রাঙামাটিতে এক কেন্দ্রে এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত
বন্যার কারণে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার কাচালং সরকারি ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রের বৃহস্পতিবারের (৪ জুলাই) এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত করেছে চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। বুধবার (৩ জুলাই) রাঙামাটি জেলা প্রশাসককে (ডিসি) দেওয়া এক চিঠিতে এ তথ্য জানায় চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) কাচালং সরকারি কলেজে এইচএসসির ইংরেজি (আবশ্যিক) প্রথম পত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা স্থগিত করা হয়েছে। রাঙামাটির জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেন, বাঘাইছড়ি উপজেলার কাচালং সরকারি কলেজ পরীক্ষাকেন্দ্রে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠেয় এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত করেছে শিক্ষা বোর্ড।
০৩ জুলাই, ২০২৪

কনুই দিয়ে লিখে এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে জাহিদুল
জাহিদুল ইসলামের হাত আছে, তবে কনুই পর্যন্ত। দুর্ঘটনায় তার দুই হাতের কনুইয়ের নিচের অংশ কেটে ফেলতে হয়। আঙুল না থাকায় স্বাভাবিকভাবে কিছু ধরতে পারত না। এরপরও থেমে থাকেনি। শারীরিক প্রতিবন্ধতাকে পেছনে ফেলে জীবনযুদ্ধে এগিয়ে চলছে সামনে। কনুইয়ের সাহায্যে লিখে সে এবার মানবিক বিভাগ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে।  যশোরের মনিরামপুর উপজেলার আগরহাটি গ্রামের মাহাবুবুর রহমানের ছেলে জাহিদুল ইসলাম। জানা যায়, তৃতীয় শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় ২০০৮ সালে বাড়ির পাশে একটি তিন তলা ভবনের ছাদে খেলা করার সময় বিদ্যুৎস্পর্শে গুরুতর আহত হয় জাহিদুল ইসলাম। পরে ঢাকার একটি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। কেটে ফেলা হয় তার দুই কনুইয়ের হাতের নিচের অংশ। এ অবস্থায় সে দুই হাতের কনুই ব্যবহার করে তার সব কাজ করতে শিখে নেয়।  লেখালেখি দুঃসাধ্য হলেও লেখাপড়ার প্রয়োজনে দুই হাতের কনুই দিয়ে কলম চেপে লিখতে শেখা রপ্ত করে। চিকিৎসা শেষে চার বছর পর আবার তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি হয়। লাউড়ি-রামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠ সম্পন্ন করে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয় সে। ধলিগাতী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২০২২ সালে এসএসসি পরীক্ষা অংশ নিয়ে ৪ দশমিক ৬ নম্বর পেয়ে ভর্তি হয় মনিরামপুর সরকারি কলেজে।  চলতি এইচএসসি পরীক্ষায় মনিরামপুর মহিলা কলেজের দ্বিতীয় তলায় ২০৭ (খ) নম্বর কক্ষে তার আসন পড়েছে। সেখানে অন্যান্য পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জাহিদুল ইসলাম বলেন, প্রথম দিকে অন্যের সহযোগিতা ছাড়া কোনো কাজ করতে গেলে অনেক কষ্ট হতো। কলম ধরে লেখা আয়ত্ব করতে সক্ষম হয়েছি। সাইকেল চালিয়ে কলেজে যাই। বন্ধুদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলায়ও অংশ নিই। এখন নিজের সব কাজ নিজেই করতে পারি। জাহিদুলের বাবা মাহাবুবুর রহমান জানান, বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনার কারণে ছেলের দুই হাতের নিচের অর্ধেক অংশ কেটে ফেলতে হয়। তবে, তারা এ অবস্থার জন্য কখনো হতাশ হননি। কনুইয়ের সাহায্যে এখন সে নিজেই নিজের কাজ করতে পারে। পড়ালেখার প্রতি আগ্রহ থাকায় তাকে কলেজে ভর্তি করে দেওয়া হয়। মনিরামপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ জি এম রবিউল ইসলাম ফারুকী কালবেলাকে বলেন, শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে হার মানিয়ে এগিয়ে চলেছে জাহিদুল। মানবিক বিভাগ থেকে জাহিদুল চলতি এইসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে। পড়ার প্রতি তার ব্যপক আগ্রহ। সবাই সহযোগিতা করলে সে অনেক দূর যাবে। মনিরামপুর মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও কেন্দ্র সচিব আফরোজা মাহমুদ কালবেলাকে বলেন, কলেজের দ্বিতীয় তলায় ২০৭ (খ) কক্ষে সহপাঠীদের সঙ্গে বসেই পরীক্ষা দিচ্ছে জাহিদুল ইসলাম। কনুই দিয়ে লিখে বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয় পরীক্ষা দিয়েছে।
০৩ জুলাই, ২০২৪

দুই উপজেলায় এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত
বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে ফেনীর দুই উপজেলা ফুলগাজী ও পরশুরামে আজকের এইচএসসি ও আলিম পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ দিকে পরীক্ষা স্থগিতের খবর শুনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।  মুছাম্মৎ শাহীনা বলেন, সোমবার রাতে মুহুরী নদীর বাঁধ ভেঙে ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে আজকের পরীক্ষা স্থগিতের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। এবার ফুলগাজীতে চারটি ও পরশুরামে দুটি কেন্দ্রে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। 
০২ জুলাই, ২০২৪

এইচএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে অনুপস্থিত প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী
২০২৪ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার প্রথম দিনে প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন; যা গত বছরের প্রথম দিনের পরীক্ষার তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। রোববার (৩০ জুন) বিকেলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকারের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  সিলেট শিক্ষা বোর্ড বাদে বাকি আটটি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। বন্যার কারণে সিলেট শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা আগামী ৮ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। আজ প্রথম দিনে বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন আট শিক্ষা বোর্ডের অধীন মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৯ লাখ ৩৩ হাজার ৬৮৯ জন। তাদের মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ৯ লাখ ২৩ হাজার ৭১৯ জন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রথম দিনে সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে। এ বোর্ডে ২ হাজার ৬০১ জন শিক্ষার্থী বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া রাজশাহী বোর্ডে ১ হাজার ৫০৮ জন, কুমিল্লায় ১ হাজার ১৫৬ জন, যশোরে ১ হাজার ৩২৮ জন, চট্টগ্রামে ৯৭৫ জন, বরিশালে ৭২৭ জন, দিনাজপুরে ১ হাজার ১৩ জন এবং ময়মনসিংহে ৬৬২ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন। এক প্রশ্নের জবাবে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকার গণমাধ্যমকে জানান, গত বছরের চেয়ে এবার অনুপস্থিতি কিছুটা বেশি। সেক্ষেত্রে প্রতিকূল আবহাওয়া একটি কারণ হতে পারে। আবার এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যাও কিছু বেশি। তিনি বলেন, আমরা বৃষ্টির পূর্বাভাস পাওয়ায় একটি জরুরি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছি। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে কোনো পরীক্ষার্থী দেরিতে কেন্দ্রে আসলে, তাকে সময় সমন্বয় করে দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছি। আশা করি, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা হাতে সময় নিয়ে পরীক্ষার কেন্দ্রে আসবেন। প্রসঙ্গত, বন্যা পরিস্থিতির কারণে এ বছর সিলেট বোর্ড ছাড়া বাকি ৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত বছরও এইচএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে বাংলা প্রথম পত্রে ৫ হাজার ৫২২ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল।
৩০ জুন, ২০২৪

এইচএসসি পরীক্ষা : কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে সাধারণের প্রবেশ নিষেধ
দেশব্যাপী শুরু হচ্ছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। রোববার (৩০ জুন) সকাল ১০টায় শুরু হবে এ পরীক্ষা। ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এ বছর পরীক্ষা সম্পন্ন করতে প্রস্তুত রয়েছে মোট ২ হাজার ৭২৫ কেন্দ্র ও ৯ হাজার ৪৬৩ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশে যেন বিঘ্ন না ঘটে, একইসঙ্গে নিরাপত্তার কারণে ঢাকা মহানগরীতে এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে সাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়া নিশ্চিত করার প্রয়োজনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স (অর্ডিন্যান্স নং-III/১৯৭৬) এর ২৮ ও ২৯ ধারায় পরীক্ষা কেন্দ্রসমূহের ২০০ গজের মধ্যে পরীক্ষার্থী ছাড়া জনসাধারণের প্রবেশ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। এ আদেশ পরীক্ষা শুরুর দিন থেকে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার দিনগুলোতে পরীক্ষা চলাকালীন পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এবার ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি/আলিম/এইচএসসি (বিএম/বিএমটি), এইচএসসি(ভোকেশনাল)/ডিপ্লোমা ইন কমার্স পরীক্ষায় মোট ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছেন। এর মধ্যে ছাত্র ৭ লাখ ৫০ হাজার ২৮১ জন এবং ছাত্রী ৭ লাখ ৫০৯ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৫ লাখ ৩৩ হাজার ৬৮০ জন এবং ছাত্রী ৫ লাখ ৯৪ হাজার ৬০১ জন। পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১ হাজার ৫৬৬ কেন্দ্র এবং ৪ হাজার ৮৭০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। আলিম পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮৮ হাজার ৭৬ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৪৭ হাজার ৫৯২ জন এবং ছাত্রী ৪০ হাজার ৪৮৪ জন। মোট কেন্দ্র ৪৫২টি এবং মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২ হাজার ৬৮৫টি। এ ছাড়া এইচএসসি (বিএম/বিএমটি) এইচএসসি (ভোকেশনাল)/ডিপ্লোমা ইন কমার্স পরীক্ষা (কারিগরি) বোর্ডে এবার মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২ লাখ ৩৪ হাজার ৪৩৩ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৬৯ হাজার ৯ জন এবং ছাত্রী ৬৫ হাজার ৪২৪ জন। মোট কেন্দ্র ৭০৭টি এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ১ হাজার ৯০৮টি।
৩০ জুন, ২০২৪

এইচএসসি পরীক্ষা শুরু আজ
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আজ রোববার। এবার সাধারণ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি, আলিম, এইচএসসি (বিএম/বিএমটি), এইচএসসি (ভোকেশনাল), ডিপ্লোমা ইন কমার্স পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন। ২ হাজার ৭২৫ কেন্দ্রে পরীক্ষায় বসবে ৯ হাজার ৪৬৩ প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থীরা। এ উপলক্ষে গতকাল শনিবার থেকে আগামী ১১ আগস্ট পর্যন্ত সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। আবার পরীক্ষা সুচারুভাবে শেষ করার লক্ষ্যে কিছু নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে—পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে।
৩০ জুন, ২০২৪

এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য যে নির্দেশনা দিল শিক্ষা বোর্ডগুলো
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হবে আগামীকাল রোববার (৩০ জুন)। রুটিন অনুযায়ী বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্রের মাধ্যমে শুরু হবে পরীক্ষা। চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের জন্য শিক্ষা বোর্ডগুলো বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে। ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি/আলিম/এইচএসসি (বিএম/বিএমটি), এইচএসসি (ভোকেশনাল)/ডিপ্লোমা ইন কমার্স পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৭ লাখ ৫০ হাজার ২৮১ জন এবং ছাত্রী ৭ লাখ ৫০৯ জন। মোট পরীক্ষা কেন্দ্র ২ হাজার ৭২৫টি ও মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৯ হাজার ৪৬৩টি। এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা বোর্ডগুলোর দেওয়া নির্দেশনাগুলো হলো: ১. পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে। ২. প্রথমে বহুনির্বাচনী ও পরে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ৩. ৩০ নম্বরের বহুনির্বাচনী (এমসিকিউ) পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ৩০ মিনিট এবং ৭০ নম্বরের সৃজনশীল পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট। ৪. ব্যবহারিক বিষয় সম্বলিত পরীক্ষার ক্ষেত্রে ২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনী (এমসিকিউ) পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২৫ মিনিট এবং ৫০ নম্বরের সৃজনশীল পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট। ৫. পরীক্ষা বিরতিহীনভাবে প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় পর্যন্ত চলবে। এমসিকিউ এবং সৃজনশীল উভয় অংশের পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না। ৬. সকাল ১০টা থেকে অনুষ্ঠেয় পরীক্ষার ক্ষেত্রে– ৭. সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে অলিখিত উত্তরপত্র ও বহুনির্বাচনী ওএমআর শিট বিতরণ। ৮. সকাল ১০টায় বহুনির্বাচনী প্রশ্নপত্র বিতরণ। ৯. সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বহুনির্বাচনী উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) সংগ্রহ ও সৃজনশীল প্রশ্নপত্র বিতরণ, (২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনী পরীক্ষার ক্ষেত্রে এ সময় ১০টা ২৫ মিনিট)। ১০. বেলা ২টা থেকে অনুষ্ঠেয় পরীক্ষার ক্ষেত্রে– ১১. বেলা ১টা ৩০ মিনিটে অলিখিত উত্তরপত্র ও বহুনির্বাচনী ওএমআর শিট বিতরণ। ১২. দুপুর ২টায় বহুনির্বাচনী প্রশ্নপত্র বিতরণ। ১২. বেলা ২টা ৩০ মিনিটে বহুনির্বাচনী উত্তরপত্র (OMR শিট) সংগ্রহ ও সৃজনশীল প্রশ্নপত্র বিতরণ, (২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনী পরীক্ষার ক্ষেত্রে এ সময় ২টা ২৫ মিনিট)। ১৩. প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় অনুযায়ী পরীক্ষাগ্রহণ করতে হবে। ১৪. পরীক্ষার্থীরা তাদের প্রবেশপত্র নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছ থেকে সংগ্রহ করবেন। ১৫. প্রত্যেক পরীক্ষার্থী সরবরাহকৃত উত্তরপত্রে তার পরীক্ষার রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড ইত্যাদি ওএমআর ফরমে যথাযথভাবে লিখে বৃত্ত ভরাট করবেন। কোনো অবস্থায়ই মার্জিনের মধ্যে লেখা কিংবা অন্য কোনো প্রয়োজনে উত্তরপত্র ভাঁজ করা যাবে না। ১৬. পরীক্ষার্থীকে তত্ত্বীয়, বহুনির্বাচনী ও ব্যবহারিক অংশে (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) পৃথকভাবে পাস করতে হবে। ১৭. প্রত্যেক পরীক্ষার্থী কেবল রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্রে উল্লিখিত বিষয়/বিষয়সমূহের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। কোনো অবস্থায়ই অন্য বিষয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। ১৮. কোনো পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নিজ কলেজ/প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হবে না, পরীক্ষার্থী স্থানান্তরের মাধ্যমে আসন বিন্যাস করতে হবে। ১৯. পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবেন। প্রোগ্রামিং ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে না। ২০. পরীক্ষাকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না এবং কোনো পরীক্ষার্থী পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন আনতে পারবেন না।
২৯ জুন, ২০২৪

যেসব যুক্তিতে এইচএসসি পরীক্ষা পেছানোর দাবি পরীক্ষার্থীদের
২০২৪ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা দুই মাস পেছাতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন পরীক্ষার্থীরা। স্মারকলিপিতে পরীক্ষা পেছানোর জন্য বেশ কয়েকটি যুক্তি তুলে ধরেছেন শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শিক্ষার্থীরা স্মারকলিপি জমা দেন। পরীক্ষা পেছানোর কারণ হিসেবে শিক্ষার্থীরা বলেন, ভারি বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে সিলেট, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ১৫ লাখের বেশি মানুষ। এ ছাড়া উজানি ঢলে তিস্তার পানি বেড়ে প্লাবিত হয়েছে উত্তরাঞ্চলের নিম্নাঞ্চল। ভারি বর্ষণে প্লাবিত হয়েছে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার অন্তত ৫০টি গ্রাম। দ্বিতীয় দফা বন্যায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সিলেট। সুরমা-কুশিয়ারাসহ এ অঞ্চলের সবকটি নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন, দ্বিতীয় দফায় সিলেটে ৪৮৯টি বিদ্যালয় বন্যাকবলিত হয়েছে। এর মধ্যে ২২৬টি বিদ্যালয়ে বন্যার্তদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এ ছাড়া সুনামগঞ্জ জেলায় বন্যাকবলিত হয়েছে ২৫৯টি বিদ্যালয়। এর মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে ১৪৮টি বিদ্যালয়। তিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বন্যার পানি ওঠায় ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা। এ ছাড়া বেশ কয়দিনের ভারি বর্ষণে চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিভিন্ন নদীর পানি বেড়ে পানিতে তলিয়েছে টেকনাফ। এসবের পাশাপাশি, ময়মনসিংহ বিভাগের বন্যা পরিস্থিতিরও চরম অবনতি হচ্ছে। রংপুর-কুড়িগ্রাম অঞ্চলও ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে। তারা আরও লিখেছেন, এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের মধ্যে যাদের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত কিংবা বই-খাতা বন্যায় ভিজেছে, নষ্ট হয়েছে, তারা কীভাবে এই দুর্যোগপূর্ণ পরিবেশে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি পরীক্ষায় অংশ নেবে? আবার বন্যাকবলিত এলাকায় দিন ও রাতের সিংহভাগ সময়ে বিদ্যুৎ থাকছে না। বিদ্যুতের অভাবে সন্ধ্যার পর পড়তে বসাটাও অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন বিপৎসংকুল অবস্থায় কীভাবে বন্যাদুর্গতরা পরীক্ষার প্রস্তুতি নেবে? এরই মাঝে সিলেট বোর্ডের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা মাত্র ৯ দিন পিছিয়েছে। আদৌ এই ৯ দিনে কি তাদের পুনর্বাসন সম্ভব? বাংলাদেশের এই বর্ষা মৌসুমে বারংবার বন্যা প্লাবিত হয় বিস্তর অঞ্চল। যদি পরীক্ষা চলাকালীন আবার বন্যা দেখা দেয়, তাহলে তাদের পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। শিক্ষার্থীরা লিখেন, ছাত্রছাত্রীদের এইচএসসি শেষ করেই ভর্তিযুদ্ধে নামতে হয়। গত বছর চট্টগ্রাম বোর্ডের পরীক্ষা ১০ দিন পেছানো হয়েছিল। কিন্তু মেডিকেল ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভর্তি পরীক্ষা পেছায়নি। সব বোর্ডের সঙ্গেই চট্টগ্রামে বোর্ডের পিছিয়ে পড়া ছাত্রছাত্রীরা ভর্তি পরীক্ষা দেয়। এমতাবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই ছাত্রছাত্রীরা মানসিকভাবে পিছিয়ে পড়বে। বাকিদের অনেক পরে ভর্তি প্রস্তুতি শুরু করায় মানসিক চাপের কারণে অনেকের স্বপ্নভঙ্গ ঘটার বিশাল আশঙ্কা দেখা দেয়। অথচ সবারই একই শিক্ষাব্যবস্থার অন্তর্গত। সকলেই ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ পাবার অধিকার রাখে। তাই শুধু বন্যাকবলিত অঞ্চলগুলোই নয় বরং সব বোর্ডের পরীক্ষা ২ মাস পিছিয়ে নিতে (বন্যার মৌসুমের পর পর্যন্ত) প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়টি বিবেচনা করে দেখার অনুরোধ জানাচ্ছি।
২৬ জুন, ২০২৪

এইচএসসি পরীক্ষা পেছানো হবে কি না, জানালেন শিক্ষামন্ত্রী
বন্যা ও ভারি বৃষ্টির কারণ দেখিয়ে সারা দেশে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা পেছানোর কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।   মঙ্গলবার (২৫ জুন) কালবেলাকে তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যে সিলেট বিভাগের এইচএসসি পরীক্ষা পিছিয়েছি। সারা দেশে পরীক্ষা পেছানোর কোনো সুযোগ নেই। কারণ অন্যান্য এলাকায় কিছুদিন পর অনেক বৃষ্টি হবে। আমরা যদি বিলম্ব করি তাহলে সেখানে পরীক্ষা নিতে পারব না।  এর আগে, শনিবার (২২ জুন) বন্যা পরিস্থিতিতে সিলেট বিভাগের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আগামী ৮ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ফলে আগামী ৩০ জুন থেকে সারা দেশে এ পরীক্ষা শুরু হলেও সিলেট বিভাগে তা স্থগিত থাকছে। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকারের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৯ জুলাই থেকে যে পরীক্ষাগুলো হওয়ার কথা ছিল, সেগুলো সিলেট বিভাগেও যথারীতি অনুষ্ঠিত হবে। আর স্থগিত পরীক্ষার সময়সূচি পরে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হবে।  বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, সিলেট বিভাগ ছাড়া মাদ্রাসা বোর্ড, কারিগরি বোর্ড ও অন্য সাধারণ ৯টি বোর্ডের পরীক্ষাসমূহ প্রকাশিত সময়সূচি অনুযায়ী যথারীতি ৩০ জুন থেকে অনুষ্ঠিত হবে। সাধারণত দেশের ৯টি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র আলাদা হয়। তাই সিলেট বোর্ডের প্রশ্নপত্র নিয়ে কোনো ঝামেলা থাকছে না। তবে বিপত্তিতে পড়েছে মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ড। সারা দেশে আলিম ও এইচএসসি (বিএম ও বিএমটি) পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র একই থাকায় ঝামেলাই পড়তে হচ্ছে। এ অবস্থায় সিলেট বিভাগের কারিগরি ও মাদ্রাসার পরীক্ষা স্থগিত করায় এ বিভাগে কোন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়া হবে, তা জানতে পরীক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকরা উদগ্রীব। এ বিষয়ে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. মামুন উল হক গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা ৪টি প্রশ্নপত্র তৈরি করি। এর মধ্যে দুই সেট ছাপানো হয়। বাকি দুই সেট সংরক্ষিত থাকে। সিলেট বিভাগের স্থগিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বাকি দুই সেট থেকে নেওয়া হবে। মাদ্রাসা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মদ শাহ আলমগীরও প্রশ্নপত্র প্রণয়ন নিয়ে একই কথা জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, এ বছর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীন মোট পরীক্ষার্থী ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন।
২৫ জুন, ২০২৪

এইচএসসি পরীক্ষা পেছানোর পক্ষে ৯৬ শতাংশ মানুষ
চলতি বছরের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা আগামী ৩০ জুন থেকে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ইতোমধ্যে পরীক্ষার রুটিনও প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটি। তবে দেশজুড়ে চলমান বন্যা পরিস্থিতির কারণে পরীক্ষা পেছানোর পক্ষে ৯৬ শতাংশ মানুষ। কালবেলা অনলাইনের এক মতামত জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে। বন্যা পরিস্থিতির কারণে পরীক্ষা পেছানোর পক্ষে সামাজিকমাধ্যমে কয়েকদিন ধরেই সরব শিক্ষার্থীরা। ফলে এ বিষয়ে সোমবার (২৪ জুন) থেকে অনলাইন জরিপ শুরু করে কালবেলা অনলাইন। এদিন সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিট থেকে জরিপটি শুরু হয়। মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ৪ লাখ ৮৯ হাজার ২৮৮ জন মতামত দিয়েছেন। ‘বন্যার কারণে এইচএসসি পরীক্ষা পেছানোর দাবি করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?’ এমন শিরোনামে পরিচালিত জরিপে অংশগ্রহণের জন্য ৩টি মতামতের সুযোগ রাখা হয়। এর মধ্যে ‘পরীক্ষা কিছু দিন পেছানো উচিত’ মতামতের সমর্থন করেন ৯৬ শতাংশ মানুষ। ‘সময়মতো পরীক্ষা হওয়া উচিত’ মতামতের সমর্থন করেন ৩ দশমকি ৬ শতাংশ ও ‘মন্তব্য নেই’ মতামতে সমর্থন করেন ০ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষ।  উল্লেখ্য, আকস্মিক পাহাড়ি ঢল ও ভারি বৃষ্টিতে বৃহত্তর সিলেট, রংপুর-কুড়িগ্রামসহ উত্তরবঙ্গ প্লাবিত হয়। ডুবে যায় পথঘাট, ঘরবাড়ি, ফসলি জমি। বন্যাকবলিত অঞ্চলের অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিচ তলা এখনো পানির নিচে। এ পরিস্থিতিতে পরীক্ষার্থীদের স্বাভাবিক প্রস্তুতিতে বিঘ্ন ঘটায় পরীক্ষা পেছানোর দাবি উঠেছে। এর আগেও এইচএসসি পরীক্ষা পেছানোর দাবি উঠেছিল। তখন আগের দুই ব্যাচের তুলনায় সময় কম পাওয়ার অজুহাত তোলা হয়। সে দাবিতে এইচএসসি পরীক্ষা ৩০ জুনের পরিবর্তে ৩০ আগস্ট শুরু করতে আওয়াজ তোলেন অনেকে। ওই সময় কালবেলা অনলাইনে একটি জরিপ পরিচালনা করা হয়; যেখানে ৯১ শতাংশ মানুষ দাবিটির পক্ষে মতামত দিয়েছিলেন। এদিকে বন্যা পরিস্থিতিতে সিলেট বিভাগের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আগামী ৮ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। ফলে আগামী ৩০ জুন থেকে সারা দেশে এ পরীক্ষা শুরু হলেও সিলেট বিভাগে তা স্থগিত থাকছে। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকারের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিলেট বিভাগ ছাড়া অন্য অঞ্চলের পরীক্ষা প্রকাশিত সময়সূচি অনুযায়ী ৩০ জুন থেকে শুরু হবে। ৯ জুলাই থেকে সিলেট বিভাগে পূর্ব নির্ধারিত পরীক্ষাগুলো হবে। স্থগিত পরীক্ষার সময়সূচি পরে জানানো হবে। এ বছর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীন মোট পরীক্ষার্থী ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন। সময়সূচি অনুযায়ী, আগামী ১১ আগস্ট লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১২ থেকে ২১ আগস্টের মধ্যে শেষ করতে হবে।
২৫ জুন, ২০২৪
X