হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ রাত বলা হয় লাইলাতুল কদরকে। এই রাতে আল্লাহ তার বান্দার নেক দোয়া কবুল করেন।
এ রাতে অধিক সংখ্যক রহমতের ফেরেশতা পৃথিবীতে নেমে আসেন। এর ফলে সকাল না হওয়া পর্যন্ত বিরাজ করে এক অনন্য শান্তি। মুসলমানদের কাছে তাই লাইলাতুল কদরের গুরুত্ব অপরিসীম।
মহান এ রাত সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা পবিত্র আল কোরআনের সুরা কদরে বলেন, লাইলাতুল কদর হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। ওই রাতে প্রতিপালকের হুকুম মেনে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে অবতরণ করেন জিবরাইল আলাইহে ওয়াসাল্লামসহ অন্যান্য ফেরেশতারা।
মহিমান্বিত এ রজনী কখন আসে, কীভাবে আসে এবং কেমন করে ধরা দেয়, সে বিষয়ে অবগত হওয়ার কথাও বলা হয়। তবে লাইলাতুল কদর লাভ করার সর্বোত্তম উপায় হলো রমজানের শেষ দশকে ইতেকাফ করা।
উম্মুল মুমিনীন আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহা হতে বর্ণিত, প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি রমজানের শেষ ১০ দিন ইতেকাফ করবেন, তিনি দুটি ওমরা ও দুটি কবুল হজ আদায়ের সাওয়াব পাবেন। তাই যারা ইতেকাফ করবে লাইলাতুল কদর পাওয়ার পাশাপাশি অধিক সাওয়াবও লাভ করবেন।
রোজার শেষ দশকে কদরের রাত অনুসন্ধানের পাশাপাশি নবীজী লাইলাতুল কদরের রাত চেনার কিছু আলামতও বলেছে দিয়েছেন।
তা হলো, রাতটি গভীর অন্ধকারে ছেয়ে যাবে না। রাতটি নাতিশীতোষ্ণ হবে এবং মৃদ বাতাস প্রবাহিত থাকবে।
এ ছাড়া সে রাতে ইবাদত করে মানুষ অপেক্ষাকৃত তৃপ্তিবোধ করবে। কোনো ঈমানদার ব্যক্তিকে আল্লাহ স্বপ্নে হয়তো তা জানিয়ে দিতে পারেন।
ওই রাতে বৃষ্টি হবে। সকালে হালকা আলোকরশ্মিসহ সূর্যোদয় হবে, যা দেখাবে পূর্ণিমার চাঁদের মতো। কিন্তু ভোর হওয়ার আগেই এই রাতে বেশি বেশি আল্লাহর দরবারে ক্ষমা চাওয়ার দোয়া পড়তে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া নফল ইবাদতের পাশাপাশি, কোরআন তেলওয়াতের ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন