চলতি মৌসুমে সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ নিবন্ধনের তৃতীয় দফার সময় শেষ হয়েছে বৃহস্পতিবার রাত ৮টায়। তৃতীয় দফায় সময় বৃদ্ধি করেও সাড়া মেলেনি হজযাত্রীদের। এতে সরকারি-বেসরকারি উভয় ব্যবস্থাপনায় প্রাক নিবন্ধন করেছে ৫৩ হাজার ১১৫ জন। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ অনুবিভাগ থেকে এই তথ্য জানা যায়।
চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। সৌদি আরবের সঙ্গে হজ চুক্তি অনুযায়ী আসন ফাঁকা রয়েছে ৭৪ হাজার ৮৩ জনের।
হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মতিউল ইসলাম বলেন, হজের নিবন্ধনের সময় আর বাড়ছে না। যারা নিবন্ধন করেছে তাদের নিয়ে কার্যক্রম শুরু করা হবে। নিবন্ধিত হজযাত্রীদের জন্য সৌদি আরবে বাসা ভাড়াসহ যাবতীয় বিষয় নিয়ে আমরা কাজ শুরু করব।
গত বছরের ১৫ নভেম্বর থেকে এবারের হজ নিবন্ধন শুরু হয় এবং সময়সীমা ছিল গত ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। পরে হজ নিবন্ধনের সময় ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এরপর দ্বিতীয় দফায় ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত নিবন্ধনের সময় বাড়িয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
হজের খরচ অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় গত বছর নিবন্ধনে কাঙ্ক্ষিত সাড়া না মেলায় ৮ বার সময় বাড়ানো হয়। এরপরও শেষ পর্যন্ত ৫ হাজারের বেশি কোটা ফেরত যায়। এখনও বাকি কোটার ৭৪ হাজার ৮৩ জনের নিবন্ধন।
হজ প্যাকেজের অতিরিক্ত মূল্য নির্ধারণ করায় সাধারণ হজযাত্রীদের নাগালের বাইরে চলে গেছে। এ কারণে নিবন্ধনে সাড়া মিলছে না বলে মনে করছেন অনেকে।
এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাওয়ার দুটি প্যাকেজ নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে সর্বনিম্ন প্যাকেজের মূল্য ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা। আর বিশেষ প্যাকেজের মূল্য ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা। অপরদিকে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় দুটি প্যাকেজের মূল্য যথাক্রমে ৫ লাখ ৮৯ হাজার ৮০০ টাকা এবং ৮ লাখ ২৮ হাজার ৮১৮ টাকা। যদিও গত বছরের চেয়ে এ বছর সর্বনিম্ন প্যাকেজের মূল্য ১ লাখ ৪ হাজার ১৬০ টাকা কমানো হয়েছে, তবুও বর্তমান হজ প্যাকেজের মূল্যকে অনেক বেশি মনে করছেন হজে যেতে আগ্রহীরা।
মন্তব্য করুন