শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১
চাচাতো বোনকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ ছাত্রলীগের নেতার বিরুদ্ধে
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার দাড়িয়াল ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজ হাওলাদারের বিরুদ্ধে চাচাতো বোন লোপা আক্তারকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (৩ জুলাই) বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে ছাত্রলীগ নেতা রিয়াজ হাওলাদার ও তার বড় ভাই রাকিবুল আলমের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছেন নিহতের মা জেসমিন বেগম। ছাত্রলীগের নেতা রিয়াজ হাওলাদার দাড়িয়াল ইউনিয়নের কালেঙ্গা গ্রামের আব্দুল মান্নান হাওলাদারের ছেলে। নিহত লোপা আক্তার নাসির হাওলাদার ও জেসমিন বেগম দম্পতির মেয়ে। লোপা ছাত্রলীগ নেতা রিয়াজের চাচাতো বোন। জানা গেছে, নাসির হাওলাদারের মেয়ে লোপা আক্তার দাড়িয়াল ইউনিয়নের আলহাজ হজরত আলী ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের একজন শিক্ষার্থী ছিলেন। লোপার বাবা নাসির হাওলাদার ছাত্রলীগ নেতা রিয়াজ হাওলাদারের চাচা। লোপা আক্তারের মা জেসমিন অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়ে লোপা আক্তারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে প্রস্তাব দিয়ে আসছিল রিয়াজ। লোপা গত ২২ জুন রাতে ঘরের সামনের রুমে একা ঘুমাতে যায়। আমি রাত সাড়ে ৪টায় ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামাজ পড়তে আমার মেয়েকে ডাকতে যাই। গিয়ে দেখি আমার মেয়ে ফ্লোরে হাঁটু গেড়ে বসা অবস্থায় জানলার গ্রিলের সঙ্গে ঝুলে আছে।  এ সময় আমি চিৎকার করলে আমার ছেলে মেহেদী ও পাশের ঘর থেকে রিয়াজ ও তার ভাই রাকিবুল এসে লোপার ঝুলন্ত লাশ জানলার গ্রিল থেকে নিচে নামায়। এ সময় আমাকে চিৎকার দিতে না করে রিয়াজ। এ সময় রিয়াজ বলে যা হওয়ার তা হয়েই গেছে। লোপা তো আর ফিরে আসবে না।  মানুষ যদি জানে লোপা আত্মহত্যা করেছে তাহলে মান-সম্মান নষ্ট হবে। আমি তখন আতঙ্কিত হয়ে যাই। তখন রিয়াজ ও তার ভাই রাকিবুল বলে লোপা হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছে এ কথা সবাইকে বলবেন। সকাল হলে সবাইকে বলি হার্টস্ট্রোক করে লোপা মৃত্যুবরণ করেছে।  পরে লোপার লাশ বাড়িতে দাফন করি। এরপর আমি কিছুদিন অসুস্থ অবস্থায় থাকি। স্বাভাবিক হলে বুঝতে পারি আমার মেয়ে লোপাকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে। পরে আমি বরিশাল আদালতে একটি মামলা দায়ের করি।  এ বিষয়ে জানতে দাড়িয়াল ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজ হাওলাদারকে বারবার ফোন করা হলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। বাকেরগঞ্জ থানা ওসি আফজাল হোসেন কালবেলাকে বলেন, দাড়িয়াল ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজ হাওলাদারের বিরুদ্ধে আদালতে মামলার বিষয়ে শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত আদালত থেকে কোনো কপি থানায় এসে পৌঁছায়নি।
৯ ঘণ্টা আগে

ইন্টার্ন চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ
গাজীপুরের টঙ্গীর গুটিয়া ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের এক ইন্টার্ন চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার টঙ্গীর সাতাইশ গুটিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই চিকিৎসক টঙ্গী পশ্চিম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। আহত ওই চিকিৎসকের নাম মারুফ হোসেন নিশাত। চিকিৎসক নিশাত বলেন, দুপুর ২টার দিকে ডিউটি শেষ করে হোস্টেলে যাওয়ার পথে সাজিদ ডাকলে আমি গেটের বাইরে যাই। এ সময় সাজিদ আমাকে এক রোগীর বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। একপর্যায়ে সাজিদসহ আরও দু-তিনজন আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। প্রতিবাদ করলে তারা আমাকে কিল-ঘুসি মেরে আহত করে।
২২ ঘণ্টা আগে

বৃদ্ধা মাকে বেধড়ক পেটালেন আরিফ
রাজবাড়ীতে মাকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগে আরিফ ঠাকুর নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকালে বৃদ্ধা আলেয়া বেগম (৭০) ছেলের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ এনে রাজবাড়ী থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলায় পুলিশ বৃদ্ধার ছেলে আরিফ ঠাকুরকে (৩৫) গ্রেপ্তার করে রাজবাড়ী আদালতে পাঠিয়েছে। মামলার বাদী জানান, তার বড় ছেলে শরীফ ঠাকুর (৪০) অসুস্থ। তার কোনো রোজগার নেই। অন্যদিকে ছোট ছেলে আরিফ ঠাকুর অটোরিকশা চালান, দিনে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা উপার্জন করেন। তারপরও ওষুধসহ অন্য কোনো ভরণপোষণ প্রদান করেন না। টাকা চাইলেই গালগাল করেন এবং বাড়িতে থাকা গাছ বিক্রি করে উল্টো টাকা নিয়ে যান। তিনি আরও জানান, গত ২৫ জুন বিকেলে আরিফ গাছ বিক্রি করে পুনরায় টাকা দিতে বলে। এতে তিনি রাজি না হওয়ায় কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে তাকে মারাত্মকভাবে আহত করে। ওই সময় তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও রাজবাড়ী সদর থানার এসআই অমিত কুমার বাগচী জানান, ওই বৃদ্ধার মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আসামি আরিফ ঠাকুরকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
০৩ জুলাই, ২০২৪

চাকু দিয়ে চোখ উপড়ে ব্যবসায়ীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় মোস্তাফিজার রহমান বুটু (৪০) নামে এক ব্যবসায়ীকে চাকু দিয়ে চোখ উপড়ে ফেলে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিকেলের দিকে ভুক্তভোগীর বড় ভাই ইয়াছিন আলী বাদী হয়ে থানায় এ মামলা দায়ের করেন। ব্যবসায়ী মোস্তাফিজার রহমান গাবতলী উপজেলার বেলতলী পূর্বপাড়ার মৃত আফজাল হোসেনের ছেলে। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওই মামলায় বগুড়া সদরের গোদারপাড়া গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে মিজানুর রহমানের নাম উল্লেখ্য করে অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।  অভিযুক্ত মিজানুর রহমান ধুনট উপজেলার নিমগাছ ইউনিয়ন পরিষদের হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকরি করেন।  মামলা সূত্রে জানা যায়, ধুনট-সোনাহাটা ভায়া বগুড়া পাকা সড়কের পাশে বেড়েরবাড়ি এলাকায় মোস্তাফিজার রহমানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ৩০ জুন বিকেলের দিকে মিজানুর রহমান কর্মস্থল থেকে মোটরসাইকেলযোগে বগুড়া শহরের বাসার দিকে রওনা হন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মোস্তাফিজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কাছে পৌঁছামাত্র বৃষ্টি শুরু হলে মিজানুর রহমান তার মোটরসাইকেলটি ওই ব্যবসায়ীর কাছে রেখে যেতে চায়। কিন্তু ব্যবসায়ী মোটরসাইকেলটি রাখতে অস্বীকার করেন। তারপরও মিজানুর রহমান জোরপূর্বক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মোটরসাইকেলটি রেখে সিএনজিতে চড়ে বগুড়ার বাসায় যান। ওই ব্যবসায়ী মোটরসাইকেলটি তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ভেতরে রেখে সেখানেই তিনি একাই ঘুমিয়ে পড়েন।  এ অবস্থায় রাত ১২টার দিকে মিজানুর রহমান ও তার লোকজন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দরজায় গিয়ে মোস্তাফিজারকে ঘুম থেকে ডেকে তুলেন। এরপর মোটরসাইকেলটি রাখতে না চাওয়ার অভিযোগ তুলে চাকু দিয়ে তার চোখ উপড়ে ফেলে হত্যার চেষ্টা করে। তখন ব্যবসায়ীর চিৎকারে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে পৌঁছলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে রাতেই হাসপাতালে ভর্তি করেন।  ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈকত হাসান বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মিজানুর রহমানের মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়েছে। এ মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
০২ জুলাই, ২০২৪

স্কুলছাত্রকে হত্যার পর মেঘনা নদীতে লাশ ভাসিয়ে দেয় বন্ধুরা
বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জের জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নে শুভ খন্দকার (১৪) নামে এক স্কুলছাত্রকে হত্যার পর তার লাশ মেঘনা নদীতে ভাসিয়ে দেয় বন্ধুরা।  নিখোঁজের এক মাস পর সোমবার (০১ জুলাই) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার বন্ধুকে আটক করে পুলিশ। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা এ স্বীকারোক্তি দেয়। আটকদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, শুভ খন্দকার লেঙ্গুটিয়া ৬নং ওয়ার্ডের ইব্রাহিম খন্দকারের ছেলে এবং জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের লেঙ্গুটিয়া মুসলিম স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র। গত ২ জুন সকালে শুভকে সুকৌশলে ভোলার চরফ্যাশনের বেতুয়া লঞ্চঘাটে নিয়ে রাত ৩টার দিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। এরপর মেঘনা নদীতে লাশ ভাসিয়ে দেয় তার বন্ধুরা। জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাতে ওসি বলেন, শুভ খন্দকারকে নদীর পাড়ে নিয়ে মারধর করে ইসমাইল, হাসিব ও আহাদ পরবর্তীতে পানিতে ডুবিয়ে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে নদীতে লাশ ভাসিয়ে দেয় সহযোগী ভাঙারি মাইদুল। পর দিন চরফ্যাশন থানা পুলিশ অজ্ঞাত পরিচয়ে লাশটি উদ্ধার করে পোস্ট-মর্ডান শেষে দাফন করেন বলে জানান মেহেন্দিগঞ্জ থানার ওসি ইয়াছিনুল হক। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। নিহত শুভ খন্দকার (১৪) উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের লেঙ্গুটিয়া গ্রামের ইব্রাহিম খন্দকারের ছেলে। সে লেঙ্গুটিয়া মুসলিম স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র। আটক ১৫ বছর বয়সী কিশোর আহাদ চৌকিদার একই ইউনিয়নের জুয়েল চৌকিদারের ছেলে। অপর অভিযুক্তরা হলেন, মেহেন্দিগঞ্জ পৌরসভার কালিকাপুর ওয়ার্ডের বাদল পালোয়ানের ছেলে ইসমাইল, অম্বিকাপুর ওয়ার্ডের বাছেদ রাঢ়ির ছেলে হাসিব, উত্তর উলানিয়া ইউনিয়নের আ. মজিদ রাঢ়ির ছেলে জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের লেঙ্গুটিয়া বাজারের ভাঙারি মালের ব্যবসায়ী মাইদুল ইসলাম। নিহতের পিতা ইব্রাহিম খন্দকার জানান, গত ২ জুন তার ছেলে শুভ খন্দকার বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ঘটনার এক সপ্তাহ পর ৯ জুন তিনি মেহেন্দিগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর তদন্ত শুরু করে পুলিশ। কয়েক দিনের মধ্যেই ঘটনার রোমহর্ষক রহস্য উদঘাটন করেন পুলিশ। পরে অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার নিহতের বন্ধু আহাদ চৌকিদার, ইসমাইল, ভাঙারি মাইদুল ইসলাম ও হাসিবকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত ছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান ওসি। পুলিশ বলছে মোটরসাইকেল কেলেঙ্কারি নিয়ে শুভকে হত্যা করা হয়েছে আর পরিবার বলছে প্রেম সংগঠিত ঘটনায় হত্যা করা হয়েছে। নিহতের মা আয়েশা বেগম বলেন, আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমি এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই। অভিযুক্ত আহাদ চৌকিদারের পিতা জুয়েল চৌকিদার বলেন, তার ছেলে ওদের সঙ্গে ভোলা পর্যন্ত গিয়েছিল, কিন্তু সে চরফ্যাশন যায়নি এবং হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ততা নেই। স্থানীয়রা জানান, শুভ নিখোঁজ ছিলেন না, পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছিল। হত্যার পর তার লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার বাবা ইব্রাহিম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। জানা গেছে, গ্রেপ্তারদের মধ্যে দুজন অপ্রাপ্ত বয়স্ক। গ্রেপ্তার দুজনকে আদালতে তোলে পুলিশ। বিচারক তাদের কারাগারে পাঠান। ইসমাইল আদালতে দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও দিয়েছেন। এদের মধ্যে মাইদুল ইসলামের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। আলামত হিসেবে মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
০২ জুলাই, ২০২৪

ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ
লালমনিরহাট জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রিপন ভুঁইয়ার বিরুদ্ধে জমি দখলের চেষ্টা ও হামলার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুরে হাতীবান্ধা উপজেলার গেন্দুকুড়ি গ্রামে মোস্তাফিজুর রহমান সবুজ নামে এক ঠিকাদার এমন অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।  এর আগে গত ১৪ জুন জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রিপন ভুঁইয়া ও তার লোকজন ওই এলাকায় মোস্তাফিজুর রহমান সবুজের ভোগ দখলকৃত ৪৭ শতক জমি দখলের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে হামলা চালায় এমন অভিযোগ সবুজের। মোস্তাফিজুর রহমান সবুজ জানান, তিনি গত ১২ জুন ওই এলাকায় মিন্টু মিয়া নামে এক ব্যক্তির কাছে দলিল মূলে ৪৭ শতক জমি ক্রয় করেন। ওই জমি ক্রয় করতে ব্যর্থ হয়ে তার জ্যাঠাতো ভাই লালমনিরহাট জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রিপন ভুঁইয়া ও তার ভাই কাওছার মামুন ভুঁইয়াসহ তাদের লোকজন ১৪ জুন তার ভোগ দখলীয় জমি দখলের চেষ্টা করেন। এতে তারা বাধা দিলে তাদের ওপর হামলা চালায় এমন অভিযোগ সবুজের। ঘটনার ১১ দিন পর উল্টো সবুজ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন এবং তার দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করেন পুলিশ। এ ঘটনায় সবুজ থানায় মামলা দিলেও এখন পর্যন্ত পুলিশ সেই মামলা নথিভুক্ত করেনি।  এ বিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও লালমনিরহাট জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রিপন ভুঁইয়ার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে তার ভাই কাওছার মামুন ভুইয়া জানান, মোস্তাফিজুর রহমান সবুজ যে জমি ক্রয় করেছেন সেই জমিতে না গিয়ে আমাদের ভোগ-দখলীয় জমি দখলের চেষ্টা করছেন। আমার ও আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছেন তা সত্য নয়। হাতীবান্ধা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, পাল্টাপাল্টি অভিযোগ হলেও যে অভিযোগটি আমলযোগ্য সেটা নথিভুক্ত করা হয়েছে। 
০২ জুলাই, ২০২৪

সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি ২৬ সেপ্টেম্বর
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাবেক সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি পিছিয়ে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (২ জুলাই) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক ইকবাল হোসেন নতুন এ দিন ধার্য করেন।  এদিন অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে তার আইনজীবী আফরোজা শাহানাজ পারভীন হীরা অভিযোগ গঠন শুনানি জন্য সময় চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত অভিযোগ গঠন শুনানির নতুন দিন ধার্য করেন।  সম্রাটের বিরুদ্ধে দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম। ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।  ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। পরে তাকে নিয়ে কাকরাইলের কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ভেতর থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, পিস্তল ও বিরল প্রজাতির বন্যপ্রাণীর চামড়া উদ্ধার করা হয়। বন্যপ্রাণীর চামড়া রাখার দায়ে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরের দিন ৭ অক্টোবর র‌্যাব-১-এর ডিএডি আব্দুল খালেক বাদী হয়ে রমনা থানায় মাদক ও অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ৬ নভেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অস্ত্র মামলার চার্জশিট জমা দেন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-১ এর উপপরিদর্শক শেখর চন্দ্র মল্লিক। এ ছাড়া একই বছরের ৯ ডিসেম্বর মাদক মামলায় সম্রাট বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-১ এর এসআই আব্দুল হালিম। ওই বছরের ১২ অক্টোব রমনা থানায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইনে সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
০২ জুলাই, ২০২৪

জেলা পরিষদ সদস্যের বিরুদ্ধে সাংবাদিককে মারধরের অভিযোগ
পাবনায় সাংবাদিক প্রবীর কুমার সাহাকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে জেলা পরিষদ সদস্য নজরুল ইসলাম সোহেল ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। সাংবাদিক প্রবীর সাহা কালের কণ্ঠের পাবনা প্রতিনিধি। গতকাল সোমবার দুপুরে পাবনা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কক্ষে ও তার বাইরে এ ঘটনা ঘটে। সাংবাদিক প্রবীর সাহার অভিযোগ, পেশাগত দায়িত্ব পালনে দুপুরের দিকে জেলা পরিষদে যান তিনি। সেখানে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করতে তার কক্ষে প্রবেশ করেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ সদস্য নজরুল ইসলাম সোহেল। এ সময় সাংবাদিক প্রবীর সাহা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলার ইচ্ছা ব্যক্ত করেন। সেইসঙ্গে জেলা পরিষদ সদস্য নজরুল ইসলাম সোহেলের সঙ্গে কথা শেষ হলে তাকে ডাকতে বলেন। তখন হঠাৎ করেই জেলা পরিষদ সদস্য সোহেল উত্তেজিত হয়ে প্রবীর সাহাকে বলেন, আপনি কত বড় সাংবাদিক হয়েছেন, আমাকে বের হয়ে যতে বলেন? আপনি বের হয়ে যান। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সাংবাদিক প্রবীর সাহাকে ধাক্কাতে ধাক্কাতে কক্ষের বাইরে নিয়ে যান। এ সময় সোহেলের সহযোগীরা প্রবীর সাহাকে শার্টের কলার ধরে কিলঘুসি মারতে থাকেন। জেলা পরিষদ সদস্য নজরুল ইসলাম সোহেল বলেন, ‘প্রবীর সাহা হঠাৎ করে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কক্ষে এসে বলেন তার সঙ্গে কথা আছে। আমাকে বের হয়ে যেতে বলেন। তখন বিষয়টি আমার মাইন্ডে লেগেছে। তাই কিছু কথা কাটাকাটি হয়েছে। তাকে মারধর করা হয়নি।’
০২ জুলাই, ২০২৪

টিকটকার প্রিন্স মামুনের জামিন
ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় টিকটকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।  সোমবার (১ জুলাই) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এদিন প্রিন্স মামুনের আইনজীবী তার জামিন চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে বাদীপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। শুনানির সময় এ মামলার বাদী লায়লা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।  এর আগে গত ১১ জুন আসামি মামুনকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্তের স্বার্থে তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ক্যান্টনমেন্ট থানার উপপরিদর্শক মুহাম্মদ শাহজাহান। এসময় আসামিপক্ষে আইনজীবী আনোয়ার শাহাদাত শাওন রিমান্ড বাতিল করে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মামুনুর রশিদের আদালত কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। গত ৯ জুুন প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা করেন লায়লা। মামলার পর কুমিল্লার পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামি আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের সঙ্গে লায়লার তিন বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরিচয়ের একপর্যায়ে মামুন তাকে বিয়ে করবে এমন প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে। পরেচ মামুন তাকে জানায়, তার ঢাকায় থাকার মত নিজস্ব কোনো বাসা নেই। যেহেতু প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হয় এবং মামুন তাকে বিয়ে করবে বলে জানায়, তাই লায়লা তাকে নিজের বাসায় থাকার অনুমতি দেন। ২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি মামুন তার মাকে সঙ্গে নিয়ে লায়লার বাসায় এসে বসবাস করতে থাকে। ওইদিন থেকে মামুন তার সঙ্গে একই রুমে থাকতে শুরু করে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার শারীরিক সর্ম্পক করে। মামুন তার বাসায় থাকাকালে তার বাবা-মা মাঝেমধ্যেই সেখানে এসে অবস্থান করতো। মামুনকে একাধিকবার বিয়ের বিষয় বললে সে বিভিন্ন অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। সর্বশেষ চলতি বছরের ১৪ মার্চ মামুন আবার তাকে ধর্ষণ করে। পরবর্তী সময়ে তাকে বিয়ের বিষয়ে বললে সে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। সেইসঙ্গে তাকে বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করে।
০১ জুলাই, ২০২৪
X