ক’দিন পরেই পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদ মানে আনন্দ ঈদ মানে খুশি। ঈদ মানে আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুদের মিলন মেলা। এবার তীব্র গরমের মাঝেই পালিত হবে ঈদুল ফিতর। গরমের দাপট যেন ভিল্কি দিয়ে উঁকি দিচ্ছে। তাই গরমের কথা মাথায় রেখেই ঈদের পোশাক নির্বাচন করা ভালো। ঈদে সবাই চান নিজের থেকে বেশি প্রিয়জনকে সাজাতে। সাজানোর কথা আসলে সবার আগে আসে পোশাক প্রসঙ্গ। এই গরমে পোশাক নির্বাচনে কিছু বিষয়ের দিকে খেয়াল একটু বেশিই রাখতেই হবে। চলুন দেখে নেওয়া যাক-
গরমের দিনে পোশাকের ক্ষেত্রে সবচেয়ে মানানসই হলো সুতি কাপড়। এতে গরম কম লাগবে। সেই সঙ্গে পাবেন আরামও। এতে সারাদিনের ঘোরাফেরায় মোটেই অস্বস্তি লাগবে না। সুতি কাপড়ের পাশাপাশি লিনেন, ধুপিয়ান, ভয়েল, মসলিন, চিকেন ও তাঁতের কাপড় গরমের জন্য উপযোগী। যেহেতু উৎসব, তাই এর আমেজও ধরে রাখতে হবে। সেক্ষেত্রে পরতে পারেন কৃত্রিম মসলিন বা পাতলা চোষা কাতান।
যাদের খুব বেশি ঘেমে যাওয়ার প্রবণতা থাকে, তাদের অনেক সময় জামা ঘামে ভিজে ওঠে। তাই গরমে পোশাক নির্বাচনের ক্ষেত্রে কাপড়ের মতোই গুরুত্বপূর্ণ রং। শীতে যেমন খুশি তেমন রঙের কাপড় পরা গেলেও গরমে তা চলবে না। এ সময় সাদা, হালকা গোলাপি, আকাশি, হালকা হলুদ, ধূসর, হালকা বেগুনি, হালকা নীল, বাদামিসহ হালকা রঙের পোশাক বেছে নিন। এ ছাড়া যে রঙের পোশাকে ঘামের দাগ স্পষ্ট হয়ে ওঠে, সেসব রং এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।
পোশাক ব্যবহারের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো স্বস্তি। যে পোশাক আপনাকে অস্বস্তি দেবে, সেটি পরে নিশ্চয়ই বেশি সময় থাকতে পারবেন না। এ সময় খুব বেশি টাইট ফিটিংস পোশাক পরলে সেটি অস্বস্তিকর হবে। তাই একটু ঢিলেঢালা পোশাক বেছে নিন। হাইনেকের বদলে কলার ছাড়া গলার জামা পরতে পারেন। এতে আরাম পাবেন। হাতা ছোট হলেই ভালো। গরমে ফুল স্লিভ বা থ্রি কোয়ার্টার খুব একটা আরাম দেবে না। এ ছাড়া পোশাকের ভেতরে অনেকেই ইনার পরেন।
গরমে স্বস্তি পেতে হালকা রঙের শাড়ি যেমন সুতির ব্লক, টাঙ্গাইলের শাড়ি, অ্যাপ্লিকের শাড়ি, ছাপা শাড়ি, ব্লক-বাটিকের সুতি ট্রেন্ডি শাড়ি অথবা পাতলা সাটিন বা জর্জেটের শাড়িও উপযোগী।
ঈদে ছেলেদের পোশাকের ক্ষেত্রেও সুতি কাপড়কে প্রাধান্য দেওয়া উচিত। এই কাপড়ের পাঞ্জাবি, শার্ট, ফতুয়া কিনতে পাবেন। বাটিক, ভেজিটেবল ডাই, টাইডাই, স্ক্রিনপ্রিন্ট, ব্লক ইত্যাদির ডিজাইন করা পোশাক পাওয়া যায় সহজেই। এ সময় ফর্মালের বদলে কিনুন ক্যাজুয়াল শার্ট।
এগুলো গরমে আরামদায়ক ও ফ্যাশনেবল। ফুল হাতার বদলে হাফ হাতার শার্ট পরতে পারেন। পোশাকের রং হিসেবে বেছে নিতে পারেন হালকা নীল, ধূসর, সাদা, অফহোয়াইট, অলিভ ঈত্যাদি। ঈদের নামাজ কিংবা দাওয়াতের জন্য এ সময় সুতির পাঞ্জাবিই ভালো। এ ছাড়া গরমে স্পোর্টস টি-শার্ট পরেন অনেকেই। এসব টি-শার্টে এমন ফ্যাব্রিক ব্যবহার করা হয়, যা খুব সহজে ঘাম ত্বকের উপরিভাগে নিয়ে আসে। ফলে ঘাম শরীরে বসে না। গরমে এই ধরনের পোশাক পরতেই পারেন।
মন্তব্য করুন