চলছে পবিত্র মাহে রমজান। স্বয়ং আল্লাহ তাআলাই রোজাপালনকারীর প্রতিদান দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। প্রাপ্ত বয়স্ক মুসলমান নারী-পুরুষের জন্য রোজা ফরজ। এর প্রেক্ষিতে আল্লাহর নৈকট্য ও তাকওয়া লাভের আশায় মুসলমানরা রোজা পালন করেন। সারাদিনের রোজা শেষে রোজাদারের আনন্দদের মহূর্ত হলো ইফতার। এই সময় ইফতার সামনে নিয়ে দোয়া করলে মহান আল্লাহ তা কবুল করেন।
হজরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত। নবী কারিম সা. বলেন, ‘রোজাদারের জন্য দুটি আনন্দ। একটি আনন্দ হচ্ছে যখন সে ইফতার করে। আরেকটি হচ্ছে যখন সে প্রভুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৭৬৬)
রোজাদারের দোয়া কবুলেরও সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে হাদিসে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘তিন ব্যক্তির দোয়া অগ্রাহ্য করা হয় না (বরং কবুল করা হয়); পিতার দোয়া, রোজাদারের দোয়া এবং মুসাফিরের দোয়া।’ (বাইহাকী ৩/৩৪৫)
ইফতার খাওয়া শুরুর সময় হাদিসে বর্ণিত দোয়া পড়া সুন্নত। তবে ইফতার সামনে রেখে আজানের আগ মুর্হূতে হাদিসে বর্ণিত অন্যান্য দোয়াগুলো গুরুত্বসহকারে পড়া যেতে পারে। কারণ, হাদিসের দোয়াগুলোতে নবীজি সা. আল্লাহ তায়ালার কাছে এমন কিছু চেয়েছেন যা বান্দার দুনিয়া ও আখেরাতে কল্যাণকর। এমন কয়েকটি দোয়া হলো—
সাইয়্যিদুল ইস্তেগফার :
- আল্লাহুম্মা আনতা রব্বী লা-ইলাহা ইল্লা আনতা খালাক্কতানী ওয়া আনা আ’বদুকা ওয়া আনা আ’লা আহ্দিকা ওয়া ও’য়াদিকা মাসতাত’তু আ’উযুবিকা মিন শার্রি মা ছা’নাতু আবূউলাকা বিনি’মাতিকা আ’লাইয়্যা ওয়া আবূউলাকা বিযানবী ফাগ্ফির্লী ফাইন্নাহু লা-ইয়াগফিরুয্যুনূবা ইল্লা আনতা।
অর্থ- হে আল্লাহ! তুমি আমার রব। তুমি ছাড়া আর কোনো সত্য মাবুদ নাই। তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছ, আমি তোমার বান্দা। আমি তোমার ওয়াদা ও অঙ্গীকারের উপর সাধ্যানুযায়ী প্রতিষ্ঠিত। আমি অনিষ্টকর যা কিছু করেছি তা থেকে তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমার উপর তোমার যে নিয়ামত আছে তার স্বীকৃতি দিচ্ছি। তোমার নিকট আমার গুনাহের স্বীকৃতি দিচ্ছি। সুতরাং তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও; কেননা তুমি ছাড়া আর কেউ গুনাহ ক্ষমা করতে পারে না।
ইস্তিগফার :
এ সময় বেশি বেশি ইস্তিগফার পড়া যেতে পারে।
-আস্তাগ্ ফিরুল্লাহ
অর্থ- আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
লা হাওলা :
লা হাওলা ওলা ক্বুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ্
অর্থ- আল্লাহর আশ্রয় ও শক্তি ছাড়া আর কারো কোনো ক্ষমতা নাই।
এছাড়াও এই সময়ে বেশি বেশি জিকির-আজকার করা উচিত।
মন্তব্য করুন