কোটা আন্দোলন / গাছের গুঁড়ি ফেলে মহাসড়ক অবরোধ ইবি শিক্ষার্থীদের
সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে গাছের গুঁড়ি ফেলে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা।   রোববার (৭ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত টানা ২ ঘণ্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন মহাসড়কটি অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় সড়কের উভয় দিকে কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এর আগে বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরাল চত্বর থেকে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের’ ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটক হয়ে কুষ্টিয়া-মহাসড়কে এসে অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা মহাসড়কের উভয় দিকে গাছের গুঁড়ি ফেলে সড়কটি অবরোধ করে রাখেন। এতে সব ধরনের যান চলাচল ব্যাহত হয়। এ সময় সড়কের উভয় দিকে কয়েক কিলোমিটারব্যাপী দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। টানা ২ ঘণ্টার অবরোধ শেষে দুপুর দেড়টার দিকে অবরোধ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে গত ২, ৪ ও ৬ জুলাই সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কার ও ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালসহ ৪ দফা দাবিতে আন্দোলন করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। সারা দেশের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে নারী কোটা ১০ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ এবং জেলা কোটা ১০ শতাংশ বাতিল করে পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।  পরে ওই পরিপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ জুন পরিপত্রটিকে অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেয় উচ্চ আদালত। বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেয়।  রায়ের পর থেকে আবারও কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেমে পড়েন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরে গত ৯ জুন উচ্চ আদালতের আপিল বিভাগে এ রায় স্থগিতের আবেদন জানায় রাষ্ট্রপক্ষ। সর্বশেষ গত ৪ জুলাই এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। এ সময় পূর্ণাঙ্গ রায় পাওয়ার পর কোটা নিয়ে আপিল করার নির্দেশ দেন আদালত।
৪ ঘণ্টা আগে

তীব্র বৃষ্টি উপেক্ষা করে কোটা সংস্কার আন্দোলনে ইবি শিক্ষার্থীরা
তীব্র বৃষ্টি উপেক্ষা করে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেমেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা।  শনিবার (৬ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধকালীন হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হলে আন্দোলন চালিয়ে যান শিক্ষার্থীরা। এর আগে বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা প্রাঙ্গণ থেকে পদযাত্রা বের করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। পদযাত্রাটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটক হয়ে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়কে আসে। পরে সেটি ক্যাম্পাস পার্শ্ববর্তী শেখ পাড়া বাজার অতিক্রম করে কিছুদূর অগ্রসর হয়ে পুনরায় প্রধান ফটক এলাকায় অবস্থান নেন।  এ সময় ৩০ মিনিট ধরে সড়কটি অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। এতে সড়কের দুই পাশে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজটের। এ দিকে অবরোধ চলাকালীন হঠাৎ বড় ফোঁটায় বৃষ্টি শুরু হলে শুরু হলে তা উপেক্ষা করেই আন্দোলন চালিয়ে যেতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় নেতারা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোল চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। এর আগে গত ২ জুলাই ও ৪ জুলাই সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কার ও ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলন করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। প্রসঙ্গত, সারা দেশের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর ১ম ও ২য় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে নারী কোটা ১০ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ এবং জেলা কোটা ১০ শতাংশ বাতিল করে পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। পরে ওই পরিপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের করা এক রিটের প্রেক্ষিতে গত ৫ জুন পরিপত্রটিকে অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেয় উচ্চ আদালত। বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। এই রায়ের পর থেকে আবারও কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেমে পড়েন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।  পরে গত ৯ জুন উচ্চ আদালতের আপিল বিভাগে এ রায় স্থগিতের আবেদন জানায় রাষ্ট্রপক্ষ। সর্বশেষ গত ৪ জুলাই এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। এ সময় পূর্ণাঙ্গ রায় পাওয়ার পর কোটা নিয়ে আপিল করার নির্দেশ দেন আদালত।
০৬ জুলাই, ২০২৪

কোটা সংস্কারের দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ
সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুর ১২টা থেকে সোয়া ১২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকসংলগ্ন কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন তারা। এ সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরনের ব্যানার, পোস্টার প্রদর্শন এবং কোটাবিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন। এর আগে বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্বরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা কোটাব্যবস্থা বাতিল চাই না, কোটার সংস্কার চাই। যারা কোটা পাওয়ার অধিকার রাখে তাদেরকে অবশ্যই সেই অধিকার দেওয়া হোক। কিন্তু অতিরিক্ত কোটা প্রদানের মাধ্যমে বিপুলসংখ্যক মেধাবীদের বঞ্চিত করার সুযোগ আমরা মেনে নিতে পারি না। এ সময় তারা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো, ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে। পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে।  যাদের কোটা আছে জীবনদ্দশায় একবারই কোটা ব্যবহার করতে পারবে। প্রতি ১০ বছর পর পর জনশুমারির সঙ্গে অর্থনৈতিক সমীক্ষা করতে হবে যাতে আমরা বুঝতে পারি কোটার প্রয়োজনীয়তা কেমন এবং কোটার মূল্যায়ন করা। দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকারি চাকরিতে বেতন কাঠামোর নবম থেকে ১৩তম গ্রেডে (আগের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির) মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত বহালে উচ্চ আদালতের রায়ের প্রতিবাদে এবং ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে লাগাতার কর্মসূচির অংশ হিসেবে দেশের বেশ কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। এদিকে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় আপাতত বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বিষয়টি নিয়ে আপিল বিভাগে শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। এ সময় পূর্ণাঙ্গ রায় পাওয়ার পর কোটা নিয়ে নিয়মিত আপিল করার নির্দেশ দেন সর্বোচ্চ আদালত। গত ৯ জুন মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় স্থগিত না করে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন চেম্বার আদালত। এদিন আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোতাহার হোসেন সাজু। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
০৪ জুলাই, ২০২৪

তোকে খুন করলেও আমার কিচ্ছু হবে না : স্ত্রীকে ইবি শিক্ষক
যৌতুকের দাবিতে ও নিজের অপকর্ম ঢাকতে স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। বিয়ের পর থেকেই এসব নিয়ে স্ত্রীকে নানাভাবে নির্যাতন চালিয়ে যেতেন বলে অভিযোগ করেন তার স্ত্রী।  মঙ্গলবার (৪ জুন) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেস কর্নারে সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিকদের সামনে এসব বিষয় লিখিতভাবে তুলে ধরেন তিনি। অভিযুক্ত ড. সঞ্জয় কুমার সাহা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সভাপতি ও সহযোগী অধ্যাপক। ভুক্তভোগী স্ত্রীর নাম জয়া সাহা। তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। ওই দম্পতির ৫  বছর বয়সী এক পুত্রসন্তান রয়েছে। লিখিত বক্তব্য সূত্রে, ৯ বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় জয়া ও সঞ্জয় কুমারের। বিয়ের পর থেকেই তাদের সাংসারিক জীবনে অশান্তি ও কলহ লেগেই থাকত বলে জানান সঞ্জয়ের স্ত্রী। বিয়ের সময় ২৫ লাখ টাকা ও ২০ ভরি স্বর্ণালংকার ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে নানা আসবাবপত্র দেওয়া হয় সঞ্জয়কে। তাকে দেওয়া স্বর্ণালংকার বিক্রি করে ২০২০ সালে ঢাকার গাবতলি এলাকায় নিজের নামে জমিও কেনেন তিনি এবং সেই জমিতে স্ত্রীকে শেয়ার দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন তার স্ত্রী। এতকিছু দেওয়ার পরও সবসময় অতৃপ্ত ও অখুশি থাকত বলে জানান তার স্ত্রী। এ নিয়ে তাকে নানাভাবে মানসিক নির্যাতন করা হতো বলে অভিযোগ তার। পরে স্বামীর অনিচ্ছায় ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ভর্তি হওয়ায় তার ওপর শারীরিক নিযার্তন শুরু করেন সঞ্জয়। ক্লাসে যেতে ও অন্যদের সঙ্গে মিশতে বাধা দেন ওই শিক্ষক। এ ছাড়া বোরকা পরে ক্যাম্পাসে আসতে চাপ প্রয়োগ করেন তাকে। ক্লাসে যেতে চাইলে সঞ্জয় তার স্ত্রীকে বলতেন, ‘কীসের ক্লাস, কীসের যাওয়া লাগবে ক্যাম্পাস ... (প্রকাশ যোগ্য নয়)।’ নিজ বিভাগের ছাত্রীদের সঙ্গে অশালীন আচরণ, যৌন হয়রানি, অশ্লীল ফোনালাপসহ নানা অপকর্ম ঢাকতে তাকে ক্যাম্পাসে আসতে বাধা দিতেন বলে অভিযোগ স্ত্রীর। বিষয়টি নিয়ে তাকে নানাভাবে শারীরিক নির্যাতন করতেন বলে অভিযোগ করেন স্ত্রী। বিভিন্ন সময়ে স্যান্ডেল, বেল্ট, ঝাঁটা, খুন্তি দিয়ে তাকে বেধড়ক মারধরও করা হতো। মারতে মারতে তিনি বলতেন, ‘...(প্রকাশ যোগ্য নয়)... তোকে নাটোর ... রেখে আসব। তোর বাপ দাদা চৌদ্দগুষ্টিকে সাইজ করে আসব। কী পাইছু এখানে, তুই নাটোরে যাস না কেন। বাঁচতে চাইলে বাপের কাছ থেকে টাকা নিয়ে আয়।’ অনেক সময় মারতে মারতে অসুস্থ হয়ে গেলে স্ত্রীকে বাপের বাড়ি নাটোরে রেখে আসতেন সঞ্জয়। এ ছাড়া অনেক সময় স্ত্রীকে মেরে ফেলার হুমকি দিতেন তিনি। এ সময় তিনি বলতেন, ‘তোকে আমি মেরেই ফেলব। এমন কায়দায় খুন করব সবাই জানবে তুই আত্মহত্যা করেছিস। খুন করেছি জানলেও আমার কিচ্ছু হবে না। আমার হাত অনেক লম্বা। আমার অনেক পাওয়ারফুল লোক আছে। তোর বাপের কী ক্ষমতা আছে।’ এ ছাড়া বঁটি দিয়ে তাকে হত্যা করতেও উদ্যত হয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেন স্ত্রী। এদিকে সন্তান হওয়ার পর সন্তানের সামনেই স্ত্রীকে পাশবিক নির্যাতন চালাতেন ওই শিক্ষক। এ ছাড়া সন্তানের সঙ্গেও বাজে আচরণ ও তাকে মারধর করতেন বলে অভিযোগ স্ত্রীর। পরে গত বছরের ২৪ জুন স্ত্রী-সন্তানকে মেরে নাটোরে পাঠিয়ে দেন সঞ্জয়। এরপর ভুক্তভোগীর মা-বাবা বিষয়টি মধ্যস্থতা করতে চাইলে সঞ্জয় ১০ লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে স্ত্রীকে নেবেন না বলে তাদের জানিয়ে দেন তিনি। এদিকে ছয় মাস আগে সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীর বাবা রতন কুমার সাহা। তবে অভিযোগ করলেও এখনো কোনো প্রতিকার পাননি তারা। ভুক্তভোগীর বাবা রতন কুমার বলেন, উচ্চশিক্ষিত ছেলে ভেবে আমার মেয়েকে তার সঙ্গে বিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের আচরণ যে এতটা জঘন্য ও ঘৃণ্য হবে তা কল্পনাও করতে পারিনি। বাবা হিসেবে মেয়ের সুখ চেয়েছিলাম। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই মেয়ের মলিন চেহারা আমাকে মর্মাহত করত। আমি আমার মেয়ের ওপর হওয়া অমানসিক নির্যাতনের বিচার চাই। ভুক্তভোগী জয়া সাহা বলেন, আমার উপর হওয়া নির্যাতনের সুষ্ঠু বিচার চাই। অভিযুক্ত শিক্ষক সঞ্জয় কুমার সাহা বলেন, অভিযোগগুলো বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। কারো ইন্ধনে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে সে এসব অভিযোগ তুলেছে। আমি তার সঙ্গে সংসার করতে ইচ্ছুক। কিন্তু নানাভাবে টালবাহানা করে সে আমার বাসায় আসতে চাচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে আমি মোকদ্দমাও করেছি। এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, বিষয়টা যেহেতু পারিবারিক তাই আমাদের এখানে করার কিছু নাই। এ বিষয়ে আদালতে মামলা করলে আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারব। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে ৫ জুলাই নিজ বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে নিপীড়ন, হুমকি ও মানসিক হেনস্তার অভিযোগ ওঠে সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রী মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। পরে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হন তিনি। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে ছাত্রীদের সঙ্গে অশালীন আচরণ ও যৌন আচরণের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
০৪ জুন, ২০২৪

স্থানীয়দের সঙ্গে ইবি শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ
বিদ্যুৎ বিলের বকেয়া নিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের মারধরের ঘটনা ঘটেছে। গত সোমবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলসংলগ্ন নূরজাহান ছাত্রীনিবাসে এ ঘটনা ঘটে। এতে ৭ জন আহত হয়। আহতরা হলেন আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের আবু হানিফ পিয়াস, সমাজকল্যাণ বিভাগের সাকিব আহমেদ, ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগের নাইম রেজা ও ইংরেজি বিভাগের হৃদয় আবির। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। আহত অন্যরা হলেন মেস ম্যানেজার বিবেক বিশ্বাস, স্থানীয় বাসিন্দা আশিক হোসেনসহ এক বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক। জানা যায়, নূরজাহান ছাত্রীনিবাসে থাকেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফারিহা খাতুন। ওই ছাত্রীনিবাসের ম্যানেজার বিবেক বিশ্বাস বিদ্যুৎ বিলের বকেয়া টাকাকে কেন্দ্র করে ফারিহার সঙ্গে বাজে আচরণ করে। একই সঙ্গে ম্যানেজার তাকে অশালীন ইঙ্গিত দেয় বলে জানান ফারিহা। পরে তিনি তার সহপাঠী আবু হানিফ পিয়াসকে বিষয়টি জানান। এ বিষয়ে পিয়াসের সঙ্গে মেস ম্যানেজারের কথা কাটাকাটি হয়। পরে পিয়াস তার বন্ধুদের নিয়ে ফের মেসে গেলে ম্যানেজারকে মারধর করার ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হলে দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। মেস ম্যানেজার বিবেক বিশ্বাস জানান, গত জানুয়ারি মাসে ওই মেয়ে মেসে ওঠে। এরপর থেকে সে বিদ্যুৎ বিল দেয়নি। স্থানীয় মাতব্বর রেজাউল করিম খান বলেন, ম্যানেজারের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে, তা মেসের মালিককে জানালে ব্যবস্থা নেওয়া হতো। শৈলকুপা থানাধীন রামচন্দ্রপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই তৌহিদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি মীমাংসা করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদত হোসেন আজাদ বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৫ মে, ২০২৪

বিদ্যুৎ বিল নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে ইবি শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ
বিদ্যুৎ বিলের বকেয়া নিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের মারামারির ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১৪ মে) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলসংলগ্ন নুরজাহান ছাত্রীনিবাসে এ ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৭ জন আহত বলে জানা গেছে। এতে আহতরা হলেন- আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের আবু হানিফ পিয়াস, সমাজকল্যাণ বিভাগের সাকিব আহমেদ,  ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগের নাইম রেজা ও ইংরেজি বিভাগের হৃদয় আবির। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। আহত অন্যরা হলেন- মেস ম্যানেজার বিবেক বিশ্বাস, স্থানীয় বাসিন্দা আশিক হোসেনসহ এক বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক। জানা যায়, নুরজাহান ছাত্রীনিবাসে থাকেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফারিহা খাতুন। ওই ছাত্রীনিবাসের ম্যানেজার বিবেক বিশ্বাস বিদ্যুৎ বিলের বকেয়া টাকাকে কেন্দ্র করে ফারিহার সঙ্গে বাজে আচরণ করে। একই সঙ্গে ম্যানেজার তাকে অশালীন ইঙ্গিত দেয় বলে জানান মেয়েটি। পরে মেয়েটি তার সহপাঠী আবু হানিফ পিয়াসকে বিষয়টি জানান। এ বিষয়ে পিয়াসের সঙ্গে মেস ম্যানেজারের কথাকাটাকাটি হয়। পরে পিয়াস তার বন্ধুদের নিয়ে পুনরায় মেসে গেলে ম্যানেজারকে মারধর করার ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হলে দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।  ফারিহা খাতুন জানান, বিদ্যুৎ বিল চাওয়া নিয়ে মেস ম্যানেজার আমার সঙ্গে বাজে আচরণ করে। গতকাল সন্ধ্যায় ম্যানেজারকে বিদ্যুৎ বিল দিতে গেলে তিনি আমাকে বাজে ইঙ্গিত দেন। টাকা নেওয়ার সময় ম্যানেজার আমাকে স্পর্শ করার চেষ্টা করেন। আমি ৫০০ টাকা দিয়ে বিদ্যুৎ বিলের ৪১৫ টাকা কেটে নিতে বলি। কিন্তু তিনি বাজে ইঙ্গিত করায় আমি টাকাটা ছুড়ে দিলে তিনি আমার বাসার নম্বর চান এবং বলেন, ‘বেয়াদব মেয়ে। তুমি আজকেই মেস ছেড়ে দেবে।’ এ বিষয়টি আমি আমার বিভাগের বন্ধু আবু হানিফ পিয়াসকে জানাই। পরে সে আমার বিষয়ে কথা বলতে গেলে ম্যানেজার ও নিরাপত্তাকর্মী তার সঙ্গেও বাজে আচরণ করে। পরে সে তার কিছু বন্ধুদের নিয়ে আবারও ম্যানেজারের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে ম্যানেজার তাকে (আবু হানিফ পিয়াস) জামার কলার ধরে বের করে দেয়। তখন হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। তবে মেয়েটি ঘটনার দুঃখ প্রকাশ করে জানান, এ বিষয়ে তাদের ডাকা ঠিক হয়নি। বিষয়টির জন্য ক্ষমা চাচ্ছি। আমি আমার নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর বরাবর নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করব। মেস ম্যানেজার বিবেক বিশ্বাস জানান, গত জানুয়ারি মাসে ওই মেয়ে মেসে ওঠে। এরপর সে এতদিন থেকেছে কিন্তু কোনো বিদ্যুৎ বিল দেয়নি। তার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া প্রায় এক হাজার টাকা। আমি কয়েকবার বিল চাইতে গেলে সে বিভিন্নরকম বাহানা দিতে থাকে। সে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। আমি তার সঙ্গে কোনো বাজে আচরণ করিনি। তাকে থাপ্পড় মারার কথাও বলিনি। বরং ওই মেয়ে জোরে কথা বলে এমনকি দেখে নেওয়ারও হুমকি দেয়। এ বিষয়ে স্থানীয় মাতব্বর রেজাউল করিম খান বলেন, মেসের মধ্যে কোনো ঝামেলা হলে বা ম্যানেজারের বিরুদ্ধে যদি কোনো অভিযোগ থাকে তা মেসের মালিককে জানালে ব্যবস্থা নেওয়া হতো। কিন্তু ওই মেয়েটা তা না করে বন্ধুদের দিয়ে হুলুস্থুল কাণ্ড বাধিয়েছে, যেটা ঠিক হয়নি। স্থানীয়দের ওপর মারধর করা হলে তারা তো বসে থাকবে না। স্থানীয়দের সঙ্গে ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের ঝামেলা হোক আমরা চাই না। যেসব শিক্ষার্থী আজকে ঝামেলা করেছে তাদের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহায়তায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ফারিয়ার বন্ধু আবু হানিফ পিয়াস বলেন, মেস ম্যানেজার বিবেক বিশ্বাস প্রায় সময়ই আমাদের বান্ধবীদের সঙ্গে বাজে ব্যবহার করে। এ ছাড়াও মেসের অন্যান্য মেয়েদের সঙ্গেও প্রায় সময়ই খারাপ আচরণ করে। আজকেও আমার বান্ধবীর সঙ্গে খারাপ আচরণ করলে আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে ম্যানেজারকে জিজ্ঞেস করতে যাই। তখন তার সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বিবেক আমার বন্ধু নাইমকে চড় মারে। পরে আমরা উত্তেজিত হয়ে পড়ি। এ সময় স্থানীয় লোকজন এসে আমাদের ওপর হামলা করে। এতে আমরা ৪ বন্ধু আহত হই। পরে আমরা সেখান থেকে কেটে পরি। এ বিষয়ে শৈলকূপা থানাধীন রামচন্দ্রপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনা শোনার পরপরই আমরা এখানে এসেছি। উভয়পক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়েছে। তবে কেউ আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানালে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদত হোসেন আজাদ বলেমন, লিখিত অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১৪ মে, ২০২৪

ইবি শিক্ষার্থীকে বিবস্ত্র করে র‍্যাগিংয়ের সত্যতা মিলেছে
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) লালন শাহ হলের গণরুমে র‍্যাগিংয়ের নামে ছাত্র নির্যাতনের সত্যতা পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও হল কর্তৃপক্ষ গঠিত পৃথক তদন্ত কমিটি। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয় গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। অভিযুক্ত তিনজন হলেন, শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের মুদাচ্ছির খান কাফি, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মোহাম্মদ সাগর ও উজ্জ্বল হোসেন। তারা ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের কর্মী। ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তদন্ত কমিটি সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ ফেব্রুয়ারি ইবির লালন শাহ হলের গণরুমে (১৩৬ নম্বর কক্ষ) এক ছাত্রকে বিবস্ত্র করে রাতভর র‌্যাগিং করা হয়। এ সময় কথা না শুনলে তাকে লোহার রড দিয়েও পেটানো হয়। একপর্যায়ে ভুক্তভোগীকে উলঙ্গ করে অশ্লিল অঙ্গভঙ্গি করতে বাধ্য করে নির্যাতনকারীরা।  এ ঘটনায় অভিযুক্ত তিন শিক্ষার্থীকে বিধি অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তির সুপারিশ করেছে দুই তদন্ত কমিটি। তবে ঘটনায় জড়িত অপর দুজনের অপরাধের মাত্রা কম থাকায় তাদেরকে সতর্ক করার সুশারিশ করা হয়েছে। হল কর্তৃপক্ষের গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ড. আলতাফ হোসেন বলেন, সোমবার তদন্ত প্রতিবেদন হল প্রভোস্ট বরাবর জমা দিয়েছি। আমরা ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। বিধি অনুযায়ী শাস্তি দিতে কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ করা হয়েছে। লালন শাহ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আকতার হোসেন বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। জড়িতদের শাস্তির সুপারিশ করে তদন্ত প্রতিবেদন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে পাঠিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিধি অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন। বিশ্ববিদ্যালয় গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা বলেন, আমরা ঈদের আগেই তদন্ত কার্যক্রম শেষ করেছি। ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। জড়িতদের বিষয়ে বিধি অনুযায়ী প্রশাসন বরাবর শাস্তির সুপারিশ করা হয়েছে।
০১ জানুয়ারি, ১৯৭০

‘স্যার ১০ লাখ মিষ্টি খেতে নেন’ ইবি উপাচার্যকে মেসেজ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের কাছে ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে মেসেজ পাঠানো হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার উপাচার্যের ব্যক্তিগত হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে মেসেজটি পাঠানো হয়। পরে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচএম আলী হাসান। ইবি থানার ওসি মামুন রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জিডিতে বলা হয়েছে, আজ (মঙ্গলবার) সকালে অপরিচিত মোবাইল নম্বর থেকে মিথি নামে একজন উপাচার্যের ব্যক্তিগত নম্বরে টাকার বিনিময়ে একটি চাকরি চেয়ে মেসেজ পাঠান। ওই নম্বর থেকে প্রথমে উপাচার্যের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলতে জোরাজুরি করা হয়। উপাচার্য কথা বলতে না চাইলে মেসেজ পাঠান। উপাচার্যকে পাঠানো মেসেজে লেখা হয়েছে, ‘স্যার ১০ লাখ মিষ্টি খেতে নেন। এটা আপনি আর আমি ছাড়া কেউ জানবে না। আমার সত্যিই ওখানে কেউ নেই, প্লিজ স্যার চাকরিটা খুব দরকার।’ এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, কোনো একটি মহল আমাকে ফাঁসানোর জন্য কাজটি করতে পারে। আপাতত থানায় ডায়েরি করা হয়েছে। বিষয়গুলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী খতিয়ে দেখবে।
২৭ মার্চ, ২০২৪

বিএনপি নেতার মেয়েকে নিয়ে তুলে নিয়ে গেলেন ছাত্রলীগ নেতা
কুষ্টিয়ায় এক বিএনপি নেতার মেয়েকে নিয়ে পালিয়েছে এক ছাত্রলীগ নেতা। রোববার (১৭ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই মেয়ের ভাই বাদী হয়ে ইবি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত আদিপুজ্জামান সংগ্রাম (২৬) সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি। ওই মেয়ের বাবা ইউনিয়ন বিএনপির একজন সদস্য। অভিযোগে ওই মেয়ের ভাই জানান, তার বোন স্থানীয় একটি মহিলা কলেজের ছাত্রী। দীর্ঘদিন থেকে তার বোনকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন আদিপুজ্জামান সংগ্রাম। প্রতিদিনের মতো রোববার দুপুরে তার বোন ক্লাস শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় রাস্তা থেকে জোরপূর্বক তাকে তুলে নিয়ে যান সংগ্রাম। পরে প্রত্যক্ষদর্শীদের মাধ্যমে জানতে পেরে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও এখনো বোনের কোনো সন্ধান পাননি। এ বিষয়ে জানতে সংগ্রামের মোবাইল ফোনে কল দিলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জ জানান, সংগ্রামের বিষয়টি আমি জেনেছি। এ বিষয়ে ইবি থানার ওসি মোহাম্মদ মামুন রহমান জানান, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। মোবাইলের সূত্র ধরে এর খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
১৮ মার্চ, ২০২৪

বাসচালক ও হেলপারের বিরুদ্ধে ইবি শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ
এবার বাসচালক ও হেলপারের বিরুদ্ধে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক শিক্ষার্থীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (২ মার্চ) বিকেলে কুষ্টিয়া শহর থেকে ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা বাসে এ ঘটনা ঘটে। রোববার (৩ মার্চ) এ ঘটনায় বিচার চেয়ে শিক্ষার্থীর পক্ষ থেকে প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা ও পরিবহন প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ভুক্তভোগী সানি আহমেদ মিথুন বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। অভিযুক্তরা হলেন নিউ এসবি সুপার ডিলাক্স বাসের চালক রোকনুজ্জামান ও তার হেলপার। ভুক্তভোগীর অভিযোগপত্র সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেল ৩টার দিকে কুষ্টিয়া থেকে ক্যাম্পাসে আসার উদ্দেশ্যে মজমপুর থেকে বাসে উঠেন ভুক্তভোগী। এ সময় অভিযুক্তরা বহিরাগত যাত্রীদের বাসে তুলতে থাকেন। ওই শিক্ষার্থী তাদের বাসে তুলতে নিষেধ করে এবং দ্রুত গাড়ি ছেড়ে যাওয়ার কথা বললে বাসের হেলপার অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করেন। এক পর্যায়ে তাকে জোর করে বাস থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। পরে অভিযুক্তদের কর্মকাণ্ডের প্রমাণ রাখতে ভুক্তভোগী ভিডিও করতে গেলে ক্যাম্পাসে আসলে তাকে দেখে নেওয়া এবং প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। এ ছাড়া শিক্ষার্থীর ফোন কেড়ে নিয়ে ভিডিও ডিলিট করার জন্য তার সঙ্গে ধস্তাধস্তি করতে থাকেন অভিযুক্তরা। ফোন দিতে রাজি না হওয়ায় তাকে আবারও অশ্লীল ভাষায় গালাগাল ও এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারতে থাকে। পরে স্থানীয় লোকজন ছুটে এলে তারা চলে যায়। এ বিষয়ে অভিযুক্ত বাসচালক রোকনুজ্জামান বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা মিথ্যা। আমি আমার পরিচিত একজনকে গাড়িতে তুলেছিলাম। এ সময় ওই ছেলে ভিডিও করে। তার পরিচয় জানার পর তার সঙ্গে কোনো ধরনের বাজে আচরণ করা হয়নি। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সানি বলেন, বহিরাগত যাত্রীদের বাসে তুলতে নিষেধ করায় তারা আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল ও মারধর করে। এ ছাড়া তারা আমাকে প্রাণনাশের হুমকিও দেয়। আমি এর বিচার চাই। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা মিটিংয়ে বসেছিলাম। সেখানে সবার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অভিযুক্তকে ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, এখনো অভিযোগ হাতে পাইনি। এমন কিছু পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
০৩ মার্চ, ২০২৪
X