রাজধানীতে এলকপের দুর্নীতিবিরোধী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
‘বাংলাদেশে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রতিবন্ধকতা ও সম্ভাবনাসমূহ’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে বেসরকারি গবেষণা ও মানবাধিকার সংস্থা এম্পাওয়ারমেন্ট থ্রু ল অব দ্য কমন পিপল (এলকপ)। মঙ্গলবার (২ জুলাই) রাজধানীর একটি হোটেলে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।  অনুষ্ঠানের শুরুতে এলকপের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান স্বাগত বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, দুর্নীতি আমাদের সমাজের মূল ভিত্তিকে দুর্বল করে দেয়। রাষ্ট্র ব্যবস্থা ও ন্যায়বিচারের ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা নষ্ট করে দেয়। এই মহামারি মোকাবিলায় সরকারের পাশাপাশি আমাদের সবাইকে একত্রিত হয়ে দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।  তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশে তার এক ভাষণে বলেছিলেন ‘এই বাংলার কৃষক ও শ্রমিকরা দুর্নীতি করে না, দুর্নীতি করে শিক্ষিত ব্যক্তিরা।’ আমরাই এই শিক্ষিত সমাজের অংশ। সুতরাং আমাদের উচিত দুর্নীতিবাজদের খুঁজে বের করে তাদের সামাজিকভাবে বয়কট করা, তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে তাদেরকে শাস্তির সম্মুখীন করা। এতে করে আইনের সুশাসন যেমন প্রতিষ্ঠা হবে তেমনি বাংলার খেঁটে খাওয়া কৃষক, চাষি ও শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করা যাবে। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ এ দুর্নীতিবাজদের জায়গা হতে পারে না ।’ সেমিনারে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমিতির সভাপতি ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘দুর্নীতি শুধু অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকেই বাধাগ্রস্ত করে না, বৈষম্য ও দারিদ্র্যকেও বাড়িয়ে দেয়। দুর্নীতির প্রধান কারণ নৈতিকতা ও মূল্যবোধের অবক্ষয়। দুর্নীতি রোধে আমাদের নীতি আছে কিন্তু প্রয়োগ নেই। আমরা বলার সময় ঠিকই বলছি যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা নীতি অবলম্বন করা হচ্ছে কিন্তু কাজের বেলায় তার প্রয়োগ নেই। ফলে একজন দুর্নীতি করে পার পেয়ে যাচ্ছে। তাকে দেখে আরেকজন দুর্নীতি করার সাহস পেয়ে যাচ্ছে। এ কারণেই আজ দুর্নীতি এতো পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই দুর্নীতিবাজদের রুখতে সরকারকে দুষ্টচক্রকে (সিন্ডিকেট) চিহ্নিত করে তাদেরকে শাস্তির আওয়াত আনতে হবে। সব নাগরিকদের জন্য টেকসই উন্নয়ন ও দেশের ন্যায়সঙ্গত অগ্রগতি নিশ্চিত করতে আমাদের অবশ্যই শক্তিশালী অর্থনৈতিক নীতি বাস্তবায়ন এবং রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়াতে হবে’।   বিশেষ বক্তা গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান আইন উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মাসুদ আখতার বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধে শক্তিশালী আইনি কাঠামো ও দুর্নীতিবিরোধী আইনের কঠোর প্রয়োগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের আইনি প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্যও নীতিনির্ধারকদের এগিয়ে আসতে হবে যাতে করে প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্নীতি রোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে।  অনুষ্ঠান শেষে মুক্ত আলোচনার আয়োজন করা হয়। যেখানে সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, এবং মানবাধিকার কর্মীরা প্রাণবন্ত আলোচনায় অংশ নেন। পরিশেষে এলকপের নির্বাহী পরিচালক, ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল, জাতি, গোষ্ঠী, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের নিরাপদে ও স্বাচ্ছন্দ্যে বসবাসের জন্য একটি দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার অঙ্গীকার নিয়ে সেমিনারে উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান। 
০২ জুলাই, ২০২৪

আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা শুরু
আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা শুরু হয়েছে। শনিবার (২৯ জুন) বিকেল ৩টায় গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ সভা শুরু হয়।  মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত সভায় দুপুরের পর থেকেই নেতাকর্মীরা আসতে শুরু করেছেন। দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও থানা কমিটির নেতারা খণ্ড খণ্ড মিছিলে মিছিলে আলোচনা সভায় যোগ দিয়েছেন। এ সময় নেতারা ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু,’ ‘শেখ হাসিনা, শেখ হাসিনা,’ ‘শেখ হাসিনা সরকার, বারবার দরকার,’ ‘উন্নয়নের সরকার, বারবার দরকার’সহ নানা স্লোগান দিতে থাকে। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী ও সঞ্চালনা করবেন সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির।
২৯ জুন, ২০২৪

ইতালিতে যুবদলের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল
ইতালিতে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২২ জুন) ইতালির ভিচেন্সা যুবদলের আয়োজনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন ইতালি যুবদলের সভাপতি জাকির হোসেন গণি। প্রধান বক্তা হয়ে ছিলেন ইতালি যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক। অনুষ্ঠানে ইতালির ভিচেন্সা যুবদলের সভাপতি মাঈন উদ্দিন প্রিন্সের সভাপতিত্বে যৌথ সঞ্চলনা করেন একই সংগঠনের ভিচেন্সার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহাব, সহসভাপতি আবু সায়েম। আগত অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ করে কোরআন তেলাওয়াত জাতীয় সংগীত ও দলীয় সংগীতের মধ্যে দিয়ে সভা পরিচালনার কার্যক্রম শুরু করেন। আব্দুল কাইয়ুম কোরআন তেলাওয়াত ও দোয়া পরিচালনা করেন। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি শুভেচ্ছা বিনিময় ও বক্তব্য রাখেন সাবেক সফল আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক মহিদুর রহমান।  শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ভিচেন্সা যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি ফরহাদ হোসেন। এতে প্রধান অতিথি ও প্রধান বক্তার গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্যের পাশাপাশি বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রফিকুল ইসলাম মান্না উপদেষ্টা সদস্য, ভিচেন্সা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি শিকদার মোহাম্মদ কায়েস, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী সাত্তার, সহসভাপতি জাকির হোসেন, ভিচেন্সা যুবদলের প্রথম সদস্য ওবায়দুল্লাহ জাকির, সাবেক ছাত্রনেতা মামুন খান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী পলাশ হাওলাদার, জেনেবা থেকে আগত যুবনেতা রিমন, পাদোভা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর চৌধুরী মোহাম্মদ আরিফ, ভিচেন্সা যুবদলের সাইফুল ইসলাম জুয়েল প্রমুখ। বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভিচেন্সা যুবদলের প্রধান উপদেষ্টা  ইমরান খান। এ সময় শহীদ জিয়ার আদর্শের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের পাশাপাশি অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান, জাফর আহমেদ, ওবায়দুল্লাহ জাকির, শিবলী সাদিক, মারুফ, রহমান জিয়া, পারভেজ আহমেদ মো. মিলন, শরীফ আহমেদ, মীর ইসমাইল, মাসুদ চৌধুরী, পলাশ হাওলাদার। এ ছাড়া পাদোবা বিএনপির সভাপতি জাকির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক কামাল আকন্দ, যুবদল সভাপতি জাহাঙ্গীর চৌধুরী, মোহাম্মদ রিপন, জাহিদ হোসেন, আনিসুর রহমানসহ বিভিন্ন নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। যুবদল আয়োজিত এই দোয়া মাহফিলে জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ  সব নেতাকর্মীর  সুস্থতা কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। যুবদল সভাপতি মঈন উদ্দিন প্রিন্সের সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।
২৩ জুন, ২০২৪

ববিতে ‘সাপের উপদ্রব প্রতিকারে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘সাপের উপদ্রব প্রতিকারে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২২ জুন (শনিবার) সকাল ১১ টায়  অনলাইনে জুম প্লাটফর্মে এ ভার্চুয়াল আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া।  আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন  বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের  প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক  ড. গুলশান আরা লতিফা, প্রধান আলোচক ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের  সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা: শারফুদ্দিন আহমেদ।  বিশেষ আলোচক হিসেবে আলোচনা করেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি  ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাতেন চৌধুরী, জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. সুব্রত কুমার দাস, প্রক্টর ড. মো. আব্দুল কাইউম, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. খোরশেদ আলম ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বাহাউদ্দিন গোলাপ।  বক্তব্যে প্রধান অতিথি ও প্রধান বক্তা সাপের উপদ্রব থেকে রক্ষা পেতে সকলকে সচেতন থাকার পরামর্শ দেন। এ সময় তারা আরও বলেন, সাপের উপদ্রব থেকে রক্ষা পেতে  ঝোপ-ঝাড় পরিষ্কার করে রাখতে হবে এবং রাতে ক্যাম্পাসে চলাচলের জন্য উঁচু কাবারযুক্ত জুতো ও টর্চ লাইট ব্যবহার করতে হবে।  বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, সাপের উপদ্রব থেকে রক্ষা পেতে সকলকে সচেতন থাকতে হবে, বিশেষ করে ক্লাস ও হলগুলোতে প্রয়োজনে কার্বনিক এসিড রাখতে হবে। ক্যাম্পাসে রাতে চলাচলকারী শিক্ষার্থীদের সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এছাড়াও তিনি আরও বলেন, সাপের প্রতিষেধক হিসেবে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে ফার্স্ট এইডের  ব্যবস্থা করা হবে এবং  শিক্ষার্থীদের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।   অনলাইনে যুক্ত অতিথিরা  সাপের উপদ্রব থেকে প্রতিকার পেতে সময়োপযোগী এ আলোচনাটি করার জন্য  বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। 
২২ জুন, ২০২৪

কুড়িগ্রামে খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ে আলোচনা সভা
কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে স্থানীয়দের খাদ্য নিরাপত্তায় নিজস্ব উদ্ভাবনী কাজে উদ্যোগ বিষয়ে ফ্রেন্ডশিপের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলায় সৃষ্ট প্রাকৃতিক দুর্যোগ বন্যা, খরা মোকাবিলায় চরাঞ্চলে বাসিন্দাদের টিকিয়ে রাখতে খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়ে এ আলোচনা হয়। গতকাল সোমবার কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মিলনায়তনে উত্তরাঞ্চলে বন্যাদুর্গত বাসিন্দাদের খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি সক্ষমতা বাড়ানোর তাগিদি এবং সুবিধাবঞ্চিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিরাপত্তা এবং পুষ্টি সহায়তা দারিদ্র্য বিমোচনের একমাত্র উপায় হিসেবে আলোচনায় উঠে আসে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. বরমান হোসেন, কুড়িগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদ হোসেন, ফ্রেন্ডশিপ সংস্থার উপপরিচালক আহমেদ তৌফিকুর রহমান, কুড়িগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি রাজু মোস্তাফিজ, জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, ফেন্ড্রশিপের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সাংবাদিকরা।
২৮ মে, ২০২৪

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৭ মে) সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে এডুকেশন, রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরামের (ইআরডিএফবি) আয়োজনে ‘শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন- যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাবনীয় সাফল্য’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।  বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সমন্বয়ে গঠিত গবেষণাভিত্তিক সংগঠন ‘এডুকেশন, রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ইআরডিএফবি)’ আলোচনা সভার আয়োজন করে। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য ও ইআরডিএফবির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সম্মানিত অধ্যাপক ড. মো. হাদিউজ্জামান।  এ ছাড়া আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর দে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার এবং মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ আর এম সোলাইমান। আলোচনা সভায় উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইআরডিএফবির সিনিয়র সভাপতি এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল জব্বার খাঁন। প্রধান অতিথি অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে এদেশ স্বাধীনতাবিরোধী কুচক্রীমহল কর্তৃক ছিনতাই হয়ে গিয়েছিল। ছিনতাই হওয়া দেশকে উদ্ধারের লক্ষ্যেই সেদিন শেখ হাসিনার স্বদেশে প্রত্যাবর্তন হয়েছিল। শেখ হাসিনা ফিরে না আসলে আমরা কোনোদিন ১৯৭১ এ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে অর্জিত এ বাংলাদেশ ফিরে পেতাম না। তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার কর্তৃক তলাবিহীন ঝুড়ি খ্যাত বাংলাদেশ ২০১৬ সালে বিশ্ব ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট কর্তৃক বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ এতটা সহজ কোনো বিষয় ছিল না। বাংলাদেশের এমন অভাবনীয় উন্নয়ন ও অর্জন সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন এবং সুদক্ষ নেতৃত্বগুণে এতে কোনো সন্দেহ নেই। তিনি সেদিন ফিরে না আসলে বর্তমান বাংলাদেশের ইতিহাস হয়তো ভিন্নভাবে রচিত হতো। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক অধ্যাপক ড. মো. হাদিউজ্জামান বলেন, যোগাযোগ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের এমন অভাবনীয় উন্নয়নের পেছনে একমাত্র চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্ব। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উন্নয়ন দর্শনের আলোকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলের সমান আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিতের লক্ষ্যেই দেশে এত এত নদীপথ, সড়কপথ এবং রেলপথের বিস্তার ঘটিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার। যোগাযোগ ব্যবস্থায় অভাবনীয় এমন উন্নয়নের লক্ষ্যে শেখ হাসিনা সরকার গত ১৫ বছরে সারা বাংলাদেশে প্রায় ৯০০ কিলোমিটার মহাসড়ক ৪ লেনে উন্নতকরণ করেছে। অধ্যাপক ড. মো. হাদিউজ্জামান বলেন, নতুন মহাসড়ক নির্মাণ, পুরাতন রেলপথ সংস্কারসহ নতুন রেলপথ নির্মাণ, ১১৩১টি নতুন সেতু এবং ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ১৪টি ফ্লাইওভার নির্মাণ করেছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ রেলওয়েতে যে অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে তার ধারাবাহিকতা রক্ষিত হলে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার প্রায় ৬০টি জেলার মধ্যেই সরাসরি যোগাযোগ সম্পর্ক তৈরি হবে। এতে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের এ ধারাবাহিকতা নিঃসন্দেহে আরও বেশি বেগবান হবে। সভাপতির বক্তব্যে ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশ বিগত শিল্পবিপ্লবগুলোতে ১০০ বছর পিছিয়ে ছিল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে। এ অগ্রযাত্রায় শামিল হতে ছাত্রদের পড়াশোনা ও বিজ্ঞানচর্চায় আরও মনোযোগ বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি।  তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের সাফল্যের একটি অন্যতম খাত হলো যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাবনীয় উন্নয়ন। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে গত ১৫ বছরে যোগাযোগ ব্যবস্থায় অভাবনীয় সাফল্য এসেছে। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর দেশের যোগাযোগ খাত আজ যখন উন্নয়নের শিখরে তখন ফিরে তাকিয়ে সর্বশেষ দশকটি দেখলে উন্নয়নের একটি ভিন্নধর্মী চিত্র দেখা যায়। গত দেড় দশকে স্থিতিশীল আওয়ামী লীগ সরকার ব্যবস্থার তত্ত্বাবধানে দেশের অন্যান্য খাতের মতো যোগাযোগ খাত পেয়েছে উন্নয়নের ধনাত্মক মাত্রা। ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, দেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষা ও বাণিজ্যিক খাতে সার্বিক বিকাশের লক্ষ্যে শেখ হাসিনা সরকারের নেতৃত্বে গত ১০ বছরে যোগাযোগ খাতে গ্রহণ করা হয়েছে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ মেগা প্রজেক্ট। আর এর সবকিছুই সম্ভব হয়েছে কেবল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের কল্যাণে । ইআরডিএফবির সাধারণ সম্পাদক এবং বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ফলেই মূলত বাঙালি জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে। সেদিন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ফিরে এসেছিলেন বলেই স্বাধীনতাবিরোধী জোট সরকারের শাসনামলে দুর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল এবং স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির কুশাসনে অতিষ্ঠ বাঙালি জাতি আজ বিশ্বে আত্মমর্যাদা সম্পন্ন এক জাতিতে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার অকুতোভয় সাহসী নেতৃত্ব, সততা, মেধা ও প্রজ্ঞার কারণে বাংলাদেশ আজ আলোকিত অভিযাত্রায় শামিল হয়েছে, এগিয়ে যাচ্ছে অপ্রতিরোধ্য গতিতে। সেদিন তিনি ফিরে এসেছিলেন বলেই বারবার অন্ধকারে ডুবে যাওয়া বাংলাদেশ আলোর মিছিলে, কল্যাণের পথে, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে সফলতার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে।
১৭ মে, ২০২৪

ঢাবিতে অটিজমবিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
অটিজম সচেতনতা মাস উপলক্ষে ‘এমপাওয়ারিং অটিস্টিক ভয়েসেস : আন্ডারস্ট্যান্ডিং অব এডুকেশন, ইকোনমিক অ্যান্ড জেন্ডার মেইনস্ট্রিমিং ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  সোমবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কমিউনিকেশন ডিজঅর্ডারস বিভাগ এবং ইয়ুথ পলিসি ফোরাম-এর যৌথ উদ্যোগে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।  সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, অটিজম বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে শিক্ষক, গবেষক, শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীদের মধ্যে যোগাযোগ আরও বৃদ্ধি করতে হবে এবং সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। সবাই মিলে চেষ্টা করলে বিশেষ ব্যবস্থার মাধ্যমে পরিবারের মধ্যে রেখেই অটিস্টিক শিশুদের স্বাভাবিক জীবনে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সুযোগ্য কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিভিন্ন উদ্যোগের কারণে দেশে এখন অটিজম বিষয়ে যথেষ্ট সচেতনতা তৈরি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে অটিজম প্রতিরোধে সরকারিভাবে চিকিৎসা, শিক্ষা, গবেষণা, প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন সেবা ও কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সায়মা ওয়াজেদ পুতুল অটিজমের ব্যাপারে সচেতনতা ও দায়িত্ববোধ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। অটিস্টিক শিশুশের বিশেষ পরিচর্যা, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে তাদের দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। উন্নত গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভবিষ্যতে একটি ল্যাবরেটরি স্থাপনেরও পরিকল্পনা রয়েছে। সেবা, আদর, ভালোবাসা ও উপযুক্ত প্রশিক্ষণ পেলে অটিস্টিক শিশুরা আশীর্বাদে পরিণত হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এ ছাড়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান, এডটেক হাব-এর কান্ট্রি লিড আফসানা সাদিক অতুলি এবং সোসাইটি ফর দ্য ওয়েলফেয়ার অব অটিস্টিক চিলড্রেন-এর চেয়ারপারসন মিসেস সুবর্ণা চাকমা আলোচনায় অংশ নেন। বিভাগের চেয়ারপারসন শারমীন আহমেদ আলোচনা সভা পরিচালনা করেন। অনুষ্ঠানে শিক্ষক, গবেষক, শিক্ষার্থী এবং ইয়ুথ পলিসি ফোরামসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

ঢাবিতে মুক্তিযুদ্ধ ও মুজিবনগর সরকারবিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) সম্প্রীতি বাংলাদেশ-এর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে ‘মুক্তিযুদ্ধ, মুজিবনগর সরকার ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  সোমবার (২২ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার আর্টস অডিটরিয়ামে এ সভা আয়োজিত হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার প্রধান অতিথি ছিলেন। সম্প্রীতি বাংলাদেশ-এর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. বিমান চন্দ্র বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে অংশগ্রহণ করেন সম্প্রীতি বাংলাদেশ-এর আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, ফার্মেসি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ, বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ভিক্ষু সুনন্দ প্রিয়, অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার, ড. সোমেন ভারতিয়া (আসাম), ড. রীতা চৌধুরী (আসাম), অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. অসীম সরকার এবং সম্প্রীতি বাংলাদেশ-এর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য-সচিব অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন। প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার বলেন, বাংলাদেশ শান্তি ও সম্প্রীতির দেশ। এই সম্প্রীতি বিনষ্ট করার জন্য স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি তৎপর রয়েছে। এই অপশক্তিকে মোকাবিলা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে এগিয়ে আসার জন্য তরুণ প্রজন্মসহ সকলের প্রতি তিনি আহ্বান জানান। অন্যান্য বক্তারা মহান মুক্তিযুদ্ধ, মুজিব নগর সরকার এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ঠ আন্দোলন-সংগ্রাম, অপরিসীম ত্যাগ-তিতিক্ষা এবং অসাম্প্রদায়িক নেতৃত্বের কারণে আমরা স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি। তাঁরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে সকলের মধ্যে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
২২ এপ্রিল, ২০২৪

ঢাকাস্থ নাটোর জেলা সাংবাদিক সমিতির ইফতার ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
নাটোর জেলা সাংবাদিক সমিতি ঢাকার (নাজেসাস) ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে সংগঠনের সভাপতি দীপঙ্কর লাহিড়ীর সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান শ্রাবণের পরিচালনায় এতে উপস্থিত ছিলেন, এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. সাইদুর রহমান, নাটোর জেলা সমিতি, ঢাকার সাধারণ সম্পাদক ডিআইজি একেএম নাফিউল ইসলাম, ডিউজে সভাপতি সাজ্জাদ আলম খান তপু বিএফইউজে কোষাধ্যক্ষ খায়রুজ্জামান কামাল, মিরপুর সায়েন্স কলেজের প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল, আনোয়ার হোসেন রিপন, দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, নাজেসাস সহসভাপতি এমদাদুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুস সাকিব, কোষাধ্যক্ষ আলতাফ হোসাইন, প্রচার সম্পাদক মাহি মাহফুজ, নির্বাহী সদস্য মাহমুদুল হক খোকন ও সমিতির অন্য সদস্যরা।
০২ এপ্রিল, ২০২৪
X