বছরের সর্বোচ্চ উৎপাদন কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রে
রাঙামাটিতে কয়েকদিনের টানা বর্ষণে কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের একমাত্র পানি বিদ্যুৎকেন্দ্র কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রে (কপাবিকে) বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিটের মধ্যে চারটি ইউনিট থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে ১৬৪ মেগাওয়াট, যা চলতি বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের গতকাল মঙ্গলবার সকালে জানান, টানা বৃষ্টিতে কাপ্তাই হ্রদে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ওইদিন সকাল ৯টা পর্যন্ত কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের চারটি ইউনিটে উৎপাদন হয়েছে ১৬৪ মেগাওয়াট। এর মধ্যে ১ ও ২ নম্বর ইউনিট থেকে ৪২ করে ৮৪ মেগাওয়াট এবং ৪ ও ৫ নম্বর ইউনিট থেকে ৪০ করে ৮০ মেগাওয়াটসহ মোট ১৬৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে, যা চলতি বছর পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের সর্বাধিক উৎপাদন। বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়।
০৩ জুলাই, ২০২৪

উৎপাদন বেড়েছে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রে
কয়েকদিনের টানা বর্ষণে কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের একমাত্র কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রে (কপাবিকে) বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। কেন্দ্রের ৫টি ইউনিটের মধ্যে ৪টি ইউনিট থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে ১৬৪ মেগাওয়াট। কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের কন্ট্রোল রুম সূত্র জানায়, বছরের এ সময় কাপ্তাই হ্রদে রুলকার্ভ অনুযায়ী পানি থাকার কথা ৮৪ দশমিক ১৬ ফুট মিন সি লেভেল (এমএসএল)। বর্তমানে হ্রদে পানি পরিমাণ রয়েছে ৮৩ দশমিক ৬৯ ফুট এমএসএল। যা গত কয়েকদিনের মধ্যে সর্বোচ্চ পানির লেভেল। কাপ্তাই হ্রদের পানি ধারণ ক্ষমতা ১০৯ ফুট এমএসএল। কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকালে জানান, টানা বৃষ্টিতে কাপ্তাই হ্রদে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ওইদিন সকাল ৯টা পর্যন্ত কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৪টি ইউনিটে উৎপাদন হয়েছে ১৬৪ মেগাওয়াট। এর মধ্যে ১ ও ২নং ইউনিট থেকে ৪২ করে ৮৪ মেগাওয়াট এবং ৪ ও ৫নং ইউনিট থেকে ৪০ করে ৮০ মেগাওয়াটসহ মোট ১৬৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। যা চলতি বছর পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের সর্বাধিক উৎপাদন। পানির পরিমাণ বাড়তে থাকলে বিদ্যুৎ উৎপাদন আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি জানান। প্রসঙ্গত, কাপ্তাইয়ে অবস্থিত দেশের একমাত্র পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫টি ইউনিট উৎপাদনক্ষমতা ২৩০ মেগাওয়াট। তবে পানির পরিমাণ বেশি থাকলে এবং ইউনিটগুলো সচল থাকলে ৫টি ইউনিট থেকে সর্বোচ্চ ২৪২ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়। 
০২ জুলাই, ২০২৪

সিমেন্ট শিটের ব্যবহারে উৎপাদন বাড়বে
প্রাণিসম্পদ খাতে বিশেষ করে হাঁস-মুরগি ও গবাদি পশুর খামারে সিমেন্ট শিট ব্যবহার করলে দেশে বছরে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, এতে উৎপাদন খরচ কমিয়ে প্রান্তিক লোকসানি খামারগুলো মুনাফায় ফিরতে পারে। অন্যদিকে ভোক্তারা কমমূল্যে ডিম, দুধ, মাংস খেতে পারবে। গতকাল সোমবার রাজধানীর ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামে (ইআরএফ) অনুষ্ঠিত ‘সবুজ নির্মাণ: সিমেন্ট শিট যেভাবে বাংলাদেশের কৃষি অর্থনীতিকে রূপান্তরিত করছে’ শীর্ষক কর্মশালায় তারা এসব তথ্য জানান। ইআরএফ ও বাংলাদেশ সিমেন্ট শিট ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত কর্মশালায় বক্তব্য দেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ড. মুসাদ্দিক হোসেন, সিমেন্ট শিট শিল্পের বড় উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান আনোয়ার গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ওয়াইজ আর হোসেন প্রমুখ। ইআরএফ সভাপতি মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মীরধার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমের সঞ্চালনায় এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড. নথু রাম সরকার। ওয়াইজ আর হোসেন বলেন, বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে গবাদি পশু, হাঁস-মুরগি উৎপাদনে সিমেন্ট শিট ব্যবহারে নীরব বিপ্লব ঘটেছে। দেশে সিমেন্ট শিট ব্যবহারের ফলে ডিম, দুধ ও মাংস উৎপাদন প্রায় ৯ শতাংশ বেড়েছে। সিমেন্ট শিট মৎস্য ও গবাদি পশুকে রোগব্যাধি থেকে শুধু রক্ষাই করছে না, সেই সঙ্গে মৃত্যুহার প্রায় ১০ শতাংশ কমাচ্ছে। মুসাদ্দিক হোসেন বলেন, নানা কারণে বাংলাদেশ উচ্চ তাপমাত্রার ঝুঁকিতে রয়েছে, যা প্রাণিসম্পদ ও কৃষি খাতের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ। এই দুশ্চিন্তা কমাতে সিমেন্ট শিট বড় ভূমিকা রাখতে পারে। শিটগুলো ছয় স্তরের হওয়ায় অতিরিক্ত গরমের সময় শেডের ভেতরের তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ করে, এতে শেডের ভেতরের পরিবেশ তুলনামূলক শীতল থাকে, যা মুরগি ও গবাদি পশুর হিটস্ট্রোকে মৃত্যু হ্রাস করে।
০২ জুলাই, ২০২৪

উৎপাদন শুরু হলেও বিপণনে যায়নি সিরাজগঞ্জ সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র
মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই উৎপাদন শুরু হয়েছে সিরাজগঞ্জ ৬৮ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে। তবে এখনো কমার্শিয়াল অপারেশন ডেট (সিওডি) অর্থাৎ বাণিজ্যিকভাবে বিপণনে যেতে পারেনি। বৈরী আবহাওয়ার কারণে ৮ থেকে ১৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। যেটা জাতীয় গ্রিডে যোগ হলেও কোম্পানি কোনো মূল্য পাচ্ছে না।   রোববার (৩০ জুন) থেকেই সিরাজগঞ্জ ৬৮ মেগাওয়াট সোলার পার্ক বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। বঙ্গবন্ধু সেতু ও নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর পশ্চিম পাড়ে যমুনা নদীর অববাহিকায় বাংলাদেশ ও চীনের দুটি কোম্পানীর যৌথ অর্থায়নে বিশাল এই সোলার পার্কটির নির্মাণ কাজ এরইমধ্যে শেষ হয়েছে।  প্রকল্প অফিস সূত্র জানায়, বাংলাদেশের এনডাব্লিউপিজিসিএল (নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লি.) এবং চীনের সিএমসি (চায়না ন্যাশনাল মেশিনারী ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশন) যৌথভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।  ‘সিরাজগঞ্জ ৬৮ মেগাওয়াট সোলার পার্ক’ নামে এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৮০ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ৮৮০ কোটি টাকা। চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড অ্যাক্সপোর্ট কর্পোরেশনের (সিএমসি) ডেপুটি ম্যানেজার আব্দুল্লাহ আল মারুফ বলেন, যমুনাপাড়ের অব্যবহৃত কৃষি জমি বাংলাদেশ ও চীনের দুটি কোম্পানি বাংলাদেশ-চায়না রিনিউয়েবল এনার্জি কোম্পানি লি. (বিসিআরইসিএল) নামে বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ২১৪ একর জমি ২৫ বছর মেয়াদে লিজ নেয়। পরে ৯ জানুয়ারি ২০২৩ এই বিদ্যুৎকেন্দ্রেটির পিপিএ (পাওয়ার পার্সেজ এগ্রিমেন্ট) এবং আইএ (ইমপ্লেমেন্টেশন এগ্রিমেন্ট) স্বাক্ষরিত হয়। ৯ জুলাই ২০২৪ প্রকল্পের মেয়াদ থাকলেও আমরা ৩০ জুন থেকেই উৎপাদন শুরু করেছি। বৈরী আবহাওয়ার কারণে ৮ থেকে ১৭ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে যেটা জাতীয় গ্রিডে যাচ্ছে। মিনিমাম ৪ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন ৬৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হলেই বাণিজ্যিক বিপণনে যাবে।  প্রকল্প পরিচালক তানভীর রহমান বলেন, ২০২৩ সালের ৯ জানুয়ারি আমরা  আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকল্পের কাজ শুরু করি। প্রকল্প শেষ হওয়ার মেয়াদ ছিল ৯ জুলাই ২০২৪। আমরা নির্ধারিত সময়ের ১০ দিন আগেই আনুষ্ঠানিকভাবে উৎপাদন শুরু করেছি। বর্তমানে রেডি এবিলিটি (প্রস্তুত ক্ষমতা) রানে রয়েছে।  উৎপাদন শুরু হলে জাতীয় গ্রিডে ৬৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হবে। প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ ১০ দশমিক ২ ইউএস সেন্ট মূল্যে পিডিবির কাছে বিক্রি করা  হবে। 
০১ জুলাই, ২০২৪

উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষকদের সার, বীজ, কীটনাশক সরবরাহ করা হবে : কৃষিমন্ত্রী 
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেছেন, চলতি  বছরে তাপদাহে আমসহ বেশকিছু ফসল উৎপাদন কম হয়েছে, তাই কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষকদের সার, বীজ, কীটনাশকসহ যাবতীয় কৃষি উপকরণ বেশি করে যথাসময়ে সরবরাহ করা হবে। সোমবার (১০ জুন) রাজধানীর শ্যামপুরে অবস্থিত কেন্দ্রীয় প্যাকিং হাউজে আম রপ্তানি কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। মন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের আমের যথেষ্ঠ সুনাম ও চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশ হতে উন্নত দেশের মূলধারার সুপার মার্কেটগুলোতে আম সরবরাহ করা গেলে আম রপ্তানির পরিমাণ বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে এবং আম উৎপাদনকারীরা অধিকতর লাভবান হবেন। তিনি বলেন, বৈদেশিক আয় বৃদ্ধি করতে আম রপ্তানি খুবই সম্ভাবনাময়। কৃষিবান্ধব বর্তমান সরকার আম রপ্তানির মাধ্যমে উল্লেখ্যযোগ্য পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের লক্ষ্যে নানান পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করছে।  আম রপ্তানিকারকদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, আম রপ্তানি বৃদ্ধি করার জন্য শ্যামপুরে অবস্থিত কেন্দ্রীয় প্যাকিং হাউজ আধুনিক ও শক্তিশালীকরণ করা হয়েছে। অন্যান্য প্রতিবন্ধকতা দূর করতে কাজ চলমান আছে। তিনি বলেন, মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে এই পর্যন্ত ১৫টি দেশে গোপালভোগ, হিমসাগর জাতের প্রায় ১৮৯ মেট্রিক টন আম রপ্তানি করা হয়েছে। আজকে ১৪টি কনসাইনমেন্টে ইংল্যান্ড, জার্মানি, ইতালি ও ফ্রান্সে ২৫ টন আম রপ্তানি করা হবে। এ বছর কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে বিশ্বের প্রায় ৩৮টি দেশে গোপালভোগ, হিমসাগর, আম্নপালি, ফজলী, সুরমা ফজলি, বারি-৪ জাতের রপ্তানিযোগ্য ৩ হাজার ১০০ টন আম রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিগত ২০২৩ সালে বিশ্বের ৩৮টি দেশে ৩ হাজার ৯২ টন আম রপ্তানি করা হয়। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ড. মো. আওলাদ হোসেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ আরিফুর রহমান প্রমুখ।
১০ জুন, ২০২৪

খরায় ১৪ জেলায় ফসল উৎপাদন কমার শঙ্কা
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আগামী ২০৫০ সালের মধ্যে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের প্রায় ১৭ শতাংশ এলাকা সমুদ্রে বিলীন হতে পারে। তা ছাড়া আগামী ২০ থেকে ২৫ বছরে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁসহ উত্তরাঞ্চলের বেশ কিছু এলাকায় মরুভূমির চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠতে পারে। এরই মধ্যে দেশের ১৩ থেকে ১৪টি জেলায় খরা দেখা দিয়েছে। এসব কারণে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ফসলের উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর পরিবেশ অধিদপ্তর মিলনায়তনে ‘উষ্ণায়ন, খরা ও মরুকরণরোধে ভূমি ও জলাশয় রক্ষার এখনই সময়’ শীর্ষক সেমিনারে উপস্থাপিত মূল প্রবন্ধ থেকে এসব তথ্য জানা যায়। প্রবন্ধটি উপস্থাপন করেন বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার। পরিবেশ অধিদপ্তর, বাপা, বেলা, ক্যাপস, বারসিকসহ পরিবেশবাদী ১৬টি সংগঠন সেমিনারের আয়োজন করে। ড. আহমদ কামরুজ্জামান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন, খরা ও মানবসৃষ্ট কারণে উর্বর ভূমি ধীরে মরুভূমিতে পরিণত হওয়ার প্রক্রিয়াই হচ্ছে মরুকরণ। এই ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা, খরা ও মরুময়তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সর্বপ্রথম পদক্ষেপ হল প্রচুর পরিমাণে বৃক্ষরোপণ এবং বনায়ন কার্যক্রম বাড়ানো। প্রধান অতিথি ছিলেন বক্তব্যে জলবায়ু সংসদের সভাপতি ও সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয়। তিনি বলেন, পরিবেশ দূষণকারী উপাদান প্লাস্টিকের বিরুদ্ধে সচেতন হতে হবে। পরিবেশ সংরক্ষণ করা সরকারের একার কাজ নয়, সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আব্দুল হামিদ পরিবেশ নিয়ে কাজ করতে সবার প্রতি আহ্বান জানান। প্রয়োজনে ফান্ড সহায়তারও আশ্বাস দেন। সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন স্থপতি ইকবাল হাবিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম শহীদুল ইসলাম, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডব্লিউবিবি) ট্রাস্টের পরিচালক গাউস পিয়ারী প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাপার সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির।
০৮ জুন, ২০২৪

হঠাৎ গণহারে ট্যাংক উৎপাদন বাড়াচ্ছে তুরস্ক, নেপথ্যে কী?
বিশ্বজুড়ে বাড়ছে যুদ্ধের ঝনঝনানি। মধ্যপ্রাচ্য থেকে শুরু করে মধ্য এশিয়া হয়ে ইউরোপ- বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিটি কোণেই বাজছে যুদ্ধের দামামা। এমন পরিস্থিতিতি পরাশক্তিগুলো মেতে উঠেছে সমরাস্ত্র উৎপাদন আর বাণিজ্যের প্রতিযোগিতায়। নিজেকে তৈরি করছে সম্ভাব্য যুেদ্ধ এগিয়ে থাকার মূল শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে। সেই দৌঁড়ে এবার শামিল হয়েছে ইউরেশিয়ার পরাশক্তি তুরস্কও। হঠাৎ করেই বিপুল পরিমাণ ট্যাংক উৎপাদনে নজর দিয়েছে এরদোয়ানের দেশ। কিন্তু কেমন এমন রণপ্রস্তুতি, তবে কী শীঘ্রই কোনো বড় আকারের যুদ্ধের শঙ্কায় রয়েছে আঙ্কারা? তুর্কি সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, তুরস্কের প্রথম নিজস্ব মেইন ব্যাটেল ট্যাংক আলটাইয়ের বিপুল পরিমাণে উৎপাদন শুরু করেছে। বুধবার দেশটির ঊর্ধ্বতন এক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তুর্কি প্রতিরক্ষা সরজ্ঞাম উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএমসি ডিফেন্স এসব ট্যাংক উৎপাদন করছে।  তুর্কি প্রতিরক্ষা শিল্পের হেড অব প্রেসিডেন্সি হালুক গোর্গুন জানান, এরই মধ্যে তুরস্কের জাতীয় মেইন ব্যাটেল ট্যাংকের বিপুল পরিমাণ উৎপাদন শুরু করা হয়েছে। অনেক দেশই এ প্রকল্পে অংশীদারত্ব নিতে প্রস্তুত। আঙ্কারা তাদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। তুর্কি এ কর্মকর্তা জানান বিএমসি আধুনিক যুদ্ধকৌশল ও সমরাঙ্গনের চাহিদা অনুযায়ী আলটাই ট্যাংকের আধুনিকায়ন করেছে, যা ট্যাংটির ধ্বংস ক্ষমতা ও স্থায়ীত্ব বহুগুনে বাড়িয়ে তুলেছে।  একই সঙ্গে তুরস্ক তার নির্মাণাধীন বিমানবাহী রণতরীর জন্য ড্রোনের সফল টেকঅফ টেস্টও সম্পন্ন করেছে। শনিবার একটি স্থল-ভিত্তিক রানওয়ে থেকে সফলভাবে তার প্রথম স্কি-জাম্প পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। বাইকার টেকনোলোজিসের শেয়ার করা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে যে ড্রোনটি উত্তর-পশ্চিম তুরেস্কের এডির্নে অবস্থিত একটি রানওয়ে থেকে আকাশে ডানা মেলে।  এ সময় বাইরাকতার টিবি-৩ ড্রোনটি ১২ ডিগ্রি বাকা একটি রানওয়ে থেকে টেক অফ করে যা একটি বিমানবাহী রণতরীর ফ্লাইট ডেকের আদলে তৈরি। ড্রোনের পাশাপাশি সামরিক ড্রোন ক্যামেরাও উন্নত করছে তুরস্ক। বাইকার কোম্পানির শেয়ার করা এক ভিডিওতে দেখা যায়, তুর্কি প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠান আসেলসানের তৈরি আসেলফ্লির-৫০০ ক্যামেরা ব্যবহার করে সমুদ্রে ভাসমান একটি লক্ষ্যবস্তুকে ধ্বংস করেছে বাইরাকতার আকিনচি ড্রোন। এ সময় তুর্কি সমরাস্ত্র উৎপাদন প্রতিষ্ঠান রকেটসানের তৈরি এমএএম-টি ও এমএএম-এল ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।   
০৪ জুন, ২০২৪

বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে কর্ণফুলী বিদ্যুৎকেন্দ্রে
ঘূর্ণিঝড় রিমাল পরবর্তী ভারি বর্ষণে দেশের বৃহত্তম রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে পানির পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। যার ফলে পানির ওপর নির্ভরশীল দেশের একমাত্র পানি বিদ্যুৎকেন্দ্র কাপ্তাই কর্ণফুলি পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র (কপাবিকে) এর বিদ্যুৎ উৎপাদনও বৃদ্ধি পেয়েছে।  আগে পানির অভাবে মাত্র ১টি ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হলেও বর্তমানে ২টি ইউনিট একসঙ্গে চালু রেখে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, কয়েক মাস কাপ্তাই হ্রদে পানির স্তর সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসায় এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫টি ইউনিট থেকে মাত্র একটি ইউনিট চালু রেখে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছিল। দৈনিক মাত্র ২৫ থেকে ৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হতো।  তবে সর্বশেষ শুক্রবার (৩১ মে) প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গত বুধবার থেকে এখন পর্যন্ত এই কেন্দ্রে ২টি ইউনিট চালু করা হয়েছে। তার মধ্যে ১নং ইউনিট থেকে ৩০ মেগাওয়াট এবং ২নং ইউনিট হতে ২৫ মেগাওয়াটসহ সর্বমোট ৫৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। এ বিষয়ে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের জানান, কাপ্তাই হ্রদে পানির পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে বিদ্যুৎ উৎপাদন আরও বাড়বে। তবে কাপ্তাই হ্রদে পানি বাড়ার জন্য আরও ভারি বৃষ্টিপাতের প্রয়োজন বলে তিনি জানান। এদিকে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, রুলকার্ভ অনুযায়ী কাপ্তাই হ্রদে বর্তমানে পানি থাকার কথা ৭৬ দশমিক ৪০ এমএসএল (মীনস সি লেভেল), তবে কাপ্তাই হ্রদে বর্তমানে পানি আছে ৭৮ দশমিক ৫৫ এমএসএল (গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত)। অর্থাৎ বর্তমানে প্রায় ১ দশমিক ৭৫ এমএসএল পানি বেশি রয়েছে। যদিও কাপ্তাই লেকে পানি ধারণক্ষমতা ১০৯ ফুট এমএসএল। প্রসঙ্গত, দেশে সবচেয়ে কম খরচে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হয় একমাত্র কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রে। যেখানে ৫টি ইউনিট থেকে সর্বোচ্চ ২৪২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে।
৩১ মে, ২০২৪

ইলেকট্রনিকস পণ্যের উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাটের হার বাড়ছে
আগামী অর্থবছরে ভ্যাট আদায় বাড়াতে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ইলেকট্রনিকস খাতে উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাটহার বাড়ানোর পরিকল্পনা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে রেফ্রিজারেটরের ভ্যাটহার ৫ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হতে পারে। এ ছাড়া এয়ারকন্ডিশনে নতুন করে বসছে ভ্যাট। ভ্যাটহার হতে পারে ৫ থেকে ১০ শতাংশ। সিকিউরিটিজ সার্ভিস সেবা, নিলামকারী, জুস থেকে শুরু করে ১১ থেকে ১২ ধরনের পণ্যে ভ্যাটের অভিন্ন হার করা হচ্ছে ১৫ শতাংশ। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপে আগামী অর্থবছর থেকে নতুন করে ভ্যাট অব্যাহতি দেবে না এনবিআর। অর্থাৎ অব্যাহতি তুলে নেওয়ায় নতুন করে আরোপ হচ্ছে ভ্যাট। এয়ারকন্ডিশনের ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ চলতি অর্থবছরের জুনে শেষ হচ্ছে। আগামী অর্থবছর এয়ারকন্ডিশনের উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট আরোপ করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে এয়ারকন্ডিশনের ভ্যাটহার হতে পারে ৫ থেকে ১০ শতাংশ। এ ছাড়া রেফ্রিজারেটরের উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাটের হার ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হতে পারে। দেশের ইলেকট্রনিকস খাতের বিকাশে দশ বছরের ভ্যাট অব্যাহতি দিয়েছিল সরকার। এই মেয়াদ শেষ হওয়ার পর চলতি অর্থবছরে রেফ্রিজারেটরের ওপর ভ্যাট আরোপ করে এনবিআর। এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহসভাপতি আমিন হেলালী কালবেলাকে বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক্সের বড় বাজার হিসেবে গড়ে উঠছে। এ ক্ষেত্রে বিদেশিরা বাজার দখলের চেষ্টা করবে। তাই আমাদের প্রয়োজন দেশীয় শিল্পকে সক্ষম করে তোলা। একই সঙ্গে সরকারকে ভ্যাটও আদয় করতে হবে। ইলেকট্রনিকস খাতকে সক্ষম করে তুলতে সরকার দীর্ঘদিন ধরে ভ্যাট সুবিধা দিয়ে আসছে। আগামী বাজেটে ইলেকট্রনিকস খাতে ভ্যাটহার বাড়ানো হলে নিশ্চয়ই তা বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় করা হবে বলে আমাদের প্রত্যাশা। আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী আগামী অর্থবছর থেকে ভ্যাটের অভিন্ন হার বাস্তবায়নের দিকে এগোচ্ছে এনবিআর। এরই অংশ হিসেবে প্রাথমিকভাবে প্রায় ১২ ধরনের পণ্যে ভ্যাটের অভিন্ন হার ১৫ শতাংশ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এখন এসব পণ্যের ভ্যাটহার ১৫ শতাংশের নিচে রয়েছে। আগামী অর্থবছরের বাজেটে ভ্যাট আদায় বাড়াতে সিকিউরিটিজ সার্ভিস সেবার বিপরীতে ভ্যাটের হার ১০ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হচ্ছে। এতে বাসাবাড়ি থেকে শুরু করে প্রতিষ্ঠানের সিকিউরিটি সার্ভিসেও আগামী অর্থবছর বাড়তি টাকা খরচ করতে হবে। এ ছাড়া বর্তমানে যে কোনো ধরনের নিলামের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ হারে ভ্যাট নির্ধারণ করা আছে। আগামী অর্থবছর এই হার ১৫ শতাংশ করা হতে পারে। এ ক্ষেত্রে সরকারি কোষাগারে রাজস্ব বাড়লেও নিলাম গ্রহীতার খরচ বাড়বে। এ ছাড়া উৎপাদন পর্যায়ে বৈদ্যুতিক বাল্ব উৎপাদনে ভ্যাটের হার বাড়ানোর ঘোষণা আসতে পারে আগামী বাজেটে। বর্তমানে বৈদ্যুতিক বাল্বের ভ্যাটের হার ৫ শতাংশ । আগামী অর্থবছর এই হার ১০ শতাংশ বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে বাসায় লাইট জ্বালানোর খরচও আগের তুলনায় বাড়বে। তবে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এলইডি লাইটের ভ্যাটের হার ১০ শতাংশ অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আগামী বাজেটে কোমল পানীয়ের সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে এনবিআর। ভ্যাট কর্মকর্তারা বলছেন, আগামী অর্থবছর নতুন করে কোনো ধরনের অব্যাহতি দেওয়া হবে না। আর যেসব খাতে অব্যাহতির মেয়াদ শেষ হয়েছে, নতুন করে তা বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই। এ ছাড়া বেশকিছু খাতে অব্যাহতি তুলে নিয়ে ভ্যাট আরোপ করা হতে পারে। এ ছাড়া ভ্যাটের অভিন্ন হার বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে কিছু কিছু খাতে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপ করা হতে পারে আগামী অর্থবছর। তবে সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে এ ধরনের সিদ্ধান্ত হচ্ছে। ২০২২ সালে আয়কর, ভ্যাট ও শুল্ক মিলে প্রায় ৩ লাখ ১৮ হাজার কোটি টাকার অব্যাহতি সুবিধা দেওয়া হয়েছে। আইএমএফের অন্যতম শর্ত ছিল রাজস্ব আদায় বাড়াতে অব্যাহতি তুলে দিতে হবে। তিন ধাপে ২০২৭ সালের মধ্যে সব ধরনের রাজস্ব অব্যাহতি তুলে দিতে হবে। এসব কারণে চলতি অর্থবছর থেকে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে যাচ্ছে এনবিআর। গত ১৪ মে বাজেটের বিষয়গুলো নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন এনবিআর কর্মকর্তারা। ওই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নতুন করে ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে অভিন্ন ভ্যাট হার নিয়ে এনবিআরের প্রস্তাবে সায়ও দিয়েছেন। এরই আলোকে উৎপাদন পর্যায়েও ভ্যাটের হার বাড়াচ্ছে এনবিআর।
৩১ মে, ২০২৪

উৎপাদন কম হওয়ায় হতাশ লিচু চাষিরা
বিরূপ আবহাওয়ার কারণে চলতি মৌসুমে পাবনার চাটমোহরে লিচুর উৎপাদন কম হয়েছে। যেসব কৃষক সঠিক পরিচর্যা করতে পেরেছেন তাদের বাগানে শেষ পর্যন্ত কিছু লিচু টিকে থাকলেও অধিকাংশ লিচু বাগান মালিক এবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। যেসব ব্যবসায়ী বার্ষিক অগ্রিম বাগান কিনে থাকেন তারাও ক্ষতির শিকার হচ্ছেন।   চাটমোহর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে চাটমোহরে ৪৮০ হেক্টর জমিতে লিচু চাষ হয়েছিল। এ এলাকায় সাধারণত মোজাফ্ফর জাতের লিচু বেশি চাষ হয়। বোম্বাই ও চায়না-৩ জাতের সামান্য কিছু লিচু চাষ হয় এ এলাকায়। বিলচলন ইউনিয়নের কুমারগাড়া গ্রামের লিচু চাষি আব্দুল মজিদ জানান, প্রায় ২৭ বিঘা জমিতে লিচু চাষ করেন তিনি। এ বছর তিনি তার বাগানের সমস্ত লিচু মাত্র সাত লাখ টাকায় বিক্রি করেছেন। লিচু ব্যবসায়ীরা বাগান থেকে পাকা লিচু সংগ্রহের কাজ শুরু করেছেন।  তিনি আরও জানান, লিচু গাছে যখন ফুল আসে তখন দুই দিন গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হওয়ায় ফুল নষ্ট হয়ে যায়। এ ছাড়া অত্যাধিক তাপমাত্রার কারণেও লিচু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সর্বশেষ ঘুর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ঝড়-বৃষ্টিতে আরেক দফা ক্ষতিগ্রস্ত হয় এ এলাকার লিচু বাগানগুলো। দোলং গ্রামের লিচু চাষি ও চাটমোহর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফিরোজা পারভীন জানান, লিচু গাছে যখন ফুল আসে তার পর পরই সামান্য বৃষ্টিপাত হয়। ফলে ফুল পঁচে যায়। তার প্রায় বিশটি লিচু গাছ থাকলেও এবার খাওয়ার লিচুও পাননি তিনি। রামচন্দ্রপুর গ্রামের লিচু চাষি জাহাঙ্গীর আলম জানান, লিচু গাছে পর্যাপ্ত ফুল দেখে চাষিরা বাম্পার ফলনের আশা করেছিলেন। কিন্তু বিরূপ আবহাওয়ার কারণে গুটি হতে না হতেই লিচু ঝরে যায়। রামচন্দ্রপুর, জালেশ্বর, নতুনপাড়া, মন্ডলপাড়া, গুনাইগাছা, মল্লিকচক, জাবরকোলসহ এ এলাকার লিচু চাষিরা তিন ফসলি জমিতে অন্য ফসল চাষ না করে লিচুর আবাদ করেন। বছরে একবার লিচু বিক্রি করেন। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার গাছে চার ভাগের এক ভাগ লিচু ছিল। ফলন বিপর্যয়ের কারণে দাম বেশি পেলেও উৎপাদন কম হওয়ায় হতাশ হয়েছেন লিচু চাষিরা।  চাটমোহর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ এ মাসুম বিল্লাহ জানান, লিচুর ফুল বের হওয়ার পর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে তীব্র রোদ ও খরায় লিচুর গুটি ঝরে যায়। আমরা লিচু চাষিদের সব সময় প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছি। বাগান মালিক ও বাগান ক্রেতারা এরইমধ্যে ৩৬০ হেক্টর জমির লিচু সংগ্রহের কাজ শেষ করেছেন। উৎপাদন কম হলেও কৃষক ভালো দাম পেয়েছেন। ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ঝড় বৃষ্টিতে লিচু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
৩০ মে, ২০২৪
X