জনবসতিপূর্ণ এলাকায় পোল্ট্রি খামার, অতিষ্ঠ এলাকাবাসী
পরিবেশ নীতি উপেক্ষা করে দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে জনবসতিপূর্ণ এলাকায় সিনহা পোল্ট্রি খামার নামে একটি মুরগির খামার গড়ে তুলেছেন পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার জয়নগরের বাসিন্দা আরজ আলী সরদার। জনবসতিপূর্ণ এলাকায় গড়ে তোলা ওই পোল্ট্রি খামারের বর্জ্যের তীব্র দুর্গন্ধে আশেপাশের বসতবাড়িগুলোতে বসবাস করতে পারছেন না স্থানীয়রা।  অন্যদিকে খামারের নিকটবর্তী ১০ থেকে ১৫ মিটারের মধ্যে মসজিদ থাকায় তীব্র দুর্গন্ধের কারণে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েছে সেখানে নামাজ আদায় করতে আসা অর্ধশত মুসল্লিরা। এ ছাড়াও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে দেশের সবচেয়ে বড় মেগা প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প ও ঈশ্বরদী ইপিজেডসহ বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের দেশি-বিদেশি কর্মকর্তা ও শ্রমিকরা তাদের ভাড়া বাসা ছেড়ে দিয়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন।  এ ঘটনায় ভুক্তভোগী এলাকাবাসীর পক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা কামরুল হাসান (জিয়া)। এ ছাড়াও পরিবেশ অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয় (বগুড়া), জেলা কার্যালয় (পাবনা), উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), ঈশ্বরদী থানা, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান র‍্যাব-১২ বরাবর অভিযোগের অনুলিপি প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানা গেছে।  এদিকে লিখিত অভিযোগ পেয়ে রোববার বিকেলে ওই পোল্ট্রি খামার পরিদর্শন করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর পাবনা জেলা শাখার কর্মকর্তারা। পরিবেশ অধিদপ্তর পাবনা জেলা শাখার পরিদর্শক আব্দুল মমিন জানান, প্রাথমিকভাবে ওই পোল্ট্রি খামার পরিদর্শন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন দেখে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুবীর কুমার দাস জানান, ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে একজন লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। দ্রুতই ওই পোল্ট্রি খামারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  তবে এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি অভিযুক্ত ওই পোল্ট্রি খামারের মালিক আরজ আলী সরদার। স্থানীয়দের দাবি, জনবসতিপূর্ণ ওই এলাকা থেকে অতি দ্রুত অস্বাস্থ্যকর ও দুর্গন্ধযুক্ত এই পোল্ট্রি খামার স্থানান্তর করা হোক।
০২ জুলাই, ২০২৪

সাতক্ষীরা উপকূলে বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ধস, আতংকে এলাকাবাসী
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বিভাগ-১ এর আওতাধীন ১৫ নম্বর পোল্ডারে শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের সোরা গ্রামের উপকূল রক্ষা বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ধস দেখা দিয়েছে। খোলপেটুয়া নদীর প্রবল জোয়ারের তোড়ে গত শনিবার সোরা গ্রামের মালিবাড়ি সংলগ্ন অংশের বেড়িবাঁধে হঠাৎ ধস দেখা দেয়। সোমবার (২৪ জুন) সকাল পর্যন্ত তা অব্যাহত ছিল। ফলে টানা তিন দিনে প্রায় দুইশ ফুট এলাকাজুড়ে বাঁধের অংশ বিশেষ খোলপেটুয়া নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। দ্রুত মেরামত না হলে ১২ থেকে ১৪টি গ্রাম নদীর পানিতে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা থাকায় গোটা এলাকাজুড়ে ভাঙন আতংকে রয়েছে এলাকাবাসী। স্থানীয়দের অভিযোগ, টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণে শ্যামনগর উপজেলার দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরায় এক হাজার বিশ কোটি টাকা ব্যয়ে মেগা প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে প্রায় দুই বছর আগে। কিন্তু ইউনিয়নের সোরা গ্রামের মালিবাড়ি সংলগ্ন এলাকার বেড়িবাঁধ সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ থাকলেও সেখানে অদ্যাবধি মেগা প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়নি। বরং ‘জরুরি রক্ষণাবেক্ষণ’ নামে বারবার জোড়াতালি দেওয়ায় প্রায়ই ওই এলাকায় বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দিচ্ছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সোরা গ্রামের দৃষ্টিনন্দনসহ হরিশখালী এলাকায় টেকসই উপকূল রক্ষা বাঁধের কাজ শুরু না হলে যেভাবে বাঁধে ধস দেখা দিয়েছে তাতে খুব শিগগিরই বিস্তীর্ণ এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, হঠাৎ করে ধস নামায় সোরা এলাকার মালিবাড়ি ও গাজিবাড়ী অংশে ১২ থেকে ১৪ ফুট চওড়া উপকূল রক্ষা বাঁধের মাত্র আড়াই থেকে তিন ফুট অবশিষ্ট রয়েছে। প্রায় দুইশ ফুট এলাকাজুড়ে ধসের সৃষ্টি হওয়া ওই অংশের কোনো কোনো স্থানে আবার মাত্র দেড় থেকে দুই ফুট পর্যন্ত বাঁধ অবশিষ্ট রয়েছে। ভাঙনের বিস্তৃতি রোধে একদিন আগে পাউবো’র পক্ষ থেকে ডাম্পিংকৃত জিও ব্যাগগুলো ধসে যাওয়া অংশের পানিতে তলিয়ে গেছে। বাধ্য হয়ে কর্তৃপক্ষ জনবল বাড়িয়ে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা অব্যাহত রেখেছে। ভাঙনকবলিত এলাকায় বসবাসরত মিলন হোসেন জানান, প্রায় দু’বছর আগে থেকে গাবুরায় এক হাজার বিশ কোটি টাকা ব্যয়ে মেগা প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। অথচ ঠিকাদার নিযুক্ত না হওয়ার অজুহাতে তাদের এলাকায় এখন পর্যন্ত মেগা প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়নি। এদিকে খোলপেটুয়া নদীর মধ্যভাগে বিশাল চর জেগে উঠায় স্রোত প্রতিনিয়ত তাদের বসতবাড়ি সংলগ্ন বেড়িবাঁধে আঘাত করছে। এমতাবস্থায় অব্যাহতভাবে তাদের এলাকার বাঁধ ভাঙলেও দীর্ঘমেয়াদি কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় নদী ভাঙনের হুমকির মধ্যে রয়েছে তারা। গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মনজুর হোসেন বলেন, এর আগে ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে বাঁধের ওই স্থান ভাঙন দেখা দিয়েছিল। সে সময় পাউবো ওই বাঁধ মেরামতের উদ্যোগ নেয়। তবে সঠিক তদারকি না থাকায় কাজে বাঁধটি মেরামতে ব্যাপক অনিয়ম হয়। এ কারণে মাস না পেরোতেই বাঁধটি ভাঙনের শঙ্কার মুখে পড়েছে।  তিনি আরও বলেন, দুইদিন থেকে ভাঙনকবলিত স্থানে নদের পানি লেগে বাঁধের মাটি ঢেউ লেগে ধুয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য ফিরোজ হোসেন বলেন, গত এক বছরে সংলগ্ন এলাকার বাঁধে চারবার ধসের ঘটনা ঘটেছে। দীর্ঘমেয়াদি ব্যবস্থা না নেওয়ায় পর্যায়ক্রমে খোলপেটুয়া নদীর ভাঙন গোটা বাঁধকে প্রায় নদীতে মিশিয়ে দিয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া না হলে যে কোনো মুহূর্তে বাঁধ ভেঙে ৯ ও ১০নং সোরা এবং হরিশখালীসহ গাবুরার ১২ থেকে ১৪টি গ্রাম নদীর পানিতে প্লাবিত হতে পারে। গাবুরা ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম জানান, ইউনিয়নের অপরাপর অংশে মেগা প্রকল্পের আওতায় কাজ চলছে। অথচ হরিশখালী ও  সোরার মতো ঝুঁকিপূর্ণ অংশে কাজ না হওয়ায় সেই এলাকা বারবার ভাঙছে। অব্যাহত ভাঙনের কারণে দৃষ্টিনন্দনের একমাত্র মিষ্টি পানির পুকুরসহ একাধিক শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে বিলীনের ঝুঁকিতে রয়েছে। ভাঙন আতংকে বসবাস করছে ওই এলাকার মানুষ। তিনি দ্রুত গাবুরা ইউনিয়নের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে মেগা প্রকল্পের আওতায় এনে কাজ শুরু করার দাবি জানান। বেড়িবাঁধের সংশ্লিষ্ট অংশের দায়িত্বপ্রাপ্ত পাউবো বিভাগ-১ এর উপ-সহকারী প্রকৌশলী সাজ্জাদুল ইসলাম বলেন, গোটা গাবুরা ইউনিয়নে প্রায় ২৯ কিলোমিটার উপকূল রক্ষা বাঁধ নির্মাণের জন্য মেগা প্রকল্পের আওতায় ৪৮টি প্যাকেজ তৈরি করা হয়েছে। প্রায় অর্ধেক প্যাকেজের কাজ চলমান থাকলেও হরিশখালী ও দৃষ্টিনন্দনের ২৬নং প্যাকেজের কাজ করার জন্য অদ্যবধি কোনো ঠিকাদার পাওয়া যায়নি। তিনি আরও বলেন, হরিশখালী ও দৃষ্টিনন্দন এলাকার ভাঙনের বিস্তৃতি ঠেকাতে পাঁচ হাজার বালুভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জরুরি রক্ষণাবেক্ষণ কাজের আওতায় অপরাপর প্রকল্প থেকে সংগৃহীত প্রায় সাড়ে সাতশ’ ব্যাগ ইতোমধ্যে ভাঙনকবলিত অংশে ডাম্পিং করা হয়েছে।
২৫ জুন, ২০২৪

দুটি রাসেলস ভাইপার পিটিয়ে মারল এলাকাবাসী
নওগাঁর ধামইরহাটে দুটি রাসেলস ভাইপার পিটিয়ে মেরেছে এলাকাবাসী। সোমবার (২৪ জুন) বিকেলে উপজেলার নেউটা ও রাঙ্গামাটি এলাকার ঝোপঝাড় থেকে সাপ দুটি বেড়িয়ে আসলে স্থানীয়রা পিটিয়ে মারে। নেউটা এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা রেজাউল হক বলেন, ধামইরহাট এলাকায় এর আগেও রাসেলস ভাইপার উদ্ধার হয়েছে। আত্রাই নদীর তীরবর্তী এলাকা হওয়ায় মাঝেমধ্যেই রাসেলস ভাইপার পাওয়া যাচ্ছে। উপজেলার পাইকবান্দা বনবিট কর্মকর্তা ফরহাদ জাহান বলেন, ২০১৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত এ অঞ্চলে প্রায় ১০টি রাসেলস ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া উদ্ধার হয়েছে। কয়েক বছর আগে ধামইরহাট উপজেলার রাঙ্গামাটি এলাকায় রাসেলস ভাইপারের কামড়ে এক কৃষক আক্রান্ত হয়েছিলেন। পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে তিনি সুস্থ হোন। বেশ কিছুদিন পর আবারো এ সাপের উপদ্রপ বেড়েছে। তাই সকলকে সচেতন থাকার জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। নওগাঁর জেলা প্রশাসক গোলাম মওলা বলেন, সাপের উপদ্রপ থেকে রক্ষায় জেলাজুড়ে সতর্ককরণ প্রচারণা চালানো হবে। জেলার প্রতিটি সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রতিষেধক মজুত রাখা হয়েছে। 
২৫ জুন, ২০২৪

ভোলায় দেখা মিলল রাসেল ভাইপার, আতঙ্কে এলাকাবাসী
অবশেষে ভোলার তজুমদ্দিনেও দেখা মিলল ভয়ংকর বিষধর রাসেল ভাইপার। এতে আতঙ্কিত এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সকালে তজুমদ্দিন উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের কাচারী বাড়ির দরজায় এলাকাবাসী দেখতে পায় রাসেল ভাইপার নামের একটি বিষাক্ত সাপটি। এ সময় স্থানীয়রা সাপটিকে পিটিয়ে মেরে মাটিচাপা দেন। গতকাল বুধবার (১৯ জুন) বিকেলে চাঁদপুর ইউনিয়নের চৌমুহনী ঘাট সংলগ্ন একটি ফসলি জমির খেলার মাঠে বল খেলতে গেলে দেখা হয় সাপটির সঙ্গে। স্থানীয় খেলোয়াড় যারা ছিল সাপটি তাদের আক্রমণ করতে আসলে, তারা ওই মুহূর্তে হাতের কাছে যা ছিল দিয়ে নিজেদের রক্ষা করতে সাপটিকে মেরে ফেলে। পরে পলিথিন পেঁচিয়ে সাপটিকে মাটির নিচে পুঁতে রাখে। রায়হান নামে একজন খেলোয়াড় জানান, বিভিন্ন সময় ফেসবুকে রাসেল ভাইপার সাপ দেখেছি। এবার বাস্তবে ফসলি জমিতে ফুটবল খেলতে গিয়ে সাপটিকে নিজ চোখে দেখলাম। পরে সাপটির ছবি তুলে ইন্টারনেটের মাধ্যমে শনাক্ত করি যে সাপটি বিষাক্ত রাসেল ভাইপার। সাপটি দেখে আমি আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। জানা গেছে, বাংলাদেশে বর্তমানে যেসব সাপ দেখা যায় সেগুলোর মধ্যে রাসেল ভাইপার সবচেয়ে বিষাক্ত। এই সাপের কামড়ে শরীরের দংশিত অংশে বিষ ছড়িয়ে অঙ্গহানি, ক্রমাগত রক্তপাত, রক্ত জমাট বাঁধা, স্নায়ু বৈকল্য, চোখ নষ্ট হয়ে যাওয়া, পক্ষাঘাত ও কিডনির ক্ষতিসহ বিভিন্ন ধরনের শারীরিক উপসর্গ দেখা দেয়। এ বিষয়ে শশীগঞ্জ বনবিভাগের বিট অফিসার গাজী মোহাম্মদ আবুল বাশার বলেন, রাসেলস ভাইপার সাপ লোকালয়ে সাধারণত খুব কমই দেখা যায়। বাচ্চা দেওয়ার কারণে হয়তো ওই সাপটি লোকালয়ে চলে এসেছে। তবে সবাইকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
২০ জুন, ২০২৪

অলৌকিক আগুন আতঙ্কে এলাকাবাসী
দিনাজপুরের পার্বতীপুরে অলৌকিক এক আগুন এলাকাজুড়ে আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মঙ্গলবার (৪ জুন) রাতে পৌর শহরের পশ্চিম নিউ কলোনি ধুপিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এখন পর্যন্ত আগুনের কোনো উৎস পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, ওই এলাকার ভ্যানচালক নুর ইসলাম নুরুর স্ত্রী সাবিয়া খাতুন, দুই ছেলে ও তিন মেয়ে নিয়ে তার সাত সদস্যের পরিবার। সবাই মিলে একই বাড়িতে থাকেন। অবসর সময় স্ত্রীর সঙ্গে তাদের ছোট্ট খাবারের হোটেলে সময় দেন নুরু। গত তিন দিন আগে হঠাৎ দিনের বেলা তার বাড়ির টিনে অলৌকিক এক আগুন দেখতে পান। পরে তা নেভাতে সক্ষম হন। এর পর থেকে গত দুই দিনে খাট, সেলাই মেশিন, ঘরের উঠান, প্লাস্টিকের বস্তাসহ  বাড়ির বিভিন্ন স্থানে অন্তত ৩০ বারের বেশি আগুনের দেখা মেলে। এ ঘটনায় আগুন আতংকে ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে বাড়ির কাপড়, তোশক, বালিসসহ বিভিন্ন মালামাল পার্শ্ববর্তী রায়েয়া খাতুনের বাড়িতে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেও ঘটে বিপত্তি। বাড়ির এ মালামাল নিয়ে ওই বাড়িতে যাওয়া হলে কিছুক্ষণ পর সেখানেও আগুন দেখা দেয়। শুধু তাই নয়, এ আগুন বাড়ি ছেড়ে সর্বশেষ নুরুর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হোটেলেও দেখা যায়। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা কথা ছড়িয়ে পড়লে দূর-দূরান্ত থেকে আসতে শুরু করে উৎসুক জনতা। তবে, এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। রাত ১০টার দিকে আবারও বাড়িতে একটি ভেজা গামছায় আগুন লাগার ঘটনা দেখতে পান পরিবারের লোকজন। খবর পেয়ে পার্বতীপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন সংশ্লিষ্টরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। নুরুর ছেলে ওসমান গনি সিয়াম (২৪) জানান, কয়েকদিন থেকে এ ঘটনা ঘটে চললেও সন্ধ্যার পর এর মাত্রা বেড়ে যায়। ছোট বোন শান্তা আকতার (১৭) ঘটনার পর থেকে অস্বাভাবিক আচরণ করছে। আগুন লাগার আগেই সে বলে দিচ্ছে। মুহূর্তেই সেখানে গিয়ে আগুন দেখতে পাচ্ছি আমরাসহ স্থানীয়রা। তবে, এর কারণ এখনো জানা যায়নি। খবর পেয়ে দেখতে আসা স্থানীয় হামিদুর রহমান, হাফিজুল ইসলাম, শাকিল হোসেন বলেন- অলৌকিক আগুন লাগার ঘটনা শুনে দেখতে এসেছি। তবে ভেজা কাপড়ে আগুন লাগার ঘটনা সবাইকে চমকে দিচ্ছে। এর সঠিক কারণ না জানলেও অনেকে এ ঘটনাকে কুফরি কালাম জাতীয় কর্মকাণ্ড হিসেবে ধারণা করছেন। পার্বতীপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে এসেছি। তবে, কী কারণে এমনটি হচ্ছে তা বলা যাচ্ছে না। দুর্ঘটনা রোধে সবাইকে সচেতন থাকার পাশাপাশি পর্যাপ্ত পানি মজুত করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আমরা এর সূত্রপাত বের করতে কাজ করছি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
০৫ জুন, ২০২৪

কালবেলায় অনিয়মের সংবাদ প্রকাশে সুফল পাচ্ছেন এলাকাবাসী
একটি সড়ক সংস্কারের অনিয়মের সংবাদ প্রকাশের এখন তার সুফল পাচ্ছে স্থানীয় এলাকাবাসী। ‘রাতের আঁধারে নিম্নমানের ইটে হচ্ছে সড়কের কাজ’ শিরোনামে গত ১ এপ্রিল দৈনিক কালবেলায় সংবাদ প্রকাশ হয়েছিল। সংবাদ প্রকাশের পর পত্রিকার বরাত দিয়ে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাইড়া-সিঅ্যান্ডবি সড়কের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এসএস ইন্টারন্যাশনালকে সড়কে ব্যবহার করা নিম্নমানের ইট, রাবিশ অপসারণ করতে নোটিশ দেন উপজেলা প্রকৌশলী রায়হান আলম।  প্রকাশিত সংবাদ ও উপজেলা প্রকৌশলী রায়হান আলমের তৎপরতায় ওই সড়কে ব্যবহার করা নিম্নমানের ইট, রাবিশগুলো সরিয়ে নিয়ে এখন ভালো মানের মালামাল দিয়ে সংস্কার কাজ করছেন এসএস ইন্টারন্যাশনালের কর্ণধার শামীম সরকার। ভালো মানের ও মানসম্মত মালামাল দিয়ে সড়কের সংস্কার কাজ পুনরায় শুরু হওয়ায় এলাকাবাসী আনন্দিত। অনিয়মের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের সুফল পাচ্ছেন তারা। এলাকাবাসী এজন্য কালবেলাকে সাধুবাদ জানান। কালবেলা এভাবেই অনিয়মের বিরুদ্ধে সবসময় সোচ্চার ভূমিকা পালন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। জানা যায়, মুরাদনগর উপজেলায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতাধীন সিঅ্যান্ডবি থেকে বাইড়া সড়কের ১ হাজার ২০ মিটার অংশের সংস্কার কাজ করছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এসএস ইন্টারন্যাশনাল। যার ব্যয় আশি লাখ টাকা। ঠিকাদার শামীম সরকার বলেন, সড়কের কাজটি আমার লাইসেন্সে হলেও কাজটি করছিল একজন সাব কন্টাক্টর। নিম্নমানের মালামালের বিষয়টি আমি জানতাম না। এখন আগের মালামাল সব সরিয়ে নিয়ে ভালো ইটের মাধ্যমে কাজটি করা হচ্ছে এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজটি শেষ করা হবে।  মুরাদনগর উপজেলা প্রকৌশলী রায়হান আলম বলেন, সড়কটিতে রাতের আঁধারে নিম্নমানের মালামাল দিয়ে কাজ করতে গেলে আমরা অবগত হই এবং ব্যবস্থা নেই। কাজ করতে গিয়ে ভুল-ত্রুটি হলে সেটা সংশোধন করার সুযোগ দিয়ে ঠিকাদারকে সংশোধনের জন্য সময় দেওয়া হয়েছিল। তাকে এখন পর্যন্ত কোনো বিল পরিশোধ করা হয়নি। বর্তমানে নিম্নমানের মালামাল অপসারণ করে ভালো মানের ইট এনেছে জানালে আমরা সাইটে যাই। নির্বাহী প্রকৌশলী দপ্তরের ল্যাবরেটরি থেকেও সাইটের মালামালের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। মালামালের মান সঠিক হওয়ায় পুনরায় কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ঠিকাদারকে অন্যায় সুবিধাদানের কোনো প্রবৃত্তি প্রকৌশল অফিসের নেই।
০৩ জুন, ২০২৪

টায়ার পুড়িয়ে তেল উৎপাদন, স্বাস্থ্যঝুঁকিতে এলাকাবাসী
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে উজানচর ইউনিয়নে বিশ্বনাথ গ্রামে পরিবেশ দূষণ করে কেরোসিনের বিকল্প জ্বালানি তেল উৎপাদনের কাঁচামাল হিসেবে বাইসাইকেল, রিকশা ও গাড়ির পুরোনো টায়ার গলিয়ে তেল উৎপাদন করছে একটি কোম্পানি। টায়ার গলানোর কাজে জ্বালানি হিসেবে খড়ি ব্যবহার করায় টায়ার আর খড়ির কালো ধোঁয়ায় এলাকা আচ্ছন্ন হয়ে বায়ুদূষণের সঙ্গে ক্ষতি করছে মানুষজন, পশুপাখি ও বিভিন্ন উঠতি ফসলের। জানা যায়, গাড়ির পরিত্যক্ত টায়ার সংগ্রহ করে ঢাকা পাইরোলাইসিস কোম্পানি নামে একটি কারখানায় তৈরি করা হয় জ্বালানি তেল। এতে বাতাসে ছড়াচ্ছে কার্বন মনোক্সাইড নাইট্রোজেন ও মিথেনসহ বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকারক রাসায়নিক গ্যাস যা পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করছে। জনস্বাস্থ্য জলপ্রাণীর জন্যও খুবই ক্ষতিকর। টায়ার পোড়ানোর ফলে কালো ধোঁয়া ও উৎকট গন্ধের সৃষ্টি হচ্ছে। কারখানার আধা কিলোমিটার মধ্যে একটি প্রাইমারি স্কুল। প্রতিদিন শতাধিক ছেলেমেয়েদের স্কুলে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তার পাশে কারখানাটি। স্থানীয়রা জানান, প্রায় দুই বছর ধরে এই অসহ্য যন্ত্রণা ভোগ করতে হচ্ছে। পাশেই ইটের ভাটা এবং টায়ার পোড়ানোর ফলে কালোধোঁয়া, বাজেগন্ধ ও কালিতে ঘরবাড়ি ছেয়ে যাচ্ছে।  প্রশাসনের দৃষ্টি না থাকায় এমন কারখানা গড়ে উঠেছে। কেউ কেউ বলেন, টায়ার জ্বালানির কাজে কাঠখড়ির কালোধোঁয়া ও উৎকটগন্ধে শ্বাসকষ্টে ভুগছেন তারা। খোঁজে নিয়ে জানা যায়, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না নিয়েই শুধু উজানচর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ২০২৩-২৪ সালের পুরাতন মালামাল পুড়িয়ে তেল উৎপাদন করা হচ্ছে। প্রতি মাসে ৩-৫ লাখ আয় দেখিয়ে  প্রায় দুই বছর আগে কারখানাটি সাভারের আমিন বাজার এলাকার মো. বাহাউদ্দীন নামে এক ব্যক্তি ও স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির মাধ্যমে গড়ে উঠেছে। ক্ষমতাশীল ব্যক্তির হাত থাকায় অনেকে মুখ খুলতে ভয় পাচ্ছে বলে জানায় ভুক্তভোগীরা। গোয়ালন্দ ইউএনও জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বলেন, নিয়ম-কানুন তোয়াক্কা না করেই কারখানাটি গড়ে উঠেছে। এই বিষয়ে আমরা অবগত ছিলাম না। আমাদের উপজেলা প্রশাসনকে বিষয়টি না জানিয়ে করেছে। দ্রুত এই বিষয়টি আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ফরিদপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সাইদ আনোয়ার বলেন, কারখানাটি স্থাপনের পূর্বে আমাদের কাছে অনুমতি বা ছাড়পত্রের জন্য কোনো আবেদন করেনি। এজন্য তাকে সাজা হিসেবে ত্রিশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পরবর্তীতে তিনি ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করেছেন। এখন পর্যন্ত তাকে কোনো ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি। তবে কাজের জন্য তাকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
১৩ মে, ২০২৪

সেতুতে বিশাল গর্ত, আতঙ্কে এলাকাবাসী
সেতুর একপাশে সৃষ্টি হয়ছে বিশাল গর্তের। আবার আরেকদিকে রেলিং গেছে পুরোটাই ভেঙে। ফলে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে পথচারী ও যানবাহন। প্রায় এক বছর ধরে এভাবেই ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে গর্তটি। এরপরও সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি কেউ। সেতুর এমন বেহাল দশায় আতঙ্কিত পথচারীরা। নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের হরিপুর এলাকায় কমল বিলের ওপর সেতুটির এমন বেহাল অবস্থা প্রায় এক বছর ধরে। ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় ৩৫ বছর আগে সেতুটি নির্মাণ করা হলেও করা হয়নি কোনো সংস্কার। ফলে জনবহুল এই সেতুটির ওঠা-নামার অংশে তৈরি হয়েছে বড় একটি গর্ত। এ ছাড়া একপাশের রেলিং প্রায় পুরোটাই ভেঙে গেছে। অন্যদিকের রেলিং ও সেতু ভেঙে বেরিয়ে গেছে রড। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে পথচারীরা।  স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিদিন লেংগুরা ও নাজিরপুর ইউনিয়নের মানুষ জেলা শহরে আসা-যাওয়া করে ভাঙা সেতুটি দিয়ে। কৈলাটি ইউনিয়নসহ আরও অন্তত ৫০টি গ্রামের মানুষ উপজেলা সদরে যাতায়াত করে প্রতিদিন। এছাড়াও অটোরিকশা, লরি, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলসহ চলাচল করছে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন। কিন্তু এক বছর ধরে সেতুর এমন বেহাল দশা হলেও কোনো সংস্কার করেননি কর্তৃপক্ষ।  এ বিষয়ে উপজেলা এলজিইডির উপসহকারী প্রকৌশলী মো. ইমরান হোসেন কালবেলাকে জানান, সেতুটি সংস্কারের জন্য ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। সেতুটির বিভিন্ন স্থানে ফাটল ও ভেঙে যাওয়ার কারণে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করতে হয় পথচারীদের। একপাশের বড় ভাঙা জায়গা এড়াতে যানবাহনগুলো অন্য পাশ দিয়ে চলাচল করায় সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজটের। তাই অতি দ্রুত এসব ভোগান্তি দূর করার দাবি পথচারীসহ স্থানীয়দের। 
০৫ মে, ২০২৪

গভীর রাতে জেগে উঠল ‘গায়েবি রাস্তা’, এলাকাবাসী হতবাক
যে জমি দেখে রাতে ঘুমাতে গিয়েছিলেন স্থানীয়রা, ভোরের আলো ফোটার পর ঘুম থেকে উঠে দেখেন, সেখানে বেশ চওড়া রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। হতবাক এলাকাবাসী এর নাম দিয়েছেন ‘গায়েবি রাস্তা’। কে বা কারা রাতের অন্ধকারে এই রাস্তা তৈরি করল, প্রথমে সেটা বুঝতে না পারায় গুজব ছড়িয়ে পড়ে, জিনদের একটি দল এই রাস্তা তৈরি করেছে! রাতের আঁধারে এই রহস্যময় রাস্তা নির্মাণের ঘটনা ঘটেছে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার হাঁটিলা পশ্চিম ইউনিয়নের ধড্ডা মজুমদার বাড়ি সংলগ্ন মাঠে। ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়ার একপর্যায়ে জানা যায়, জমির পেছনে থাকা শেখ বাড়ি ও ছৈয়াল বাড়ির জন্য টাকার বিনিময়ে রাতের অন্ধকারে রাস্তাটি নির্মাণ করেন স্থানীয় ইউপি সদস্য জাকির হোসেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে নিজেদের জমির ওপর রাস্তা দেখে আকাশ থেকে পড়ার উপক্রম হয় মালিকদের। ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা বলছেন, আবাদি জমিটা এভাবে ধ্বংস করার আগে একবার জিজ্ঞেস করারও প্রয়োজন বোধ করেননি মেম্বার।  জমির মালিককে না জানিয়ে রাতের অন্ধকারে কেন রাস্তা নির্মাণ করলেন—প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নে ক্ষেপে যান অভিযুক্ত ইউপি সদস্য জাকির হোসেন। বিরক্তি প্রকাশ তিনি বলেন, আপনার যা ইচ্ছা করুন। রাস্তা করেছি, তাতে আপনার কী? মেম্বারের এমন স্বেচ্ছাচারিতায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন এলাকাবাসীও। গায়ের জোরে এভাবে অন্যের জমি নষ্ট করার বিচার দাবি করেছেন তারা। হাজীগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) জাকির হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে রাস্তাটি নির্মাণে স্থানীয়দের কোনো আপত্তি নেই মর্মে গণহারে ২৫-২৬ জনের লিখিত এবং স্মারক নিয়েছি। তবে সরকারি কোনো বরাদ্দ ছাড়াই মেম্বার এ রাস্তাটি নির্মাণ করেছেন। জমির মালিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন কিনা জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা জানান, আব্দুস ছাত্তার নামে একজনের কথা হয়েছে। বাকিদের সঙ্গে তিনি কথা বলেননি।
০৯ এপ্রিল, ২০২৪

ফতুল্লায় ১২ মাস জলাবদ্ধতা আন্দোলনে এলাকাবাসী
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ১২ মাস জলাবদ্ধতায় ভুগছে এলাকাবাসী। সদর উপজেলার ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ড স্টেশনের পূর্ব পাশে দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে এবার রাস্তায় নামলেন শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং ব্যবসায়ী মহল। গতকাল সোমবাব সকালে ভুক্তভোগী মহল এ কর্মসূচির আয়োজন করে। স্থানীয়রা জানান, সারা বছর ধরে এখানে জলাবদ্ধতা থাকায় স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যাহত হচ্ছে। ফতুল্লা ইউপি সদস্য হাসমত আলীর বাড়ির সামনের রাস্তায় ১২ মাস ধরেই বর্ষাকাল থাকে। স্থানীয় ব্যবসায়ী ফরিদ আহমেদ টিটু জানান, ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় এখানে কৃত্রিম জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। অথচ এ সমস্যা সমাধানে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য কিংবা সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী সদস্যকে কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি। ফলে বাধ্য হয়ে পিলকুনি, তক্কারমাঠ, শেহাচরের লাখো মানুষ সব সময়ই ময়লা, দুর্গন্ধযুক্ত পানি মাড়িয়ে এখান দিয়ে যাতায়াত করে থাকেন। নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সহকারী প্রকৌশলী মো. রমজান হোসেন জানান, এ রাস্তাটি সংস্কারের জন্য কিছুদিনের মধ্যে দরপত্র আহ্বান করা হবে। তবে ড্রেনের কাজের জন্য ইতোমধ্যে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। নির্বাচনের কিছুদিন আগে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেন্ডার পেয়েছে। শিগগির ড্রেনের কাজ শুরু হবে। রাস্তার দুপাশে ডায়িং কারখানার দূষিত পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় রাস্তার ওপরে গিয়ে পড়ে ফলে বেশি দিন ড্রেন ভালো থাকে না।
৩০ জানুয়ারি, ২০২৪
X