৬০ শতাংশ আসন ফাঁকা রেখে বুটেক্সের প্রথম দিনের ভর্তি সম্পন্ন
বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিনের ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার (৮ মে) প্রথম দিনের ভর্তি কার্যক্রম শেষে ৬০ শতাংশ আসন ফাঁকা রয়েছে। দশটি বিভাগের অধীনে মোট ৬১০ আসন পূরণের জন্য মেধাক্রম ১ থেকে ২০০০ পর্যন্ত এবং মুক্তিযোদ্ধা ও উপজাতি কোটায় শিক্ষার্থীদের ভর্তির জন্য ডাকা হয়। যার মধ্যে ভর্তি হয় ২৪১ জন শিক্ষার্থী। এতে আসন ফাঁকা রয়েছে ৩৬৯টি। এদিকে আশানুরূপ শিক্ষার্থী না পাওয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে চলছে সমালোচনার ঝড়। ভর্তি পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ, ভর্তির দিন নির্ধারণ, এক দিনে অনেক বেশি শিক্ষার্থী ডাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তারা। ভর্তিচ্ছুদের অনেকে দোটানায় পড়ে আসন পাওয়ার অনিশ্চয়তায় ভর্তি হতে পারেনি। একাধিক সূত্র হতে জানা গেছে, অন্যান্য বছরে ১৫০০ থেকে ১৮০০ মেরিট লিস্টের মধ্যে আসন সম্পন্ন হয় বুটেক্সে। যদিও তখন একাধিক দিনে ভর্তি কার্যক্রম চলত। এ বছর একাধিক দিন ভর্তি কার্যক্রম যেন না হয়ে প্রথম দিনে ৬০০ আসন পূরণ হয় সেজন্য ২ হাজার শিক্ষার্থী ডাকা হয়। কিন্তু একই দিনে প্রকৌশল গুচ্ছে (চুয়েট, কুয়েট, রুয়েট) দ্বিতীয় পর্যায়ে ভর্তি কার্যক্রম চলায় বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরা বুটেক্সে আসন পাবে কিনা সন্দিহানে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হয়। আসন ফাঁকা থাকা এবং কম শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার আপডেট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানার পর ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের যারা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করে তারাও বুটেক্সে ভর্তি হতে না পেরে এবং একই দিনে কেন এত বেশি শিক্ষার্থী ডাকা হলো তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বুটেক্স ও প্রকৌশল গুচ্ছের বিশ্ববিদ্যালয়ে একই দিনে ভর্তি কার্যক্রম চলায় বেশিরভাগ শিক্ষার্থী ও অভিভাবক হয়রানির শিকার হয়েছেন। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ফাহাদ বলেন, আমার বুটেক্সে মেধাক্রম ১৮শ এর কাছাকাছি। আবার প্রকৌশল গুচ্ছেও ২য় পর্যায়ে ভর্তি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। আগের বছরগুলোয় বুটেক্সে সাধারণত মেধাক্রম ১৫০০-১৬০০ তে প্রায় শেষ হয়ে যেত তাই বুটেক্সে সাবজেক্ট আসবে না মনে করে চুয়েটে ভর্তি হয়েছি। কিন্তু এখন দেখছি যদি বুটেক্সে উপস্থিত থাকতে পারতাম এখানেই সাবজেক্ট পেতাম। পড়ার ইচ্ছা ছিল বুটেক্সে কিন্তু সময় স্বল্পতার কারণে ভর্তি হতে পারলাম না। উল্লেখ্য, বুটেক্সের ভর্তি সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় ১৭ এপ্রিল এবং প্রকৌশল গুচ্ছের দ্বিতীয় পর্যায়ের ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় ৩০ এপ্রিল।
০৮ মে, ২০২৪

দুটি আসন ফাঁকা রাখায় গুঞ্জন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৯৮টি আসনে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। কোনো প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি কুষ্টিয়া-২ ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে। গতকাল রোববার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। এ দুটি ফাঁকা আসন সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, দুটি আসন আজ প্রকাশিত হচ্ছে না। এটি পরে প্রকাশ করা হবে। জানা গেছে, ক্ষমতাসীন জোট শরিকদের অন্য আসনগুলোতে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করায় এই দুটি আসনে কেন প্রার্থী দেওয়া হলো না, তা নিয়ে চলছে গুঞ্জন। আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন কালবেলাকে বলেন, শরিকদের জন্য আসন দুটি ফাঁকা রাখা হতে পারে। তবে এখনো যেহেতু সময় আছে, দল কী সিদ্ধান্ত নেয় তা পরে জানা যাবে। জানা গেছে, কুষ্টিয়া-২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু। তিনি ২০০৯ সাল থেকেই এ আসনে জাসদের মনোনয়নে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে বিজয়ী হয়ে আসছেন। অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য এ কে এম নাসিম ওসমান। জাতীয় পার্টির এমপি নাসিম ওসমান নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি শামীম ওসমানের ভাই। এর আগে কুষ্টিয়া-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে মনোনয়ন ফরম কেনেন ছয়জন। রাষ্ট্রপতির ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক অধ্যক্ষ ডা. ইফতেখার মাহমুদ, মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান কামারুল আরেফিন, মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতাহার আলী, ভেড়ামারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শরিফুজ্জামান নবাব, সৈয়দ কামরুল আরিফিন ও রশিদুল আলম। অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন থেকে আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য আনিসুর রহমান দীপু, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম আবু সুফিয়ান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মো. বাদল, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আরজু ভূঁইয়া, জেলা যুবলীগের সভাপতি আবদুল কাদির, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদা মালা, মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আহাম্মদ আলী রেজা উজ্জ্বল ও কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ মনোনয়ন ফরম কেনেন।
২৭ নভেম্বর, ২০২৩

বেরোবিতে ৭৭টি আসন ফাঁকা রেখেই প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) ৭৭টি আসন ফাঁকা রেখেই ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষ স্নাতক প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) গুচ্ছ ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব এবং বেরোবির কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর  রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ৩ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন বর্ষের ক্লাস শুরু হয়েছে। তবে এখনো ৭৭টি আসন ফাঁকা রয়েছে। যদি কোনো শিক্ষার্থী কেন্দ্রীয় গুচ্ছ ভর্তির নিয়ম অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয় মাইগ্রেশন করে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আসলে তারা ভর্তি হতে পারবে। ইতোপূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়টি অনুষদের অধীনে ২২টি বিভাগের সমন্বয়ে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’- এই তিন ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা ও ভর্তি সম্পন্ন হয়। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনটি ইউনিট মিলে মোট আসন ১ হাজার ৩৯৫টি। এর মধ্যে ‘এ’ ইউনিটে সর্বাধিক ৭১৬টি, ’বি’ ইউনিটে ৩৬৬টি এবং ‘সি’ ইউনিটে ৩১৩টি আসন রয়েছে।
০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
X