেন, শহরের সন্তোষ এলাকার একটি ধানক্ষেতে স্থানীয়রা মানুষের কঙ্কাল দেখে থানায় খবর দেন। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ কঙ্কাল উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। আজ মঙ্গলবার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে কঙ্কালটির ডিএনএ পরীক্ষা করার জন্য পাঠানো হবে। এখনো কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি, বা নিখোঁজ কোনো ব্যক্তিরও তথ্য পায়নি পুলিশ। তবে ধারণা করা হচ্ছে, দীর্ঘদিন হয়ে গেছে এই লাশের।
০৭ মে, ২০২৪

কবর খুঁড়ে লাশ ও কঙ্কাল চুরি বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়া প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল
কবর খুঁড়ে লাশ ও কঙ্কাল চুরি বন্ধে কেন পদক্ষেপ নেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে কবরস্থানগুলো যথাযথ তদারকি ও সুরক্ষায় একটি সার্বজনীন আইন প্রণয়ন করা কেন হবে না- রুলে তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে। মানবাধিকার ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থার (মওসুস) পক্ষে সংগঠনের চেয়ারম্যান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী গোলাম রহমান ভূঁইয়া গত ১৪ মার্চ রিটটি দায়ের করেন। কবর খুঁড়ে লাশ ও কঙ্কাল চুরি রোধে মরদেহ সুরক্ষায় আইন তৈরির নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করা হয় বলে জানান তিনি। রিটে স্বরাষ্ট্রসচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ও পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে আইনজীবী গোলাম রহমান ভূঁইয়া নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। এডভোকেট গোলাম রহমান ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, সিটি কর্পোরেশন এলাকা ও আঞ্চলিক এলাকার কবরস্থান থেকে লাশ ও কঙ্কাল চুরির ঘটনা প্রতিনিয়তই ঘটছে। এ বিষয়ে প্রায়শই বিভিন্ন গণমাধ্যমে সেই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তাই কবরস্থানগুলো সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশনা চেয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

রাতের আঁধারে খোঁড়া হয়েছে ১৫ কবর, ভেতরের দৃশ্যে তোলপাড়
পাবনা বেড়া উপজেলার আমিনপুরে এক রাতেই অন্ধকারে কবরস্থান থেকে ১৫টি মরদেহের কঙ্কাল চুরি হয়েছে। সোমবার (১৮ মার্চ) রাতে আমিনপুরের নতুন বাজার গোরস্থানে এ ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকালে বিষয়টি স্থানীয়রা টের পান। এরপর থেকেই কবরস্থানে স্বজনরা ভিড় করতে থাকেন। একপর্যায়ে তারা দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। চুরি হওয়া এক লাশের স্বজন মাসুদ রানা বলেন, এটা ভাবতেই অবাক লাগছে। মহাসড়কের পাশে এই কবরস্থান থেকে কঙ্কাল চুরি কোনো সাধারণ ঘটনা নয়। আমাদের দাবি পুলিশ দ্রুত এই ঘটনা উদঘাটন করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবেন। আরেক স্বজন জাহিদ হাসান বলেন, এত দিন আমরা দেখে আসছি আমাদের দেশে বেঁচে থাকা অবস্থায় মানুষের নিরাপত্তা নেই। এখন দেখছি মরে গেলেও মানুষের লাশেরও নিরাপত্তা নেই। বিষয়টি নিশ্চিত করে আমিনপুর থানার ওসি হারুন-উর-রশীদ বলেন,‌ রাতের কোনো এক সময় কবর খুঁড়ে কঙ্কাল চুরি করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। আজকে সকালে স্বজনরা কবরস্থানে দোয়া করতে গেলে সেখানে কবর খোঁড়া অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয়রা। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি। তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত বলা যাবে।
১৯ মার্চ, ২০২৪

মানিকগঞ্জের কবরস্থানে বেড়েই চলছে কঙ্কাল চুরি
মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায় কবরস্থান থেকে কঙ্কাল চুরির ঘটনা বেড়েই চলেছে। গত কয়েক বছরে উপজেলার কাত্রাসিন ও বোয়ালী কবরস্থানে একাধিকবার কঙ্কাল চুরির ঘটনা ঘটেছে। গেল মাসেও বোয়ালী কবরস্থানে ৮-১০টি কবর খোঁড়ার অবস্থায় পাওয়া গেছে।  এ দিকে, শনিবার (৩ মার্চ) রাতে উপজেলার বরংগাইলের (বনগ্রাম) এলাকার জান্নাতুল বাকি কবরস্থানের কঙ্কাল চুরির ঘটনা ঘটে।  প্রতিনিয়ত কঙ্কাল চুরির ঘটনা বাড়তে থাকলেও আইনের আওতায় আসছে না চোরাকারবারিরা। এতে ক্ষোভ আর আতঙ্ক বাড়ছে কবরে সমাহিত থাকা ও চুরি হয়ে যাওয়া মরদেহের স্বজন ও স্থানীয়দের মাঝে।  স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, কবরস্থানের বেশ কিছু কবর খোঁড়া অবস্থায় দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। ওই কবরস্থানের ১০টি কবর আংশিকভাবে খোঁড়া ও ৭-৮টি কবর পুরোপুরি খোঁড়া অবস্থায় পাওয়া যায়।  এ ছাড়াও কয়েকটি কববের উপরে সমাহিত মরদেহের মাথার খুলি ও হাড়গোড় পাওয়া যায়। তবে স্থানীয়দের ধারণা, এ কবরস্থান থেকে ১৮টি কঙ্কাল রাতে কোনো এক সময় চুরি হয়ে গেছে। শিবালয় থানার ওসি আব্দুর রউফ সরকার বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
০৩ মার্চ, ২০২৪
X