অর্থ মন্ত্রণালয় ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে আইএমএফের বৈঠক আজ
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ৪৭০ কোটি ডলার প্রতিশ্রুত ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে বাংলাদেশে সংস্থাটির মিশন প্রধান রাহুল আনন্দের নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল এখন ঢাকায়। আজ বুধবার এ মিশনটি বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে বসছে। আগামী ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত টানা ১৬ দিনের এ সফরে প্রতিনিধিদলটি ঋণের শর্তপূরণ-সংক্রান্ত বিভিন্ন ইস্যুতে দেশের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে পৃথক পৃথক বৈঠক করবে। সব বৈঠক ও আলোচনার সমন্বয় করবে অর্থ মন্ত্রণালয়। আইএমএফ মিশনটি আজ সফর কর্মসূচির প্রথম দিন অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে দুটি পৃথক বৈঠকে অংশ নেবে বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মিশনটির অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে অর্থসচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার নেতৃত্ব দেবেন। এতে অর্থ বিভাগের সামষ্টিক উইং, বাজেট-১, ট্রেজারি ও ঋণ ব্যবস্থাপনা বিভাগ, ব্যয় ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তারা অংশ নেবেন। একই দিনে আইএমএফ মিশনের পৃথক বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার নেতৃত্ব দেবেন। এতে আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন। এভাবে বিভিন্ন বিভাগের সঙ্গে আইএমএফ মিশনের কর্মকর্তারা ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত দফায় দফায় আলোচনা শেষে তারা বাংলাদেশ ত্যাগ করবেন। আইএমএফের ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তিতে প্রায় ৩৮টি শর্ত রয়েছে, যা ৪২ মাসের মধ্যে পূরণ করতে হবে। এর মধ্যে স্বল্পমেয়াদে চলতি বছর জুন ও সেপ্টেম্বরের মধ্যে যেগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে, সেগুলোর বাস্তবায়ন পরিস্থিতি এ সফরে পর্যালোচনা করবে সংস্থাটির প্রতিনিধিরা। এ ছাড়া ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে যেসব শর্ত বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করেছে সরকার, সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য কী কী উদ্যোগ থাকছে, তা-ও পর্যালোচনা করে দেখবে সংস্থাটি। উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি ঋণের প্রথম কিস্তি ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ডলার দিয়েছে আইএমএফ। পরবর্তী দ্বিতীয় কিস্তি আগামী নভেম্বরে দেওয়ার কথা রয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আশা করছেন, কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরি না হলে বাংলাদেশ আইএমএফ ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি পাওয়ার শতভাগ যোগ্য। সেটি সার্বিক অর্থনৈতিক মানদণ্ডেই হোক, আর সংস্থাটির আরোপিত শর্তের মূল্যায়ন প্রশ্নেই হোক।
০৪ অক্টোবর, ২০২৩
X