আইসিটি ডিভিশনে লোকবল নেবে ওয়ালটন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। প্রতিষ্ঠানটির আইসিটি ডিভিশন ‘এইচআর কো-অর্ডিনেটর’ পদে একাধিক জনবল নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন আগামী ১০ জুলাই পর্যন্ত। প্রতিষ্ঠানের নাম : ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি পদ ও বিভাগের নাম : এইচআর কো-অর্ডিনেটর (আইসিটি ডিভিশন) আবেদনের বয়সসীমা : সর্বোচ্চ ৩৫ বছর পদসংখ্যা : ০১টি কর্মস্থল : ঢাকা বেতন : আলোচনা সাপেক্ষে অভিজ্ঞতা : কমপক্ষে ৪ বছর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখ : ২৩ জুন, ২০২৪ কর্মঘণ্টা : ফুল টাইম কর্মক্ষেত্র : অফিস প্রার্থীর ধরন : নারী-পুরুষ (উভয়) আবেদনের শেষ তারিখ : ১০ জুলাই, ২০২৪ শিক্ষাগত যোগ্যতা : কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ব্যাচেলর অব সায়েন্স (বিএসসি), এইচআরএম-এ এমবিএ ডিগ্রি থাকতে হবে। অন্যান্য যোগ্যতা : কম্পিউটার হার্ডওয়্যার/সফটওয়ার/নেটওয়ার্ক, প্রো-অ্যাকটিভ, স্ব-প্রণোদিত, ভালো যোগাযোগসহ শক্তিশালী উপস্থাপনা থাকতে হবে। অন্যান্য সুবিধা : মোবাইল বিল, পারফরমেন্স বোনাস, লাভ শেয়ার, প্রভিডেন্ট ফান্ড, ইন্স্যুরেন্স, আংশিক ভর্তুকিসহ দুপুরের খাবার, বার্ষিক বেতন পর্যালোচনা, বছরে দুটি উৎসব ভাতা ছাড়াও প্রতিষ্ঠানের নীতি অনুযায়ী বিভিন্ন সুবিধা পাবেন। যেভাবে আবেদন করবেন : আগ্রহীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
২৪ জুন, ২০২৪

রুয়ান্ডার আইসিটি মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে পলকের বৈঠক
রুয়ান্ডার আইসিটি ও উদ্ভাবনমন্ত্রী পলা ইঙ্গাবির এবং আঞ্চলিক সহযোগিতার দায়িত্বে থাকা পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কাবারেবে জেমসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। গতকাল শনিবার রুয়ান্ডার রাজধানী কিগালিতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা, বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ইস্যুতে এই বৈঠক হয়। পলা ইঙ্গাবিরের সঙ্গে প্রতিমন্ত্রীর বৈঠকে ডিজিটাল অর্থনীতি, আইসিটি ও টেলিযোগাযোগ খাতে শক্তিশালী অংশীদারিত্ব গড়ে তোলা এবং কৌশলগত সহযোগিতার মাধ্যমে উদ্ভাবনের অঙ্গীকার করেন তারা। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গ সাক্ষাৎকালে প্রতিমন্ত্রী পলক বাংলাদেশে রুয়ান্ডা মিশন খোলার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন। দুদেশের মধ্যে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ককে শক্তিশালী করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে এটি চিহ্নিত হয়েছে।
০৯ জুন, ২০২৪

আইসিটি মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী পলকের বৈঠক
রুয়ান্ডার তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) ও উদ্ভাবন মন্ত্রী পলা ইঙ্গাবির এবং আঞ্চলিক সহযোগিতার দায়িত্বে থাকা পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জেনারেল (অব.) কাবারেবে জেমস এর সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশের ডাক , টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। শনিবার (৮ জুন) পলক রুয়ান্ডার রাজধানী কিগালিতে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা, বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ইস্যুতে এই বৈঠক করেন। এ সময় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করা এবং সহযোগিতার জন্য নতুন উপায় অন্বেষণের বিষয়ে তারা আলোচনা করেন।   পলা ইঙ্গাবিরের সঙ্গে বৈঠকে ডিজিটাল অর্থনীতি, আইসিটি এবং টেলিযোগাযোগ খাতে একটি শক্তিশালী অংশীদারিত্ব গড়ে তোলা এবং উভয় পক্ষই কৌশলগত সহযোগিতার মাধ্যমে উদ্ভাবন এবং অগ্রগতি চালনা করার জন্য অঙ্গীকার প্রকাশ করেন। প্রতিমন্ত্রী পলক সহযোগিতার সম্ভাব্য সুবিধার ওপর জোর দিয়ে বলেন, পাওলা ইঙ্গাবায়ের এবং তার দলের সাথে আলোচনা ডিজিটাল অর্থনীতিতে পারস্পরিক প্রবৃদ্ধি এবং উন্নয়নের জন্য অনেক সুযোগ উন্মুক্ত করেছে।  উভয় দেশ উদ্ভাবন ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য আইসিটি এবং টেলিযোগাযোগের শক্তিকে কাজে লাগানোর জন্য একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। অন্যদিকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জেনারেল (অব.) কাবারেবে জেমসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে প্রতিমন্ত্রী পলক বাংলাদেশে একটি রুয়ান্ডা মিশন খোলার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন। দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ককে শক্তিশালী করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে এটি চিহ্নিত হয়েছে। উভয় পক্ষই নলেজ পার্টনারশিপ প্রতিষ্ঠার জন্য একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করার জন্য গভীর আগ্রহ দেখিয়েছে, যা দক্ষতা ও উদ্ভাবনের আদান-প্রদান সহজতর করে।  
০৮ জুন, ২০২৪

আইসিটি খাতের কর অব্যাহতি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে আইসিটি খাতে কর অব্যাহতির সুবিধা দিয়ে আরও অন্তত ১৯টি সেবা নতুন করে যুক্ত হয়েছে। পাশাপাশি হাইটেক পার্কের ক্ষেত্রে শুল্ক বাড়ানোরও প্রস্তাব করা হয়েছে বাজেটে। এই বাজেটকে একদিকে যেমন সাধুবাদ জানাচ্ছেন আইসিটি উদ্যোক্তারা, তেমনি কেউ কেউ হতাশা ব্যক্ত করেছেন। আইসিটিতে নতুন যুক্ত ১৯টি সেবা খাত হলোÑহলোÑএআই বেইজড সলিউশন ডেভেলপমেন্ট, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, ব্লকচেইন বেইজড সলিউশন ডেভেলপমেন্ট, রোবোটিক্স প্রসেস আউটসোর্সিং, সফটওয়্যার অ্যাজ অ্যা সার্ভিস, সাইবার সিকিউরিটি সার্ভিস, ডিজিটাল ডাটা অ্যানালাইটিক্স ও ডাটা সায়েন্স, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট সার্ভিস, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ও কাস্টমাইজেশন, সফটওয়্যার টেস্ট ল্যাব সার্ভিস, ওয়েব লিস্টিং, ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট ও সার্ভিস, আইটি সহায়তা ও সফটওয়্যার মেইনটেন্যান্স সার্ভিস, জিওগ্রাফিক অ্যানিমেশন ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডিজিটাল ডাটা এন্ট্রি ও প্রসেসিং, ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্ম ও ই-পাব্লিকেশন, আইটি ফ্রিল্যান্সিং, কল সেন্টার সার্ভিস এবং ডকুমেন্ট কনভারশন, ইমেজিং ও ডিজিটাল আর্কাইভিং। এই আইটি সেবাগুলোকে ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত করমুক্ত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে এসব সেবার ব্যবসা থেকে উদ্ভূত আয়, সব ব্যবসায়িক কার্যক্রম ‘ক্যাশলেস’ হওয়ার শর্ত দেওয়া হয়েছে প্রস্তাবনায়। পাশাপাশি অপটিক্যাল ফাইবার কেবলের উৎপাদন পর্যায়ে ৫ শতাংশের অতিরিক্ত মূল্য সংযোজন কর (মূসক) অব্যাহতির মেয়াদও আগামী ২০২৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। অর্থ্যাৎ আইটি খাত সংশ্লিষ্ট উল্লিখিত সেবা ও পণ্য আরও ৩ বছর কর অব্যাহতি সুবিধা পাচ্ছে। এফবিসিসিআই উপদেষ্টা ও বেসিসের সাবেক সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর তিন বছরের কর অব্যাহতি এবং অব্যাহতিপ্রাপ্ত সেবার তালিকা বৃদ্ধিকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, আইটি প্রসেস আউটসোর্সিং, মেডিকেল ট্রান্সক্রিপশন, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন—এই সেক্টরগুলোতে প্রচুর পরিমাণে পরিষেবা রপ্তানি করি। এসবের ওপর কর অব্যাহতি না থাকলে খরচ বেড়ে যাবে, ফলে রপ্তানি বাজারে প্রতিযোগিতার সামর্থ্য হারাবে এবং রপ্তানি কমে যাবে। হাইটেক পার্কের সেবায় কর আরোপ: হাইটেক পার্ক বা এ ধরনের অর্থনৈতিক অঞ্চলের ডেভেলপার এবং বিনিয়োগকারীরা শূন্য শতাংশ (০%) আমদানি শুল্ক সুবিধা ভোগ করে আসছিলেন। বাজেটে এই সুবিধা কর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে। হাইটেক পার্কে অবস্থিত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক মূলধনি যন্ত্রাংশ ও নির্মাণ সামগ্রী আমদানিতে দুই ধরনের পণ্য সামগ্রীতে শূন্য শতাংশ আমদানি শুল্কের পরিবর্তে ১ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। পাশাপাশি ডেভেলপার কর্তৃক উন্নয়ন কাজে ব্যবহৃত পণ্য আমদানিতে শূন্য শতাংশ আমদানি শুল্কের পরিবর্তে ৫ শতাংশ নির্ধারণে সুপারিশ করেছেন অর্থমন্ত্রী। এ বিষয়ে বেসিসের পরিচালক ও হাইটেক পার্কে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান বন্ডস্টাইন টেকনোলজিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কালবেলাকে বলেন, বিভিন্ন ধরনের কর রেয়াতি সুবিধার প্রতিশ্রুতি দিয়েই হাইটেক পার্কে বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করা হয়েছে। দেশে ২৮টি হাইটেক পার্ক রয়েছে, যেগুলোতে শতাধিক দেশি-বিদেশি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ রয়েছে। ২০২৫ সাল নাগাদ এসব পার্কে ৩ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রত্যাশা রয়েছে। তবে বিনিয়োগকারীদের জন্য শুরুতেই একটি বাধা হিসেবে কাজ করবে শুল্ক বৃদ্ধির এ সিদ্ধান্ত। বিশেষ করে, সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগে প্রভাব ফেলবে বিষয়টি।
০৮ জুন, ২০২৪

আইসিটি বিভাগের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আরএডিপি সভা অনুষ্ঠিত
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের মে মাসের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (আরএডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতিবিষয়ক পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৩ জুন) আইসিটি বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন।   বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিনের সভাপতিত্বে সভায় বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরসহ বিভাগের অধীন বিভিন্ন সংস্থা প্রধান এবং বিভিন্ন প্রকল্প পরিচালক উপস্থিত ছিলেন। সভায় আইসিটি বিভাগের চলতি অর্থবছরে গৃহীত প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়ন পরিকল্পনা, মাসভিত্তিক বাস্তব ও আর্থিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ এবং জনবল নিয়োগসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এসময় মোবাইল গেইম অ্যান্ড অ্যাপ্লিকেশনের দক্ষতা উন্নয়ন, জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের আইসিটি অবকাঠামো, দীক্ষা-দক্ষতা উন্নয়নে শিক্ষা অনলাইনে, লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট (২য় সংশোধিত), এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) প্রোগ্রাম, উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠাকরণ, গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলা ভাষা সমৃদ্ধকরণ, ডিজিটাল সিলেট সিটি, বাংলাদেশ সরকারের জন্য নিরাপদ ই-মেইল, বিজিডি ই-গভ সিআইআরটির সক্ষমতা বৃদ্ধি, ভিডিও কনফারেন্সিং প্ল্যাটফর্ম শক্তিশালীকরণ, কানেক্টেড বাংলাদেশ, সিসিএ কার্যালয়ের সিএ মনিটরিং, জেলা পর্যায়ে আইটি/হাই-টেক পার্ক স্থাপন, শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব, ইনফো সরকার-৩ প্রকল্প, বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটি-২ এর সহায়ক অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প, দুর্গম এলাকায় তথ্যপ্রযুক্তি নেটওয়ার্ক স্থাপন শীর্ষক প্রকল্প, শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন প্রকল্প, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্ক রাজশাহী (২ম সংশোধিত) প্রকল্প, লিভারেজিং আইসিটি ফর এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড গ্রোথ অব দ্য আইটি-আইটি ইএস ইন্ডাস্ট্রি প্রকল্প, জাপানিজ আইটি সেক্টরের উপযোগী করে আইটি ইঞ্জিনিয়ারদের দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্প, ডিজিটাল লিটারেসি সেন্টার স্থাপন প্রকল্প, ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি স্থাপন ও প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন, শিফট প্রকল্প, ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন প্রকল্পসহ অন্যান্য সব প্রকল্পের আর্থিক ও বাস্তব অগ্রগতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। সংস্থা প্রধান ও প্রকল্প পরিচালক নিজ নিজ প্রকল্পের বাস্তবায়ন পরিকল্পনা ও সর্বশেষ অগ্রগতি সভায় তুলে ধরেন। সভায় জানানো হয়, আইসিটি বিভাগের মে ২০২৪ পর্যন্ত প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি ৮৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ। উল্লেখ্য, চলতি অর্থবছরে আইসিটি বিভাগের অধীন দুটি কারিগরিসহ মোট ২৬টি প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ২ হাজার ১২০ কোটি ৮১ লাখ টাকা। প্রতিমন্ত্রী কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী গুণগতমান বজায় রেখে দ্রুত প্রকল্পসমূহের অগ্রগতি শতভাগ নিশ্চিত এবং যথাসময়ে কাজ শেষ করতে প্রকল্প পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করেন। প্রকল্প পরিচালক প্রকল্পসমূহের কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
০৩ জুন, ২০২৪

আইসিটি খাতে জাপানি বিনিয়োগ চান পলক
বাংলাদেশের ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) খাতে বিনিয়োগের জন্য জাপানি বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশ আইটি বিজনেস সামিট-২০২৪’ অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান। আইটি ও আইটিইএস খাতে বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করতে এ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্যে পলক বলেন, স্বাধীনতা থেকে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত জাপান বাংলাদেশের বিশ্বস্ত উন্নয়ন সহযোগী। হাইওয়ে কমিউনিকেশন, মেট্রোরেল, থার্ড টার্মিনাল, মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর ইত্যাদিসহ বিভিন্ন মেগা প্রজেক্টে জাপান সফলতার সঙ্গে কাজ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় দীর্ঘমেয়াদি ভিশন নিয়ে পোস্ট, টেলিকম এবং আইসিটি খাতে বিনিয়োগ করতে জাপানি বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি, বাংলাদেশ স্টার্টআপ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ, বেসিসের সভাপতি মি. রাসেল টি আহমেদ।
১০ মে, ২০২৪

আইসিটি খাতে বিনিয়োগে জাপানের প্রতি আহ্বান পলকের 
বাংলাদেশের ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) খাতে বিনিয়োগের জন্য জাপানি বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশ আইটি বিজনেস সামিট-২০২৪’ অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান তিনি। আইটি ও আইটিইএস খাতে বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করতে এ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পলক বলেন, স্বাধীনতা থেকে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত জাপান বাংলাদেশের বিশ্বস্ত উন্নয়ন সহযোগী। হাইওয়ে কমিউনিকেশন, মেট্রোরেল, থার্ড টার্মিনাল, মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর ইত্যাদিসহ বিভিন্ন মেগা প্রজেক্টে জাপান সফলতার সঙ্গে কাজ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় দীর্ঘমেয়াদি ভিশন নিয়ে পোস্ট, টেলিকম এবং আইসিটি খাতে বিনিয়োগ করতে জাপানি বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন- ইলেকট্রনিক্স, ডিজিটাল ডিভাইস ম্যানুফ্যাকচারিং, অ্যাসেম্বলিং প্ল্যান্ট, সফ্টওয়্যার, আইসিটি শিল্প এবং স্টার্টআপে জাপানি কোম্পানিগুলির আগ্রহ দেখেছি। বর্তমানে বাংলাদেশে দুই হাজার ৫০০টি স্টার্টআপ রয়েছে এবং তাদের মধ্যে ২০০টি স্টার্টআপ জাপান, সিঙ্গাপুর, ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ ২ বিলিয়ন ডলার পেয়েছে। এটি দেখায় যে বাংলাদেশি স্টার্টআপগুলো বিশ্বব্যাপী বৃদ্ধি এবং বিশ্বাস অর্জন করেছে। এইসব সাফল্যের পাশাপাশি দক্ষ মানবসম্পদ, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, বাজার মাপযোগ্যতা, পলিসি, সরকারি সহায়তা এবং লজিস্টিক সব ক্ষেত্রে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি করেছে। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি, বাংলাদেশ স্টার্টআপ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ, বেসিসের সভাপতি মি. রাসেল টি আহমেদ।
০৯ মে, ২০২৪

প্রথমবারের মতো স্টার্টআপ উদ্যোক্তাদের জন্য সার্টিফিকেট কোর্স 
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের আওতাধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) ‘উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠাকরণ (আইডিয়া)’ প্রকল্প বিভিন্ন পর্যায়ের স্টার্টআপ উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের কার্যক্রম শুরু করছে। ‘আইডিয়া একাডেমি জুন-২৪ কোহোর্ট’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের আওতায় ৩টি সার্টিফিকেট কোর্সে মোট ৯০ জন উদ্যোক্তাকে এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। কোর্সে আবেদন গ্রহণের শেষ সময় আগামী রোববার ৫ মে। বৃহস্পতিবার (২ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় আইসিটি বিভাগ। এতে বলা হয়, স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড এবং স্টুডেন্ট টু স্টার্টআপ ভেঞ্চারস লিমিটেডের সার্বিক সহযোগিতায় আয়োজিত এ একাডেমিক কোর্সগুলোর সেশন ও অন্যান্য কার্যক্রম ১২ মে থেকে ১৩ জুন অনুষ্ঠিত হবে। রাজধানীর আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারের আইডিয়া প্রকল্প কার্যালয়ে এর আয়োজন করা হবে।  আইডিয়া একাডেমি জুন-২৪ কোহোর্টের তিনটি কোর্সগুলো হলো :  নিজস্ব কোনো ব্যবসায়িক আইডিয়া নেই কিন্তু উদ্যোক্তা হতে আগ্রহী এমন তরুণ-তরুণীদের জন্য ৮টি সেশন এর  ২০ ক্রেডিটের আইডিয়েশন ও বিজনেজ মডেলসংক্রান্ত কোর্স ভ্যাল্যু সিস্টেম ১০১; নিজস্ব বিজনেস আইডিয়া রয়েছে কিন্তু পরবর্তী ধাপে যাবার জন্য করণীয় সম্পর্কে শিখতে ইচ্ছুকদের জন্য ১২টি সেশন এর ৩০ ক্রেডিটের বেসিক অফ ইনোভেশন, এন্ট্রাপ্রেনারশিপ ও স্টার্টআপসংক্রান্ত কোর্স আইডিয়া বেসিক ১০১; ইতোমধ্যে নিজের একটি স্টার্টআপ নিয়ে কাজ করছেন এবং আইডিয়া প্রকল্প হতে প্রি-সিড পর্যায়ে অনুদান প্রাপ্ত উদ্যোক্তাদের জন্য ১২টি সেশন বিশিষ্ট ৩০ ক্রেডিটের স্টার্টআপ লেজিসলেশন, ডকুমেন্টেশন, ফিন্যান্স, একাউন্টিং এবং ইউনিট ইকোনোমিক্সসংক্রান্ত কোর্স স্টার্টআপ ৩০১। কোর্সগুলো সম্পূর্ণরূপে সরকারি অর্থায়নে করানো হবে ফলে এই সংশ্লিষ্ট কোনো আবেদন বা সার্টিফিকেশন ফি নেই। কোর্সগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এবং আবেদন করতে ভিজিট করতে হবে : https://idea.gov.bd/courses.
০২ মে, ২০২৪

আইসিটি মামলায় ৫ সাংবাদিকের জামিন
ডিজিটাল নিরাপত্তা (আইসিটি) আইনে এক নারী কাউন্সিলরের করা মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের ৫ সাংবাদিকের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছে চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালত।  মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে জেলা জজ মোহাম্মদ জহিরুল কবির উভয় পক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক শেষে এ জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। জামিন পাওয়া পাঁচ সাংবাদিক হলেন- সমকালের নবীনগর প্রতিনিধি মাহবুব আলম লিটন, আমার সংবাদের প্রতিনিধি মো. বাবুল, দৈনিক বর্তমানের প্রতিনিধি মো. সফর আলী, এশিয়ান টিভি ও দেশ রূপান্তরের প্রতিনিধি জ ই বুলবুল এবং দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের প্রতিনিধি মমিনুল হক রুবেল। মামলা সূত্রে জানা যায়, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সেজে ভাতা উত্তোলনের অভিযোগের ভিত্তিতে নবীনগর পৌরসভার নারী কাউন্সিলর নিলুফা ইয়াছমিনের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় গত বছর তাদের নামে সাইবার ট্রাইব্যুনাল চট্টগ্রামে ১৫-২৩নং মামলা হয়। ওই মামলায় চলতি বছরের মার্চ মাসের শেষের দিকে পাঁচ সাংবাদিকের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। পরে তারা গত ২৩ এপ্রিল হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন নেন। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। সাংবাদিকদের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে শুনানিতে অংশ নেন চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট স্বরুপ কান্তি দেবনাথ। এ মামলা থেকে জামিন পাওয়া সাংবাদিকরা জানান, আমরা অভিযোগের ভিত্তিতে পত্রিকায় সংবাদটি প্রকাশ করায় মামলার আসামি হয়েছি। তদন্তকারী কর্মকর্তা আমাদের এ মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। এখন স্থায়ী জামিন পেয়েছি এবং স্থায়ী অব্যাহতিরও দাবি করছি।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতিতে আইসিটি ভূমিকা রাখতে পারে
বিশ্ব অর্থনীতির পরিমণ্ডলে সংগ্রামী একটি জাতি থেকে এক উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তিতে বাংলাদেশের যে রূপান্তর ঘটেছে, ঘটনাটি ম্যাজিকের থেকে কোনো অংশে কম নয়। ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ বলা হতো আমাদের, সেখান থেকে বিশ্ববাজারে এক উল্লেখযোগ্য নাম হয়ে ওঠার পথে দেশটির যাত্রা তার সাহস এবং সংকল্পেরই প্রমাণ দেয়। এখন যে সময়ে আমরা জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতিতে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছি, স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নের অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জগুলোও মোকাবিলা করা শিখতে হবে। এই ভিশন বাস্তবায়নের মর্মে যে শিল্প খাতটি অবস্থান করে, সেটি হচ্ছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাত বা আইসিটি ইন্ডাস্ট্রি; যা বাংলাদেশের সমৃদ্ধিতে প্রধান একটি পরিচালিকা শক্তি হিসেবে ইতোমধ্যে চিহ্নিত হয়েছে। ১.৮ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানিবাজারসহ আইটি সেক্টরে ৩.৪ বিলিয়ন ডলারের একটি বাজার বিদ্যমান। প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা মূল্যমানের বার্ষিক বেতন দিয়ে প্রায় তিন লাখ ব্যক্তিকে নিয়োগ করেছে বাংলাদেশের আইসিটি সেক্টর। আমাদের অর্থনীতির একটি জরুরি ভিত্তি হয়ে উঠেছে শিল্প খাতটি। আমাদের জাতীয় জিডিপিতে এর প্রত্যক্ষ অবদান প্রায় ১.২৫ শতাংশ, পরোক্ষভাবে যা প্রায় ১৩ শতাংশ। এ পরিসংখ্যানগুলো আমি দিচ্ছি সরকারি প্রতিবেদন অনুসারে। রপ্তানি বৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য কৌশলগত একটি খাত হিসেবে আইসিটি শিল্পের গুরুত্ব বেড়েই চলেছে। উচ্চ সিএজিআরসহ ক্রমবর্ধমান একটি খাত আইসিটি, প্রতি বছর ২০ হাজারেরও বেশি লোক নিয়োগ করে চলেছে। আইসিটি শিল্পের সাফল্য উদযাপনের পাশাপাশি আমাদের মনে রাখতে হবে, ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জগুলো সফলতার সঙ্গে উতরে যেতে সঠিক পরিকল্পনা প্রয়োজন। ২০২৪ সালের জুন থেকে আইটি এবং আইটি-এনাবেলড সার্ভিসের জন্য ছাড়কৃত করপোরেট করের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। এই প্রণোদনা বাদে ছোট এবং মাঝারি আকারের আইসিটি কোম্পানিগুলো যেগুলো কি না এই শিল্প খাতের মেরুদণ্ড তৈরি করে, তাদের ব্যবসা ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। হাজার হাজার আইসিটিনির্ভর পেশাজীবীর জীবিকা ঝুঁকির মুখে পড়বে, একটি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার দিকে আমাদের অগ্রযাত্রা বাধাপ্রাপ্ত হবে। আইসিটি শিল্প, ছাড়কৃত করের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হলে তা বাংলাদেশি শিল্প খাতের ইকোসিস্টেমে একটি নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। শিল্পটি প্রতিযোগিতামূলকভাবে পিছিয়ে পড়বে, ফলে কর্মসংস্থান হ্রাস পাবে। এমনকি আইসিটি পেশাজীবীদের বেতন থেকে প্রাপ্য আয়করের অংশটিও কমে যাবে। সার্বিকভাবে অর্থনীতির স্বাস্থ্যকে আইসিটির দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে বলতে পারি, বৈশ্বিক আইটির একটি প্রাণকেন্দ্র হয়ে ওঠার পথে বাংলাদেশের যাত্রায় তা বিঘ্ন ঘটাবে। স্মার্ট বাংলাদেশের রূপকল্প তৈরি হয়েছে এআই, আইওটি, ব্লকচেইন, রোবটিক্স, মেশিন লার্নিংয়ের মতো প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করে। প্রতিটি ক্ষেত্রের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি এগুলো, এসব প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহারে প্রচুর পরীক্ষা-নিরীক্ষা দরকার হয়। নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে যদি প্রযুক্তিগুলো ব্যবহারের সেই উপযুক্ত ক্ষেত্র তৈরি না হয়, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশের ভিশন কখনোই অর্জিত হবে না। উল্লেখ করা প্রয়োজন, স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) পর্যায় থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের পরবর্তী সময়ের জন্য রপ্তানি প্রণোদনার ক্ষেত্রে যে পরিবর্তনগুলো প্রস্তাবিত হয়েছে, তা আমাদের আইসিটি রপ্তানির বৃদ্ধিকে আরও বাধাগ্রস্ত করতে পারে। উত্তরণ-পরবর্তী সময়ে প্রত্যাশিত রপ্তানির ওপর নামমাত্র ২ শতাংশ প্রণোদনা দিলে আইটি রপ্তানির ক্ষেত্রে আমাদের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান নিঃসন্দেহে ক্ষতিগ্রস্ত হবে, বৈশ্বিক ক্যানভাসে আইসিটি পরিষেবার একটি গন্তব্য হয়ে ওঠা শুধু স্বপ্নই থেকে যাবে আমাদের। এই চ্যালেঞ্জগুলো কার্যকরভাবে মোকাবিলা করার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রক পরিষদ এবং জাতীয় পর্যায়ের নীতিনির্ধারকদের একটি সাহসী এবং কৌশলগত অবস্থান নেওয়া দরকার বলে মনে করি। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং উদ্ভাবনের চাকা সচল রাখার ক্ষেত্রে আইসিটি শিল্প যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তা অবশ্যই স্বীকার করতে হবে। এই শিল্পক্ষেত্রের অগ্রযাত্রা বজায় রাখতে সক্রিয় পদক্ষেপ নিতে হবে আমাদের। ২০২৪ সালের পরও আইসিটি সেক্টরের জন্য কর প্রণোদনা যেন চলতে থাকে, রপ্তানি প্রণোদনার নীতিগুলো যেন বৃহত্তর সুবিধার কথা মাথায় রেখে তৈরি হয়, যা অংশগ্রহণকারীদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে এবং এই শিল্প খাতে যত উদ্যোগ ও এসএমই গড়ে উঠেছে, সেগুলো বেড়ে ওঠার জন্য যেন একটি অনুকূল পরিবেশ পায়। সবশেষে বলতে চাই, বাংলাদেশ আজ এক জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতির পথে আছে এবং আইসিটি শিল্প নিঃসন্দেহে এর ভবিষ্যৎ তৈরিতে একটি প্রধান ভূমিকা পালন করবে। তবে এই রূপকল্পের বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে এবং এই সেক্টরে আগামী দিনের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করার স্বার্থে একটি সাহসী ও কৌশলী উপায় অবলম্বন করতে হবে আমাদের। বাংলাদেশের আইসিটি শিল্পকে পূর্ণ সম্ভাবনায় উন্মোচিত করার এখনই সময়। আশা করি, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি চালিয়ে যাব আমরা, উৎসাহিত করব উদ্ভাবনাকে এবং বাংলাদেশিদের জন্য এক উজ্জ্বল এবং সমৃদ্ধতর ভবিষ্যতের পথ প্রশস্ত করে যাব। লেখক: ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও বন্ডস্টাইন টেকনোলজিস লিমিটেড
৩০ এপ্রিল, ২০২৪
X