ঢাকার শ্রেষ্ঠ এসআই আশুলিয়া থানার আবজালুল হক
ঢাকা জেলার শ্রেষ্ঠ এসআই নির্বাচিত হয়েছেন আশুলিয়া থানার এসআই শেখ আবজালুল হক। মামলার তথ্য উদঘাটনে অনবদ্য অবদান রাখায় তাকে এই পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শ্রেষ্ঠ এসআই হিসেবে ঘোষণা দিয়ে তাকে পুরস্কার, সনদপত্র ও নগদ অর্থ পুরস্কার প্রদান করেন ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান। সোমবার (১০ জুন) ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে মাসিক কল্যাণ ও অপরাধ সভায় তাকে জেলার শ্রেষ্ঠ এসআই হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। জানা যায়, সামগ্রিক কর্ম তৎপরতা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও অপরাধ দমনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় তাকে শ্রেষ্ঠ এসআই নির্বাচিত করে বিভাগীয় পুলিশ। এ বিষয়ে এস আই শেখ আবজালুল হক বলেন, এ গৌরব শুধু আমার একার নয়, এটি থানার প্রত্যেক পুলিশ সদস্যদের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণে এই গৌরব অর্জন হয়েছে। এ পুরস্কার আমি থানার প্রত্যেক সদস্যদের উৎসর্গ করি। এস আই শেখ আবজালুল হকের অভূতপূর্ব এ সাফল্যে আশুলিয়া থানা এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
১১ জুন, ২০২৪

ধর্ষণচেষ্টার বিচার চেয়ে বিপাকে নারী, এলাকাছাড়া করার হুমকি
আশুলিয়ায় ছোট বোনের ধর্ষণচেষ্টার বিচার চেয়ে থানায় মামলা করে বিপাকে পরেছেন ভুক্তভোগীর বোন। মামলা করার প্রেক্ষিতে আশুলিয়া থানা পুলিশ একজনকে আটক করে কারাগারে পাঠিয়েছে। এরপরই শুরু হয় বিপত্তি। স্থানীয় প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে ভুক্তভোগীর পরিবারকে দেওয়া হচ্ছে এলাকা ছাড়ার হুমকি। ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি, তারা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন দিক থেকে হুমকি-ধমকি পাচ্ছেন। ফলে আতঙ্কে দিন কাটছে পরিবারটির। ঘটনার বিবরণ দিয়ে আশুলিয়া থানায় (জিডি) করেছে ওই নারী। ভুক্তভোগী পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই কিশোরী (১৫) তার বোনের সঙ্গে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থেকে তার বোনের ছেলে-মেয়েকে দেখাশোনা করতেন। ভুক্তভোগীর বোন ও দুলাভাই কাজে চলে গেলে বাসায় একা পেয়ে বাসার ব্যবস্থাপক মো. কবির হোসেন (৪৫) বিভিন্ন সময়ে কিশোরীকে অনৈতিক প্রস্তাব দেন। সর্বশেষ গত ৫ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই কিশোরীকে কবির হোসেন পুনরায় অনৈতিক প্রস্তাব দেয়। এতে কিশোরী অস্বীকৃতি জানালে কবির হোসেন মুখ চেপে কক্ষে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। কিশোরীর চিৎকার শুনে আশপাশের ভাড়াটিয়ারা এগিয়ে আসার আগেই সেখান থেকে দ্রুত পালিয়ে যান অভিযুক্ত। ভুক্তভোগীর বড় বোন কালবেলাকে জানান, ঘটনার পর ওইদিন রাতেই আশুলিয়া থানায় লিখিতভাবে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে খোঁজখবর নেয়। এরপর আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অমিতাভ চৌধুরী পুনরায় ভুক্তভোগী এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন এবং স্থানীয় মো. আনারুলকে (৪০) বিষয়টি দেখতে বলেন। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যবসায়ী মো. আনারুল ভুক্তভোগীর পরিবারকে বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলেন এবং মালপত্র নেওয়ার জন্য ট্রাকের ব্যবস্থা করে দিবেন বলে জানান। উপায় না পেয়ে ওই এলাকা থেকে কিছুটা দূরে গিয়ে নতুন বাসা ভাড়া নেন তারা। পরে গত সোমবার থানায় ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মো. কবির হোসেনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগীর বড় বোন। এরপর আনারুলের লোকজন ভুক্তভোগী পরিবারের নতুন ভাড়া বাসায় গিয়েও মামলা তুলে না নিলে তাদের দেখে নেওয়া হবে বলে হুমকি দেন। এ ঘটনায় বুধবার (৬ মার্চ) আশুলিয়া থানায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তিনি। বাড়ির মালিক মরিয়ম কালবেলাকে বলেন, এই মাসেই তারা (ভুক্তভোগী) ৩ রুম ভাড়া নিয়েছে। তারা কোনো অপরাধী কিনা আমি জানি না। তবে বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) চেয়ারম্যানের বন্ধু ছাফর শেখ তাদের (ভুক্তভোগী) বাসা থেকে বের করে দিছে কিনা জানতে চান। হুমকি দিয়ে এলাকা ছাড়তে বলেছেন কিনা- এমন প্রশ্নে মো. আনারুল কালবেলাকে বলেন, অভিযোগটি সঠিক  নয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক অমিতাভ চৌধুরী বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছি। মামলার পর কোনোরকম কালক্ষেপণ ছাড়াই আসামিকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। হুমকি দেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। আশুলিয়া থানার (ওসি) এএফএম সায়েদ কালবেলাকে বলেন, ভুক্তভোগী কেন অন্যের কথায় বা হুমকিতে বাসা ছাড়বেন। আমরা ভুক্তভোগীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করব। পাশাপাশি ন্যায়বিচার নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিব।
০৮ মার্চ, ২০২৪

১০ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে জমি দখল চেষ্টা, থানায় অভিযোগ
ঢাকার আশুলিয়ায় ১০ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে রাতারাতি জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় একটি ‘ভূমিদস্যু চক্রের’ বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার ওই জমিতে থাকা সাইনবোর্ড ভাঙচুর করে ফেলে দেয় চক্রটি। এ ঘটনায় চাঁদাবাজদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ভুক্তভোগী মো. নুরু মিয়া আশুলিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার এসআই ফরিদ আহমেদ শেখ। অভিযুক্তরা হলেন ঢাকার আশুলিয়া থানাধীন বড়ওয়ালিয়া এলাকার মৃত মোখলেছুর রহমানের ছেলে মো. শাকিল আহম্মেদ, শওকত আলীর ছেলে মোহাম্মদ আলী ও আহাম্মদ আলী, ইউসুফ আলীর ছেলে মো. আমির হোসেন, মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে মো. এখলাস উদ্দিন ও মো. ইয়াব আলীর ছেলে মো. সবুজ। এ ছাড়া অভিযুক্তদের তালিকায় আরও আছেন মৃত গুরজু মিয়ার ছেলে মো. সফিকুল ইসলাম, মৃত রহিজ উদ্দিনের ছেলে মো. নেদু মিয়া, মৃত কাজিম উদ্দিনের ছেলে মো. হানিফসহ অজ্ঞাতনামা ৭-৮ জন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এর আগেও একই কায়দায় চাঁদা না পেয়ে জমি দখলের অভিযোগে আশুলিয়া থানায় মামলা রয়েছে।  ভুক্তভোগী মো. নুরু মিয়া জানান, ২০২১ সালের অক্টোবরে আশুলিয়া থানাধীন বড়ওয়ালিয়া মৌজার আর.এস ১৭৭৪ নং দাগের ১০৬ শতাংশ হতে ১৭.৫০ শতাংশ জমি তিনি ক্রয় করেন। এরপর জমির দখল বুঝে নিয়ে সেখানে কাঁটাতারের সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করে শান্তিপূর্ণ ভোগদখলে নিয়ত আছেন। তিনি আরও জানান, গত ১৪ ডিসেম্বর সকাল অনুমান ৯টার দিকে উক্ত জমিটি প্লট আকারে ভাগ করার জন্য বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করতে গেলে ভূমিদস্যু চক্রের সদস্যরা জোরপূর্বক জমিতে প্রবেশ করে তার নিকট ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে কোনোপ্রকার নির্মাণকাজ করতে দেবে না মর্মে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে। এ সময় ভুক্তভোগী চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ভূমিদস্যু চক্রের সদস্যরা জমিতে থাকা সাইনবোর্ড ভাঙচুর করে এবং চাঁদা না দিয়ে নির্মাণকাজ করলে ভুক্তভোগীর হাত-পা ভেঙে ফেলবে মর্মে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করে। একপর্যায়ে চক্রের সদস্য সফিকুল ইসলাম ও মোহাম্মদ আলী তাদের হাতে থাকা দেশি অস্ত্র নিয়ে ভুক্তভোগীকে মারার জন্য তেড়ে আসে। এ সময় ভুক্তভোগী প্রাণভয়ে দৌড়ে গিয়ে আত্মরক্ষা করেন। বর্তমানে ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের সদস্যরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও জানান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানান, অভিযুক্তরা এ এলাকায় নিয়মিত নির্মাণাধীন ভবনে চাঁদাবাজি, জোরপূর্বক জমি দখল করে চাঁদা আদায়সহ মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে জমি দখলসহ বিভিন্ন অভিযোগে একাধিক মামলা ও জিডি রয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে প্রধান অভিযুক্ত শাকিল আহম্মেদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। এ ছাড়া অন্য অভিযুক্তদের মুঠোফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফরিদ আহমেদ শেখ জানান, এ বিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী। এরই মধ্যে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২২ ডিসেম্বর, ২০২৩

বিএনপিকে আশুলিয়া থানা আ.লীগ সভাপতির হুঙ্কার
আগামী ২৮ অক্টোবরের সমাবেশে নাশকতার চেষ্টা করলে বিএনপি নেতাকর্মীদের ঢাকায় ঢুকতে দিলেও বের হতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হাসান তুহিন। শুক্রবার (২০ অক্টোবর) আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে আয়োজিত এক গণসংযোগ কর্মসূচি শেষে তিনি এই কথা বলেন। এ সময় তিনি বলেন, বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি দেওয়ার অধিকার আছে। এটা আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে। রাস্তায় মিটিং করা মিছিল করা তাদের রাজনৈতিক অধিকার। গত ১৮ তারিখে বিএনপি সমাবেশ করেছে সেখানে আওয়ামী লীগ কোনো বাধা দিয়েছে? তাদেরকে কোথাও কি লাঠিচার্জ করেছে? ছাত্রলীগ যুবলীগের কোনো নেতাকর্মী তাদের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে? করেনি। কারণ আগেই আমাদের কাছে তথ্য ছিল বিএনপি ১৮ তারিখের সমাবেশে শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করবে এই কারণে কোনোরূপ বাধা-প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই তারা সেই সমাবেশটি করেছে। কিন্তু আমাদের কাছে বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে ও দলীয় সূত্রে খবর এসেছে ২৮ তারিখের সমাবেশে তাদের জ্বালাও-পোড়াওসহ বিভিন্ন ব্যাংক লুট করার পরিকল্পনা এবং সরকারি বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা করার তাদের প্রস্তুতি আছে। তারা যদি কর্মসূচিটা রাজনৈতিকভাবে করে কোনো হাঙ্গামা না করে, তাহলে তাদের ঢাকায় যাওয়ারও সুযোগ দেওয়া হবে এবং ঢাকা থেকে এক্সিটেরও সুযোগ দেওয়া হবে। কিন্তু এটিকে তারা যদি নাশকতার দিকে নিয়ে যায় তাহলে যাওয়ার এক্সিট থাকবে তবে বের হওয়ার এক্সিটে অবশ্যই প্রতিবন্ধকতায় পড়তেই হবে। কারণ সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়া সরকার এবং সরকারি দলের লোকজনের দায়িত্ব এবং কর্তব্য। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে বিএনপির নেতারা যেসব দেশের রাষ্ট্রদূতদের বাসায় বাসায় ঘুরছে সেসব রাষ্ট্রদূতদের যে দেশ আছে সেই দেশে কী প্রক্রিয়ায় নির্বাচন হয়? অবশ্যই তাদের সংবিধান মোতাবেক, তাদের গঠনতন্ত্র মোতাবেক, তাদের নির্বাচন কমিশনের রায় মোতাবেক নির্বাচন হয়। আমরাও মনে করি বাংলাদেশে সংবিধান আছে, স্বাধীন নির্বাচন কমিশন আছে।  বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আপনি রাজনৈতিক কর্মী, বিরোধী দলের রাজনীতি করতে হলে মামলা হবে এটি মেনেই রাজনীতি করতে হয়। আপনি বিরোধী দলের রাজনীতি করবেন আর ফাইভস্টার হোটেলে গিয়ে ঘুমাবেন এটার নাম বিরোধী দল নয়। বিরোধী মানেই হচ্ছে সংগ্রাম আর সংগ্রাম মানেই হচ্ছে যুদ্ধ সেই যুদ্ধ করতে গিয়ে আপনি মামলা হামলার শিকার হবেন আর মামলা হলে গ্রেপ্তার হবেন এটাই নিয়ম। আমরাও বিরোধী দলে থাকাকালীন মামলা হামলার শিকার হয়েছি। গণসংযোগে ফারুক হাসান তুহিন সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের চিত্র তুলে ধরেন এবং আগামী নির্বাচনে নৌকাকে বিজয়ী করতে যে যার অবস্থান থেকে কাজ করতে উপস্থিত নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
২১ অক্টোবর, ২০২৩
X