এমপি আনার হত্যা, যেভাবে পালিয়ে যান ফয়সাল
কলকাতার ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের মামলার মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহীনের বসুন্ধরাস্থ বাসায় পাসপোর্ট রেখে পালিয়ে যান মোস্তাফিজ ও ফয়সাল। তারা দুজন কলকাতার সঞ্জিবা গার্ডেনসে আনার হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেন। আসামি আসামি ফয়সাল আলী সাহাজীর ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে ও জবানবন্দিতে এসব তথ্য উল্লেখ করেছেন।  বুধবার (৩ জুলাই) আসামি ফয়সাল দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জল হোসেনের আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন।  গত ২৭ জুন শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল্লাহের আদালত ফয়সালের ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড চলাকালীন আসামি ফয়সাল স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে সম্মত হন। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান তার জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন। ডিবির আবেদনে বলা হয়েছে, মামলার আসামী ঘাতক দলের প্রধান শিমুল ভুইয়ার সাথে মোস্তাফিজ ও ফয়সাল আর্থিক সাহায্য লাভের আশায় মার্চের শেষের দিকে যোগাযোগ করে। ঘাতক শিমুল ভুইয়া মোস্তাফিজ ও ফয়সালকে বড় অংকের টাকার প্রলোভন দেখিয়ে একটা কাজ করে দেওয়ার জন্য ভারতের কলকাতায় যেতে বলে। পাসপোর্ট, ভিসা, টিকেটসহ সকল কাজ শিমুল ভুইয়া করে দিবে বলে আশ্বাস দেয়। জরুরী পাসপোর্ট করার জন্য মোস্তাফিজ ও ফয়সালকে টাকাও দেয়। জরুরীভাবে পাসপোর্ট করে মোস্তাফিজ ও ফয়সাল আনুমানিক ১৫ এপ্রিল খুলনা থেকে ঢাকায় এসে অত্র মামলার ভিকটিম আনোয়ারুল আজিম আনারকে প্রলুব্ধ করে অপহরণ পূর্বক হত্যা মামলার মূলপরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহীনের বসুন্ধরার বাসায় উঠে। পরদিন মাস্টারমাইন্ড আক্তারুজ্জামান শাহীনের পিএস পরিচয়ধারী সিয়াম হোসেন নামে এক লোক উক্ত বাসায় এসে শাহীনের নির্দেশ মোতাবেক দুজনকে (মোস্তাফিজ ও ফয়সাল) নিয়ে ভারতীয় ভিসার জন্য যমুনা ফিউচার পার্কের কাছে ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রে নিয়ে যায় এবং সিয়াম মোস্তাফিজ ও ফয়সাল দ্বয়কে বলে শাহীন স্যারই আপনাদের পাসপোর্টের জন্য টাকা দিয়েছিল, তিনিই (শাহীন) আপনাদের দ্রুত ভিসা করে দিবেন। আবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, আনুমানিক ১৫ এপ্রিল থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত মোস্তাফিজ ও ফয়সাল মাস্টারমাইন্ড আক্তারুজ্জামান শাহীনের তত্ত্বাবধানে বসুন্ধরাস্থ বাসায় ছিল। শাহীনের পিএস সিয়াম হোসেন তাদের (মোস্তাফিজ ও ফয়সাল) দেখাশোনার দায়িত্বে ছিল। সিয়াম তাদের (মোস্তাফিজ ও ফয়সাল) জানিয়েছিলো যে, তাদের ভিসার জন্য শাহীন ব্যাংক স্টেটমেন্ট তৈরি, রোগের প্রেসক্রিপশনসহ আনুসঙ্গিক কাজের জন্য প্রচুর টাকা খরচ করছে। ইতোমধ্যে মোস্তাফিজ ও ফয়সাল ভারতীয় চিকিৎসা ভিসা পেয়ে আনুমানিক ২৫ এপ্রিল ঢাকা থেকে খুলনা ফিরে যায়। ঘাতক শিমুল ভুইয়া ও আক্তারুজ্জামান শাহীনের পরিকল্পনা মোতাবেক মোস্তাফিজ ও ফয়সাল ২ মে ভারতের কলকাতায় যায় এবং নিউমার্কেট এলাকায় একটি আবাসিক হোটেলে ওঠে অবস্থান করতে থাকে। পরিকল্পনা মোতাবেক মোস্তাফিজুর রহমান ফকির ১০ মে কলকাতার নিউটাউনস্থ সঞ্জিবা গার্ডেন্স নামক বাসায় যায়। মাস্টারমাইন্ড আক্তারুজ্জামান শাহীনের পরিকল্পনায় ভিকটিম আনোয়ারুল আজিম আনার বাসায় গেলে ঘাতক দলের প্রধান শিমুল ভুইয়ার নেতৃত্বে ও নির্দেশনায় ঘাতক দলের সদস্যরা জিহাদ, ফয়সাল, মোস্তাফিজসহ অজ্ঞাতনামারা ভিকটিমকে অজ্ঞান করে হত্যা করে এবং লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে মৃতদেহ থেকে হাড় ও মাংস আলাদা করে নিশ্চিহ্ন করে ফেলে। ঘাতক দলের সদস্য মোস্তাফিজ ও ফয়সাল কিলিং মিশন শেষ করে ১৯ মে কলকাতা থেকে বাংলাদেশে ফিরে আসে এবং অপহরণ পূর্বক হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহীনের বসুন্ধরার বাসায় উঠে। পরবর্তীতে ভিকটিমের পরিবারের লোকজন শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করলে মূল ঘাতক শিমুল ভুইয়া গ্রেপ্তার হয় এবং পুলিশের তৎপরতা টের পেয়ে ফয়সাল ও মোস্তাফিজ পালিয়ে গিয়ে আত্মগোপন করে।  গত ১২ মে সন্ধ্যায় আনোয়ারুল আজিমের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস শেরেবাংলা নগর থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন। এই মামলায় শিমুল ভুইঁয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ ভুইঁয়া ওরফে আমানুল্যাহ সাঈদ, তানভীর ভুইঁয়া, শিলাস্তা রহমান, কাজী কামাল আহমেদ বাবু ও মোস্তাফিজুর রহমান ফকির আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বর্তমানে তারা কারাগারে রয়েছেন। এছাড়া এ মামলায় দায় স্বীকার না করায় ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।   
০৩ জুলাই, ২০২৪

এমপি আনার হত্যা : এবার ফয়সালের দোষ স্বীকার
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার আসামি ফয়সাল আলী সাহাজী দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। বুধবার (৩ জুলাই) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জল হোসেনের আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন। এ নিয়ে দেশে গ্রেপ্তার সাত আসামির মধ্যে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু বাদে সব আসামি জবানবন্দি দিলেন।  এর আগে গত ২৭ জুন শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল্লাহের আদালত ফয়সালের ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড চলাকালীন আসামি ফয়সাল স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে সম্মত হন। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান তার জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন।  গত ১২ মে সন্ধ্যায় আনোয়ারুল আজিমের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস শেরেবাংলা নগর থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন। এই মামলায় শিমুল ভূঁইয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ ভূঁইয়া ওরফে আমানুল্যাহ সাঈদ, তানভীর ভূঁইয়া, শিলাস্তী রহমান, কাজী কামাল আহমেদ বাবু ও মোস্তাফিজুর রহমান ফকির আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বর্তমানে তারা কারাগারে রয়েছেন। এ ছাড়া এ মামলায় দায় স্বীকার না করায় ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 
০৩ জুলাই, ২০২৪

এমপি আনার হত্যা : স্বীকারোক্তি দিচ্ছেন ফয়সাল
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে হত্যার উদ্দেশে অপহরণের মামলায় আসামি ফয়সাল আলী সাহাজী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিচ্ছেন।  বুধবার (৩ জুলাই) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে তার জবানবন্দি রেকর্ড চলছে। আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।  এদিন রিমান্ড শেষে আসামি ফয়সাল আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান তার জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন। এ মামলায় গতকাল আসামি মোস্তাফিজুর রহমান ফকির আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। এর আগে গত ২৭ জুন শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল্লাহের আদালত মোস্তাফিজ ও ফয়সালের ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।  গত ১২ মে সন্ধ্যায় আনোয়ারুল আজিমের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস শেরেবাংলা নগর থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন। এই মামলায় শিমুল ভুঁইয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ ভুঁইয়া ওরফে আমানুল্যাহ সাঈদ, তানভীর ভুঁইয়া, শিলাস্তি রহমান, কাজী কামাল আহমেদ বাবু ও মোস্তাফিজুর রহমান আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বর্তমানে তারা কারাগারে রয়েছেন। এদিকে এ মামলায় দায় স্বীকার না করায় ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।  
০৩ জুলাই, ২০২৪

এমপি আনার হত্যা : মোস্তাফিজের দোষ স্বীকার
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের মামলায় আসামি মোস্তাফিজুর রহমান ফকির দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।  মঙ্গলবার (২ জুলাই) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জল হোসেনের আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন।  এ মামলায় দেশে গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু ছাড়া অপর পাঁচ আসামি জবানবন্দি দিয়েছেন। রিমান্ডে থাকা আরেক আসামি ফয়সাল আলী সাহাজীও বুধবার আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। এর আগে গত ২৭ জুন শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল্লাহের আদালত মোস্তাফিজ ও ফয়সালের ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড চলাকালীন আসামি মোস্তাফিজ স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে সম্মত হন। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান তার জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন।  গত ১২ মে সন্ধ্যায় আনোয়ারুল আজিমের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস শেরেবাংলা নগর থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন। এই মামলায় শিমুল ভুইঁয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ ভুইঁয়া ওরফে আমানুল্যাহ সাঈদ, তানভীর ভুইঁয়া, শিলাস্তা রহমান ও কাজী কামাল আহমেদ বাবু আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বর্তমানে তারা কারাগারে রয়েছেন।  এ ছাড়া এ মামলায় দায় স্বীকার না করায় ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 
০২ জুলাই, ২০২৪

এমপি আনার হত্যা : স্বীকারোক্তি দিচ্ছেন মোস্তাফিজ
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের মামলায় আসামি মোস্তাফিজুর রহমান ফকির আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিচ্ছেন। মঙ্গলবার (২ জুলাই) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে তার জবানবন্দি রেকর্ড চলছে। আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।  এদিন আসামি মোস্তাফিজকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান তার জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন।  এ মামলায় আসামি ফয়সাল আলী সাহাজী রিমান্ডে রয়েছে। এর আগে গত ২৭ জুন শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল্লাহের আদালত মোস্তাফিজ ও ফয়সালের ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।  গত ১২ মে সন্ধ্যায় আনোয়ারুল আজিমের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস শেরেবাংলা নগর থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন। এই মামলায় শিমুল ভুইঁয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ ভুইঁয়া ওরফে আমানুল্যাহ সাঈদ, তানভীর ভুইঁয়া ও শিলাস্তা রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়।  রিমান্ড শেষে তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে ঝিনাইদাহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু রিমান্ড শেষে কারাগারে রয়েছেন। 
০২ জুলাই, ২০২৪

এমপি আনার হত্যা : আ.লীগ নেতা বাবুর রিমান্ড নামঞ্জুর
এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারকে খুনের উদ্দেশে অপহরণের মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা কাজী কামাল আহমেদ বাবুকে রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার (২৪ জুন) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল্লাহের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।  এদিন কারাগারে আটক আসামি বাবুকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর বাবুর তিনটি মোবাইল উদ্ধারের জন্য ফের পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান। অন্যদিকে আসামিপক্ষে রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে  শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন।  ডিবির রিমান্ড আবেদনে বলা হয়েছে, ভিকটিম আনোয়ারুল আজিম আনারকে প্রলুব্ধ করে অপহরণ ও হত্যার মূল ঘাতক শিমুল ভুইয়ার জব্দকৃত মোবাইল সেট পর্যালোচনায় পাওয়া যায় যে, শিমুল ভূইয়া ১৫ মে ভারত থেকে বাংলাদেশে আসে এবং ১৬ মে রাতে গ্যাস বাবুর সাথে যোগাযোগ করে এমপি আনোয়ারুল আজিম আনারকে অপহরণ ও হত্যা সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে কথা বলে। পরবর্তীতে শিমুল ভুইয়া ও গ্যাস বাবু ফরিদপুরের ভাঙ্গা এলাকায় মিটিং করে ভিকটিম এমপি আনারের ছবি বিনিময় করে। এ ছাড়াও ১৭ মে থেকে ১৯ মে রাত পর্যন্ত শিমুল ভুইয়ার সঙ্গে বাবুর হোয়াটস অ্যাপে যোগাযোগ হয়, এসএমএস আদান-প্রদান হয় এবং ভিকটিম আনার অপহরণ ও পরবর্তী টাকা পয়সা সংক্রান্তে কথাবার্তা হয়। উপর্যুক্ত তথ্যের ভিত্তিতে বাবুকে গ্রেপ্তার করে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করলে, সে ঘাতক শিমুল ভুইয়ার সাথে ভিকটিম আনার অপহরণ ও হত্যা সংক্রান্তে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ, ছবি আদান প্রদান ও এসএমএস আদান প্রদানের কথা স্বীকার করে। শিমুল ভূইয়ার সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করার মোবাইল সেটগুলো কোথায় এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বাবু জানায় তার মোবাইল সেটগুলো হারিয়ে গেছে এবং এই সংক্রান্তে থানায় জিডি করেছে। পরবর্তীতে ১৪ জুন মামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।  জবানবন্দিতে আসামি স্বীকার করে যে, আসামি শিমুল ভূইয়ার সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগকৃত মোবাইল সেট তিনটির মধ্যে দুটি গাঙ্গুলী হোটেলের পিছনের পুকুরে এবং একটি স্টেডিয়ামের পূর্ব পার্শ্বের পুকুরের পানিতে ফেলে দেয়। এসব মোবাইল সেটগুলোতে ভিকটিম আনার অপহরণ ও হত্যা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে বিধায় সেটগুলো প্রয়োজন। তাই মোবাইল সেট গুলো কোন কোন স্থানে ফেলেছে সেই স্থান নির্ধারণসহ মামলার গুরুত্বপূর্ণ আলামত মোবাইল সেটগুলো উদ্ধার করার জন্য হাজতি আসামিকে সঙ্গে নিয়ে ঝিনাইদহ জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করার জন্য আসামি গ্যাস বাবু পাঁচ দিনের পুলিশ রিমান্ড প্রয়োজন। এর আগে গত ৯ জুন আদালত আসামি বাবুর সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে গত ১৪ জুন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিমের আদালত তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। ওইদিন জবানবন্দি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এই মামলায় শিমুল ভুঁইয়া ওরফে শিহাব ওরফে আমানুল্যাহ সাঈদ, তানভীর ভূঁইয়া ও শিলাস্তি রহমান আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ছাড়া গ্রেপ্তার ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুর রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।  
২৪ জুন, ২০২৪

এমপি আনার হত্যা / মিন্টুকে গ্রেপ্তার করে কোনো চাপে নেই ডিবি
সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কোনো চাপে নেই। রোববার (২৩ জুন) দুপুরে রাজধানীর মিন্টুরোডে অবস্থিত ডিবি কার্যালয়ে কনফারেন্স কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। আদালতে স্বীকারোক্তিতে গ্যাস বাবু বলেন, ‘ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিন্টু তার কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে কোথাও ছুড়ে ফেলেছে। এই মোবাইলগুলো উদ্ধারে ডিবি পুলিশ কোন তৎপরতা চালাচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, আলামত নষ্ট করার তথ্য আমরাও জিজ্ঞাসাবাদে পেয়েছি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমরা আদালতে একটি চিঠি দিয়েছি। যেহেতু গ্যাস বাবুর মোবাইলে ডিজিটাল অ্যাভিডেন্স রয়েছে, যদিও দুই পক্ষের কাছে ডিজিটাল অ্যাভিডেন্স রয়েছে এর মধ্যে এক পক্ষের ডিজিটাল অ্যাভিডেন্স আমরা পেয়েছি। গ্যাস বাবুকে আমরা আরও জিজ্ঞাসাবাদ করবো এবং মোবাইলগুলো কোথায় ফেলে দিয়েছেন সেগুলো উদ্ধারের চেষ্টা করব। মিন্টুর রিমান্ড শেষ হওয়ার আগে তাকে কারাগারে কেন পাঠিয়ে দিয়েছে ডিবি এ প্রশ্নের জবাবে হারুন বলেন, এখানে আইনের কোনো ব্যত্যয় হয়নি। তদন্তকারী কর্মকর্তা যখন কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তখন তার সেটিসফেকশনের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। তদন্তকারী কর্মকর্তা যদি মনে করেন কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার কাছ থেকে আপাতত দৃষ্টিতে আর কিছু জানার নেই তিনি সকল কিছু জানতে পেরেছেন তখন তিনি আদালতের মাধ্যমে আসামিকে জেলহাজতে পাঠাতে পারেন। তবে আবার যদি বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে তদন্তকারী কর্মকর্তা যদি মনে করেন ওই আসামিকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন তখন তিনি জিজ্ঞাসাবাদের সুযোগ পাবেন। ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিন্টুকে গ্রেপ্তারের পর থেকে ডিবি কোন চাপে আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, মতিঝিলের টিপু হত্যা, কামরাঙ্গীচরের শিল্পপতি হত্যাকাণ্ড ও ফারদিন হত্যাকাণ্ডসহ অনেক হত্যাকাণ্ড কিন্তু ঢাকা শহরে ঘটেছে। ডিবির চৌকস টিম কিন্তু প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের মোটিভ বের করেছে। এমপি আনার কলকাতায় হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এ হত্যাকাণ্ডের ক্লু বের করতে ডিবি পুলিশের দল রাতদিন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের টিম নেপালে গিয়েছে এবং আমাদের তথ্যের ভিত্তিতে নেপালে সিয়াম গ্রেপ্তার হয়েছে। এ ছাড়া কলকাতায় গিয়েও আমরা বিভিন্ন তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছি আলামত উদ্ধারে। এ হত্যাকাণ্ডের মূল কিলার শিমুল ভুঁইয়াসহ আরও অনেককে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। এরমধ্যে চারজন আসামি বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। আমরা যদি চাপ অনুভব করতাম তাহলে আমাদের এত অ্যাচিভমেন্ট হতো না এই মামলায়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একাধিকবার বলেছেন কোনো চাপ নেই এই মামলার তদন্ত কাজে। তিনি আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন যেন নিরপেক্ষভাবে মামলার তদন্ত করা হয় । ডিবি নিরপেক্ষভাবে এ মামলার তদন্ত কাজ করছে। এ মামলায় কোনো নিরপরাধ ব্যক্তিকে হয়রানি করা হবে না এবং কাউকে অযথা ডাকাডাকি করা হবে না। সুস্পষ্ট তত্ত্বের ভিত্তিতে তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতের মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। আখতারুজ্জামান শাহিনকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে কোনো অগ্রগতি আছে কিনা জানতে চাইলে ডিবি প্রধান বলেন, মামলার তদন্ত কাজ অনেকটা কনক্লুসিভ পর্যায়, আমরা অনেককে গ্রেপ্তার করেছি। কিছু কিছু নাম আমরা পেয়েছি তাদেরও গ্রেপ্তারে চেষ্টা করছি। এ ঘটনার মাস্টারমাইন্ড শাহিন যুক্তরাষ্ট্রে আছে। যেহেতু যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের একটা বন্দি বিনিময় চুক্তি আছে সেহেতু আমরা ভারতীয় পুলিশকে বলেছি যেন তাকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরিয়ে আনা হয়। পাশাপাশি বাংলাদেশে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে আমরা টিম নিয়ে গিয়ে কথা বলেছি। এ ছাড়া পুলিশ সদর দপ্তরের এমসিবি শাখার মাধ্যমে আমরা ইন্টারপোলকে চিঠি দিয়েছি। শাহীনকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা সকলেই কাজ করছি। আরও এক দুজন আসামি বাকি রয়েছে তাদেরকে গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা করছি। আশাকরি দ্রুত সময়ের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তি করা যায়। এমপি আনারের মেয়ে ডরিন ডিএনএ নমুনা দেওয়ার জন্য কলকাতায় যাবে কিনা জানতে চাইলে হারুন বলেন, ভারতীয় পুলিশ দূতাবাসের মাধ্যমে ডরিনকে জানিয়েছে ভারতে যাওয়ার জন্য। ডরিনের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে সে মনে হয় কয়েক দিন ধরে জ্বরে ভুগছে। তার স্বাস্থ্য ভালো হলে মনে হয় তিনি শীঘ্রই ভারতে যাবেন।
২৩ জুন, ২০২৪

এমপি আনার হত্যা তদন্তে ধীরগতির অভিযোগ
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডের তদন্তে ধীরগতি নীতি অবলম্বন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন কালীগঞ্জ আওয়ামী লীগের নেতারা। হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন হয়েছে। গতকাল শনিবার শহরের কালীবাড়ী মোড়ে এমপি আনার হত্যার প্রতিবাদে কালীগঞ্জ হাট চাঁদনী কাঁচা ও পাকামাল ব্যবসায়ী সমিতি আয়োজিত মানববন্ধনে এ অভিযোগ করেন তারা। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনার হত্যার তদন্তে ধীরগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। এ সময় ডিবি পুলিশের তৎপরতা বৃদ্ধিসহ হত্যায় জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়। কালীগঞ্জের মেয়র আশরাফুল আলম বলেন, আনারের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে ও এমপি হওয়ার দুঃস্বপ্নে ঝিনাইদহে পরিকল্পনা করে ভারতে তাকে হত্যা করা হয়েছে। পৃথিবীতে এমন নৃশংস হত্যা আর একটি ঘটেছে বলে আমাদের জানা নেই। মেয়র আরও বলেন, ঝিনাইদহ থেকে এসে এই জনপদের এমপি হওয়ার স্বপ্ন কখনো পূরণ হবে না। ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুজ্জামান রাসেল, ইউপি চেয়ারম্যান ওহিদুজ্জামান ওদু, পৌর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল ইসলাম ইনতা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর সিদ্দিকী ঠান্ডু প্রমুখ।
২৩ জুন, ২০২৪

এমপি আনার হত্যা : রিমান্ড শেষে কারাগারে মিন্টু
সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের মামলায় গ্রেপ্তার ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।  শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ডিএমপির অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) আনিসুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।   এদিন রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।  এর আগে গত ১৩ জুন তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে ডিবি পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত তার আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আনার হত্যা মামলায় গত ৩ জুন আসামি শিলাস্তি রহমান, ৪ জুন তানভীর ভূঁইয়া এবং ৫ জুন সৈয়দ আমানুল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়া ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে গত ১২ মে ভারতে যান ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার। তিনি পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে ওঠেন। সেখান থেকে গত ১৩ মে ডেকে নিয়ে কলকাতার নিউ টাউনের সঞ্জীবা গার্ডেনসের ওই ফ্ল্যাটটিতে তাকে হত্যা করে মরদেহ টুকরো টুকরো করে গুম করে হত্যাকারীরা।
১৬ জুন, ২০২৪

এমপি আনার হত্যা রহস্য, নজরদারিতে ৬ নায়িকা
ক্ষমতাসীন দলের টানা তিনবারের এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যার ঘটনায় এখন নজরদারিতে রয়েছেন অন্তত হাফ ডজন চিত্রনায়িকা। খুব শিগগিরই তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানা গেছে গোয়েন্দা সূত্রে। আনার হত্যায় জড়িত থাকার অপরাধে ইতোমধ্যে শিলাস্তি রহমান নামের কথিত মডেল গোয়েন্দা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রয়েছেন কারাগারে।  প্রশ্ন হলো এত নায়িকা কি করে কলকাতায়? তারা কি সেখানে সিনেমার কাজে যায়, নাকি কোনো শো করতে যায়। আসলে তেমন কিছু না। আনার হত্যার মাস্টার মাইন্ড আখতারুজ্জামান শাহীনের নিমন্ত্রণেই তারা গিয়েছিল কলকাতায়।   কলকাতার পুলিশের তদন্তের কারণে, দেশের গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন যে, বাংলাদেশের ছয়জন নায়িকা ও মডেলকে কলকাতার পঞ্চলা ও গৌরবতীর ফ্ল্যাটে নিয়ে গিয়েছিলেন শাহীন। যাদের মধ্যে আনার এক চিত্রনায়িকার সঙ্গে একান্তে সময়ও কাটিয়েছিলেন। ওই নায়িকা কলকাতার একাধিক সিনেমায় অভিনয় করে সুনামও কুড়িয়েছেন। তার বয়স ৩০ এর কোটায়। বাংলাদেশি ওই নায়িকা চলনে-বলনে বেশ স্মার্ট বলেই পরিচিত। আনার হত্যার ঘটনায় এই ছয় মডেল ও নায়িকাকে খুব শিগগিরই জিজ্ঞাসাবাদ করতে গোয়েন্দা কার্যালয়ে ডাকা হতে পারে বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সূত্র জানা গেছে। আকার ইঙ্গিতে নায়িকাদের বর্ণনা দিলেও তদন্তের স্বার্থে এখনই তাদের নাম প্রকাশ করতে চায়নি গোয়েন্দা সূত্র। তবে এই খবরে সিনেমা না করেই বিত্তশালীদের ব্যক্তিগত পার্টিতে যাওয়া নায়িকাদের পিলে চমকে যাওয়ার দশা। ঢাকাই সিনেমার বাজার মন্দার কারণে উঠতি নায়িকারা খুব একটা সুবিধা করতে না পেরে ভালো মন্দের বিচার না করে বিত্তশালীদের পাশাপাশি অপরাধীদের ব্যক্তিগত জলসায় সময় কাটিয়ে আয় ভালোই করছে বলে জানা গেছে। তবে এতকিছুর পরও ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যার মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো রহস্যই রয়ে গেল হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি। থ্রিলার সিনেমাকেও হার মানিয়েছেন এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি। এ ঘটনায় প্রধান কিলার আমানুল্লা তার ভাগিনা তানভীর এবং শিলাস্তি রহমানকে বাংলাদেশ থেকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। কলকাতা থেকে কসাই জিহাদ ও নেপালে আটক হয়েছে সিয়াম। ঘটনার নেপথ্যে কলকাঠি নাড়ার দায়ে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ সম্পাদক গ্যাস বাবু এবং ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে তাদের নতুন করে ঝিনাইদহে আরও কিছু নেতা রয়েছে গোয়েন্দা নজরদারিতে।  তবে সঞ্জিবা গার্ডেনের সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার হওয়া মাংসের টুকরো এবং বাগজোলা খাল থেকে উদ্ধার হওয়া হাড়গোড় এমপি আনারের কি না তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। 
১৪ জুন, ২০২৪
X