দেশের সকল সরকারি হাসপাতালে পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনম মজুত আছে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, দেশের সকল সরকারি হাসপাতাল ও উপজেলা পর্যায়ের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাপের বিষ নিধনে পর্যাপ্ত পরিমাণ অ্যান্টিভেনম মজুত রয়েছে। শনিবার (২৯ জুন) সকালে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শনকালে এ কথা জানান তিনি। সামন্ত লাল সেন বলেন, রাসেলস ভাইপার সাপের উপদ্রবের বিষয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাপের বিষ নিধনে অ্যান্টিভেনম মজুত আছে। এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অবস্থান অত্যন্ত মনোরম পরিবেশে। যোগাযোগ ব্যবস্থাও বেশ ভালো। শিগগিরই এ হাসপাতালটিকে ৫০ শয্যা থেকে ১০০ শয্যায় উন্নীত করার ব্যবস্থা করব। আগামী ১১ অক্টোবর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আওতায় ৩৫টি রাষ্ট্রের স্বাস্থ্য বিভাগের অংশগ্রহণে স্বাস্থ্যবিষয়ক কর্মসূচির ভ্যানু নির্বাচন ও কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবার মান বাড়ানোর লক্ষ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শনে আসেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আজিজুর রহমান। এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মোহাম্মদ মশিউর রহমান, রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আহসান মাহমুদ রাসেল, রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিব, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সিমন সরকার, রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আইভী ফেরদৌস, রূপগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছালাউদ্দিন ভূঁইয়া, রূপগঞ্জ থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা প্রমুখ।
২৯ জুন, ২০২৪

রাসেলস ভাইপার নিয়ে আতঙ্ক নয় রয়েছে পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনম
রাসেলস ভাইপার নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই। দেশে অ্যান্টিভেনমের সংকট নেই বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর শাহবাগের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব কনভেনশন হলে ‘রাসেলস ভাইপার: ফেরার ভার্সেস ফ্যাক্ট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, সাপে কাটা রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসার জন্য এমপিদের ব্যবস্থা করার আহ্বান জানিয়েছি। এতে আরও বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিনের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. টিটো মিয়া এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর। বক্তারা বলেন, দেশের ২৭ জেলায় বহুল আলোচিত রাসেলস ভাইপার সাপ পাওয়া গেছে। এ সাপ নিয়ে অনেক বেশি গুজব ছড়ানো হয়েছে। রাসেলস ভাইপার সাপ কখনো তেড়ে এসে মানুষকে কামড়ায় না। সে বিপদের পড়লে কিংবা ঝুঁকি দেখলেই আত্মরক্ষার্থেই শুধু কামড় দেয়। বর্তমানে দেশে এর অ্যান্টিভেনম রয়েছে। প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এর অ্যান্টিভেনম পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
২৮ জুন, ২০২৪

রাসেল ভাইপারে মৃত্যুরোধে পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনম সরবরাহ চেয়ে আইনি নোটিশ
রাসেল ভাইপার সাপের কামড়ে মৃত্যুর ঘটনায় দেশের প্রতিটি হাসপাতাল-ক্লিনিক-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অ্যান্টিভেনমের পর্যাপ্ত সরবরাহ, দক্ষ চিকিৎসক ও দেশের অভ্যন্তরে পরিবেশ উপযোগী এ জাতীয় ভ্যাকসিন উৎপাদনের পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ জুন) জনস্বার্থে সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি এই নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মো. বাহাউদ্দিন আল ইমরান।  তিনি জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ সচিব, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে রেজিস্ট্রিযোগে নোটিশটি পাঠানো হয়েছে। নোটিশে বলা হয়, সম্প্রতি দেশের বেশ কিছু জেলায় রাসেল ভাইপার সাপ নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের কারণে বিষয়টি নিয়ে দেশবাসী উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। অনেকে প্রচার করছেন, বিষাক্ত সাপটি কামড় দিলে মানুষের দ্রুত মৃত্যু হয়। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, রাসেল ভাইপার সাপ মেরে ফেলার প্রচারণাও চালাচ্ছেন অনেকে। ‘রাসেল ভাইপার খুব দ্রুত বংশ বিস্তার করে। ফলে সহসা গ্রামাঞ্চলে এই সাপের আধিক্য মানুষের জন্য হুমকি তৈরি করবে’- বলে ব্যাপক প্রচারণা রয়েছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, বিষের বিরুদ্ধে কার্যকর বা বিষ নিষ্ক্রিয় করতে পারে এমন উপাদানকে অ্যান্টিভেনম বলা হয়। সাপের কামড় বা দংশনের পরে দ্রুত অ্যান্টিভেনম ইনজেকশন দিলে, অ্যান্টিভেনমের অ্যান্টিবডিগুলি বিষকে নিষ্ক্রিয় করে। যার ফলে আক্রান্ত্র ব্যক্তির জীবন বা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বেঁচে যায়। ‘দেশের হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন নেই’ গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে উল্লেখ করে নোটিশে বলা হয়েছে, নোটিশ প্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে সারা দেশের হাসপাতাল, ক্লিনিক ও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনম ভ্যাকসিন সংরক্ষণ, ভ্যাকসিন প্রদানকারী চিকিৎসকদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে উন্নত প্রশিক্ষণ, সাপের বিষের প্রতিরোধক ভ্যাকসিন উৎপাদনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হলো। অন্যথায় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হবে।
২৫ জুন, ২০২৪
X