মুসলমানরা হজ বা ওমরাহ যে কাজেই সৌদি আরবে যান একবারের জন্য হলেও মদিনায় অবস্থিত মসজিদে নববীতে নামাজ আদায়ের চেষ্টা করেন। গত সপ্তাহে ৫৫ লাখ ১৩ হাজার ৯২১ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করেছেন। এ সময় রিয়াজুল জান্নাতে নামাজ আদায় করেছেন প্রায় দুই লাখ মুসল্লি।
সৌদি সংবাদমাধ্যম এসপিএর খবরে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে মসজিদে নববীতে আগতদের নামাজ এবং ইবাদত আদায়ের সেবাগুলো আগের থেকে সহজ করা হয়েছে।
এ সময় পাঁচ লাখ ৬৩ হাজার ৪১ জন নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রওজা জিয়ারত করেন। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রওজা জিয়ারতকারীদের মধ্যে ১ লাখ ২০ হাজার ৯০৪ জন পুরুষ এবং ৯৯ হাজার ৪০০ নারী রিয়াজুল জান্নাতে নামাজ আদায়ের সুযোগ পেয়েছেন।
মসজিদে নববীর কর্তৃপক্ষ ১৩ হাজার ২৬২ জন বৃদ্ধ ও অসুস্থ ব্যক্তিকে বিশেষ সেবা প্রদান করেছেন। ১ লাখ ২৯ হাজার ৯৪৪ হাজার ইবাদত পালনকারী বিভিন্ন ভাষায় সেবা গ্রহণ করেছেন।
মক্কার মসজিদে হারামের পরই মদিনার মসজিদে নববীর গুরুত্ব ও মর্যাদা। মসজিদে নববীতে নামাজ পড়ার বিশেষ ফজিলত রয়েছে। এতে নামাজ পড়লে এক হাজার নামাজ পড়ার সওয়াব পাওয়া যায়। সুতরাং এখানে এক ওয়াক্ত নামাজ পড়া অন্য মসজিদে ছয় মাস নামাজ পড়ার সমতুল্য।
ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘আমার এ মসজিদে এক ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা মসজিদে হারাম ছাড়া অন্যান্য মসজিদে এক হাজার নামাজ আদায় করার চেয়েও উত্তম।’-(বুখারী : ১১৯০; মুসলিম : ১৩৯৪)
মসজিদে নববীর ফজিলত সম্পর্কে অন্য এক হাদিসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘তিনটি মসজিদ ছাড়া অন্য কোথায়ও (সওয়াব আশায়) সফর করা জায়েজ নেই: মসজিদুল হারাম, আমার এ মসজিদ ও মসজিদুল আকসা।’-(বুখারী : ১১৮৯, মুসলিম : ১৩৯৭)
নবীজির রওজা জিয়ারতের বিশেষ ফজিলতও রয়েছে। এক হাদিসে হজরত ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘যে আমার ওফাতের পর আমার (রওজা) জিয়ারত করল, সে যেন আমার জীবদ্দশায় আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করল।’ (দারাকুতনি : ২৬৯৪)
মন্তব্য করুন