ঘুষ নিয়ে এএসআইয়ের দর-কষাকষির অডিও ভাইরাল
বাদীপক্ষের কাছে টাকা দাবি ও বিবাদীদের কাছ থেকে ঘুষ আদায়ের একটি অডিও ভাইরাল হয়েছে সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) আলতাফ হোসেনের।   অভিযুক্ত আলতাফ হোসেন চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার আসমানখালী পুলিশ ক্যাম্পের উপ পরিদর্শক। ভাইরাল হওয়া অডিও ক্লিপের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) নাজিম উদ্দিন আল আজাদ।  এর আগে গত ১৩ মে এএসআই আলতাফ হোসেনের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন আলমডাঙ্গা উপজেলার শালিকা গ্রামের আফরোজা খাতুন নামে এক ভুক্তভোগী নারী। এরপরই পুলিশ সুপার অভিযোগটি আমলে নিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) নাজিম উদ্দিন আল আজাদকে তদন্তের নির্দেশ দেন। ভুক্তভোগী নারী আফরোজা খাতুন বলেন, দীর্ঘ ৫ বছর যাবত আমার স্বামী আতিয়ার হোসেন অসুস্থতার জন্য কোনো কাজ করতে পারেন না। তিন ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে আমাকে সংসারের হাল ধরতে হয়েছে। কখনো দর্জির কাজ ও পাড়া-মহল্লার বাড়ির কাঁথা সেলাই করে সংসার চালিয়েছি। গত ১০ মাস যাবত স্থানীয় একটি বেসরকারি এনজিওতে রান্নার কাজ করছি। এ কাজ করি বিধায় আমার দেবর আক্তার আলী ও মেজো ভাসুর হাশেম আলী আমাকে নিয়ে আমার স্বামীকে বিভিন্নভাবে ভুল বোঝাতে থাকেন।  তারা আমার স্বামীকে বলেন, আফরোজার জন্য আমাদের মানসম্মান চলে গেল, সে খারাপ কাজ করে। তাদের কথা শুনে আমার স্বামীও আমাকে অশালীন কথাবার্তা বলতে থাকেন। এ ঘটনার জেরে গত ৯ মে আমার দেবর ও মেঝ ভাসুর হত্যার উদ্দেশে বাড়িতে আসেন। প্রাণ রক্ষার্থে আমি আমার দুই ছেলে আরেফিন রহমান (১৭) ও আল মেরাজকে (১২) নিয়ে ঘরের দরজা আটকে দিই। পরে ঘরে ঢুকতে না পেরে চাইনিজ কুড়াল ও হাঁসুয়া দিয়ে টিনের বেড়া এলোপাতাড়ি কুপিয়ে চলে যায় তারা।  তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার পরদিন ১০ মে আমার বড় ছেলে আরেফিন বাড়িতে এসে তার বাবাকে বিষয়টি বলছিল। এ সময় আমার দেবর ও মেঝ ভাসুর লোহার রড, লোহার পাইপ নিয়ে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। আমাকে ও আমার সন্তানদের বেধড়ক মারপিট করে। পরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে মেঝ ছেলেকে ভর্তি করি এবং আমার বড় ছেলেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। ঘটনার দিন ১০ মে আমার স্বামী, দেবর ও মেঝ ভাসুরের বিরুদ্ধে আসমানখালী ক্যাম্পে একটি অভিযোগ দায়ের করি।  ক্যাম্পের পুলিশ উভয় পক্ষকে ডেকে আপস-মীমাংসা করে দেয়। এরপর আমি আমার সন্তানদের নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার চেষ্টা করলে বিবাদীরা আমাদেরকে ঢুকতে দেয়নি। সন্তানদের নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় খেয়ে না খেয়ে দুইদিন ঘুরেছি। আমার বড় ছেলে ২০২২ সালে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছিল। সামনে তার এইচএসসি পরীক্ষা। এমন অবস্থায় তার লেখাপড়া বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। আফরোজা খাতুন বলেন, গত ১৩ মে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আসানখালী ক্যাম্পের এএসআই আলতাফ হোসেন আমার বাড়িতে এসে আমাকে না পেয়ে আমার বড় জা, তার পুত্রবধূ ও তার মেয়ের সঙ্গে আমার নামে অশালীন ভাষায় কথাবার্তা বলেন এবং নগদ ২০ হাজার টাকা নিয়ে আসমানখালী ক্যাম্পে দেখা করার জন্য বলেন। আমি একজন অসহায় গরিব মানুষ, আমার পক্ষে এত টাকা যোগাড় করা সম্ভব না। সে কারণে সঠিক বিচারের আশায় বড় স্যারের (পুলিশ সুপার) নিকট অভিযোগ করেছি। এদিকে এ ঘটনার একটি অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। অডিও ক্লিপটিতে এএসআই আলতাফ হোসেন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ কয়েকজনের কণ্ঠ শোনা যায়। এএসআই আলতাফ হোসেনকে বলতে শোনা যায়, ‘এই মানুষই ভালো করে, আবার এই মানুষই খারাপ করে। আমি যেভাবে বলব সেভাবে হবে।’ এমন কথা বলার পর ৫০ হাজার টাকা দাবি করতে শোনা যায় এএসআই আলতাফ হোসেনকে। এ নিয়ে দর-কষাকষি হতে থাকে।  এএসআই আলতাফ হোসেন বলেন, ‘আমার একটা পাওয়ার আছে, সার্কেল স্যার আমার কাছের লোক (চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামান)। তাকে আমি বুঝ দিতে পারব। আমার ব্যাকআপ কিন্তু সে।’    এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে এএসআই আলতাফ হোসেন বলেন, ঘটনাটি সত্য নয়। এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না।  চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) নাজিম উদ্দিন আল আজাদ বলেন, পুলিশ সুপারের নির্দেশে অভিযোগটির তদন্ত চলছে। ভাইরাল অডিও ক্লিপটিতে থাকা ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তারা প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। অভিযুক্ত এএসআই আলতাফ হোসেন বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তার দাবি অডিও ক্লিপটি এডিট করা। প্রয়োজন হলে আমরা অডিও ক্লিপটি ফরেনসিকে পাঠাব। দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন পুলিশ সুপারের কাছে জমা দেওয়া হবে।
২০ মে, ২০২৪

প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার ভুয়া অডিও ভাইরাল
এবার বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার ভুয়া অডিও ছড়িয়ে পড়েছে অন্তর্জালে। ছড়িয়ে পড়া অডিওটিতে একটি কণ্ঠ শোনা যাচ্ছে। সেটি প্রিয়াঙ্কার বলে মনে হলেও তা মূলত প্রযুক্তির কারসাজি। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার। প্রিয়াঙ্কার আসল ভিডিও ক্লিপের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে ভুয়া অডিও। তা দেখে মনে হয়—একটি সংস্থার হয়ে বিজ্ঞাপন করছেন তিনি। ভুয়া ওই অডিওতে নিজের বার্ষিক আয়ের ফিরিস্তিও দিয়েছেন তিনি।  সম্প্রতি ভারতীয় চিত্রনায়িকাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে চলছে ‘ডিপ ফেক’ ভিডিও। এ ধরনের ভিডিও প্রকাশ দিন দিন বাড়ছে। কিছুদিন আগে দক্ষিণী চলচ্চিত্রের নায়িকা রাশমিকা মান্দানার ডিপ ফেক ভিডিও ভাইরাল হয়। এরপর সামনে আসে ক্যাটরিনা কাইফের ডিপ ফেক ভিডিও। এসব নিয়েও হইচই হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় বলিউড অভিনেত্রী কাজলের ডিপ ফেক ভিডিও। সেটি নিয়েও বিভিন্ন সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে চলেছে তোলপাড়। কাজল পোশাক পরিবর্তন করছেন—এমন ডিপ ফেক ভিডিও নিয়ে হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। যদিও ভিডিওটি মোটেই কাজলের ছিল না, বরং সেটি ছিল একজন সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারের। ওই ভিডিওটিতেও কাজলের মুখ বসানো হয়েছে। এরপর ডিপ ফেক ভিডিওর কবলে পড়েছেন অভিনেত্রী আলিয়া ভাট। ছড়িয়ে পড়া ‘আপত্তিকর’ একটি ভিডিওতে দেখা গেছে তার মুখ। ওয়েবসাইটগুলোর দাবি, এসব ভিডিও এআই-এর সাহায্যে পরিবর্তন করা হয়। এই টুল ব্যবহার করে অন্য কারও মুখ ভিডিওতে যুক্ত করা যায়। এতে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। নেটিজেনদের অনেকে ওগুলোকে সত্যিকারের ভিডিও মনে করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ওই ডিপ ফেক ভিডিওতে আলিয়া ভাটকে বিছানায় শুয়ে থাকতে দেখা যায়। পরনে দেখা যায় ব্লু রঙের ফ্লোরা কো-অর্ড শর্ট ড্রেস। সেই ভিডিওটি নিয়েও চর্চা চলছে অন্তর্জালে।
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৩

সমাবেশে না গেলে হল ছাড়ার নির্দেশ ছাত্রলীগ নেতার, অডিও ভাইরাল
ছাত্রলীগের সমাবেশে না গেলে হল ছেড়ে বাইরে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াস। বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এ এফ রহমান হল ও আলাওল হলে অবস্থানরত ছাত্রলীগ কর্মীদের এ নির্দেশ দেন তিনি। হল দুটিতে শাখা ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক গ্রুপ বিজয়ের নেতাকর্মীরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। মোহাম্মদ ইলিয়াস শাখা ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক গ্রুপ বিজয়ের নেতা। ক্যাম্পাসে তিনি শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী বলে পরিচিত। ইতোমধ্যেই নির্দেশের একটি অডিও রেকর্ড কালবেলার হাতে এসে পৌঁছেছে। সেখানে স্পষ্ট শোনা যায় শাখা, ছাত্রলীগের সমাবেশে না গেলে হল ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিচ্ছেন শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াস। অডিও রেকর্ডের বক্তব্য হুবহু কালবেলার পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো : ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ছাত্র সমাবেশের প্রোগ্রাম শুক্রবারে। শুক্রবার ও শনিবার দুদিনই বন্ধ। যদি কারো পরীক্ষা থেকে থাকে সেটা রোববার হবে। আমরা এরকম আমাদের সময়ে পরীক্ষা না দিয়েও ছাত্রলীগের প্রোগ্রামে, সংগঠনের প্রোগ্রামে দায়িত্ব পালন করেছি। তোমরা যেহেতু দীর্ঘদিন ধরে হলে থাকতেছ। তোমাদের থেকে কোনো ভাড়া নেওয়া হয় না। তোমাদের ফর্ম ফিলাপের টাকা লাগলে সেটাও আমি দেই। তোমাদের কোনো প্রয়োজন লাগলে সেটাও আমি মিটাই। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রোগ্রাম। যেহেতু শুক্র শনি দুই দিন বন্ধ, আমরা আগামীকাল রাত্রে রওয়ানা দিব এবং শনিবার একদিন বন্ধ আছে। শনিবারে পড়ালেখা করে তোমরা রোববার পরীক্ষা দিতে যাবা। আশা করি কোনো ধরনের প্রবলেম হবে না। সুতরাং, যারা এফ রহমান এবং আলাওল হলে আছো সকলের জন্য বাধ্যতামূলক। তোমাদের অবশ্যই ঢাকায় যেতে হবে। ঢাকায় যাওয়ার গাড়ি ভাড়া এবং খাবারের ব্যবস্থা এটা আমি করব। আমার নেতা মাননীয় শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ভাইয়ের সহায়তায়। তাই, বিষয়টা খুব বেশি জরুরি। আর যারা যাবে না তারা আল্লাহর ওয়াস্তে নিজ দায়িত্বে হলগুলো ছেড়ে দিয়ে তোমরা বাহিরে চলে যাও।’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোহাম্মদ ইলিয়াস কালবেলাকে বলেন, সেনাবাহিনীর সদস্যদের মতো আমাদের ছাত্রলীগ কর্মীদের কেউ যদি রুলস না মানে তাকে চাকরিচ্যুত করা হবে।  
৩১ আগস্ট, ২০২৩
X