অভিমান ভেঙে ফিরবেন রোমান!
রোমান সানা এখন ‘টক অব দ্য স্পোর্টস’। যেখানেই যান, গণমাধ্যম কর্মীরা ঘিরে ধরেন। বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশনের ইফতার মাহফিলেও ধরেছিলেন। সেখানে একসময়কার দেশসেরা আরচার বলেছেন, আমি কাউকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করিনি। তার পরও কিছু কথা বলা হচ্ছে, যা দুঃখজনক! এ সময় রোমান সানা বলেন, ‘আমি শুধু নিজের জন্য কিছু বলিনি। গোটা ক্রীড়াঙ্গন নিয়ে কথা বলেছি। কাউকে না কাউকে তো কথা বলতে হবে। আমি সুযোগ-সুবিধার বিষয় নিয়ে কথা বলেছি। আমি তো কাউকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করিনি। প্রধানমন্ত্রী যথেষ্ট ক্রীড়াবান্ধব। আমাদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হলে আরও সাফল্য পাওয়া সম্ভব। আমি এ নিয়েই কথা বলেছি।’ সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে রোমান সানার নানা ইস্যুতে কথা বলেছেন বাংলাদেশ আরচারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজীব উদ্দিন আহমেদ চপল। সে প্রসঙ্গে রোমান বলেছেন, ‘স্যার (কাজী রাজীব উদ্দিন আহমেদ চপল) বিজ্ঞ লোক। তিনি যা বলেছেন, হয়তো বুঝেই বলেছেন। এ নিয়ে আমি মন্তব্য করতে চাই না। সব ক্রীড়াবিদের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতেই আমি প্রতিবাদ করেছি।’ দেশের প্রথম আরচার হিসেবে সরাসরি অলিম্পিক খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছেন রোমান সানা। গলফার সিদ্দিকুরের পর মাত্র দ্বিতীয় বাংলাদেশি ক্রীড়াবিদ হিসেবে যোগ্যতা অর্জন করে অলিম্পিক খেলেছেন এ তীরন্দাজ। সম্প্রতি হুট করেই জাতীয় দল থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এ ঘোষণা যে অভিমানে, সেটা স্পষ্ট হয়েছে বিভিন্ন সময়। যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চাওয়ার মাধ্যমে গতকালও সেটা স্পষ্ট করেছেন রোমান সানা। জাতীয় দল থেকে অবসরের ঘোষণার মাধ্যমে যে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে, তার সুষ্ঠু সমাধানে মন্ত্রীর হস্তক্ষেপও চাচ্ছেন। কথাটা সরাসরি না বললেও একটু ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে সেদিকেই ইঙ্গিত দিলেন আলোচিত এ ক্রীড়াবিদ। আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে দেশকে একাধিক সাফল্য এনে দেওয়া রোমান সানার কথায়, ‘আমি দেখছি মন্ত্রী স্যার আন্তরিকভাবে সব সমস্যার সমাধান করছেন। তিনি ক্রীড়াঙ্গনের অনেক বিষয়ে সহায়তা করেছেন। আমি স্যারের কাজের বিষয়ে ইতিবাচক। এক সংবাদের মাধ্যমে শুনলাম, স্যার আমার সঙ্গে কথা বলতে চান। আমি স্যারের সঙ্গে দেখা করতে চাই। আমার দুঃখ ও কষ্টের কথাগুলো স্যারকে জানাতে চাই।’ এক সতীর্থের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন রোমান সানা। নিষেধাজ্ঞা মুক্ত হওয়ার পর নানা ইস্যুতে নাখোশ ছিলেন এ তীরন্দাজ। হুট করে জাতীয় দল থেকে অবসরের ঘোষণার মাধ্যমে ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটান। অবসরের ঘোষণাটা যে ক্ষোভ থেকে, সেটা স্পষ্ট করে যাচ্ছেন নিয়মিত। ক্ষোভ-অভিমান ঝেড়ে ফেলে তীর-ধনুক হাতে ফিরবেন রোমান সানা—এমনটাই প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
১৭ মার্চ, ২০২৪

মায়ের সঙ্গে অভিমান করে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীর আত্মহত্যা
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে সুবর্ণা আক্তার (১৪) নামের ৭ম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার মধ্য দরবেশপুর পালের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। সুবর্ণা সৌদি প্রবাসী সুমন হোসেনের মেয়ে। সে স্থানীয় ডিএসকে উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সুবর্ণার মা ঝর্ণা বেগম পারিবারিক বিষয় নিয়ে মেয়েকে বকাঝকা করেন। এ কারণে সকাল ৮টায় সে অভিমান করে কাউকে কিছু না বলে নিজ রুমের ভিতর ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। সুবর্ণার মা ঝর্ণা বেগম জানান, আমি এবং আমার মেয়ে সুবর্ণা এক সঙ্গে ঘুম থেকে ওঠি। পরে হাত-মুখ ধুয়ে রান্নাঘরে রুটি বানাতে গিয়েছি। কিছুক্ষণ পর ঘরে এসে দেখি সুবর্ণা গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছে।  রামগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ সোলাইমান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
১৯ জানুয়ারি, ২০২৪

অভিমান ভেঙে ফিরলেন আরফিন রুমি
দাম্পত্য কলহের জেরে জেলহাজত খেটে একটু একটু করে আড়ালে চলে গিয়েছিলেন জনপ্রিয় সংগীত তারকা আরফিন রুমি। তার মনে জমেছে ভীষণ অভিমান। গায়কের দাবি, জেলে যাওয়ার সময় তাকে নিয়ে যতটা লেখালেখি হয়েছে, নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ার পর তা হয়নি। এ কারণেই রুমির এমন অন্তর্ধান। প্রায় আধা যুগ ধরে বাণিজ্যিক কাজের বাইরে ছিলেন তিনি। এ সময়ে সাংবাদিকও এড়িয়ে চলেছেন রুমি। তবে ভক্তদের মধ্যে জারি ছিল তার জয়জয়কার। এখন ধীরে ধীরে আবারও সামনে আসছেন। গান করছেন, কথা বলছেন মিডিয়ায়। কালবেলার সঙ্গে নিজের কিছু অভিমান ও কাজের কথা ভাগ করেছেন এ গায়ক। রুমির অনুপস্থিতির সময়ে তার ঘনিষ্ঠদের কাছে জানা গিয়েছিল—পীরের মুরিদ হয়েছেন এ কণ্ঠশিল্পী। ধর্মীয় শিক্ষা নেওয়ার জন্যই গানের জগৎ থেকে বিরতি নিয়েছিলেন। তার সঙ্গে আলাপে মিলল তেমনই ইঙ্গিত। রুমি বললেন, ‘মিউজিক নিয়ে থাকতেই আমার বেশি ভালো লাগে। তবে কেউ যদি আমাকে ডাকে, যদি এমন হয় যে আমাকে ছাড়া হবেই না, তখন বের হই। এ ছাড়া বের হই না, কোথাও যাই না। মিউজিক করে আমার যেখানে পৌঁছানোর কথা ছিল, তার চাইতে ওপরেই আছি। কারণ মিউজিক করে যেখানে যাওয়া যায় না, সুফিজম করে সেখানে যাওয়া যায়। মিউজিক দিয়ে মানুষ পর্যন্ত যাওয়া যায়, কিন্তু সুফিজম দিয়ে যাওয়া যায় আল্লাহ পর্যন্ত।’ অভিমানের শ্বাস ছেড়ে রুমি বলেন, ‘কিছুটা অভিমান তো থাকবেই। যেটা বেসিক অভিমান। শিল্পী বা কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রতি আমার অভিমান নেই। শুধু একটা অভিমান রয়েছে। সেটা হলো, মানুষকে আমার বিষয়ে মিথ্যা তথ্য দেওয়া হয়েছে। তাই ব্যক্তি রুমিকে তারা ভুল বুঝত। আমাকে জেলে নেওয়ার সময় অনেক নিউজ হয়েছে। কিন্তু আমি বের হওয়ার সময় নিউজ করা উচিত ছিল যে, আমি নির্দোষ, যেটা কখনো করা হয়নি। তাই আমি গায়েব হয়ে গেছি। এভাবে কোনো আর্টিস্ট ধরে রাখা যাবে না। এ জন্যই রুমিরা হারিয়ে যায়।’ নিজের গানের বিষয়ে আগের মতোই আত্মবিশ্বাসী তিনি। এ অঙ্গনে আসার আগে পূর্ণ মনোবল নিয়েই এসেছেন রুমি। বললেন, ‘হ্যাঁ, আমি ভেবেছিলাম মানুষ আমাকে গ্রহণ করবে। আমার গান যদি সত্যি সত্যিই সবার কানে পৌঁছে, তাহলে মানুষ পছন্দ করবে। আমার হৃদয়ে গান চলত সব সময়।’ আজকাল শুধু ভাইরাল হওয়ার জন্য গান করেন অনেকে। ওসব গান ভবিষ্যতে টিকে থাকবে কি না—এমন প্রশ্নের উত্তরে রুমি বলেন, ‘এটা জানতে অপেক্ষা করতে হবে। হুট করে বলা যায় না যে, কোন গানটি ভবিষ্যতে টিকে যাবে। আমাদের সময়ও বলা হয়েছে যে, আমাদেরগুলো কোনো গানই নয়। বয়সের কারণে অনেকে ভাইরাল হওয়ার মতো কাজ করেন। তাদের ক্যারিয়ার যখন এক যুগ পেরিয়ে যাবে, তখন তারা আরও পরিণত হবেন।’ নিজের আইডলের প্রশ্নে এ গায়ক বলেন, ‘সংগীতের আইডল একজন হয় না কখনো। কারণ মিউজিক্যাল জনরা অনেক থাকে। আমার আইডল আদনান সামি, হাবিব ওয়াহিদ, এ আর রহমানসহ অনেকেই।’ ক্যাসেট ও সিডির যুগ পেরিয়ে গেছে। আজকাল নাটকেও থাকে গান। বিষয়গুলোর সঙ্গে রুমি অভিযোজিত হতে পারছেন কি না? জবাবে এ কণ্ঠশিল্পী বলেন, ‘আমি তো নাটকের গানও করি। তাই আমার মন কখনো খারাপ হয়নি। বিবর্তনের দুনিয়ায় পরিবর্তন আসবেই। এটা যে মেনে নিতে পারবে, সে সুখে থাকবে।’ আজকাল অনেক শিল্পীই বিদেশে স্থায়ী হচ্ছেন। এ বিষয়ে রুমির ভাষ্য, ‘বাইরে চলে যাওয়াটা যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার। এটা আমাদের পাশের দেশেও হয়। আসলে অনেক আর্টিস্টই জীবনের শেষ সময়টা আরামে ও ঝামেলামুক্ত থাকতে চান। এ কারণেই হয়তো চলে যান।’
১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

অভিমান থেকেই বেশি আত্মহত্যা, সবার ওপরে স্কুলের মেয়েরা
তরুণদের আত্মহত্যা এবং মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ে কাজ করছে আঁচল ফাউন্ডেশন। সংস্থাটির এক জরিপে দেখা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত আট মাসে ৩৬১ জন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং মাদ্রাসা শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। এর মধ্যে স্কুল শিক্ষার্থী সর্বাধিক ১৬৯ জন। জরিপ থেকে আরও জানা গেছে, ৩৬১ জন আত্মহত্যাকারীর মধ্যে নারী শিক্ষার্থী ২১৪ জন।  শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে আঁচল ফাউন্ডেশন আয়োজিত ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ‘শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার হার ক্রমবর্ধমান: কোন পথে সমাধান?’ শীর্ষক সমীক্ষা প্রকাশ করা হয়। সমীক্ষা থেকে এসব তথ্য জানা যায়।  সংবাদ সম্মেলনে যুক্ত ছিলেন হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি ফরিদা ইয়াসমিন, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দীন আহমদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মো. শহীদুল ইসলাম এবং আঁচল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তানসেন রোজ। সংবাদ সম্মেলনে আঁচল ফাউন্ডেশন জানায়, ২০২২ সালের প্রথম আট মাসে আত্মহত্যা করেছিল ৩৬৪ জন শিক্ষার্থী। আর বছর শেষে এই সংখ্যা দাঁড়ায় ৫৩২ এ। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছর দেশের ১০৫ টি জাতীয়, স্থানীয় পত্রিকা এবং অনলাইন পোর্টাল থেকে শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার তথ্য সংগ্রহ করা হয়। সংগ্রহকৃত তথ্য অনুসারে দেখা যায়, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত আট মাসে ৩৬১ জন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং মাদ্রাসা শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন।  এতে বলা হয়, গত আট মাসে গড়ে প্রায় ৪৫.১৩ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। যেখানে স্কুল শিক্ষার্থী ১৬৯ জন, কলেজ শিক্ষার্থী ৯৬ জন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ৬৬ জন এবং মাদ্রাসা শিক্ষার্থী রয়েছেন ৩০ জন। ৩৬১ জন শিক্ষার্থীর মাঝে পুরুষ শিক্ষার্থী ছিলো ১৪৭ জন, নারী শিক্ষার্থী ছিলো ২১৪ জন।  আত্মহত্যার শীর্ষে এবারও ঢাকা বিভাগ ২০২৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত সবচেয়ে বেশী আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। এ বিভাগে আত্মহত্যা করেছে ৩১.৩০ শতাংশ। খুলনা বিভাগে আত্মহত্যা করেছে ১৩ শতাংশ এবং চট্টগ্রাম বিভাগে আত্মহত্যা করেছে ১৪.১০ শতাংশ। রংপুরে বিভাগে আত্মহত্যা করেছে ৮.৯০ শতাংশ, ময়মনসিংহে আত্মহত্যা করেছে ১০ শতাংশ এবং রাজশাহীতে আত্মহত্যা করেছে ১১.৯০ শতাংশ এবং বরিশালে আত্মহত্যা করেছে ৮.৩০ শতাংশ। এছাড়া সিলেটে আত্মহত্যা করেছে ২.৫ শতাংশবিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন ঢাকা শহরে শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা ও বেড়ে উঠার সহায়ক পরিবেশ না থাকায় এখানে আত্মহত্যার ঘটনা বেশি ঘটছে। নারী শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার হার বেশি আত্মহত্যার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রয়েছে নারী শিক্ষার্থীরা। ৩৬১ জন শিক্ষার্থীর ৫৯.৩০ শতাংশ নারী শিক্ষার্থী গত আট মাসে আত্মহত্যা করেছে। অপরদিকে ৪০.৭০ শতাংশ পুরুষ শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। শুধুমাত্র নারী শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার কারণ বিবেচনায় দেখা যায় ২৬.৬০ শতাংশ নারী শিক্ষার্থী অভিমান, প্রেমঘটিত কারণে ১৮.৭০ শতাংশ, মানসিক ভারসাম্যহীনতার কারণে ৮.৪০ শতাংশ, পারিবারিক বিবাদের কারণে ৯.৮০ শতাংশ, ৫.১০ শতাংশ শিক্ষার্থী যৌন হয়রানির কারনে এবং পড়াশুনার চাপ ও ব্যর্থতার কারণে ১২.৬০ শতাংশ আত্মহত্যা করেছে।   স্কুলের শিক্ষার্থীরা বেশি আত্মহত্যাপ্রবণ আত্মহত্যাকারী শিক্ষার্থীদের শিক্ষার স্তর বিবেচনায় দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যা করেছে স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা। মোট আত্মহত্যাকারী শিক্ষার্থীদের ৪৬.৮ শতাংশই ছিলো স্কুলগামী। এদের মাঝে নারী শিক্ষার্থী ছিলো ১১২ জন এবং পুরুষ শিক্ষার্থী ছিলো ৫৭ জন। এছাড়া আত্মহত্যাকারীদের মাঝে কলেজগামী শিক্ষার্থী ছিলো ২৬.৬০ শতাংশ। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ছিলো ১৮.৩০ শতাংশ এবং আত্মহননকারীদের মাঝে মাদ্রাসার শিক্ষার্থী রয়েছে ৮.৩১ শতাংশ। আত্মহত্যা বেশি বয়ঃসন্ধিকালে আত্মহত্যাকারীদের বয়স ভিত্তিক বিবেচনায় দেখা যায় সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যা করেছেন ১৩ থেকে ১৯ বছর বয়সী শিক্ষার্থীরা। ৬৭.৩ শতাংশ শিক্ষার্থী ছিলো এই বয়সী। এদের মাঝে নারী শিক্ষার্থী ছিলো ১৫৯ জন। অন্যদিকে পুরুষ শিক্ষার্থী ৮৪ জন আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। ২০ থেকে ২৫ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার হার ২১.৬ শতাংশ। ২৬ থেকে ৩০ বছরের শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার হার ২.৮০ শতাংশ। ১ থেকে ১২ বছরের শিক্ষার্থী ছিলো ৮.৩০ শতাংশ। অভিমানে প্রাণ গেল বেশি আঁচল ফাউন্ডেশনের গবেষক দল আত্মহননকারী শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার পিছনের কারণ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে দেখেছেন শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার পিছনে সবচেয়ে বেশি দায়ী অভিমান। অভিমানের কারণে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে ৩১.৬০ শতাংশ শিক্ষার্থী। এদের মাঝে নারী শিক্ষার্থী ৫৭ জন এবং সম সংখ্যক পুরুষ শিক্ষার্থী রয়েছেন। এছাড়াও আত্মহত্যা করার পিছনে বেশ কয়েকটি কারণ খুঁজে পাওয়া গেছে। যেমন- প্রেম ঘটিত কারণ, পারিবারিক নির্যাতন, যৌন নির্যাতন, একাডেমিক চাপ, মানসিক অস্থিতিশীলতা, পারিবারিক সমস্যা এবং অন্যান্য। প্রেমঘটিত কারণে আত্মহত্যা করেছেন ১৫.৮০ শতাংশ। পারিবারিক সমস্যার কারণে আত্মহত্যা করেছেন ৬.৯ শতাংশ শিক্ষার্থী। মানসিক অস্থিতিশীলতার কারণে ১১.৪ শতাংশ শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। যৌন নির্যাতনের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেছেন ৩.৩০ শতাংশ শিক্ষার্থী এবং ৪.৪ শতাংশ শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন একাডেমিক চাপের কারণে। মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যা ৩৬১ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে ৩০ জন মাদ্রাসার শিক্ষার্থী আত্মহনন করেছে। এদের মাঝে ৫৩.৩০ শতাংশ নারী শিক্ষার্থী ছিলো। আর পুরুষ শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার হার ছিলো ৪৬.৭০ শতাংশ।  আত্মহত্যাকারী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মাঝে ৪০ শতাংশের পিছনে দায়ী ছিলো অভিমান। রোমান্টিক সম্পর্কের জন্য আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে ১৩.৩০ শতাংশ এবং ১০ শতাংশের আত্মহত্যার পিছনে যৌন নির্যাতন দায়ী। আত্মহত্যার কারণ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে আঁচল ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট বলেন এর আগের আত্মহত্যার ডাটা গুলোতে আমরা দেখেছিলাম আত্মহত্যার পিছনে প্রেমঘটিত সম্পর্কের দায় বেশি থাকে, কিন্তু এবারে ভিন্ন তথ্য সামনে আসছে। আত্মহত্যার পিছনে মূল ভূমিকা রাখছে অভিমান। অভিমানের কারণে আত্মহত্যা পরিবারের সাথে সন্তানদের সম্পর্ক কতটুকু মজবুত তা নিয়ে চিন্তার উদ্রেক করে। তিনি বলেন, গতবছর আত্মহত্যার পিছনে করোনা একটা বড় ধরনের ভূমিকা রেখেছিলো। এ বছর করোনা না থাকলেও আত্মহত্যার খুব একটা হেরফের হয় নাই। এটা আমাদেরকে আশঙ্কিত করে তুলে। আত্মহত্যা থেকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষা করার উপায় হিসেবে তানসেন রোজ বলেন, আমাদের প্যারেন্টিংয়ের দিকে  দৃষ্টি দেওয়া জরুরি। জেনারেশন গ্যাপের কারণে সন্তান এবং বাবা মা একে অপরকে বুঝতে ব্যর্থ হন অনেক ক্ষেত্রেই। এতে ভুল বুঝাবুঝি হয়। সন্তানও মনোবেদনা শেয়ার করার জায়গা পান না। ফলে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। এছাড়াও আমাদের স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক তৈরি করার ক্ষেত্রে ব্যর্থতা রয়েছে। এ যুগের তরুণ তরুণীরা বেশিরভাগই মানসিকভাবে ভঙ্গুর প্রকৃতির। তাই যে কোনো সম্পর্কের সমস্যা হওয়া তাদেরকে প্রভাবিত করে। জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড: হেলাল উদ্দিন আহমেদ শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যা থেকে উত্তরণের পথ বাতলে বলেন, যতজন শিক্ষার্থী যে আত্মহত্যা করেছে সেটার জন্য আমাদের উচিত তাদের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উপর মনোযোগী হওয়া। তার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের পরিবারের সদস্যদের এবং শিক্ষকদের নিজেদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর দায়িত্বশীল হতে হবে যেন তারা শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে যত্নবান হতে পারেন। অতিরিক্ত ডিআইজি ফরিদা ইয়াসমিন আত্মহত্যার পিছনে বর্তমান প্রজন্মের একাকী থাকাকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, এখনকার প্রজন্ম খুব একা থাকতে পছন্দ করে এবং তারা খুব একাকিত্বে ভোগে। তাদের মধ্যে একাকিত্ব থেকে শূন্যতা, শূন্যতা থেকে হতাশা, এবং পরবর্তীতে তারা নিজেদেরকে বোঝা মনে করে। তাদের মধ্যে দেখা যায় পারস্পরিক সম্মান থাকে না। তখনই তারা এ ধরনের আশ্রয় নিতে পারে। ওই একাকিত্বের সময়ে হাতের কাছে তখন সাহায্য করার মতন কেউ থাকে না,  তখন যদি আমরা তাকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পারি তাহলে কিন্তু তাকে ওই জায়গা থেকে বের করে আনা যায়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মো. শহীদুল ইসলাম আত্মহত্যা প্রতিরোধে সরকারি উদ্যোগের কথা জানিয়ে বলেন, আত্মহত্যা এবং আত্মহত্যার প্রচেষ্টা প্রতিরোধ বিষয়টিকে বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রিত 'অসংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি' অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কম্পোনেন্ট হিসাবে বিবেচনা করে। আগামী অর্থবছর থেকে বাস্তবায়নযোগ্য ৫ম এইচপিএনএসপি সেক্টর প্রোগ্রামের আওতায় সরকার এই প্রথমবারের মত একটি ডেডিকেটেড অপারেশনাল প্ল্যান 'মেন্টাল হেলথ এন্ড ডিসএ্যাবিলিটি (এমএইচডি)' অনুমোদন করতে যাচ্ছে। যেখানে আগামী ৫ বছরের মানসিক স্বাস্থ্যের অন্তর্ভুক্ত আত্মহত্যা ও এর প্রচেষ্টা প্রতিরোধে অত্যাধুনিক এবং বিজ্ঞানভিত্তিক ব্যবস্থাপনা হাতে নেয়া হচ্ছে। যার সুফল দেশবাসী অচিরেই উপভোগ করবেন। সংবাদ সম্মেলনে আত্মহত্যা প্রতিরোধে আঁচল ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে কয়েকটি প্রস্তাবনা দেওয়া হয়। এগুলো হলো- আত্মহত্যা মোকাবেলায় বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন; মানসিক স্বাস্থ্যসেবা দ্রুত ও সহজলভ্য করতে একটি টোল ফ্রি জাতীয় হট লাইন নম্বর চালু করা; পরিবার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের আবেগীয় অনুভূতি নিয়ন্ত্রণের কৌশল ও ধৈর্যশীলতার পাঠ শেখানো; শিক্ষার্থীদের নেতিবাচক পরিস্থিতি মোকাবিলা করার কৌশল, স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট এবং মানসিক বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে শেখানো; পরিবারে, সমাজে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের সহানুভূতি এবং বোঝার সাথে সাড়া দিতে হবে; শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও পরিবার - অভিভাবকদের আত্মহত্যা সতর্কতা চিহ্ন সম্পর্কে ধারণা বিস্তৃত কর, এতে করে সম্ভাব্য আত্মহত্যাকারীকে বাঁচানো যাবে; শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায় ব্যক্তি, পরিবার ও সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিতে যুগপৎভাবে বিভিন্ন ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা; মানসিক স্বাস্থ্য পরিষেবাগুলি ইন্স্যুরেন্স বীমার আওতায় আনা যেন তা সকলের জন্য সাশ্রয়ী হয়; গণমাধ্যমে দায়িত্বপূর্ণ প্রতিবেদন লেখা ও প্রকাশ করা, যথাসম্ভব আত্মহত্যার বিস্তারিত বিবরণ ও ধরন বর্ণনা থেকে বিরত থাকা; বাবা মা এবং সন্তানের মাঝে মানসিক দূরত্ব কমাতে বিভিন্ন ধরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা এবং প্রতি ৩ মাস অন্তর অন্তর সকল শিক্ষার্থীর মানসিক স্বাস্থ্য স্ক্রিনিং বাধ্যতামূলক করা।
০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

মায়ের সঙ্গে অভিমান করে কিশোরীর আত্মহত্যা
বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহারে মায়ের সঙ্গে অভিমান করে সুমাইয়া আক্তার (১১) নামের এক কিশোরী ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দেড়টায় উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের লঘু সিভিল কলোনি পান্নার মোড় এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। সুমাইয়া ওই এলাকার গোলাম রব্বানীর মেয়ে।  সান্তাহার পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আলমাস আলী সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।   পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কিশোরী সুমাইয়া আক্তার ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সে লেখাপড়ায় অমনোযোগী হওয়ায় তার মা প্রায়ই বকাঝকা (শাসন) করতেন। অন্যান্য দিনের মতো আজ সকালেও মেয়েকে বকা দেয় মা। এতে অভিমান করে কিশোরী নিজ বাড়ির ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়নার ফাঁস দেয়। এ সময় পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সান্তাহার পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আলমাস আলী সরকার জানান, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

শোক দিবসের অনুষ্ঠান / এমপি মোশাররফের ওপর ছেলের অভিমান
জামায়াতিদের চাকরি দিয়েছেন, ব্যবসা-বাণিজ্যে সহযোগিতা করেছেন জানিয়ে আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপিকে দুষলেন ছেলে মাহবুব-উর রহমান রুহেল। রুহেল চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের নেতা এবং মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য। বাবার ওপর অভিমান থেকেই তিনি কথাগুলো বলেন। গতকাল শনিবার চট্টগ্রামের মিরসরাই মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংগঠনের আয়োজনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টে ঘাতকের বুলেটের আঘাতে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় র‌্যালি ও দোয়ার আয়োজন ছিল। অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপির ছেলে মাহবুব-উর রহমান রুহেল বলেন, আমার পিতা দুইবার মন্ত্রী ছিলেন এবং সাতবারের এমপি। তিনি দায়িত্বে থাকাকালে অসংখ্য জামায়াত-বিএনপি পরিবারের সদস্যদের চাকরি দিয়েছেন, তাদের ব্যবসা-বাণিজ্যে সহযোগিতা করেছেন। কিন্তু তারা নির্বাচন কাছে এলেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্নভাবে প্রপাগান্ডা ছড়ায়। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দলমত নির্বিশেষে অনেককেই চাকরি দিয়েছেন। দেশে উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে তাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ হয়েছে। এটাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার। তিনি আরও বলেন, তাদের চাকরি দেওয়া ও ব্যবসা-বাণিজ্যে সহযোগিতা করা আমার পিতার অপরাধ ছিল। তাই তারা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নেতা হয়ে আমার পিতার বিরুদ্ধে লেগেছে। আগামী নির্বাচনে জামায়াত-বিএনপিকে প্রতিহত করে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি ও আওয়ামী লীগ সরকারকে পুনরায় ক্ষমতায় আনতে কাজ করতে হবে। রুহেলের বক্তব্যের ভিডিও ফুটেজ ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ বক্তব্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ চট্টগ্রামের রাজনীতির মাঠে নানা আলোচনা ও গুঞ্জন চলছে। অনুষ্ঠানে আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান খৈয়াছড়া ইউনিয়নের সভাপতি গোলাম রসুল সভাপতিত্ব করেন। উদ্বোধন করেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কবির আহমদ। প্রধান বক্তা ছিলেন আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মিরসরাই উপজেলা শাখার সভাপতি নয়ন কান্তি ধুম। খৈয়াছড়া ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন খৈয়াছড়া ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড শফি উল্লাহ, ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজুল হক জুনু প্রমুখ।
২৭ আগস্ট, ২০২৩

অভিমান ভুলে এক হলেন রাজ-পরী
ইন্ডাস্ট্রিতে চাউর হয়েছে তাদের দূরত্ব। এমনকি বিচ্ছেদ হয়ে যাবে কি না—এমন জল্পনাও দানা বেঁধেছিল ভক্তদের মনে। তবে অভিমান ভুলে ফের একত্রিত হলেন ঢাকাই সিনেমার আলোচিত দম্পতি শরিফুল রাজ-পরীমণি। একমাত্র সন্তান শাহীম মুহাম্মদ রাজ্যের জন্মদিন পালনে একসঙ্গে দেখা মিলল এই জুটির। রাজ্যর প্রথম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করেছে টিএম ফিল্মস। সেখানেই সন্তানকে নিয়ে হাজির হয়েছিলেন তারা। ফেসবুকে ওই অনুষ্ঠানের কিছু ছবি শেয়ার করেছেন গান বাংলা টেলিভিশনের নির্বাহী পরিচালক কৌশিক হোসেন তাপস। একটি ছবিতে রাজকে জড়িয়ে ধরতে দেখা গেছে পরীমণিকে। অন্য একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, সন্তানকে কোলে নিয়ে রাজের পাশে বসে গান গাইছেন পরী। এরপর ছেলেকে নিয়ে জন্মদিনের কেকও কেটেছেন তারা।
১৮ আগস্ট, ২০২৩

স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে ১৯ বছরের যুবকের ‘আত্মহত্যা’
রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে নাসির বিশ্বাস (১৯) নামে এক যুবক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা পুলিশের। বুধবার (২ আগস্ট) ভোরের দিকে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিকটাত্মীয়রা জানান, নাসির পেশায় একজন সুইপার ছিলেন। তার গত কয়েকদিন ধরে জ্বর। মঙ্গলবার (১ আগস্ট) রাতে তার স্ত্রী তাকে বারবার খেতে বলায় সে স্ত্রীকে মারধর করে। পরে স্ত্রী রাগ করে করে তার বাপের বাড়ি চলে যায়। এ সময় নাসির তাকে বলে তুমি চলে গেলে আমি আত্মহত্যা করব।  আরও পড়ুন : ইয়াবা আনে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র, বিক্রি করে বাস ড্রাইভার এ বিষয়ে খিলগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল্লাহ আল হাসান বলেন, নাসির বিশ্বাস খিলগাঁও থানার বড়বাড়ি নবীনবাগ এলাকার ৭৮৬ নম্বর বাসায় ভাড়া থাকত। প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি, স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবুও মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হবে।
০২ আগস্ট, ২০২৩
X