যে কারণে দেশে ব্রাহামা গরু আমদানি নিষিদ্ধ
সম্প্রতি সাদেক এগ্রোর বংশ মর্যাদাসম্পন্ন গরুর বিজ্ঞাপনে সবার নজর কাড়ে বিশাল আকারের ব্রাহামা গরু। কয়েক বছর আগে জালিয়াতি করে এ জাতের গরু আমদানি করে প্রতিষ্ঠানটি। তারপরই আলোচনায় উঠে আসে কোটি টাকা দামের এসব গরু। ২০১৬ সালের এক নীতিমালায় ব্রাহামা জাতের গরু আমদানি নিষিদ্ধ তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। তবে আমদানি নিষিদ্ধ হলেও এ জাতের গরু বাংলাদেশে উৎপাদন ও পালন একেবারেই বৈধ। তবে ঠিক কী কারণে ব্রাহামা গরু বাংলাদেশে আমদানি নিষিদ্ধ তাই উঠে এসেছে বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে।  বাংলাদেশে মাংসের চাহিদা বাড়তে থাকায় বেড়েছে ব্রাহামা গরুর চাহিদাও। বলা হয় এ জাতের গরু পালন সহজ ও লাভজনক, আর অন্যান্য জাতের চেয়ে ব্রাহামা গরু রোগ বালাইয়ে কম আক্রান্ত হয়। বর্তমানে বাংলাদেশে যেসব ব্রাহামা জাতের গরু রয়েছে তার প্রায় সবই কৃত্রিম পদ্ধতিতে প্রজনন করা। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কৃত্রিম প্রজনন বিভাগের তৎকালীন উপপরিচালক ডা. ভবতোষ কান্তি সরকার জানান, ব্রাহামা গরু মূলত মাংসের জাত বলে পরিচিত। এ গরু প্রচুর মাংস উৎপাদন করলেও তারা তার আকৃতি অনুযায়ী অনেক দুধ দেয় না। ফলে খামারিরা যদি ব্যাপক হারে ব্রাহামা উৎপাদন করে তাহলে দেশে গরুর দুধের উৎপাদন একেবারেই কমে যাবে। মূলত সেই জন্যই বেসরকারি পর্যায়ে ব্রাহামা গরু আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।  প্রাণী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্রাহামা গরুর মাংসের স্বাদ দেশি গরুর মতো। এর গায়ে চর্বি কম হয়, যে কারণে পুষ্টিগুণ বেশি। সরকারের আশঙ্কা ব্যাপক হারে ব্রাহামা গরু উৎপাদন হলে দুধ উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত হোলস্টেইন ফ্রিজিয়ান জাতের গরুর উৎপাদনে আগ্রহ হারাবে খামারিরা। মূলত দেশের দুগ্ধ উৎপাদন খাতের সুরক্ষায় ব্রাহামা গরু আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ডা. ভবতোষ কান্তি জানান, সরকার যুক্তরাষ্ট্র থেকে ব্রাহামা জাতের গরুর শুক্রাণু এনে স্থানীয় খামারিদের মাধ্যমে কৃত্রিমভাবে এই জাতের গরু উৎপাদন শুরু করে। ২০০৮ সালে চালু হওয়া ‘বিফ ক্যাটল ডেভেলপমেন্ট’ প্রকল্পের মাধ্যমে বর্তমানে প্রায় ৫০টির মতো জেলায় চলছে এ কর্মসূচি। ব্রাহমা গরু মূলত এর উচ্চ তাপমাত্রা সহনশীলতা, দীর্ঘ জীবন এবং ক্রস-ব্রিডিংয়ে উচ্চফলনের জন্য বেশি জনপ্রিয়। সাধারণত একটি পূর্ণবয়স্ক ব্রাহামা ষাঁড়ের ওজন ৮০০-১০০০ কেজির বেশি হতে পারে, আর একটি পূর্ণবয়স্ক ব্রাহামা গরুর ওজন হবে ৫০০-১০০০ কেজি। ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রায় ব্রাহামা গরু সুস্থ-স্বাভাবিক থাকতে পারে। উচ্চ তাপমাত্রা সহনশীলতার কারণে এ গরুর রোগবালাই অনেক কম হয়। সাধারণত একটি ব্রাহামা গরু ১৫ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত বাঁচে।
০৩ জুলাই, ২০২৪

আমদানি বিল পরিশোধের সময় বাড়ল
শিল্পের কাঁচামাল, ব্যাক টু ব্যাক এলসির মাধ্যমে আমদানি, কৃষি উপকরণ ও রাসায়নিক সার আমদানিকারকদের বিল পরিশোধের সময় বাড়ানো হয়েছে। এখন থেকে আমদানি বিল পরিশোধ করতে হবে ৩৬০ দিনের মধ্যে। আগে এ সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৮০ দিন। দেশে ডলার সংকটের কারণে এই সময় বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। গতকাল এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে বলা হয়েছে, বাণিজ্যিক লেনদেনের সুবিধার্থে নীতিসহায়তা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখন থেকে শিল্পের কাঁচামাল, ব্যাক টু ব্যাক এলসির মাধ্যমে আমদানি, কৃষি উপকরণ ও রাসায়নিক সার আমদানির বিল পরিশোধের ১৮০ দিনের পরিবর্তে ৩৬০ দিন সময় পাওয়া যাবে।
০১ জুলাই, ২০২৪

হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি রপ্তানি বন্ধ
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে গতকাল শুক্রবার থেকে টানা আট দিন আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে দুই দেশের মাঝে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক ও সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত বন্দরের ভেতরের কার্যক্রম চালু থাকবে। হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১৪ থেকে ২১ জুন পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। চিঠি দিয়ে বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের জানিয়েছি আমরা। ঈদের ছুটি শেষে ২২ জুন থেকে যথারীতি কার্যক্রম শুরু হবে।
১৫ জুন, ২০২৪

আখাউড়া হয়ে আবারও জিরা আমদানি শুরু
প্রায় ছয় মাস বন্ধ থাকার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আবারও পণ্য আমদানি শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় একটি ট্রাকে করে বন্দর দিয়ে ৭ টন জিরা এসেছে ভারত থেকে। এর মাধ্যমে আবারও সচল হলো বন্দরের আমদানি বাণিজ্য। হাইড্রোল্যান্ড সলিশন নামে ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠান এই জিরা আমদানি করেছে। তবে আজ থেকে সরকারি ছুটি শুরু হওয়ার ঈদের আগে বন্দর থেকে জিরা খালাস না করতে পারার শঙ্কা প্রকাশ করেন প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মেসার্স শফিকুল ইসলাম আমদানিকৃত জিরার কাস্টমস ক্লিয়ারিংয়ের কাজ করবে। আমদানিকারক সূত্রে জানা গেছে, প্রতি টন জিরার দাম পড়েছে দুই হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার, যা স্থানীয় মুদ্রায় দুই লাখ ৯২ হাজার ৫০০ টাকার মতো (প্রতি ডলার ১১৭ টাকা ধরে)। আখাউড়া স্থলবন্দরের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো. ছাগিরুল ইসলাম বলেন, হাইড্রোল্যান্ড সলিশন আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ৭ টন জিরা আমদানির জন্য এলসি খুলেছে। আজকে সন্ধ্যায় জিরা নিয়ে একটি ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করেছে। প্রথমবারের মত এই স্থলবন্দর দিয়ে দেশে জিরা আমদানি হয়েছে। এ পণ্য থেকে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত হারে শুল্ক এবং বন্দর কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন মাশুল পাবে।
১৩ জুন, ২০২৪

বাংলাদেশ ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি করতে আগ্রহী : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের মধ্য দিয়ে ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির বিষয়ে তার দেশের আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। ভুটানের প্রধানমন্ত্রী দাশো শেরিং তোবগে আজ রোববার (৯ জুন) প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নয়াদিল্লিতে তার আবাসস্থলে এক সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ আগ্রহের কথা জানান। সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। বাংলাদেশে জলবিদ্যুৎ রপ্তানির জন্য ভুটান অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে বলে জানান ভুটানের প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, ভুটান থেকে ভারতের ভূখণ্ড দিয়ে বিদ্যুৎ রপ্তানির জন্য একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি প্রয়োজন। বিষয়টি ইতোমধ্যে ভারতের নজরে আনা হয়েছে। ব্রিফিংয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, সৌজন্য সাক্ষাতের সময় দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের যাবতীয় বিষয়াদি আলোচনায় উঠে আসে। তিনি বলেন, উভয় দেশ বিদ্যমান বহুমুখী সম্পর্ক বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে। ভুটানের প্রধানমন্ত্রী তার দেশে একটি বার্ন ইউনিট নির্মাণ এবং এক বছরের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। তিনি শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। শেখ হাসিনা বলেন, ভুটান বাংলাদেশের হৃদয়ে একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে। কেননা ভুটান ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে প্রথম স্বীকৃতি দেয়। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা ভুটানকে সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত।’ কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ভারতকে দেওয়া জায়গার যথার্থ ব্যবহারের ওপর জোর দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি আশা করেন যে, ভুটান সেখানে শিল্প গড়ে তুলবে। তিনি বাংলাদেশে ভুটানের বিনিয়োগ চেয়েছেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর একমাত্র কন্যা এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদের ভূয়সী প্রশংসা করেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া, পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খানসহ অন্যরা বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন। ভুটানের অবকাঠামো ও পরিবহনমন্ত্রী চন্দ্র বাহাদুর গুরুং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেরিং, ভারতে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল ভি নামগিয়েল, মন্ত্রিপরিষদ সচিব কেসাং ডেকি ও পররাষ্ট্রসচিব পেমা চোডেন ভুটানের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন।
০৯ জুন, ২০২৪

বুড়িমারী স্থলবন্দর / ঈদকে সামনে রেখে সক্রিয় চোরাচালান চক্র
আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে সক্রিয় হয়ে উঠেছে লালমনিরহাট সীমান্ত পথের চোরাচালান চক্র। বুড়িমারী স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশনে স্ক্যানার না থাকার সুযোগে কাগজ কলমে পাথর আমদানি দেখিয়ে ওই পাথরবোঝাই ট্রাকেই আনা হচ্ছে অবৈধ পণ্য। এতে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট, রপ্তানিকারক ও কাস্টমস কর্মকর্তাদের যোগসাজশ রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কাস্টমস কর্মকর্তাদের বদলি, জেল জরিমানা এবং সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের লাইসেন্স বাতিল করেও চোরাচালান ও দুর্নীতির লাগাম টেনে থামানো যাচ্ছে না। প্রতি বছর ঈদকে সামনে রেখে এক শ্রেণির অসাধু সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট, রপ্তানিকারক স্থলবন্দরের কাস্টমস কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ভুটান ও ভারত থেকে পাথর আমদানির আড়ালে অবৈধ পণ্য আমদানি করে। তারা বিশেষ কায়দায় পাথরের ভেতরে উন্নত মানের ভারতীয় কাপড়, প্রসাধনী পণ্য ও কেমিক্যাল আমদানি করে। আর এসব পণ্য কাস্টমস কর্মকর্তারা মোটা অঙ্কের উৎকোচের বিনিময়ে ওজনসহ বন্দরের যাবতীয় কার্যক্রম শেষে ট্রাকের পাথর আউটপাস দিয়ে নিজ মাঠ থেকে আনলোড পয়েন্টের উদ্দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করে দেয়। বুড়িমারী শুল্ক স্টেশনে স্ক্যানার না থাকার সুযোগে খুব সহজেই বন্দর পাড় হয়ে গন্তব্যে চলে যায় এসব পণ্য। গত ২৮ মে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবি লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা উপজেলার বড়খাতা এলাকার বকুল মিয়া নামে এক ব্যবসায়ীর গোডাউন থেকে অবৈধ পথে আসা প্রায় ৬ লাখ টাকার একশ বস্তা ক্লে পাউডার, ২৩ বান্ডিল ভারতীয় কাপড়, ১০ কার্টুন সিটি গোল্ড এবং ৩০ কার্টুন সিরিজ কেনুলার উদ্ধার করে। এ সময় বিজিবি সদস্যরা পাটগ্রামের বুড়িমারী স্থলবন্দর এলাকার তুহিনুজ্জামান বাবু ও মনোয়ার হোসেন নামে দুই চোরাচালানকারিকে আটক করে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এসব পণ্য কাস্টমস কর্মকর্তারা উৎকোচের বিনিময়ে ওজনসহ বন্দরের যাবতীয় কার্যক্রম শেষে ট্রাকের পাথর আউটপাস দিয়ে বন্দর পাড় করে দেয়। এদিকে গত বছরের ২৭ মার্চ কোরবানি ঈদের আগে পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে অবৈধ পথে আসা ৩টি ট্রাকভর্তি ভারতীয় পণ্য জব্দ করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। ট্রাকের পাথরের ভেতর ছিল উন্নতমানের শাড়ি, থ্রিপিস, আন্ডার গার্মেন্ট ও চশমাসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য। গভীর রাতে স্থলবন্দরের কলাবাগান ও বুড়িমারী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভুটান ও ভারত থেকে আমদানি করা পাথরবোঝাই ৩টি ট্রাক থেকে এসব পণ্য জব্দ করা হয়। এসব পণ্যের বাজার মূল্য ছিল ৩ কোটি ২৯ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। এ সময় বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে ট্রাক ড্রাইভাররা পালিয়ে যায়। এদিকে ২০২২ সালের ১৫ আগস্ট বুড়িমারী স্থলবন্দরের অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়ায় বন্দরে কর্মরত ১৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে ১৬ জনকে অন্যত্র বদলি করা হয়। প্রমাণিত অনিয়ম ও দুর্নীতি হলো, বুড়িমারী স্থলবন্দরে ভারতীয় ট্রাক হতে ওজন স্টেশনে অবৈধভাবে টাকা আদায়, খাদ্যশস্যের ট্রাক হতে টাকা গ্রহণ, বিল শাখায় জালিয়াতি করে সরকারি রাজস্ব আত্মসাৎ, পণ্যবাহী গাড়ি ও ওজনের গাড়ির গরমিল, রাত্রিকালীন ট্রাক চার্জ জমা না দিয়ে আত্মসাৎ, ভুয়া চালান করা, ওজন স্কেলে পণ্যের ওজন কম দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎসহ নানা অনিয়মের মাধ্যমে সরকারের কোটি কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি। অনুসন্ধানে জানা গেছে, এবারেও কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে বুড়িমারী স্থলবন্দরকেন্দ্রিক চোরাচালান চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তারা পাথরের ট্রাকে বিশেষ কায়দায় পাথরের ভেতরে লুকিয়ে অবৈধ ওইসব পণ্য পাচার করে দেশে আনছে। আর তাদের সহযোগিতা করছে অসাধু কাস্টমস কর্মকর্তারা। প্রতিদিন প্রায় ৪০০-৫০০ গাড়িতে চলে আমদানি-রপ্তানির কাজ। ঋণপত্র (এলসি) অনুযায়ী এসব গাড়িতে আনা পণ্যের সঠিকতা যাচাই করা হয় অনুমানের ওপর ভিত্তি করে। গুরুত্বপূর্ণ এই শুল্ক স্টেশনে ‘পণ্য স্ক্যানার’ না থাকার সুযোগ নিয়ে পাথর ও অন্যান্য পণ্যের ভেতরে ভারতীয় শাড়ি, থ্রিপিস, কসমেটিকস, গয়না ও চিকিৎসার সামগ্রী চোরাচালান করছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের সহায়তায় এসব সামগ্রী পাচার করা হয়। তবে কাস্টমস কর্মকর্তাদের অভিযোগ, একটি গাড়িতে ২০ থেকে ৬০ টন পর্যন্ত পাথর আমদানি করা হয়। বন্দরে স্ক্যানার নেই। পাথরবোঝাই সব গাড়ি সম্পূর্ণ খালি করে নিরীক্ষা করা কোনোভাবেই সম্ভব হয় না। বুড়িমারী স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছায়েদুজ্জামান সায়েদ বলেন, ‘অতি লাভের আশায় পাথর আমদানির নামে ভারত থেকে কাপড়, কেমিক্যাল, কসমেটিকসসহ বিভিন্ন ধরনের অবৈধ পণ্য নিয়ে আসছে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ীরা। বুড়িমারী স্থল শুল্ক স্টেশনের (কাস্টমস) সহকারী কমিশনার (এসি) নাজমুল হাসান জানান, ‘সন্দেহ হলে পাথর নামিয়ে ট্রাক খালি করে চেক করা হয়। এটি প্রতিদিনই করা হয়। সব ট্রাক তো এভাবে চেক করা সম্ভব নয়। কোনো আমদানিকারক বা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অবৈধ পণ্যসহ ধরা পড়লে কাস্টমস আইনে তাদের লাইসেন্স বাতিল করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’ তিনি বলেন, স্ক্যানার বসাতে রংপুর কমিশনারের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি দেওয়া হয়েছে। স্ক্যানার বসাতে পারলে অবৈধভাবে পণ্য আসা বন্ধ হবে বলেও জানান তিনি।
০৭ জুন, ২০২৪

ভারত থেকে এলো বিপুল পরিমাণ কাঁচামরিচের চালান
দেশের বাজারে কাঁচামরিচের দামের ঊর্ধগতি রোধ করতে এবার ভারত থেকে ৩৭ দশমিক ৩ টন কাঁচামরিচ আমদানি করা হয়েছে।  বুধবার (২৯ মে) দুপুরে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় ৪টি ট্রাকে করে কাঁচামরিচের এ চালান আসে। ভারতের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স আর জে ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে বাংলাদেশের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো সিমু এন্টারপ্রাইজ, সেঞ্চুরি প্লাস ও রাজ এন্টারপ্রাইজ এসব মরিচ আমদানি করে।  আমদানি করা কাঁচামরিচ ছাড়করণের দায়িত্বে থাকা মো. আলী জানান, দেশে হঠাৎ করে কাঁচামরিচের দাম বেড়েছে। গেল এক সপ্তাহে খুচরা বাজারে ক্রেতাদের কাঁচামরিচ কিনতে হচ্ছে প্রতি কেজি ১৭০ থেকে ২০০ টাকা দরে। এ অবস্থায় মরিচের দাম স্বাভাবকি রাখতে মরিচ আমদানির জন্য ব্যবসায়ীরা ভারতে এলসি খোলেন। তাদের পাঠানো এলসির বিপরীতে বুধবার দুপুরে ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি করা হয়েছে। প্রথম দিনেই ৩৭ দশমিক ৩ টন মরিচ এসেছে। তিনি বলেন, যে কাঁচামরিচ আমদানি হয়ে এসেছে তা প্রতি কেজি মূল্য পড়েছে ৮৫ টাকা। পর্যায়ক্রমে ভারত থেকে আরও কাঁচামরিচ আমদানি করা হবে বলে জানান তিনি। এ প্রসঙ্গে আতিউর রহমান নামের এক ক্রেতা বলেন, কাঁচামরিচ আমদানি হওয়ায় দেশের বাজারে কাঁচামরিচের দাম কমে আসবে। এতে করে কাঁচামরিচের বাজার দর স্থিতিশীল হবে। এ ছাড়া আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতারা ভোগান্তি থেকে রক্ষা পাবে। এ বিষয়ে উপসহকারী সংগ নিরোধ কর্মকর্তা হেমন্ত কুমার সরকার কালবেলাকে বলেন, বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে যে ৩৭ দশমিক ৩ টন কাঁচামরিচ আমদানি হয়েছ তা মান পরীক্ষা করে আমরা ছাড়পত্র দিয়েছি। কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার অথলো চৌধুরী জানান, পণ্যগুলো বাংলাদেশে আসার পর শুল্ক করাদি আদায় সাপেক্ষে আমরা সেগুলো খালাস দিয়েছি।
২৯ মে, ২০২৪

৭৪ পদে আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তরে নিয়োগ
সম্প্রতি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তর। প্রতিষ্ঠানটি তাদের ০৬টি শূন্য পদে বিভিন্ন গ্রেডে মোট ৭৪ জনকে নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন আগামী ১০ জুন পর্যন্ত। প্রতিষ্ঠানের নাম : আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তর পদ ও জনবল : ০৬টি ও ৭৪ জন  প্রার্থীর ধরন : নারী-পুরুষ (উভয়) আবেদন শুরুর তারিখ : ২০ মে, ২০২৪ আবেদনের শেষ তারিখ : ১০ জুন, ২০২৪ ১. পদের নাম : সাঁটলিপিকার কাম-কম্পিউটার অপারেটর (পিএ) পদসংখ্যা : ০১টি  শিক্ষাগত যোগ্যতা : এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বেতন : ১২,৫০০-৩০,২৩০ টাকা (গ্রেড-১১) ২. পদের নাম : সাঁটলিপিকার কাম-কম্পিউটার অপারেটর  পদসংখ্যা : ০১টি  শিক্ষাগত যোগ্যতা : এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বেতন : ১১,৩০০-২৭,৩০০ টাকা (গ্রেড-১২) ৩. পদের নাম : সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম-কম্পিউটার অপারেটর পদসংখ্যা : ০৪টি  শিক্ষাগত যোগ্যতা : এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বেতন : ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা (গ্রেড-১৩) ৪. পদের নাম : উচ্চমান সহকারী পদসংখ্যা : ০৬টি শিক্ষাগত যোগ্যতা : এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বেতন : ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪) ৫. পদের নাম : অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদসংখ্যা : ২১টি শিক্ষাগত যোগ্যতা : এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বেতন : ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬) ৬. পদের নাম : অফিস সহায়ক পদসংখ্যা : ৪১টি শিক্ষাগত যোগ্যতা : এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বেতন : ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা (গ্রেড-২০) আবেদনের বয়সসীমা : ১৮ থেকে ৩০ বছর হতে হবে। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও শারীরিক প্রতিবন্ধী প্রার্থীর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩২ বছর। আবেদন ফি : ১ থেকে ২নং পদের জন্য টেলিটক সার্ভিস চার্জসহ ৩৩৫ টাকা, ৩ থেকে ৫নং পদের জন্য সার্ভিস চার্জসহ ২২৩ টাকা ৬নং পদের জন্য সার্ভিস চার্জসহ ১১২ টাকা জমা দিতে হবে। যেভাবে আবেদন করবেন : আগ্রহীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
২৮ মে, ২০২৪

কাঁচামরিচ আমদানি শুরু
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দীর্ঘ ৬ মাস পর কাঁচামরিচ আমদানি শুরু হয়েছে। আমদানির খবরে বাজারে কমতে শুরু করেছে দাম। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বিকেলে ভারত থেকে কাঁচামরিচ বোঝাই একটি ভারতীয় ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করে। মেসার্স আশা বাণিজ্যালয় নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ৯ টন ৮৪০ কেজি কাঁচামরিচ আমদানি করেছে। প্রতি কেজিতে শুল্ক দিতে হবে প্রায় ৩৫ টাকা আর প্রতি টন কাঁচামরিচ আমদানি হয়েছে ২০০ মার্কিন ডলারে। বাণিজ্যালয়ের প্রতিনিধি মাহাবুব হোসেন বলেন, দেশে মরিচের ক্ষেত নষ্ট হওয়ায় উৎপাদন ব্যহত হয়েছে। ফলে দেশে কাঁচামরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা। দেশের বাজার স্বাভাবিক রাখতে ঢাকার খামারবাড়ি থেকে অনুমতি দিয়ে কাঁচামরিচ আমদানি শুরু হলো। এর আগে গত ১৮ মে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। সপ্তাহ খানেক আগে বিক্রি হয়েছিল ৬০ থেকে ৭০ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে বেড়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। সাধারণ ক্রেতারা বলেন, গরমের অজুহাত দিয়ে কাঁচামরিচের বাজার অস্থির করা হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা জানান, কৃষকদের কাছ থেকেই বেশি দামে কাঁচামরিচ কিনতে হচ্ছে। এজন্য পাইকারি ও খুচরা বাজারে বেড়েছে দাম।
২৩ মে, ২০২৪

স্বর্ণের আমদানি শুল্ক অর্ধেক করার সুপারিশ
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে স্বর্ণ আমদানির শুল্ক অর্ধেক করার সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। সংস্থাটি আমদানি শুল্ক ১০ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করার সুপারিশ করেছে। একই সঙ্গে দেশে স্বর্ণ রিফাইনারি শিল্পের বিনিয়োগ ও উৎপাদন উৎসাহিত করতে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ এবং টিটিআই ৩১ থেকে কমিয়ে ২৬ দশমিক ২ শতাংশ করার সুপারিশ করেছে কমিশন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে আংশিক পরিশোধনকারীদের জন্য স্বর্ণ আমদানি শুল্ক ১০ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। আর বিষয়টিকে যৌক্তিক বলছে সংস্থাটি। ট্যারিফ কমিশনের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, নিজস্ব প্লান্ট স্থাপনের মাধ্যমে স্বর্ণ পরিশোধন করা হলে বাংলাদেশে শিল্পায়নের নতুন খাত তৈরি হবে। বিনিয়োগ এবং প্রযুক্তি আহরণসহ দক্ষ জনবল তৈরি হবে। এ ছাড়া দেশের অভ্যন্তরীণ স্বর্ণবারের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি রপ্তানি পণ্যে বৈচিত্র্য আসবে। অপরিশোধিত স্বর্ণ আকরিক নিজস্ব প্লান্টে পরিশোধন প্রক্রিয়া এখনো বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়নি। স্বর্ণ পরিশোধন প্লান্ট স্থাপনে উৎসাহিত করতে এই উদ্যোগ নেওয়া উচিত বলেও ট্যারিফ কমিশনের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে। এ ছাড়া বন্ড সুবিধার মতো এসব প্লান্ট স্থাপনকারীর রেয়াতি সুবিধায় মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানির অনুমতি দেওয়ার বিষয়টিও আগামী বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেছে সংস্থাটি। সেক্ষেত্রে বর্তমানে এই যন্ত্রপাতির আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশ নির্ধারিত রয়েছে। আগামী বাজেটে এই আমদানি শুল্ক রেয়াতি সুবিধা হিসেবে ১ শতাংশ করার সুপারিশ করেছে সংস্থাটি। এ বিষয়ে বক্তব্যের জন্য বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীনের মোবাইল ফোনে কল করলেও তার সাড়া মেলেনি। পরে মোবাইল ফোনে খুদে বার্তা পাঠিয়েও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, স্বর্ণ পরিশোধন শিল্পে বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে প্রয়োজনে এইচএস কোড পরিবর্তন করারও পরামর্শ দিয়েছে ট্যারিফ কমিশন। এ ছাড়া রেয়াতি সুবিধা দিতে ২০২২ সালের এসআরও সুবিধায় বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে বলেও পর্যবেক্ষণ দিয়েছে সংস্থাটি। আর শুল্ক-করের ক্ষেত্রে অপরিশোধিত স্বর্ণ আমদানি শুল্ক কমানোর পাশাপাশি টিটিআইও ১০ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করারও সুপারিশ করেছে কমিশন। মূলত বাজুসের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী বাজেটে বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করতে এনবিআরের কাছে সুপারিশ করেছে সংস্থাটি। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি স্বর্ণালংকার প্রস্তুতের উদ্দেশ্যে আমদানি করা কাঁচামাল ও মেশিনারিজের ক্ষেত্রে ১০ বছরের ট্যাক্স হলিডে সুবিধার প্রস্তাব করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে এনবিআরের কাছে সুপারিশ করেছে কমিশন। আর কিছু কিছু জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে ইএফডি মেশিন থাকলেও বেশিরভাগ জুয়েলারি শোরুমে নেই। তাই সব নিবন্ধিত জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে ইএফডি স্থাপন করলে ভ্যাট আহরণ আরও বাড়বে বলে মনে করে ট্যারিফ কমিশন। তাই দ্রুত সব জুয়েলারিতে দ্রুত ইএফডি বসানোর সুপারিশ করেছে সংস্থাটি। এ ছাড়া নিজস্ব প্লান্টের মাধ্যমে পরিশোধন শুরু করার আগে শিশু শিল্প হিসেবে স্বর্ণ শিল্পকে আমদানি সুবিধা দেওয়ার পক্ষে পর্যবেক্ষণ দিয়েছে ট্যারিফ কমিশন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সংস্থাটি আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে স্বর্ণের আমদানি শুল্কের যৌক্তিক হার নির্ধারণের সুপারিশ করেছে।
২৩ মে, ২০২৪
X