সারাবিশ্বে জাল পাতছেন এরদোয়ান
আসছে সপ্তাহগুলোতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুরস্কের প্রভাব বাড়াতে নিজের সফরসূচি ঢেলে সাজাচ্ছেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। ইউরোপীয় বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, সম্প্রতি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুরস্কের প্রভাব খানিকটা কমে এসেছে। ফলে তা পুনরুদ্ধার করতে ইউরোপ থেকে শুরু করে এশিয়া ও আমেরিকা সফরের সিদ্ধান্ত ‍নিয়েছেন তিনি। সংবাদমাধ্যম দ্য মিডল ইস্ট আইয়ের এক প্রতিবেদনে এমনটা জানানো হয়।  এরদোয়ানের সফর শুরু হবে ইউরোপের দেশ স্পেন ভ্রমণের মাধ্যমে। দেশটি তুরস্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার ও ন্যাটো সদস্য। এছাড়া ভূমধ্যসাগরীয় স্বার্থ ও গাজা যুদ্ধ দুই দেশের সম্পর্ককে আরও ঘনিষ্ঠ করেছে বলে মত বিশ্লেষকদের। স্পেনের পর জি-৭ সামিটে অংশ নিতে ইতালি সফরে যাবেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। উত্তর আফ্রিকাতে দুই দেশের যৌথ স্বার্থ নিয়ে তিনি ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।  ইউরোপের পর জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে কাজাখস্তানে অনুষ্ঠিতব্য সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন সামিটে অংশ নেবেন এরদোয়ান। থিঙ্ক ট্যাংক আটলান্টিক কাউন্সিলের বিশ্লেষক ওমর ওজকিজিলসিক জানান, আঙ্কারার নীতি নির্ধারকরা তুরস্কের স্বার্থান্বেষী চোখে গোটা বিশ্বকে দেখছেন। তারা তুরস্কের কূটনীতিকে চারদিকে ছড়িয়ে দিতে চান এবং এশিয়ার উদীয়মান কোনো শক্তির সঙ্গেই অংশীদারত্বের সুযোগ হাতছাড়া করতে চান না।  সাংহাই সামিটের পর আজারবাইজানে অর্গানাইজেশন অব টার্কিক স্টেটসের সম্মেলনে যোগ দেবেন এরদোয়ান। তুর্কি কর্মকর্তারা কাজাখস্তান এবং আজারবাইজানের মতো তুর্কি রাজ্যগুলির মাধ্যমে চীন থেকে ইউরোপে পণ্য পরিবহনের জন্য মধ্য করিডোর বাণিজ্য স্থাপনের দিকে মনোযোগ দিচ্ছেন। তার্কিক দেশগুলোর সম্মেলন শেষে জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহে ন্যাটোর একটি সম্মেলনে যোগ দিতে ওয়াশিংটনের উদ্দেশে যাত্রা করবেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। এ সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নিতে পারেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। ওজকিজিলসিক জানান, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর ন্যাটোতে তুরস্কের গুরুত্ব আগের তুলনায় বেড়েছে, কারণ যুক্তরাষ্ট্রের পর জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে লন্ডন সফরের মাধ্যমে নিজের কূটনৈতিক সফর শেষ করবেন এরদোয়ান। বলা হচ্ছে এরদোয়ানের টানা এসব সফর বিশ্ব রাজনীতিতে তুরস্কের প্রভাব বিস্তারের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সূচনা করবে। 
১২ জুন, ২০২৪

ইসরায়েলকে চাপে ফেলার পথ বাতলে দিলেন এরদোয়ান
ইসরায়েলকে অস্ত্র না দিতে সরবরাহকারী দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) রাজধানী আঙ্কারায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান। খবর আনাদোলু এজেন্সির। প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেন, গাজা উপত্যকায় কয়েক মাস ধরে প্রাণঘাতী আক্রমণ চলছে। এ থেকে ইসরায়েলকে বিরত রাখতে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ রাখতে হবে। ইসরায়েলকে সহায়তাকারী দেশগুলোকে এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলেন।  তুরস্কের নেতা মনে করেন- ইসরায়েল গাজায় যে অপরাধ করছে তাতে ব্যবহারের জন্য অস্ত্র দিয়ে অন্য দেশের জড়িত হওয়া থেকে এখনই বিরত থাকতে হবে। এতে যুদ্ধবিরতির দিকে পরিস্থিতি এগোবে। এরদোয়ান বলেন, ‘ইসরায়েলের গণহত্যায় গোলাবারুদ ও অস্ত্র সহায়তা প্রদানকারী দেশগুলোকে এখন এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত হওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।’ এ সময় তিনি অভিযোগ করেন, গাজায় গণহত্যা বন্ধ করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যথেষ্ট কাজ করেনি। অবিলম্বে যুদ্ধবিরতিতে সহায়তা করার জন্য সব বিবেকবান ও দায়িত্বশীল পক্ষকে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। ইসরায়েলে হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা শুরু করে নেতানিয়াহুর বাহিনী। অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রস্তাব সত্ত্বেও তারা অবিরাম বোমাবর্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে। গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, ইসরায়েলের হামলায় সাড়ে ৩৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এ ছাড়া ৮৩ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন। এদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এদিকে গাজার তীব্র হয়েছে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও ওষুধের সংকট। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে বহু লাশ। এত ভয়াবহতার পরও থামছে না ইসরায়েল। সর্বশেষ আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার জন্য ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। এক রায়ে আদালত তেলআবিবকে অবিলম্বে দক্ষিণের শহর রাফাতে হামলা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু এতেও কর্ণপাত করছে না দখলদাররা।
০৭ জুন, ২০২৪

জাতিসংঘের ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন এরদোয়ান
বনের রাজা যেমন এক সিংহ, তেমনি বিশ্বমঞ্চে রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান একজনই। যাকে মুসলিম বিশ্বের সব সমস্যায় কথা বলতে দেখা যায়। সুযোগ পেলে সাহায্যের হাতও বাড়িয়ে দেন। তাই এক সময়ের অটোমান সাম্রাজ্র্যের অংশ ফিলিস্তিন ইস্যুতেও চুপ করে বসে থাকতে পারেননি এরদোয়ান। রাফার শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের হামলায় ফুঁসে উঠেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। গাজা উপত্যকার রাফার শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েল হামলা চালানোর পর বিশ্ব সম্প্রদায় কড়া প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। তবে জাতিসংঘ এবং মুসলিম বিশ্ব সেইভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায়নি। আর এতেই চটেছেন মুসলিম বিশ্বের সিংহ এরদোয়ান। বুধবার (২৯ মে) তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (একে পার্টি) সংসদীয় বৈঠকে এরদোয়ান বলেন, গাজায় জাতিসংঘের চেতনার মৃত্যু হয়েছে। তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, তারা গণহত্যা থামানো তো দূরের কথা, নিজেদের স্টাফ বা সহায়তা কর্মীদেরও বাঁচাতে ব্যর্থ হয়েছে। গাজায় নির্মমতা থামাতে আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা ব্যর্থ হওয়ার পর এমন কড়া ভাষায় বক্তব্য দিয়েছেন এরদোয়ান। তিনি বলেন, ২১ শতকে যদি গণহত্যার সরাসরি সম্প্রচার বন্ধ করতে না পারে তাহলে জাতিসংঘ থাকার কোনো অর্থই নেই। গেল শুক্রবার রাফায় অভিযান বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত আন্তর্জাতিক বিচার আদালত আইসিজে। তারপরও ইসরায়েলের নেতৃত্ব তাদের আগ্রাসন অব্যাহত রেখেছে। রোববার রাতে জাতিসংঘের একটি মিশনের গোডাউনের পাশে থাকা শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৪৫ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় বৈঠক আহ্বান করে জাতিসংঘ। তবে ক্ষোভ ঝেড়েছেন এরদোয়ান। শুধু জাতিসংঘ নয়, ইসরায়েলি বিমান হামলার পর মুসলিম বিশ্বের নিষ্ক্রিয়তা মেনে নিতে পারছেন না এরদোয়ান। মুসলিম বিশ্বের উদ্দেশে বলতে চাই, একটি কমন সিদ্ধান্ত নিতে কিসের অপেক্ষায় আছেন আপনারা? ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন-ওআইসি কখন কার্যকর ও প্রতিরোধমূলক নীতির বাস্তবায়ন করবে? ইসরায়েল শুধু গাজা নয়, মানবজাতির জন্যও হুমকি বলে বর্ণনা করেছেন এরদোয়ান। নিজের বক্তব্যে ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় মিত্র ও অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা করেছেন। তার সমালোচনা ধার থেকে বাদ যায়নি পশ্চিমা বিশ্বের নেতারাও। তারা চলমান এই গণহত্যার সহযোগী বলেও উল্লেখ করেন এরদোয়ান। তিনি বলেন, রাফায় ফিলিস্তিনিদের এই গণহত্যায় আপনাদের হাত রক্তে রঞ্জিত। এরদোয়ান বরাবরই ফিলিস্তিন ও দেশটির স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রতি দরদশীল। কয়েক সপ্তাহ আগে ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করে আঙ্কারা। আবার কিছুদিন আগে খবর বেরোয় তুরস্কে হামাসের কয়েকশ’ যোদ্ধা চিকিৎসা নিয়েছে। তবে মুসলিম বিশ্বের অস্বাভাবিক নীরবতা যেন গাজায় ইসরায়েলকে হামলার ফ্রি লাইসেন্স দিয়ে দিয়েছে। তাই ফুঁসে উঠলেন এরদোয়ান।
২৯ মে, ২০২৪

এরদোয়ানের এক সিদ্ধান্তে ‘ঘুঘুর ফাঁদে’ ইসরায়েল
গাজায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর সামরিক অভিযানকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে আঙ্কারা-তেলআবিব সম্পর্ক। অবরুদ্ধ উপত্যকায় নির্বিচার গণহত্যাকে কেন্দ্র করে গাজার স্বাধীনতাকামীদের প্রকাশ্যেই সাহায্যের ঘোষণা দিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। এমনকি এর প্রতিবাদে ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থগিত করেছে তুরস্ক। আর তাতেই মহাবিপদে পড়েছে ইহুদিবাদী দেশটি।  বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজাকে কেন্দ্র করে ইসরায়েল ও তুরস্কের বাণিজ্যিক সম্পর্ক এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছে। গেল কয়েক দশকে দুই দেশের সম্পর্কের ওপর বিভিন্ন বাধা এলেও তাতে বাণিজ্যিক কোনো প্রভাব পড়তে দেননি ইসরায়েলি ও তুর্কি ব্যবসায়ীরা। তবে এবার আর সেই ঝড় সামাল দিতে পারেনি কোনো পক্ষই।  বিগত সময়গুলোতে আন্তর্জাতিক বাজারের অন্যান্য পক্ষের তুলনায় বেশ সস্তায় তুরস্ক থেকে বিভিন্ন পণ্য আমদানি করে আসছিল ইসরায়েল। এসব পণ্যের মধ্যে সিমেন্ট থেকে শুরু করে খাদ্য ও গাড়ি পর্যন্ত ছিল। অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, হঠাৎ করেই তুর্কি সরকারের বাণিজ্য বন্ধের সিদ্ধান্তে ইসরায়েলি অর্থনীতিতে স্বল্প মেয়াদে ঘাটতি দেখা দিতে পারে। তবে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে না দেশটি।  পরিস্থিতি মোকাবিলায় এরই মধ্যে তুর্কি পণ্যের বিকল্প উৎস খুঁজতে শুরু করেছে ইসরায়েলি ব্যবসায়ীরা। বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে দেখা যায়, ২০২৩ সালে তুরস্ক ও ইসরায়েলের মধ্যে ৬২০ কোটি মার্কিন ডলারের ব্যবসা হয়েছে। তবে এই সংখ্যাটি ২০২২ সালের তুলনায় ২৩ শতাংশ কম। ইসরায়েল বিল্ডার্স অ্যাসোসিয়েশনের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল শেই পজনার জানান, তুরস্ক থেকে মোট সিমেন্টের ৪০ শতাংশ আমদানি করে ইসরায়েল। বর্তমানে ইসরায়েলি ব্যবসায়ীরা ইউরোপীয় সরবরাহকারীদের দিকে ঝুঁকছে। তবে এ ক্ষেত্রে তুরস্কের তুলনায় অনেক বেশি অর্থ গুণতে হবে।  ইসরায়েলের অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রধান অর্থনীতিবিদ শমুয়েল আব্রামজন বলেছেন, ইসরায়েলের অন্যতম বাণিজ্য অংশীদার হলো তুরস্ক। তুরস্কের বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার ফলে বিকল্প দেশগুলো থেকে পণ্য আমদানিতে খরচ কিছুটা বেশি হবে। ইসরায়েলি বাণিজ্য কর্মকর্তারা জানান, তুরস্কের সিদ্ধান্তের জেরে যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে, তা পূরণ করতে চাইছে গ্রিস, ইতালি ও অন্যান্য দেশ। তবে তুরস্কের বাজারে দেড়শ কোটি ডলারের ইসরায়েলি রপ্তানি পণ্যের বাজার খুঁজে পেতে বেশ বেগ পেতে হবে।
২৯ মে, ২০২৪

ইসরায়েলের মদদদাতাদের তুলাধুনা করলেন এরদোয়ান
গাজায় ইসরায়েলের অভিযানে মদদদাতাদের তুলাধুনা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তিনি বলেন, গাজা উপত্যকায় শতাব্দীর সবচেয়ে বড় গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরায়েল। কতিপয় দেশের মদদে এটি করছে তারা। বুধবার (২২ মে) ডেইলি সাবাহর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় ইসরায়েলের অভিযানের সমর্থনকারীদের সমালোচনা করে এরদোয়ান বলেন, যেসব দেশ মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক আইন সম্পর্কে জ্ঞান দেয় তাদের অস্ত্র ও সমর্থন নিয়ে এ গণহত্যা চালাচ্ছে তারা।  তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় ইন্টারন্যাশনাল বেনেভোলেন্স অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ইসরায়েলের এ রক্তপাতের সঙ্গে সেসব দেশও জড়িত যারা তাদের রসদ ও সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছে।  এরদোয়ান বলেন, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গত ২২৯ দিনে গাজা শিশুদের কবরস্থানে পরিণত হয়েছে। তাদের অবরোধের কারণে ফিলিস্তিন এখন উন্মুক্ত কারাগার বলেও মন্তব্য করেন তিনি।  তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, পশ্চিমা শক্তিগুলো ইসরায়েলের পেছনে যতক্ষণ দাঁড়াবে ততক্ষণ ফিলিস্তিনে গণহত্যা রোধ করা যাবে না। ইসরায়েল এ যুদ্ধে হেরে গেছে। বিশ্ব মানবতার সমালোচনার মুখে পড়েছে দেশটি।  এ সময় ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য ইউরোপের তিন দেশের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান তিনি। এ ছাড়া অন্য দেশগুলোর প্রতি এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানান।  এরদোয়ান বলেন, আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে এবং স্পেনের ঘোষণায় আমি অত্যন্ত প্রফুল্ল।  এর আগে বিবিসি জানায়, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের যুদ্ধের প্রতিবাদে দেশটির সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য স্থগিত করেছে তুরস্ক। ছোট্ট এই উপত্যকায় ইসরায়েল নিরবচ্ছিন্ন ও পর্যাপ্ত ত্রাণসহায়তা প্রবেশের অনুমতি না দেওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে বলে জানিয়েছে তুর্কি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এক বিবৃতিতে তুরস্ক জানিয়েছে, এই বাণিজ্য স্থগিতাদেশ সব ধরনের পণ্যের আওতায় পড়বে। ইসরায়েল সরকার গাজায় নিরবচ্ছিন্ন এবং পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি না দেওয়া পর্যন্ত তুরস্ক কঠোরভাবে এই নতুন পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করবে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ‘স্বৈরশাসকের’ মতো আচরণ করছেন বলে অভিযোগ করেন ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। এক এক্স বার্তা তিনি বলেন, এরদোয়ান তুর্কি জনগণ ও ব্যবসায়ীদের স্বার্থকে উপেক্ষা করছেন এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চুক্তি ক্ষুণ্ন করছেন।
২৪ মে, ২০২৪

রাইসির খোঁজে যে ঘোষণা দিল এরদোয়ান
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসি এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। তাকে খুঁজে পেতে অভিযানের নেমেছে ৬৫টি অনুসন্ধানী দল। তাদের সঙ্গে আটটি অ্যাম্বুলেন্স ও ড্রোন রয়েছে। এদিকে এই দুর্ঘটনার পর থেকে ইরানের পাশে দাঁড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে বেশ কয়েকটি দেশ। একইসঙ্গে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। এ বিষয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাওয়েপ এরদোয়ান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স এ সব সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দিয়ে একটি পোস্ট করেছেন।  পোস্টে তিনি বলেন, আমরা দুর্ঘটনাটি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। ইরানি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ ও সমন্বয় করছি। আমরা প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত। এর আগে দেশটির সরকারের জরুরি সহায়তা সংস্থা এএফএডি জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের সন্ধানে ইরানকে সাহায্য করার জন্য তুরস্ক পাহাড়ে উদ্ধারকাজে বিশেষজ্ঞ ৩২ জনকে পাঠাচ্ছে। এর আগে সোমবার (২০ মে) ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি জানায়, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসি ও তার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার পর রাশিয়া, আজারবাইজান, আর্মেনিয়া এবং ইরাক উদ্ধার কাজে সহায়তা করার প্রস্তাব দিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়াও দুর্ঘটনার পরপর এর কারণ অনুসন্ধানে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে। অপরদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতও সমর্থন দিয়েছে এবং বলেছে যে তারা ইরানের পাশে আছে। হোয়াইট হাউসের একজন মুখপাত্রের বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ঘটনার বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে এবং জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস দুর্ঘটনার খোঁজ নিচ্ছেন। রোববার (১৯ মে) ইরানের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনা এ তথ্য জানায়। এরপর তাদের সন্ধানে নামে অনুসন্ধান দল। হেলিকপ্টারটিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমাতি, তাবরিজ জুমার নামাজের খতিব হোজ্জাতোলেস্লাম আল হাশেম এবং আরও কয়েকজন উচ্চপদস্থ ব্যক্তি রাইসি
২০ মে, ২০২৪

প্রকাশ্যেই গাজার যোদ্ধাদের সাহায্য করছেন এরদোয়ান
ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে বেশ কয়েক দফায় তলানিতে পৌঁছেছে ইসরায়েল-তুরস্কের সম্পর্ক। সবশেষ গাজা যুদ্ধ নিয়ে এ সম্পর্ক এবার চূড়ান্ত অবনতির পথে হেটেছে। ইসরায়েলের সঙ্গে বন্ধ করা হয়েছে সবধরনের তুর্কি বাণিজ্য। এমন পরিস্থিতিতে হামাসকে সন্ত্রাসী নয় বরং তুর্কি স্বাধীনতাকামী যোদ্ধাদের সঙ্গে তুলনা করে প্রশংসায় ভাসেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। এবার আর সমর্থন নয় প্রকাশ্যেই ঘোষণা দিলেন হামাসকে দেওয়া তুর্কি সহায়তার।  গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিৎসোটাকিসের সঙ্গে সোমবার আঙ্কারায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের এরদোয়ান আবার হামাসের প্রতি নিজের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে জানান, হামাসকে তিনি কোনো সন্ত্রাসী সংগঠন মনে করেন না। বরং তারা ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা ও জনগণের অধিকার রক্ষার সৈনিকের দায়িত্ব পালন করছে।  তুর্কি প্রেসিডেন্ট জানান, তুরস্ক তার সাধ্যমতো হামাসকে সব সময় সহায়তা করে যাবে। এ সময় তুরস্কের হাসপাতালগুলোতে কয়েক হাজার হামাস যোদ্ধা আহত অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন বলেও জানান তিনি।  রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেন, যখন হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন বলা হবে তখন তুরস্কের আপত্তি থাকবে। আমি কখনোই হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন মনে করি না। আমি এখন পর্যন্ত হামাসকে ধাপে ধাপে অনুসরণ করছি। আমার দেশে, আমাদের হাসপাতালে হামাসের এক হাজারেরও বেশি সদস্য রয়েছে। তারা সবাই চিকিৎসাধীন এবং আমরা এভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। অবশ্য এরদোয়ানের এমন বক্তব্যের ভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়েছেন তুরস্কের এক কর্মকর্তা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা জানান, এখানে শুধু হামাস সদস্য নয় বরং হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজা উপত্যকা থেকে আসা আহত ফিলিস্তিনিদের চিকিৎসার কথা উল্লেখ করা হয়ছে। গেল বছরের নভেম্বরে গাজায় ইসরায়েলের সামরিক পদক্ষেপের পর আঙ্কারা আহত বা অসুস্থ গাজাবাসী, প্রধানত উপত্যকার ক্যান্সার রোগীদের তাদের আত্মীয়দের সঙ্গে সরিয়ে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।  এ সময় এরদোয়ান ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদের বিষয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের প্রস্তাবকে তুলে ধরে, জোর দিয়ে জানান- একটি স্থায়ী সমাধানের চাবিকাঠি ১৯৬৭ সালের সীমানার ওপর ভিত্তি করে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মধ্যে নিহিত। যার রাজধানী হিসেবে ‘পূর্ব জেরুজালেম’ শহরকে মেনে নিতে হবে।  
১৫ মে, ২০২৪

তুরস্কে চিকিৎসা নিচ্ছে ১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি যোদ্ধা: এরদোয়ান
তুরস্কের বিভিন্ন হাসপাতালে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের এক হাজারের বেশি যোদ্ধা চিকিৎসা নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। এ সময় তিনি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামাসের কর্মকাণ্ডকে একটি ‘প্রতিরোধ আন্দোলন’ হিসেবে অভিহিত করেন।  গতকাল সোমবার, (১৩ মে) গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কায়রিয়াকোস মিতসোতাকিসের সঙ্গে বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন এরদোয়ান। ওই সময় এরদোয়ান আরও বলেন, গ্রিস হামাসকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে দেখে—যা তাকে পীড়া দেয়।  তবে পরবর্তীতে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক তুর্কি কর্মকর্তা জানান, তুরস্কে মূলত ১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদেরকে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান হামাসের যোদ্ধা হিসেবে ভুল ভেবেছেন।  এই কর্মকর্তা বলেন, “প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান ভুল বলেছেন। তিনি বুঝিয়েছেন গাজার ১ হাজার মানুষ আমাদের এখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন, হামাসের সদস্য নয়।” এরদোয়ানের পাশে দাঁড়ানো গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, গাজার যুদ্ধের সব বিষয়ের সঙ্গে গ্রিস ও তুরস্ক একমত হতে পারবে না। তবে গাজায় একটি দীর্ঘকালীন যুদ্ধবিরতির প্রয়োজন এ বিষয়ে গ্রিস একমত। তুরস্ক ও গ্রিস উভয়ই যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য। তবে একই জোটের সদস্য হলেও দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রায়ই উত্তেজনা তৈরি হয়। এসব উত্তেজনা নিরসনের জন্য আলোচনা করতে তুরস্কে গেছেন গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী।  আলোচনা শেষে তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান জানিয়েছেন, তুরস্ক এবং গ্রিসের মধ্যে যেসব সমস্যা রয়েছে সেগুলো ‘সমাধান অযোগ্য সমস্যা’ নয়।  
১৪ মে, ২০২৪

৭০০ বছরের পুরোনো গির্জাকে মসজিদ বানালেন এরদোয়ান
প্রায় সাতশ বছর আগের একটি অর্থোডক্স গির্জাকে মসজিদে রূপান্তর করার দুঃসাহস দেখিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। ২০২০ সালে এরদোয়ান যখন গির্জাটিকে মসজিদে রূপান্তর করার নির্দেশ দেন, তখন ইউরোপের দেশ গ্রিস এই কর্মকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানায়। কিন্তু নিজের সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। সেই গির্জাটিই সোমবার মসজিদ হিসেবে নামাজের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। মসজিদে রূপান্তরিত হওয়া গির্জাটি একটি বাইজেন্টাইন আমলের স্থাপনা। এটি কোরা গির্জা নামেই পরিচিত। ১৪৫৩ সালে অটোমান তুর্কিরা কনস্টান্টিনোপল জয়ের পর এটিকে কারিয়া মসজিদে রূপান্তরিত করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর অটোমানদের পতন হলে তুরস্ক একটি ধর্মনিরপেক্ষ প্রজাতন্ত্র হিসেবে গড়ে ওঠে। তখনই আংকারার কারিয়া মসজিদ হয়ে যায় কারিয়া জাদুঘর। প্রায় শতাব্দীকাল পর কারিয়া জাদুঘরকে আবার কারিয়া মসজিদ হিসেবে ফিরিয়ে আনলেন এরদোয়ান। ঐতিহাসিক স্থাপনা হিসেবে কোরা গির্জাটি খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের কাছে যথেষ্ট মূল্যবান একটি স্থাপনা। কারণ গির্জার ভেতরে রয়েছে ১৪শ শতকের ফ্রেস্কো আর্ট, যার শিল্পমূল্য অসীম। কাঁচা দেয়ালের ওপর রঙের আঁচড়ে আঁকা এসব চিত্রকর্ম তৎকালীন শৈল্পিক উৎকর্ষতার চিহ্ন বহন করে। গির্জাটিকে জাদুঘরে রূপান্তর করার পর যুক্তরাষ্ট্রের শিল্প ইতিহাসবিদদের একটি দল মূল গির্জার এসব চিত্রকর্ম পুনরুদ্ধার করে। চার বছর আগে যখন কোরা গির্জাটিকে মসজিদে রূপান্তরের আদেশ দেওয়া হয়, তখন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল প্রতিবেশী দেশ গ্রিস। এ ঘটনাকে ধর্মীয় উসকানি হিসেবেও আখ্যা দিয়েছিল দেশটি। কিন্তু তাতে কর্ণপাত না করে নিজের ইচ্ছায় অটল থাকেন এরদোয়ান। যদিও এরদোয়ানবিরোধীদের মতে, এই কাজের মধ্য দিয়ে নিজের জাতীয়তাবাদী সমর্থকদের জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। গির্জাকে মসজিদে রূপান্তর করার মতো ঘটনা তুরস্কে এটিই প্রথম নয়। ২০২০ সালে ইউনেসকো কর্তৃক সুরক্ষিত আয়া সোফিয়ার ঘটনাও অনেকটাই কারিয়া মসজিদের মতোই। ইস্তাম্বুলের আয়া সোফিয়া প্রথমে ছিল একটি প্রাচীন গির্জা। ভবনটিকে মসজিদ, তারপর জাদুঘর এবং তারপর আবার মসজিদে রূপান্তরিত করা হয়। সে ঘটনায় তুরস্কসহ সারা বিশ্বের মুসলমানদের কাছে একজন জনপ্রিয় মুসলিম শাসক হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
০৭ মে, ২০২৪

ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করলেন এরদোয়ান
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের যুদ্ধের প্রতিবাদে দেশটির সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য স্থগিত করেছে তুরস্ক। ছোট্ট এই উপত্যকায় ইসরায়েল নিরবচ্ছিন্ন ও পর্যাপ্ত ত্রাণসহায়তা প্রবেশের অনুমতি না দেওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। শুক্রবার (৩ মে) তুর্কি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে বিবিসি। পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য হলেও গাজায় ইসরায়েলের হামলার কট্টর সমালোচক মুসলিম দেশ তুরস্ক। গত অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে বেশ শক্তভাবে ফিলিস্তিনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। এ ছাড়া প্রায় প্রতিদিন ইসরায়েল ও দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে তুলাধুনা করছেন তিনি। একই সঙ্গে ইসরায়েলকে নিঃশর্ত সমর্থনের জন্য পশ্চিমাদের নিন্দা করেছেন তিনি। গত বছর দুই দেশের মধ্যে ৭০০ কোটি মার্কিন ডলারের বাণিজ্য হয়েছে। এবার তেল আবিবের সঙ্গে বাণিজ্য থেকে সরে এলো আঙ্কারা। এক বিবৃতিতে তুরস্ক বলেছে, এই বাণিজ্য স্থগিতাদেশ সব ধরনের পণ্যের আওতায় পড়বে। ইসরায়েল সরকার গাজায় নিরবচ্ছিন্ন এবং পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি না দেওয়া পর্যন্ত তুরস্ক কঠোরভাবে এই নতুন পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করবে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ‘স্বৈরশাসকের’ মতো আচরণ করছেন বলে অভিযোগ করেন ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। এক এক্স বার্তা তিনি বলেন, এরদোয়ান তুর্কি জনগণ ও ব্যবসায়ীদের স্বার্থকে উপেক্ষা করছেন এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চুক্তি ক্ষুণ্ন করছেন। ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে তুরস্কের সঙ্গে বাণিজ্যের বিকল্প খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছেন কাৎজ। স্থানীয় উৎপাদন এবং অন্যান্য দেশ থেকে আমদানির ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করার কথা বলেছেন তিনি।
০৩ মে, ২০২৪
X