বিজয় দিবস নিয়ে বিএনপি উপহাস করেছে
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিজয়ের দিনকে উপহাস করে পরাজয়ের দিন বলেছে বিএনপি। একাত্তরের পরাজয় তো আপনাদের আর জামায়াতের। ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানের দর্শকদের পরাজয় হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে যারা বিশ্বাস করে, তাদের জন্য এটা বিজয়ের দিন। গতকাল রোববার আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বিএনপি মানুষের জন্য রাজনীতি করে না, উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তাদের গণতন্ত্র চর্চার ইতিহাস আমরা জানি। ১৫ ফেব্রুয়ারি মার্কা নির্বাচন, ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার তৈরি, জিয়ার হ্যাঁ বা না ভোট, ঢাকা-১০ ও মাগুরার প্রহসনমূলক নির্বাচন—এগুলো তো বিএনপির সৃষ্টি। বিএনপি আবার সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলে কোন মুখে? তাদের শাসনামলে কোন নির্বাচন সুষ্ঠু করেছে? এ দেশে আওয়ামী লীগই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচন কমিশনকে একটা স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলেছে। সেই স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনেই নির্বাচন হচ্ছে। বিএনপির মন্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির নেতৃত্বে কয়েকটি দল নির্বাচনকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভাগাভাগির নির্বাচন বলছে। যে নির্বাচনে ২৮টি দলের ২ হাজার ২৬০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, সেই নির্বাচন কী করে ভাগাভাগির নির্বাচন হয়? জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সমঝোতা নিয়ে কোনো অশোভন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। শুধু আসন ভাগাভাগির বিষয় নয়, বিএনপি নির্বাচন প্রতিহতের ডাক দিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে যারা নির্বাচন করতে চায়, সেসব সম্ভাবনাময় দলের মধ্যে একটা ঐক্য থাকা প্রয়োজন। এসব নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, নৌকার প্রার্থী তুলে নিলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী সব আসনেই থাকছেন। তারা কি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নন? নৌকা না থাকলেও ২৮টি দল তো নির্বাচনে থাকছে। তিনি বলেন, নির্বাচন ঘিরে বিএনপি সারা দেশে নাশকতা করছে। তারা বাধা দেবে; কিন্তু নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হবে না। এটা আমাদের অঙ্গীকার। ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ তো নির্বাচনের আচরণবিধি মেনে চলছে। আমরা ১৬ তারিখ (ডিসেম্বর) বিজয় মিছিল না করে সেটা ১৮ তারিখে নিয়েছি। বিএনপি তো প্রতিদিনই ট্রেনে-বাসে আগুন দিচ্ছে। এমনকি গাজীপুরে গ্যাসলাইন পর্যন্ত কেটে দিয়েছে। এ সময় দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৩

কলিন্স অভিধানে ‘বাজবল’ অন্তর্ভুক্তি, অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের উপহাস
‘বাজবল’ শব্দের সঙ্গে মানুষের পরিচিত খুব বেশি দিনের নয়। নিউজিল্যান্ডের মারকুটে ক্রিকেটার ব্রান্ডান ম্যাককালাম শব্দটির শ্রষ্টা। ইংল্যান্ডের টেস্ট কোচ হয়েই ক্রিকেটে এই নতুন ধারণার প্রবর্তন করেন। সম্প্রতি ‘বাজবল’ শব্দটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে কলিন্স ইংলিশ ডিকশনারিতে। এই অন্তর্ভুক্তির ঘটনাকে উপহাস করেছেন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা।  ইংলিশ টেস্ট কোচ ম্যাককালামের দ্বারা বাস্তবায়িত খেলার ধরন বর্ণনা করতে ‘বাজবল’ ব্যবহার করা হয়। যা ঝুঁকি নেওয়া এবং দ্রুত রান তোলার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। ২০২৩ সাল নিজস্ব প্রকাশনায় বাজবলকে যুক্ত করেছে কলিন্স ডিকশনারি। এ ছাড়া শব্দটি বছরের সেরা শব্দের জন্য মনোনীত করেছে।  অজি ব্যাটার মারনাস লাবুশানে অভিধানে বাজবলের অন্তর্ভুক্তিকে ‘আবর্জনা’ হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘গম্ভীরভাবে, আমি জানি না যে এটি কি, সত্যই।’  ভারতীয় সাংবাদিকরা এ বিষয়ে স্টিভ স্মিথকেও জিজ্ঞাসা করেন। হেসে অজি ব্যাটার বলেন, ‘ছেলেরা শুধু এটা নিয়ে রসিকতা করতে থাকে। আমি মনে করি রনি (অস্ট্রেলিয়ান কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড) সত্যিকার অর্থে বাজবল সম্পর্কে যথেষ্ট শুনেছেন।’ চলতি বছরে ইংল্যান্ডের মাটিতে পাঁচ ম্যাচের অ্যাশেজ সিরিজ ২-২ ব্যবধানে শেষ করেছে অস্ট্রেলিয়া। এ বছরে ম্যাককালামের অধীনে ইংল্যান্ড ১২টি টেস্ট ম্যাচের মধ্যে ১০টি ম্যাচ জিতেছে। সেখানে ওভার প্রতি ৪.৭৬ রান নিয়েছে ইংলিশরা। যা অন্য যেকোনো টেস্ট দলের চেয়ে ওভার প্রতি এক রানেরও বেশি। ম্যাকালামের ইংলিশদের দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই বজবল শব্দটির আগমন ঘটেছিল। ইংল্যান্ডের ক্রিকেটার এবং ভক্তদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস এতটায় প্রবল হয়ে ওঠে যে, তাদের খেলার ধরন অন্যদের চেয়ে উচ্চতর। ইংলিশ টেস্ট অধিনায়ক বেন স্টোকসের পাশাপাশি ম্যাককালামও কাউন্টি ক্রিকেটে এটি গ্রহণে উৎসাহিত করেন।
০২ নভেম্বর, ২০২৩

ফিলিস্তিনিদের উপহাস করে যা বললেন বাইডেন
ইসরায়েলকে শুধু নিঃশর্ত সমর্থনই নয় বরং ফিলিস্তিনিদের মৃত্যুর সংখ্যা নিয়েও উপহাস করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বললেন, বেসামরিক নাগরিকদের মৃত্যু নিয়ে যে তথ্য দিচ্ছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তা বিভ্রান্তিকর। যেখানে প্রতিদিন ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর ক্রামগত বোমাবর্ষণে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা নগরী। হাসপাতালগুলোতে চলছে তীব্র চিকিৎসা সরঞ্জাম সংকট।  বুধবার ওয়াশিংটন ডিসিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাইডেন জানান, ফিলিস্তিনিরা যে সংখ্যা বলছে তা তিনি বিশ্বাস করেন না। এ সময় ইসরায়েল ও ইসরায়েলি স্বার্থের বিরুদ্ধে গুজব ছড়ানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।  বাইডেন বলেন, তারা যদি সত্যি বলে তাহলে সেখানে ফিলিস্তিনি নামের কোনো জাতিই থাকার কথা নয়। আমি নিশ্চিত যে নিরীহ মানুষ মারা যাচ্ছে, যা চলমান যুদ্ধের ফলাফল। আমি মনে করি আমাদের এবং ইসরায়েলের সতর্ক থাকা উচিত। যারা ইসরায়েল ও ইসরায়েলি স্বার্থের বিরুদ্ধে এমন গুজব ছড়াচ্ছে যা ঘটেনি তাদের প্রতি মনোযোগ দেওয়া উচিত। তবে আমি মনে করি না ফিলিস্তিনিরা যে সংখ্যা বলছে তা সত্য। সংবাদ সম্মেলনে এক চমকপ্রদ তথ্যও দেন বাইডেন, জানান ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে স্থল অভিযান বিলম্বিত করার ব্যাপারে কোনো অনুরোধ জানাননি তিনি। এর আগে জিম্মিরা মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত স্থল অভিযান বিলম্ব করার মার্কিন অনুরোধে ইসরায়েল সম্মত হয়েছে বলে প্রচার করেছিল তেলআবিব। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, যদি জিম্মিদের নিরাপদে মুক্ত করতে স্থল অভিযান বিলম্বিত করার প্রয়োজন হয় তাহলে তা করা উচিত। তবে এটি একান্তই ইসরায়েলের নিজস্ব সিদ্ধান্ত।  এদিকে, হামাসের সঙ্গে চলমান সংঘাতকে কেন্দ্র করে ইসরায়েলে রকেট গতিতে বাড়ছে অস্ত্র প্রশিক্ষণের মাত্রা। চলমান সংঘাতের কারণে দেশটির সাধারণ নাগরিকদের অস্ত্র চালনায় প্রশিক্ষণ ও নিবন্ধনের সংখ্যা বাড়িয়েছে তেলআবিব প্রশাসন। সরকারের ডাকে সাড়া দিয়ে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ইসরায়েলি নাগরিকও অস্ত্রের নিবন্ধন পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। চাপ সামলাতে জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র অনুমোদন বিভাগে কর্মী সংখ্যাও বাড়িয়ে তুলেছে নেতানিয়াহু সরকার।  
২৬ অক্টোবর, ২০২৩
X