আ.লীগ মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী একটি অপশক্তি : মির্জা ফখরুল
নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় দুষ্কৃতকারি কর্তৃক জিয়া হলের ওপরে থাকা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল ভেঙে ফেলার ন্যক্কারজনক ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী একটি অপশক্তি।’ শুক্রবার (৫ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে এ কথা জানান তিনি। বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা বর্তমানে এক প্রতিহিংসাপরায়ণ দখলদার সরকারের দ্বারা শাসিত দেশে বসবাস করছি। মানুষের জান-মালের নিরাপত্তাসহ ন্যূনতম গণতান্ত্রিক ও মৌলিক অধিকারটুকুও হরণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তম শুধু স্বাধীনতার ঘোষক ও ’৭১ এর রণাঙ্গনের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সেক্টর কমান্ডারই নন, একজন সুশাসক হিসেবে সারাবিশ্বে সমাদৃত। তিনি ছিলেন বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা। বর্তমান কতৃর্ত্ববাদী দখলদার সরকার চরম প্রতিহিংসাপরায়ণ বলেই নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় শহীদ জিয়া হলের ওপরে থাকা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ম্যুরালের অস্তিত্ব সহ্য করতে না পেরে দলীয় ক্যাডারদের দিয়ে ভেঙে ফেলেছে।  মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী শুধু গণতন্ত্রকেই যে ধ্বংস করেছে তা নয়, জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে ক্রমান্বয়ে দুর্বল করে যাচ্ছে। স্বাধীনতার ঘোষকের ম্যুরাল ভেঙে ফেলার মধ্য দিয়ে আমাদের রক্তার্জিত জাতীয় স্বাধীনতাকে অপমান করা হলো। প্রকৃতপক্ষে আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী একটি অপশক্তি। দেশ পরিচালনায় সর্বক্ষেত্রে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে জনদৃষ্টিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য সরকার এখন জুলুম—নির্যাতন, প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধের সর্বনাশা খেলায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। বিএনপি মহাসচিব বিবৃতিতে জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল ভেঙে ফেলার সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানান।
০৫ এপ্রিল, ২০২৪

সব অপশক্তি মোকাবিলার ঘোষণা দিলেন প্রতিমন্ত্রী দারা
রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের সংসদ সদস্য, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের প্রতিমন্ত্রী মো. আব্দুল ওয়াদুদ দারা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর পাশে থেকে সব অপশক্তিকে মোকাবিলা করে আমরা এগিয়ে যাব। আরও উন্নয়নের দিকে, স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের দিকে এগিয়ে যাব। শুক্রবার (৮ মার্চ) বিকেলে রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের সংসদ সদস্য মো. আব্দুল ওয়াদুদ দারাকে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের প্রতিমন্ত্রী নিযুক্ত করায় পুঠিয়ার পিএন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গণসংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আব্দুল ওয়াদুদ দারা বলেন, জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির মহানায়ক। তিনি আমাদের বিশ্ব দরবারে মর্যাদার আসনে বসিয়েছেন। এ কারণেই বাংলাদেশের মানুষ তাকে ভালোবেসে পঞ্চমবারের মতো দেশের দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন, বানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আপনাদের ভালোবাসায় আমি অভিভূত, আবেগে আপ্লুত। আপনাদের কাছে আবারও ঋণী হয়ে গেলাম আমি। আমাকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী নিযুক্ত করায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের এবং পুঠিয়া-দূর্গাপুরের উন্নয়নের মাধ্যমেই এ ভালোবাসার প্রতিদান দেব। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এস এম একরামুল হক। সঞ্চালনা করেন পুঠিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জাকিরুল ইসলাম সান্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সামাদ, পুঠিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিএম হীরা বাচ্চু, পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম নুর হোসেন নির্ঝর, উপ-দপ্তরবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মান্নান, সদস্য গোলাম ফারুক, পুঠিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নজরুল ইসলাম, পুঠিয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম রবি, পুঠিয়া উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি রাজিবুল হক রাজিব, পুঠিয়া ও দুর্গাপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন নেতাকর্মী এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
০৮ মার্চ, ২০২৪

নির্বাচন সামনে রেখে অপশক্তি বিষবৃক্ষের মতো ডাল মেলেছে : রেলমন্ত্রী 
সাত জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে অপশক্তি একত্রিত হয়ে বিষবৃক্ষের মতো ডাল মেলেছে। দেশের জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই বিষবৃক্ষ উপড়ে ফেলবে বলে মন্তব্য করেছেন রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন। বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  রেলমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালে যারা স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর সাধারণ ক্ষমার অপব্যাখ্যা দিয়ে তারা বাংলাদেশের রাজনীতি করেছে।   মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তি যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমেই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা সম্ভব হবে।  নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম অহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআইয়ের সহ সভাপতি খায়রুল হুদা চপল। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের সাবেক চেয়ারম্যান এ কে এম দেলোয়ার হোসেন।  আয়োজক সংগঠনের সভাপতি খালেদ মোশারফ চৌধুরী রানার সমন্বয়ে সামিট সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম।
১৬ নভেম্বর, ২০২৩

সংঘাত বন্ধ ও দেশি-বিদেশি অপশক্তি সম্পর্কে সজাগ থাকার আহ্বান সিপিবির
সংঘাত বন্ধ ও দেশি-বিদেশি অপশক্তি সম্পর্কে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে নির্দলীয় সরকারের অধীনেই সংসদ নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। আজ রোববার (২৯ অক্টোবর) দলের সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স এক বিবৃতিতে চলমান সংঘাতময় পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ তদারকি সরকারের অধীনেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং ওই নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা এখনই আলোচনা শুরু করতে হবে। নেতৃবৃন্দ বলেন, জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে নির্দলীয় সরকারের অধীনেই সংসদ নির্বাচনের বিকল্প নেই। এই সংঘাত ’৭১-এর ঘাতক চক্র ও দেশি-বিদেশি অপশক্তির তৎপরতা সম্পর্কে দেশবাসীকে সজাগ থাকারও আহ্বান জানান এই বাম দলের নেতারা। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, বর্তমান সরকারের দুঃশাসনে জনগণ অতিষ্ঠ। এরা জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে আবারও একটি প্রহসনের নির্বাচন সংগঠিত করতে চাইছে। এর বিরুদ্ধে আমরা দীর্ঘদিন ধরে গোটা নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার, দুঃশাসন হটানো ও ব্যবস্থা বদলের সংগ্রাম করে আসছি। সরকার জনগণের কথাকে উপেক্ষা করে সভা-সমাবেশের অধিকার নিয়ন্ত্রণ, হরণ, হামলা-মামলা দিয়ে দেশকে আরেক অরাজকতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এ জন্য প্রয়োজন মতো নানা অপশক্তিকে ব্যবহার করছে। সিপিবি নেতারা বলেন, গত শনিবার ’৭১-এর ঘাতক রাজনীতিক দল জামায়াত বাধাহীনভাবে সমাবেশ করলেও বিএনপির সমাবেশ ভণ্ডুল হয়েছে। পল্টনে ছাত্রদের মিছিলে হামলা করা হয়েছে। এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, বাধাহীনভাবে সভা-সমাবেশ, হরতাল, অবরোধ করার অধিকার দেশবাসীর সাংবিধানিক অধিকার এই অধিকার হরণ করে অতীতে কেউ ক্ষমতায় থাকতে পারেনি, আগামীতেও পারবে না। রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সরকারি প্রশাসনের দায়িত্ব, কোনো দলের নয়- উল্লেখ করে সিপিবি নেতারা বলেন, পাল্টাপাল্টি সমাবেশ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার নামে সরকারি দলের নেতাকর্মীদের লাঠিসোটা হাতে অবস্থান ও বিরোধীদের ওপর হামলা করে পুরো পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তোলা হয়েছে। তারা বিএনপির মহাসিচব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ গ্রেপ্তারকৃত নেতাদের মুক্তির দাবি জানান। নেতৃবৃন্দ বলেন, বিরোধী মত দমনে সরকারের স্বৈরাচারী আচরণ নানা অপশক্তিকে সুযোগ করে দেবে। দেশে অসাংবিধানিক শক্তিকে ক্ষমতা দখলের পথ পরিষ্কার করবে, যা দুঃশাসনকে আরও দীর্ঘায়িত করবে। সচেতন দেশবাসীকে তাই নীতিনিষ্ঠ বাম গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল শক্তির আন্দোলনে শরিক হয়ে গণআন্দোলন, গণসংগ্রাম গড়ে তুলে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে বলেও মনে করেন দলের নেতারা।
২৯ অক্টোবর, ২০২৩

নির্বাচন এলেই সাম্প্রদায়িক অপশক্তি ফণা তুলতে চায়
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আপামর বাঙালি সাম্প্রদায়িক নয়। সবাই মিলেমিশে একাকার। এ কারণে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি মাঝেমধ্যে মাথাচাড়া দেওয়ার চেষ্টা করলেও মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারেনি। আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সেই অপশক্তি অবদমিত হয়েছে। কিন্তু দেখা যায়, যখন নির্বাচন আসে, তখন এই অপশক্তি আবার ফণা তোলার অপচেষ্টা চালায়। তাই তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। গতকাল শনিবার ভোরে রাজধানীর বনানী মাঠে স্থাপিত পূজামণ্ডপে গুলশান-বনানী সার্বজনীন পূজা ফাউন্ডেশন আয়োজিত শুভ মহালয়া অনুষ্ঠান উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা গত ১৫ বছরের পথচলায় চেষ্টা করেছি, ১৯৭৫ সালের পরে বাংলাদেশের যে মূল চেতনা হারিয়ে গিয়েছিল, তা ফিরিয়ে আনার। একটি রাষ্ট্রের কখনো ‘শত্রু সম্পত্তি আইন’ ধরনের কোনো আইন থাকা বাঞ্ছনীয় নয়। সেটি বিলুপ্ত করে ভিন্ন আইন করা হয়েছে। এভাবে অনেক কাজ করা হয়েছে। শিল্পী মনোজ সেনগুপ্তের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন গুলশান-বনানী পূজা উদযাপন ফাউন্ডেশনের সভাপতি পান্না লাল দত্ত, সাধারণ সম্পাদক প্রাণকৃষ্ণ ঘোষ, দৈনিক কালবেলার সম্পাদক ও প্রকাশক সন্তোষ শর্মা প্রমুখ। রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি জানান, গতকাল দুপুরে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আয়োজনে শুভ মহালয়ার অনুষ্ঠান উদ্বোধন, আলোচনা সভা ও দুস্থদের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন তথ্যমন্ত্রী। উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে এ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছে। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত সাম্প্রদায়িকতা নির্ভর রাজনীতি করে। তারা মাঝেমধ্যে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গড়ার অপচেষ্টা চালায়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ রাঙ্গুনিয়া শাখার সভাপতি শেখর বিশ্বাস। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার। উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক টিটু সেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আকতার হোসেন খান, যুবলীগের সহসভাপতি শামসুদ্দোহা সিকদার আরজু, পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নির্মল কান্তি দাশ, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ নেতা তপন কুমার দত্ত, অধ্যাপক অসীম কুমার শীল, বিভূতিভূষণ সেন, ত্রিদীব কুমার সাহা, রিটন কান্তি দে, দিলীপ দাশ, সত্যপদ দে, প্রণব দাশ, অঞ্জন দাশ, সৈকত দাশ গুপ্ত, ডা. রাজু দেব, নিক্সন সাহা, প্রণব দে, অমলেন্দু ধর, গোপাল শীল প্রমুখ। একই দিন রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের উপকারভোগী সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন মন্ত্রী। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একতেহার হোসেন।
১৫ অক্টোবর, ২০২৩

সুষ্ঠু নির্বাচনে ব্যর্থ হলে নানা অপশক্তি সামনে আসতে পারে: সিপিবি
সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে ব্যর্থ হলে নানা অপশক্তি সামনে আসতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। গতকাল শনিবার দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় নেতারা এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন। বৈঠকে দলের নেতারা বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে অগণতান্ত্রিক ধারা আরও দীর্ঘায়িত হতে পারে, যা দুঃশাসনের মাত্রা আরও বৃদ্ধি করবে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় নীতিনিষ্ঠ অবস্থানে থেকে পার্টিকে দৃঢ়তার সঙ্গে দুঃশাসন হটানো ও ব্যবস্থা বদলের সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে। দুই দিনব্যাপী কেন্দ্রীয় কমিটির সভা পার্টির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও করণীয় বিষয়ে বক্তব্য উত্থাপন করেন পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। বক্তব্য দেন পার্টির সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহীন রহমান, এ এন রাশেদা, কেন্দ্রীয় সদস্য মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, লক্ষ্মী চক্রবর্তী, কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন, রফিকুজ্জামান লায়েক, অনিরুদ্ধ দাশ অঞ্জন, আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন, আহসান হাবিব লাবলু, জলি তালুকদার, অধ্যাপক এম এম আকাশ, ডা. দিবালোক সিংহ, অ্যাডভোকেট মণ্টু ঘোষ, ডা. ফজলুর রহমান, অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন রেজা প্রমুখ। সভায় আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমাবেশ সফল করতে সর্বত্র উদ্যোগী ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ২৮, ২৯ ও ৩০ সেপ্টেম্বর সারা দেশে পার্টির কেন্দ্রীয় নেতারা বিশেষ সাংগঠনিক সফর করবেন। এ সময় কর্মিসভা ও জনসভার আয়োজন করতে সব জেলার প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

চিত্তরঞ্জন দত্তের স্মরণসভা / দেশবিরোধী অপশক্তি রুখতে হবে
স্বাধীনতার চেতনাকে পুনরায় হত্যা করতে অপশক্তি সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তাই সবাই মিলে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত স্বাধীনতার চেতনাকে পুনরায় জাগ্রত করতে হবে। দেশবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিশিষ্টজনরা। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার মেজর জেনারেল (অব.) চিত্তরঞ্জন দত্ত বীরউত্তমের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় বক্তারা এ আহ্বান জানান। গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ রাজধানীর পুরানা পল্টনে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে স্মরণসভার আয়োজন করে। ঐক্য পরিষদের অন্যতম সভাপতি নির্মল রোজারিওর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন হাবীব। আরও ছিলেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের অন্যতম সভাপতি ঊষাতন তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত, প্রেসিডিয়াম সদস্য স্বপন সাহা, মঞ্জু ধর, ভিক্ষু সুনন্দপ্রিয়, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জে এল ভৌমিক ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার। সভা সঞ্চালনা করেন ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সাধারণ সম্পাদক মণীন্দ্র কুমার নাথ। বীর মুক্তিযোদ্ধা সি আর দত্তকে একজন দেশপ্রেমিক ও খাঁটি বাঙালি হিসেবে উল্লেখ করে হারুন হাবীব বলেন, আমরা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান-মুসলমান সবাই মিলে মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধীনতা এনেছি। সেই স্বাধীনতার চেতনাকে পুনরায় জাগ্রত করতে হবে। রানা দাশগুপ্ত বলেন, মুক্তিযুদ্ধ করে আমরা যে অসাম্প্রদায়িক ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছিলাম, সেই বাংলাদেশ আমরা ধরে রাখতে পারিনি। বাংলাদেশ আবার পাকিস্তানের মতো সাম্প্রদায়িক হয়ে গেছে।
২৫ আগস্ট, ২০২৩

সম্পাদকীয় / অপশক্তি প্রতিহতের প্রত্যয়
সারা দেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয় মঙ্গলবার। এ উপলক্ষে আওয়ামী লীগের দুদিনব্যাপী জাতীয় কর্মসূচির গতকাল ছিল প্রথম দিন। এদিন সকাল ৬টা ৩২ মিনিটে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর প্রধানমন্ত্রী ঢাকার বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের শহীদদের কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। পরে তিনি যান টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে। সেখানে দুপুর ১২টার দিকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা। ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও বাংলাদেশের মানুষের হৃদয় থেকে তাকে মুছে দিতে পারেনি। তাই শোকের দিনে পুরো বাঙালি জাতি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে বঙ্গবন্ধু এবং ১৫ আগস্ট নৃশংস হত্যাযজ্ঞের শিকার তার পরিবারের সব সদস্যকে স্মরণ করে। এদিন ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড না ঘটলে বাংলাদেশ এতদিনে উন্নতসমৃদ্ধ দেশে পরিণত হতো। স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রবিরোধী শক্তি মুক্তিযুদ্ধে সপক্ষের শক্তির অভিন্ন শত্রু। তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হত্যার মধ্য দিয়ে অর্জন-উন্নয়নে ৫০ বছর পিছিয়েছে বাংলাদেশ। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ যে আজও ষড়যন্ত্র থেকে মুক্তি পায়নি, সে কথাও তিনি উচ্চারণ করেন। বাঙালি জাতির ইতিহাসের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান খুব বেশি সময় পাননি সদ্য স্বাধীন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি নতুন করে সাজানোর জন্য। তিন বছরেরও কম সময় পেয়েছিলেন। এত কম সময়ে অবকাঠামোসহ সব দিক দিয়ে বিধ্বস্ত একটি দেশ পুনর্গঠনের জন্য অনিবার্য ছিল সঠিক দিকনির্দেশনা ও নেতৃত্বের। তিনি এ স্বল্প সময়ের মধ্যেই তা ঠিকঠাক করে চলেছিলেন। অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু একটি দেশের সাহায্য-সহযোগিতা এবং সারা বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে তিনি দেখিয়েছিলেন অকল্পনীয় রাজনৈতিক প্রজ্ঞা। স্বল্প সময়ে তিনি দেশকে পুনর্গঠিত করার যেসব পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, তা এককথায় অভাবনীয় এবং সুদূরপ্রসারী। রাজনীতি, অর্থনীতি, পররাষ্ট্রনীতিসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি সম্পূর্ণ সফল এক রাষ্ট্রনায়ক। তবে ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড সবকিছু উল্টে দেয়। দীর্ঘদিন দেশ পরিচালিত হতে থাকে সম্পূর্ণ ভিন্নধারায়। এর মধ্যে রাষ্ট্রের মূলনীতিগুলোর নির্মমভাবে করা হয় ব্যবচ্ছেদ। স্বৈরশাসন, ধর্মের নামে অপরাজনীতি, জঙ্গিবাদের উত্থান, অগণতান্ত্রিক কার্যক্রমসহ নানা অপতৎপরতায় সুদীর্ঘকাল চলে দেশের শাসনব্যবস্থা। ধূসর হতে থাকে স্বাধীনতার স্বপ্ন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন। এই সময়ে দেশ বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পথ হারায়। বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথ থেকে সরে আসে দেশ। তবে এবারের শোক দিবসে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দেশের বিরুদ্ধে সব ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয়কে আমরা স্বাগত জানাই। বর্তমান সরকার এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার এক দশকেরও বেশি সময়ে দেশে আজকের যে অগ্রগতি এবং অগ্রযাত্রা চলমান, সেই উন্নতির স্বপ্নই দেখতেন বঙ্গবন্ধু। ৪৮ বছর আগে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করে পৃথিবীর ইতিহাসে যে জঘন্যতম ও কলঙ্কময় অধ্যায়ের জন্ম দিয়েছিল ঘাতকরা এবং তারা ভেবেছিল, বঙ্গবন্ধুকে তারা নিশ্চিহ্ন করতে সমর্থ হয়েছে। আসলে সেটা ছিল তাদের সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। কালের পরিক্রমায় বঙ্গবন্ধু দিন দিন আরও মহিরুহে পরিণত হয়েছে এবং হচ্ছে। সেইসঙ্গে তারই দেখানো পথে দেশ ধাবিত হচ্ছে তার ‘সোনার বাংলা’ গড়ার দিকে। বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ধারণ করে আরও সামনে এগিয়ে যাবে, একদিন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সেই উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে, এ প্রত্যয় যেন সফল হয়—এটিই আমাদের প্রত্যাশা। তবেই মুক্তি আসবে দেশের মানুষের।
১৬ আগস্ট, ২০২৩
X