শেকৃবি উপাচার্যের আমলনামা চেয়েছে ইউজিসি
শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত তার কার্যক্রম সম্পর্কে তথ্য-উপাত্ত জানতে চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছে ইউজিসি গঠিত তদন্ত কমিটি। এতে আগামী ২ জুলাইয়ের মধ্যে এসব তথ্য-উপাত্ত তদন্ত কমিটির সদস্য সচিবের কাছে পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে। উপাচার্যের বিরুদ্ধে নিয়োগ, টেন্ডারবাজি, একাডেমিক, প্রশাসনিক এবং আর্থিক অনিয়ম-সংক্রান্ত অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৩০ মে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এরই ধারাবাহিকতায় তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব মো. গোলাম দস্তগীর স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বর্তমান উপাচার্য দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে সব তথ্য-উপাত্ত পাঠাতে বলা হয়। তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব মো. গোলাম দস্তগীর বলেন, অভিযোগের ব্যাখ্যা পাওয়ার পর কমিশন কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে। আমরা বর্তমান উপাচার্য মেয়াদকালে উত্থাপিত অভিযোগ সংশ্লিষ্ট প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত চেয়েছি, এটি তদন্তের অংশ। উল্লিখিত তথ্য-উপাত্ত আগামী ২ জুলাই ২০২৪ তারিখের মধ্যে বিশেষ বাহক মারফত তদন্ত কমিটির সদস্য সচিবের নিকট পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে চিঠিতে উপাচার্য যোগদানের পর থেকে এ পর্যন্ত নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীর পদ, নিজ জেলা, কমিশন কর্তৃক অনাপত্তি পত্র, সিলেকশন বোর্ড ও সিন্ডিকেট সভার কার্যবিবরণী; অফিস সহায়ক পদে নিয়োগের জন্য লিখিত পরীক্ষা গ্রহণের অফিস আদেশ, বাছাই কমিটির সভার কার্যবিবরণী, প্রশ্নপত্র প্রণয়ন কমিটির অফিস আদেশ, ইস্যুকৃত প্রবেশ পত্রের নমুনা, চাকরির প্রার্থীদের উপস্থিতি স্বাক্ষরসহ অন্যান্য তথ্যাদি; উপাচার্যের ছেলে হামিম আল রশীদ, সেকশন অফিসারের আবেদন পত্র, বাছাই বোর্ড গঠনের অফিস আদেশ, বাছাই বোর্ড সভার কার্যবিবরণী, আবেদনকারীদের সার-সংক্ষেপসহ অন্যান্য কাগজপত্র; প্রভাষক পদে ১৭-১১-২০২০ থেকে ২৬-০৬-২০২৪ তারিখ পর্যন্ত কমিশন কর্তৃক নিয়োগের অনুমতি পত্র, আবেদনকারীদের সার-সংক্ষেপ, বাছাই বোর্ড সভার কার্যবিবরণীসহ অন্যান্য তথ্যাদি চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া টেন্ডার ও আর্থিক সংক্রান্ত বিষয়ে চিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রিনহাউস নির্মাণ সংক্রান্ত সকল টেন্ডার ডকুমেন্টস, গ্রিনহাউস নির্মাণ কাজের অভিজ্ঞতা সনদ, গ্রিনহাউস নির্মাণ সংক্রান্ত রিসিভিং কমিটি প্রতিবেদন, ৪০ শতাংশ জামানত কর্তনের প্রমাণক ও বিল পরিশোধ সংক্রান্ত নোটের কপিসহ অন্যান্য প্রমাণক; অফিস, ল্যাব, ফার্ম যন্ত্রপাতি ও বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন সরবরাহ সংক্রান্ত টেন্ডার ডকুমেন্টস, কার্যাদেশ প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানটির এবিসি সুপারভাইজরি সনদ, ইলেকট্রিক কন্ট্রাক্টর সনদ, রিসিভিং কমিটির কার্যপত্র ও বিল পরিশোধ সংক্রান্ত নোটের কপিসহ গ্রিনহাউস; 'রওশন এলিভেটর লিঃ'-কে ১০ কোটি ৪০ লাখ টাকার লিফট সরবরাহের কার্যদেশ, অভিজ্ঞতা সনদ, লিফট কেনার আগে বিদেশ গমনকৃত বিশেষজ্ঞ টিমের তালিকা ও প্রতিবেদনসহ অন্যান্য তথ্য। এ ছাড়াও অফিস, ল্যাব ও হলের আসবাবপত্র সরবরাহের জন্য 'ডটস ফার্নিচার'- কে ১২ কোটি টাকার ফার্নিচার সরবরাহের কার্যাদেশ, অভিজ্ঞতা সনদ, রিসিভিং কমিটির কার্যপত্র, বিল পরিশোধ সংক্রান্ত নোটের কপিসহ অন্যান্য প্রমাণক; শেকৃবি'র অধিকতর উন্নয়ন (২য় পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পে উপাচার্যের স্ত্রীর গাড়ি ভাড়া সংক্রান্ত বিষয়ে সংশ্লিষ্ট গাড়িটির মালিকানা সংক্রান্ত ডকুমেন্টস, সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানটির রেন্ট-এ-কার ব্যবসার সনদ, গাড়িটি প্রকল্পে ব্যবহারের সময়কালসহ অন্যান্য ডকুমেন্টস; কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার (২০২১-২২ ও ২০২২-২৩) আয় ও ব্যয়ের বিবরণী (প্রমাণকসহ); বর্তমান উপাচার্যের সময়কালে সরকারি বাসভবন সংক্রান্ত ব্যয় বিবরণী (প্রমাণকসহ) তথ্য-উপাত্ত চেয়েছে তদন্ত কমিটি। শেকৃবি রেজিস্ট্রার শেখ রেজাউল করিম বলেন, আমরা যাবতীয় তথ্যসহ ব্যাখ্যা দিয়েছিলাম। বর্তমানে তারা সেসকল বিষয়সহ অন্যান্য তথ্য-উপাত্ত ও প্রমাণক চেয়েছে। আমরা যথাযথ তারিখের মধ্যেই তা পাঠানোর জন্য কাজ করছি।
০১ জুলাই, ২০২৪

শেকৃবি ভিসির আমলনামা চেয়ে ইউজিসির তদন্ত কমিটির চিঠি
শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত তার কার্যক্রম সম্পর্কে তথ্য-উপাত্ত জানতে চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছে ইউজিসি গঠিত তদন্ত কমিটি। এতে আগামী ২ জুলাইয়ের মধ্যে এসব তথ্য-উপাত্ত তদন্ত কমিটির সদস্য সচিবের কাছে প্রেরণের অনুরোধ করা হয়েছে। শেকৃবিতে উপাচার্যের বিরুদ্ধে নিয়োগ, টেন্ডারবাজি, একাডেমিক, প্রশাসনিক এবং আর্থিক অনিয়ম-সংক্রান্ত অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৩০ মে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এরই ধারাবাহিকতায় তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব মো. গোলাম দস্তগীর স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বর্তমান উপাচার্য দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে সব তথ্য-উপাত্ত প্রেরণ করতে বলা হয়। জানতে চাইলে গোলাম দস্তগীর বলেন, উপাচার্যের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় কমিশন তদন্ত কমিটি গঠন করে। তাই আমরা বর্তমান উপাচার্য দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত তার কর্যক্রম সম্পর্কে উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত চেয়েছি। শেকৃবি রেজিস্ট্রার শেখ রেজাউল করিম বলেন, আমরা যাবতীয় তথ্যসহ ব্যাখ্যা আগেই দিয়েছি। এখন তদন্ত কমিটি ১৭ নভেম্বর ২০২০ থেকে ২৬ জুন ২০২৪ পর্যন্ত উপাচার্যের আমলনামা জানতে চেয়েছে। নির্ধারিত তারিখের মধ্যেই আমরা সেসব প্রেরণ করব।
০১ জুলাই, ২০২৪
X