এক দশকেই ধনী দেশে পরিণত হবে আফগানিস্তান
মাত্র এক দশকেই ধনী দেশে পরিণত হবে আফগানিস্তান। এমন সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে খোদ যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের জরিপ বলছে- দেশটির রুক্ষ মাটির নিচে রয়েছে প্রায় ১৫ হাজার বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের প্রকৃতিক সম্পদ। এগুলো যদি সঠিকভাবে উত্তলোন করা যায়- তাহলে মাত্র এক দশকেই উন্নত দেশের কাতারে উঠে আসবে যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান।  ইসলামি আমিরাতের মাটির নিচে রয়েছে- লিথিয়ামের মতো মহামূল্যবান খনিজ সম্পদ। আর এই লিথিয়ামকে বলা হচ্ছে আগামী বিশ্বের চালিকাশক্তি।  দিন যতই যাচ্ছে স্বয়ংক্রিয় নানা যন্ত্রের প্রতি মানুষের আগ্রহ ততই বাড়ছে। বিশেষ করে বৈদ্যুতিক গাড়ির প্রতি। আর এসব স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রের শক্তি সংরক্ষণের জন্য দরকার লিথিয়াম। তাই এই লিথিয়ামকেই ভবিষ্যতের তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের বিকল্প বলে মনে করা হচ্ছে। আফগানিস্তানের উষর মাটির নিচে রয়েছে লিথিয়ামের বিশাল ভাণ্ডার।    ২০১০ সালে ভূতাত্বিকদের মূল্যায়ণ নিয়ে একটি রিপোর্ট তৈরি করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ পেন্টাগন। যেখানে লিথিয়ামের বিপুল মজুদের জন্য আফগানিস্তানকে আগামীর সৌদি আরব বলে আখ্যা দেওয়া হয়। ইসলামের পূণ্যভূমি সৌদি আরব যেমন অপরিশোধিত তেলের মাধ্যমে অতি অল্প সময়ের মধ্যে ধনী দেশ হয়ে উঠেছিল, লিথিয়ামের মাধ্যমে আফগানিস্তানও মাত্র এক দশকেই সমৃদ্ধ দেশ হতে পারে বলে আভাস দেওয়া হয় পেন্টাগনের ওই রিপোর্টে। ধারণা করা হচ্ছে— খনিজ আকারে মাটিতে থাকা এই রাসায়নকি যৌগ লিথিয়ামের মাধ্যমে বলিভিয়ার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে কাবুল। নাসা পরিচালিত এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, আফগানিস্তানে অব্যবহৃত লিথিয়াম খনিগুলোর মূল্য আনুমানিক এক ট্রিলিয়ন ডলার। যা দেশটির অর্থনীতিকেই বদলে দিবে।  আফগানিস্তানের লিথিয়াম খনি হেরাত থেকে নুরিস্তান প্রদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত বলে জানা গেছে। যার দৈর্ঘ্য ৯০০ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ২০০ কিলোমিটার। ধারণা করা হচ্ছে, এই লিথিয়াম খনিগুলোর জীবনকাল প্রায় ৭০ বছর। কিন্তু মূল্যবান এই প্রাকৃতিক সম্পদ আফগানিস্তানের জন্য বড় ধরনের হুমকি তৈরি করতে পারে বলেও শঙ্কা রয়েছে। কারণ, দ্বিতীয় মেয়াদে তালেবান দেশটির শাসন ক্ষমতা থাকলেও এখনো নানা দল-উপদল ও গোষ্ঠীটিতে বিভক্ত আফগানিস্তান। খনির দখল নিয়ে এসব গোষ্ঠী রক্তক্ষয়ী সংঘাতে লিপ্ত হলে মাথা ব্যথার কারণ হতে পারে মূল্যবান এই সম্পদ।  
০৪ জুলাই, ২০২৪

বিশ্বকাপে উগান্ডার প্রথম ম্যাচে যত রেকর্ড
প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে এসেছে আফ্রিকার দেশ উগান্ডা। নিজেদের প্রথম ম্যাচে ক্রিকেটের উঠতি শক্তি আফগানিস্তানের মুখোমুখি হয়েছিল তারা। অভিষেক ম্যাচে অবশ্য আফ্রিকার দেশটির শুরুটা হয়েছে দুঃস্বপ্নের মতো। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১২৫ রানের বিশাল হার দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছে তারা। উগান্ডার এই বড় হারের ম্যাচে হয়েছে বেশ কয়েকটি নতুন রেকর্ডও। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক গায়ানায় হওয়া বিশ্বকাপের পঞ্চম ম্যাচে যেসব রেকর্ড হলো। ১৫৪ টস হেরে উদ্বোধনী জুটিতে আফগান দুই ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান ও রহমানউল্লাহ গুরবাজের করা রান। এটি বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটি আফগানদের দ্বিতীয় শতরানের জুটি। প্রথমটি ২০১৯ সালে ভারতের দেরাদুনে হজরতউল্লাহ জাজাই এবং উসমান গণির করা ২৩৬ রানের জুটি। ৬৬ বিশ্বকাপের পাওয়ারপ্লেতে আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ সংগ্রহ হয়েছে আজকের ম্যাচে। এর আগের রেকর্ড ছিল ২০১৬ সালের ভারত বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ২ উইকেটে ৬৪ রান। ৩২.৩৫ ক্রিকেট বিশ্বকাপে সবচেয়ে ধীর গতির ইনিংস আজ দেখা গেছে উগান্ডার রিয়াজাত আলি শাহের সৌজন্যে। ১৮ রানের ৫ উইকেট হারানো দলকে সম্মানজনক হার এনে দেওয়ার চেষ্টায় ৩৪ বলে ১১ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। এসময় তার স্ট্রাইক রেট ছিল ৩২.৩৫। ৫৮ ৫৮ রানে অলআউট হওয়া উগান্ডা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে চতুর্থ সর্বনিম্ন দলীয় স্কোরের লজ্জা নিজেদের করে নিয়েছে। সর্বনিম্ন স্কোরের তালিকায় প্রথম দুবারই রয়েছে নেদারল্যান্ডস। ২০১৪ সালে ডাচরা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে করেছিল ৩৯ রান। ২০২১ সালে এসে একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে তারা করে ৪৪ রান। তিনে আছে ২০২১ বিশ্বকাপেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৫৫ রানের সংগ্রহ। ৯/৫ ফজল হক ফারুকীর দুর্দান্ত বোলিং ফিগার। আফগান এই পেসারের বোলিং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে চতুর্থ সেরা। ফজল হকের আগে রয়েছেন অজন্তা মেন্ডিস (৮/৬), রঙ্গনা হেরাথ (৩/৫) এবং পাকিস্তানের উমর গুল (৬/৫। ৭ আফগানদের বিপক্ষে উগান্ডার প্রথম তিন ব্যাটারের সম্মলিত সংগ্রহ ৭ রান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে ৭ম বার এরকম ঘটনা ঘটলে। ২ টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানের হয়ে ২য় বোলার হিসেবে ৫ উইকেট পেলেন ফারুকি। এর আগে ২০২১ বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ২০ রানে ৫ উইকেট পেয়েছিলেন মুজিব উর রহমান। একইসঙ্গে তার আজকের ৯ রানে ৫ উইকেট বিশ্বকাপে পেসারদের মধ্যে ২য় সেরা। তার ওপরে আছেন পাকিস্তানের উমর গুল। ১২৫ আফগানিস্তানের ১২৫ রানের জয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে চতুর্থ সর্বোচ্চ। সর্বোচ্চ ১৭২ রানের জয় রয়েছে শ্রীলঙ্কার। এরপর স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ১৩০ রানে জয় আছে আফগানিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার। এই তিন জয়ের পরেই আছে আফগানদের আজকের জয়।
০৪ জুন, ২০২৪

আফগানিস্তান নিয়ে এত আগ্রহ কেন চীনের?
রূপকথার ফিনিক্স পাখির মতোই বারবার ধ্বংসস্তূপের ছাই থেকে পুনর্জন্ম হচ্ছে আফগানিস্তানের। দশকের পর দশক বিদেশি শক্তিগুলোর ব্যাটেলগ্রাউন্ড ছিল দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি। কিন্তু সোভিয়েত রাশিয়া কিংবা পরাশক্তির আমেরিকার কাছেও মাথানত করেনি আফগানরা। দেশটি থেকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনীর বিদায়ের পর ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে কাবুল। এরপর বদলে যেতে থাকা আফগানিস্তানের প্রতি প্রবল আগ্রহ দেখাচ্ছে উদীয়মান পরাশক্তি চীন। কিন্তু আফগানিস্তানের প্রতি বেইজিংয়ের এই আগ্রহের মূলে কী, তা জানিয়েছেন কয়েকজন বিশেষজ্ঞ। শুক্রবার (৩১ মে) টোলো নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন তালেবান সরকারের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ সম্প্রতি জানান, কাবুলের সাথে বেইজিংয়ের নানান চ্যানেলে যোগাযোগ হচ্ছে। বলেন, আফগানিস্তানে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের চেষ্টা করছে জিনপিং প্রশাসন। জাবিহুল্লাহ মুজাহিদের মতে, কাবুল ও বেইজিংয়ের মধ্যে সম্পর্ক দিন দিন প্রসারিত হচ্ছে। কাতারের বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুলতান বারাকাত বলেন, আফগানিস্তানের অগ্রগতিতে চীন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এ কারণে চীনের কথা অন্যদের চেয়ে আফগানিস্তানে বেশি শোনা যায়। কিন্তু চীন কি আফগানিস্তানের নির্ভরযোগ্য প্রতিবেশী? এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক সেলিম পাইগির টলোনিউজকে বলেন, আমাদের চীনের সঙ্গে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে এগিয়ে যাওয়া উচিত। কারণ চীন আফগানিস্তানের জনগণের প্রতি নয়, আফগানিস্তানের খনিগুলোর প্রতি আগ্রহী। কাবুলের উচিত এটিকে তার সুবিধার জন্য ব্যবহার করা। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক মোহাম্মদ ইমাল দোস্তয়ার বলেন, আফগানিস্তানের প্রতি চীনের সাধারণত নমনীয় নীতি রয়েছে। আমাদের এই পয়েন্টের সুবিধা নেওয়া উচিত। আর মনে রাখতে হবে যে পরাশক্তি হওয়ার দৌড়ে চীনেরও প্রয়োজন আফগানিস্তানকে। কিন্তু কেনো?  তথ্য বলছে, বর্তমানে চীনের সবচেয়ে বড় প্রকল্প বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ বা বিআরআই প্রকল্প। যদিও প্রাথমিকভাবে এই প্রকল্পে আফগানিস্তান নেই কিন্তু এর নিরাপত্তার স্বার্থে দেশটিতে স্থিতিশলতা প্রয়োজন। তাই কাবুলে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার পক্ষে বেইজিং।  আফগানিস্তানের প্রতি চীনের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর বা সিপিইসি। 
০২ জুন, ২০২৪

অস্ট্রেলিয়ার সিদ্ধান্তে হতাশ আফগানিস্তান
নারী ও শিশুদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগে টেস্ট এবং ওয়ানডের পর মঙ্গলবার টি-টোয়েন্টি সিরিজও বাতিল করেছে অস্ট্রেলিয়া। চলতি বছরের আগস্টে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হওয়ার কথা ছিল। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) আবারও সিরিজ স্থগিতের সিদ্ধান্তে ‘হতাশা’ প্রকাশ করেছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি)। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল ‘তালেবান-শাসিত আফগানিস্তানে নারী ও শিশুদের আর্থসামাজিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় বাতিল করা হয়েছে সিরিজটি।’ গতকাল হতাশা প্রকাশ করে এসিবির দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ক্রিকেট বোর্ডের ওপর নিজেদের নীতি চাপিয়ে না দিতে অস্ট্রেলিয়া সরকারকে অনুরোধ করছে এসিবি। এর বদলে বিভিন্ন অঞ্চলে ক্রিকেটের উন্নতিতে মনোযোগ দেওয়ার অনুরোধ করা হচ্ছে। এসিবির শীর্ষ কর্মকর্তারা এর আগে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে কথা চালাচালি করে।’
২১ মার্চ, ২০২৪

সিরিজ স্থগিত করায় অস্ট্রেলিয়ার ওপর হতাশ আফগানিস্তান
ক্রিকেট খেলুড়ে দেশ হিসেবে আফগানিস্তান বেশ নতুনই বলা চলে। নতুন দেশ বলেই স্বাভাবিকভাবেই সেরা দেশগুলোর বিপক্ষে খেলতে মুখিয়ে থাকে তারা। তবে সেই সুযোগও তাদের কাছে আসে কালে-ভদ্রে। আবার যদি এই সুযোগও হাতছাড়া হয় তাহলে স্বভাবতই হতাশ হওয়ার কথা তাদের। তৃতীয় বারের মতো ক্রিকেটের সবচেয়ে বেশি ট্রফি জয়ী দল অস্ট্রেলিয়া আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ বাতিল করায় বেশ হতাশ আফগান ক্রিকেট বোর্ড। এই বছরের আগস্টেই আফগানদের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার কথা ছিল মিচেল মার্শ-ম্যাক্সওয়েলদের। তবে তালেবান শাসিত দেশটিতে নারী ও মেয়েদের মানবাধিকার পরিস্থিতি অবনতির কথা উল্লেখ করে এই নিয়ে তৃতীয়বারের মতো দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বাতিল করল অজিরা। ফলে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলার অপেক্ষা আরও দীর্ঘ হচ্ছে আফগানদের। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) এরকম সিদ্ধান্তে হতাশা প্রকাশ করেছে আফগান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি)। বুধবার (২০ মার্চ) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এসিবি জানায়, অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ডে অস্ট্রেলিয়া সরকারের হস্তক্ষেপ হতাশাজনক। সামাজিক মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বিবৃতিতে এসিবি উল্লেখ করেছে, ‘আফগানিস্তানের বিপক্ষে আরেকটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বাতিল করার ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সিদ্ধান্তে হতাশ এসিবি। আফগান বোর্ড সবসময় বিশ্বজুড়ে নিরপেক্ষ ও রাজনীতি মুক্ত ক্রিকেটকে সমর্থন করে। আফগানিস্তানে ক্রিকেটের গুরুত্ব ও এর সঙ্গে আফগানদের আবেগ-ভালোলাগা বিবেচনা করে ক্রিকেটকে রাজনৈতিক প্রভাব থেকে দূরে রাখার পক্ষে এসিবি।’ আফগান ক্রিকেট বোর্ড সরাসরি অভিযোগ করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া সরকারের নির্দেশে কাজ করছে। তাই দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের ওপর সরকারি হস্তক্ষেপ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে তারা। ACB Stand Firm and Advocate for Politics-Free Cricket ACB expresses disappointment over Cricket Australia's decision to postpone yet another bilateral tour to Afghanistan and reiterates its stance on neutral & politics-free cricket across the globe. : https://t.co/vSSileu2QI pic.twitter.com/FiDVGsotdq — Afghanistan Cricket Board (@ACBofficials) March 20, 2024 বিবৃতিতে তারা উল্লেখ করে, 'এসিবি অস্ট্রেলিয়া সরকারের উদ্দেশে বলতে চায়, বোর্ডের ওপর যেন কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া না হয়। এর পরিবর্তে যেন প্রতিটি অঞ্চলে ক্রিকেটের উন্নয়নে নজর দেয়।’ অস্ট্রেলিয়া এভাবে টানা তিন বার সিরিজ প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়ায় হতাশা জানিয়েছে আফগান বোর্ড, ‘এসিবির শীর্ষ কর্তারা এর আগেও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে আলোচনা বসেছিল। সেসময় সিরিজ প্রত্যাহারের ঘোষণা প্রকাশ্যে না দিয়ে বরং বিকল্প সমাধানের প্রস্তাব দিয়েছিল এসিবি। তৃতীয় বারের মতো সিরিজ স্থগিত করায় হতাশ এসিবি।’ এর আগে ২০২১ সালে আবার তালেবানদের আফগানিস্তানের ক্ষমতা গ্রহণ করে। এরপরই দেশটিতে নারীদের খেলাধুলা একরকম বন্ধ করে দেওয়া হয়। শুরু থেকে এর বিপক্ষে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। সে প্রতিবাদের অংশ হিসেবে ২০২১ সালে দুই দলের একমাত্র টেস্ট ও গত বছরের মার্চে প্রস্তাবিত ওয়ানডে সিরিজ স্থগিত করে অস্ট্রেলিয়া। আগস্টে সংযুক্ত আরব আমিরাতে তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলার কথা ছিল। কিন্তু সরকারের সঙ্গে পরামর্শ করে গতকাল এক বিবৃতিতে সে সিরিজ না খেলার সিদ্ধান্ত জানায় বোর্ড।
২০ মার্চ, ২০২৪

রশীদ-নবীদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে না অজিরা  
আরব আমিরাতে আগামী আগস্টে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের। তবে আফগানিস্তানে মানবাধিকার পরিস্থিতি বিশেষ করে নারীদের অধিকার অবনমনের অভিযোগ এনে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ড (সিএ) জানিয়েছে সিরিজটি খেলবে না। এর আগেও একই কারণ দেখিয়ে ২০২১ সালে দুই দলের একমাত্র টেস্ট ও গত বছরের মার্চে প্রস্তাবিত ওয়ানডে সিরিজও স্থগিত করে তারা। এক বিবৃতিতে সিএ জানায়, ‘অস্ট্রেলিয়া সরকারের পরামর্শ হলো, আফগানিস্তানে নারী ও মেয়েদের অবস্থা দিন দিন আরও খারাপ হচ্ছে, তাই আমরা আমাদের আগের অবস্থানে অটল থাকছি এবং এবং আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আপাতত স্থগিত করছি।’ দুদলের মধ্যকার টানা তিনটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ না খেললেও গত দুই বছরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বকাপে ম্যাচ খেলেছে অস্ট্রেলিয়া। গত বছর ভারতের মাটিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপে ও ২০২২ সালে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মুখোমুখি হয়েছিল তারা। সিএ অবশ্য আইসিসি আয়োজিত প্রতিযোগিতায় আফগানদের বিপক্ষে ম্যাচ বয়কট না করার সিদ্ধান্ত আগেই জানিয়েছে। সিএ তাদের বিবৃতিতে আরো জানায়, আফগানিস্থানে নারীদের অবস্থার উন্নতি হলেই শুধু আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলবে অস্ট্রেলিয়া, ‘সিএ বিশ্বজুড়ে ক্রিকেটে নারী ও কন্যাশিশুদের অংশগ্রহণের পক্ষে শক্ত অবস্থান ধরে রাখবে। এই বিষয়ে আইসিসির সঙ্গেও কাজ করে যাব আমরা। ভবিষ্যতে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আয়োজন করতে কী করতে হবে, তা নিয়ে আমরা আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গেও কাজ করে যাব।’ টেস্ট খেলুড়ে ১২টি দেশের মধ্যে একমাত্র আফগানিস্তানেরই মেয়েদের দল নেই। তালেবান আবার ক্ষমতায় আসার আগে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড অবশ্য দেশটিতে মেয়েদের ক্রিকেট চালুর প্রক্রিয়া শুরু করেছিল। তারা কয়েকজনের সঙ্গে চুক্তিও করেছিল। সেই খেলোয়াড়দের বেশির ভাগই পরে অস্ট্রেলিয়ায় আশ্রয় নেন।
১৯ মার্চ, ২০২৪

সুয়েজ খালের চেয়ে বড় খাল খনন করছে আফগানিস্তান
হার না মানা এক দেশ আফগানিস্তান। ধ্বংসস্তূপের ছাই থেকে যেন রূপকথার ফিনিক্স পাখির মতো নবজন্ম নিচ্ছে দেশটি। করোনা ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে উন্নত দেশগুলোর অর্থনীতিও যেখানে ধুঁকছে, সেখানে মার্কিন ডলারকেও পেছনে ফেলে আফগান মুদ্রা আফগানি। সেই চমক শেষ হতে না হতেই এবার আরও এক চমক নিয়ে হাজির ইসলামিক আমিরাত। এবার সুয়েজ খালের চেয়েও বড় খাল খনন শুরু করে তাক লাগিয়ে দিচ্ছে তারা। এরই মধ্যে ২৮৫ কিলোমিটারের মধ্যে খনন করে ফেলেছে ১০০ কিলোমিটার। সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে— বালির ওপর গর্জন করছে একঝাঁক অত্যাধুনিক খননযন্ত্র। প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষ, তিন হাজারের বেশি যন্ত্রপাতি নিয়ে চলছে কোশ টেপা খালের খননকাজ। এই খাল দিয়েই বয়ে যাবে আমু দরিয়ার পানি।  প্রকল্পটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যাতে উত্তর আফগানিস্তানের শুষ্ক এলাকায় আমু দরিয়া নদীর ২০ শতাংশ পানি প্রবাহিত করা যায়। আফগান সরকারের আশা, প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে মধ্য এশিয়ার অন্যতম দীর্ঘতম নদীর পানিতে সবুজ হয়ে উঠবে দেশটির সাড়ে পাঁচ লাখ হেক্টর মরুভূমি। এই খাল জোজনন প্রদেশের বিভিন্ন গ্রামের জন্য ‘গেমচেঞ্জার’ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। একে নিয়ে নতুনভাবে বাঁচার স্বপ্ন দেখছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কারণ, এতদিন ক্রমবর্ধমান খাদ্য ঘাটতি ও টানা তিন মৌসুমের তীব্র ক্ষরায়ই দেখেছেন তারা।  আফগানিস্তানজুড়ে গড় তাপমাত্রা গেল ৭০ বছরে ১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। খাল খনন শেষ হলে এর মাধ্যমে মরুভূমিতে সেচ দেওয়া সম্ভব হবে। চাষের আওতায় আসবে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ হেক্টর জমি।  এ ছাড়া আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ এক তৃতীয়াংশ বেড়ে যাবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে সংকটের চরম সীমায় থাকা আফগানিস্তান। ২৮৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের প্রকল্পটি বস্তবায়ন করতে আফগানদের গুণতে হবে ৯ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার। অবাক করা তথ্য হলো— কোনো দেশের কাছে হাত পেতে নয়, নিজেদের অর্থেই বিশাল এই প্রজেক্ট দাঁড় করাচ্ছে কাবুল। এরইমধ্যে ১০ মাসে ১০০ কিলোমিটারের বেশি খাল খনন করে ফেলেছে তারা।  তথ্য বলছে—দীর্ঘদিন ধরেই এই খাল খননের স্বপ্ন দেখে আসছিলেন আফগানরা। এতদিন কোনো অগ্রগতি না হলেও দেশটির ইসলামিক সরকারের হাতে এর অগ্রগতি চোখে পড়ার মতো। 
০৯ মার্চ, ২০২৪

আলজাজিরা থেকে / ইতিবাচক প্রচারণা আফগানিস্তান সম্পর্কে ধারণা বদলে দেবে
আজকাল আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের শিরোনাম থেকে যেন আড়ালে পড়ে গেছে আফগানিস্তান। দেশটির সম্পর্কে যে দু-একটা সংবাদ প্রকাশিত হয় সেখানেও ইতিবাচক কিছু দেখানো হয়েছে বলে চোখে পড়ে না। বরং শুধু ট্র্যাজেডিগুলোই প্রচার করা হয়। দেখানো হয় একটি মানবিক সংকটের আফগানিস্তান, একটি ভূমিকম্প, একটি বোমা হামলা বা বন্দুকযুদ্ধ, একটি খরা এবং উদ্বাস্তুদের দুর্ভোগ। আর এসব সংবাদের আড়ালে আফগানিস্তানের ইতিবাচক গল্পগুলো হারিয়ে যায়।  আফগানিস্তানের অনেক তরুণ মনে করেন, তাদের দেশ একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তবে এই কঠিন সময়ের মধ্যেও তারা হতাশ নন, বরং আশার আলো দেখছেন। এরকমই একজন আফগান তরুণ হুজ্জাতুল্লাহ জিয়া। তিনি আফগানিস্তানের একটি ইংরেজি ভাষার সংবাদমাধ্যমে কাজ করতেন। হুজ্জাতুল্লাহ মনে করেন, ইতিবাচক প্রচারণা আফগানিস্তানে সম্পর্কে বিশ্ববাসীর ধারণা বদলে দেবে। আলজাজিরায় প্রকাশিত তার নিবন্ধটি কালবেলার পাঠকদের সামনে তুলে ধরা হলো –  ‘ডেইলি আউটলুক আফগানিস্তানে’র একজন সংবাদকর্মী হিসেবে কাজ করতাম আমি। এটি দেশের প্রথম ইংরেজি ভাষার মিডিয়া আউটলেট। আমাদের ছোট্ট নিউজরুমে বসে আমরা দেখি, আমাদের দেশের খারাপ খবরগুলোই শুধু প্রচার করা হয় বিশ্ববাসীর সামনে। ক্রমাগত এই খারাপ খবর দেখার ফলে মানুষের কাছে আফগানিস্তান সম্পর্কে নেতিবাচক মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব পড়ে। মানুষ মনে করে আফগানিস্তান একটি অন্ধকার দেশ। আমাদের দেশে যে হাজারটা সম্ভাবনা রয়েছে, আশার আলো রয়েছে মানুষ তা জানতে পারে না।  নেতিবাচক খবরের যে কালো চাদরে আফগানিস্তানকে ঢেকে দেওয়া হয়েছে আমরা তা মোকাবিলা করার চেষ্টা করি। আমরা আমাদের নিয়মিত কভারেজের পাশাপাশি ইতিবাচক গল্পগুলো খুঁজতে শুরু করি। আমরা ইতিবাচক গল্পগুলো প্রচার করতে চাই এবং বিশ্ববাসীকে দেখাতে চাই আফগানিস্তান এখনও একটি সম্ভাবনার দেশ।  আফগানিস্তানে ডেইলি আউটলুকের প্রচার আর নেই। ২০২১ সালে তালেবান কাবুল দখলের পরপরই অন্যান্য অনেক মিডিয়ার মতো এই সংবাদপত্রটিও বন্ধ করে দিতে হয়েছিল। আমার বেশিরভাগ সহকর্মী প্রতিবেশী ইরান ও পাকিস্তানে পালিয়ে যায়। সেই বছরের ২৬ আগস্ট কাবুল বিমানবন্দরে এক বোমা হামলায় তাদের একজন আলিরেজা আহমাদি মর্মান্তিকভাবে মারা যান। ক্ষোভ এবং দুঃখ নিয়ে সেসব সাংবাদিকদের অনেকেই আর আফগানিস্তানের জন্য কাজ করতে আগ্রহী হননি। ফলে এখন আরও কম সাংবাদিক ইতিবাচক আফগানিস্তানের গল্প খুঁজছেন।  নিয়তির অন্ধকার ফাঁদে পড়েছিলাম আমি নিজেও। আমি সবসময় আমার দেশের সম্ভাবনা এবং ইতিবাচক দিকগুলো খুঁজতাম। রাজনৈতিক বিষয়গুলোকেও ইতিবাচক চোখে দেখার এবং বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করতাম। দুই দশকের যুদ্ধ ও সহিংসতার মধ্যেও পাঠকদের মধ্যে আমি আশা জাগানোর চেষ্টা করেছি। তবে আমার অফিস বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর আমি বেকার হয়ে পড়ি এবং হতাশার অন্ধকারে ডুবে যেতে শুরু করি। জীবন রাতারাতি খুব কঠিন হয়ে যায় আমার জন্য। আমি আমার পরিবারের ভরণপোষণের জন্য সংগ্রাম করছিলাম। আমার কাছে সেসময় সবকিছু অর্থহীন মনে হয়েছিল।  আমি আমার মহিলা আত্মীয়দের কাছ থেকে প্রায়ই তালেবান শাসনের অধীনে তাদের সংগ্রাম এবং মাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার ওপর নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে অভিযোগ শুনেছি। এটি আমাকে দুঃখ দিয়েছে এবং শুধু আমার যন্ত্রণা বাড়িয়েছে। আমি তাদের সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এভাবে কেটে যায় কয়েকমাস। আমি ধীরে ধীরে বুঝতে শুরু করি, সান্ত্বনার কথার চেয়ে আরও অনেক বেশি কিছু দিতে পারি আমি। যেমন একটি চীনা প্রবাদ আছে : ‘অন্ধকারকে অভিশাপ দেওয়ার চেয়ে একটি মোমবাতি জ্বালানো ভালো’। ইংরেজি ভাষার শিক্ষক হিসেবে আমার অনেক দিনের অভিজ্ঞতা ছিল। আমি এটিকে কাজে লাগাতে চাই। আমি দেশের সাক্ষরতা বৃদ্ধি ও ইংরেজি শিক্ষা নিয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিই। আফগানিস্তানজুড়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করা শুরু করি আমি। এই কাজে যুক্ত হয়ে আমি এমন অনেককে খুঁজে পেয়েছি যারা এই কঠিন সময়ে দেশের তরুণ প্রজন্মের জন্য কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এমন অনেককে খুঁজে পেয়েছি যারা দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় ইতিবাচক ভূমিকা পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা কয়েকজনে কাবুলের পশ্চিমাঞ্চলের দাশত-ই-বারচিতে ইংরেজি শেখানোর জন্য একটি প্রাইভেট একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেছি।  আমাদের কারও কাছেই কোনো জমানো টাকা ছিল না। তাই আমাদের বন্ধুদের কাছ থেকে ধার নিতে হয়েছে। আমরা একটি বিল্ডিং ভাড়া নিয়েছি এবং ডেস্ক, চেয়ারসহ প্রয়োজনীয় সব সরঞ্জাম দিয়ে সেটি একটি স্কুল হিসেবে তৈরি করেছি। আমরা একটি সিলেবাস তৈরি করেছি এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে নিবন্ধন নিয়েছি।  আফগানিস্তানে মেয়েদের মাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে মেয়েরা এখনও বেসরকারি শিক্ষাকেন্দ্রে পড়ার অনুমতি পায়। তাই আমাদের একাডেমিতে আমরা ছেলে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি মেয়েদেরও পড়াশোনার সুযোগ করে দিয়েছি। আমরা আইনি দিকগুলো মেনে চলি এবং মেয়ে ও ছেলে শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা ক্লাসরুমের ব্যবস্থা করেছি। কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী আমরা ক্লাসে মেয়ে শিক্ষার্থীকে ইসলামিক হিজাব পরা নিশ্চিত করেছি।  আমরা লক্ষ্য করেছি শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার প্রতি অনেক আগ্রহী। তারা পড়াশোনা করতে চায় এবং ইংরেজি শিখতে চায়। তারা নিয়মিত একাডেমিতে আসার জন্য অত্যন্ত উৎসাহী এবং আন্তরিক। সম্প্রতি এক সড়ক দুর্ঘটনায় পড়ে আমাদের একজন শিক্ষার্থী। একটি রিকশা তার মোটরবাইকে ধাক্কা দিলে তার আঙুলে গুরুতর আঘাত লাগে। তার আঙুলে অস্ত্রোপচার করা হয়। আমরা আশ্চর্য হই যখন সে আঙুলে অস্ত্রোপচার করে সেদিনই ক্লাসে উপস্থিত হয়।  ১৬ বছর বয়সী একটি মেয়ে দর্জির দোকানে কাজ করে। সেখান থেকে পরিবারের ভরণপোষণের জন্য সামান্য বেতন পায় সে। মেয়েটি ইংরেজি শেখার জন্য অত্যন্ত আগ্রহী কিন্তু পড়াশোনা করার মতো সামর্থ্য নেই, তাই আমরা তাকে বিনা বেতনে আমাদের একাডেমিতে যোগ দেওয়ার সুযোগ দিয়েছি। বই এবং উপকরণের খরচ মেটাতে প্রতিদিন সে তার বেতন থেকে ১০ রুপি আলাদা করে রাখে।  আমি আমার একাডেমির দিকে তাকাই এবং আফসোস করি যদি এই স্কুলটি আমি আরও আগে শুরু করতে পারতাম। আমি হতাশার মধ্যে ডুবে গিয়েছিলাম এবং দুই বছর সময় নষ্ট করেছি। আমরা যদি আরও আগে শুরু করতে পারতাম, তাহলে আরও অনেক ছেলেমেয়েকে আমরা তাদের শিক্ষার স্বপ্নপূরণের পথে সাহায্য করতে পারতাম। আমি অনুশোচনা অনুভব করি।    কয়েক বছর আগে আমি যে ছাত্রছাত্রীদের পড়িয়েছিলাম তাদের মধ্যে কেউ কেউ এখন ভারত, বাংলাদেশ, কিরগিজস্তান, ফ্রান্স এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশে গিয়ে পড়াশোনা করছে। আমি খুশি, আমি হতাশাকে ঝেড়ে ফেলে আশাকে আলিঙ্গন করেছি। আমি আমার ছাত্রদের উৎসাহ দিই এবং তাদের আশাবাদী করে তোলার চেষ্টা করি। আমি আফগানিস্তানে সম্ভাবনা দেখি। আফগানিস্তানে আমার মতো অনেক তরুণ আশার আলো দেখে।  আমাদের হাজারো ইতিবাচক গল্প রয়েছে। সেই গল্পগুলো বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরা দরকার। ইতিবাচক প্রচারণা আফগানিস্তানে সম্পর্কে বিশ্ববাসীর ধারণা বদলে দেবে।  হুজ্জাতুল্লাহ জিয়া : ডেইলি আউটলুক- আফগানিস্তানের সাবেক সাংবাদিক 
১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

সিরিজ জিতল আফগানিস্তান
সংযুক্ত আরব আমিরাতকে হারিয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে আফগানিস্তান। সিরিজের প্রথমটিতে আফগানরা জয় পেলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ায় স্বাগতিকরা। তবে তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে আমিরাতকে উড়িয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে ইব্রাহিম জাদরানের দল।   মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ৪ উইকেটে হারায় আফগানিস্তান। স্বাগতিকদের ১২৭ রানের জবাবে ৪ উইকেট ও ৯ বল হাতে রেখে ১২৮ রান সংগ্রহ করে আফগানরা। ২০ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরার পাশাপাশি সিরিজসেরা নির্বাচিত হন পেসার নাভিন উল হক। ১২৭ রানের জবাবে উদ্বোধনী জুটিতে ৩০ রান সংগ্রহ করে আফগানিস্তান। দ্বিতীয় উইকেটে ৩৭ রানের জুটি গড়ে আমিরাতকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন জাজাই ও অধিনায়ক ইব্রাহিম। দ্রুতই চার ব্যাটারকে হারিয়ে বিপদে পড়ে আফগানিস্তান। তবে নাজিবুল্লাহ জাদরানের ১৩ বলে ২৮ রানের ক্যামিওতে ৪ উইকেটের জয় পায় আফগানরা। পাশাপাশি সিরিজটাও নিজেদের করে নেয় নবী-নাভিনরা। এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে আরব আমিরাত। তবে শুরু থেকেই আফগান বোলারদের বোলিং তোপে পড়ে স্বাগতিকরা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে আমিরাত। সর্বোচ্চ ২৭ রানের ইনিংস খেলেন দলনেতা মোহাম্মদ ওয়াসিম। এ ছাড়াও আলি নাসির ২২ বলে ২১ রানের ইনিংস খেলেন। ফলে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১২৬ রানের সংগ্রহ পায় আরব আমিরাত।    
০৩ জানুয়ারি, ২০২৪

নিষিদ্ধ হলেন তিন আফগান ক্রিকেটার
বিশ্বের সব ফ্রাঞ্চাইজির কাছে হটকেক আফগানিস্তানের ফজল হক ফারুকি, মুজিব উর রেহমান ও নাভিন উল হকরা। আইপিএল থেকে শুরু করে বিগ ব্যাশ পর্যন্ত দুর্দান্ত পারফরম্যান্স অব্যাহত রেখেছেন এই তিন আফগান ক্রিকেটার। আসন্ন আইপিএলেও দল পেয়েছিলেন তারা। তবে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (এবিসি) দেওয়া নিষেধাজ্ঞার কারণে কেউই টুর্নামেন্টটিতে খেলতে পারবেন না।  ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ক্রিকেটারদের কেন্দ্রীয় বেতন কাঠামো চালু করবে এবিসি। কিন্তু ফ্রাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট খেলার জন্য নতুন কেন্দ্রীয় চুক্তিতে তাদের না রাখতে আবেদন করেন ফারুকি, মুজিব ও নাভিন, যা পছন্দ হয়নি দেশটির বোর্ড কর্মকর্তাদের কাছে। আর সে জন্য আগামী ২ বছর বিশ্বের কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজ লিগেই খেলতে পারবেন না তিন ক্রিকেটার।   আফগান বোর্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘আফগানিস্তানের হয়ে খেলার চেয়ে ব্যক্তিগত স্বার্থকে গুরুত্ব দিয়েছেন ফারুকি, মুজিব ও নাভিন।’ এ ছাড়া বিজ্ঞপ্তিতে এবিসি বলেছে, আফগানিস্তানের হয়ে খেলা প্রত্যেক ক্রিকেটারের জাতীয় দায়িত্ব। অথচ তারা সেটির চেয়ে ব্যক্তিগত স্বার্থকেই অগ্রাধিকার দিয়েছেন। তাছাড়া বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যিক লিগ এসব খেলোয়াড়ের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে রাজি না হওয়ার মূল কারণ। তারা দেশের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে না থাকতে চাওয়ায় এবিসি তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে।’ ফজল হক ফারুকি ও মুজিব উর রেহমান আফগানিস্তানের অন্যতম প্রধান ক্রিকেটার। ভারতে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপেও অসধারণ নৈপুণ্য দেখিয়েছিলেন তারা। দেশের হয়ে আরও ভালো খেলতে যাতে পারেন সেই জন্যই আগামী ২ বছর দেশের বাইরে কোনো লিগ খেলেত পারবেন না মুজিব-ফারুকিরা।  তিনজনের মধ্যে নাভিন উল হক বিশ্বকাপের শেষে ওয়ানডে থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন। 
২৬ ডিসেম্বর, ২০২৩
X