‘শিগগিরই আল আকসা যাবে মুসলিমদের হাতে’
সিরিয়ায় ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলের হামলা এবং তারপর ইসরায়েলের অভ্যন্তরে ইরানের পাল্টা আক্রমণ, সর্বশেষ ইসরায়েলের বদলা নেওয়ার হুমকি—এই ঘটনাপ্রবাহে উত্তপ্ত হয়ে আছে মধ্যপ্রাচ্য। হুমকি-ধমকি অব্যাহত থাকলেও অনেক বিশ্লেষক বলছেন, খেলা ইরানের পক্ষে ড্র হয়েছে। সুযোগ পেয়ে দেশটি তার শক্তিমত্তা জানান দিয়েছে ভালোভাবেই। ইসরায়েলে হামলা করার পর ইরানের সর্বোচ্চ আধ্যাত্মিক নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির কণ্ঠে শোনা গেল আত্মবিশ্বাসের সুর। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে হিব্রু ভাষায় দেওয়া এক বার্তায় তিনি বলেন, শিগগিরই আল আকসা মুসলিমদের হাতে যাবে এবং সেদিন ইসলামি বিশ্ব ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা উদযাপন করবে। ফিলিস্তিন ইস্যুতে আগে থেকেই ইসরায়েলের সঙ্গে চরম দ্বন্দ্ব ইরানের। সেই দ্বন্দ্ব আরও ব্যাপকভাবে বেড়েছে গত ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরুর পর থেকে। এই বৈরিতার মধ্যেই গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি দূতাবাসে বোমা হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী। এতে ১৩ জন নিহত হন।  হামলার পরপরই এক বার্তায় খামেনি বলেছিলেন, এই হামলার জন্য ইসরায়েলকে অবশ্যই মূল্য দিতে হবে। এরপর গত শনিবার রাত ও রোববার সকালে ইসরাইলকে লক্ষ্য করে ৩ শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরানের সামরিক বাহিনী। অবশ্য বেশিরভাগ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার আগেই ধ্বংস করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। তবে দেশটির ৯টি স্থাপনায় ইরানি ড্রোন আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে বলে জানা গেছে। ফিলিস্তিন কিংবা আল আকসা ইস্যু নিয়ে ইরানের সর্বোচ্চ আধ্যাত্মিক নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির বার্তা এটাই প্রথম নয়। গত জানুয়ারি মাসে এক বার্তায় তিনি বলেছিলেন, গাজায় ইসরায়েলি শাসকগোষ্ঠী যেসব অপরাধ করছে, তা কখনো ভুলতে পারবে না বিশ্ব। একদিন এই শাসকগোষ্ঠী পৃথিবী থেকে বিদায় নেবে, কিন্তু তাদের অপরাধ এবং হাজার হাজার নারী ও শিশুকে হত্যার ঘটনা বইপত্রে অবশ্যই লিপিবদ্ধ থাকবে। এদিকে ভবিষ্যতে নিজেদের স্বার্থের ওপর আর কোন আঘাত বরদাস্ত করবে না বলে স্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছে ইরান। ফের কোনো ধরনের আগ্রাসন চালানো হলে তাৎক্ষণিকভাবে তার সমুচিত জবাব দেবে তেহরান। ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং দেশটির শীর্ষ সেনা কমান্ডাররা দফায় দফায় এমন হুঁশিয়ারি দিয়ে যাচ্ছেন।
১৭ এপ্রিল, ২০২৪

ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশের দিন আজ
আল-কুদস দিবস আজ। প্রতি বছর রমজান মাসের শেষ শুক্রবার দিবসটি পালন করে মুসলমানরা।  প্রথম কেবলা পবিত্র বায়তুল মুকাদ্দাস দখলমুক্ত করার আন্দোলনের প্রতীকী দিন হিসেবে প্রতি বছর রমজান মাসের শেষ শুক্রবার এই দিনটি পালন করা হয়। ১৯৪৮ সালের ১৫ মে ফিলিস্তিনের মূল অধিবাসীদের অধিকাংশকে বিতাড়িত করে ইহুদিরা সেখানে অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েল গঠন করে। ১৯৬৭ সালে ইসরায়েল জেরুজালেমের পুরাতন শহরে অবস্থিত বায়তুল মুকাদ্দাস দখল করে নেয়। এরপর থেকে এ দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে আল-কুদস দিবস পালন করে আসছে মুসলিম বিশ্ব।  জেরুজালেম শহরের অপর নাম 'কুদস' বা 'আল-কুদস' (আরবি ভাষায়)। সে অনুযায়ী দিবসটির নাম আল-কুদস দিবস। ১৯৭৯ সালে ইরানে প্রথম পালিত হয় দিবসটি।  ইহুদিদের হাত থেকে মুসলমানদের প্রথম কেবলা আল আকসা মসজিদকে মুক্ত করার জন্য মুসলমানদের জাগিয়ে তোলাই এ দিবসের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। ইমাম খোমেনির আহ্বানে ১৯৭৯ সালে ইরানে প্রথম শুরু হয়েছিল আন্তর্জাতিক আল-কুদস দিবস। এ দিবস পালনের উদ্দেশ্য হলো ফিলিস্তিনি জনগণের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ এবং দখলদারদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ।
০৫ এপ্রিল, ২০২৪

রমজানের প্রথম জুমায় আল আকসায় মুসল্লিদের ঢল
ইসরায়েলের বিভিন্ন কঠোর নিরাপত্তা বিধিনিষেধ সত্ত্বেও পবিত্র রমজান মাসের প্রথম জুমায় আল আকসা মসজিদে ৮০ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করেছেন। তবে অধিকৃত পশ্চিম তীর থেকে আসা হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে নামাজ করতে অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমে প্রবেশ করতে বাধা দিয়েছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার (১৫ মার্চ) আল আকসা মসজিদের দেখভালের দায়িত্বে নিয়োজিত ইসলামিক ওয়াকফের বরাতে এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে আলজাজিরা। সারা বিশ্বের মুসলিমদের কাছে তৃতীয় পবিত্র স্থান আল আকসা মসজিদ। আর ইহুদিদের কাছেও এটি পবিত্র স্থান। তাদের কাছে এটি ‘টেম্পল মাউন্ট’ হিসেবে পরিচিত। আলজাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুধু ৫৫ বা তার বেশি বয়সী পুরুষ এবং ৫০ বছরের বেশি বয়সী নারীদের মসজিদে প্রবেশের অনুমতি দেয় ইসরায়েল। এ ছাড়া মসজিদে প্রবেশের ক্ষেত্রে সবাইকে অবশ্যই বৈধ অনুমতিপত্র দেখাতে হয়েছে। ফলে অধিকাংশ ফিলিস্তিনি মুসল্লি জুমার নামাজ পড়তে মসজিদে প্রবশে করতে পারেননি। ফিলিস্তিনি ন্যাশনাল ইনিশিয়েটিভের মহাসচিব মোস্তফা বারঘৌতির জানান, ৯৫ শতাংশের বেশি ফিলিস্তিনিকে আল আকসা মসজিদে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। যাদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে তারা সংখ্যায় খুব কম। তাদের বয়স ৫৫ বছরের বেশি। পবিত্র এই মসজিদে প্রবেশের জন্য তাদের কঠিন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। তিনি বলেন, প্রথমত, তাদের ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে একটি বিশেষ ম্যাগনেটিক সিকিউরিটি কার্ড নিতে হবে। এটি পেতে অনেক সময় লাগে। আবার সবাইকে এটা দেওয়া হয় না। তাদের সরাসরি ইসরায়েলিদের কাছ থেকে একটি বিশেষ অনুমতি নিতে হবে। এসব জটিলতার কারণে অনেক মানুষ ঢুকতে পারেননি। মোস্তফা বারঘৌতি আরও বলেন, অনেক মানুষ ক্ষুব্ধ। এ জন্য পরিস্থিতি আরও উত্তেজনাকর হচ্ছে। ইসরায়েলি নিষেধাজ্ঞা, মারধর ও উসকানির কারণে মসজিদের ভেতরে উত্তেজনা অনেক বেশি। আমার মনে হয় এসব উসকানির কারণে একটি সমস্যা তৈরি হতে পারে।
১৫ মার্চ, ২০২৪

আল আকসা থেকে মুসল্লিদের পিটিয়ে বের করা হলো
পবিত্র আল আকসা মসজিদে প্রথম তারাবি আদায় করার জন্য জড়ো হন হাজার হাজার মুসল্লি। তবে বয়স্কদের ঢুকতে দিলেও যুবক এবং তরুণদের ইসরায়েলি বাহিনীর বাধার মুখে পড়তে হয়। কোনোভাবেই ঢুকতে দেওয়া হচ্ছিল না। শুধু বাধাই নয়, রীতিমতো পেটানো হয় তাদের।  সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, মসজিদে নামাজ পড়তে যাওয়ার জন্য গেট দিয়ে ঢোকার চেষ্টা করছেন যুবকরা। তবে তাদের কোনোভাবেই ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। পরে তাদের ওপর লাঠিচার্জ করা হয়। চালানো হয় হামলা।  এ সময় সশস্ত্র বাহিনীটির সঙ্গে সংঘাতেও জড়ান কেউ কেউ। আরেকটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ভেতরে প্রবেশ করতে না পেরে মূল গেটের বাইরের অংশে নামাজ পড়ছেন অনেকে।  বিভিন্ন গণমাধ্যম বলছে, আগ থেকেই নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের বেশকিছু শর্ত দিয়ে দেওয়া হয়। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় যে বিপত্তিটা বাধে তা হলো- ৪০ বছরের নিচে কেউ আল-আকসা চত্বরে ঢুকতে পারবে না। অনেকে ধারণা করছেন, আল-আকসা মসজিদ ঘিরে ইসরায়েলি বাহিনী যে খবরদারি করছে তার বিরুদ্ধে যেন কোনো প্রতিবাদ না হয়। আর তাদের অন্যায়ের প্রতিবাদ করে সাধারণত তরুণ-যুবকরা। তাদের ঠেকাতেই অদ্ভুত শর্ত জুড়ে দিয়েছে নেতানিয়াহু বাহিনী। পবিত্র রমজান মাস আসলেই আল-আকসায় মুসল্লিদের ওপর ইসরায়েলি নির্যাতন-নিপীড়ন নেমে আসে। এবার গাজা যুদ্ধের কারণে শঙ্কাটা আরও বেশি ছিল। কারণ আগ থেকেই গোটা চত্বর এলাকায় মোতায়েন ছিল ইসরায়েলি বাহিনী। প্রথম তারাবিতে পরিস্থিতি কি হয় তা নিয়ে শঙ্কা ছিল সবার।  সব শঙ্কা আর ভয়ভীতি উড়িয়ে ইসলামের তৃতীয় পবিত্র স্থানে জড়ো হন শত শত মুসল্লি। আদায় করেন তারাবির নামাজ। প্রথম রমজানের তারাবি আদায়ের জন্য এদিন হাজির হয়েছিলেন নারীরাও। এই নামাজ ঘিরে যেন কোনো ধরনের সংঘাত-সহিংসতার মতো পরিস্থিতি তৈরি না হয় এ জন্য আগেভাগেই সেখানে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রস্তুত ছিল ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। মসজিদ চত্বরে প্রবেশের সময় মুসল্লিদের পড়তে হয় তল্লাশির মুখে। জেরুজালেমের পবিত্র আল-আকসা মসজিদকে বিবেচনা করা হয় ইসলামের তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থান হিসেবে। মক্কা ও মদিনার মসজিদের মতো প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে হাজার হাজার মুসলমান এই মসজিদ প্রাঙ্গণে আসেন।
১১ মার্চ, ২০২৪

আল আকসা মসজিদে নামাজে ইসরায়েলের বাধা
গাজায় অব্যাহত বোমা হামলা করছে ইসরায়েল। এ হামলা থেকে বাদ পড়েনি মসজিদ, বিদ্যালয় বা হাসপাতাল। এরমধ্যে মুসলমানদের অন্যতম পবিত্র স্থান আল আকসা মসজিদে নামাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতি সপ্তাহেই ইসরায়েলি সেনারা আল আকসা মসজিদে যুবকদের প্রবেশে বাধা দিয়ে আসছে। এমনকি তাদের মসজিদের কাছেও যেতে দেওয়া হয় না।  প্রতি শুক্রবার এ পবিত্র জায়গাটিতে জুমার নামাজে অংশ নিতে বিপুলসংখ্যক লোকজনের সমাগম হয়। কিন্তু ইসরায়েলি সেনারা তাদের ওপর টিয়ার গ্যাস ও জলকামান নিক্ষেপ করে। আগে অবশ্য বয়স্কদের নামাজের অনুমতি দিত সেনারা। আল আকসা মসজিদে প্রতি শুক্রবার জুমার নামাজে ৬০ থেকে ৭০ হাজার মুসলিম অংশ নেন। এ মসজিদটি মুসলমানদের তৃতীয় পবিত্র স্থান হিসেবে পরিচিত। সবশেষ জুমায় এ মসজিদে ৫ হাজার মুসলিম অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন।  ইসরায়েল বলছে, যুদ্ধের কারণে সেখানে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। যে কোনো উত্তেজনা এড়াতে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে ইসরায়েলের ওই দাবিকে উড়িয়ে দিচ্ছেন ফিলিস্তিনিরা। তার বলছেন, স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত ও চলাফেরা বাধাগ্রস্ত করতে এটাকে কেবল অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।    
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৩

আল আকসা ভাঙতে মরিয়া ইসরায়েল!
পুরো বিশ্বের নজর এখন ফিলিস্তিনের গাজার দিকে। প্রতি মুহূর্তে ইসরায়েলের হামলায় প্রাণ হারানো মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। ঠিক এমন সময়ে ঘটতে যাচ্ছে আরও বড় ঘটনা। এবার পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের দুর্দশার খবর চাপা পড়ে যাচ্ছে। জেরুজালেমে আল আকসা মসজিদ ভেঙে সেখানে ইসরায়েলের ধর্মীয় মন্দির ‘থার্ড টেম্পল’ বানানোর সব প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে। গাজায় হামলার পাশাপাশি পূর্ব জেরুজালেমে মুসলমানদের ওপরও উৎপীড়ন বাড়িয়েছে ইসরায়েল। সে খবর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে তেমন কোনো গুরুত্ব পাচ্ছে না। এমনকি গত পাঁচ জুমা ধরে আল আকসা মসজিদে নামাজ আদায় করতে পারছে না মুসলমানরা। তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আনাদোলু নিউজ এজেন্সি বিষয়টি নিয়ে খবর প্রকাশ করেছে।    শিগগিরই ফিলিস্তিনিরা আল আকসায় নামাজ পড়তে পারবেন, এমন আশাও নেই। ইসরায়েলের সেনাবাহিনী কোনো মুসল্লিকে সেখানে ঢুকতে দিচ্ছে না। কিন্তু আন্তর্জাতিক চুক্তি লঙ্ঘন করে আল আকসা মসজিদ কম্পাউন্ডে ইহুদিরা প্রতিদিনই ঢুকছেন, এমনকি এই চত্বরে তারা প্রার্থনাও করছেন। যা ইসরায়েলি আইনেও সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।   আল আকসায় নামাজ পড়তে না দেওয়ার এ ঘটনা শুধু ফিলিস্তিনি মুসলমানদের জন্য নয়, পুরো আরব বিশ্ব তথা মুসলিম বিশ্বের মুসলমানদের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।  এ উদ্বেগের পেছনে শুধু ধর্মীয় বিষয় নয়; বরং রাজনৈতিক বিষয়ও বড় কারণ হয়ে উঠেছে। ফেসবুক, ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সে উদ্বেগের বিষয়টি ফুটে উঠছে।   এই প্রেক্ষাপটে ইহুদিদের ধর্মগ্রন্থ হিব্রু বাইবেল বা ওল্ড টেস্টামেন্টে যে ‘থার্ড টেম্পলের’ বিষয় উল্লেখ আছে সেটি আলোচনায় এসেছে। ইহুদি সম্প্রদায়ের একটি বড় অংশ, এমনকি ইসরায়েল সরকারের গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকজন নেতা মনে করছেন, আল আকসা মসজিদ ভেঙে সেখানে ‘থার্ড টেম্পল’ নির্মাণের জন্য ইহুদিরা অপেক্ষা করে আসছে এবং সেই অপেক্ষার অবসান হতে চলেছে।  তারা মনে করছে, অতি অল্প সময়ের মধ্যেই আল আকসা মসজিদ ভেঙে সেখানে থার্ড টেম্পল নির্মাণ করা যাবে। এর জন্য যেসব প্রস্তুতি নেওয়ার দরকার, তার সবই নেওয়া হয়ে গেছে। ইসরায়েল শিগগিরই থার্ড টেম্পল নির্মাণের কাজ শুরু করতে যাচ্ছে—এমন একটি আশঙ্কাই গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের আচমকা হামলা চালানোর পেছনে মূল কারণ হিসেবে কাজ করেছে বলে হামাসের বরাত দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই জানিয়েছে।  
১৯ নভেম্বর, ২০২৩

আল আকসা চত্বরে বিক্ষোভের ডাক হামাসের
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর বোমাবর্ষণের প্রতিবাদে আল আকসা মসজিদ চত্বরে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে হামাস। শুক্রবারের (১৩ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে হামাস। আল আকসা চত্বরে বিক্ষোভের পাশাপাশি ইসরায়েলি বাহিনী ও বসতি স্থাপনকারীদের বিরুদ্ধে সাধারণ ফিলিস্তিনিদের লড়াইয়ের আহ্বানও জানিয়েছে হামাস। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের। গত শনিবার (৭ অক্টোবর) ভোররাতে ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা ও অনুপ্রবেশ করে নির্বাচারে হত্যাযজ্ঞ শুরু করেন হামাসের যোদ্ধারা। এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় গাজা উপত্যকায় ওই দিনই বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েলের বিমানবাহিনী। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, গত ৬ দিনে গাজা উপত্যকায় অন্তত ৬ হাজার বোমা ফেলা হয়েছে। এসব বোমার ওজন প্রায় ৪ হাজার টন বলে জানিয়েছে বিবিসি। এদিকে, ইসরায়েল হামাসের হামলার জবাব দেওয়া শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় অন্তত ১ হাজার ৫০০ মানুষ নিহত হয়েছে। এর আগে হামাস স্থল-জল ও আকাশপথে হামলা চালালে প্রায় ১৩০০ ইসরায়েলি নিহত হয়। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের মে মাসে আল আকসা চত্বরে বিক্ষোভ ও তার জেরে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের সংঘাত ঘিরে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল হামাস ও ইসরায়েল। ১১ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হওয়া সেই যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটেছিল মিসরের মধ্যস্থতায়। তার দুই বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পর গত শনিবার ফের ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছে হামাস।
১৩ অক্টোবর, ২০২৩
X