নিম্নমুখী লেনদেনে অর্থবছর শুরু
শেয়ারবাজারে নিম্নমুখী লেনদেনের মধ্য দিয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম কার্যদিবসের কার্যক্রম শেষ হয়েছে। ঈদের পর বাজারে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দিলেও বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। আবার শুরু হয়েছে দরপতন। ৩০ জুন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পাসের দিন শেয়ারবাজারে দরপতন হওয়ার পর গতকাল সূচকে মিশ্র প্রবণতা দেখা গেছে। কমেছে লেনদেনের গতিও। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপনের আগেই শেয়ারবাজারে ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স আরোপের বিষয়ে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে এক মাসের বেশি সময় দরপতন অব্যাহত থাকে শেয়ারবাজারে। তবে ঈদের আগে গুঞ্জন ওঠে, চূড়ান্ত বাজেটে ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স থাকছে না। এতে ঈদের আগের দুদিন এবং পরে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যায়। কিন্তু গত ৩০ জুন শেয়ারবাজারে ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স রেখেই ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট পাস হয়েছে। মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক বাড়লেও কমেছে অন্য দুই সূচক। তবে দাম বেড়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের। তবে লেনদেন নেমেছে ৪০০ কোটি টাকার ঘরে। তবে লেনদেনের শেষদিকে বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়ে। এর প্রভাবে প্রধান মূল্যসূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন শেষ হয়। এদিন দাম বেড়েছে ২১৩ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের, কমেছে ১২৫টির। আর ৫৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১১ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৩৪০ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৭৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯০৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে। মূল্যসূচক মিশ্র থাকার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের গতি কমে এসেছে। লেনদেন হয়েছে ৪৪০ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৭১২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।
০৩ জুলাই, ২০২৪

অর্থবছর শেষে রেমিট্যান্সে বড় চমক
প্রবাসী আয়ে দেশ ফের রেকর্ড গড়েছে। সদ্য সমাপ্ত হওয়া ২০২৩-২৪ অর্থবছরের শেষ মাস জুনে প্রবাসীরা ২৫৪ কোটি ডলার বৈদেশিক মুদ্রা দেশে পাঠিয়েছেন, যা গত ৩৫ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। আর আগের বছরের জুনের চেয়ে এটি ৩৪ কোটি ডলার বা ১৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ বেশি। ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুন মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১৯ কোটি ডলার। অন্যদিকে পুরো বছরের হিসাবেও রেকর্ডর খাতা খুলেছে রেমিট্যান্স। সদ্য সমাপ্ত হওয়া ২০২৩-২৪ অর্থবছর জুড়ে মোট ২ হাজার ৩৯১ কোটি ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। টাকার অঙ্কে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ২ লাখ ৭৯ হাজার ৭৪৭ কোটি টাকা (১১৭ টাকা প্রতি ডলার ধরে)। এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল। যার পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার। রেমিট্যান্স বাড়ায় বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভও বেড়েছে। সবশেষ হিসাব অনুযায়ী, গত ২৭ জুন গ্রস হিসাবে বাংলাদেশের রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৭ দশমিক ১৫ বিলিয়ন (২ হাজার ৭১৫ কোটি) ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য। প্রতিবেদন মতে, গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ১৬১ কোটি ডলার। এই হিসাবে সদ্য বিদায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশে আগের বছরের তুলনায় ২৩০ কোটি বা ১০ দশমিক ৬৪ শতাংশ বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারের নগদ প্রণোদনা ও ডলারের দর রেকর্ড পরিমাণ বাড়ার কারণেই মূলত রেমিট্যান্স বেড়েছে। তবে হুন্ডি বন্ধ হলে এই রেমিট্যান্স আরও বাড়ত। এতে রিজার্ভ সংকটও কেটে যেত। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নানামুখী উদ্যোগ, এক্সচেঞ্জ রেটের পরিবর্তন এবং দেশের বাইরে বিভিন্ন ধরনের প্রচার-প্রচারণার কারণেই রেমিট্যান্স বেড়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক কালবেলাকে বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ১০ দশমিক ৬৪ শতাংশ বেশি। মূলত বাংলাদেশ ব্যাংকের নানামুখী তৎপরতার কারণেই রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। এর পাশাপাশি বিদেশে ব্যাংকগুলোর বিভিন্ন ধরনের প্রচার-প্রচারণা এবং ডলারের দর বাড়াও এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এ ছাড়া সরকারের প্রণোদনাও পাচ্ছে প্রবাসীরা। সব মিলিয়ে রেমিট্যান্সে এই উল্লম্ফন হয়েছে। আগামীতে এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। অর্থাৎ কোনো প্রবাসী ১০০ টাকা দেশে পাঠালে তার সঙ্গে আরও ২ টাকা যোগ করে মোট ১০২ টাকা পাচ্ছেন সুবিধাভোগী। এ ছাড়া ঈদ ও উৎসবে বিভিন্ন ব্যাংক ও মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান সরকারের প্রণোদনার সঙ্গে বাড়তি ১ শতাংশ দেওয়ার অফার দিচ্ছে। এতে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহী হচ্ছেন প্রবাসীরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের শেষ মাস জুনে প্রবাসীরা ২৫৪ কোটি ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন, যা গত ৩৫ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। গত জুন মাসে আসা রেমিট্যান্স আগের বছরের জুনের চেয়ে ৩৪ কোটি ডলার বা ১৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ বেশি। গত বছরের পুরো জুন মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১৯ কোটি ডলার। প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা যায়, প্রবাসী আয়ের নাজুক অবস্থা কেটে গিয়ে গত জানুয়ারিতে প্রথমবারের মতো দুই বিলিয়ন ডলার ছাড়ায় রেমিট্যান্স। মাসটিতে প্রবাসী ও তাদের সুবিধাভোগীদের অ্যাকাউন্টে জমা হয় ২১১ কোটি ডলার। একক মাস হিসেবে গত অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহ প্রায় দুইশ কোটি ডলারের ঘরে ছিল। এর পর থেকে একক মাস হিসেবে চলতি বছরের মার্চ মাস ছাড়া গত পাঁচ মাসেই দুইশ কোটি ডলারের ওপরে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল গত মে শেষে। মাসটিতে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স এসেছে ২২৫ কোটি ডলার, প্রবৃদ্ধি ছিল ৩৩ দশমিক ২৩ শতাংশ। একক মাস হিসেবে এ রেমিট্যান্স গত তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। বেড়েছে রিজার্ভ: রেমিট্যান্স বাড়ায় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভও বেড়েছে। সবশেষ হিসাব অনুযায়ী, গত ২৭ জুন গ্রস হিসাবে বাংলাদেশের রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৭ দশমিক ১৫ বিলিয়ন (২ হাজার ৭১৫ কোটি) ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলসহ (আইএমএফ) কয়েকটি সংস্থার পাশাপাশি কোরিয়া থেকে আসা ঋণ যোগ হয় গত ২৬ জুন। এর সঙ্গে রেমিট্যান্সের এই উল্লম্ফন রিজার্ভ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। রিজার্ভ বেড়ে গ্রস হিসাবে অবশ্য আইএমএফ স্বীকৃত বিপিএম৬ পদ্ধতিতে রিজার্ভের পরিমাণ এখন ২২ বিলিয়ন ডলার। এর বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভের নিট হিসাবও করে থাকে, যা শুধু আইএমএফসহ বিভিন্ন সংস্থাকে জানিয়ে দেয়। তবে দেশের ভেতরে এই হিসাব প্রকাশ করে না।
০২ জুলাই, ২০২৪

অর্থবছর শেষে রেমিট্যান্সে বড় উত্থান
সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে ২ হাজার ৩৯১ কোটি ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। যা দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। টাকার অঙ্কে এই রেমিট্যান্সের পরিমাণ দাঁড়ায় ২ লাখ ৭৯ হাজার ৭৪৭ কোটি টাকা (১১৭ টাকা প্রতি ডলার ধরে)। এর আগে, ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল। যার পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।  প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আগের অর্থবছরের চেয়ে ২৩০ কোটি বা ১০ দশমিক ৬৪ শতাংশ বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ১৬১ কোটি ডলার।  সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারের নগদ প্রণোদনা ও ডলারের দর রেকর্ড পরিমাণ বাড়ার কারণেই মূলত রেমিট্যান্স বেড়েছে। তবে হুন্ডি বন্ধ হলে এই রেমিট্যান্স আরও বাড়ত। এতে রিজার্ভ সংকটও কেটে যেত। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নানামুখী উদ্যোগ, এক্সচেঞ্জ রেটের পরিবর্তন এবং দেশের বাইরে বিভিন্ন ধরনের প্রচার-প্রচারণার কারণেই রেমিট্যান্স বেড়েছে।  এই বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক কালবেলাকে বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ১০ দশমিক ৬৪ শতাংশ বেশি। মূলত বাংলাদেশ ব্যাংকের নানামুখী তৎপরতার কারণেই রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। এর পাশাপাশি, বিদেশে ব্যাংকগুলোর বিভিন্ন ধরনের প্রচার-প্রচারণা এবং ডলারের দর বাড়াও এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এছাড়া, সরকারের প্রণোদনাও পাচ্ছে প্রবাসীরা। সব মিলিয়ে রেমিট্যান্সে এই উল্লম্ফন হয়েছে। আগামীতে এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।  জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। অর্থাৎ কোনো প্রবাসী ১০০ টাকা দেশে পাঠালে তার সঙ্গে আরও ২ টাকা যোগ করে মোট ১০২ টাকা পাচ্ছেন সুবিধাভোগী। এছাড়া ঈদ ও উৎসবে বিভিন্ন ব্যাংক ও মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান সরকারের প্রণোদনার সঙ্গে বাড়তি ১ শতাংশ দেওয়ার অফার দিচ্ছে। এতে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহী হচ্ছেন প্রবাসীরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের শেষ মাস জুনে প্রবাসীরা ২৫৪ কোটি ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন। যা গত ৩৫ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। গত জুন মাসে আসা রেমিটেন্স আগের বছরের জুনের চেয়ে ৩৪ কোটি ডলার বা ১৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ বেশি। গত বছরের পুরো জুন মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১৯ কোটি ডলার। বেড়েছে রিজার্ভ রেমিট্যান্স বাড়ায় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ বা রিজার্ভও বেড়েছে। সবশেষ হিসাব অনুযায়ী, গত ২৭ জুন গ্রস হিসাবে বাংলাদেশের রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৭ দশমিক ১৫ বিলিয়ন (২ হাজার ৭১৫ কোটি) ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলসহ (আইএমএফ) কয়েকটি সংস্থার পাশাপাশি কোরিয়া থেকে আসা ঋণ যোগ হয় গত ২৬ জুন। এর সঙ্গে রেমিট্যান্সের এই উল্লম্ফন রিজার্ভ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। রিজার্ভ বেড়ে গ্রস হিসাবে অবশ্য আইএমএফ স্বীকৃত বিপিএম৬ পদ্ধতিতে রিজার্ভের পরিমাণ এখন ২২ বিলিয়ন ডলার। এর বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভের নিট হিসাবও করে থাকে, যা শুধু আইএমএফসহ বিভিন্ন সংস্থাকে জানিয়ে দেয়। তবে দেশের ভেতরে এই হিসাব প্রকাশ করে না।
০১ জুলাই, ২০২৪

সংসদে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট পাস
জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট পাস হয়েছে। রোববার (৩০ জুন) বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন ছাড়াই পাস হলো দেশের ৫৩তম এ বাজেট।  আগামীকাল ১ জুলাই থেকেই এ বাজেট কার্যকর হবে। এর আগে গতকাল শনিবার বড় কোনো পরিবর্তন ছাড়াই ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য অর্থ বিল জাতীয় সংসদে পাস হয়। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্বে কণ্ঠভোটে বিলটি পাস হয়। তবে বিলটি পাসের আগে কিছু সংশোধনী তুলে ধরা হয়। যার মধ্যে কিছু সংশোধনী অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী গ্রহণ করেন। অন্যগুলো তিনি গ্রহণ করেননি। পরে সেগুলো কণ্ঠভোটে অনুমোদন করেন সংসদ সদস্যরা। গত ৬ জুন জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়। অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এই বাজেট পেশ করেন। এবারের বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। যার মধ্যে এনবিআরের লক্ষ্যমাত্রা ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। এনবিআর বহির্ভূত কর থাকছে ১৫ হাজার কোটি টাকা। আর কর ব্যতীত প্রাপ্তির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৬ হাজার কোটি টাকা।   বাজেটে ঘাটতি দুই লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকার জোগান দেওয়া হবে অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক ঋণে। এরমধ্যে বিদেশি উৎস থেকে নেওয়া হবে ৯০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা এবং অভ্যন্তরীণ উৎস ব্যাংক ও সঞ্চয়পত্র থেকে এক লাখ ৬০ হাজার ৯০০ কোটি টাকা সংগ্রহের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার।    নতুন বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার।
৩০ জুন, ২০২৪

ট্যাক্স রিটার্ন ছাড়া করা যাবে না বিয়ের অনুষ্ঠান
ট্যাক্স রিটার্ন ছাড়া কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ের অনুষ্ঠান করা যাবে না। কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ের অনুষ্ঠান করতে বাধ্যতামূলক ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে।  বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। সংসদের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন।  সাধারণত বিয়ে, বিবাহবার্ষিকী, জন্মদিন, গায়ে হলুদ, সুন্নতে খাতনাসহ বিভিন্ন ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি সভা, সেমিনার, পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান করতে কমিউনিটি সেন্টার ও মিলনায়তন ভাড়া করা হয়। এখন থেকে বার্ষিক আয়কর রিটার্ন জমার রসিদ ছাড়া মিলনায়তন ভাড়া করা যাবে না। বর্তমানে ৪৩ ধরনের সেবা পেতে রিটার্ন জমার রসিদ লাগে। এই তালিকায় মিলনায়তন ভাড়া, হোটেল, মোটেল, রেস্টুরেন্ট, হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স নিবন্ধন ও নবায়নে রিটার্ন জমার বাধ্যবাধকতা যুক্ত হচ্ছে। ‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার’ প্রতিপাদ্যে নতুন বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। আগামী ৩০ জুন বাজেট পাস হওয়ার কথা রয়েছে। এবারের বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের চেয়ে এবারের বাজেটের আকার বাড়ছে ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। এটি দেশের ৫৩তম, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের ২৫তম ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর প্রথম বাজেট। বাজেটে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। বাজেট ঘাটতি ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের তুলনায় বাজেটের আকার ৪.৬২ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। বাজেটে বিদেশি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ২৭ হাজার ২০০ কোটি টাকা। ব্যাংক থেকে ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। ঋণের সুদ পরিশোধের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এ ছাড়া সঞ্চয়পত্র বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। 
০৬ জুন, ২০২৪

বাজেটে বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতার জন্য সুখবর
২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য জাতীয় বাজেটে বয়স্ক ভাতাভোগী, ভাতাপ্রাপ্ত বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা নারীদের জন্য সুখবর রয়েছে।  বাজেটে বয়স্ক ভাতাভোগীর সংখ্যা দুই লাখ বৃদ্ধি করে ৬০ লাখ এক হাজার জনে উন্নীত করা হবে। এ ছাড়াও ভাতাপ্রাপ্ত বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা নারীর সংখ্যা বিদ্যমান ২৫ লাখ ৭৫ হাজার জন থেকে বৃদ্ধি করে ২৭ লাখ ৭৫ হাজার জনে উন্নীত করারও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এসব প্রস্তাব দেন। এর আগে প্রস্তাবিত ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। বিশেষ বৈঠকে বাজেট প্রস্তাব অনুমোদন হয়। এ বাজেটের প্রতিপাদ্য ‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকার।’ দুপুর ১২টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ বৈঠক শুরু হয়। অনুমোদিত এ বাজেট দেশের ৫৩তম, আওয়ামী লীগ সরকারের ২৫তম এবং এ অর্থমন্ত্রীর প্রথম বাজেট। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। বাকি ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা থাকবে। ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ইতোমধ্যে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে- অর্থ বিভাগের ওয়েবসাইট www.mof.gov.bd এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ওয়েবসাইট www.nbr.gov.bd- এ বাজেটের সব তথ্যাদি ও গুরুত্বপূর্ণ দলিল যে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পড়তে পারবেন এবং ডাউনলোডও করা যাবে। এ ছাড়া দেশ ও দেশের বাইরে থেকে [email protected]–এ ইমেইলের মাধ্যমে বাজেট সম্পর্কে মতামত ও সুপারিশ পাঠাতে পারবেন।
০৬ জুন, ২০২৪

দাম বাড়ছে কোমল পানীয়ের
২০২৩-২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে সব ধরনের কোমল পানির দাম বাড়ছে। বাজেটে এনার্জি ড্রিংকস ও কার্বোনেটেড বেভারেজের টার্নওভার কর ০.৬% থেকে বাড়িয়ে ৩% করা হচ্ছে। একই সঙ্গে বাড়ানো হচ্ছে ভ্যাট। একই সঙ্গে খরচ বাড়ছে ইন্টানেটের। মোবাইল ইন্টারনেটের ওপর গ্রাহকদের ১৫% ভ্যাট এবং ১৫% সম্পূরক শুল্ক দিতে হত। এখন তা আরও ৫% বাড়ানো হয়েছে। এর সঙ্গে ভোক্তাদের ১% সারচার্জ দিতে হবে। নতুন করে সম্পূরক শুল্ক ৫% বাড়ানোয় একজন গ্রাহক এখন ১০০ টাকার রিচার্জ করলে ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক কেটে নেওয়ার পর ৬৯.৩৫ টাকার কথা বলতে পারবেন। আগে ১০০ টাকা রিচার্জ করলে গ্রাহকরা ৭৩ টাকার কথা বলতে পারতেন। অর্থাৎ ১০০ টাকা রিচার্জে আগের চেয়ে ৩.৬৫ টাকার কথা কম বলতে পারবেন গ্রাহকরা। এর আগে প্রস্তাবিত এ বাজেট অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। বিশেষ বৈঠকে বাজেট প্রস্তাব অনুমোদন হয়। এ বাজেটের প্রতিপাদ্য ‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকার।’ দুপুর ১২টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ বৈঠক শুরু হয়। অনুমোদিত এ বাজেট দেশের ৫৩তম, আওয়ামী লীগ সরকারের ২৫তম এবং এ অর্থমন্ত্রীর প্রথম বাজেট। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। বাকি ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা থাকবে। ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ইতোমধ্যে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে- অর্থ বিভাগের ওয়েবসাইট www.mof.gov.bd এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ওয়েবসাইট www.nbr.gov.bd- এ বাজেটের সব তথ্যাদি ও গুরুত্বপূর্ণ দলিল যে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পড়তে পারবেন এবং ডাউনলোডও করা যাবে। এ ছাড়া দেশ ও দেশের বাইরে থেকে [email protected]–এ ইমেইলের মাধ্যমে বাজেট সম্পর্কে মতামত ও সুপারিশ পাঠাতে পারবেন।
০৬ জুন, ২০২৪

৬ জুন বাজেট ঘোষণা
আগামী ৬ জুন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব সংসদে পেশ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এদিন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী জাতীয় বাজেট উত্থাপন করবেন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে জানান, আগামী ৬ জুন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট উত্থাপনের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজেট পেশের দিনক্ষণ ঠিক করে ইতোমধ্যে কর্মকর্তাদের দায়িত্ব বণ্টন করে দেওয়া হয়েছে। অর্থ বিভাগ সূত্র জানায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট হবে প্রায় ৮ লাখ কোটি টাকার, যা হবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ আকারের বাজেট। এবারের বাজেটে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পচ্ছে বলে ওই কর্মকর্তা জানান।
০৯ মে, ২০২৪

রিটার্ন জমা বেড়েছে ৫ লাখ
বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে রিটার্ন জমা পড়েছে ৩৫ লাখ ৪০ হাজার। যা এর আগের অর্থবছরে ছিল ৩০ লাখ ২৮ হাজার। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে রিটার্ন জমা বেড়েছে ৫ লাখ ১১ হাজারটি। একই সঙ্গে আয়কর আদায় বেড়েছে ৯০১ কোটি টাকা।  বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, আয়কর রিটার্ন জমার দিন ছিল গত ৩০ নভেম্বর। জানুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কারণে করদাতাদের সুবিধার্থে দুই মাস সময় বাড়ায় এনবিআর। গত ৩১ জানুয়ারি ছিল রিটার্ন দাখিলের শেষ দিন। এদিন বিপুল পরিমাণে করদাতারা রিটার্ন জমা দেন। এবার মোট রিটার্ন জমা পড়েছে ৩৫ লাখ ৪০ হাজার ৪০৬টি। যা আগের অর্থবছরে ছিল ৩০ লাখ ২৮ হাজার ৬৬১টি। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে রিটার্ন জমা বেড়েছে ৫ লাখ ১১ হাজার ৭৪৫টি। আর রিটার্ন বাড়ায় বেড়েছে আয়করের পরিমাণও। ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত জমা দেওয়া রিটার্নের বিপরীতে আয়কর আদায় হয়েছে ৫ হাজার ৭৯৯ কোটি টাকা। যা আগের বছরে ছিল ৪ হাজার ৮৯৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে আয়কর আদায় বেড়েছে ৯০১ কোটি টাকা। আয়কর কর্মকর্তারা বলছেন, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে নতুন নতুন খাতে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বিশেষ করে জমি নিবন্ধনের ক্ষেত্র থেকে শুরু করে নতুন নতুন খাতে রিটার্ন জমা বাধ্যতামূলক হওয়ায় রিটার্ন এবং আয়করের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যহারে বেড়েছে বলেও মনে করেন তারা।  
০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

১১ দিনে এলো ৬৯ কোটি মার্কিন ডলার
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয় মাস চলছে। এ মাসের প্রথম ১১ দিনে ৬৯ কোটি ৪৯ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এতে দৈনিক হিসেব করলে দাড়ায় ৬৯০ কোটি। রোববার (১৩ আগস্ট) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগস্টের ১১ দিনে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে এসেছে এরমধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৮ কোটি ১০ লাখ ৮ হাজার ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ১ কোটি ৩৮ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৫৯ কোটি ৭৪ লাখ ৪০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৫ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। এর আগে চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার।   বিদায়ী অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১৬১ কোটি ৭ লাখ মার্কিন ডলার। আগের ২০২১-২২ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ হয়েছিল। যার পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার।
১৩ আগস্ট, ২০২৩
X