শবে বরাত বা লাইলাতুল বরাত। বিশ্ব মুসলিমবাসীর বিশ্বাস, এ রাতে আল্লাহর পক্ষ থেকে ক্ষমা ও আশীর্বাদ লাভ করে থাকে অসংখ্য বান্দা।
এ জন্যই এ রজনীকে আরবিতে ‘লাইলাতুল বরাত’ বা ‘নিষ্কৃতি ও মুক্তির রজনী’ বলা হয়।
এ রাত মহিমান্বিত এক রাত। এ রাতে অসংখ্য বান্দা মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে ক্ষমা ও কল্যাণ লাভ করেন। প্রতিবছর হিজরি ক্যালেন্ডারের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে শবে বরাত পালন করা হয়।
রাসুলুল্লাহ সা. বলেন, এটা হলো অর্ধ শাবানের রাত (শবে বরাত)। আল্লাহতায়ালা এ রাতে তার বান্দার প্রতি মনোযোগ দেন। ক্ষমা প্রার্থনাকারীদের ক্ষমা করেন।
অনুগ্রহপ্রার্থীদের অনুগ্রহ করেন আর বিদ্বেষ পোষণকারীদের ছেড়ে দেন তাদের অবস্থাতেই। (তাবারানি ১৯৪)
এ রাতে আল্লাহ বান্দাদের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেন। মহানবী সা. বলেন, এ রাতে আল্লাহতাআলা বনু কালবের ছাগলগুলোর পশমের চেয়ে বেশিসংখ্যক বান্দাকে ক্ষমা করেন। (ইবন মাজাহ ১৩৮৯)
শবে বরাতে রাত্র জেগে নফল নামাজ পড়তে বলেছেন নবীজি। এ রাতের আলাদা কোনো নামাজ নেই। নফল নামাজই যে যত পারি পড়ব।
অন্যান্য নফল নামাজ যেভাবে পড়া হয়, এ দিন রাতেও যেভাবে নফল নামাজ পড়তে হবে। আলাদা করে কোনো নিয়ত করতে হবে না। আলাদা কোনো নিয়মও নেই।
শবে বরাতের সব ইবাদতই নফল ইবাদত। সাহাবায়ে কেরাম নবীজিকে বললেন আগেকার যুগের উম্মত দীর্ঘ হায়াত বা জীবন পেত, আমরা তো অল্প কয়েকদিন বাঁচি, তারা ইবাদতের দিক দিয়ে আমাদের থেকে এগিয়ে যাবেন।
তখন নবীজিকে আল্লাহ এমন কিছু রজনী দিয়েছেন, এ রজনীগুলোতে ইবাদত করলে অনেক অনেক সওয়াবের ভাগিদার হওয়া যায়। তবে এ রাতে সবচেয়ে বেশি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে। কদরের রাত্রিতে একটা দোয়া পড়া হয় ক্ষমা লাভ করার জন্য। এ দোয়াটা এ রাতেও পড়া যায়।
গুরুত্বপূর্ণ দোয়াটি হলো- للَّهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّى
উচ্চারণ: আল্লাহম্মা ইন্নাকা আফুয়্যুন, তুহিব্বুল আফওয়া, ফাফু আন্নি। অর্থাৎ হে আল্লাহ, তুমি ক্ষমাশীল, ক্ষমা পছন্দ করো, অতএব আমাকে ক্ষমা করে দাও।
এ ছাড়াও এ রাতে কোরআন তিলাওয়াত, জিকির, তাসবিহ পাঠ পর দিন রোজা রাখার অনেক অনেক ফজিলত রয়েছে।
মন্তব্য করুন