রমজান মাসে রোজা পালনের পাশাপাশি যেসব আমলের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয় তার মধ্যে তারাবি নামাজ অন্যতম। তারাবি পড়া সুন্নতে মুয়াক্কাদা। কোনো বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া তারাবির নামাজ ছেড়ে দেওয়া মাকরুহ।
রমজানে তারাবির পর জামাতে বিতর নামাজ পড়া হয়। রমজান মাস ছাড়া অন্যান্য সময় বিতর নামাজ জামাতে আদায় করা লাগে না। এখন বিতরের জামাতে যদি কোনো রাকআত ছুটে যায় তাহলে করণীয় কী।
কোনো ব্যক্তি যদি বিতর নামাজের দ্বিতীয় বা তৃতীয় রাকআতে শরিক হয় তা হলে ইমামের সঙ্গেই দোয়া কুনুত পড়ে নেবে। এরপর ছুটে যাওয়া নামাজ স্বাভাবিক নিয়মে আদায় করবে। অর্থাৎ অন্য নামাজে মাসবুক হলে যেভাবে আদায় করতে হয় সেভাবেই আদায় করবে।
আর যদি তৃতীয় রাকআতের রুকুতে শরিক হয় তা হলে ওই রাকআতের দোয়া কুনুত পেয়েছে বলে ধরা হবে। তাই এ ক্ষেত্রে পরে আর দোয়া কুনুত পড়বে না। আর যদি শেষ রাকআতের রুকু না পায় তা হলে ইমামের সালামের পর দাঁড়িয়ে সাধারণ নিয়মে তিন রাকআত পড়বে এবং তৃতীয় রাকআতে দোয়া কুনুত পড়বে। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১১১; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ২/৩৪৫; আলবাহরুর রায়েক ২/৪১; শরহুল মুনইয়া ৪২১)।
আর তারাবি সম্পর্কে বলা আছে, তারাবির সময় তারাবির নামাজ পড়তে না পারলে পরে আর কাজা পড়তে হবে না। কারণ তারাবির নামাজের কোনো কাজা নেই। তাই পরে কাজা করার কোনো সুযোগ নেই। পড়লে তা নফল হিসেবে গণ্য হবে। তারাবি নামাজের কাজা হবে না।
তারাবির জামাতে অংশ নিতে দেরি হওয়ার কারণে যদি কারও তারাবির জামাত থেকে কিছু রাকাত ছুটে যায় তাহলে বেতরের নামাজের পর সেটি আদায় করে নেবে মুসল্লি।
মন্তব্য করুন