যে কারণে খালেদা জিয়াকে অ্যাম্বুলেন্স দেয়নি ইউনাইটেড হাসপাতাল
জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। এমন তথ্যই জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব। খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্রে ‘স্থায়ী পেসমেকার’ স্থাপনের পর ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হয় সিসিইউতে। বর্তমানে খালেদা জিয়া আছেন এভারকেয়ার হাসপাতালের কেবিনে।  শুক্রবার মধ্যরাতে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি হলে পরিবারের সিদ্ধান্তেই তাকে হাসপাতালে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাত ২টার পর গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালের কাছে অ্যাম্বুলেন্স ও ইনজেকশন চেয়ে ফোন করে, সেবা না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এজেড এম জাহিদ হোসেন।  রোববার এভারকেয়ার হাসপাতাল এলাকায় খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা জানাতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এমন অভিযোগ করেন তিনি।    শুধু অ্যাম্বুলেন্সই নয়, খালেদা জিয়ার জন্য দুটি ইনজেকশন চেয়ে না পাওয়ায় আক্ষেপ প্রকাশ করেন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত এই চিকিৎসক।  কেন ইনজেকশন ও অ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হয়নি সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে এই বিষয়ে জানতে চাইলে ইউনাইটেড হাসপাতালের জনসংযোগ কর্মকর্তা আরিফুল হক বলেন, তাদের কাছে সেবা চেয়ে ফোন করা হলেও তারা জানতেন না কার জন্য এই সেবা।  প্রশ্ন হলো- তবে কি বিপদের সময় রোগীর পরিচয় দিতে হবে? জবাবে তিনি বলেন, আমাদের কাছে একটি ফোন এসেছিল। ঠিকানা বলেছে কিন্তু রোগীর পরিচয় প্রকাশ করেননি। তবে আমরা আমাদের অ্যাম্বুলেন্স দেওয়ার জন্য প্রস্তুত করার পর তারা আর নেয়নি।  বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লক থাকায় ‘স্থায়ী পেসমেকার’ স্থাপন করা হয়েছে। করোনারি কেয়ার ইউনিটে ভর্তির পর দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে সম্পন্ন হয় অস্ত্রোপচার।  হৃদরোগের সমস্যা আগে থেকেই ছিল তার। এর আগেও রিং পরানো হয়েছিল। সবকিছু পর্যালোচনা করে বিদেশি চিকিৎসক ও মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে পেস মেকার বসানো হয়েছে। ৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া আর্থ্রাইটিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন।   
২৪ জুন, ২০২৪

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স নষ্ট, স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স দীর্ঘদিন ধরে বিকল হয়ে পড়ে আছে। এতে ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে রোগী ও তাদের স্বজনরা। এ অবস্থায় জরুরি চিকিৎসাসেবা পেতে বেশি টাকা খরচ করে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সে জেলা শহরে যেতে হচ্ছে রোগীদের। এতে বিপাকে পড়েছে নিম্নআয়ের মানুষজন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সূত্রে জানা গেছে, সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ উপজেলার ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালটির জন্য তিনটি অ্যাম্বুলেন্স দেয়। এর মধ্যে দুটি অ্যাম্বুলেন্স আগে থেকেই অচল। এর মধ্যে আরেকটি নষ্ট হয়ে পড়েছে। উপজেলায় প্রায় তিন লাখ মানুষের বসবাস। অ্যাম্বুলেন্স নষ্ট হওয়ায় বিপাকে উপজেলার বাসিন্দারা।  স্থানীয়দের অভিযোগ, একটি অসাধুচক্রের যোগসাজশে এবং সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থাপনার ঘাটতির সুযোগ নিয়ে একটি চক্র এ হাসপাতালে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবসা গড়ে তুলেছে। হাসপাতালের ভেতরেই তাদের অ্যাম্বুলেন্সের স্ট্যান্ড। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনো পদক্ষেপ নেই।  এ হাসপাতাল থেকে প্রতিদিন অন্তত ৮-১০ জন রোগীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে যেতে হয়। এ ছাড়া হাসপাতালের গ্যারেজে আগে থেকেই দুটি অ্যাম্বুলেন্স বছরের পর বছর নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। এগুলো মেরামত করে কাজে লাগানোর বিষয়েও উদাসীন কর্তৃপক্ষ। জানতে চাইলে অ্যাম্বুলেন্সচালক আব্দুল হাকিম বলেন, হাসপাতালের দুটি অ্যাম্বুলেন্স পরিত্যক্ত। সচল অ্যাম্বুলেন্সটি ১০-১৫ দিন হলো বিকল হয়েছে।  তবে অ্যাম্বুলেন্স নষ্ট হয়ে সেবা বন্ধ থাকার বিষয়টি জানেন না বলে দাবি করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাশেদুজ্জামান কালবেলাকে বলেন, খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২৪ জুন, ২০২৪

বিপদগ্রস্তের গলার কাঁটা অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া
মানুষ অসুস্থ হলে হাসপাতালে যান চিকিৎসা নিতে। অনেক সময় অসুস্থতা এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, রোগীর পক্ষে অন্য কোনো বাহনে হাসপাতালে যাওয়া সম্ভব হয় না। রাতবিরাতে বিপদে পড়া মানুষ তখন অ্যাম্বুলেন্স ডাকে। এরই অপব্যবহার করেন অ্যাম্বুলেন্স পরিচালনাকারীরা। বিপদগ্রস্ত মানুষকে জিম্মি করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করেন তারা। এমনকি সরকারিভাবে সহায়তাকারী জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে অ্যাম্বুলেন্স ডাকা হলেও নেওয়া হয় অতিরিক্ত ভাড়া। সরকারি অ্যাম্বুলেন্স সেবার জন্য কিলোমিটার প্রতি ভাড়া নির্ধারিত থাকলেও বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সের জন্য নেই কোনো নীতিমালা। এই সুযোগে সেবাপ্রত্যাশীর কাছ থেকে মর্জিমতো ভাড়া আদায় করছে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সগুলো। রাজধানীর মালিবাগের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী আরাফাত। ডেলিভারি তারিখের আগেই গত ১০ জুন রাত সাড়ে ১২টায় তার স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি তাৎক্ষণিক অ্যাম্বুলেন্স ডাকতে জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করে বড় মগবাজার আদ-দ্বীন হাসপাতালে যাওয়ার কথা বলেন। জরুরি কল থেকে আল মক্কা অ্যাম্বুলেন্স কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া হয় তাকে। অ্যাম্বুলেন্সের পরিচালক কল ধরেই দূরত্ব জেনে ভাড়া দাবি করেন ১ হাজার ৫০০ টাকা। এর চেয়ে কমে তিনি যাবেন না বলেও সাফ জানিয়ে দেন। অথচ মালিবাগ থেকে আদ-দ্বীন হাসপাতালের দূরত্ব দেড় কিলোমিটারের মতো। রিকশা ভাড়া মাত্র ৬০ টাকা। উবার কিংবা পাঠাওয়ের প্রাইভেটকারে ভাড়া ২০০ টাকারও কম। সামান্য দূরত্বের এ পথ যেতে বাধ্য হয়ে আরাফাত অ্যাম্বুলেন্সে ১ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে স্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতালে যান। শুধু তিনিই নন, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে অ্যাম্বুলেন্স ডেকে অতিরিক্ত ভাড়া পরিশোধ করতে বাধ্য হয়েছেন—এমন কয়েকশ অভিযোগ পাওয়া গেছে। আল মক্কা অ্যাম্বুলেন্সের মালিক মো. দাউদ আলী অভিযোগ স্বীকার করে কালবেলাকে বলেন, মালিবাগ মাটির মসজিদ থেকে মগবাজার আদ-দ্বীন হাসপাতালে আমরা সর্বোচ্চ ১ হাজার টাকা নিই। কিন্তু ওই দিন ১ হাজার ৫০০ টাকা নেওয়া হয়েছিল। সেই টাকা থেকে আমি ৮০০ টাকা, ড্রাইভার ৪০০ এবং দালাল ৩০০ টাকা নিয়েছিল। শাহেদুর ইব্রাহিম নামে একজন জানান, সম্প্রতি তিনি এক রোগী নিয়ে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে শ্যামলীতে যান। সেখানে পৌঁছানোর পর তার কাছ থেকে অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া চাওয়া হয় ১৩ হাজার টাকা। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটির পর ৩ হাজার টাকায় মীমাংসা হয়। মো. জাহিদুল ইসলাম নামে এক ভুক্তভোগী জানান, গত বছরের ৬ ডিসেম্বর তিনি তার বাবাকে মহাখালী বক্ষব্যাধি হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। তার কাছে ভাড়া চাওয়া হয়েছিল ৩ হাজার টাকা। অ্যাম্বুলেন্সে ওঠার পরপর গ্যাস নেওয়ার কথা বলে ২০০ টাকা নেয় চালক। ঢামেকে পৌঁছানোর পর বখশিশ নিয়েছে ২০০ টাকা। অর্থাৎ তার কাছ থেকে সর্বমোট ৩ হাজার ৪০০ টাকা নিয়েছে অ্যাম্বুলেন্সের চালক। যদিও এ পথের জন্য ভাড়া সর্বোচ্চ ১ হাজার টাকা। রাজধানীর উত্তরা-১১ নম্বর সেক্টরের বাসিন্দা সন্তানসম্ভবা রোকসান অর্নির ডেলিভারির আগের দিন রাত ২টায় ওয়াটার ব্রেক (পানি ভাঙা) শুরু হয়। রাতেই তাকে জরুরিভিত্তিতে হাসপাতালে নেওয়া হয়। ৩০ টাকার রিকশা ভাড়ার দূরত্বে তার কাছ থেকে ১ হাজার টাকা অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া নেওয়া হয়। এভাবে সারা দেশেই লাশবাহী ফ্রিজিং অ্যাম্বুলেন্স এবং রোগী বহনকারী বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সগুলো সীমাহীন ভাড়া আদায় করে চলেছে। ভাড়া আদায় নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষেরও কোনো হস্তক্ষেপ নেই। সরকার ইতোমধ্যে সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া নির্ধারণ করে একটি নীতিমালা তৈরি করেছে। কিন্তু সারা দেশের হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্তসংখ্যক সরকারি অ্যাম্বুলেন্স নেই। এ কারণে মানুষ সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের সেবা নিতে পারছে না। তাদের বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সের ওপরই নির্ভর করতে হয়। কিন্তু সীমাহীন ভাড়ায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন সেবাপ্রত্যাশীরা। নীতিমালা না থাকায় ভুক্তভোগীরা প্রতিকার চেয়ে অভিযোগও করতে পারছেন না। এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর কালবেলাকে বলেন, বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সের অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই। এজন্য আমরা একটি ‘কমন অ্যাপ’ নিয়ে কাজ করছি। এটি চালু হলে অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া নির্ধারণ করা হবে। একটি সুস্পষ্ট গাইডলাইন থাকবে। তখন বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতে পারবে না। জানতে চাইলে জাতীয় ভোক্তা-সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এএইচএম সফিকুজ্জামান কালবেলাকে বলেন, বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সগুলোর ভাড়া সরকারিভাবে নির্ধারণ করা নেই। ফলে অভিযোগ এলেও আমরা আইনগতভাবে ব্যবস্থা নিতে পারি না। এজন্য দ্রুত নীতিমালা প্রণয়ন করা জরুরি। তবে কেউ যদি অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ভুক্তভোগী হন বা তাকে বাধ্য করা হয়, তখন তারা অভিযোগ করতে পারেন। আমরা বিষয়টি শুনে সংশ্লিষ্টদের জানাতে পারব।
২৪ জুন, ২০২৪

বগুড়ায় অ্যাম্বুলেন্স চালকদের ধর্মঘট
বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (শজিমেক) বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স চালকরা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করেছেন। মঙ্গলবার (২৮ মে) সকাল থেকে ৩ দফা দাবিতে এ ধর্মঘটের কারণে রোগী পরিবহনে যেমন ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে, তেমনি মরদেহ নিয়েও অপেক্ষার প্রহর গুণতে হচ্ছে স্বজনদের। বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সের এক চালক ও তার সহকারীকে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করা এবং তার অ্যাম্বুলেন্সের জরিমানা করার প্রতিবাদে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমিতি শজিমেক হাসপাতাল শাখা এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন। বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমিতি শজিমেক হাসপাতাল শাখার সভাপতি জাকির হোসেন অভিযোগ করে বলেন, সোমবার (২৭ মে) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে রোগী নামিয়ে দিতে কিছুটা দেরি হওয়ায় একজন অ্যাম্বুলেন্স চালক ও তার সহকারীকে মারধর করা হয়। পরে  তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়। হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়িতে হাতকড়া পরিয়ে আটকে রাখা হয়। পরে ট্রাফিক আইনে ওই অ্যাম্বুলেন্সের দেড় হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে তারা ছাড়া পান। তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে পর্যাপ্ত অ্যাম্বুলেন্স না থাকার কারণেই বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স জরুরি সেবা প্রদান করে। তাদের এভাবে হেনস্তা করার প্রতিবাদে ধর্মঘট আহ্বান করা হয়েছে।’ তাদের ৩ দফা দাবি হলো- হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে থেকে অ্যাম্বুলেন্স চালকদের রোগী পরিবহনের সুবিধা দেওয়া, হাসপাতালের ভেতরে বৈধ অ্যাম্বুলেন্স পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রাখা ও অ্যাম্বুলেন্স চালকদের মারধরের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত করা। জরিমানা দেওয়া অ্যাম্বুলেন্স চালক আরিফ হোসেন বলেন, ‘সোমবার রাতে একজন রোগীকে অক্সিজেনসহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নামিয়ে দিতে গেলে কিছুটা দেরি হয়। এ সময় হাসপাতালের পরিচালক সেখানে পৌঁছে সিকিউরিটি গার্ড ডেকে আমাদের আটক করতে বলেন। তারা আমাদের আটক করে মারধর করে পুরে পুলিশে সোপর্দ করে। হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়িতে ট্রাফিক আইনে দেড় হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে রাতে আমরা ছাড়া পাই।’ শজিমেক হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, হাসপাতাল প্রাঙ্গণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাইরের অ্যাম্বুলেন্স পার্কিং করে রাখার কোনো সুযোগ নেই। তারা হাসপাতালে এসে রোগীদের জিম্মি করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করেন। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার তাদের সতর্ক করা হয়েছে। সোমবার এমন একটি অ্যাম্বুলেন্স পার্কিং অবস্থায় দেখে পুলিশ সেটি আটক করে জরিমানা করেছে। সেখানে কাউকে আটক করা বা মারধরের মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। সরেজমিনে দেখা গেছে, বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স চালকদের ধর্মঘট চলছিল সে সময় অনেক রোগীকে স্থানান্তর এবং সদস্য ছাড়পত্র পাওয়া রোগীদের বাড়ি নিয়ে যেতে তাদের স্বজনরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। কোনো অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে তারা অটোভ্যান এবং সিএনজিচালিত অটোরিকশায় হাসপাতাল ত্যাগ করেন। এদিকে সকালে বগুড়ার শেরপুর এলাকার এক রোগীর মৃত্যুর পর তার স্বজনরা অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে বিকেল পর্যন্ত লাশ নিয়ে অপেক্ষায় ছিলেন সেখানে।  হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত তারেকুল ইসলামের বাবা জসিম উদ্দিন বলেন, ‘এভাবে কতক্ষণ গাড়ির অভাবে বসে থাকতে হবে তা বলতে পারছি না।’ এ বিষয়ে হাসপাতালের উপপরিচালক আবুদল ওয়াদুদ বলেন, ‘বাইরের অ্যাম্বুলেন্স যদি রোগী বা লাশ পরিবহন না করে সেক্ষেত্রে হাসপাতালের সরকারি অ্যাম্বুলেন্স দিয়েই সে কাজ সম্পন্ন করা হবে।’  বগুড়া স্টেডিয়াম ফাঁড়ির ইনচার্জ মিলাদুন্নবী বলেন, আমরা কাউকে গ্রেপ্তার করিনি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দুজনকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। আমরা আইনি প্রক্রিয়ায় তাদের রাতেই ছেড়ে দিয়েছি।
২৮ মে, ২০২৪

সিনেমা হলের বাইরে কেন নেই অ্যাম্বুলেন্স
একঝাঁক তরুণ অভিনয়শিল্পীকে নিয়ে নির্মিত ‘মোনা: জ্বীন-২’ সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে ঈদে। সিনেমাটির প্রযোজক ও জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আবদুল আজিজ এটিকে ভয়ংকর ভয়ের সিনেমা হিসেবে শুরু থেকেই প্রচার চালিয়ে আসছিলেন। সিনেমাটি দেখে কেউ ভয়ে জ্ঞান হারালে নিজস্ব অর্থায়নে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে পাঠাবেন বলেও জানান তিনি। আজিজ বলেছিলেন, প্রতিটি হলের সামনে অ্যাম্বুলেন্স রাখবেন। অথচ সিনেমাটি মুক্তির পর কোনো প্রেক্ষাগৃহের সামনে অ্যাম্বুলেন্সের ছায়াও দেখা যায়নি। বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করলে কালবেলাকে আবদুল আজিজ বলেন, আমরা ঈদের দিন প্রতিটি সিনেমা হলের সামনেই অ্যাম্বুলেন্স রেখেছিলাম। কিন্তু হল থেকে দর্শক ভয় পেয়ে বের হলেও অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নেওয়ার মতো অবস্থা কারও হয়নি। তাই এখন আর আমরা অ্যাম্বুলেন্স রাখছি না। তিনি আরও বলেন, ভৌতিক ধাঁচের ‘মোনা: জ্বীন-২’ সিনেমাটি প্রতিটি শো হাউসফুল যাচ্ছে। সিনেমার সাফল্যে আমরা খুশি। পরিবারসহ আমাদের সিনেমাটি দর্শক দেখছেন। বাংলা সিনেমায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে সিনেমাটি। জাজের দিন জ্বীন সিরিজের দ্বিতীয় কিস্তি ‘মোনা: জ্বীন-২’ নির্মাণ করেছেন কামরুজ্জামান রোমান। সত্য ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মিত হয়েছে ‘মোনা: জ্বীন-২’র চিত্রনাট্য। জামালপুরে এক বাড়িতে জিনের উৎপাত। ঘটনার একপর্যায়ে বাড়ির মালিক নিজ বাড়ি ছেড়ে মাদ্রাসাকে ভাড়া দেন। কিন্তু মাদ্রাসার ছাত্র ও শিক্ষক জিনের উৎপাতে সেই বাড়ি ছেড়ে দেয়। জিন কেন উৎপাত করছে? সে কী চায়? সে কি কারও ক্ষতি করছে? এসব প্রশ্ন সামনে রেখে এগিয়েছে সিনেমার গল্প। এতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন সুপ্রভাত। আরও রয়েছেন তারিক আনাম খান, প্রয়াত আহমেদ রুবেল, দীপা খন্দকার, আরিয়ানা, সাজ্জাদ হোসেন, সামিনা বাসার, মাহমুদুল হাসান মিঠু, শামীম প্রমুখ। জানা গেছে, জ্বীন সিরিজের পাঁচটি কিস্তি পর্যায়ক্রমে আসবে। বাকি গল্পগুলো এরই মধ্যে চূড়ান্ত হয়েছে।
১৭ এপ্রিল, ২০২৪

ইঞ্জিন ত্রুটিতে পুড়ল খুমেকের নতুন অ্যাম্বুলেন্স
যশোরে চলন্ত অ্যাম্বুলেন্সে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। শনিবার (৬ এপ্রিল) বিকেলে যশোর-মাগুরা মহাসড়কের বাহাদুরপুর গ্রামের সার গোডাউনের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের দুটি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় সড়কের দুই পাশে শতাধিক যানবাহনের লম্বা লাইন পড়ে যায়। পুলিশের একাধিক টিম প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।  প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, খুলনা মেডিকেল কলেজের একটি অ্যাম্বুলেন্স যশোর শহরের দিকে যাচ্ছিল। বাহাদুরপুরে পৌঁছলে হঠাৎ আগুন ধরে যায়। এতে মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। যশোর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আজিজুল হক বলেন, ইঞ্জিনে ত্রুটির কারণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খুলনা মেডিকেল কলেজের এই অ্যাম্বুলেন্সটি নতুন। গাড়িতে শুধু ড্রাইভার একা ছিলেন। পরীক্ষামূলকভাবে তিনি গাড়িটি চালাচ্ছিলেন বলে জানিয়েছেন। এ বিষয়ে ইছালী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই আমিনুর রহমান বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর শুনে ঘটনাস্থলে যাই। পরে পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে আসে। জানমালের কোনো ক্ষতি হয়নি। বর্তমানে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক আছে।
০৭ এপ্রিল, ২০২৪

মালিকে দিয়ে চালানো হচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্সের চালক এখন বাগানের মালি মাজেদুর রহমান। হাসপাতালের বাগানের মালি হলেও করেন না মালির কোনো কাজ। অথচ বেতন নেন মালির আবার চালান অ্যাম্বুলেন্সও।  এদিকে দীর্ঘদিন পর অ্যাম্বুলেন্সচালক যোগদান করলেও তাকে দেওয়া হয়নি গাড়ির চাবি। যোগদানের ১৫ দিনের মাথায় হঠাৎ করে বদলি করা হয় লালমনিরহাট জেলাতে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, একটি ফাইল হাতে নিয়ে হাসপাতাল চত্বর ঘুরাঘুরি করছেন অ্যাম্বুলেন্সচালক শাহিনুর। তিনি জানান, ২০১৭ সালের জুলাইয়ের ১৪ তারিখে মাদক মামলায় আটক করে জেল হাজতে পাঠায় পুলিশ। সেসময় তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এরপর কেটে যায় প্রায় ৮টি বছর। এর মধ্যে আদালতের রায় তার পক্ষে আসে এবং পূর্বের কর্মস্থল ঘোড়াঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদানের অনুমতি মেলে। সে অনুযায়ী চলতি বছরের মার্চের ১৫ তারিখে যোগদানও করেন। কিন্তু মাদকাসক্তের অজুহাতে তাকে দেওয়া হয়নি অ্যাম্বুলেন্স চালানোর অনুমতি। এ সময় তাকে ডোপ টেস্ট করতে বলা হয়। ডোপ টেস্ট করার পর সেটাও তার পক্ষে আসে।  তখন মালির সঙ্গে সমন্বয় করে গাড়ি চালাতে বলা হয় তাকে। এতে তিনি অসম্মতি জানান। এদিকে গাড়ির চাবির জন্য বার বার দপ্তরে ঘুরতে থাকেন। আর এই সুযোগে গতমাসের চব্বিশ তারিখে তাকে লালমনিরহাটে যোগদানের জন্য চিঠি দেওয়া হয় এবং সেখানে সাত কার্যদিবসের মধ্যে যোগদান করতে নির্দেশ প্রদান করা হয়। তিনি আরও বলেন, কর্তৃপক্ষ আমাকে যতবার নির্দেশ দেবেন ততবারই আমি ডোপ টেস্ট করতে রাজি আছি। কিন্তু এই অজুহাতে একজন বাগানের মালি বছরের পর বছর অ্যাম্বুলেন্স চালিয়ে যাবে এ কেমন কথা। সরকারি অ্যাম্বুলেন্স চালানোর বিষয়টি স্বীকার করে মালি মাজেদুর জানান, এখানে ড্রাইভার না থাকার কারণে আমাকে অর্ডার দেওয়া হয়েছে গাড়ি চালাতে। তাই আমি দীর্ঘদিন থেকে হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সের চালক হিসেবে আছি। তিনি আরও বলেন, আমি মালির কাজ করি না। সে কাজগুলো অন্য লোক দিয়ে করানো হয়। সে মালির কাজ করে আর আমি ড্রাইভারি করি। ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তৌহিদুল আনোয়ার বলেন, যোগদানের পর জেনেছি এখানে নিয়মিত যিনি অ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার ছিলেন, তিনি একটা মামলার কারণে দীর্ঘদিন বরখাস্ত ছিলেন। তো ওই সময়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্যাররা রোগীর সেবার স্বার্থে ওনাকে (মালি মাজেদুর) দিয়ে গাড়ি চালাতেন। আর এই কারণে সেই সময় থেকে সক্রিয়ভাবে কোনো ড্রাইভার না থাকার কারণে উনিই চালাচ্ছেন এবং তার ( মালি মাজেদুর) পারফরম্যান্স ভালো ছিল। তাই আমি আর পরিবর্তন করিনি এবং এটা কন্টিনিউ আছে। তিনি আরও বলেন, সত্যি বলতে আমি নিজেই এক বছর পর জানতে পারি উনি বাগানের মালি। আর এটা নিয়ে আমি আমার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। ড্রাইভার শাহিনুরকে গাড়ি না দেওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গাড়ি দেওয়া হচ্ছে না বিষয়টা এরকম না। দীর্ঘদিন ধরে সে চাকরির বাইরে ছিল। গত দুই বছর আমি তাকে পাইনি। সে যে ডোপ টেস্ট জমা দিয়েছে, এটা আমার কাছে বিশ্বাসযোগ্য মনে হচ্ছে না। তাকে আমি চাবি দেব না বলিনি, তাকে আমি বলেছি বর্তমানে যিনি আছেন তার সঙ্গে তুমি একটু মিলেমিশে চলো।
০১ এপ্রিল, ২০২৪

চুয়েটে অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে চলছে যাত্রী পরিবহন
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) পরিবহন সেবা নিয়ে অসন্তোষ বেড়েই চলেছে। চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল বাস সেবা নিয়ে শিক্ষার্থীরা বরাবরই অসন্তুষ্ট। এখন যুক্ত হলো অ্যাম্বুলেন্স সেবার যাচ্ছেতাই ব্যবহার। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) রাতে চুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল (ইইই) বিভাগের বিদায়ী বর্ষের (১৮ ব্যাচ) শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান চট্টগ্রাম শহরে ডাক্তার দেখানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে একটি অ্যাম্বুলেন্স বুকিং করে। বুকিং অনুযায়ী সকাল সাড়ে ৮টায় মেডিকেল সেন্টারে গিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে উঠলেও তার সঙ্গে উঠে যায় আরও ৭ জন। এরা কেউই নাজমুলের পূর্বপরিচিত না। এ ঘটনায় বিস্মিত হয়ে নাজমুল ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করে একটি পোস্ট করেন। যে পোস্টের পর বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে অ্যাম্বুলেন্স সেবা নিয়ে তীব্র সমালোচনা সৃষ্টি হয়।    অপরিচিত যাত্রী উঠানো নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স চালক আল আমিনকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, আমি বিষয়টির জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। আমি ইচ্ছেকৃতভাবে কাউকে অ্যাম্বুলেন্সে তুলিনি। ২ জন বাস চালক উঠে গেছেন। তাদের আমি আর নিষেধ করতে পারিনি। আর ডা. মো. আব্দুল্লাহ উঠেছিলেন এবং তিনি সঙ্গে মেডিকেল সেন্টারের এক কর্মচারীকে তার পরিবার নিয়ে উঠতে দিয়েছেন। আমি ডাক্তারের আদেশ মানতে বাধ্য তাই তাদের নিষেধ করিনি। এ বিষয়ে জানতে ডা. মো. আব্দুল্লাহর মোবাইল ফোনে বারবার কল দিয়েও ফোন রিসিভ হয়নি। একই সঙ্গে মেডিকেল সেন্টারের চিফ মেডিকেল অফিসার ড. রানী আকতারের মোবাইল ফোনে বারবার কল দিয়েও ফোন রিসিভ হয়নি।  ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান বলেন, নিয়মানুযায়ী আমাকে অ্যাম্বুলেন্স চালক হাসপাতালে নিয়ে যাবেন এবং ক্যাম্পাসে নিয়ে আসবেন। কিন্তু, আমাকে পথেই নামিয়ে দেয় এবং বাকি যাত্রীদের ঠিকঠাক গন্তব্যে নিয়ে যায়। আমার নামে বুকিং করা অ্যাম্বুলেন্সে যেখানে শুধু আমারই ওঠার কথা ছিল। সেখানে আমাকে ক্যাম্পাসে নিয়েও আসেনি। এ রকম ঘটনা চুয়েটে হরহামেশাই হচ্ছে। আমি জড়িতদের শাস্তির দাবি করছি।   এ বিষয়ে যানবাহন শাখার পরিচালক অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্সে যাত্রী পরিবহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। যদি কারও একান্তই জরুরি প্রয়োজনে গাড়ির দরকার হয় তবে যানবাহন শাখার সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। আমি ওই ঘটনা পর্যবেক্ষণের জন্য ওই চিকিৎসক এবং চালক উভয়ের সঙ্গেই কথা বলব। মেডিকেল সেন্টারের সার্বিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে ছাত্রকল্যাণ দপ্তর। দপ্তরের উপপরিচালক ড. মো. সাইফুল ইসলাম জানান, আমি ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তাকে ই-মেইলে অভিযোগ জানানোর জন্য বলেছি। তার অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা অবশ্যই এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।
০৮ মার্চ, ২০২৪

ভাষার মাসে চালু হলো জামায়াতের আরও ১টি ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সেবা
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে আরও ১টি অ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু করেছে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াত। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দলটির ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের আওতাধীন এ অ্যাম্বুলেন্স সেবা কার্যক্রম চালু হয়। মানবতার কল্যাণে নতুন এই অ্যাম্বুলেন্সের উদ্বোধন করেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির মু. নূরুল ইসলাম বুলবুল।  তিনি বলেন, শত জুলুম-নির্যাতন ও প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দেশের মানুষের কল্যাণে সবসময় কাজ করে যাচ্ছে। আমরা ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের পক্ষ থেকে ঢাকাবাসীসহ দেশের মানুষকে ১০টি অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সেবা দিয়ে আসছি। সাধারণ মানুষকে ফ্রি স্বাস্থ্যসেবা প্রদান, অসুস্থ রোগী পরিবহনসহ মৃতদেহ পরিবহন করে তাদের গ্রামের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি। এরই ধারাবাহিকতায় আজ ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের অ্যাম্বুলেন্স সেবা কার্যক্রমে নতুন আরও ১টি অ্যাম্বুলেন্স যুক্ত হলো। তিনি বলেন, দেশ-জাতিকে চরম সংকট ও অনিশ্চিত গন্তব্যের মধ্যে ফেলে সরকার অবৈধ ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করে চলছে। এমনই প্রেক্ষাপটে দেশের আর্থিক বিপর্যয়ের মধ্যেও আল্লাহর ওপর ভরসা করে আমরা আমাদের সাধ্য অনুযায়ী বিপর্যস্ত সাধারণ মানুষের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি, চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবার লক্ষ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ আধুনিক হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা, ডেড বডি ম্যানেজমেন্ট প্রকল্প বাস্তবায়ন, বস্তি ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নসহ ব্যাপকভিত্তিক জনকল্যাণমূলক কাজের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। আমাদের এ সমাজকল্যাণমূলক কাজকে আরও বেগবান করতে সহযোগিতার হাতকে প্রসারিত করার জন্য বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, আজকে দেশে জনগণের ভোটের অধিকারকে হরণ করা হয়েছে। নাগরিক হিসেবে মানুষের প্রাপ্য সব অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। দেশের সাধারণ মানুষ আজ নানা সুযোগ সুবিধা হতে বঞ্চিত। এমতাবস্থায় দেশের মানুষের প্রকৃত মুক্তির জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জামায়াতে ইসলামী ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত একটি সমাজ ও রাষ্ট্রগঠনের স্বপ্ন দেখে।  এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির আব্দুস সবুর ফকির, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, নতুন অ্যাম্বুলেন্সের ডোনার ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শূরা সদস্য ও ব্যবসায়ী নেতা মেসবাহ উদ্দিন সাঈদ, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি দেলাওয়ার হোসেন ও কামাল হোসাইন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য ড. মোবারক হোসাইন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সমাজকল্যাণ সম্পাদক শাহীন আহমদ খানসহ বিভিন্ন থানা আমিররা।
২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

নির্বাচনী কাজে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার, ইউপি চেয়ারম্যানের অর্থদণ্ড
লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর ও সদর আংশিক) আসনে এক প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচন কাজে সরকারি স্বপ্নযাত্রা অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করার ঘটনা ঘটেছে। এতে রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু সালেহ মিন্টু ফরায়েজীকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রোববার (৩ ডিসেম্বর) রাতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনজন দাশ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে রাত ৯টার দিকে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মনিরা খাতুন ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু ফরায়েজীকে অর্থদণ্ড দেন।  সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জেলা প্রশাসন থেকে তৃণমূল পর্যায়ে মানুষের সেবা নিশ্চিতের জন্য সরকারিভাবে স্বপ্নযাত্রা অ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হয়েছে। এটি শুধু রোগীদের সেবার জন্য ব্যবহার করা হবে। কিন্তু রোববার সন্ধ্যায় চেয়ারম্যান মিন্টু ফরায়েজী ওই অ্যাম্বুলেন্সে করে লোকজন নিয়ে জেলা শহরে সংসদ সদস্য প্রার্থী নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়নের বাসায় যান, যা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন। এ ছাড়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের তিন সপ্তাহ আগে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণার কাজ করেও তিনি বিধিলঙ্ঘন করেছেন। এতে তাকে ‘সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালার বিধি ১৪ এর ২’ লঙ্ঘনের দায়ে বিধি ১৮ অনুযায়ী ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ইউপি চেয়ারম্যান আবু সালেহ মিন্টু ফরায়েজী বলেন, ‘আমি একটু অসুস্থ। এরপরও দুজন মেম্বারকে (ইউপি সদস্য) নিয়ে স্বপ্নযাত্রা অ্যাম্বুলেন্সে করে এমপি সাহেবের সঙ্গে দেখা করতে লক্ষ্মীপুর গিয়েছি। পরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আমাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের কথা জানান। আমি সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে দেখা করব বলেছি।’ ইউএনও অনজন দাশ বলেন, ‘স্বপ্নযাত্রা অ্যাম্বুলেন্স রোগীদের সেবার জন্য দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু ফরায়েজী নির্বাচনী কাজে ব্যবহার করেছেন। ভোটের ৩ সপ্তাহ আগে প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন। এসব ঘটনায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ওই ইউপি চেয়ারম্যানকে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।’  এদিকে লক্ষ্মীপুর-২ আসনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় মতবিনিময় সভা করে শনিবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে আচরণবিধি লঙ্ঘন করেন রায়পুরের উত্তর চরআবাবিল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কৌশিক আহমেদ সোহেল। একই দিন সন্ধ্যায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে তার ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। লক্ষ্মীপুর-২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন এবারও নৌকার প্রার্থী।
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৩
X