চলছে পবিত্র রমজান মাস। রহমতের দশদিন শেষ হয়ে শুরু হয়েছে মাগফেরাতের দশ দিন। আগামী ৩১ মার্চ অর্থাৎ বিশ রমজান থেকে শুরু হবে নাজাতের দশদিন। আর এই শেষ দশদিনে ইতেকাফে বসবে বহু মুসলিম নর-নারী। ইতেকাফরত অবস্থায় অনেক কিছুই মেনে চলতে হয়। এরমধ্যে অনলাইন কেন্দ্রিক যারা ব্যবসা পরিচালনা করে তাদের বিষয়ে ইসলাম কী বলে। তারা কীভাবে নিজেদের ব্যবসা পরিচালনা করবে।
কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, আমি ইবরাহিম ও ইসমাইলকে নির্দেশ দিলাম, তোমরা আমার ঘরকে তাওয়াফকারী, ইতিকাফকারী ও রুকু–সিজদাকারীদের জন্য পবিত্র রাখো। (সুরা বাকারা: ১২৫)
রমজানের শেষ দশদিন ইতিকাফ করা সুন্নত। নবিজি (সা.) প্রতি রমজানে দশ দিন ইতিকাফ করতেন। যে বছর তিনি ইন্তিকাল করেন, ওই বছর তিনি বিশ দিন ইতিকাফ করেছিলেন। (সহিহ বুখারি)
এ ছাড়া সারা বছরই নফল ইতিকাফ করা যায়। ইতিকাফের মানত করলে তা পূরণ করা ওয়াজিব। ওয়াজিব ইতিকাফে রোজা রাখা বাধ্যতামূলক।
ইতেকাফের উদ্দেশ্য যেহেতু দুনিয়াবি কাজকর্ম থেকে অবসর নিয়ে ইবাদতে আত্মনিয়োগ করা, তাই রমজানে বা রমজানের বাইরে যে কোনো সময় ইতেকাফে বসলে ইবাদতের দিকেই মনোযোগী থাকা উচিত। যারা ইজিলোড, ফেক্সিলোড বা অন্যান্য অনলাইন ব্যবসা করেন, তারা ইতেকাফে বসলে মসজিদে অবস্থান করেও এ সব ব্যবসার কাজ করতে পারবেন না।
প্রথমত, মসজিদ ইবাদত-বন্দেগির জায়গা। দ্বিতীয়ত, ইতিকাফ হল দুনিয়াবী ব্যস্ততা ত্যাগ করে ইবাদতের উদ্দেশ্যে মসজিদে অবস্থান করা। সুতরাং পণ্য উপস্থিত না করলেও ব্যাপকভাবে বেচা-বিক্রি ও কাস্টমারদের সাথে আলোচনায় লিপ্ত হওয়া ইতিকাফের উদ্দেশ্য পরিপন্থি ও মাকরুহ। সুতরাং একান্ত প্রয়োজন ছাড়া ইতিকাফ অবস্থায় এভাবে ক্রয়-বিক্রয়ের চুক্তিতে লিপ্ত হওয়া যাবে না। আর পণ্য কোনো অবস্থাতে হাজির করা যাবে না। কেননা মসজিদে পণ্য হাজির করা মাকরূহে তাহরীমী তথা নাজায়েয।
-ফাতাওয়া খানিয়া ১/২২২;
আল্লাহর ঘর মসজিদে বসে বেচাকেনা, ব্যবসা-বাণিজ্য এমনিতেই নিষিদ্ধ, ইতেকাফের সময় এগুলো থেকে আরও বেশি দূরে থাকা উচিত।
মন্তব্য করুন