অলরাউন্ডার সাকিবের অনন্য রেকর্ড
সাকিব আল হাসানকে স্লগ সুইপ করতে চেয়েছিলেন আন্দ্রেস গাউস। লং অফে থাকা সৌম্য সরকারের তালুবন্দি হতেই দারুণ এক মাইলফলক স্পর্শ করলেন সাকিব। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৭০০ উইকেটের মুকুট পরলেন বাঁহাতি এই স্পিনার। একই সঙ্গে বিশ্বের একমাত্র অলরাউন্ডার হিসেবে তিন সংস্করণ ১৪ হাজারের বেশি রান ও ৭০০ উইকেটের মালিক বাংলাদেশ অলরাউন্ডার। অবশ্য রেকর্ড একটু আগেও হতে পারত সাকিবের। শর্ট কাভারে থাকা অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত যদি বলটি ঠিকঠাক লুফে নিতে পারতেন। তবে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি; এক বল বিরতি দিয়েই মাইলফলকটি স্পর্শ করেন তিনি। গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে স্বাগতিকদের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে শেষটিতে দারুণ এ কীর্তি গড়েছেন তিনি। সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে উইকেটশূন্য থাকায় একটু বেশি সময় লেগেছে তার। তিন সংস্করণের ক্রিকেটে এমন কীর্তিতে সাকিবের ধারেকাছেও নেই কেউ। দক্ষিণ আফ্রিকান অলরাউন্ডার জ্যাক ক্যালিস অবশ্য ২৫ হাজারের বেশি রান করলেও উইকেট সংখ্যায় সাকিবের চেয়ে ১২৩টি কম তার। পরিসংখ্যান বলছে, ভবিষ্যতে সাকিবের এমন কীর্তি ছুঁতে পারার মতো ক্রিকেটারও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে খুব একটা নেই। ১২৮ বছরের ক্রিকেট ইতিহাসে অনন্য উচ্চতায় জায়গা করে নিয়েছেন বাঁহাতি এই স্পিন অলরাউন্ডার। শুধু বোলার সাকিবের ধারেকাছেও নেই কোনো বাংলাদেশি বোলার। অলরাউন্ডার হিসাব করলে দেশের ক্রিকেটে তিনিই এখন সবচেয়ে বড় কীর্তির মালিক। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১২২ ম্যাচ খেলে সাকিবের উইকেট সংখ্যা ১৪৬টি। সংক্ষিপ্ত সংস্করণের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এই বাঁহাতি স্পিনারের চেয়ে বেশি উইকেট শুধু কিউই পেসার টিম সাউদির, ১২৩ ম্যাচে ১৫৭টি। দুজনই বোলিং করেছেন সমান ১২০ ইনিংস। তবে টেস্টে ১১৩ ইনিংসে ২৩৭ ও ওয়ানডেতে ২৪১ ইনিংসে সাকিব নিয়েছেন ৩১৭ উইকেট। আর ব্যাট হাতে টেস্টে ১২৩ ইনিংসে করেছেন ৪ হাজার ৫০৫ রান, ওয়ানডেতে ২৩৪ ইনিংসে ৭ হাজার ৫৭০ ও টি-টোয়েন্টিতে ১২০ ইনিংসে ২ হাজার ৪৪০ রান। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখন তিন সংস্করণে খেলা কোথায় গিয়ে থামবে—সেটাই এখন দেখার বিষয়।
২৬ মে, ২০২৪

বাকৃবির উদ্ভাবন / অলরাউন্ডার বাউ সরিষা-৯
স্বল্পমেয়াদি, উচ্চ ফলনশীল, রোগবালাই প্রতিরোধী এবং লবণাক্ততা সহিষ্ণু নতুন সরিষার জাত উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) একদল গবেষক। নতুন উদ্ভাবিত জাতটির নামকরণ করা হয়েছে বাউ সরিষা-৯, যা চলতি বছরের ৩১ মার্চ জাতীয় বীজ বোর্ড থেকে নিবন্ধন পেয়েছে। নতুন এ জাত থেকে সরিষা পাওয়া যাবে ৭৮ থেকে ৮২ দিনে। এ ছাড়া বীজে তেলের পরিমাণ ৪২ দশমিক ৫ শতাংশ। দেশে প্রচলিত সরিষার সাধারণ জাতে তেল পাওয়া যায় ৩০-৩৫ শতাংশ। উদ্ভাবিত এ জাতের আড়াই কেজি সরিষা থেকে ১ লিটার তেল পাওয়া যাবে। জাতটির হেক্টরপ্রতি ফলন প্রায় ২ টন, যা প্রচলিত অন্যান্য স্বল্পমেয়াদি সরিষার জাত থেকে প্রায় ২০-২৫ শতাংশ বেশি। উদ্ভাবিত বাউ সরিষা-৯ ছাড়করণ উপলক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে গত মঙ্গলবার এসব তথ্য জানান জাতটির উদ্ভাবক ও প্রধান গবেষক অধ্যাপক ড. এ বি এম আরিফ হাসান খান রবিন। এ ছাড়া গবেষণা সহযোগী হিসেবে ছিলেন ওই বিভাগের একাধিক স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি শিক্ষার্থী। গবেষকরা জানান, বাউ সরিষা-৯ চাষের ক্ষেত্রে অল্টারনারিয়া ব্লাইট, পোকামাকড় এবং রোগবালাইয়ের আক্রমণের আশঙ্কা খুব কম। জাতটি পরিমিতরূপে বন্যা ও লবণাক্ততা সহিষ্ণু হওয়ায় উৎপাদন প্রচলিত অন্যান্য জাতের তুলনায় প্রায় ২০-২৫ শতাংশ বেশি। কিশোরগঞ্জ, গাজীপুর, কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজননের গবেষণা মাঠ এবং বাকৃবির পাশে ব্রহ্মপুত্র নদের চর এলাকায় জাতটির পরীক্ষামূলক চাষ করে আশানুরূপ ফলন পাওয়া গেছে। উদ্ভাবিত বাউ সরিষা-৯-এ অলিক অ্যাসিডের পরিমাণ ১৬-১৭ শতাংশ, ওমেগা-৬ ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের অনুপাত ২৫ : ১, যা সয়াবিন তেলে ১৮ : ১। বাউ সরিষা-৯ থেকে প্রাপ্ত তেলের স্মোক পয়েন্ট ২৫০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড, যা সয়াবিন তেলের তুলনায় প্রায় ১৪ ডিগ্রি বেশি। সরিষার তেলে বিদ্যমান গ্লুকোসিনোনেট বিশ্লেষিত হয়ে আইসো থায়োসায়ানাইট তৈরি হয়, যা ক্যান্সার প্রতিরোধী। ফলে ভোজ্যতেল হিসেবে বাউ সরিষা-৯ সরিষার তেল সয়াবিন তেলের তুলনায় অধিক স্বাস্থ্যসম্মত। গবেষক আরও জানান, দেশে বর্তমানে বছরে প্রায় ১ মিলিয়ন হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করা হয়। মোট উৎপাদিত সরিষার তেলের বাজারমূল্য প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা। এই উৎপাদন দ্বারা দেশের মোট ভোজ্যতেলের চাহিদার মাত্র ২০-৩০ শতাংশ পূরণ করা সম্ভব হয়। এ কারণে প্রতি বছর ২০ থেকে ২২ হাজার কোটি টাকার সরিষা, সয়াবিন ও পামওয়েল আমদানি করতে হয়। দেশীয় প্রক্রিয়ায় উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার ৪০ শতাংশ ভোজ্যতেলের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এ অবস্থায় বাউ সরিষা-৯ জাতটি চাষে দেশের ভোজ্যতেলের চাহিদা পূরণ করা এবং বৈদেশিক মুদ্রা সঞ্চয় করা সম্ভব হবে। প্রচলিত অন্যান্য সরিষার জাতের তুলনায় বাউ সরিষা-৯ চাষে হেক্টরপ্রতি প্রায় ২৪ হাজার টাকা বেশি মুনাফা পাওয়া যাবে। সে হিসাবে বছরে ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকার সরিষার বাজার তৈরি করা সম্ভব। পাশাপাশি জাতটি স্বল্পমেয়াদি হওয়ায় আমন এবং বোরো ধানের মধ্যবর্তী সময়ে এটি চাষ করা যাবে। ফলে একই জমিতে বছরে চারটি ফসল উৎপাদন করা সম্ভব হবে, যা ফসলের নিবিড়তাও বৃদ্ধি করবে। কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের সংরক্ষিত ২৫০টিরও বেশি জেনোটাইপের মধ্য থেকে স্বল্প জীবনকালীন পাঁচটি জেনোটাইপ প্রজাতিভেদে বাছাই করা হয়। পরে জেনোটাইপগুলোর ডায়ালাল মেটিং পদ্ধতিতে উচ্চতর গবেষণা করে বাউ সরিষা-৯ স্বল্প জীবনকালীন প্রজাতিটির উদ্ভাবন করা হয়। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেমের (বাউরেস) তিনটি প্রকল্পের আওতায় ২০১৮ সাল থেকে সাত বছর ধরে এ জাতটি উদ্ভাবনের জন্য গবেষণা করা হয়েছে।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

টিপস / অলরাউন্ডার হেয়ার মাস্ক
এক টেবিল চামচ ফ্ল্যাক্সসিড, এক কাপ পানি, দুই-তিন টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল নিন। সসপ্যানে এক কাপ পানিতে ফ্ল্যাক্সসিড দিয়ে ফোটান। ঘন ঘন নাড়ুন। জেলের মতো ঘন হলে আঁচ বন্ধ করে দিন। ঠান্ডা করে তাতে অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে নিন। পরিষ্কার কাচের জারে মিশ্রণটা ঢেলে রাখুন। প্রথমে চুল ভিজিয়ে নিন। ভেজা চুলে লাগিয়ে নিন এ হেয়ার মাস্ক। চুলের গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত ভালো করে লাগাতে হবে। কয়েক মিনিট ম্যাসাজ করুন। শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে চুল ঢেকে রাখুন। আধ ঘণ্টা পর হালকা গরম পানিতে চুল ধুয়ে নিন। সপ্তাহে একবার ব্যবহার করলেই হবে। ভিটামিন এ, সি, ই-সমৃদ্ধ অ্যালোভেরা মাথার ত্বক ও চুলে পুষ্টি জোগায় এবং আর্দ্রতা বজায় রাখে। অন্যদিকে, ফ্ল্যাক্সসিডে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন ও ভিটামিন বি। এই বীজ স্ক্যাল্প ও চুলকে আর্দ্র রাখে, চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, গোড়া মজবুত করে। অ্যালোভেরার মতো এটিও চুল পড়া, খুশকি, চুল ভাঙার সমস্যা দূর করে।
১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও অনিশ্চিত ভারতীয় অলরাউন্ডার
বাংলাদেশের বিপক্ষে বোলিংয়ের সময় পায়ে চোট পেয়েছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। টুর্নামেন্টের প্রথম চার ম্যাচেই স্বাগতিক একাদশে ছিলেন এই অলরাউন্ডার। এরপর নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে পারেননি তিনি। নতুন খবর অনুযায়ী, আগামী দুই ম্যাচেও পান্ডিয়াকে পাবে না ভারত।  চলতি বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত টানা ছয় ম্যাচ জিতে প্রথম স্থানে রয়েছে ভারত। প্রতিপক্ষকে রীতিমতো বিধ্বস্ত করেছে স্বাগতিকরা। এরই মধ্যে বাংলাদেশের বিপক্ষে চোটে মাঠ ছাড়েন পান্ডিয়া। আর এই চোটের কারণে আগামী ২ নভেম্বর শ্রীলঙ্কা ও ৫ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলতে পারবেন না পান্ডিয়া।  ভারতের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো জানিয়েছে, গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলতে পারবেন পান্ডিয়া। এর আগে এই পেস অলরাউন্ডারকে দলে ফিরিয়ে ঝুঁকি নিতে চায় না ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। পুনেতে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে চোট পেয়েছিলেন পান্ডিয়া। বাংলাদেশের বিপক্ষে বোলিংয়ের সময় ফলো-থ্রুতে পা দিয়ে বল ঠেকাতে গিয়ে এই চোট পেয়েছিলেন তিনি। দ্রুতই মাঠ থেকে হাসপাতালে পাঠানো হয় এই পেস অলরাউন্ডারকে। স্ক্যান করানোর পর জানা গিয়েছিল দুই ম্যাচ খেলতে পারবেন না পান্ডিয়া। বর্তমানে বেঙ্গালুরুর জাতীয় ক্রিকেট একাডেমিতে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে আছেন মারকুটে অলরাউন্ডার।
০১ নভেম্বর, ২০২৩
X