খলিলকে নিয়ে আশরাফুল আলম খোকনের ফেসবুক পোস্ট
সম্প্রতি গরুর মাংস কম দামে বিক্রি করে ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছেন মাংস বিক্রেতা খলিলুর রহমান। রোজার প্রথম দিন থেকে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৫৯৫ টাকায় বিক্রির ঘোষণা দেন তিনি। এতে তার দোকান ‘খলিল গোস্ত বিতানে’ ক্রেতাদের ঢল নামে। তাকে নিয়ে অনেক বিতর্ক সৃষ্টি হয়। কেউ বলছেন, রাষ্ট্রীয় সুবিধা নিতে দাম কমিয়ে আলোচনায় থাকতে চেয়েছেন খলিল। আবার সাম্প্রতিক সময়ে তার বিরুদ্ধে নিম্নমানের মাংস দেওয়ার অভিযোগও ওঠে। ক্ষুব্ধ ক্রেতার সঙ্গে মারামারির ঘটনাও সামনে এসেছে। রাজধানীর উত্তর শাহজাহানপুরের এই মাংস ব্যবসায়ীর গতকাল রোববার একটি ফোনালাপ ফাঁস হাওয়ায় আরও সমালোচিত হয়েছেন। বিভিন্ন মহল থেকে তার এই বাধাও সৃষ্টি করার অভিযোগ রয়েছে। খলিলকে নিয়ে সোমবার (২৫ মার্চ) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপ-প্রেস সচিব ও সাংবাদিক আশরাফুল আলম খোকন। তিনি বলেন, একটা লোক কম দামে গরুর মাংস বিক্রি করছে। লোকজনও লাইন ধরে ধরে কিনছে, কারণ কেজিতে ১০০ টাকা কম। দেশব্যাপী আলোড়নও সৃষ্টি হয়েছে। এখন তাকে কীভাবে নিচে নামানো যায়, দোষত্রুটি খুঁজে বের করে ব্যবসা নষ্ট করা যায়, এজন্য একটা শ্রেণি উঠেপরে লেগেছে। এর মধ্যে ব্যবসায়ীরা তো আছেই, আরও আছে বিভিন্ন ইউটিউবার এবং কিছু মিডিয়া। খোকন বলেন, হওয়া উচিত ছিল উল্টোটা, আরও অনেককে এ কাজে উৎসাহিত করা। যাতে জনগণ উপকৃত হয়। আসলেই, সিন্ডিকেট খুব শক্তিশালী। আস্তে আস্তে ওই মাংস বিক্রেতার বিরুদ্ধে সবাইকে মাঠে নামাচ্ছে। হতাশা প্রকাশ তিনি বলেন, বেচারা হয়তো বেশিদিন টিকে থাকতে পারবে না। কোনোদিন দেখবেন, একটি চুরি, খুন, ধর্ষণ মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে। কাউকে কাবু করার সহজ রাস্তা। এদিকে ইতোমধ্যে আলোচিত মাংস বিক্রেতা খলিলুর রহমান ২০ রোজার পরে আর গরুর মাংস বিক্রি করবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন। খলিলুর রহমান বলেন, মাংস ব্যবসায়ীদের জন্য এতকিছু করলাম, তারা এখন কেউ আমার পাশে নেই। বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম এতদিন আমার কাছে থাকলেও এখন আর নেই। সরকারও আর আমার সঙ্গে নেই। ফলে আমি আর মাংস ব্যবসাই করব না। কথা দিচ্ছি, আগামী ২০ রমজানের পর আর খলিল মাংস বিতান থাকবে না। জীবনেও আর মাংস ব্যবসা করব না। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান রোববার (২৪ মার্চ) বলেন, গরুর মাংস বিক্রেতা খলিল, নয়ন ও উজ্জ্বল এতদিন লোকসান দিয়ে মাংস বিক্রি করেছেন। গরুর দাম বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে মাংসের দামও বেড়ে গেছে। তাদের পক্ষে কম দামে আর মাংস বিক্রি করা সম্ভব নয়। এ পরিস্থিতিতে তারা কি করবেন, এটি সম্পূর্ণ তাদের সিদ্ধান্ত।
২৫ মার্চ, ২০২৪

ঢাবি শিক্ষকের ঘটনায় আশরাফুল আলম খোকনের ফেসবুক স্ট্যাটাস
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে নারী শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির। যা নিয়ে ক্লাস বর্জনসহ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে এ ঘটনায় নাদির জুনাইদকে ৩ মাসের বাধ্যতামূলক ছুটিতেও পাঠানো হয়। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের দপ্তর থেকে সাংবাদিকতা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আবুল মনসুরের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। নাদির জুনাইদের এ ঘটনা নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করেছেন। কথা বলেছেন পক্ষে ও বিপক্ষে। এবার এ বিষয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপ-প্রেস সচিব ও সাংবাদিক আশরাফুল আলম খোকন।  বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ‘যৌন নিপীড়ক, নাকি শিক্ষকদের নোংরামি’ শিরোনামে দেওয়া পোস্টে তিনি লিখেছেন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে মূলত দুটি অভিযোগ। এক. একটি ব্যাচের শিক্ষার্থীদের কম নম্বর দেওয়া, দ্বিতীয়. শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়ণের অভিযোগ।  সবকিছু ছাপিয়ে ‘যৌন নিপীড়ক’ শব্দটিই বেশি আলোচিত হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণের আগেই তার বিরুদ্ধে মিডিয়া ট্রায়াল করা হয়েছে। যা, একেবারেই অন্যায়। আরও অন্যায় হচ্ছে, এই ট্রায়ালের সঙ্গে জড়িত বিভাগেরই কিছু শিক্ষক, যা তাদের ফেসবুক স্ট্যাটাস দেখেই অনুমান করা যায়।  এই কতিপয় শিক্ষকের কীসের এত ক্ষোভ নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে?  কম নম্বর দেওয়ার অভিযোগের প্রথম আন্দোলনটি ধোপে টিকেনি। কারণ পরীক্ষা কমিটিতে চারজন পরীক্ষক থাকেন, এককভাবে কারও কিছু করার নেই। সুতরাং দায়ী থাকলে চারজনই দায়ী হবেন। আর, পরীক্ষা কমিটিতে কারা কারা থাকেন, এটা খুবই গোপনীয় বিষয়, শিক্ষার্থীরা জানল কীভাবে? কে, কি উদ্দেশ্যে তাদের জানিয়ে দিল?  যৌন নিপীড়নের অভিযোগকারী শিক্ষার্থী এক দিনের ব্যবধানেই দুই রকম কথা বলেছেন। প্রথমে বলেছেন, তাকে শারীরিকভাবে যৌন নিপীড়ন করা হয়েছে। পরেরদিন আবার বলেছেন, মৌখিকভাবে করেছে। কিন্তু অভিযোগের দুই দিন আগেও নাদির জুনাইদকে দেওয়া এই শিক্ষার্থীর কিছু এসএমএস দেখে মনে হয়েছে, তাদের মধ্যকার সম্পর্ক খুবই আন্তরিক।সেখানে, নিপীড়নমূলক কোনোরকম শব্দ নেই। কিছু ক্ষেত্রে শিক্ষক দাবি করতে পারেন, শিক্ষার্থী তাকে উসকাচ্ছে।  এরপরও কেন মিডিয়াতে নাদির জুনাইদ ‘যৌন নিপীড়ক’ হয়ে উঠলেন। বিভাগের শিক্ষকদের মধ্যে থেকেই, এর কারণ হিসাবে দুটি বিষয় পাওয়া গেছে। বিভাগের সভায় নাদির জুনাইদ প্রায়ই বলতেন-  এক. কিছু শিক্ষক আছেন, যারা কোনো একাডেমিক নিয়মনীতি মানেন না, তাই তিনি চেয়ারম্যান হলে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার কথা বলতেন।  দুই. তিনি বলেছিলেন, বিভাগের ‘আর্থিক অডিট’ ছাড়া তিনি চেয়ারম্যানের পদে অধিষ্ঠিত হবেন না।  শৃঙ্খলা ও আর্থিক অডিটের কথা কেন তিনি বারবার বলতেন? তিনি কি সত্যিই যৌন নিপীড়ক, নাকি তাকে যৌন নিপীড়ক বানানোর ক্ষেত্রে উপরোক্ত দুটি হুমকি ভূমিকা রেখেছে, তাও খতিয়ে দেখা উচিত। আর তিন মাস পরেই তার বিভাগের চেয়ারম্যান হবার কথা। 
১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় আশরাফুল আলম খোকনের ফেসবুক স্ট্যাটাস
প্রতিবছরের মতো এবারও বছরের প্রথমদিন সারা দেশে স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে নতুন পাঠ্যবই তুলে দিয়েছে সরকার। তবে নতুন পাঠ্যবই মানেই যেন ভুল আর বির্তক— বিষয়টি যেন চিরায়িত নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবার মাধ্যমিক স্তরে নতুন কারিকুলামের সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান পাঠ্যবইয়ে হিজড়া জনগোষ্ঠীদের নিয়ে একটি অধ্যায় নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সম্প্রতি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিলোসফির খণ্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাব এক অনুষ্ঠানে চলতি সিলেবাসে সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ট্রান্সজেন্ডারের গল্প ঢুকিয়ে তাদের মগজধোলাই করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। এর প্রতিবাদে তিনি এ পাঠ্যবই থেকে ‘শরীফ’ থেকে ‘শরীফা’ হওয়ার গল্পের পাতা ছিঁড়ে প্রতিবাদ করেন। এ ঘটনায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের আসিফ মাহতাবকে চাকরিচ্যুত করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিক্ষক আসিফ মাহতাবকে নিয়ে শুরু হয় তুমুল তর্ক-বিতর্ক। অনেকেই তার পক্ষ নিয়েছেন, আবার অনেকেই তার বিরোধিতাও করেছেন। এখানেই সমালোচনাকারীরা থেমে থাকেনি; আসিফ মাহতাবের ব্যক্তিজীবন নিয়েও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় ট্রল। সেখানে তার অতীতের কিছু ছবিও পোস্ট করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপ-প্রেস সচিব ও সাংবাদিক আশরাফুল আলম খোকন মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন। ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, ‘ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক (বরখাস্ত) আসিফ মাহতাব, একটি বিষয় নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন। উদ্দেশ্যমূলকভাবে হোক কিংবা অজ্ঞতার কারণেই হোক, হিজড়া এবং ট্রান্সজেন্ডার নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা দিয়েছেন। হয়তো, তিনি এটাকে ধর্মীয় ইস্যুও বানাতে চেয়েছিলেন। এই সব কিছুই তার অপরাধ।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখন, তার ব্যক্তিগত চরিত্র উন্মোচন করতে গিয়ে আমরাও কিছু অপরাধ করছি। সে বিভিন্ন সময় তার ক্লাসমেট, স্বজন এবং বান্ধবীদের সাথে কিছু ছবি তুলেছেন। আমাদের অনেকেই সেইসব ছবি ব্যবহার করে তাকে ট্রল করছি। এটা কোনোমতেই উচিত না।’ আশরাফুল আলম খোকন বলেন, ‘এতে, ওই ভদ্র মহিলাদের সম্মানহানি হচ্ছে, তাদের ব্যক্তি অধিকার ক্ষুণ্ন হচ্ছে। তারাতো কোনো দোষ করেননি। যারা ছবি ব্যবহার করছেন তাদের উচিত ওই সব ভদ্রলোক ও মহিলাদের অন্ততঃ মুখ মণ্ডল ঢেকে দেওয়া। তবে, অন্যদের ছবি ব্যবহার না করাই উত্তম।’ জানা গেছে, ২০১৩ সালের নভেম্বরে সমাজের মূলধারায় সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে হিজড়া জনগোষ্ঠীকে তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় সরকার। ২০১৪ সালের ২৬ জানুয়ারি হিজড়াদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট প্রকাশ করা হয়। মূলত সপ্তম শ্রেণির এই পাঠ্যবইয়ে হিজড়া জনগোষ্ঠীর প্রতিবন্ধকতা থাকলে সমাজে এগিয়ে যাচ্ছে বলে আলোচনা করা হয়েছে। যদিও সেখানে তাদের বেড়ে ওঠা, সামাজিক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত, শিক্ষাগ্রহণের সুযোগ না থাকা ইত্যাদি উঠে এসেছে এ অধ্যায়ে। এ বিষয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) বলছে, সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে এই অধ্যায়টি গত বছরও ছিল, সেখানে যতটুকু সংশোধন করা দরকার তা এবার করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় আইনের মাধ্যমে হিজড়াদের স্বীকৃতি দেওয়ায় তাদের সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করার প্রয়োজন রয়েছে। তাই পাঠ্যবইয়ে এটি আনা হয়েছে বলে দাবি প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টদের।
২৩ জানুয়ারি, ২০২৪

অনিয়মের লিখিত অভিযোগ দিলেন হিরো আলম
বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের ভোটে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ এনে বগুড়া জেলা রিটানিং অফিসার ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।  সোমবার (৮ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ভোট বর্জনের কাগজ জমা দেন তিনি।  এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা সারাদিন নির্বাচন মাঠে ঘুরেছি। আমার এজেন্টরা বলেছে, তাদের বলা হয়েছে, আলম যদি কেন্দ্রে আসে তখন তাকে যেন বলা হয় ভোট খুব ভালো হচ্ছে। কিন্তু আমরা চলে আসার পর দুপুরে লাঞ্চের সময়ে তারা সিল মারছে। এ ছাড়া, কিছু সিল মারাই নিয়ে এসেছিল ওরা। আমরা যখন কেন্দ্রে যাই তখন প্রতিটি কেন্দ্রে ২টা, ১৫টা, ৯৬টা করে ভোট পড়েছে।’ হিরো আলম বলেন, গতকাল যে নির্বাচন হয়েছে এটা নাটকীয় নির্বাচন। আমি ভোট করতে চাইছিলাম না। ভোট একটা কারণেই করেছি, এই আসনে প্রতিবারই দুর্নীতি করা হয় আমার ওপর। এবারও করবে সেটা আমি আগে থেকেই জানতাম। দেশবাসীর কাছে এটা প্রমাণ করার জন্যই আমি নির্বাচনের মাঠে ছিলাম। আমি ইচ্ছে করলে গতকাল সকালেই ভোট বর্জন করতে পারতাম। কিন্তু করিনি। কারণ আপনারা শেষ পর্যন্ত দেখেন মাঠে কি হয়।’ এ সময় হিরো আলম বলেন, ‘জিয়াউল হক বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা। তার তো এত ভোট পাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। যে জায়গায় বিএনপি ভোট দিতে যায়নি, সেখানে উনি এত ভোট পেলেন কোথায়?’ হিরো আলম অভিযোগ করেন, ‘প্রিসাইডিং অফিসাররা যখন কেন্দ্র থেকে রেজাল্ট ঘোষণা করবে তার আগে আওয়ামী লীগের লোকজন তাদের গণনাকৃত ফলাফলের রেজাল্ট শিট ছিঁড়ে ফেলে দিয়ে তাদের তৈরি রেজাল্ট শিট হাতে ধরিয়ে দেয়। পরে তাদের রেজাল্ট শিট দিয়ে ঘোষণার নির্দেশ দেন। এভাবে প্রতিটি কেন্দ্রে অনিয়ম করেছে। কাজেই আমি এই ফলাফল মানি না।’  হিরো আলম বলেন, ‘আমি এবার ভোট পেয়েছি ২৪ হাজার ৬০০। কিন্তু আমার ভোট দেখানো হয়েছে মাত্র ২ হাজর ১০০টি। আমি প্রথমে যখন ওখানে যাই তখন নৌকা পেয়েছে ৬ হাজার ভোটের মতো। কিন্তু পরে নৌকায় সিল মেরে ভোট দেখিয়েছে ২৫ হাজার। ঈগল মার্কা ভোট পেয়েছে ১০ হাজারের মতো। আমার যারা এজেন্টরা ছিল তারা আমাকে এগুলো জানিয়েছে।’ আলোচিত এই কনটেন্ট ক্রিয়েটর বলেন, ‘গতবারের মতো এবারও ভোটের চাল খাটাইছে। গতবার আমাকে ৮০০ কয় ভোটের ব্যবধানে তানসেনের কাছে পরাজিত দেখানো হয়েছিল। এবার ঈগলকে দেখানো হয়েছে ১০০ কয় ভোটে ফেল করেছে। সারাজীবন কী খালি এক-দেড়শ ভোটে ফেল দেখায়? ২-৪ হাজার ভোট কি কেউ কম বেশি পায় না? তানসেনের কি জনপ্রিয়তা এতই বেশি? আমার কি জনপ্রিয়তা এতই কম। যে জায়গায় গতবার আমি ১৯ হাজার ভোট পেয়েছিলাম। এবার ২ হাজার ভোট পাই। হিরো আলমের জনপ্রিয়তা কি এতই কমে গেছে? যে হিরো আলম ভোট পায়নি?’ উল্লেখ্য, বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে গতকাল সন্ধ্যায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান হিরো আলম। তিনি বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের বাংলাদেশ কংগ্রেসের হয়ে ‘ডাব’ প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন।  
০৮ জানুয়ারি, ২০২৪

আমার জয় নিশ্চিত : হিরো আলম
বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের উপনির্বাচনে ৮৩৪ ভোটে হেরেছিলেন আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। ওই নির্বাচনে জয়ী হন ক্ষমতাসীন ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ কংগ্রেস থেকে ডাব প্রতীকে অংশগ্রহণ করেছেন হিরো আলম। ওই আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের হয়ে মাঠে লড়ছেন ১৪ দলীয় জোটের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন। এ ছাড়া ৩ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে সব প্রতিদ্বন্দ্বীকে ছাপিয়ে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলম। সংবাদমাধ্যমে হিরো আলম বলেন, ‘আমার নির্বাচনী এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা করে যা বুঝেছি, তাতে জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী। এলাকার জনগণ আগামীকাল (রোববার) ভোট দেওয়ার অপেক্ষায় আছে। অনেক উৎসাহ কাজ করছে তাদের মধ্যে। আশা করি, তারা সবাই আমার পক্ষেই ভোট দেবেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘যদি অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ঘটনা না ঘটে, তবে আমার জয় নিশ্চিত। আপনারা জানেন, গত নির্বাচন আমার পক্ষে জনগণ ভোট দিয়েছে। সেবার অল্পের জন্য বিজয়ী হতে পারিনি। এবার আমাকে নিয়ে তাদের আস্থা ও বিশ্বাসের জায়গাটা আরও দৃঢ় হয়েছে।’ হিরো আলম বলেন, ‘সব কিছু আপাতত ঠিক আছে। সব কেন্দ্রে আমার এজেন্ট থাকছে। নির্বাচনী প্রচারণাতেও কোনো ঝামেলা হয়নি। আশা করি, এবার সুন্দর একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’ ভোটের দিনের পরিকল্পনার বিষয়ে হিরো আলম বলেন, ‘রোববার সকালে এরুলিয়া ভোটকেন্দ্রে ভোট দেব। এরপর বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। অবস্থা বুঝে পরবর্তী পরিকল্পনা সাজাব।’
০৭ জানুয়ারি, ২০২৪

হিরো আলমের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঐক্য পরিষদের সংবাদ সম্মেলন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েও ভোটে থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম বাংলাদেশ স্বতন্ত্র প্রার্থী ঐক্য পরিষদকে ধোকা দিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদস্বরূপ হিরো আলমের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের এই জোট। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বিজয় স্মরণিস্থ স্বতন্ত্র প্রার্থী ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ স্বতন্ত্র প্রার্থী ঐক্য পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহিম বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে মনোনয়ন জমা দেওয়া ৩৮৬ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করার সম্মতি দেওয়ায় তাদেরকে ধন্যবাদ এবং অন্যদের একতরফা নির্বাচন থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়ে রোববার (১৭ ডিসেম্বর) সেগুনবাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ স্বতন্ত্র প্রার্থী ঐক্য পরিষদ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেই সংবাদ সম্মেলনে ঐক্য পরিষদের অন্যদের পাশাপাশি হিরো আলমও বক্তব্য রাখেন। প্রার্থীতা প্রত্যাহারের ৩৮৬ জনের মধ্যে হিরো আলমও ছিলেন। হিরো আলম গত কিছুদিন থেকে আমার সাথে যোগাযোগ করছিলেন। হিরো আলম জানিয়েছিলেন- বাংলাদেশ স্বতন্ত্র প্রার্থী ঐক্য পরিষদের ব্যানারেই তিনি প্রার্থীতা প্রত্যাহার করবেন। কিন্তু হিরো আলম সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে সিদ্ধান্ত বদল করেন। প্রার্থীতা প্রত্যাহার না করে নির্বাচনে থাকার ঘোষণা দেন, যা সম্পূর্ণ ধোকাবাজির শামিল। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’ তিনি বলেন, শোনা যাচ্ছে- আওয়ামী লীগ আবারও কারচুপির নির্বাচন করতে যাচ্ছে। এ কারণে তপশিল ঘোষণার পর সংবাদ সম্মেলন করে আমরা নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছি। সেই সঙ্গে ৩০০ জন প্রার্থীর সাথে আলোচনা করে আমরা মনোনয়ন ফরম কেনা থেকেও বিরত থাকি। তাছাড়া জাতির স্বার্থে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের জন্য আমরা অন্যান্য দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সঙ্গেও যোগাযোগ অব্যাহত রাখি। স্বতন্ত্র প্রার্থী ঐক্য পরিষদের এই চেয়ারম্যান বলেন, হিরো আলম সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়ে আবার একই বক্তব্যের শেষে বলেন যে, ‘নির্বাচন কতটা সুষ্ঠু হয়- সেটা দেখার জন্য হলেও একজন লোক নির্বাচনে থাকা প্রয়োজন। আমি হচ্ছি সে ব্যক্তি, কিন্তু আমি যেকোনো সময় নির্বাচন থেকে সরে যেতে পারি।’ স্বতন্ত্র প্রার্থী ঐক্য পরিষদের সঙ্গে হিরো আলমের এই ধোকাবাজি ও ডিগবাজির পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবাদস্বরূপ আজকের এই সংবাদ সম্মেলন। আব্দুর রহিম প্রশ্ন রেখে বলেন, হিরো আলমের এই ডিগবাজি দেওয়ার কারণ কী জানি না। তবে আমাদের ধারণা, আমাদের ব্যানারকে ব্যবহার করে সুচতুরভাবে অর্থনৈতিক ও এমপি পদের সুবিধা নিশ্চিত করতেই হিরো আলম ওই সংবাদ সম্মেলনকে ব্যবহার করেছেন। সরকারের দর কষাকষিতেও বিক্রি হতে পারেন হিরো আলম। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- নতুন বাংলার চেয়ারম্যান আকবর হোসেন ফাইটন, বাংলাদেশ ঐক্য পার্টির চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আবদুর রহীম চৌধুরী, রাজিয়া সুলতানা রত্না প্রমুখ।
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৩

হিরো আলমের ওপর হামলা / তদন্ত প্রতিবেদন ২৪ জানুয়ারি
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণের দিনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন পিছিয়ে আগামী ২৪ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত। প্রতিবেদন দাখিল না হওয়ায় রোববার (১৭ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলমের আদালত এ দিন ধার্য করেন। এর আগে গত ১৮ জুলাই হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় রাজধানীর বনানী থানায় হিরো আলমের ব্যক্তিগত সহকারী সুজন রহমান শুভ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৫ থেকে ২০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়।   মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হলে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম এবং তার ব্যক্তিগত সহকারী পরান সরকারসহ প্রতিনিধি রাজীব খন্দকার, মো. রনি, মো. আল আমিনসহ অনেকে বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করতে থাকেন। তারই ধারাবাহিকতায় আশরাফুল হোসেন আলম প্রতিনিধিরা বিকেল সাড়ে ৩টায় বনানী থানাধীন বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে পরিদর্শনের জন্য যাই। অতঃপর প্রার্থ আশরাফুল হোসেন আলমসহ ৫/৬ জন বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে কেন্দ্র থেকে বের হওয়ার সময় অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জন বেআইনিভাবে সংঘবদ্ধ হয়ে গতিরোধ করে বিভিন্ন ধরনের গালাগাল করতে থাকে।  এজহারে আরও বলা হয়, একপর্যায়ে হত্যার উদ্দেশ্যে প্রার্থী মো. আশরাফুল হোসেন আলমকে আক্রমণ করে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি মারতে থাকে। মারধরের একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হতে অজ্ঞাতনামা একজন হিরো আলমকে হত্যার উদ্দেশ্যে দুই হাতে কলার চেপে ধরে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করে এবং অপর একজন তার তলপেটে লাথি মারলে সে রাস্তায় পড়ে যান। তখন তাকে এলোপাথাড়ি কিলঘুষি ও লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে এবং টানাহেঁচড়া করে। 
১৭ ডিসেম্বর, ২০২৩

প্রার্থিতা ফিরে পেলেন হিরো আলম
বগুড়া-৪ আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ রোববার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন কমিশনের শুনানি শেষে তার আপিল মঞ্জুর করে প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করা হয়। এদিন সকাল ১০টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে আপিল আবেদনের ওপর শুনানি শেষে আপিল মঞ্জুর করে প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশন। এর আগে শনিবার (৯ ডিসেম্বর) প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল করার সময়সীমা শেষ হয়। পাঁচ দিনে নির্বাচন কমিশনে ৫৬১টি আপিল জমা পড়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে সারা দেশের ৭৪৭ জন স্বতন্ত্রসহ মোট দুই হাজার ৭১৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। বাছাই শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তারা এক হাজার ৯৮৫টি মনোনয়নপত্র বৈধ এবং ৭৩১টি বাতিল ঘোষণা করেন। মনোনয়নপত্র বাতিলের হার ২৬ দশমিক ৯২ শতাংশ। আর বৈধ মনোনয়নপত্রের হার ৭৩ দশমিক শূন্য আট শতাংশ। ইসির তথ্যমতে, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে ও বাতিল চেয়ে প্রথম দিন ৪২ জন, দ্বিতীয় দিন ১৪১ জন, তৃতীয় দিন ১৫৫ জন, চতুর্থ দিন ৯৩ জন এবং পঞ্চম দিনে ১৩০ জন আপিল করেছেন। ইসির ঘোষিত তপশিল অনুযায়ী, আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ৩০ নভেম্বর। ১ ডিসেম্বর থেকে বাছাই শুরু হয়, যা শেষ হয় ৪ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ও শুনানি ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এবং ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ১৮ ডিসেম্বর।
১০ ডিসেম্বর, ২০২৩

নির্বাচনে অংশ নেওয়া নিয়ে কী বললেন হিরো আলম
তপশিল ঘোষণা হয়েছে। আগামী ৭ জানুয়ারি হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তপশিল অনুযায়ী ৩০ নভেম্বর মনোনয়ন জমাদানের শেষ তারিখ। এর আগেই মনোনয়ন ফরম বিতরণ করছে দলগুলো। আসন্ন এ নির্বাচনে প্রার্থী হতে ইতিমধ্যে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে চিত্রনায়ক, অভিনেতা, ক্রিকেটার, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সাবেক আমলারা। এ দৌড়ে থেমে নেই জনপ্রিয় ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম। গতবারের মতো এবারও প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। তবে কোনো দল থেকে প্রার্থী হবেন তা এখনো জানা যায়নি।  হিরো আলমের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুবাইতে অবস্থান করছেন তিনি। দেশে ফিরে আগামী ৩০ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনে মনোনয়ন জমা দেবেন।  গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকটি নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন এই কন্টেন্ট ক্রিয়েটর। বগুড়ার কাহালু থেকে নির্বাচন করেন তিনি। গতবার বগুড়ায় উপনির্বাচন করে সবার নজর কেড়েছেন আলম। সেখানে দুটি আসনে উপনির্বাচন করে একটিতে জয়ের দ্বারপ্রান্তে ছিলেন এ অভিনেতা। এবার ঢাকা-১৭ আসনে অংশ নিয়েছিলেন তিনি।
২২ নভেম্বর, ২০২৩

বিএনপিসহ চার রাজনৈতিক দলে যোগদানের প্রস্তাব পেয়েছেন হিরো আলম
আসন্ন জাতীয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে বিএনপিসহ চার রাজনৈতিক দলে যোগদানের প্রস্তাব পেয়েছেন হিরো আলম। বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) বিকেলে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি। হিরো আলম বলেন, আমি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসছি। আপনাদের জন্য একটি সুখবর আছে সেটা হলো আমি যেকোনো একটা দলে যোগদান করছি। আমি চার দল থেকে প্রস্তাব পেয়েছি। দলগুলো হলো- বিএনপি, আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি (জাপা) ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি)। এই দলগুলোর মধ্যে থেকে যেকোনো একটি দল থেকে আমি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসছি। এবার হিরো আলম আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করবে জানিয়ে তিনি বলেন, গত কয়েকবার আমি এক তারা প্রতীকে নির্বাচন করেছি। কিন্তু বর্তমানে একতারা প্রতীক নেই। তাই আমি এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একটা দলের হয়ে নির্বাচন করব। আমি আবারও নির্বাচনের মাঠে আসতেছি। বিএনপিসহ বড় বড় দলগুলো বলছে বর্তমান সরকারের অধীনে তারা নির্বাচনে যাবে না এ অবস্থায় কি আপনি এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবেন জানতে চাইলে হিরো আলম বলেন, সবগুলো দল যদি নির্বাচনে যায় তাহলে আমি নির্বাচনে যাব। চারটি দল কী আপনাকে প্রস্তাব দিয়েছে নাকি আপনি প্রস্তাব দিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারাই আমাকে প্রস্তাব দিয়েছে। নির্বাচনের আগে আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে চাচ্ছি না। কোন আসন থেকে নির্বাচনে করবেন জানতে চাইলে হিরো আলম বলেন, আমার তো আসন তিনটি। বগুড়ায় ২টি এবং ঢাকায় একটি। দল থেকে করতে হলে তো একটা আসন থেকেই করতে হবে। দল যে আসন দেবে সেই আসন থেকেই নির্বাচন করব। এর আগে ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করেছেন হিরো আলম। ওই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন মোহাম্মদ আলী আরাফাত। তিনি ২৮ হাজার ৮১৬ ভোট পেয়ে ওই আসনের নতুন সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। আর হিরো আলম ভোট পান ৫ হাজার ৬০৯টি। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে ভোট পড়ে ১১.৫১ শতাংশের মতো। এই নির্বাচনে সর্বমোট ভোট পড়ে ৩৭ হাজার ৪২০টি। এর মধ্যে ৩৮৩টি ভোট বাতিল বলে ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তার আগে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের উপনির্বাচনে লড়েন হিরো আলম। সেখানেও জয়ের দেখা পাননি তিনি। ওই আসনে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন মশাল প্রতীকে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন। তানসেন ২০ হাজার ৪০৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। আর হিরো আলম পান ১৯ হাজার ৫৭১ ভোট। ৮৩৪ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন তিনি। ওই আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ২৮ হাজার ৪৬৯। ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১১২টি। 
২৪ আগস্ট, ২০২৩
X