উচ্চশিক্ষা খাতকে এগিয়ে নিতে ডিজিটালাইজেশনে গুরুত্বারোপ ইউজিসির
দেশের উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে যথার্থ পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে সামাজিক রূপান্তরের ইতিহাসকে গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর। এ ছাড়া ডিজিটালাইজেশন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রয়োজনে নতুন বিভাগ খোলা ও কারিকুলাম পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার (২ মে) ইউজিসি আয়োজিত ‘উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে সামাজিক রূপান্তর এবং সহযোগিতা’-বিষয়ক এক গোলটেবিল বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সভায় জার্মানির বাউহাউস ইউনিভার্সিটির উপউপাচার্য ড. আলরিক কাচ, ইউনিভার্সিটির চেয়ার অব রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট অধ্যাপক ড. এখারড ক্রাফট, ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, অধ্যাপক ড. হাসিনা খান, ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান এবং বিভিন্ন বিভাগের পরিচালকসহ কমিশনের কর্মকর্তারা অংশ নেন। অধ্যাপক আলমগীর বলেন, সামাজিক রূপান্তরে সমাজের ইতিহাস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের শিক্ষার মতো বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা খাতেও ডিজিটালাইজেশন একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেজ্ঞ মোকাবিলায় আমাদের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন নতুন বিষয় প্রবর্তনসহ কারিকুলামে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ এখন জনমিতিক সুবিধার কাল অতিক্রম করছে। দেশের কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা অনেক বেশি। বিশাল সংখ্যক কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে দক্ষ জনসম্পদে রূপান্তর দেশের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এজন্য যথাযথ পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা জরুরি। বাউহাউস ইউনিভার্সিটির উপউপাচার্য ড. আলরিক কাচ তার বক্তব্যে সমাজের ইতিহাস, রাজনীতি, ইকোলজি, অর্থনীতি এবং আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করাকে উচ্চশিক্ষাখাতের অন্যতম চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। এগুলো সামাজিক রূপান্তরের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সমাজ পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এ বিষয়গুলো নিয়ে যথাযথভাবে পরিকল্পনা প্রণয়ন করা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। বাউহাউস ইউনিভার্সিটির চেয়ার অব রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট অধ্যাপক ড. এখারড ক্রাফট বলেন, বাংলাদেশে বাউহাউস ইউনিভার্সিটি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মোংলা পোর্ট, চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং মোংলা পোর্টের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে। তিনি তার বক্তব্যে বিগত ১৫ বছরে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় এবং জার্মান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উন্নয়নের একটি চিত্র তুলে ধরেন। সভায় বক্তারা জানান, বিশ্বের সকলক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং প্রযুক্তি মানুষের জীবনকে নানাভাবে প্রভাবিত করছে। শিক্ষর্থীদের মাঝে প্রযুক্তি জ্ঞানের বিস্তার নিশ্চিত করতে বিশ্বের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো কারিকুলাম পরিবর্তনসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। উচ্চশিক্ষা খাতে কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স এবং অ্যাক্রিডিটেশন ব্যাপকভাবে প্রধান্য পাচ্ছে। তবে এসব ক্ষেত্রে যথার্থ পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে সামাজিক রূপান্তরের ইতিহাসকে গুরুত্ব দিতে হবে। এ ছাড়া, সভায় বাউহাউস ইউনিভার্সিটিকে ন্যানো টেকনোলজি, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং বায়ো ম্যাটেরিয়ালস- এর উন্নয়ন নিয়ে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সহযোগিতা প্রদানের আহ্বান জানানো হয়।
০২ মে, ২০২৪

ফের মাউশির ডিজি হলেন অধ্যাপক নেহাল
ফের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক নেহাল আহমেদ। এক বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন তিনি।  বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।  রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ভাস্কর দেবনাথ বাপ্পি স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ এর ৪৯ ধারা অনুযায়ী অধ্যাপক নেহাল আহমেদের অভোগকৃত অবসরউত্তর ছুটি ও তৎসংশ্লিষ্ট সুবিধা স্থগিত ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সাথে কর্মসম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী এক বছর মেয়াদে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হলো। মাউশিতে অধ্যাপক নেহাল আহমেদের চাকরির মেয়াদ শেষ হয় গত ১৩ এপ্রিল। ওই দিন ঈদের ছুটি থাকার কারণে তিনি শেষ অফিস করেন ৯ এপ্রিল। এরপর থেকে মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন কলেজ ও প্রশাসন শাখার পরিচালক অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী। এর আগে গত ১ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ অধ্যাপক নেহাল আহমেদকে গ্রেড-১ এ পদোন্নতি দিয়ে মাউশির মহাপরিচালক পদে পদায়ন করা হয়। অধ্যাপক নেহাল আহমেদ ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক। তিনি ২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে তিনি একই প্রতিষ্ঠানের উপাধ্যক্ষ ছিলেন। মাউশির মহাপরিচালকের দায়িত্ব পাওয়ার আগে তিনি ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।
২৫ এপ্রিল, ২০২৪

উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের নির্ভরযোগ্য বিদ্যাপীঠ উত্তরা ইউনিভার্সিটি
‘উচ্চশিক্ষা এবং গবেষণায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন’ এই স্লোগানে ঢাকার উত্তরায় উচ্চশিক্ষার পাদপীঠ হিসেবে উত্তরা ইউনিভার্সিটির যাত্রা ২০০৩ সালে। শুরুতে দুটি অনুষদের অধীনে ৩টি বিভাগ নিয়ে শিক্ষা-কার্যক্রম শুরু হয়।  বর্তমানে দৃষ্টিনন্দন গ্রিন সিটি ক্যাম্পাস, শিক্ষার গুণগত মান ও পরিবেশ, শিক্ষা প্রদানসংক্রান্ত সব ধরনের সক্ষমতা, সর্বোচ্চ ডিগ্রিধারী কর্মদক্ষ এক ঝাঁক আধুনিক তরুণ ও যোগ্য শিক্ষকমণ্ডলী, ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠদান নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে বর্তমানে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যাপকভাবে সাফল্য অর্জন করেছে উত্তরা ইউনিভার্সিটি।  এ ইউনিভার্সিটিতে ৫টি অনুষদের অধীনে ১৪টি বিভাগে ৩৪টি প্রোগ্রাম চালু রয়েছে। শুরু থেকেই গবেষণা-প্রকাশনা, প্রযুক্তিনির্ভর কর্মমুখী শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়ে কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং, ফ্যাশন ডিজাইন অ্যান্ড টেকনোলজি, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, আইন, শিক্ষা ও শারীরিক শিক্ষাসহ বিজনেস, বাংলা, ইংরেজি, গণিত, পদার্থবিদ্যার ওপর বিভিন্ন প্রোগ্রাম চালু আছে।  মানসম্পন্ন শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দেওয়ায় এ প্রতিষ্ঠান থেকে ডিগ্রিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা যে কোনো প্রতিযোগিতায় ও কর্মক্ষেত্রে নিজেদের চৌকস প্রমাণ করতে পারছে। উত্তরা ইউনিভার্সিটি এরইমধ্যে সম্পন্ন করেছে ৮টি সমাবর্তন। মেধাবী শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে ইউনিভার্সিটিতে চালু আছে ফাউন্ডার স্কলারশিপ। উত্তরা ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. এম আজিজুর রহমান জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একজন খ্যাতিমান শিক্ষাবিদ ও অর্থনীতিবিদ। তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রিকালচারাল ইকোনমিকস বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে অনার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। একই বিভাগ থেকে মাস্টার অব সায়েন্স ডিগ্রিও লাভ করেন।  বিশ্বব্যাংকের বৃত্তি নিয়ে তিনি আমেরিকার ভ্যান্ডারভিল্ট ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। দেশে ও বিদেশের ইউনিভার্সিটি পর্যায়ে তিনি ২৫ বছর অধ্যাপনা করেন। ১৯৮৯-৯৯ সাল পর্যন্ত তিনি ইউএস অ্যাম্বাসির ইউএসএইডে ইকোনমিকস অ্যাডভাইজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ড. এম আজিজুর রহমান উত্তরা ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য।  বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করছেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. ইয়াসমীন আরা লেখা। ড. লেখা উত্তরা ইউনিভার্সিটির জন্মলগ্ন থেকে তথা- ২০০৩ সাল থেকে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে জড়িত আছেন। এই ইউনিভার্সিটিতে তিনি শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক। পরে বিভাগীয় সভাপতি এবং শিক্ষা ও শারীরিক শিক্ষা অনুষদের ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। উপাচার্যের দায়িত্ব গ্রহণের আগে তিনি ইউনিভার্সিটির উপউপাচার্য হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। স্থায়ী ক্যাম্পাস উত্তরা ইউনিভার্সিটির একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য হচ্ছে, এটি শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষে স্থায়ী ক্যাম্পাস- হোল্ডিং নং-৭৭, বেড়িবাঁধ রোড, তুরাগ, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০ এ পাঠদান কার্যক্রম শুরু করেছে। দৃষ্টিনন্দন এ ক্যাম্পাসে শিক্ষার সব ধরনের আধুনিক সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে।  শিক্ষা ও গবেষণা বর্তমানে উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে ১৪টি বিভাগ শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। পড়াশোনার পাশাপাশি গবেষণার কাজও চলছে সমানতালে। স্থাপন করা হয়েছে ইনস্টিটিউট অব পলিসি রিসার্চ ও সেন্টার ফর রিসার্স অ্যান্ড ট্রেনিং। ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি) গঠন করে শিক্ষার অভ্যন্তরীণ গুণগত মান উন্নয়নের জন্য শিক্ষক, অফিসারদের ট্রেনিং দেয়া হয়েছে এবং Outcome Based Education Curriculum প্রণয়ণ করা হয়েছে। এ ইউনিভার্সিটি থেকে ডিগ্রি নিয়ে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছে প্রায় ৩০ হাজার শিক্ষার্থী। উত্তরা ইউনিভার্সিটির প্রতিটি বিভাগই গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। শিক্ষকদের গবেষণা প্রবন্ধ নিয়মিত প্রকাশ হচ্ছে দেশি ও আন্তর্জাতিক জার্নালে। এ ছাড়া বিভিন্ন অনুষদ থেকে নিয়মিত প্রকাশ হচ্ছে জার্নাল। ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ থেকে বিজনেস রিভিউ, আইন বিভাগ থেকে ল’ জার্নাল এরইমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। অন্যান্য অনুষদের জার্নাল প্রকাশ প্রক্রিয়াধীন আছে।  উত্তরা ইউনিভার্সিটি যুক্তরাজ্যের বেডফোর্ড শ্যায়ার ইউনিভার্সিটি ও অরচেস্টার ইউনিভার্সিটির সঙ্গে এমওইউ স্বাক্ষর করেছে। এ ছাড়া কানাডার কয়েকটি ইউনিভার্সিটির সঙ্গেও এমওইউ সম্পন্ন করেছে। বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া, আসাম ও কলকাতায় বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনেরও আয়োজন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।  আয়োজিত সম্মেলনগুলোতে আমেরিকা, জাপান ও ভারতসহ দেশ-বিদেশের খ্যাতিমান শিক্ষাবিদরা অংশগ্রহণ করছেন নিয়মিত। সৃজনশীলতায় এগিয়ে শিক্ষার্থীরা উত্তরা ইউনিভার্সিটির গণিত বিভাগের ছাত্ররা আন্ডার গ্র্যাজুয়েট গণিত অলিম্পিয়াড ২০১৪, ২০১৫ ও ২০১৬ সালে অংশগ্রহণ করে সব সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের মধ্যে প্রতিযোগিতায় একাধিকবার প্রথম, তৃতীয়, চতুর্থ ও সপ্তম স্থান অর্জন করে।  শারীরিক শিক্ষা বিভাগের কৃতী ছাত্রী মাহফুজা খাতুন শীলা জাতীয় সাঁতার প্রতিযোগিতা ২০১৬ সালে জোড়া স্বর্ণপদক বিজয়ী হয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পদক গ্রহণ করেন। এ বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী মিনিতা সুপ্রিয়া মিজান ত্রপী ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত সপ্তম আন্তর্জাতিক কারাতে চ্যাম্পিয়নশিপ ২০১৬ সালে বিশেষ সাফল্য অর্জন করেছেন।  ইইই বিভাগের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান শরীফ তেল ও গ্যাসবিহীন একটি মোটরযান উদ্ভাবন করেছেন, যা সোলার এনার্জিতে মাত্র ১০ টাকা খরচে সারা দিন চালানো যায়। প্রায় সব অনুষদ এবং বিভাগের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যতিক্রমধর্মী নানা সৃজনশীল কার্যক্রম লক্ষ্য করা যায়। এসব সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে শিক্ষার পরিবেশকে এক আনন্দঘন পরিবেশে পৌঁছে দিয়েছে উত্তরা ইউনিভার্সিটি। যত অর্জন মানসম্পন্ন শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার স্বীকৃতি হিসেবে ইউনিভার্সিটি বেশকিছু সম্মাননায় ভূষিত হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে হংকংয়ের ‘দ্য বিজ অ্যাওয়ার্ড-২০১৮, দিল্লির এডুকেশন লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড-২০১২, সিঙ্গাপুরের এশিয়াস বেস্ট বিজনেস অ্যাওয়ার্ড-২০১৩, মুম্বাইয়ে এশিয়ান সিইএফ বিজনেস স্কুল অ্যাওয়ার্ড ২০১৪, ইউজিসি অ্যাওয়ার্ড ২০১৪ ও ২০১৫ (আইন বিভাগ) অন্যতম। এ ছাড়া ষষ্ঠ জাতীয় গণিত অলিম্পিয়াডে এ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী দ্বিতীয় স্থান লাভ করে। ইতি কথা সর্বশেষে, এটাই বলব শুধু সার্টিফিকেট অর্জনের মধ্য দিয়ে বা উপযুক্ত কোনো পেশার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়েই শিক্ষা পরিপূর্ণতা পায় না। লেখাপড়ার শেষ ধাপ হিসেবে ইউনিভার্সিটিতে জ্ঞানচর্চার উপযুক্ত পরিবেশ থাকবে, তেমনি আনন্দের সঙ্গে সেই জ্ঞান আত্মস্থ করার জন্য থাকবে বিভিন্ন ধরনের সহশিক্ষামূলক ব্যবস্থা। শিক্ষা ও গবেষণার পাশাপাশি বিভিন্ন ক্লাবের কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীর মননশীলতার যে বিকাশ হয় তা তাদের সহযোগিতা, প্রতিযোগিতা, সহমর্মিতা ইত্যাদি গুণগুলোর চর্চা করায়। এ গুণগুলো তাদের কর্মজীবন, ব্যক্তিজীবন সবক্ষেত্রেই অভিযাজনের জন্য প্রয়োজন। তাই জ্ঞান ও গুণের দুধরনের বিকাশেই উত্তরা ইউনিভার্সিটি একটি মডেল হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে।
০৪ এপ্রিল, ২০২৪

উচ্চশিক্ষা সেবা নির্বিঘ্ন করার আহ্বান ইউজিসির
দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সেবা গ্রহীতারা যেন কোনো ভোগান্তির শিকার না হন, সেদিকে নজর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ। ইউজিসি ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সিটিজেন চার্টার হালনাগাদকরণবিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। এ সময় প্রতিষ্ঠানগুলোয় সব সেবা দৃশ্যমান করার ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেন। বৃহস্পতিবার ইউজিসিতে আয়োজিত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান। এতে বক্তব্য দেন কমিশনের জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের পরিচালক ড. শামসুল আরেফিন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব দেলোয়ার হোসেন।
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৩

শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য সুখবর
দেশের বিভিন্ন বেসরকারি স্কুল-কলেজের ৮ হাজার ৮০৭ জন শিক্ষক-কর্মচারীকে এমপিওভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তাদের মধ্যে স্কুলের সাত হাজার ৭১৪ জন এবং কলেজের শিক্ষক ও কর্মচারী রয়েছেন এক হাজার ৯৩ জন। বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। মাউশি সূত্র জানায়, প্রতি দুই মাস পর পর মাউশিতে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এবার এমপিওভুক্তদের বেশিরভাগই গত বছর নতুন এমপিওভুক্ত হওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী। সভা সূত্রে জানা গেছে, স্কুল পর্যায়ের সাত হাজার ৭১৪ জন শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে ঢাকার ৭২৭ জন, বরিশালের ৫৭৫ জন, ময়মনসিংহের এক হাজার ৩০৪ জন, খুলনার এক হাজার ৪৪৫ জন, চট্টগ্রামের ৭২৯ জন, কুমিল্লার ৬৬২ জন, রাজশাহীর ৭০২ জন, রংপুরের এক হাজার ১২৭ জন এবং সিলেটের ৪৪৩ জন রয়েছেন।
১৭ নভেম্বর, ২০২৩

আগামী বছর থেকে মাধ্যমিকে বিভাগ বিভাজন থাকছে না
নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের অনুযায়ী আগামী বছর থেকে মাধ্যমিক স্তরে বিভাগ বিভাজন আর থাকছে না। ফলে নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হওয়ার পর শিক্ষার্থীদের আলাদাভাবে মানবিক, ব্যবসায় শিক্ষা অথবা বিজ্ঞান বিভাগ নেওয়ার সুযোগ থাকছে না। সব ধরনের শিক্ষা নিয়েই মাধ্যমিকের স্তর শেষ করতে হবে।  সোমবার (২৩ অক্টোবর) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদকে চিঠি দিয়ে এ অনুমোদনের বিষয়টি জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।  চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম শুরু করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আগামী বছর দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে তা শুরু হবে। এরপর ২০২৫ সালে চতুর্থ, পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে চালু হবে। উচ্চমাধ্যমিকে একাদশ শ্রেণিতে ২০২৬ সালে ও দ্বাদশ শ্রেণিতে ২০২৭ সালে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নতুন শিক্ষাক্রমে আগামী বছর থেকে নবম শ্রেণিতে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষার মতো বিভাগ বিভাজন আর থাকবে না। মাধ্যমিক পর্যায়ে সব শিক্ষার্থীকেই অভিন্ন বিষয় নিয়ে পড়তে হবে। বিভাগ বিভাজন হবে উচ্চমাধ্যমিকে গিয়ে। চলতি বছর পর্যন্ত নবম শ্রেণিতে ঠিক হয়েছে কোন শিক্ষার্থী কোন বিভাগে পড়বে। এর আগে মাধ্যমিক স্তরের নবম-দশম শ্রেণিতে গ্রুপ বা বিভাগ না রাখার চিন্তা-ভাবনা চলছে বলে জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।  
২৩ অক্টোবর, ২০২৩

সৌদি আরবে চাকরির সুযোগ, আবশ্যক নয় উচ্চশিক্ষা
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে আইবিএম মিডল ইস্ট। প্রতিষ্ঠানটি ‘সেল্‌স অ্যান্ড ডেলিভারি এক্সিকিউটিভ’ পদে জনবল নিয়োগ দেবে। নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগে আগ্রহীদের আবেদন করতে হবে। প্রতিষ্ঠানের নাম : আইবিএম মিডল ইস্ট পদের নাম : সেল্‌স অ্যান্ড ডেলিভারি এক্সিকিউটিভ পদসংখ্যা : নির্ধারিত নয় শিক্ষাগত যোগ্যতা : প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাগত যোগ্যতার সীমা নির্ধারিত নয়। প্রার্থীকে ক্রয়-বিক্রয়, ডেলিভারি, ক্লায়েন্ট ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ হতে হবে। বিভিন্ন রাষ্ট্রের নাগরিকদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য আরবি, ইংরেজিসহ ভাষা দক্ষতা থাকতে হবে।  চাকরির ধরন : ফুল টাইম প্রার্থীর ধরন : নির্ধারিত নয়  বয়স : নির্ধারিত নয় বেতন : কোম্পানির নীতি অনুযায়ী কর্মস্থল : রিয়াদ (সৌদি আরব) আবেদনের নিয়ম : আগ্রহীরা অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন
১৪ অক্টোবর, ২০২৩

যে কারণে এক মিনিট নীরব থাকবে সব স্কুল-কলেজ
দেশের সব স্কুল-কলেজে ‘১ মিনিট শব্দহীন’ কর্মসূচি পালন করা হবে। আগামীকাল রোববার সকাল ১০টা থেকে ১০টা ১ মিনিট পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করা হবে। জানা গেছে শব্দদূষণ বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।  স্কুল-কলেজগুলোকে এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। উদ্যোগে আয়োজিত এই কর্মসূচি পালনে স্কুল-কলেজগুলোকে নির্দেশ দেয় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। অধিদপ্তর থেকে বিষয়টি জানিয়ে আদেশ জারি করা হয়েছে। আদেশে বলা হয়, শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে জনসচেনতামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ‘শব্দদূষণ বন্ধ করি, নীরব মিনিট পালন করি’ স্লোগানকে সামনে রেখে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনে নেওয়া কর্মসূচির আলোকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সকাল ১০টা থেকে ১০টা ১ মিনিট পর্যন্ত ‘১ মিনিট শব্দহীন’ কর্মসূচি পালনের জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।
১৪ অক্টোবর, ২০২৩

শিক্ষা খাতের জন্য বিশ্বব্যাংকের ৩০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন
বাংলাদেশে মাধ্যমিক শিক্ষা খাতে ব্যয়ের জন্য ৩০০ মিলিয়ন অর্থাৎ ৩০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। কোভিড মাহামারিতে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে, সশরীরে ও অনলাইন পাঠদানের মিশ্র পদ্ধতির প্রাপ্যতা নিশ্চিতে, শিখনফলের মানোন্নয়ন ও শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার কমিয়ে আনতে এ অর্থ ব্যয় করতে পারবে বাংলাদেশ সরকার। শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিশ্বব্যাংকের সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পরিচালকদের বোর্ড ওয়াশিংটনের সময় শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশের জন্য এ অর্থের অনুমোদন দেয়। ‘লার্নিং এক্সিলারেশন ইন সেকেন্ডারি এডুকেশন’ (এলএআইএসই) প্রকল্পের আওতায় ২০২৪ সালে এ অর্থ ব্যয় করবে বাংলাদেশ। বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটান কার্যালয়ের প্রধান আবদোলায়ে সেক বলেছেন, ‘নিম্ন মাধ্যমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে লিঙ্গসমতা আনয়নে উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ বিগত বছরগুলোতে ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করেছে। কিন্তু কোভিডকালে দীর্ঘ মেয়াদে স্কুল বন্ধ থাকায় অত্যন্ত নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। দরিদ্র পরিবারের মেয়েশিশুদের বিরাট অংশ স্কুল ছেড়েই দিয়েছে। বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের শিক্ষা খাতের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সববময় পাশে থাকবে।’ স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশকে অনুদান হিসেবে, সুদবিহীন ও স্বল্প শর্তে বিভিন্ন সময়ে প্রায় ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে এখনও বাংলাদেশের ৫৬টি প্রকল্প চালু রয়েছে, যার অর্থের পরিমাণ ১৬ দশমিক ০৭ বিলিয়ন ডলার।
২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
X