কয়েক দফায় পরিবর্তন আনার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয় গঠিত কমিটি নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়ন পদ্ধতি চূড়ান্ত করেছে। এটি অনুমোদনের জন্য দেড় মাস আগে জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটিতে (এনসিসিসি) পাঠিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। কিন্তু এ সময়ের মধ্যে এনসিসিসির সভা না হওয়ায় অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। কীভাবে মূল্যায়ন হবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশায় আছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকরাও। অবশেষে ১ জুলাই এনসিসিসির বৈঠক ডেকেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এতে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন পদ্ধতির চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হবে। পাশাপাশি নতুন শিক্ষাক্রমে এসএসসি পরীক্ষার পদ্ধতিও চূড়ান্ত হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত নবম শ্রেণি পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানভিত্তিক মূল্যায়ন এবং দশম শ্রেণির পাবলিক মূল্যায়নবিষয়ক (এসএসসি পরীক্ষা) মূল্যায়ন কৌশল ও বাস্তবায়ন নির্দেশনা অনুমোদনের বিষয়টি সভার আলোচ্য বিষয় হিসেবে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া বিবিধ বিষয়েও আলোচনা হবে। এনসিটিবি সূত্র বলছে, এনসিসিসি সভায় মূল্যায়ন পদ্ধতি চূড়ান্ত হলে তা দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এর ওপর ভিত্তি করে এখন থেকে মূল্যায়ন হবে। একই সঙ্গে দশম শ্রেণিতে অনুষ্ঠিত পাবলিক পরীক্ষা এসএসসির বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেবে শিক্ষা বোর্ডগুলো। এনসিটিবির চেয়ারম্যান (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান বলেন, বৈঠকে মূল্যায়ন পদ্ধতি অনুমোদন হবে। বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন ও পাবলিক পরীক্ষার জন্য চূড়ান্ত মূল্যায়ন পদ্ধতি জরুরি। সেটা আমাদের বিবেচনায় আছে। জানা যায়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে মূল্যায়ন পদ্ধতির খসড়া প্রণয়ন করে এনসিটিবি। সেটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়েও উপস্থাপন করা হয়। পরে শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন ও মূল্যায়ন পদ্ধতি চূড়ান্ত করতে নতুন কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে মন্ত্রণালয়ের আরেকটি সভায় তা আবারও সংশোধন করা হয়। আনুষঙ্গিক কাজ শেষে এনসিটিবির বোর্ড সভায় সেটি অনুমোদন দেওয়া হয়। তারপর সেটি এনসিসিসির সভায় উপস্থাপনের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।