এলপিজির দাম বাড়বে না কমবে, জানা যাবে আজ
কয়েকদিন আগেই বাড়ানো হয়েছিল ভোক্তা পর্যায়ে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলপিজি) মূল্য। আবার নতুন করে মূল্য নির্ধারণ করা হচ্ছে এই গ্যাসের। রোববার (৩ মার্চ) বিকেলে নতুন দর ঘোষণা করবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। চলতি বছরের গত মাসের (ফেব্রুয়ারি) ভোক্তা পর্যায়ে বাড়ানো হয় এলপিজির দাম। ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৪১ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে ৫ দফা কমেছিল এলপিজি ও অটোগ্যাসের দাম, আর বেড়েছে ৭ দফা। গত বছরের জানুয়ারি, মার্চ, এপ্রিল, জুন ও জুলাই মাসে কমেছিল এলপিজি ও অটোগ্যাসের দাম। আর দাম বেড়েছিল ফেব্রুয়ারি, মে, আগস্ট, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে।
০৩ মার্চ, ২০২৪

প্রথমবারের মতো এলপিজি গ্যাসবাহী জাহাজ পায়রা বন্দরে
পটুয়াখালীর পায়রা বন্দরে প্রথমবারের মতো ভিড়েছে এলপিজিবাহী (তরল গ্যাস) মাদার ভেসেল। তিন হাজার তিনশ’ টন তরল গ্যাসবাহী এ জাহাজটির নাম ‘এমভি বসুন্ধরা এলপিজি চাতকী’। মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) থেকে বন্দরের ইনার এ্যাংকোরেজে বসে এ জাহাজটির গ্যাস খালাস কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে জাহাজটি থেকে লাইটারেজের মাধ্যমে গ্যাস পাঠানো হচ্ছে ঢাকায়। বসুন্ধরা গ্রুপের এ জাহাজটি গত সোমবার বন্দরের ইনারে এসে পৌঁছায়।  পায়রা বন্দর থেকে ঢাকা পর্যন্ত নৌপথের গভীরতা ৫.৬ মিটার থাকায় ও স্বল্প সময়ে পণ্য পৌঁছানোর কারণে এ জাহাজটি পায়রা বন্দর থেকে খালাস কার্যক্রম শুরু করে। এর আগে দুবাই থেকে আমদানিকৃত চট্টগ্রাম বন্দরে আসা একটি মাদারভ্যাসেল থেকে এসব গ্যাস নিয়ে আসে এ জাহাজটি।
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৩

এলপিজি নিয়ে হচ্ছে গাইডলাইন
দেশে এলপিজি বা বোতলজাত গ্যাসের ব্যবহার শুরুর একযুগের মাথায় জরুরি ও আবশ্যক এ পণ্যটির মজুত, বোতলজাত, পরিবহন ও বিতরণে গাইডলাইন তৈরি করছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এরই মধ্যে গাইডলাইনের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। গ্রাহক, ব্যবসায়ী ও অন্যান্য অংশীজনের মতামত নিতে আজ রোববার খসড়াটি বিইআরসির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। এরপর গাইডলাইনের খসড়া চূড়ান্ত করতে জ্বালানি বিভাগে পাঠানো হবে। আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিংয়ের পর এ মাসেই গাইডলাইন চূড়ান্ত করা হবে। বিইআরসির কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। বিইআরসির চেয়ারম্যান নুরুল আমিন এ প্রসঙ্গে কালবেলাকে বলেন, আমরা চলতি মাসেই এলপিজি মজুত, বোতলজাত, পরিবহন ও বিতরণের গাইডলাইন চূড়ান্ত করে ফেলব। এরই মধ্যে চূড়ান্ত খসড়া আমাদের কাছে এসেছে। তিনি বলেন, এটি চূড়ান্ত করার পর সবাইকে এ গাইডলাইন মেনে ব্যবসা করতে হবে। বিইআরসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, এলপিজি মজুত, বোতলজাত, পরিবহন ও বিতরণে কোড এবং স্ট্যান্ডার্ডস প্রণয়ন করতে চলতি বছরের ২ মে একটি কমিটি গঠন করা হয়। বিইআরসির সদস্যকে (গ্যাস) প্রধান করে ১১ সদস্যের এ কমিটিতে জ্বালানি বিভাগ, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরশেন (বিপিসি), পেট্রোবাংলা, বিস্ফোরক পরিদপ্তর, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), এলপিজি অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (লোয়াব) প্রতিনিধিসহ বিইআরসির সংশ্লিষ্ট চার কর্মকর্তা রয়েছেন। এ কমিটি দীর্ঘ ৭ মাস কাজ করার পর গত মাসের শেষে গাইডলাইনের খসড়া চূড়ান্ত করে বিইআরসির কাছে জমা দেয়। কমিটির প্রধান বিইআরসির সদস্য (গ্যাস) ড. মো. হেলাল উদ্দিন কালবেলাকে বলেন, বিইআরসি আইন-২০০৩ অধীনে এলপিজি মজুত, বোতলজাত, পরিবহন ও বিতরণে একটি প্রবিধানমালা নতুনভাবে তৈরি করা হচ্ছে। এটি একটি গাইডলাইন। তিনি বলেন, আমরা খসড়া চূড়ান্ত করে বিইআরসির কাছে জমা দিয়েছি। আগামীকাল (আজ) অংশীজনের মতামতের জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। তারপর চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য জ্বালানি বিভাগে পাঠানো হবে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, দিন দিন এলপিজির ব্যবহার বাড়ছে। অনানুষ্ঠানিকভাবে এ পণ্যটি এখন বিভিন্ন শিল্পকারখানায়ও ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে এলপিজির আনুষ্ঠানিক ব্যবহার হয় রান্না ও বিভিন্ন যানবাহনে। কিন্তু এসব ক্ষেত্রে বিপণন এবং গ্রাহক স্বার্থ রক্ষায় সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন নেই। যে কারণে এই খাতে নানা বিশৃঙ্খলা তৈরি হচ্ছে। এজন্য নতুন করে গাইডলাইন তৈরি করা হচ্ছে। গাইডলাইনে এলপিজি মজুত, বোতলজাত, পরিবহন ও বিতরণে কী কী করা যাবে, আর করা যাবে না, এর সুনির্দিষ্ট নিয়মাবলি উল্লেখ থাকবে। এটি করা হলে আগে জারি করা এলপিজি বটলিং প্লান্ট স্থাপনের নীতিমালা-২০১৬, ‘তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (অটোগ্যাস) রিফুয়েলিং স্টেশন ও রূপান্তর ওয়ার্কশপ স্থাপন, পরিচালন এবং রক্ষণাবেক্ষণ নীতিমালা-২০১৬ এবং এলপি গ্যাস অপারেশনাল লাইসেন্সিং নীতিমালা-২০১৭ বাতিল হয়ে যাবে। খসড়ার শুরুতে বোতলজাত নিয়ে কিছু না থাকলেও পরে তা যোগ করা হয়েছে। পাশাপাশি অটোগ্যাস স্টেশন ও রেটিকুলেটেড সিস্টেম-সংক্রান্ত বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বোতলের স্ট্যান্ডার্ড নির্ধারণের জন্য আইনগতভাবে বিএসটিআই দায়িত্বপ্রাপ্ত। সে ক্ষেত্রে বিএসটিআই তাদের এলপিজি সিলিন্ডারসহ এ-সংক্রান্ত যাবতীয় স্ট্যান্ডার্ড সরবরাহ করে। এ ছাড়া বাজারে কম্পোজিট সিলিন্ডার রয়েছে। চূড়ান্ত খসড়ায় এটিও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, এলপি গ্যাস অপারেটর সারা দেশে এক বা একাধিক স্থানে ন্যূনতম ৫ হাজার মেট্রিক টন এলপিজি ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন মজুত ট্যাঙ্ক স্থাপন করে এলপিজি পরিবহন, বিতরণ, বিপণন করতে পারবে। এলপিজি বটলিং প্লান্ট স্থাপনের জন্য ৩০০ মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন এলপিজি স্টোরেজ ট্যাঙ্ক থাকতে হবে। এ ছাড়া চূড়ান্ত খসড়ায় এলপিজি বোতলজাত করার ক্ষেত্রেও বোতলের নির্দিষ্ট স্পেফিকেশন করা হয়েছে। সম্পাদনা: রাসেল
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৩

মোংলায় এলপিজি গ্যাস বহনকারী গাড়িতে আগুন
মোংলায় বেঙ্গল এলপিজি কারখানার মধ্যে গ্যাস বহনকারী গাড়িতে আগুন, নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট। সন্ধ্যা ৭টায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।  মোংলা ফায়ার সার্ভিস ইপিজেড ইউনিটের স্টেশন কর্মকর্তা আরদেশ আলী মুঠোফোনে জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার সময় বেঙ্গল এলপিজি কারখানা থেকে তাদের আগুন লাগার বিষয়টি অবহিত করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে তারা আগুন নেভানোর কাজে নেমে পড়েন।  এরপর তাদের সঙ্গে মোংলাবন্দর, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটসহ মোট ৭টি ইউনিট যোগ দেয়।   আরদেশ আলী জানান, এলপিজি কারখানায় আগুন ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা কম। তবে গ্যাস বহনকারী গাড়িতে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে আসতে কত সময় লাগবে সে বিষয়ে তিনি কিছু নিশ্চিত করতে পারেননি।
১১ অক্টোবর, ২০২৩

মন্ত্রী স্বীকার করলেন, বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে এলপিজি
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, এলপিজি সিলিন্ডার বিক্রিতে পরিবেশকদের অনেক এজেন্ট থাকে। তাদের সাব-এজেন্টও থাকে। তিন-চার হাত ঘুরে ক্রেতার কাছে যায়। এতে ঘোষিত দামের চেয়ে ১০০ থেকে ২০০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। এলপিজির মূল্য সাশ্রয়ী ও সহনীয় পর্যায়ে রাখতে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস অব্যাহত রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। গতকাল রোববার বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. মাকসুদ হেলালী। অনুষ্ঠানে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, একটি টেকসই এলপিজির বাজার প্রতিষ্ঠা এবং বাজার প্রসারে সর্বত্র রিটেইলারের মাধ্যমে এলপিজির বিক্রি গ্রাহকবান্ধব হওয়া সময়ের দাবি। তিনি সিলিন্ডারগুলো নিয়মিতভাবে চেক করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান নূরুল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সচিব নূরুল আলম, বুয়েটের কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দা সুলতানা রাজিয়া, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আলী আহাম্মেদ খান, ওমেরা পেট্রোলিয়ামের হেড অব হেলথ দাউদুর রহমান খান, বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের হেড অব স্ট্র্যাটেজি ইঞ্জিনিয়ার জাকারিয়া জালাল ও জেএমআই এলপিজির জেনারেল ম্যানেজার ইঞ্জিনিয়ার লিয়াকত আলী বক্তব্য দেন।
২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

দাম বাড়ল এলপিজির
এলপিজির দাম বেড়েছে। ১২ কেজির সিলিন্ডারে ১৪৪ টাকা বাড়ানো হয়েছে। কেজিপ্রতি এলপি গ্যাসের দর ১০৭.০১ টাকা হিসেবে ১২ কেজি নতুন দর নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ২৮৪ টাকা। অটো গ্যাস প্রতি লিটারের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৮.৮৭ টাকা।  নতুন এই দর আজ রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।  গত আগস্ট মাসে ১২ কেজির দর ছিল ১ হাজার ১৪০ টাকা, আর অটো গ্যাসের দাম ছিল প্রতি লিটার ৫২.১৭ টাকা। জুলাই মাসে ছিল সবচেয়ে কম দর, প্রতি লিটাদের দাম ছিল ৪৬.৪৯ টাকা। আর ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম ছিল ৯৯৯ টাকা।  রোববার দুপুরে বিইআরসির হলরুমে এক সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন দর ঘোষণা করেন চেয়ারম্যান মো. নূরুল আমিন।  এ সময় উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, ড. মো. হেলাল উদ্দিন, আবুল খায়ের মো. আমিনুর রহমান, বিইআরসির সচিব ব্যারিস্টার মো. খলিলুর রহমান খান।
০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

৪০% জাহাজে এলপিজি এসেছে
সমুদ্রপথের সুবিধা কাজে লাগাতে মোংলা বন্দর সংলগ্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে ১৫টি এলপিজি কারখানা। রয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রায় সব এলপিজি প্রতিষ্ঠানের কারখানা। ফলে দেশে এলপিজি আমদানির দুই-তৃতীয়াংশ হয় মোংলা বন্দর দিয়ে। আর গত অর্থবছর মোট জাহাজের ৪০ শতাংশই মোংলায় এসেছে এসব কারখানার এলপিজি নিয়ে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মোংলা বন্দরকে সচল রাখতে ও আরও গতিশীল করতে বড় ভূমিকা রয়েছে এলপিজি কারখানাগুলোর। মোংলা বন্দর সূত্রে জানা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে সব মিলিয়ে জাহাজ ভিড়েছে ৮২৭টি। এর মধ্যে ৩৬৩ জাহাজে এলপিজি আনা হয়েছে। আমদানি হয়েছে ৯ লাখ ২৩ হাজার ৬৭ টন এলপিজি। এর আগের অর্থবছরে ৩২৯ জাহাজে ৯ লাখ ৩২ হাজার ৪০৬ টন এলপিজি আমদানি হয়েছিল। সাত বছর আগে পেট্রোম্যাক্স গ্যাস কোম্পানি প্রথমবারের মতো মোংলা বন্দর দিয়ে এলপিজি আমদানি করে। সরেজমিন দেখা যায়, বন্দর জেটি থেকে কিছু দূরে পশুর নদের তীরে দুই কিলোমিটার সড়কের পাশের এলাকাজুড়ে রয়েছে ওরিয়ন, নাভানা, পেট্রোম্যাক্স, বসুন্ধরা, ওমেরা, যমুনা, ডেলটা, দুবাই-বাংলা, লাফগ্যাস, সেনা, গ্রিন, বেক্সিমকো, বেঙ্গলসহ ১৫টি এলপিজি গ্যাস প্লান্ট। গত সাত থেকে আট বছরে বন্দর এলাকায় এ খাতে প্রচুর বিনিয়োগ হয়েছে। কারখানাগুলো সূত্রে জানা যায়, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) ও সৌদি আরব থেকে এলপিজি আমদানি করা হয়। বন্দরে প্রতিটি প্লান্টেরই রয়েছে নিজস্ব জেটি। তাই সরাসরি প্লান্টেই এলপিজি খালাস করা যায়। এ জন্য ব্যবসায়ীরা মোংলা এলাকায় প্লান্ট স্থাপনে বিনিয়োগ করেছেন। ফলে এই দুই কিলোমিটার সড়কের পাশে ডিম্বাকৃতির বিশাল বিশাল বয়লার চোখে পড়ে। বাগেরহাট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি লিয়াকত হোসেন লিটন বলেন, মোংলা বন্দরে জাহাজ আসার সংখ্যা বেড়েছে এলপিজি কারখানাগুলোর জন্য। একই সঙ্গে এলপিজি কারখানা স্থাপন হওয়ায় অনেক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। দূর হচ্ছে এ অঞ্চলের বেকারত্ব।
১০ আগস্ট, ২০২৩

৪০% জাহাজে এলপিজি এসেছে
সমুদ্রপথের সুবিধা কাজে লাগাতে মোংলা বন্দর সংলগ্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে ১৫টি এলপিজি কারখানা। রয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রায় সব এলপিজি প্রতিষ্ঠানের কারখানা। ফলে দেশে এলপিজি আমদানির দুই-তৃতীয়াংশ হয় মোংলা বন্দর দিয়ে। আর গত অর্থবছর মোট জাহাজের ৪০ শতাংশই মোংলায় এসেছে এসব কারখানার এলপিজি নিয়ে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মোংলা বন্দরকে সচল রাখতে ও আরও গতিশীল করতে বড় ভূমিকা রয়েছে এলপিজি কারখানাগুলোর। মোংলা বন্দর সূত্রে জানা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে সব মিলিয়ে জাহাজ ভিড়েছে ৮২৭টি। এর মধ্যে ৩৬৩ জাহাজে এলপিজি আনা হয়েছে। আমদানি হয়েছে ৯ লাখ ২৩ হাজার ৬৭ টন এলপিজি। এর আগের অর্থবছরে ৩২৯ জাহাজে ৯ লাখ ৩২ হাজার ৪০৬ টন এলপিজি আমদানি হয়েছিল। সাত বছর আগে পেট্রোম্যাক্স গ্যাস কোম্পানি প্রথমবারের মতো মোংলা বন্দর দিয়ে এলপিজি আমদানি করে। সরেজমিন দেখা যায়, বন্দর জেটি থেকে কিছু দূরে পশুর নদের তীরে দুই কিলোমিটার সড়কের পাশের এলাকাজুড়ে রয়েছে ওরিয়ন, নাভানা, পেট্রোম্যাক্স, বসুন্ধরা, ওমেরা, যমুনা, ডেলটা, দুবাই-বাংলা, লাফগ্যাস, সেনা, গ্রিন, বেক্সিমকো, বেঙ্গলসহ ১৫টি এলপিজি গ্যাস প্লান্ট। গত সাত থেকে আট বছরে বন্দর এলাকায় এ খাতে প্রচুর বিনিয়োগ হয়েছে। কারখানাগুলো সূত্রে জানা যায়, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) ও সৌদি আরব থেকে এলপিজি আমদানি করা হয়। বন্দরে প্রতিটি প্লান্টেরই রয়েছে নিজস্ব জেটি। তাই সরাসরি প্লান্টেই এলপিজি খালাস করা যায়। এ জন্য ব্যবসায়ীরা মোংলা এলাকায় প্লান্ট স্থাপনে বিনিয়োগ করেছেন। ফলে এই দুই কিলোমিটার সড়কের পাশে ডিম্বাকৃতির বিশাল বিশাল বয়লার চোখে পড়ে। বাগেরহাট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি লিয়াকত হোসেন লিটন বলেন, মোংলা বন্দরে জাহাজ আসার সংখ্যা বেড়েছে এলপিজি কারখানাগুলোর জন্য। একই সঙ্গে এলপিজি কারখানা স্থাপন হওয়ায় অনেক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। দূর হচ্ছে এ অঞ্চলের বেকারত্ব।
১০ আগস্ট, ২০২৩
X