বাংলাদেশকে ৩ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে এডিবি
বাংলাদেশের সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে ২৫ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দিচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২ হাজার ৯৩৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা। সোমবার (১০ জুন) অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সঙ্গে এডিবি ঋণ চুক্তি সই করে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ইআরডি সচিব সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী এবং এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিনটিং নিজ নিজ পক্ষে চুক্তিতে সই করেন। সংস্থাটি জানায়, এই প্রোগ্রামটি দক্ষতা এবং কার্যকারিতা উন্নত করার জন্য প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য দুটি নগদভিত্তিক সুরক্ষা প্রোগ্রামকে একীভূত করবে। এই প্রোগ্রামটি জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগের জন্য সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদেরও শনাক্ত করাসহ জলবায়ু দুর্বলতার বিরুদ্ধে স্থিতিস্থাপকতা জোরদার করার জন্য সামাজিক সুরক্ষায় জলবায়ু অভিযোজিত ব্যবস্থাগুলোকে একীভূত করতে সহায়তা করবে। এডিবির সহায়তা বিধবা ভাতা কর্মসূচির আওতায় সুবিধাভোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি করবে এবং ট্রান্সজেন্ডারদের জন্য জীবিকা সহায়তা কর্মসূচির কভারেজ সম্প্রসারণের মাধ্যমে অসহায় নারী ও ট্রান্সজেন্ডারদের সুরক্ষাকে শক্তিশালী করবে। এ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক মহিলা উদ্যোক্তাদের জন্য ক্ষুদ্র উদ্যোগ পুনঃঅর্থায়ন প্রকল্পের জন্য তার তহবিল দ্বিগুণ করছে, যাতে আর্থিক পরিষেবাগুলোতে মহিলা ক্ষুদ্র ব্যবসা অপারেটরদের অংশগ্রহণ সম্প্রসারিত করা যায়। এডিবি জানায়, কর্মসূচির আরেকটি লক্ষ্য হলো তৈরি পোশাক খাতের শাসনব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা। এ ছাড়া এটি একটি ত্রিপক্ষীয় কমিটি গঠনে সমর্থন করে, যার মধ্যে রয়েছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে কর্মীদের জন্য সামাজিক সুরক্ষার ওপর কর্মী সমিতি, নিয়োগকর্তা সমিতি এবং দেশের সামাজিক বিমা প্রকল্পগুলোকে আরও বিকাশের ক্ষেত্রে একটি মূল প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা হিসেবে সহায়তা করা।
১০ জুন, ২০২৪

বেসরকারি সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ঋণ দেবে এডিবি
পাবনায় ১০০ মেগাওয়াটের সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণ ও পরিচালনায় ঋণ দেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এ লক্ষ্যে ডায়নামিক সান এনার্জির সঙ্গে ১২ কোটি ১৫ লাখ ডলারের ঋণের চুক্তি করেছে সংস্থাটি। আন্তর্জাতিক কোনো সংস্থার কাছ থেকে সহায়তা পাওয়া দেশের বেসরকারি খাতের প্রথম সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র এটি। গতকাল মঙ্গলবার এডিবির ঢাকা কার্যালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, এই সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রে অর্থায়নে এডিবিরি সঙ্গে রয়েছে আরও কয়েকটি সংস্থা। এডিবি এই ঋণের আয়োজক। এডিবি দিচ্ছে ৪ কোটি ৬৭ লাখ ডলার। আর আমস্টারডামভিত্তিক আইএলএক্স ফান্ড ২ কোটি ২০ লাখ ডলার। এ ছাড়া জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) দেবে আরও ৪ কোটি ৬৭ লাখ ডলার। বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটির বেসরকারি খাত পরিচালনা বিভাগের মহাপরিচালক সুজান গ্যাবৌরি বলেন, এশিয়ার জলবায়ু ব্যাংক হিসেবে এডিবি বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে সহায়তা করছে। এ ধরনের প্রকল্পের জন্য দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়ন পাওয়া চ্যালেঞ্জিং বিষয়। এ অংশীদারত্বের মধ্য দিয়ে এটিই বোঝা যায়, পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ উৎপাদনে অর্থায়ন জোগাড় এবং যেখানে এটি সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, সেখানে এ ধরনের আরও বিনিয়োগ উৎসাহিত করার ক্ষেত্রে এডিবির ভূমিকা নেতৃস্থানীয়। ডিএসই প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল পিএলসির (পিটি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাখাওয়াত হোসেন বলেন, এডিবির মতো আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অংশীদারত্ব এসডিজির প্রতি পিটির নিবেদনকে নিশ্চিত করে এবং টেকসই প্রবৃদ্ধির দিকে আমাদের যাত্রায় একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিকে তুলে ধরে।
০১ মে, ২০২৪

সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পে ১২ কোটি ডলার দিচ্ছে এডিবি
১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে ডায়নামিক সান এনার্জি প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে ১২ কোটি ১৬ লাখ ডলারের ঋণ চুক্তি করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে এডিবি জানায়, বৈশ্বিক অর্থায়নকারীদের সহায়তায় নির্মিত দেশের প্রথম বেসরকারি খাতের ইউটিলিটি পর্যায়ের সৌর সুবিধা এটি। এতে আরও বলা হয়, সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে ১২১.৫৫ মিলিয়ন বা ১২ কোটি ১৫ লাখ ৫০ হাজার ডলার ঋণ দেয়া হচ্ছে। প্রকল্পটির আওতায় প্ল্যান্ট স্থাপন করা হবে বাংলাদেশের পাবনায়। যেখান থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে ১০০ মেগাওয়াট। এতে বছরে কার্বন নিঃসরণ কমবে ৯৩ হাজার ৬৫৪ টন। ঋণ প্যাকেজটি সাজানো, কাঠামো প্রস্তুত এবং সিন্ডিকেট করার ক্ষেত্রে এডিবি কেবলমাত্র ম্যান্ডেটেড লিড অ্যারেঞ্জার এবং বুকরানার। এ অর্থায়ন প্যাকেজের মধ্যে রয়েছে এডিবি থেকে ৪ কোটি ৬৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার ঋণ, আইএলএক্স ফান্ডের ১ থেকে ২ কোটি ৮০৫ লাখ ডলারের সিন্ডিকেটেড বি-ঋণ, আমস্টারডামভিত্তিক ইমার্জিং মার্কেট প্রাইভেট ক্রেডিট ফান্ড, যা রেকর্ড ঋণদাতা হিসেবে এডিবির সঙ্গে দেশের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে সহায়তা করবে এবং জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) ৪ কোটি ৬৭ লাখ ৫০ হাজার ডলারের সিন্ডিকেটেড সমান্তরাল ঋণ। এডিবির বেসরকারি খাত পরিচালনা বিভাগের মহাপরিচালক সুজান গ্যাবৌরি বলেন, এশিয়ার জলবায়ু ব্যাংক হিসেবে এডিবি বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে সহায়তা করার সুযোগকে স্বাগত জানায়, যেখানে এ ধরনের প্রকল্পের জন্য দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়ন পাওয়া একটি চ্যালেঞ্জ। এই অংশীদারত্ব ক্লিন এনার্জি সুবিধাগুলোর জন্য অর্থায়ন জোগাড় এবং যেখানে এটি সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সেখানে আরও বিনিয়োগকে উৎসাহিত করার ক্ষেত্রে আমাদের নেতৃত্বের ভূমিকার উদাহরণ। সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বার্ষিক ১৯৩.৫ গিগাওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে এবং বার্ষিক ৯৩ হাজার ৬৫৪ টন কার্বন-ডাই অক্সাইড নির্গমন এড়াবে। ডিএসই প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল পিএলসির (পিটি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাখাওয়াত হোসেন বলেন, এডিবির নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক ঋণদাতাদের সহায়তায় বাংলাদেশে বেসরকারি খাতের অন্যতম বৃহৎ সৌর প্রকল্পে অর্থায়ন নিশ্চিত করতে পেরে আমরা আনন্দিত। এডিবির মতো আন্তর্জাতিকভাবে স্বনামধন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অংশীদারত্ব এসডিজির প্রতি পিটির নিবেদনকে নিশ্চিত করে এবং টেকসই প্রবৃদ্ধির দিকে আমাদের যাত্রায় একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিকে তুলে ধরে।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি
জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার ও এডিবি আওতায় চুক্তি করেছে। গতকাল শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এই চুক্তি হয়। চুক্তি সই করেন বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এবং এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং। ইআরডি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে ইআরডি। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রকল্পটি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বাস্তবায়ন করবে। ক্লাইমেট রেজিলেন্ট ইন্টিগ্রেটেড সাউথ ওয়েস্ট প্রজেক্ট ফর ওয়াটার রিসোর্স ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসন করে কৃষি ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি, আনুষঙ্গিক উন্নয়নের মাধ্যমে আর্থসামাজিক অবস্থার পরিবর্তন আনয়ন, সমন্বিত পানিসম্পদ ও অংশগ্রহণমূলক পানি ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন এবং উন্নত অবকাঠামো নির্মাণ ও সমন্বিত সহায়তার মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন অর্জন সম্ভব হবে। প্রকল্পটির বাস্তবায়নকাল চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ২০২৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। এ ঋণের সুদহার ২ শতাংশ এবং পাঁচ বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ মোট ২৫ বছরে পরিশোধযোগ্য। অন্য কোনো চার্জ নেই। এডিবি বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী। ১৯৭৩ সালে সদস্য লাভের পর এডিবি থেকে অর্থনীতির অগ্রাধিকারভুক্ত বিভিন্ন খাতে ধারাবাহিকভাবে আর্থিক সহায়তা পেয়ে আসছে বাংলাদেশ। উন্নয়ন সহায়তার ক্ষেত্রে এডিবি সাধারণত বিদ্যুৎ, জ্বালানি, পরিবহন, শিক্ষা, স্থানীয় সরকার, কৃষি, পানিসম্পদ ও সুশাসনকে প্রাধান্য দেয়।
২১ এপ্রিল, ২০২৪

৭১ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে এডিবি
বাংলাদেশ সরকারকে ৭১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (বাপাউবো) একটি প্রকল্প বাস্তবায়নে এ চুক্তি সই হয়েছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) এক সংবাদ বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। ঢাকায় এই ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ সময় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এবং এডিবির পক্ষে বাংলাদেশ আবাসিক মিশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন জিনটিং চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। জানা গেছে, প্রকল্পটি পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) কর্তৃক বাস্তবায়িত হবে। আলোচ্যে প্রকল্পের মাধ্যমে প্রকল্প এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসন করে কৃষি ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি, আনুষঙ্গিক উন্নয়নের মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন আনয়ন, সমন্বিত পানিসম্পদ ও অংশগ্রহণমূলক পানি ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন এবং উন্নত অবকাঠামো নির্মাণ ও সমন্বিত সহায়তার মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন অর্জন সম্ভব হবে। ঋণটি এডিবির Ordinary Operations (Concessional) বা নমনীয় শর্তে পাওয়া গেছে যার সুদের হার ২ শতাংশ এবং ৫ বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ মোট ২৫ বছরে পরিশোধযোগ্য। এছাড়া অন্য কোনো চার্জ নেই। এ ছাড়া প্রকল্প থেকে প্রাপ্ত সুবিধাদির দীর্ঘমেয়াদি স্থায়িত্ব বজায় রাখার নিমিত্ত পানি ব্যবস্থাপনা সংঘ গঠন করা হবে। প্রকল্পটির জানুয়ারি ২০২৪ হতে শুরু হয়ে ২০২৮ সালের ডিসেম্বরে শেষ হবে। এডিবি বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী। বাংলাদেশ ১৯৭৩ সালে সদস্য লাভের পর থেকে এডিবি থেকে এর অর্থনীতির অগ্রাধিকারভুক্ত বিভিন্ন খাতসমূহে ধারাবাহিকভাবে আর্থিক সহায়তা পেয়ে আসছে। বাংলাদেশে উন্নয়ন সহায়তার ক্ষেত্রে এডিবি সাধারণত বিদ্যুৎ, জ্বালানি, পরিবহন, শিক্ষা, স্থানীয় সরকার, কৃষি, পানিসম্পদ ও সুশাসনকে প্রাধান্য দেয়। এ যাবত বাংলাদেশ সরকারকে ৩১ হাজার ৫৪৭.৪৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ সহায়তা ও ৫৭১.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের অনুদান সহায়তা প্রদান করেছে এডিবি।
২০ এপ্রিল, ২০২৪

উচ্চশিক্ষাকে কর্মমুখী করতে আগ্রহী এডিবি
প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে শিক্ষা খাতে আরও বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং উচ্চশিক্ষাকে কর্মমুখী করতে ও শিক্ষার্থীদের কর্মসংশ্লিষ্ট যোগ্যতা ও দক্ষতা বাড়াতে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একসাথে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বুধবার (৩ এপ্রিল) সচিবালয়ে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফাতিমা ইয়াসমিনের নেতৃত্বে একদল প্রতিনিধি দল শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর সাথে এক সভায় এ আগ্রহের কথা জানান। প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন এডিবির বাংলাদেশ মিশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর মি. এডিয়েনন গিনটিং, এডিবি অফিসের পাবলিক সেক্টর ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড গভর্ন্যান্সের সিনিয়র ডিরেক্টর মি. নিয়াজি, এডিবির প্রাইভেট সেক্টর অপারেশন ডিপার্টম্যান্টের ডিরেক্টর মি. আসিফ সারদ চিমা, এডিবির ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর মি. জিয়াংবো নিং, এডিবির কান্ট্রি অপারেশন হেড মিস. না উন কিম, এডিবির এক্সটার্নাল রিলেশনের টিম লিডার গোবিন্দ বার প্রমুখ।  
০৩ এপ্রিল, ২০২৪

৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি
গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুর জেলায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ এবং সেচ ও জলসম্পদ ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে ৭ কোটি ১০ লাখ ডলার ঋণ দেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এই ঋণের মাধ্যমে দেশের উপকূলীয় এলাকার ৬ লাখ মানুষ জলবায়ুজনিত আঘাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবে। গতকাল বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এডিবি ঢাকা অফিস। প্রতি ডলার ১০৯ টাকা ৮৫ পয়সা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় এ অঙ্ক ৭৭৯ কোটি টাকা। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈশ্বিক জলবায়ু ঝুঁকি সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। কার্যকরী অভিযোজন ব্যবস্থা না নেওয়া হলে ২০৫০ সালের মধ্যে কৃষিতে মোট দেশজ উৎপাদন ৩০ শতাংশ কমে যেতে পারে। এডিবির জ্যেষ্ঠ প্রকল্প ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ পুষ্কর শ্রীবাস্তব বলেন, এই অতিরিক্ত সহায়তা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উৎপাদনশীলতা বাড়াবে। নারী ও দুর্বল গোষ্ঠীর জন্য আয় এবং টেকসই জীবিকা বাড়াতে সহায়ক হবে। এ ছাড়া দক্ষিণ-পশ্চিম বাংলাদেশের গ্রামীণ এলাকায় দারিদ্র্য কমবে। এ প্রকল্পের ফলে জলবায়ু-সহনশীল বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন ও সেচব্যবস্থা চালু হবে। এ ছাড়া লবণাক্ত পানির অনুপ্রবেশ কমবে। প্রকল্পটির মাধ্যমে ৬ লাখেরও বেশি মানুষের উপকার হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
১৪ মার্চ, ২০২৪

বাংলাদেশকে ৭১ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে এডিবি
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুর জেলার গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর বন্যানিয়ন্ত্রণ, সেচ ও পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনার উন্নতির জন্য তাদের প্রস্তুতি এবং স্থিতিস্থাপকতা জোরদার করতে ৭১ মিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে। এডিবির সিনিয়র প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট বিশেষজ্ঞ পুষ্কর শ্রীবাস্তবকে উদ্ধৃত করে একটি অফিসিয়াল বিবৃতিতে বলা হয়, এডিবির অতিরিক্ত সহায়তা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং উৎপাদনশীলতাকে আরও বাড়িয়ে তুলবে, বিশেষ করে নারী ও দুর্বল গোষ্ঠীর জন্য আয় ও টেকসই জীবিকা বাড়াবে এবং দক্ষিণ-পশ্চিম বাংলাদেশের গ্রামীণ এলাকায় দারিদ্র্য হ্রাস করবে। আর্থিক অনুদান প্রকল্পটি ছয় লাখেরও বেশি লোককে উপকৃত করবে বলে আশা করা হচ্ছে এবং জলবায়ু-স্থিতিস্থাপকতা, বন্যানিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন ও সেচ (এফসিডিআই) ব্যবস্থা চালু ও লবণাক্ত অনুপ্রবেশ হ্রাস করবে। এটি এফসিডিআই অবকাঠামোকে শক্তিশালী করতে এবং চারটি উপবেসিনে নিষ্কাশনের উন্নতিতে প্রকৃতি-ভিত্তিক সমাধানগুলো গ্রহণ করবে। কারণ প্রকল্পটি সমন্বিত পানি ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনা তৈরি ও উন্নত, পানি ব্যবস্থাপনা সংস্থাগুলোর জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ এবং অন্যান্য সম্প্রদায়ের অবকাঠামো তৈরি করবে। পুষ্কর বলেন, প্রকল্পটি এডিবি-অর্থায়নকৃত দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চল সমন্বিত পানিসম্পদ পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের অধীনে অর্জিত সাফল্যগুলোকে ধরে রাখবে, যা কৃষি উৎপাদন, উন্নত সম্প্রদায়ের অবকাঠামো এবং গ্রামীণ পরিবারের আয় বৃদ্ধি করেছে। বৈশ্বিক জলবায়ু ঝুঁকি সূচকের ভিত্তিতে, জলবায়ু ঝুঁকির দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। বাংলাদেশ চরম আবহাওয়া এবং ধীর গতিতে শুরু হওয়ায় জলবায়ু ইভেন্টের ক্রমবর্ধমান ফ্রিকোয়েন্সি এবং তীব্রতার মুখোমুখি। কার্যকরী অভিযোজন ব্যবস্থা ব্যতীত, জলবায়ুর পরিবর্তনশীলতা এবং চরম ঘটনাগুলো গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে প্রভাবিত করে, বিশেষ করে মহিলারা, যারা জলবায়ু সংবেদনশীল কৃষি অনুশীলন এবং তাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর নির্ভর করে, এ কারণে দেশটি ২০৫০ সালের মধ্যে কৃষি মোট দেশজ উৎপাদনের প্রায় ৩০ শতাংশ হারাতে পারে।
১৩ মার্চ, ২০২৪

উচ্চশিক্ষায় সহযোগিতা করতে আগ্রহী এডিবি
দেশে উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এ ছাড়া, গ্র্যাজুয়েটদের মাল্টিডিসিপ্লিনারি শিক্ষা, গবেষণা, উদ্ভাবন, দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়াতে সহযোগিতা করবে সংস্থাটি। এডিবির হিউম্যান অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট সেক্টরের সিনিয়র ডিরেক্টর আয়াকো ইনিগাকোর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল ইউজিসি চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীরের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এসব আশ্বাস দেন। সোমবার ইউজিসিতে অনুষ্ঠিত এ সভায় ছিলেন ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. আবু তাহের, অধ্যাপক ড. হাসিনা খান প্রমুখ।
০৫ মার্চ, ২০২৪

উচ্চশিক্ষায় সহযোগিতা করতে আগ্রহী এডিবি
দেশের উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস প্রদান করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এ ছাড়া দেশের গ্রাজুয়েটদের মাল্টিডিসিপ্লিনারি শিক্ষা, গবেষণা, উদ্ভাবন, দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রেও সহযোগিতা করবে এডিবি। এডিবির হিউম্যান অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট সেক্টরের সিনিয়র ডিরেক্টর আয়াকো ইনিগাকোর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল ইউজিসি চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ আশ্বাস দেন। সোমবার (৪ মার্চ) ইউজিসিতে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের, অধ্যাপক ড. হাসিনা খান, ইউজিসির পরিচালকসহ কমিশন ও এডিবিরি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অধ্যাপক আলমগীর বলেন, দেশের মানবসম্পদ উন্নয়নে এডিবির ইম্প্রুভিং কম্পিউটার অ্যান্ড সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং টারশিয়ারি এডুকেশন প্রকল্প (আইসিএসইটিইপি) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এ ছাড়া, দেশের কৃষি শিক্ষার উন্নয়নে এডিবিরি একটি প্রকল্পের ডিপিপি প্রণয়নের কাজ চলছে বলে তিনি জানান। তথ্যপ্রযুক্তি ও কৃষি প্রকল্পের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট খাতে দক্ষ ও মানসম্পন্ন গ্রাজুয়েট তৈরি হবে বলে তিনি জানান। সভায় অধ্যাপক আবু তাহের ও প্রফেসর হাসিনা খান বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার বিভিন্ন ক্ষেত্র তুলে ধরেন এবং গবেষণা-উদ্ভাবনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন বলে জানান। প্রসঙ্গত, ইউজিসির তত্ত্বাবধানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এবং যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইসিএসইটিইপি প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পের মাধ্যমে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে সিএসই বিভাগের যুগোপযোগী কারিকুলাম, অবকাঠামো উন্নয়ন ও আধুনিক ল্যাব গড়ে তোলা হবে। এ ছাড়া, সব বিশ্ববিদ্যালয়ে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে গবেষণা পরিচালনার জন্য সহায়তা দেওয়া হবে।
০৪ মার্চ, ২০২৪
X