এবার সিরাজগঞ্জে মিলল রাসেল ভাইপারের বাচ্চা, এলাকায় আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে গত তিন দিনে তিনটি রাসেল ভাইপার সাপের বাচ্চা ধরা পড়ায় ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক। মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাত ৮টার দিকে উপজেলার জামতৈল গ্রামের সরকারি হাজী কোরপ আলী মেমোরিয়াল কলেজ সংলগ্ন বুদ্ধুর মোড়ে সাপের বাচ্চা ধরা পড়ে। স্থানীয়রা জানায়, গত দুই দিন আগে যে দুটি বাচ্চা মারা হয়েছে তখন এটা ভালোভাবে খেয়াল করিনি। আজকে এর গঠন এবং চলাফেরা দেখে মনে হচ্ছে রাসেল ভাইপার হবে। বিষধর এই সাপের বাচ্চা বের হওয়ায় এলাকায় মানুষের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে। যেহেতু এটি বাচ্চা তাহলে অবশ্যই বাচ্চার মা এবং আরও রাসেল ভাইপারের বাচ্চা এলাকায় আছে বলে সবাই ধারণা করছে। দীর্ঘদিন ধরে বুদ্ধর মোড়ে দোকানদারি করা বুদ্ধ বলেন, আমরা প্রথমে এটাকে সাধারণ সাপ হিসেবেই মনে করেছি। গত পরশুদিনও একটা বাচ্চাকে মেরে ফেলেছি। আজকে সন্ধ্যার পরেই দেখি বাচ্চাটা দোকানের সামনেই নড়াচড়া করছে। তখন রাজা, জীবন, রাজ্জাক, মিঠু দেখে তারা বলে এটা রাসেল ভাইপার। পরে তারা সাপের বাচ্চাটিকে আটকায়। ইউএনও শাহিন সুলতানা বলেন, এখন পর্যন্ত যে আতঙ্কিত এলাকাগুলোর নাম রয়েছে তার ভেতরে আমাদের এলাকার নাম ছিল না। আমাদের সবাইকে এখন আরও সতর্কভাবে চলাফেরা করতে হবে।
২৫ জুন, ২০২৪

জামিনে এসেই ছাত্রলীগ নেতাকে গুলি, এলাকায় আতঙ্ক
ফেনী শহরের পুলিশ কোয়ার্টার ও রামপুর এলাকার ত্রাস পিটু বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড মো. সাব্বির জামিনে এসেই প্রতিপক্ষের ওপর হামলা চালিয়েছে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয় মো. মানিক নামে ১৬ বছরের এক কিশোর। মানিক পুলিশ কোয়ার্টার এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে। ঘটনার পর থেকে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। মানিকের ডান হাতে গুলি লেগে অপর পাশ দিয়ে বের হয়ে গেছে বলে ফেনী জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়। স্থানীয়রা জানান, সাব্বির মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সকালে জেল থেকে জামিন পায়। এরপর বুধবার (২৯ নভেম্বর) তার দলবল নিয়ে চলে আসে শহরের রামপুরের শাহীন একাডেমি সড়কে নিজের পুরনো আস্তানায়। এ সময় সে ছাত্রলীগ নেতা মানিককে পেয়ে ওয়ার্ড যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিউল্যাহ শুভর সঙ্গ ত্যাগ করতে বলে। না হলে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। মানিক ঘটনাটি শুভকে জানালে শুভ দলীয় কর্মীদের নিয়ে শাহীন একাডেমি এলাকার দিকে যাওয়ামাত্রই এমরানের কলোনির সামনে গেলেই সাব্বির তাদের লক্ষ করে গুলি ছোড়ে। এতে একটি গুলি মানিকের হাতে এক পাশ দিয়ে ঢুকে অপর পাশ দিয়ে বের হয়ে যায়। জামিনে এসেই নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করতে রামপুর ও পুলিশ কোয়াটার এলাকায় বুধবার রাতে অস্ত্র হাতে তার দলের সদস্যদের নিয়ে মহড়া দেয় বলে স্থানীরা জানান। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আসিফ ইকবাল জানান, মানিক নামের এক কিশোর গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রাতে হাসপাতালে আসে। তার ডান হাতের কনুইয়ের ওপর গুলি এক দিক দিয়ে ঢুকে অপর দিক দিয়ে বের হয়ে যায়। তাকে হাসপাতালে ভর্তি দেওয়া হয়েছে। ফেনী মডেল থানার ওসি শহিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আশপাশের সিসি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। জড়িতদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। প্রসঙ্গত, গত ২৯ সেপ্টেম্বর শহরের শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়কে ধানসিঁড়ি রেস্তারায় প্রকাশ্যে হামালা চালিয়ে ৪ জনকে কুপিয়ে আহত করার মামলায় এতদিন শাব্বির জেল হাজতে ছিল। সে ওই মামলার ২ নম্বর আসামি ছিল। তার বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।
৩০ নভেম্বর, ২০২৩

কসবায় বিস্ফোরণ এলাকায় আতঙ্ক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়ে মাটির নিচ থেকে অগ্নুৎপাতের ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। গতকাল কসবা-চৌমুহনী সড়কের পাশে বিশাড়াবাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে দমকল বাহিনীর সদস্যরা এসে আগুন নেভান। এ খবরে ঘটনাস্থলে ছুটে যান নির্বাহী কর্মকর্তা আমিমুল এহসান খানসহ প্রশাসনের লোকজন। স্থানীয়রা জানান, বিশাড়াবাড়ী গ্রামের লোকজনের কোরবানির পশুর চামড়া লোকসানের ভয়ে ব্যবসায়ীরা না কেনায় সাড়ার গ্রামের চামড়া ঘটনাস্থলে মাটি চাপা দেয়। মাটিচাপা দেওয়া চামড়া ধীরে ধীরে মাটির নিচে পচে গিয়ে বায়োগ্যাস তৈরি হয়ে বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়ে মাটিতে আগুন ধরেছে বলে ধারণা করছেন দমকল বাহিনীর কর্মকর্তা আবদুল্লাহ খালিদ। আগুন নেভানোর পরও মাটির নিচ থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা গেছে।
০৪ আগস্ট, ২০২৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিকট শব্দে বিস্ফোরণ, এলাকায় আতঙ্ক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বিস্ফোরিত হয়ে মাটির নিচ থেকে অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।  বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) সকালে কসবা উপজেলার কসবা-চৌমুহনী সড়কের পাশে বিশাড়াবাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে দমকল বাহিনীর লোকজন এসে আগুন নেভায়।  এ খবরে ঘটনাস্থলে ছুটে যান নির্বাহী কর্মকর্তা আমিমুল এহসান খানসহ স্থানীয় প্রশাসনের লোকজন। স্থানীয়রা জানায়, লোকসানের ভয়ে ব্যবসায়ীরা বিশাড়াবাড়ী গ্রামের লোকজনের কোরবানির পশুর চামড়া না কেনায় চামড়াগুলো ঘটনাস্থলে মাটিচাপা দেয় গ্রামবাসী। মাটিচাপা দেওয়া চামড়া ধীরে ধীরে মাটির নিচে পচে গিয়ে বায়োগ্যাস তৈরি হয়ে বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়ে মাটিতে আগুন ধরেছে বলে ধারণা করছেন দমকল বাহিনীর কমকর্তা আবদুল্লাহ খালিদ। এদিকে আগুন নেভানোর পরও মাটির নিচ থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা গেছে। চামড়া পচে তৈরি হওয়া বায়োগ্যাস নাকি প্রাকৃতিক গ্যাস বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সালদা নদী ও বাখরাবাদ গ্যাসফিল্ডের কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিমুল এহসান খান।
০৩ আগস্ট, ২০২৩
X