বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আগামীকাল মঙ্গলবার (১২ মার্চ) থেকে রোজা শুরু হচ্ছে। এ ছাড়া আগামী ৬ এপ্রিল (শনিবার) রাতে পবিত্র লাইলাতুল কদর পালিত হবে। প্রতিবছর পবিত্র রমজানের ২৬ তারিখ রাতে শবে কদর পালন করা হয়। ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এ রাত কাটান।
ইসলামি শরিয়তে শবে কদরকে বছরের শ্রেষ্ঠ রাত আখ্যায়িত করা হয়েছে। এ রাতেই হজরত মোহাম্মদ (সা.)-এর ওপর পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছে।
মহান আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আমি এটি নাজিল করেছি ‘লাইলাতুল কদরে। তুমি কি জান কদরের রাত কি? কদরের রাত হাজার মাসের চেয়েও অধিক শ্রেষ্ঠ। এ রাতে ফেরেশতারা ও রুহ (জিবরাইল) তাদের রবের অনুমতিক্রমে সব সিদ্ধান্ত নিয়ে অবতরণ করে। (এ রাতে বিরাজ করে) শান্তি আর শান্তি- ফজর উদয় হওয়া পর্যন্ত।’ (সুরা কদর)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতগুলোতে শবে কদর সন্ধান করো।’ (মুসলিম)। এ রাতগুলো হলো ২১, ২৩, ২৫, ২৭ ও ২৯। আরবিতে দিনের আগে রাত গণনা করা হয়। অর্থাৎ ২০, ২২, ২৪, ২৬ ও ২৮ রমজান দিবাগত রাত্রসমূহ।
পবিত্র এ রাতের ফজিলত সম্পর্কে একাধিক হাদিস বর্ণিত হয়েছে। গোনাহ মাফ করানোর সুবর্ণ সুযোগ এ রাত। হাদিস শরিফে আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘লাইলাতুল কদরে যে ব্যক্তি ইমান ও সওয়াবের নিয়তে কিয়াম (নামাজ পড়বে) করবে, তার পূর্বের সব পাপ মোচন করা হবে।’ (মুসলিম শরিফ, হাদিস: ৭৬০)
একইসঙ্গে যে এ রাতের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হলো, তাকে দুর্ভাগা আখ্যা দেওয়া হয়েছে। হজরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) বর্ণনা করেন, ‘রমজান মাস এলে রাসুল (সা.) সাহাবিদের উদ্দেশে বলতেন, তোমাদের কাছে এই মাস সমাগত হয়েছে, তাতে এমন একটি রাত রয়েছে, যা এক হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। যে ব্যক্তি এ রাতের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হলো, সে প্রকৃতপক্ষে সব কল্যাণ থেকেই বঞ্চিত। একমাত্র (সর্বহারা) দুর্ভাগাই এ রাতের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হয়।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১৬৪৪)
মন্তব্য করুন