নিয়োগ পরীক্ষায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা
পাবনার সাঁথিয়ায় কাশিনাথপুর ইউনিয়নের বলরামপুর বিএইচসিএস উচ্চ বিদ্যালয়ের নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগে পরীক্ষা স্থগিতের নির্দেশ দিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত। আগামী ২১ জুন নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার দিন ধার্য ছিল। মামলা সূত্রে জানা যায়, সাঁথিয়া উপজেলার বিএইচসিএস উচ্চ বিদ্যালয়ের জন্য একজন সহকারী প্রধান শিক্ষক, একজন অফিস সহায়ক, একজন আয়া এবং একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মীর জন্য পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেন ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলজার হোসেন। ওই পদে অনেক প্রার্থী আবেদন করলেও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলজার হোসেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির যোগসাজশে পছন্দের প্রার্থীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকার চুক্তিতে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্যদের না জানিয়ে নিয়োগ রেজ্যুলেশনে স্বাক্ষর গ্রহণ না করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার চেষ্টা চালান। এ অভিযোগে গত ১২ জুন ওই বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির আরেক সদস্য আব্দুর রশিদ বাদী হয়ে পাবনা (সাঁথিয়া উপজেলা সিনিয়র সহকারী জজ) আদালতে মামলা করেন। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে পরীক্ষায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। অভিযোগ উঠেছে, এলাকাবাসী ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অভিভাবকদের চোখের আড়ালে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে এবং বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির নির্বাচন সম্পন্ন করতে প্রধান শিক্ষক গোলজার হোসেন চেষ্টা চালাচ্ছেন। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অধিকাংশ সদস্য ও অভিভাবকদের না জানিয়ে গোপনীয়ভাবে নিজ কক্ষে নির্বাচনী তপশিল টানিয়েছেন। এ ছাড়া তিনি নির্বাচনের ভোটার তালিকা প্রকাশ করেননি। এ ব্যাপারে বলরামপুর বিএইচসিএস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলজার হোসেন জানান, নিয়ম মেনে নির্বাচনী তপশিল প্রকাশ করা হয়েছে। তবে নিয়োগ-সংক্রান্ত বিষয়ে আর্থিক সুবিধা গ্রহণের কথা অস্বীকার করেন তিনি। সাঁথিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল কাদের বিশ্বাস বলেন, ওই বিদ্যালয়ের নিয়োগ পরীক্ষার নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে আমার দপ্তরে আদালত থেকে কোনো কাগজপত্র আসেনি। আমাদের হাতে আদালতের নির্দেশনা না এলে বিধি মোতাবেক নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। এ ছাড়া নিয়োগ পরীক্ষার তারিখের আগে যদি আদালতের নিষেধাজ্ঞার কাগজপত্র আসে, তাহলে সেটি দেখে বিধি মোতাবেক নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার সুযোগ না থাকলে স্থগিত করা হবে।
১৫ জুন, ২০২৪

কেরানীগঞ্জ প্রেস ক্লাব নির্বাচন অনুষ্ঠানে আদালতের নিষেধাজ্ঞা
আসন্ন কেরানীগঞ্জ প্রেস ক্লাব নির্বাচন অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত। গত ৩ জানুয়ারি এক চিঠির মাধ্যমে কেরানীগঞ্জ আদালতের সিনিয়র সহকারী জজ এ আদেশ দেন। এতে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসিকে এ নিষেধাজ্ঞা দ্রুত বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়। এরই মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা আদালতে নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কেরানীগঞ্জ প্রেস ক্লাবে নতুন করে কোনো প্রকার নির্বাচন করা যাবে না মর্মে মামলার বিবাদী শফিক চৌধুরী গংদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ইন্সপেক্টর অপারেশন মুন্সি আশিকুর রহমান এটি ইস্যু করেন। মামলার বাদী মজিবুর রহমান জানান, ২০১৬ সালে আদালতে নির্বাচন নিয়ে একটি মামলা দায়ের করি । এ মামলায় ২০২২ সালে আদালত কেরানীগঞ্জ প্রেস ক্লাবে কোনো প্রকার নির্বাচন যাতে অনুষ্ঠিত না হয় সে বিষয়ে একটি অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন। এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিবাদী পক্ষ অবৈধভাবে একটি নির্বাচন করেন। পরে আদালত অবমাননা করার একটি মামলা দায়ের হয়। বিবাদী পক্ষ আদালতকে উপেক্ষা করে ৩১ জানুয়ারি আবারও একটি অবৈধ নির্বাচন করার জন্য তপশিল ঘোষণা করেছেন। এতে আমি নির্বাচন বন্ধের আবেদন করলে আদালত পূর্বের আদেশ বহাল রাখে। ওই নিষেধাজ্ঞার আদেশ মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।  তিনি বলেন, বিষয়টি ঢাকা জেলা প্রশাসক ও ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারকে অবহিত করা হয়েছে। আগামী ৩১ জানুয়ারি আবারও বিবাদী পক্ষ অবৈধভাবে জোরপূর্বক  নির্বাচন করার পাঁয়তারা করছে। এ নির্বাচন নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে।  এই বিষয়ে কেরানীগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল বলেন, আমি আদালতের আদেশকে সম্মান দেখিয়ে নির্বাচন পরিচালনার জন্য নিয়োগকৃত নির্বাচন কমিশনার শফিক চৌধুরীকে অব্যাহতি দিয়েছি। চিঠিটি তার বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে। সুতরাং এ কমিশনারের নির্বাচন করার এখতিয়ার নেই। অপরদিকে শফিক চৌধুরী বলেন, নির্বাচন কমিশনারকে এককভাবে অব্যাহতি দেওয়ার এখতিয়ার সাধারণ সম্পাদকের নেই। আমি বৈধ নির্বাচন কমিশনার। এ নির্বাচন বন্ধ রাখার কারণ নেই। আমরা নির্বাচন করব। আমরা মামলা বিষয়ে উচ্চ আদালতে যাব। 
২৯ জানুয়ারি, ২০২৪
X