ধর্ষণের পর কিশোরীকে হত্যা, আসামি আটক
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পুকুরে গোসল করার সময় কিশোরী রেখাকে (১৫) অশ্লীল ভিডিও দেখানোর প্রলোভন দিয়ে পাশের পাটক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণ করে প্রতিবেশী চাচাতো ভাই শাহাদাত হোসেন। ওই কিশোরী তার বাবার কাছে সব কথা বলে দেবে বলে জানায়। বারবার বারণ করা সত্ত্বেও রেখা এ ব্যাপারে অটল থাকে। পরে ক্ষিপ্ত হয়ে একপর্যায়ে ওই কিশোরীর পরনের সালোয়ার তার গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করে ফেলে রেখে যায়। গতকাল সোমবার দুপুরে ফরিদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। সংবাদ সম্মেলনে এসপি মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম বলেন, হত্যার পর ওই কিশোরীর মরদেহ পাটক্ষেতে রেখে বাড়িতে গিয়ে শাহাদাত তার বাবা টুকু মাতুব্বরের কাছে হত্যার বিষয়টি জানায়। তার বাবা তখন তাকে গালমন্দ করে। শাহাদাতের বাবা ঘটনার দিন বিকেল ৫টার দিকে ধানক্ষেত দেখতে যাওয়ার ভান করে পাটক্ষেতে গিয়ে রেখার মরদেহ দেখে এসে একটি নাটক সাজিয়ে কিশোরীর পরিবারকে জানান যে রেখার মরদেহ পাটক্ষেতের মধ্যে পড়ে আছে। পুলিশ সুপার জানান, পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ও স্থানীয় সোর্সের মাধ্যমে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে শাহাদাতকে গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার করা হয় রেখার পরনের সালোয়ার-ওড়না এবং শাহাদাতের একটি স্মার্টফোন, একটি জার্সি ও হাফপ্যান্ট। পরে শাহাদাত এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ ইমদাদ হুসাইন (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) শৈলেন চাকমা (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সালাউদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) তালাত মাহমুদ শাহানশাহ, ভাঙ্গা থানার ওসি মামুন আল রশিদ, ট্রাফিক পরিদর্শক (টিআই) তুহিন লস্কর, ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (কোতোয়ালি জোন) আব্দুল মতিন প্রমুখ। এর আগে গত শুক্রবার ফরিদপুরের ভাঙ্গার হোগলাকান্দি এলাকায় একটি পাটক্ষেত থেকে রেখা নামের এক কিশোরীর বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনার এক দিন পর থানায় একটি ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করা হয়। পরে পুলিশের কয়েকটি ইউনিট মাঠে নামে এ ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করতে।
০২ জুলাই, ২০২৪

১১ বছর পলাতক, ঢাকা থেকে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আটক
দীর্ঘ ১১ বছর পলাতক থাকা যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. রায়হান ওরফে মুন্না প্রাং (৪৫) কে ঢাকা থেকে আটক করেছে র‌্যাব। রায়হান বগুড়া জেলার সান্তাহার রেলওয়ে থানার মাদক মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি। বৃহস্পতিবার (২৪ আগষ্ট) সকালে র‌্যাব-৫ থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়। এর আগে গতকাল গভীর রাতে বিমান বন্দর থানা এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। রায়হান জয়পুরহাট জেলার শান্তিনগর মাছুয়াপল্লি গ্রামের মৃত মাজেদের ছেলে। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি রায়হান মুন্নার বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ ফেনসিডিল চোরাচালানের অভিযোগে ২০১২ সালের ২৪ জুন বগুড়া জেলার সান্তাহার রেলওয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। চলতি বছরের গত ৩১ জুলাই জয়পুরহাট জেলার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক রায়হান মুন্নাকে যাবজ্জীবন সাজার রায় দেন। এরপর থেকে সে পলাতক ছিল। র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩ জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা তাকে গ্রেপ্তারের জন্য গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই প্রেক্ষিতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যৌথ অভিযানে গতকাল গভীর রাত দুটার দিকে ঢাকা জেলার বিমান বন্দর থানা এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে আটক আসামিকে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে জয়পুরহাট জেলার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
২৪ আগস্ট, ২০২৩
X