প্রধানমন্ত্রীর জন্য আনারস পাঠালেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য উপহার হিসেবে ৫০০ কেজি আনারস পাঠিয়েছেন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। রোববার (২৩ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আনারসগুলো হস্তান্তর করা হয়।  ১০০টি কার্টনে ভরা ত্রিপুরার বিখ্যাত 'কুইন' জাতের আনারসগুলো গ্রহণ করেন আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ূম তালুকদার। তার কাছে আনারস হস্তান্তর করেন ত্রিপুরা হর্টিকালচারের সহকারী পরিচালক ড. দীপক বৈদ্য। আনারস হস্তান্তর শেষে ড. দীপক বৈদ্য সাংবাদিকদের জানান, কুইন জাতের আনারস বিশ্বের অন্যতম সেরা। এটি খেতে খুবই সুস্বাদু এবং রসালো। এই শুভেচ্ছা উপহারের মাধ্যমে ভারত ও বাংলাদেশের মধুর সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে। এ সময় চট্টগ্রামস্থ সহকারী ভারতীয় হাইকমিশনের কর্মকর্তা সজীব চক্রবর্তী ও বিএসএফের ৪২ ব্যাটালিয়নের ইনচার্জ সন্তোষ কুমার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
২৩ জুন, ২০২৪

আখাউড়া হয়ে আবারও জিরা আমদানি শুরু
প্রায় ছয় মাস বন্ধ থাকার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আবারও পণ্য আমদানি শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় একটি ট্রাকে করে বন্দর দিয়ে ৭ টন জিরা এসেছে ভারত থেকে। এর মাধ্যমে আবারও সচল হলো বন্দরের আমদানি বাণিজ্য। হাইড্রোল্যান্ড সলিশন নামে ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠান এই জিরা আমদানি করেছে। তবে আজ থেকে সরকারি ছুটি শুরু হওয়ার ঈদের আগে বন্দর থেকে জিরা খালাস না করতে পারার শঙ্কা প্রকাশ করেন প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মেসার্স শফিকুল ইসলাম আমদানিকৃত জিরার কাস্টমস ক্লিয়ারিংয়ের কাজ করবে। আমদানিকারক সূত্রে জানা গেছে, প্রতি টন জিরার দাম পড়েছে দুই হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার, যা স্থানীয় মুদ্রায় দুই লাখ ৯২ হাজার ৫০০ টাকার মতো (প্রতি ডলার ১১৭ টাকা ধরে)। আখাউড়া স্থলবন্দরের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো. ছাগিরুল ইসলাম বলেন, হাইড্রোল্যান্ড সলিশন আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ৭ টন জিরা আমদানির জন্য এলসি খুলেছে। আজকে সন্ধ্যায় জিরা নিয়ে একটি ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করেছে। প্রথমবারের মত এই স্থলবন্দর দিয়ে দেশে জিরা আমদানি হয়েছে। এ পণ্য থেকে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত হারে শুল্ক এবং বন্দর কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন মাশুল পাবে।
১৩ জুন, ২০২৪

আখাউড়া স্থলবন্দরে ৪ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে টানা ৪ দিন আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারত-বাংলাদেশর পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার অন্যান্য দিনের মতো স্বাভাবিক থাকবে। বুধবার (১২ জুন) সকালে আখাউড়া স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফুরকান আহমেদ খলিফা ও আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলামের যৌথ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। আখাউড়া স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আগামী রবিবার (১৬ জুন) থেকে বুধবার (১৯ জুন) পর্যন্ত স্থলবন্দর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকবে। তিনি বলেন, বাণিজ্য বন্ধ থাকার বিষয়টি ভারতীয় ব্যবসায়ীদেরও চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সকাল থেকে পুনরায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে। আখাউড়া চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ওসি মোহাম্মদ খাইরুল আলম বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আগামী রবিবার থেকে বুধবার পর্যন্ত আখাউড়া স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে। তবে এ সময় ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারত-বাংলাদেশর পাসপোর্টধারী যাত্রীরা পারাপার অন্যান্য দিনের মতো স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারবে। উল্লেখ্য, দেশের অন্যতম বৃহৎ ও রপ্তানিমুখী এ স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে দেড় লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি হয় উত্তর-পূর্ব ভারতে। রপ্তানি পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে- হিমায়িত মাছ, প্লাস্টিক, রড, সিমেন্ট, ভোজ্যতেল, তুলাসহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী।
১২ জুন, ২০২৪

আখাউড়া আনারস প্রতীকের নির্বাচনী কার্যালয়ে আগুন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ কার্যালয়টি চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মুরাদ হোসেন ভুঁইয়া আনারস প্রতীকের নির্বাচনী কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করেন। রোববার (১৯ মে) রাত পৌনে দুইটার দিকে উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের গাজীর বাজারে এ আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রাত পৌনে দুইটার দিকে গাজীর বাজারের পশ্চিম পাশে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পুরাতন কার্যালয় বর্তমানে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মুরাদ হোসেন ভুঁইয়া (আনারস) প্রতীকের নির্বাচনী কার্যালয়ে হঠাৎ আগুন দেখে বাজারে লোকজন ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে নিবার্চনী অফিসের পোস্টার, ব্যানার, পাশের শামিয়ানা পুড়ে যায়। চেয়ারম্যান প্রার্থী মুরাদ হোসেন ভুঁইয়া বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ঘোড়া প্রতীকের লোকজন নির্বাচনের শুরু থেকে বিভিন্নভাবে অপপ্রচার ও মিথ্যা প্রপাগান্ডা চালিয়ে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করার অপচেষ্টায় লিপ্ত।তাদের লোকজন আমার নির্বাচনী কার্যালয়ে আগুন দিয়েছেন। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মনির হোসেন (ঘোড়া) প্রতীক। তিনি বলেন সকালে ঘুম থেকে উঠে আমি শুনেছি। তবে আমার কাছে মনে হচ্ছে আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরে আলম জানান আগুন লাগার ঘটনা আমরা শুনে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত হচ্ছে। তবে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি।
১৯ মে, ২০২৪

৪ ঘণ্টা পর আখাউড়া দিয়ে যাত্রী পারাপার শুরু
ভারতের আগরতলা ইমিগ্রেশনের সার্ভারে ত্রুটির কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ৪ ঘণ্টা বন্ধ ছিল যাত্রী পারাপার। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। মঙ্গলবার (২ মার্চ) সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে থেকে যাত্রী পারাপার বন্ধ হয়। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সার্ভার সচল হলে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক হয়। ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ মো. খাইরুল কালবেলাকে বলেন, সকালে ভারতের আগরতলা ইমিগ্রেশনের সার্ভারে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় যাত্রী পারাপারা বন্ধ ছিল। পরে বেলা সোয়া ১২টার দিকে আগরতলা ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ জানায়, তাদের সার্ভার সচল হয়েছে। পরে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক হয়। আখাউড়া স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা জানান, সকাল ৮টায় আমরা ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শুরু করি। ৮/১০ জন যাত্রী ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে ভারতে পাঠাই। সোয়া ৮টার দিকে আগরতলা ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ বিএসএফের মাধ্যমে মৌখিকভাবে আমাদের জানায়, আগরতলা ইমিগ্রেশনের সার্ভার ডাউন আছে। এ কারণে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে পারছেন না। তারা আমাদের অনুরোধ করে যেন কোনো যাত্রী না পাঠাই। পরে আমরা আগরতলা ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারাও শূন্য রেখায় আসে। আমরাও সেখানে যাই। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তারা আমাদের জানান, যাদের ভারতের অভ্যন্তরীণ বিমানের টিকেট আছে তাদের ভারতে পাঠানোর জন্য। যাদের টিকেট আছে আমরা তাদের ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে ভারতে পাঠিয়েছি। তবে সোয়া ১২টার পর যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক হয়। এ কারণে দুদেশের আটকে পড়া যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন।  চট্টগ্রাম থেকে আসা চিত্ত দে নামে এক যাত্রী বলেন, আমি চট্টগ্রাম থেকে এসেছি। আখাউড়া স্থল বন্দর দিয়ে আগরতলা যাওয়ার জন্য। এসে শুনি আগরতলার সার্ভার ডাউন। প্রায় তিন ঘণ্টারও বেশি অপেক্ষা করতে হয়েছে। এটা খুবই কষ্টদায়ক। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিষয়গুলো দেখা উচিত।  ভারতীয় যাত্রী দীপ্ত দেব বলেন, কিছুদিন আগে বাংলাদেশে বেড়াতে এসেছিলাম। আজ ফিরে যাচ্ছি, সকালে আখাউড়া ইমিগ্রেশনে এসে শুনেছি ভারতের ইমিগ্রেশন সার্ভারে সমস্যা। তাই তাই দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে। তবে এ ধরনের ভোগান্তি মেনে নেওয়া যায় না। এখানে অনেক যাত্রীদের কষ্ট করতে হয়েছে। বিশেষ করে নারী শিশু ও বৃদ্ধদের বিড়ম্বনা সীমাহীন। 
০২ এপ্রিল, ২০২৪

বিদেশে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন শিশুসহ ১০ জন
ভারতে দীর্ঘ দুই বছর কারাভোগ ও সিকিউরিটি হোমে থাকার পর নিজ দেশ বাংলাদেশে ফিরেছেন তিন শিশুসহ ১০ জন। শনিবার (২ মার্চ) বিকেলে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সহকারী হাইকমিশন অফিসের সহযোগিতায় আগরতলা থেকে আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে তারা দেশে ফেরেন। তারা হলেন-নড়াইল পেরবিষ্ণুপুর গ্রামের আসাদ মোল্লার ছেলে মোহাম্মদ মোল্লা (৪০) একই গ্রামের মুজিবুর শেখের ছেলে মোহাম্মদ রাজু শেখ (৩৫), বাবুল মিয়া ছেলে মো. আলামিন মিয়া (৩২) ও মো. আহাদ মিয়া (৩০) জমির মোল্লার মেয়ে কুলসুম বেগম (২৩), আলামিন মিয়ার চার ও ছয় বছর বয়সী দুই ছেলে, নারায়ণগঞ্জের ছনপাড়া এলাকার আবুল কাসেমের মেয়ে সুমি আক্তার কাজলী (২৫), তার নবজাতক শিশু ও একই এলাকার মো. কদর আলীর মেয়ে সাজিদা খাতুন (২৪)। এ সময় আখাউড়া সীমান্তে অপেক্ষমান স্বজনদের দেখা পেয়ে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। তারা পাচারের শিকার হয়েছেন বলে জানা গেছে। তারা জানান, ভালো কাজের প্রলোভনে দালালের খপ্পরে পড়ে অবৈধভাবে সীমান্তপথে তারা ভারতে পাড়ি জমান। পরে দালালরা তাদের সেখানে ফেলে পালিয়ে আসে। এরপর ভারতীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিভিন্ন সময়ে তাদের আটক করে জেলহাজতে পাঠায়। সীমান্তের শূণ্য রেখায় শিরিনা বেগম বলেন, আমার পরিবারের পাঁচজন দুই বছর আগে দালালের মাধ্যমে কাজের সন্ধানে ভারতে গিয়ে আটকা পড়েন। তাদের ফেরত পেয়ে আমার খুব ভালো লাগছে। আমি যেন তাদের সঙ্গে শান্তিতে বসবাস করতে পারি। ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনের কনসুলার অফিসার মো. ওমর ফারুক বলেন, বাংলাদেশী এসব নাগরিকরা বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে প্রবেশ করে আটক হয়ে সাজা ভোগ করেন। ত্রিপুরার নরসিংগড়ে একটি ডিটেনশন সেন্টারে ছিলেন তারা। বিষয়টি বাংলাদেশ হাইকমিশনের মাধ্যমে জানতে পেরে আমরা সেখানে গিয়ে খোঁজখবর নিই। তাদের নাম ঠিকানা বাংলাদেশে পাঠাই। দুই দেশের প্রক্রিয়া শেষে আজ তাদেরকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হলো।  এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনের কনসুলার অফিসার মো. ইলিয়াস উদ্দিন, বিএসএফ ত্রিপুরাস্থ ডেপুটি কমান্ডার রাম নরেশ সিং, আখাউড়া উপজেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রশান্ত কুমার চক্রবর্তী, আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন ওসি হাসান আহমেদ ভূঁইয়া প্রমুখ।
০২ মার্চ, ২০২৪

স্থলবন্দরে মুদ্রা বিনিময় বুথ না থাকায় ভোগান্তি
প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে ইমিগ্রেশনসহ বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা সেরে কাস্টমস ভবনের সামনে পায়চারি করছেন নেপাল সূত্রধর সঙ্গে তার স্ত্রী এবং দুই সন্তান। তিনি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের ধর্মগর এলাকার বাসিন্দা। যাবেন চট্টগ্রাম আত্মীয়ের বাড়ি। সাথে করে নিয়ে এসেছেন ভারতীয় রুপি। তিনি রুপি বিনিময় করে বাংলা টাকা কোথায় থেকে নিবেন তা খোঁজ করছেন। স্থলবন্দর থেকে রেলওয়ে স্টেশন এবং স্টেশনে গিয়ে চট্টগ্রাম যাওয়ার টিকিট নিতে তার বাংলা টাকার প্রয়োজন। কিন্তু এই স্থলবন্দরে কোন ব্যাংক অথবা মানি এক্সচেঞ্জে (মুদ্রা বিনিময় বুথ) না থাকায় তিনি ভোগান্তিতে পড়ছেন।  ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর উত্তরপূর্ব ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগের মাধ্যম। ১৯৯৪ সাল থেকে আখাউড়া স্থল শুল্কস্টেশন দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি চলছে। পরবর্তী সময়ে বাণিজ্যিক গুরুত্ব বাড়ায় ২০০৮ সালে স্থল শুল্কস্টেশন থেকে পূর্ণাঙ্গ বন্দর হিসেবে যাত্রা শুরু করে আখাউড়া স্থলবন্দর। দিনে দিনে যাত্রীদের কাছে যোগাযোগের ক্ষেত্রে পছন্দের পথ হয়ে উঠেছে আখাউড়া স্থলবন্দরটি। যাত্রীদের কাছ থেকে ভ্রমণ কর বাবদ রাজস্ব আহরণও বাড়ছে। তবে যাত্রী পারাপার ও রাজস্বের পরিমাণ বাড়লেও সোনালি ব্যাংকের একটি বুথের মাধ্যমে শুধু মাত্র ভ্রমণ করা নেওয়া হয়। মুদ্রা বিনিময় বুথ অথবা মানি এক্সচেঞ্জে নেই আখাউড়া স্থলবন্দরে। চিকিৎসা ও ভ্রমণের উদ্দেশে প্রতিদিন ৭০০ থেকে ৮০০ যাত্রী আখাউড়া স্থলবন্দর ব্যবহার করে বাংলাদেশ-ভারতে যাতায়াত করেন। বিভিন্ন উৎসবে এ সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়। পণ্য রপ্তানি আয়ের পাশাপাশি সরকার যাত্রীদের ভ্রমণ কর বাবদও বিপুল রাজস্ব পায় বন্দরটি থেকে।  আখাউড়া স্থলবন্দর পার হলেই আগরতলা শহর। সেখান থেকে মাত্র ২০ মিনিটের পথ পাড়ি দিলেই আগরতলা বিমানবন্দর। এ ছাড়া রেলস্টেশনও শহরের কাছাকাছি। ফলে আকাশ ও রেলপথ ব্যবহার করে বাংলাদেশি যাত্রীরা দেশটির পর্যটন শহরগুলোয় যাতায়াত করতে পারেন। এতে খরচও সাশ্রয় হয়। মূলত এসব কারণেই আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে যাত্রী পারাপার বাড়ছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। আখাউড়া স্থল শুল্কস্টেশন কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, ২০২১-২২ অর্থবছরে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে যাত্রী পারাপার হয়েছেন ১ লাখ ৫৬ হাজার ৩০৪ জন আর ২০২২-২৩ অর্থবছরে যাত্রী পারাপার হয়েছেন ২ লাখ ৮১ হাজার ৬৬৫ জন যাত্রী। চলতি অর্থবছরের জানুয়ারি পর্যন্ত বন্দর দিয়ে যাত্রী পারাপারের সংখ্যা ছিল প্রায় ১ লাখ ৩৭ হাজার ৯৯৩ জন যাত্রী। রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আখাউড়া চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন ভবনের সামনে কথা হয় ফজলুর রহমান ও আকাশ মিয়া নামে দুজন ভারতীয়ের সাথে তারা ইজতেমায় গিয়ে ছিলেন এখন ফিরে যাচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার এ পথে বাংলাদেশে প্রবেশ করে ভারতীয় রুপি নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েন। পড়ে দালালের মাধ্যমে অনেক কম মূল্যে রুপির বিনিময়ে বাংলা টাকা নেন।  তারা বলেন, এ বন্দরে ব্যাংক অথবা মানি এক্সচেঞ্জে থাকাটা খুব জরুরি। কারণ এপথে প্রতিদিন বহু মানুষ যাতায়াত করে থাকে মানি এক্সচেঞ্জে বা ব্যাংক নাথাকায় ভারতীয় রুপি ও বাংলা টাকা নিয়ে প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছে যাত্রীরা। আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করেন ঢাকার বাসিন্দা জামিল রহমান- তিনি বলেন, তার ডলার এন্ডোস করা আছে। কিন্তু ডলার সংকটের কারণে তিনি বাংলা টাকা সাথে করে নিয়ে যাচ্ছে। ওপার গিয়ে বিনিময় করে ভারতীয় রুপি নেবেন। এ বন্দরে যদি ব্যাংক অথবা মানি এক্সচেঞ্জে থাকতো তাহলে তার ভোগান্তি কম হতো। কারণ ওপারে বাংলা টাকা বিনিময় করলে তার সঠিক মূল্য পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ করেন।  তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের এই বন্দরটি ব্যবসা এবং যোগাযোগের ক্ষেত্রে যেহেতু গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এ জন্য এখানে ব্যাংক অথবা মানি এক্সচেঞ্জের খুব প্রয়োজন। ব্যাংক বা মানি এক্সচেঞ্জে না থাকায় যাত্রীদের ভোগান্তির কথা স্বীকার করে আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ুম তালুকদার কালবেলা কে বলেন, বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর আখাউড়া। দিন দিন এপথে যাত্রী পারাপার বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে করে সরকারেরও রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখানে যদি সোনালি ব্যাংকের একটি শাখা বা মানি এক্সচেঞ্জে হয় তাহলে যাত্রীরা সহজে তাদের টাকা বা ভারতীয় রুপি বিনিময় করতে পারতো।আমরা বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলবো। এই সমস্যা সমাধান হলে এই স্থলপথ হবে যাত্রীদের প্রথম পছন্দ।
২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

আখাউড়া ইমিগ্রেশনে সার্ভারে ধীরগতি ভোগান্তি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন পুলিশ চেকপোস্টের সার্ভার দুর্বলতায় পারাপারে ধীরগতির কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন বাংলাদেশ ও ভারতের যাত্রীরা। গতকাল বুধবার সকাল থেকেই এ সমস্যা দেখা দেয়। আখাউড়া ইমিগ্রেশন পুলিশ জানায়, হঠাৎ যাত্রীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় তাদের সার্ভারের গতি কমে যায়। সফটওয়্যার টেকনিক্যাল টিমের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছে, তাদের ইমিগ্রেশনে যে সার্ভার রয়েছে সেটির ধারণক্ষমতা কম থাকায় যাত্রীদের চাপে ইমিগ্রেশন সম্পূর্ণ করতে সময় নিচ্ছে। ইমিগ্রেশন অফিস সূত্রে জানা গেছে, আখাউড়া ইমিগ্রেশন অফিসে তিনটি কম্পিউটার ডেস্ক রয়েছে। এর মধ্যে দুটি ডেস্কে বহির্গমন এবং এটিতে আগমনী যাত্রীদের ইমিগ্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। বুধবার সকাল থেকে যাত্রীর চাপ বেড়ে গেলে যে কাজ করতে ১-২ মিনিট লাগার কথা, সেই কাজ করতে সময় লাগছে ১৫-২০ মিনিট। এ সময় ভারত-বাংলাদেশগামী শত শত যাত্রী লাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন। এতে নারী শিশুসহ রোগীরা ভোগান্তিতে পড়ে। ইমিগ্রেশন এলাকা ছোট হওয়ায় বসার মতো পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় রোগী, শিশু ও বয়স্কদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সব চেয়ে বেশি। ভারতে চিকিৎসা নিতে যাওয়া মৌলভীবাজারের মো. মহসিন আলী বলেন, আমার বৃদ্ধ মাকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ভারতে যাচ্ছি। সকাল থেকে দুই ঘণ্টা ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। কাজ হচ্ছে কচ্ছপগতিতে। সিলেটের ঈষিতা দেব রায় বলেন, পরিবার নিয়ে ভারতে ঘুরতে যাচ্ছি। সকাল সাড়ে ১০টায় ইমিগ্রেশনে এসে সার্ভার ধীরগতির কারণে বিড়ম্বনায় পড়েছেন। এ বিষয়ে আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেক পোস্টের ইনচার্জ হাসান আহমেদ বলেন, সার্ভারের ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশী যাত্রীর কারণে কার্যক্রমে কিছুটা ধীরগতি দেখা দিয়েছে। বিষয়টি প্রকৌশল বিভাগের পাশাপাশি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।
২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

তিন দিনের ছুটিতে আখাউড়া স্থলবন্দর
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম তিন দিন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী শনিবার (৬ জানুয়ারি) থেকে সোমবার (৮ জানুয়ারি) পর্যন্ত এ বন্দর দিয়ে সকল প্রকার আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) থেকে যথারীতি আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে। তবে এ সময় পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে। আখাউড়া স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন বৃহস্পতিবার বিকেলে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে। আখাউড়া চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ হাসান আহমেদ ভুঁইয়া জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও দুই দেশের পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বলেন, ব্যবসায়ী সংগঠনের সঙ্গে পরামর্শ করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে এ বন্দর দিয়ে তিন দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ৯ জানুয়ারি মঙ্গলবার থেকে যথারীতি আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে।
০৫ জানুয়ারি, ২০২৪

আখাউড়া স্থলবন্দরে আমদানিতে ধীরগতি, কমছে রাজস্ব
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর রপ্তানিমুখী হওয়ায় এ বন্দরে রাজস্ব আয়ের কোনো লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ থাকে না। তবে পণ্য আমদানিতে ধীরগতির কারণে ক্রমাগত কমছে রাজস্ব আয়। এ ছাড়া রপ্তানি বাণিজ্যও কমেছে প্রায় ৫০ শতাংশ। তবে সম্ভাবনাময় এ বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে উদ্যোগী সরকার। ১৯৯৪ সাল থেকে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য চলছে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে। ভৌগোলিক অবস্থানের ফলে ভারতীয় ব্যবসায়ীরাও এ বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি করে লাভবান। তবে চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা আর নানা সংকটে পূর্বের চেয়ে প্রায় ৫০ শতাংশ কমে এখন দিনে এক লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি হচ্ছে ভারতে। এ ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে গতি নেই আমদানি বাণিজ্যেও। ফলে কমছে রাজস্ব। নতুন অর্থবছরেও আশানুরূপ বাণিজ্যও হচ্ছে না বন্দরে। যদিও আন্তঃদেশীয় বাণিজ্য বাড়াতে বন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়নে ৮০ কোটি টাকার একটি উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া পণ্য পরিবহন সহজ ও সাশ্রয়ী করতে ৫ হাজার ৭৯১ কোটি টাকা ব্যয়ে আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত নির্মিত হচ্ছে চারলেনের জাতীয় মহাসড়ক। যার অগ্রগতি ৫০ শতাংশেরও বেশি। তবে ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বেগবান করতে অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করার পাশাপাশি সবধরনের পণ্য আমদানির সুযোগ দিতে হবে। আখাউড়া স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. নাসির উদ্দীন বলেন, সরকারের নীতিমালার মধ্যে আমরা আটকানো। আমরা চাই সরকার নীতিমালাটা পরিবর্তন করে নিষিদ্ধ পণ্য ছাড়া সকল পণ্য আমদানির অনুমতি দেওয়া হোক। কখন কোন পণ্যের চাহিদা তৈরি হবে, সেটি আগে থেকে বলা যাবে না। সে জন্য সব পণ্য আমদানির অনুমতি প্রয়োজন, যাতে যখন যে পণ্যের চাহিদা থাকবে তখন যেন সে পণ্য আমদানি করা যায়। যদি এ সুযোগটি দেওয়া হয় তাহলে ব্যবসায়ীরা যেমন লাভবান হবেন, তেমনি সরকারেরও রাজস্ব বাড়বে। পাশাপাশি আমদানি না হওয়ায় এখন বন্দরে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে, সেটি কেটে গিয়ে বন্দর আরও চাঙা হবে। বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে বাণিজ্য বাড়বে। পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের কাঙ্ক্ষিত পণ্য আমদানির অনুমোদনের বিষয়টিও দ্রুত সুরাহা হবে। আখাউড়া স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের ওয়্যারহাউজ সুপারিন্টেন্ডেন্ট মো. সামাউল ইসলাম বলেন, বলেন, আখাউড়া স্থলবন্দরে প্রায় ৮০ কোটি টাকার একটি উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। যার মধ্যে ওয়্যারহাউজ থাকবে, কোল্ডস্টোর থাকবে আর থাকবে দুটি স্কেল। পাশাপাশি চারলেন মহাসড়ক নির্মাণ হচ্ছে। এই সব কাজ সম্পূর্ণ হলে আশা করছি এই বন্দর দিয়ে আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম অনেক বৃদ্ধি পাবে। আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশন কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য মতে, কয়েক অর্থবছরের আমদানি-রপ্তানি এবং রাজস্ব আয়ের চিত্র ২০২১-২২ অর্থবছরে রপ্তানি হয় ৬৮০ কোটি ১১ লাখ ৯৯ হাজার ১৭৪ টাকার পণ্য। বিপরীতে আমদানি হয় ২৮৮ কোটি ৪১ লাখ ১৩ হাজার ৪৬৮ টাকার পণ্য। এ থেকে সরকার রাজস্ব পায় ৭ কোটি ৬১ লাখ ৬৯ হাজার ৪১০ টাকা। আর ২০২২-২৩ অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছে ৩৭৬ কোটি ২৩ লাখ ২০ হাজার ৯১১ টাকা। আর আমদানি হয়েছে মাত্র ৬৫ কোটি ৯৩ লাখ ১৫ হাজার ২৮ টাকার পণ্য। যা থেকে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৫৫ লাখ ৭৮ হাজার ৬৯৮ টাকা। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভারতে রপ্তানি হয়েছে ৬০ কোটি ৩৭ লাখ টাকার পণ্য। আর এ সময়ে আমদানি হয়েছে প্রায় ৭৬ লাখ টাকার পণ্য। যা থেকে সরকার রাজস্ব পেয়েছে প্রায় ৪৭ লাখ টাকা। বর্তমানে হিমায়িত মাছ, রড, সিমেন্ট ও প্লাস্টিক পণ্য সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হচ্ছে। আর আমদানি হচ্ছে ভাঙা পাথর, আদা ও পেঁয়াজ। মূলত বন্দর দিয়ে এখন যেসব পণ্য আমদানির অনুমোদন আছে, তার বেশিরভাগই কম চাহিদা সম্পন্ন। ফলে এগুলো আমদানি করেন না ব্যবসায়ীরা। 
০৭ নভেম্বর, ২০২৩
X